বিবর্ণ- ৮ম(শেষ পর্ব)
#লেখনীতে_শাহরিয়ার
অনলাইনে এতো এতো অর্ডার আসতে শুরু করলো যে একার পক্ষে আর সামলে উঠতে পারছিলাম না। তাই সহযোগিতা করার জন্য দু’জন মেয়েকে আমার সাথে নিলাম। তবে আমার এগিয়ে যাওয়া দিন গুলোতেও মানুষজন আমার বিরুদ্ধে নানান রকম কথা রটানো থেকে থেমে রয়নি। তবে আমিও দমে যাইনি, পরিবার আর জাহাঙ্গীরের সহযোগিতায় আমি খুব সহজেই নিজের লক্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। খুব ব্যস্ত হয়ে পরলাম নিজের কাজ নিয়ে। ইদানিং বাবাকেও বেশ ফুরফুরে মেজাজে ঘুরতে দেখে ভীষণ ভালো লাগে। জাহাঙ্গীর এখন মাঝে মাঝেই আমাদের বাসাতে বেড়াতে আসে। মায়ের সাথে আর রুমনের সাথে গল্পে মজে উঠে। মাঝে মাঝেই আমাকে নানান রকম আইডিয়া দিয়ে আমার ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে চলছে জাহাঙ্গীর। এভাবেই আরও ছয় মাস কেটে গেলো।
এখন আর পাড়াপ্রতিবেশীরা আগের মত আমাকে নিয়ে কানাঘুষা করে না। বরং তাদের মাঝে অনেকে এখন আমার এখানে এসে কিভাবে নিজেরা উদ্যোগী হয়ে সংসারে একটা অতিরিক্ত ইনকামের ব্যবস্থা করা যায় তার পরামর্শ চায়। মাঝে মাঝে আমি তাদের এমন আচরনে একা একাই হাসি। সত্যিই পৃথিবীটা একদম অন্যরকম যখন আপনি দূর্বল তখন বাকিরা আপনাকে চেপে ধরবে। আর যখন আপনি সবল তখন বাকিরা আপনাকে সম্মান দিয়ে চলতে বাধ্য হবে। এই নয় মাসে আমরা ব্যবসা শুধু অনলাইনের মাঝেই সীমাবদ্ধ নেই। ছোট খাটো একটা ক্যাটারিং সার্ভিস চালু করলাম। যেখান থেকে শহরের অনেক বড় বড় অফিসে আমার খাবার পৌঁছে যায়। সেই সাথে প্রতি সপ্তাহে একদিন করে আমি আর জাহাঙ্গীর মিলে শহরের বিভিন্ন এলাকার বস্তি গুলো ঘুরে ঘুরে ছোট ছোট ছেলে মেয়ে আর গরীব অসহায়দের মাঝে এক বেলার খাবার তুলে দেই।
আমার দেখাদেখি অনেক ছেলে মেয়ে এগিয়ে আসতে শুরু করলো। উদ্যোগী হবার জন্য। সেই সাথে গরীব অসহায় শিশুদের জন্য সকলের উদ্যোগে তৈরি হলো বেশ কয়েকটা পাঠশালা। বেশ। কয়েকটি এলাকায় শুরু হলো এই পাঠশালার কাজ। যারা যারা নিজেদের এলাকা থেকে পথ শিশুদের লেখাপড়া শিখানোর দায়িত্ব নিলো।
এতো এতো আয়োজনের শেষেও ঠিকই আমার আর জাহাঙ্গীরের রাত জেগে গল্প করাটা থেমে নেই। আমি বেশ করে বুঝতে পারছি নিজের অজান্তেই আমি জাহাঙ্গীরকে ভালোবেসে ফেলেছি যা আমার সব চেয়ে বড় ভুল। কেননা জাহাঙ্গীর হয়তো কোন দিনও আমাকে ভালোবাসবে না। আমি বিবাহিত ডিভোর্সি জাহাঙ্গীর আমাকে ভালো বন্ধু মনে করে। জীবনটা কেমন বিবর্ণ মনে হচ্ছে আবারও নিজের কাছে। সব প্রাপ্তির শেষেও জেনো কিছু একটার অপ্রাপ্তি প্রতিনিয়ত আমাকে একাকি করে দিচ্ছে। কখনো কখনো খুব ইচ্ছে বরে জাহাঙ্গীরের হাতটা চেপে ধরি। তার বুকে মুখটা লুকিয়ে বলি আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি। তোমার জীবনে কি আমার জন্য একটু জায়গা হবে? কিন্তু সাহস করে উঠতে পারি না যদি শেষে আমাদের ভালো বন্ধুত্বটা নষ্ট হয়ে যায়।
ফোনের রিংটোনটা বেজে উঠলো, রিসিভ করতেই জাহাঙ্গীর বলে উঠলো, কি ঘুমিয়ে পরেছেন?
