প্রজাপতির_রং🦋
Part_23
#Writer_NOVA
(নিচের কথাগুলো অবশ্যই সবাই পড়বেন)
এরিন সামনে থেকে সরতেই আমি সেই মানুষটাকে দেখতে পারলাম।তাকে দেখেই আমি অবাক।সেও যে আমাকে দেখে অবাক হয়েছে তা তার চোখ, মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আমি অবিশ্বাস্য চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছি। এ এখানে কি করছে??? এ কি আজ অফিসে যায়নি।মনে হয় তো গেছে। নয়তো অফিসের ড্রেসআপে থাকতো না।আমি স্পষ্ট সুরে বলে উঠলাম।
আমিঃ আরিয়ান আপনি?
এরিনঃ তুই একে চিনিস?
আমিঃ হ্যাঁ আমাদের কোম্পানির ওনারের ছোট ভাই। উনিও কোম্পানির ওনার। আরিয়ান আজওয়ার। কিন্তু তুই একে কি করে চিনিস?
এরিন মুচকি হাসলো।আমি ওর হাসির অর্থ বুঝতে না পেরে বিস্মিত চোখে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম।আরিয়ান এগিয়ে আসলো।
আরিয়ানঃ আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন?
আমিঃ আলাইকুমুস সালাম।আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আপনি?
আরিয়ানঃ জ্বি, আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
আমিঃ কি রে এরিন বললি না উনাকে চিনলি কিভাবে?
আরিয়ানঃ আমি বলছি।আসলে আমাদের বিয়ের কথাবার্তা চলছে। উনার সাথে সামনাসামনি কথা বলার প্রয়োজন ছিলো।একে অপরকে বিয়ের আগে জানাশোনার প্রয়োজন। তাই আমি আপনাদের বাসায় চলে এসেছি। কিছু মনে করেননি তো?
আমিঃ আরে না কি মনে করবো? এরিন তো আমাদের কিছুই বলেনি।তাই এরকম পরিস্থিতিতে পরতে হলো।
এরিনঃ আমি তোদের বলতে চেয়েছিলাম।কিন্তু আরিয়ান বললো একেবারে বাসায় এসে সবাইকে সারপ্রাইজ দিবে।তাই আমিও কিছু বলেনি।কিন্তু আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়েছি।কিন্তু তোরা বুঝতে পারিস না।তাছাড়া তুই সারাদিন অফিস, শো করে এসে টায়ার্ড হয়ে যাস।ফ্রেশ হয়ে নাভানকে খাইয়ে ঘুমিয়ে পরিস।তোকে তখন কিছু বলতে ইচ্ছে করে না।সারাদিনের ক্লান্ত মানুষটাকে বকবক করে বিরক্ত করতে আমার ইচ্ছে হয় না।
এরিনের ওপর প্রথম প্রথম একটু রাগ হলেও এখন আর নেই। ও তো ভুল বলেনি।সারাদিন অফিস, শো করে কার ভালো লাগে আবার বকবক শুনতে। আমি মুচকি হেসে এরিনকে জড়িয়ে ধরলাম।
আমিঃ শুভকামনা নতুন জীবনের জন্য। আমি সত্যি অনেক বড় সারপ্রাইজ পেয়েছি।
আরিয়ানঃ বিয়েটা কিন্তু আপনার ও আমার ভাইয়ার দেওয়া ডেটেই হবে।প্লিজ জলদী বিয়ের ডেট ফেলেন।বউ ছাড়া আর কত দিন থাকবো🥺।
আরিয়ানের কথা শুনে উচ্চস্বরেই হেসে উঠলাম।এরিন আরিয়ানের হাতে একটা চাপর মেরে লজ্জারাঙা মুখ করে বললো।
এরিনঃ যা: এভাবে বলে কেউ।
আমিঃ এরিন লজ্জা পেয়েছে। ওকে লজ্জা পেলে কিন্তু অনেক সুন্দর লাগে।গাল দুটো পিচ ফলের কালারের মতো রক্তিম হয়ে যায়।
আরিয়ানঃ একদম ঠিক বলছেন।তখন আমার কিন্তু জোড়ে একটা কামড় মারতে ইচ্ছে করে।
এরিনঃ চুপ করবেন।নোভা যে সামনে আছে সেটা কি চোখে দেখছেন?
