প্রজাপতির_রং🦋 Part_31

0
1122

প্রজাপতির_রং🦋
Part_31
#Writer_NOVA

—-হাত উপরে উঠা।নয়তো গুলি করে উপরে পাঠিয়ে দিবো।কি বললাম শুনতে পাসনি?হাত জলদী উঠা।

ধমক শুনে সাইমন ও মোরশেদ দুজনেই হাত উপরে তুলে ফেলে।মোরশেদ ওয়াসিম তাচ্ছিল্যের সুরে বলে।

মোরশেদঃ তানভীর রহমান তায়াং যে।তা গোয়েন্দা সাহেব একা এসেছেন নাকি জানে জিগার বন্ধু প্লাস বোনের জামাইকে সাথে নিয়ে এসেছেন?

তায়াংঃ কথা কম বল।নোভা কোথায়?

সাইমনঃ খুঁজে নে।আমরা কেন বলবো?

সাইমনের ত্যাড়া উত্তর দিতে দেরী কিন্তু ওর নাকের মধ্যে ঘুষি পরতে দেরী হলো না। সাইমন নাক ধরে দেখলো রক্ত পরছে।মোরশেদ ওয়াসিম তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলো।

মোরশেদঃ তায়াং কাজটা ভালো করলি না।

সাথে সাথে মোরশেদ সাহেবের মুখেও একটা পাঞ্চ মারলো তায়াং।একের পর এক ডিসুম ডাসুম করে মেরেই চলছে ।মনের আশ মিটিয়ে মারছে তায়াং।খবর পাওয়ার সাথে সাথে এখানে চলে এসেছে সে।সাথে এনাজও এসেছে। বাইরের ঝামেলা এনাজকে সামলাতে দিয়ে সে পেছনের দেয়াল বেয়ে ভেতরে ঢুকে গিয়েছে। ধুমছে মারামারি হচ্ছে। মারামারির এক পর্যায় তায়াং-এর হাত থেকে রিভেলভারটা পরে যায়।সাইমন ফাঁকের মধ্যে সেটা তুলে নিয়ে তায়াং-এর মাথায় ঠেকিয়ে ধরে।

সাইমনঃ হাত উঁচু করে সারেন্ডার কর।নয়তো মাথার খুলি উড়ে যাবে।

তায়াং হাত দুটো উঁচু করে ফেলে।মোরশেদ সাহেব ততক্ষণে ফ্লোরের থেকে উঠে শরীর ময়লা ঝাড়তে ঝাড়তে বলে।

মোরশেদঃ এটা কে নিয়ে ওর বোনের রুমে আটকে রাখ।এমনভাবে আটকাস যাতে ছুটতে না পারে।

সাইমনঃ অনুমতি দেও তো একে এখানেই শেষ করে দেই।

তায়াংঃ এত সাহস আছে নাকি তোর?

সাইমন খুব জোরে তায়াং-এর মুখে দুটো পাঞ্চ মেরে বলে।

সাইমনঃ আমার সাহস নিয়ে কথা বলিস না।তাহলে অনেক খারাপ হয়ে যাবে।

তায়াং উচ্চস্বরে হেসে উঠলো। মনে হচ্ছে সাইমন বড় কোন জোকস বলেছে। এর মধ্যে সাইমনদের লোকেরা এনাজকে ধরে নিয়ে এসেছে। এনাজকে দেখে মোরশেদ সাহেব একটা শয়তানি হাসি দিলো।এনাজ সেই হাসির তোয়াক্কা না করে ওকে ধরে রাখা ছেলেগুলোকে ধমক দিয়ে শাসিয়ে বললো।

এনাজঃ আরে ব্যাটারা ছাড় তো।এত শক্ত করে কেউ ধরে।আমার হাড্ডিগুলো তো গুঁড়া গুঁড়া করে ফেললি।
ছাড় আমাকে।আমি এখন পালাবো না।

