#হ্যাকার
লেখকঃ আবির খান।
পর্বঃ ০২
স্যারকে ধন্যবাদ দিয়ে আবির সোজা গিয়ে মায়ার পাশে বসে পড়ে। যেখানে ক্লাসের একটা ছেলে সাহস পায় না ওর সাথে কথা বলার সেখানে আবির ডিরেক্ট মায়ার পাশে গিয়ে বসে পড়ে। পুরো ক্লাস “থ” হয়ে আছে। মায়া আর মায়ার ফ্রেন্ডরাও। তবে মায়া সবচেয়ে বেশি আশ্চর্য। ওর বার বার কেন জানি মনে হচ্ছে ও আবিরকে কোথায় যেন দেখেছে। কিন্তু কোথায়? সেটাই ওর মনে পড়ছে না ওর। এরপর যথারীতি ক্লাস চলতে থাকে। অন্যদিকে শুভ আড় চোখে আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে। রাগী ভাবে নয় সাধারণ ভাবেই। কারণ ও জানে ক্লাসটা শেষ হলেই আবিরকে ওখান থেকে উঠতে হবেই। মায়া কখনো আবিরের সাথে বসবে না। মায়া যদি কোন দিন কারো সাথে বসে সেটা হবে ও। শুভ মনে মনে এসব ভাবছিল।
এদিকে মায়া ক্লাস চলাকালীন সময়ে বার বার আবিরের দিকে আড় চোখে তাকাচ্ছিল। কেমন জানি কঠিন একটা মুখ করে আছে আবির। মায়ার কেমন জানি একটা অদ্ভুত ফিল হচ্ছিল। আবির একটি বারও ওর দিকে তাকালো না। মায়া ভেবেছে, ও দেখতে সুন্দরী দেখে আবির লাইন মারার জন্য ওর পাশে বসেছে। কিন্তু তা না, উল্টো ওই আবিরের বদলে বারবার ওর দিকে তাকাচ্ছে। যার জন্য ওর মেজাজটা খুব খারাপ হচ্ছিল। আবির সেই আগের মতোই স্যারের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মায়ার প্রচন্ড বিরক্ত হচ্ছিল। সত্যি বলতে, ও শুধু চাচ্ছিল আবির একবার ওর দিকে তাকাক আর ও এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে আবিরকে সায়েস্তা করবে। কিন্তু সুযোগটা বেচারি পেল না৷ তবে সমস্যা নেই, ওর গার্লস গ্রুপ আছে না, তাদের দিয়ে আবিরের বারোটা না তেরোটা বাজাবে আজ। কত্তো বড়ো সাহস ওর পাশে এসে বসেছে৷ মায়া মনে মনে এসব ভাবছিল। এখন শুধু অপেক্ষা ক্লাসটা শেষ হওয়ার।
টানা দেড় ঘণ্টা পর ক্লাসটা শেষমেশ শেষ হয়। প্রফেসর চলে গেলে সবার মাঝে একটা অন্যরকম উত্তেজনা দেখা যায়। সেটা আর কাউকে নিয়ে নয়, সেটা আবিরকে নিয়েই। কারণ সবাই ভাবছে এখন আবিরের কপালে শনি সোম বুধ সব ভেঙে পড়বে৷ সবাই শুধু অপেক্ষা করছে৷ মায়া ক্লাসটা শেষ হওয়া মাত্রই উঠে দাঁড়ায়। একবার আবিরের দিকে তাকিয়ে আবার ওর গ্রুপের দিকে তাকিয়ে সবাইকে একসাথে হওয়ার জন্য ইশারা দেয়। সবাই ইশারা পেয়ে আবিরের সামনে এসে গোল হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু মজার বিষয় হলো, ওরা যেন এটাই চাচ্ছিল। সবার চোখে মুখে কোন রাগের চাপ নেই। আসলে সবার আবিরকে দেখে খুব পছন্দ হয়েছে। তবে সেটা মনে মনেই আছে কেউ কাউকে বলছে না। এবার মায়া আবিরের সামনে এসে দাঁড়ায়। ওকে খুব রাগী দেখাচ্ছে। আবির চুপচাপ বসে আছে। একবার বাকি মেয়েদের দিকে চোখ বুলিয়ে এই প্রথম বারের মতো মায়ার চোখের দিকে ও তাকায়। মায়া আবিরের তাকানো দেখে একটু ঘাবড়ে যায়। কিন্তু ওর পিছনে বেকাপ আছে বলে ও আর ভয় পায় না। বেশ সাহস নিয়ে কিছু বলতে যাবে ওমনি আবিরই বলে উঠে,
আবিরঃ তোমার নাম মায়া তাই না? তুমি ক্লাসের ছেলে মেয়েদের র্যাগ দেও তোমার এই গার্লস গ্রুপ নিয়ে। দাঁড়াও তোমাকে পুলিশে ধরিয়ে দিব। এইসব ইলিগ্যাল কাজ করো তোমরা ইউনিভার্সিটিতে উঠে! দাঁড়াও ডিনকেও জানাচ্ছি ব্যাপারটা।
বলেই আবির যেই ফোনটা পকেট থেকে বের করতে নেয় ওমনি ওর গ্রুপের মেয়েরা ভয়ে ক্লাসের বাইরে চলে যায়। মায়া অসহায়ের মতো একা দাঁড়িয়ে আছে। আবির এবার মায়ার দিয়ে তাকিয়ে ফোন দেখিয়ে বলে,
আবিরঃ কি কল দিব নাকি?