না কেন?
জাহাঙ্গীর: আজ ছাদে আসলেন না, সারাদিন কোন ফোনও দিলেন না। আজ খুব সুন্দর জ্যোৎস্না উঠেছে ছাদে আসবেন?
না আজ ছাদে আসবো না। চলুন না আজ একটু বাহিরে হেঁটে আসি। নিয়নের আলোয় এই রাতটা কাটিয়ে দেই।
জাহাঙ্গীর: মাথা ঠিক আছে? এতো রাতে রাস্তায় হাঁটবেন?
হুম খুব ইচ্ছে করছে, আমার সাথে হাঁটতে কি আপনার ভয় লাগবে? লোকে যদি কিছু বলে সেই ভয়ে।
জাহাঙ্গীর: আমি ভয় পাবো কেন? ভয়তো আপনি পান। আসলে বাহিরে ভালো ঠান্ডা পরেছে তাই বলছিলাম।
কিছু হবে না আমি প্রস্তুতি নিয়ে বের হচ্ছি আপনি বের হয়ে আসুন।
জাহাঙ্গীর: বেশতো আসুন তাহলে।
বলে জাহাঙ্গীর ফোন কেটে দিলো। আমি রেডি হয়ে বের হলাম। জাহাঙ্গীর বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। আশে পাশে তেমন কোন লোকজন বা দোকানপাট ও খোলা নেই। ভালোই শীত পরেছে। তাই এই মুহুর্তে বেশীর ভাগ মানুষ ঘুমিয়ে পরেছে। হঠাৎ হঠাৎ দ্রুত গতিতে গাড়ি এগিয়ে চলছে নিজের গন্তব্যের দিকে। জাহাঙ্গীর আর আমি হেঁটে চলছি নিয়ন বাতির নিচ দিয়ে। বহুবার এভাবে পাশাপাশি হেঁটেছি কিন্তু কখনো সাহস হয়ে উঠেনি জাহাঙ্গীরের হাতে হাত রেখে হাঁটার। অথচ তার পরেও মানুষটাকে আমার কত বেশী আপন মনে হয়।
জাহাঙ্গীর: কি ব্যাপার চুপ করে আসেন কেন?
না এমনি কি বলবো আসলে ভেবে পাইনা।
জাহাঙ্গীর: হাসতে হাসতে আমার খুব ঠান্ডা লাগছে। ভালোই কোঁয়াশা পরেছে।
আমি শরীর থেকে চাদরটা খুলে জাহাঙ্গীরের দিকে বাড়িয়ে দিলাম।
জাহাঙ্গীর: আরে আরে কি করছেন ঠান্ডা লেগে যাবে।
সমস্যা নেই আমার অভ্যাস আছে কিছু হবে না।
জাহাঙ্গীর: না আমি নিতে পারছি না। আমি চাই না আপনি আমার সামনে কোন প্রকার কষ্ট পান। তাছাড়া মানুষজন হেঁটে যেতে যেতে আপনার দিবে বড় বড় চোখ করে তাকাবে তা আমি মেনে নিতে পারবো না।
আরে কষ্ট পাবো কেন? আর মানুষজনই কেন আমার দিকে বড় বড় চোখ করে তাকাবে?