ঝাড়া মেরে নিজের দুই হাত ছাড়িয়ে নিলো এনাজ।লোকগুলো আবার ধরতে নিলেই মোরশেদ হাত দেখিয়ে থামিয়ে দিলো।এনাজ পকেট থেকে দুটো চুইংগাম বের করে দুটোর প্যাকেট ছিড়লো।তারপর একটা তায়াং-এর দিকে ছুঁড়ে মারলো।তায়াং সেটা ক্যাচ ধরে মুখে পুরে দিলো।এনাজ বাকি চুইংগামটা মুখে নিয়ে ছাগলের মতো চাবাতে চাবাতে মোরশেদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। মোরশেদ কালো সানগ্লাস পরা আছে। এনাজ সামনে এগিয়ে মোরশেদের সানগ্লাসে তাকিয়ে নিজের চুল ঠিক করতে লাগলো। এনাজের এমন কান্ডে তায়াং,মোরশেদ ছাড়া বাকি সবাই অবাক হলো।তবে তখন যদি মোরশেদ সাহেব ভালো করে খেয়াল করতো।তাহলে দেখতো এনাজ পকেট থেকে কিছু একটা নিয়ে তার চুলের আড়ালে লুকিয়ে ফেলেছে।চুল ঠিক করতে করতে এনাজ মোরশেদের লোকগুলোকে উদ্দেশ্য করে বললো।

এনাজঃ যাঃ পোলাপাইন। আমার স্টাইল করা চুলগুলি সব এলোমেলো করে দিলি।তোদের কি আমি কিছু করছিলাম রে ভাই? শুধু একটু আমার পিছু পিছু দৌড়িয়ে তোদেরকে এক্সারসাইজ করছি।আর তোরা আমার সাধের চুলের স্টাইলটা নষ্ট করে দিলি।দিস ইজ নট ফেয়ার। এখন আমার বউ কি আমার দিকে তাকাবে? এমনি আমার ওপর যা রেগে আছে। যার জন্য এত সুন্দর করে সাজগোজ করে ইমপ্রেস করতে এসেছিলাম।আর তোরা সব নষ্ট করে দিলি।

এনাজের কান্ড দেখে সবাই আহাম্মক হয়ে গেলো। কোথায় ভেবেছিলো এনাজ সবার সাথে ফাইট করবে।তা না করে সে যত্ন সহকারে নিজের চুল ঠিক করছে।শুধু মোরশেদ ও তায়াং চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে। কারণ তারা দুজন জানে এনাজ কারণ ছাড়া কোন ফালতু কাজে মনোনিবেশ করে না।এনাজ চুলগুলো ঠিক করে মোরশেদের সামনে থেকে সরে এলো।তারপর কালো দেখতে মোটা একটা ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বললো।

এনাজঃ ঐ কালু,দেখ তো আমার চুলের স্টাইলটা কি এখন ঠিক আছে নাকি?

ছেলেটা অনেকটা বোকা টাইপের। মাথায় বুদ্ধি-সুদ্ধি অনেক কম।সে ঠোঁট ফুলিয়ে মুখটাকে কাঁদো কাঁদো করে বললো।

—- বস,আমার নাম শিপন।কালু না।

এনাজঃ ওহ আচ্ছা। তা শিপন ভাই আমার।আমার চুলের স্টাইলটাকি ঠিক আছে?

—- না বস,বাম দিকটা আরেকটু ঠিক করতে হইবো।

🦋🦋🦋

এদের কথা শুনে সবাই বিরক্ত হচ্ছে।এখন কি এসব করার সময়।সাইমন, শিপন নামের ছেলেটাকে জোরে একটা ধমক দিলো।

সাইমনঃ শালা,তোদের কি আমরা এসব করতে রাখছি? ওর চুলের স্টাইল ঠিক করতে কি তোদের এতগুলো টাকা দিয়ে ভাড়া করছি।হারামজাদা, ওদের হয়ে যদি আরেকটা কথা বলছিস ঘাড় থিকা মাথা ফেলে দিবো।(মোরশেদের দিকে তাকিয়ে)বড় ভাইয়া,তুমিও কি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এই পাগলের কান্ড দেখছো?ওকে ধরে আটকাও না কেন?