মায়া অসম্ভব লজ্জা পেয়ে ওখান থেকে বের হয়ে যায়। ও কল্পনাও করতে পারেনি আবির এভাবে ব্যাক ফায়ার করবে ওকে। ও হতভম্ব হয়ে চলে আসে। এদিকে ইতিহাসে প্রথম ব্যাক্তি আবির যে মায়ার র্যাগ থেকে বেঁচে উলটা মায়াকেই র্যাগ দিয়ে দিয়েছে। সবাই বেশ অবাক হয়ে হাসতে হাসতে আবিরের কাছে এসে বলে,
— ওয়াও ম্যান, তুমি কিভাবে এটা করলে ব্রো? যা আমরা এতদিন পারিনি তুমি কিভাবে পারলে? মায়ার র্যাগ থেকে বাঁচা ইম্পসিবল ছিল। তুমি তো ওকে না শুধু ওর পুরো গ্রুপকেই সায়েস্তা করে দিলে। ব্রো আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি?
আবিরঃ সিউর।
অন্যদিকে নেহালদের গ্রুপের সবাই আশ্চর্য হয়ে আছে। বিশেষ করে শুভ। ও ভাবতেই পারছে না, মায়া আবিরের সামনে হেরে যাবে৷ ঘটনার মোড় যে এভাবে ঘুরে যাবে শুভ ভাবতেই পারে নি। নেহাল আর রনি বলে উঠে,
নেহালঃ দোস্ত আবিরকে আমি আমাদের গ্রুপে জয়েন করাতে চাচ্ছি। বেটায় সেই একটা খেলা দেখিয়ে দিল। ও আমাদের গ্রুপে থাকলে মজাই হবে৷ কি বলিস তোরা?
রনিঃ আমিও তাই ভাবতে ছিলাম। শুভ আর তোমরা কি বলো?
নিলাঃ হুম খুব ভালো হয়।
ঈশাঃ হ্যাঁ আমিও একমত।
নেহালঃ কিরে শুভ তুই কিছু বলছিস না কেন?
শুভ কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে,
শুভঃ হ্যাঁ হ্যাঁ চল। আবিরকে আমাদের গ্রুপে এড করি। ভালোই হবে অনেক।
— হ্যাঁ চল। (বাকিরা)
নেহাল, রনি, শুভ, নিলা আর ঈশা ওরা একসাথে আবিরের কাছে যায়। অনেক মেয়েরা তখন আবিরের কাছে ছিল। ওর সাথে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করছিল। নেহাল সবাইকে সরিয়ে দিয়ে আবিরের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে হাসি মুখে বলে,
নেহালঃ হায়, আমি নেহাল। ওরা আমার ফ্রেন্ডস।
আবির বাকিদের একবার চোখ বুলিয়ে নেহালের দিকে তাকায়। তারপর ও হাসি দিয়ে দাঁড়িয়ে নেহালের সাথে হ্যান্ডশেক করে আর বলে,
আবিরঃ আমি আবির।
নেহালঃ হুম তা তো জানিই। ভাই তুমি একটু আগে যা খেলা দেখালে, জাস্ট ওয়াও। মায়ার বাবার টাকা বেশি বলে ও যাতা করতেছিল আমাদের সাথে। আমরা কখনো প্রতিবাদই করতে পারিনি। বাট আজকে তুমি প্রথম দিন এসেই বাজিমাত করে দিলে। তাই আমরা চাচ্ছিলাম তুমি আমাদের সাথে এখন থেকে চলো। যদি তোমার ইচ্ছা হয় তো। কোন জোরাজোরি নেই। তোমার সম্পূর্ণ ইচ্ছা আর কি। ওহ, ওদেরকে তো পরিচয়ই করিয়ে দেই নি। ও হলো, রনি আর শুভ। ওরা দুজন আমার খুব কাছের বন্ধু। আসলে বন্ধু না আমার আপন ভাইয়ের মতোই। আর ও হলো, রনির গার্লফ্রেন্ড, নিলা। আর ও আমার কলিজার টুকরা, ঈশা। হাহা।
সবাই হেসে দেয় আর ঈশা লজ্জা পায়। রনি বলে উঠে,
রনিঃ এই ও আজকেই মাত্র আসছে। আই থিংক ওকে সময় দেওয়া উচিৎ। তারচেয়ে এখন এসব রাখ চল সবাই ক্যানটিনে যাই। আবির তুমিও আসো। আমি ট্রিট দিব তোমাকে। চলো।