জাহাঙ্গীর: কারণ আপনি জামার উপর ওড়না পরেন নাই। যা তাদের মনের খোরাক যোগানের জন্য যথেষ্ট হবে।
জাহাঙ্গীরের কথায় আমি বেশ লজ্জা পেয়ে গেলাম। সত্যিই আমি ওড়না নিতে ভুলে গিয়েছিলাম। সাথে সাথেই চাদরটা দেহের সাথে জড়িয়ে নিলাম। এতো রাতে মানুষ কোথায় পাবেন?
জাহাঙ্গীর: হুট করে যে কেউ চলে আসতে পারে।
মাথাটা নিচু করে আসলে কি হবে?
জাহাঙ্গীর: কিছু না চলুন ফিরে যাই, বাতাস হচ্ছে খুব।
থাকি না আরও কিছু সময়।
জাহাঙ্গীর: না চলুনতো, বলেই ঘুরতে আমি তার হাত টেনে ধরলাম। জাহাঙ্গীর অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালো। আমার এমন ব্যবহারের সাথে জাহাঙ্গীর পরিচিত নয়।
আপনার সাথে আমার কিছু কথা আছে।
জাহাঙ্গীর: কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলুন।
জাহাঙ্গীরের চোখে মুখে বিস্ময়ের যেনো শেষ নেই। কিন্তু আমি যে আজ সব কিছু শেষ করে দিতে এসেছি।
জাহাঙ্গীর: বলুন।
এভাবে না আমরা পাশাপাশি হাঁটতে হাঁটতে বলবো।
জাহাঙ্গীর: আপনাকে এই মুহুর্তে আমার সম্পূর্ণ অচেনা লাগছে। খুবি ভয়ংকর মনে হচ্ছে। চলুন ফিরে যাই। অন্য সময় না হয় আপনার কথা শুনবো।
আমি আরও শক্ত করে জাহাঙ্গীরের হাত জড়িয়ে ধরে না আজই শুনতে হবে। ভয় পাবার কিছু নেই।
জাহাঙ্গীর: বেশতো চলুন।
খুব ধীর গতিতে এগিয়ে চলছি আমরা দু’জন। কিছুটা নিরবতা দু’জনের মাঝে, বেশ কিছুটা পথ হেঁটে এসে জাহাঙ্গীরের সামনা সামনি দাঁড়িয়ে আমি যে কথা গুলো বলবো শুনতে হয়তো অদ্ভুত লাগতে পারে। কিংবা আজকের আমার ব্যবহার হয়তো আপনার কাছে অনেক বেশী খারাপ লাগতে পারে। কিন্তু এটাই সত্যি আমি অনেক দিন ধরেই নিজের সাথে লড়াই করে চলেছি। কি করে কেমন করে কথা গুলো বলবো। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে ততই মনে হচ্ছে আমি দেরি করে ফেলছি। আমার বলে দেয়া উচিৎ।
জাহাঙ্গীর: আমি আপনার কথার কিছুই বুঝতে পারছি না।
আমরা কি একটু বসতে পারি?