মোরশেদ কোন উত্তর দিলো না। সে তো এনাজকে ভালো করে লক্ষ্য করছে।এনাজ তার মুখের চুইংগামটা শব্দ করে মোরশেদের শরীরে ফেলে দিলো।
এতে মোরশেদ কোন প্রতিউত্তর করলো না। কিংবা দূরেও সরলো না।

এনাজঃ ওয়াক থু, চুইংগাম কোম্পানি আজকাল দুই নাম্বারি শুরু করছে। একটু চাবাইলে তিতা হয়ে যায়।

সাইমন তার ভাইয়ের চুপ থাকাটা মেনে নিতে পারছে না।তাই হুংকার ছেড়ে এনাজকে শাসিয়ে বললো।

সাইমনঃ তুই একটু বেশি করছিস কিন্তু। এসব ফালতু কাজে টাইম নষ্ট করার মতো টাইম আমাদের হাতে নেই। তাই চুপচাপ আমাদের সাথে চল।

এনাজ ওর কথার উত্তর না দিয়ে মোরশেদের কানের কাছে ফিসফিস করে বললো।

এনাজঃ কি মোরশেদ সাহেব? আছেন কেমন? মৃত এনাজ তোর চোখের সামনে আসছে আর তোদের কোন ভাবান্তর নেই। ওফস সরি। আমি তো ভুলেই গেছিলাম।তুই তো আবার সব আগের থেকে জানিস।অবশ্য তোর চোখে আমি একটু ভয় দেখেছি। নিশ্চয়ই ভাবছিস আমি এতকিছু জানছি কি করে? তায়াং আমাকে সবকিছু খুলে বলেছে।ও তো আমার কেস পুনরায় ওপেন করেছিলো।তখন তোদের দুই ভাইয়ের পুরো কুকীর্তি সব জেনে গেছে। আমার না এখন খুব আফসোস হচ্ছে। জানিস কেন? সেদিন যদি তোর মেজু ভাইয়ের সাথে সাথে তোদের দুই ভাইকে শেষ করে দিতাম।তাহলে হয়তো আমার জীবন থেকে আড়াই বছর হারিয়ে যেতো না। কিংবা আজ এই দিন দেখতে হতো না।যে অন্যায় করে আর যে প্রশ্রয় দেয়,দুজনই তো সমান অপরাধী। সেই হিসেবে তোদের দুজনকে মারলে আমার কোন ভুল হতো না।বরং পৃথিবী থেকে দুটো নরকীট কমে যেতো। তবে সেদিন তোদেরকে ছেড়ে ভুল করলেও আজ করতে চাই না।দুজনকে মেরেই এখান থেকে বের হবো।

সাইমনঃ কি ফুসুরফাসুর করছিস?

তায়াংঃ তুই বাচ্চা ছেলে। তোকে কি বলবে বল তো?

সাইমনঃ চুপ, বেশি কথা বলবি না।

এনাজের কথা শুনে মোরশেদ হো হো করে হাসতে লাগলো।তা দেখে এনাজ মেটেও বিচলিত হলো না।ও জানতো মোরশেদের রিয়েকশন এমনি হবে।

মোরশেদঃ কে কাকে মারে তা একটু পর দেখবি এনাজ।আরেকজন এসে নেক।তাকেও তো আমার পাওয়ার দেখাতে হবে।

তায়াংঃ কে আসবে?