নেহালঃ আসলেই ঠিক বলেছিস। আবির চলো তাহলে। একটা ছোট খাটো সেলিব্রেশন হয়ে যাক মায়ার এই নাজেহাল অবস্থার জন্য৷ হাহা। কিরে শুভ তুইও বল আবিরকে।
শুভঃ বলতে তো দিবি। তোরাই তো কথা বলে যাচ্ছিস। হ্যাঁ আবির চলো আড্ডা দিয়ে আসি কতক্ষণ। তারপর যদি ভালো লাগে আমাদের গ্রুপে জয়েন হইও। নাহলে সমস্যা নেই। তোমার ইচ্ছা।
আবির কিছুক্ষণ শুভর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে বলে,
আবিরঃ আচ্ছা চলো।
এরপর আবিরকে নিয়ে ওরা হাসি ঠাট্টা করতে করতে ক্যানটিনের দিকেই যাচ্ছিল। শুভ পিছনে পিছনে ছিল। ওর বেশ বিরক্ত লাগছিল আবিরকে। কারণ ও মেনে নিতে পারছে না আবির এভাবে মায়াকে হারালো। আবিরকে নিয়ে নেহালরা যখন ক্যানটিনের দিকে যাচ্ছিল হঠাৎই কোথা থেকে যেন মায়া এসে উপস্থিত আবিরের সামনে। এসেই ও খুব রাগী কণ্ঠে বলে,
মায়াঃ তোমাকে আমি দেখে নিব। তুমি কার সাথে ঝামেলা করেছো তোমার কোন আইডিয়াই নেই।
আবিরও কম না। ও একটা রহস্যময় হাসি দিয়ে মায়ার দিকে একটু ঝুকে ওর কানের কাছে গিয়ে আস্তে করে বলে,
আবিরঃ আমি হলাম নাইট মেয়ার। আমার সাথে লাগতে এসো না। নাহলে তোমার রাতের ঘুম নাই হয়ে যাবে। সো বি কেয়ার ফুল মিস মায়া। বি কেয়ার ফুল…
বলেই ওদেরকে নিয়ে আবির চলে আসে। শুভ একবার মায়ার দিকে তাকিয়ে মন খারাপ করে চলে যায়। ওর খুব ফ্রাস্ট্রেশন হচ্ছিল। কারণ মায়ার সাথে রীতিমতো আবিরের ফাইট লেগে গিয়েছে। এখন আবার আবির ওদের সাথে। মায়া তো এটাই ভাববে শুভও এসবের সাথে জড়িত। যেহেতু শুভও আবিরের সাথে আছে। ও বুঝতে পারছে না হঠাৎ এসব কি হচ্ছে। মায়াকেও এই প্রথম খুব ফ্রাস্ট্রেটেড লাগছে। বেচারি আবিরের কিছুই করতে পারছে না। ও খুব বিরক্ত হয়ে ক্লাসে চলে যায়। আর আবিরকে নিয়ে নেহাল আর রনিরা হাসতে হাসতে ক্যান্টিনে চলে আসে। ওরা সবাই একটা ভালো জায়গা দেখে একসাথে বসে। রনি বলে উঠে,
রনিঃ আবির তোমার যা খেতে ইচ্ছা করে অর্ডার দেও। বিল আমার।
আবিরঃ কি যে বলো না। তোমরাই অর্ডার দেও।
নেহালঃ দোস্ত কেক আর কফি অর্ডার দে সবার জন্য। বেস্ট হবে৷
রনিঃ ওকে। কিরে শুভ তুই কি খাবি? কিছু বললি না যে।
শুভঃ কেক আর কফিই ঠিক আছে।
রনিঃ আচ্ছা।
এরপর খাবার অর্ডার দিলে কিছুক্ষণ পর খাবার চলে আসে। ওরা খেতে থাকে। হঠাৎ শুভ জিজ্ঞেস করে বসে,
শুভঃ আচ্ছা আবির তুমি ঢাকাতে কার সাথে থাকো? আই মিন পরিবারে কে কে আছে? নিজের সম্পর্কে যদি বলতে।
আবির আবার সেই মুচকি হাসি দিয়ে বলে,
আবিরঃ আমি এখানে একাই থাকি। আমার পুরো পরিবার দেশের বাইরে থাকে। বাবা আর মা ছাড়া আমার আর তেমন কেউ নেই। আমি একাই।
নেহালঃ বলো কি! তাহলে এখানে পড়াশোনা করছো যে?