আরিয়ানঃ উনি এসব বহু আগের থেকে জানে।তার দুই বছরের একটা ছেলে আছে।ছেলেটা নিশ্চয়ই অনলাইন থেকে অর্ডার করেনি।তাই না ভাবী
সাহেবা😉?? আমি কি কিছু ভুল বলেছি?
আরিয়ানের কথায় আমি মিটমিট করে হাসছিলাম।এই ছেলে এখন আমাকে ও এরিন দুজনকেই লজ্জা দিচ্ছে। তবে ভাবী সাহেবা ডাকটা শুনে আমি চোখ দুটো বড় বড় করে আরিয়ানের দিকে তাকালাম।
আমিঃ ভাবী সাহেবা কে?
আরিয়ানঃ আপনি।
আরিয়ানের সহজ সরল উত্তর শুনে আমি ও এরিন দুজনেই অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছি।আরিয়ান কি তাহলে জানে তাজের বউ আমি!!!!
এরিনঃ নোভা আপনার ভাবী কি করে হলো?
আরিয়ানঃ আমি এখন বানিয়ে নিলাম।আরে আরে তোমরা দুজন এতো সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছো কেন? আমি তো এমনি বললাম।নাভানের চাচ্চু আমি।তাহলে তো নোভা আপু আমার ভাবীই হবে।আমি তার হাসবেন্ডকে ভাই ডেকে নিলাম।ব্যাস হিসাব বরাবর।
এর ভাবী বলার যুক্তি শুনে আমি থ মেরে আছি।কি সুন্দর যুক্তি।সে হাত বাড়িয়ে আমার থেকে নাভানকে কোলে তুলে নিলো।
আরিয়ানঃ চাচ্চুটা কি করছে? চাচ্চু কি কিছু খেয়েছে? নাকি এমনি টো টো করে ঘুরছে।
আমি মুগ্ধ চোখে ওদের দিকে তাকিয়ে রইলাম।এনাম থাকলে হয়তো এমনি নাভানকে আদর করতো।যেদিন জানতে পেরেছিল আমি প্রেগন্যান্ট সেদিন সারা বাড়ি দুই ভাই মাথায় তুলে ফেলেছিলো।কে জানে কোথায় আছে ছেলেটা। আদো বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে। তবে আমি চাই আল্লাহ ওকে বাচিয়ে ও ভালো রাখুক।শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে এনামের কথা ভাবছিলাম।আরিয়ান আমার চোখের সামনে তুড়ি বাজিয়ে বললো।
আরিয়ানঃ কোথায় চলে গেলেন ভাবী সাহেবা?
আমিঃ কোথাও না তো।
আরিয়ানঃ কত কিছু বললাম।কিন্তু আমার তো মনে হলে আপনি কিছুই শুনেননি।হুটহাট কোথায় চলে যান ভাবী সাহেবা? এক মিনিট,, আমি বারবার ভাবী সাহেবা বলছি বলে আবার রাগ করছেন না তো?
আমিঃ আরে না রাগ করবো কেন? বরং খুশি হয়েছি।অনেক দিন পর কেউ ভাবী বলে ডাকলো।এরিন কোথায়? ও তো এখানেই ছিলো।
আরিয়ানঃ ও তো মাত্রই বাইরে গেলো আপনার সামনে দিয়ে। আপনি দেখেননি?