জাহাঙ্গীর: হুম,
তবে চলুন ঐ ল্যাম্পপোষ্টের নিচে বসবো। বলেই জাহাঙ্গীরের হাত ধরে চলে আসলাম। আমি নিজেকেই নিজে বিশ্বাস করতে পারছি না। কি করে আমার মাঝে এতো সাহস আসলো। জাহাঙ্গীর কাঁপছে হয়তো ভয়ে নয়তো ঠান্ডায়। আমি এক হাতে আমার গায়ের চাদরটা জাহাঙ্গীরের শরীরে জড়িয়ে দিলাম। জাহাঙ্গীর ভয়ে দু’চোখ বন্ধ করে নিয়েছে। নয়তো এই মুহুর্তে সে আমাকে ঘৃণা করছে। যাই হোক আপাতত তাতে আমার কিছুই যায় আসে না। আমি ওর মুখোমুখি বসে, আমার মনে হয় আমি আপানাকে ভালোবেসে ফেলেছি। জানি এটা অন্যায় তবে এটাই সত্যি।
জাহাঙ্গীরের মুখ দিয়ে কোন শব্দ বের হচ্ছে না। আমি নিজেই হেসে দিয়ে আবার বলতে শুরু করলাম। খুব অবাক হচ্ছেন, হয়তো আজকের পর আমাদের ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্কটাও থাকবে না। একজন ডিভোর্সি মেয়ে হয়েও আপনাকে প্রপোজ করছি। আসলে আমি হয়তো কোনদিনও এমনটা পারতাম না, যদি না আপনি এতো দিন পর্যন্ত আমাকে সাহস যোগাতেন। জাহাঙ্গীরের মুখ থেকে কোন কথা বের হচ্ছে না। হলুদ বাতির আলোয় ওর চোখ দু’টো খুবি মায়াবী লাগছে আমি জানি আজকের পর থেকে হয়তো আর কোন দিন আমাদের কথা হবে না দেখা হবে না।
আমি জাহাঙ্গীরকে জড়িয়ে ধরলাম। ঠোঁটটা নিয়ে আসলাম জাহাঙ্গীরের ঠোঁটের উপর। চোখ দু’টোতে পানি টলমল করছে। হয়তো যে কোন মুহুর্তে পানি পরতে শুরু করবে। একটা সময় ধাক্কা দিয়ে জাহাঙ্গীরকে দূরে সরিয়ে উঠে দাঁড়ালাম। জাহাঙ্গীর তখনে নির্বাক। আমি আর কোন কথা না বলে কিছুটা দৌড়ের মত ছুটে চললাম বাড়ির পথে। দ্বিতীয় বার জাহাঙ্গীরের দিকে তাকাবার মত সাহস আমার হলো না। আমি জানি যা হয়েছে যা করেছি সবই আমার ভুল।
বাসায় নিজের রুমে ঢুকে দরজাটা লাগিয়ে দু’চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারলাম না। কি থেকে কি করে ফেলেছি। জাহাঙ্গীরের প্রতি ভালোবাসা আমাকে পাগল বানিয়ে ফেলেছে। তাইতো তার থেকে দূরত্ব সৃষ্টির জন্য। তার কাছে নিজেকে ঘৃণিত প্রমাণ করা আর কিছুই নয়।
দেখতে দেখতে সাতটা দিন কেটে গেলো। জাহাঙ্গীর এর ভিতর আমার সাথে কোন রকম যোগাযোগ করেনি। আমি অনেক বার কল দিতে যেয়েও দেইনি। সব কিছু এলো মেলো লাগছে। মনে হচ্ছে জীবন থেকে সব কিছু শেষ হয়ে গিয়েছে। কোন কিছুই আর ভালো লাগছে না। এই কয়েকদিন ঠিকমত ঘুম হয়নি। চোখের নিচে আবারও কালো দাগ পরতে শুরু করেছে। মা অনেক বার প্রশ্ন করেছে কি হয়েছে আমার। আমি কোন উত্তর দিতে পারিনি। খুব ইচ্ছে করে ছাদে যেতে জাহাঙ্গীর কি করছে দেখার জন্য। কিন্তু সাহস করে উঠতে পারিনা আর ওর সামনে যাবার।
সন্ধ্যার পর কলিং বেলটা বেজে উঠতে যেয়ে দরজা খুলে দিতেই অপরিচিত একজন মহিলা আর একজন পুরুষ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে। আমি ভিতরে আসতে বলতেই তারা ভিতরে ঢুকলো।
সোফায় বসতে বসতে মহিলাটা বলে উঠলো তোমার নাম রত্না তাই না?