আবিরঃ বাংলাদেশটা আমার অনেক ভালো লাগে। কারণ এখানে প্রতিটি মানুষের মাঝে অন্যরকম কিছু লুকিয়ে আছে। আর দেশের মাটিতেই শান্তি বেশি।
রনিঃ তা ঠিক বলেছো। তা এখানে থাকছো কোথায়?
আবিরঃ এই তো ধানমন্ডিতেই।
শুভঃ ভাড়া?
আবিরঃ না, নিজেদের ফ্ল্যাটে।
নেহালঃ ধুর ব্যাটা ভাড়া থাকতে যাবে কেন ও? শুভ তুইও না কি অবান্তর প্রশ্ন করিস। কিছু মনে করো না আবির।
আবির শুভর দিকে এক নজর তাকিয়ে আবার খেতে খেতে বলে,
আবিরঃ সমস্যা নেই।
এরপর ওরা আরও অনেক ধরনের কথা নিয়ে আড্ডা দিতে থাকে। কিন্তু শুভ চুপচাপ বসে আবিরকে অবজারভ করতে থাকে। ওর কেন জানি আবিরকে ভালো লাগছে না৷ কেন জানি ওর মনে হচ্ছে এই আবিরের জন্য অনেক বড়ো কোন ঝামেলা হবে ভবিষ্যতে। শুভ আপাতত মায়ার জন্য চিন্তিত হয়ে আছে। ওদের খাওয়া দাওয়া শেষ হলে ওরা আবার ক্লাসে চলে যায়। আবিরকে নেহাল আর রনি ওদের সাথে বসতে বললেও আবির ওদের চোখ টিপ দিয়ে সেই মায়ার পাশে গিয়ে বসে। মায়া সাথে সাথে উঠে দাঁড়ায়। আর রাগী ভাবে বলে,
মায়াঃ এখানে থেকে সরে যাও আবির। বেশি বাড়াবাড়ি করবে না।
আবিরঃ কেন করলে কি হবে? কি করবে তুমি? মারবে? মারো।
রাগে মায়ার চোখ লাল হয়ে গিয়েছে। ও কি বলবে বুঝতে পারছে না। তাই ধপ করে ওর সিটে আবার বসে পড়ে। হঠাৎই পিছন থেকে শুভ এসে আস্তে করে আবিরকে ডাক দিয়ে বলে,
শুভঃ প্লিজ আমাদের সাথে এসে বসো। মায়া কোন ছেলের সাথে কখনো বসে না। ওর ভালো লাগে না।
আবির শুভর দিকে তাকিয়ে একটু হেসে দেয়। আর বলে,
আবিরঃ আচ্ছা ঠিক আছে আসছি। তুমি বললে বলেই আসলাম। নাহলে এখানেই বসে থাকতাম। দেখতাম কে আমাকে সরায়।
আবির শুভর সাথে পিছনে চলে যায়। মায়ার বেস্ট ফ্রেন্ড শান্তা বলে উঠে,
শান্তাঃ দোস্ত আবির চলে গেছে মাথা তুলে দেখ।
মায়া মাথা তুলে দেখে আবির পাশে নেই৷ ও অনেক খুশি হয়। হাপ ছেড়ে বাঁচে। অসম্ভব অস্বস্তি লাগছিল ওর এতক্ষণ। মায়া শান্তাকে উদ্দেশ্য করে বলে,
মায়াঃ দোস্ত আবিরকে চরম শিক্ষা দিতে হবে। নাহলে আমার আর শান্তি হবে না। ও কার সাথে যুদ্ধ করতে এসেছে জানে না। দাঁড়া দেখ শুধু ওর কি হাল করি।
শান্তাঃ কি করবি দোস্ত?
মায়াঃ অপেক্ষা কর শুধু।
একটু পর প্রফেসর আসলে আবার যথারীতি ক্লাস শুরু হয়। সেদিনটা ওভাবেই যায়। ঘড়িতে এখন রাত ২ টা নাগাদ বাজে। শুভ ওর অন্ধকার রুমে বসে আছে। ওর ঠিক সামনেই একটা ল্যাপটপ। শুভ মনে মনে বলছে,
শুভঃ আবির তুই আমাকে চিনতে পারিসনি। তুই আমার ভালবাসাকে আঘাত করেছিস। তোকে যে আমি কি করবো শুধু দেখ।
শুভ ওর ল্যাপটপটা নিয়ে কিসব কোড যেন লেখা শুরু করে। আর সাথে সাথেই….
চলবে…?
কেমন লেগেছে এই পর্বটি জানাবেন কিন্তু। সবার ভালো সাড়া আশা করছি। ধন্যবাদ।
পরবর্তী পর্বের লিংক কমেন্টে দেওয়া হবে।।