মোরশেদঃ তোর বোনের দিওয়ানা রোশান দেওয়ান।

এনাজঃ রোশান কেন এসবে?(রেগে)

সাইমনঃ আসলেই দেখতে পাবি।

মোরশেদঃ সবাইকে নিয়ে রুমে চল।

ভাড়া করা লোকগুলো এনাজকে ধরে ফেললো।তায়াং-কে রিভেলবার তাক করে পেছনে পেছনে সাইমন চলতে লাগলো।

এনাজঃ আরে ছাড়।আমি কি কোরবানির গরু নাকি যে আমাকে ধরে বেঁধে নিয়ে যেতে হবে।আমি একাই যেতে পারি।

সবাইকে নিয়ে নোভা যে রুমে আছে সেই রুমে নেওয়া হলো।তায়াং,এনাজকে না বেঁধে লোকগুলো দিয়ে ঘেরা দিয়ে বন্দুক তাক করে রাখা হলো।মোরশেদ এগিয়ে গিয়ে ছোট টেবিলের ড্রয়ার থেকে ছোট সাইজের একটা গান বের করলো।সাইমন দুজনের দিকে রিভেলবার তাক করে আছে। কিন্তু ওদের দুজনের ভয়ের কোন রিয়েকশন নেই। বরং দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসছে।

মোরশেদঃ সাইমন, নোভার জ্ঞান ফিরা।এত সুন্দর মোমেন্টটাকে ও কেন মিস করবে।নিজের ভাই ও স্বামীর মৃত্যুটা তো ওর নিজের চোখে দেখতে হবে। যেমন আমি দেখেছি।

সাইমন ভাইয়ের আদেশ পেয়ে রিভেলবার টেবিলে রেখে সেখান থেকে পানির বোতল হাতে নিলো।বোতলের খাপ খুলতে খুলতে নোভার সামনে এসে দাঁড়ালো। পানির বোতলটা উঁচু করে নোভার মুখের ওপর ঢালতে লাগলো।এরকম করে ঢালছে যে নাকে, কানেও পানি ঢুকে যাচ্ছে।তাছাড়া ওর নিশ্বাসেরও সমস্যা হতে পারে। যেটা দেখে এনাজের রাগ হলো।রেগে সামনে এগিয়ে আসতে নিলে তায়াং ওর হাত ধরে মাথা নাড়িয়ে না জানালো।

🦋🦋🦋

মুখে পানির স্রোত বইতেই আমার জ্ঞান ফিরলো।কিন্তু পানির তোড়জোড়ের কারণে চোখ খুলতে পারছি না।কয়েক সেকেন্ড পর চোখ খুলে দেখলাম সাইমন বোতল হাতে দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে চোখ খুলতে দেখে একটা শয়তানি হাসি দিলো।ওর হাসি দেখে আমার শরীর জ্বলছে। হাতের বোতলটা ছুঁড়ে ফেলে দিলো।আমি চেচিয়ে বলে উঠলাম।

আমিঃ তোকে যে এত অপমান করি, তোর কি শিক্ষা হয় না রে? আবার তোর ঐ বাঁদর মুখখানা দেখাতে চলে এসেছিস।আসলে কি জানিস, কুকুরের লেজ হাজার টানলেও তা বাঁকাই থাকবে।তোরা দুই ভাইও তেমন।কুকুরের জাত।

সাইমন প্রথমপ কোন উত্তর দিলো না। তবে রাগে ওর মুখটা লাল,নীল সিগনাল দিচ্ছে। কিছু সময় পর চেচিয়ে বলে উঠলো।

সাইমনঃ গলার সাউন্ড কমিয়ে কথা বল।একটু সামনে তাকিয়ে তো দেখ।

আমি কপাল কুঞ্চিত করে সামনে তাকাতেই তায়াং ভাইয়া ও এনাজকে দেখতে পেলাম।সাইমনদের বডিগার্ডরা ওদের দুজনের দিকে বন্দুক তাক করে রাখছে।আমি তাকাতেই এনাজ হাত নাড়িয়ে বললো।

এনাজঃ হাই বাটারফ্লাই 😘!!!