জ্বি কিন্তু আপনারা কারা ঠিক চিনতে পারলাম না। এর ভিতর মা চলে আসলো।
আমি জাহাঙ্গীরের বড় বোন আর উনি জাহাঙ্গীরের দুলা ভাই।
আমি অবাক হয়ে উনাদের দিকে তাকালাম।
দুলাভাই: মাকে উদ্দেশ্য করে আন্টি আমাদের কিছু কথা ছিলো।
মা: জ্বি বলো বাবা কি বলবে।
দুলাভাই: আসলে আমরা এসেছি জাহাঙ্গীর আর রত্নার বিষয়ে কথা বলার জন্য। আসলে ওরা দু’জন দু’জনকে খুব ভালোবাসে তাই ওদের বিয়ের বিষয়ে আলাপ করতে চাচ্ছিলাম।
মা: অবাক হয়ে কিন্তু জাহাঙ্গীর কি তোমাদের কিছু বলেছে?
আপু: জ্বি আন্টি আমরা সব জেনে শুনেই এসেছি।
আমি নির্বাক হয়ে গেলাম। রাতে খাবার টেবিলে বসে উনারা বাবার সাথে কথা বলছে এর ভিতর কলিং বেলটা বেজে উঠেছে। আমি যেয়ে দরজা খুলতেই নীল পাঞ্জাবী পরে জাহাঙ্গীর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে। আমি নির্বাক চোখে ওর দিকে চেয়ে রয়েছি।
জাহাঙ্গীর: ভিতরে আসতে বলবেন না?
আমি সরে যেতেই জাহাঙ্গীর ভিতরে চলে আসলো।
মা বাবা খুব খুশি হয়ে তাদের প্রস্তাবে রাজী হয়ে গেলো। পরের শুক্রবার আমাদের বিয়ের দিন ঠিক হলো পারিবারিক ভাবেই। অতিরিক্ত কোন আয়োজন হবে না।
জাহাঙ্গীর আমার হাত ধরে ছাদে চলুন।
দু’জন হেঁটে ছাদে চলে আসলাম। আমার মুখে কোন কথা নেই। জাহাঙ্গীর শক্ত করে হাত ধরে টান দিয়ে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়ে। খুবতো সাহসী হয়েছো। তবে এই সাত দিন কেন দেখা করোনি।
আমি কিছু বলতে পারছিলাম না। সমস্ত শরীর কাঁপছে। না ঠান্ডায় নয় ভয়ে কাঁপছে আজ আমার সমস্ত শরীর। মনে হচ্ছে সব কিছুই আমার কল্পনা।
জাহাঙ্গীর: আমিও যে তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি বহুদিন আগে কিন্তু ভয়ে বলতে পারিনি যদি শেষে বন্ধুত্বটা নষ্ট হয়ে যায়।
তবে আপনি কেন এই কয়দিন যোগাযোগ করেন নি?
আপু দুলাভাইকে সব খুলে বললাম তোমার কথা। আর তোমাকে সারপ্রাইজ দিবো বলে।
আমি শক্ত করে জাহাঙ্গীরকে জড়িয়ে ধরলাম। চোখ থেকে টপটপ পানি পরছে। আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ উঠেছে। জাহাঙ্গীর আমার চোখের পানি মুছে দিয়ে। আমাকে জড়িয়ে ধরে ভালোবাসি খুব ভালোবাসি। জীবনের বাকি পূর্নিমা রাত গুলো আমি তোমার সাথে কাটাতে চাই। তুমি কি সঙ্গী হবে আমার?
আমি মাথা নেড়ে হ্যাঁ সূচক বুঝালাম। জাহাঙ্গীর আমার কপালে আলতো করে ভালোবাসার পরশ একে দিলো।
#সমাপ্ত।