আমিঃ হয়তো খেয়াল করিনি।
আরিয়ানঃ তা করবেন কি করে আপনি তো মহাকাশে ছিলেন ভাবী সাহেবা। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলবেন।বসুন প্লিজ।
আমিঃ না বসে লাভ হবে না। নাভানকে গোসল করাতে হবে। তারপর কিচেনে যেতে হবে। আপনি বিশ্রাম নিন।আমি আসছি।
আরিয়ানের কোল থেকে নাভানকে নিয়ে নিজের রুমে চলে এলাম।সবাই কে এখন রহস্যময় মনে হয়। আরিয়ানকেও রহস্যময় মনে হচ্ছে।কারণ নাভানকে ওর কোলের থেকে আনার সময় ওর মুখে অদ্ভুত রকমের একটা রহস্যময়ী হাসি দেখেছি আমি।কি জানি কিসের ছিলো ঐ হাসি।তাছাড়া হঠাৎ ও এখানে কেন এলো? এরিনের সাথে দেখা করতে, কথা বলতে চাইলে তো কফি শপেই এলেই পারতো।কিন্তু সোজা বাসায়।বিষয়টা একটু ভাবার। আপাতত এসব মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে নাভানকে গোসল করাতে ওয়াসরুমে ঢুকে গেলাম।
🦋🦋🦋
বিকেলের পড়ন্ত আলোটায় সারা ভুবনে ছড়িয়ে একটা মায়াবী আবেশ তৈরি করে রেখেছে। মিষ্টি রোদের আলোয় অন্যরকম ভালো লাগা সৃষ্টি হয়েছে। অফিস ছুটি হয়েছে মিনিট দশেক আগে। কিন্তু তাজ এখনো কেবিন থেকে বের হয়নি।সামনের কাচের দিকে তাকিয়ে বাইরের পরিবেশ উপভোগ করছে।এই মিষ্টি রোদটা তাজের বেশ লাগে।নেই কোন তেজ,নেই কোন অসহ্যকর গরমের অনুভূতি। বরং একরাশ ভালো লাগায় ঘেরা। সারাদিন বহু কাজের চাপ গিয়েছে।একটু দম নেওয়ার সময় ছিলো না।শেয়ার ব্যবসার জন্য অনুমোদন, চুক্তিপত্র,অবলেখক,ব্যাংক ঝামেলা করতে করতে সে পুরো টায়ার্ড।সারাদিনে নোভার একটু খোঁজও নিতে পারেনি।নিশ্চয়ই গাল ফুলিয়ে রেখেছে এখনো।মেয়েটা অনেক বেশি অভিমানী। এই কারণে তাজ ওকে বেশি পছন্দ করে। পূর্বের অনেক কথা ভেবে মিটমিট করে হাসছিলো তাজ।আদরের ডাকে ওর হুশ ফিরে।
আদরঃ স্যার, বাসায় যাবেন না?
তাজঃ হুম যাবো তো।
আদরঃ তাহলে চলুন একসাথে বের হই।
তাজঃ একটু পরে।তোমার ম্যাডাম কি বের হয়ে গেছে?
আদরঃ আসলে স্যার আপনাকে একটা কথা বলতে আমি একদম ভুলে গিয়েছিলাম।
তাজ চোখ দুটো ছোট ছোট করে আদরের দিকে তাকিয়ে রইলো। আদর জিহ্বায় কামড় দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আদর যে ওকে ভয় পাচ্ছে তা ভেবে মনে মনে হাসলো তাজ।তবে উপরে তা প্রকাশ করলো না। ছেলেটা শুধু শুধু ওকে ভয় পায়।আজ অব্দি কখনও তাজ ওর সাথে ধমক দিয়ে কথা বলা তো দূরে থাক জোরে চেচিয়েও কথা বলে নি।তারপরেও ওকে যে কেন এতো ভয় পায় তার লজিক খুঁজে পায় না তাজ।
তাজঃ কি কথা?
আদরঃ আসলে স্যার হয়েছে কি?(ভয়ে আমতা আমতা করে)
তাজঃ কি হয়েছে নির্ভয়ে বলতে পারো।
তাজের আশ্বাস শুনে আদর কিছুটা স্বাভাবিক হলো।তারপর কোন ভনিতা ছাড়া বলে উঠলো।
আদরঃ আসলে স্যার, ম্যাম সকালে চলে গেছেন।তার নাকি শরীরটা ভালো লাগছিলো না।আমাকে বলে চলে গেছে। আমি বলেছিলাম আপনার সাথে কথা বলতে।কিন্তু সে নাকি আপনার সামনে আসবে না। তাই আমাকে বলেছে।
তাজঃ ওহ্ এই ব্যাপার।(দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে)
আদরঃ আপনাদের মধ্যে কি কিছু হয়েছে?