হাই বলেই ফালিং কিস ছুঁড়ে দিলো।আমি ভেংচি কেটে তায়াং ভাইয়ার দিকে তাকালাম।

তায়াংঃ ঠিক আছিস তো তুই?

আমিঃ আমি ভালো আছি। তোরা কখন এলি?

এনাজঃ বেশি সময় হয়নি বাটারফ্লাই।

আমিঃ আমি আমার ভাইকে জিজ্ঞেস করেছি।অন্য কাউকে নয়।তাকে তো আমি এখানে আসতে বলিনি।
সে কেন এসেছে? দরদ দেখাতে?

এনাজঃ ঢং😏😏!!!

এনাজের ভেংচি কেটে ঢং বলতে দেখে আমার রাগ উঠে গেলো।আমি তায়াং ভাইয়াকে চেচিয়ে বললাম।

আমিঃ ভাইয়া এই আনাইজ্জারে চুপ করতে কো।আমার এটারে সহ্য হইতাছে না।

তায়াংঃ কি শুরু করলি তোরা ভাই?এখন কি এসব করার সময়?

আমাদের কথা বলার মাঝে এনাজ একটা অদ্ভুত কাজ করলো।ওর সামনে থাকা লোকগুলোকে ধাক্কা মেরে দৌড়ে আমার কাছে চলে এলো।তারপর কিছুটা উবু হয়ে শক্ত করে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। আমি ওর কান্ডে হতবাক।

সাইমনঃ আরে তোরা তাকিয়ে দেখছিস কি?নিয়ে আয় ওকে।

সাইমন ওদের লোকদের উদ্দেশ্য করে কথাগুলো বললো।ততক্ষণে এনাজ আমাকে ছেড়ে দিয়েছে।ওর চোখ দুটো টলমল করছিলো। আমার কপালে আলতো করে ঠোঁট ছুঁয়ে দিলো।তারপর লোকেরা ওকে ধরার আগেই চোখের পানি আড়ালে মুছে নিজের জায়গায় ফিরে গেল।এনাজের এমন কান্ডে আমি স্তব্ধ হয়ে গেছি।

মোরশেদঃ অনেক অভিনয় হইছে। এবার খেলা শুরু হয়ে যাক।

মোরশেদ ওয়াসিম টেবিলের ওপর এক পায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো।কথাগুলো বলে গুটি গুটি পায়ে এনাজ ও তায়াং-এর দিকে এগুতে লাগলো।ওদের সামনে গিয়ে আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো।

মোরশেদঃ তা ভাবীজী,কাকে প্রথমে মারবো? আপনার প্রাণপ্রিয় ভাইকে নাকি স্বামীকে?

সাইমনঃ ওকে জিজ্ঞেস করার কি আছে? তোমার যাকে ইচ্ছে হয় মেরে দেও।মারাটাই বড় কথা।তাছাড়া ও বা কত বড় গুরুত্বপূর্ণ মানুষ যে ওর কাছ থেকে জেনে নিতে হবে?

মোরশেদঃ তুই শুধুই রাগছিস সাইমন।তার প্রিয়জন যেহেতু তাকেই তো জিজ্ঞেস করবো।

এতক্ষণ সাহস দেখালেও আমার এখন ভীষণ ভয় করছে।মোরশেদ এগিয়ে গিয়ে এনাজের কপাল বরাবর গান ঠেকালো।কিন্তু এনাজের চোখ, মুখে কোন ভয় নেই। সে জোরে চেচিয়ে বলে উঠলো।

—–আরে রোশান দেওয়ান যে!!!!

#চলবে

আজকে যদি কোন নেক্সট, নাইস,স্টিকার কমেন্ট না পেয়ে, গল্পের অালোকে গঠনমূলক মন্তব্য পাই। তাহলে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আরেকটা বোনাস পার্ট
দিবো🥱।নেক্সট,নাইস,স্টিকার কমেন্ট পেলে কিন্তু দিবো না বলে দিলাম।অবশ্যই গঠনমূলক মন্তব্য চাই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here