কাঁচের_সংসার
পর্ব_২
#মাসুদ_রানা_তাসিন
অরূপের খুনি কথাটা গায়ে লাগলো। অরূপ কিছু না বলে চলে গেল। বাহিরে বসে ভাবছে সত্যি কি আমি খুনি। তাহলে সেই ছবি গুলো। আয়াজ এর বলা কথা গুলো। সেই গুলো কি ছিল। আমার চোখের দেখা কি ভুল ছিল। না আমি ভাবতে পারছি না আর। এসব আমি কি ভাবছি আমি তো হিয়া কে ভালবাসি। ওকে বিয়ে করব।
তবুও কানে আদ্রতার বলা কথা গুলো বাজছে। আপনি চলে যান, আমি আপনার সাথে কথা বলব না। আপনি আমার অনাগত সন্তানের খুনি।
আমি কেন ভাবছি এসব। ও তো ভালো মেয়ে না। আমি এসব আর ভাবব না।
*******
আদ্রতা অর্পা কে বলল। অর্পা আমি একটা কথা বলি তোমায়।
বল ভাবী কি বলবে। আমার অনুমতি লাগবে না বল।
উকিল চাচা কে ফোন করে আসতে বল একটু। আমি তার সাথে কথা বলতে চাই।
আচ্ছা ঠিক আছে ভাবী। আমি এখন ফোন করছি।
অর্পা তোমার ভাইয়া কে ভিতরে আসতে বল। কথা বলব। আর বাড়িতে গিয়ে আমার ঘরে একটা নীল রঙের ব্যাগ আছে তা নিয়ে আস।
অর্পা ঠিক আছে বলে বেরিয়ে যায়।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
ভাইয়া তোকে ভাবী ভিতরে ডাকছে বলে অর্পা বাড়ির দিকে রওনা হল।
অরূপ বলল যাচ্ছি বলে ভিতরে গেল। আদ্রতা বলে ডাকল।
ওহ মিঃ অরূপ। আপনাকে একটা কথা বলার জন্য ডাকলাম। আপনি হিয়াকে একটু আসতে বলেন। আমি কথা বলব, ওকে ডাকুন।
কি বলছ তোমার মত একটা মেয়ের কথায় ওকে ডাকব।
আরে ডাকুন, আপনার ভালোর জন্য ডাকতে বলছি। আর আপনি গিয়ে নিয়ে আসুন।
অরূপ কিছু না বলে চলে গেল। বাহিরে বসে ভাবছে হঠাৎ হিয়া কে কেন আসতে বলছে। এই মেয়ের মাথায় কি চলছে কে জানে।
*****
উকিল চাচা আসুন, আপনাকে দুটো কাজ করতে হবে। আমি কিন্তু আপনাকে আগেই বলেছি।
উকিল : মা এমন কেন চাচ্ছ মা। পাগল তো নিজের ভালো বুঝে মা।
না চাচা তা হয় না। আমি আর যেমন হই না কেন এইটা আমাকে করতেই হবে। আয়াজ দার কাছে যা শুনেছি তার পর আর কিছু ভাবতে পারছি না।
উকিল : তবুও মা আরেক বার
চাচা আপনি কিন্তু জানেন আদ্রতা যা বলে তাই করে।
উকিল : আমি কাগজ গুলো সব এনেছি। নাও তুমি সিগনেচার করে দাও।
আচ্ছা দেন আমি করে দিচ্ছি।
******
হিয়া : আমি কেন যাব বল অরূপ। আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।
আমি ও কিছুই বুঝতে পারছি না। কি চলছে ওর মাথায়।
হিয়া : তাও গিয়ে শুনে দেখি।
অরূপ বলল আচ্ছা চল।
*******
অর্পা এনেছ বলে দেখল ব্যাগে সব কিছু ঠিক আছে কি না। দেখল সব ঠিক আছে। অর্পা এই নাও চাবি। এটা বাবা মা ফিরলে দিও তাদের। আর যেন আমাকে ক্ষমা করে দেয় এটা বলে দিও।
ভাবি এটা কি ঠিক হবে। তুমি ভেবে দেখো আরেক বার।
এর মাঝেই হিয়া অরূপ ভিতরে প্রবেশ করে। আদ্রতা বলে উঠল স্বাগতম হিয়া।
হিয়া মনে মনে ভাবছে এর মনে কি চলছে।
উকিল চাচা বলে অরূপ বাবা এখানে একটা সাইন দাও।
অরূপ কাগজ দেখে অবাক হয় যে ডিভোর্স পেপার। এটা কি হচ্ছে, আগে সুস্থ হও।
মিঃ অরূপ আপনাকে আর চোখের সামনে দেখতে পারব না। আপনাকে দেখলে আমার অনাগত সন্তানের কথা মনে হবে। আপনি খুনি, আপনি খুনি।
অরূপ আর কিছু না বলে কাঁপা কাঁপা হাতে সাইন করে দেয়।
এবার হিয়ার উদ্দেশ্য করে বলে, হিয়া আর যাই কর আঁচলে বেঁধে রেখে দিও।
উকিল আরেকটা কাগজ সাইন করায় অরূপ ও হিয়ার বিয়ের। সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেয় আদ্রতা ও উকিল নিজেই।
স্বাগতম অরূপ ও হিয়া দম্পতি। আর অরূপ আপনাকে কোন কালিকে সকাল সন্ধ্যা দেখতে হবে না।
এখন তাড়াতাড়ি বের হন অরূপ সাহেব।
চলবে,,,,,,,,,,