তাজঃ আমাদের সম্পর্ক এখনো স্বাভাবিকই হয়নি আর কি হবে বলো?
আদরঃ ম্যামকে সব সত্যিটা বলে দিন।তাহলেই তো সব ভেজাল কেটে যায়।
তাজঃ হুম তাই করতে হবে।ও অনেক অভিমানী মেয়ে, আদর।সামান্য কিছুতে গাল ফুলিয়ে ফেলে।সেখানে আড়াই বছর ওর থেকে দূরে থেকেছি আমি।ওর অভিমান জমে পাহাড়ের আকার ধারণ করেছে। এই অভিমান সামান্য কিছুতে ভাঙ্গবে না।
আদরঃ যেভাবে পারেন ভেঙে ফেলেন স্যার।নয়তো সম্পর্কে দূরত্ব সৃষ্টি হবে।
তাজঃ দূরত্ব তো বহু আগেই সৃষ্টি হয়েছে। এখন আর নতুন করে কি সৃষ্টি হবে?
আদরঃ ম্যাম, আপনাকে অনেক ভালোবাসে স্যার।কিন্তু আপনার ওপর রাগ করে তা স্বীকার করে না।আপনাকে যদি সে ভালো না বাসতো তাহলে প্রথম দিন আপনাকে এক দেখায় চিনে ফেলতো না।
তাজঃ তা আমি জানি আদর।দেখি কি করা যায়।
আদর স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লো।যাক বাবা,তাজ রাগেনি।নোভা যে তাজের স্ত্রী তা বহু আগের থেকে জানে আদর।তাজের মানিব্যাগে নোভার ছবি দেখেছিলো একদিন।আরেকদিন তাজের কেবিনের টেবিলের ড্রয়ার ভর্তি নোভার ছবি দেখে বেশ অবাক হয়ে গিয়েছিল। ভয়ে ভয়ে তাজকে জিজ্ঞেস করেছিলো মেয়েটা কে? সেদিন তাজ ওর সব অতীত ওকে বলে দিয়েছিলো।তাজ, আদরকে অনেক বিশ্বাস করে। আর আদর সেই বিশ্বাসের মর্যাদাও রাখে।তারপর যেদিন চাকরীর CV চেক করেছিলো সেদিন আদর নোভার CV দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিল। তাজকে দেখাতে তাজের চোখ,মুখ কুঁচকে ফেললোও মুখে ছিলো বিশ্ব জয় করা হাসি।তাই তো আদর ইন্টারভিউয়ের দিন নোভার দিকে আলাদা কেয়ার ও নজর রেখেছে। তাছাড়া নোভা জয়েন হওয়ার পর সারাদিন নোভার ওপর খেয়াল সে রাখে।আর সারাদিনের আপডেট কিছু সময় পরপর তাজকে দেয়।আজকে শুধু কাজের চাপে ভুলে গিয়েছিল।
আদরঃ স্যার,চলেন।
তাজঃ তুমি চলে যাও আদর।আমার একটা ফাইল কমপ্লিট করা বাকি আছে। একটু দেরী হবে।
আদরঃ আমি আরেকটু সময় অপেক্ষা করবো?
তাজঃ না,তার দরকার নেই। তুমি দুপুরে কিছু খাওনি।জলদী করে বাসায় গিয়ে কিছু খেয়ে নেও।
আদরঃ আমার খিদে নেই স্যার।আমি আপনার সাথে থাকতে পারবো।
তাজ ভ্রু কুঁচকালো।ছেলেটা একদম ওর ভক্ত। ওকে এক মিনিটের জন্যও একা ছাড়তে চায় না।না চাইতেও আদরের প্রতি ভালোবাসাটা বেড়েই যাচ্ছে তাজের।ওর সবদিকে খেয়াল আদরের।তাজ ওকে ভাগাতে চাইলো।সকালে অল্প কিছু খেয়ে চলে এসেছে। দুপুরেও খায়নি।এভাবে তো আদর অসুস্থ হয়ে যাবে। তাই একটু রাগী স্বরে তাজ বললো।
তাজঃ আমি চলে যেতে পারবো আদর।তুমি বাসায় চলে যাও।যদি এখন আমার সাথে থাকতে চাও তাহলে কাল থেকে অফিসে আসার দরকার নেই।
তাজের কথায় কাজ হলো।ওর কথায় আদর ভয় পেয়ে গেলো।সে তো চাকরিটা হারাতে চায় না।মুখ গোমড়া করে বললো।
আদরঃ আচ্ছা স্যার, আমি চলে যাচ্ছি। তবে আপনি বেশি দেরী করবেন না।জলদী বাসায় চলে যাবেন।আপনি তো আবার কাজে ডুবে গেলে অন্য কিছুর ধ্যান থাকে না।
কথা শেষ করে আদর দ্রুত পায়ে কেবিন থেকে বের হয়ে গেলো। তাজ মুচকি হেসে চেয়ার টেনে ফাইল নিয়ে বসে পরলো।আদর একটু বেশি কাজপাগল ছেলে।আর তাজ তো ওর সবকিছু।
তবে আদরের কথাই সঠিক হলো কাজ করতে করতে কখন যে পশ্চিম দিগন্তে সূর্য ডুবে গেছে সেদিকে খেয়াল নেই তাজের।কাজ করতে আজ কেন জানি ভালো লাগছিলো।তাই অনেকগুলো ফাইল কমপ্লিট করে ফেলেছে। মাগরীবের আজানের সুর না শুনলে তাজের হুশ ফিরতো না।হাতে থাকা এ্যাশ কালার চামড়ার ওয়াচের দিকে তাকিয়ে আৎকে উঠলো।
তাজঃ আল্লাহ, এতো সময় চলে গেল কিভাবে?এই জন্য আদর আমাকে বারবার সাবধান করেছিলো।আমি কাজে ডুব দিলে অন্য দিকে খেয়াল দেই না।এখন উঠতে হবে।আর থাকা চলবে না।
পুরো অফিসের সব কিছু চেক করে লিফটের সামনে এসে দাঁড়ালো। পিয়নও যে ওকে বলে চলে গেছে তখনও ওর খেয়াল ছিলো না।কাজের মধ্যে ডুবে থেকে সে নিজেই পিয়নকে চলে যেতে বলেছে।সবকিছু আবারো চেক দিয়ে এসেছে। লিফটে ঢুকে বাটন টিপে চুপ করে দাঁড়ালো। লিফট থামলো নিচের ফ্লোরে এসে।শব্দ করে লিফটের দরজা খুলে গেল।তাজ বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।তখুনি তাজ কিছু বুঝে উঠার আগে এক জোড়া হাত এসে তাজের গলা শক্ত করে চেপে ধরলো।
#চলবে
গল্পটা কি আপনাদের ভালো লাগছে না? ভালো না লাগলে তাও তো জানাবেন। আপনাদের ভালো না লাগলে বলেন আমি শেষ করে দেই। কিন্তু আপনারা তো কিছুই বলছেন না।নেক্সট, নাইস দেখতে দেখতে বিরক্ত আমি।আজকে যদি নেক্সট, নাইস পাই তাহলে সত্যি আমি আগামী দুই দিন গল্প দিবো না। আর দুই /এক পর্বে গল্প শেষ করে দিবো।আর আপনাদের প্রিয় চরিত্রের মধ্যে একজনকে আমি অবশ্যই মেরে ফেলে, সেড এন্ডিং দিয়ে দিবো।দেখি কি করেন আপনারা?আজকে শুধু নেক্সট, নাইস কমেন্ট করেন।তারপর দেখবেন আমি কি করি।সত্যি আমি দুই দিন গল্প দিবো না। তারপর যেদিন গল্প পাবেন, দেখবেন গল্পের শেষ পর্ব আর সেড এন্ডিং।