হ্যাকার লেখকঃ আবির খান। পর্বঃ ০৫

0
679

#হ্যাকার
লেখকঃ আবির খান।
পর্বঃ ০৫
ডার্কের কথামতো শুভ পরদিন ভার্সিটিতে যায়৷ ওর পুরো মুখ শুকিয়ে গিয়েছে চিন্তায়। কেমন জানি অসহায়ের মতো লাগছে। মলিন একটা মুখ নিয়ে ভার্সিটিতে প্রবেশ করে ও। ভবিষ্যতে কি হবে সে চিন্তায় শুভর অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। টাকা-পয়সা যা ছিল সব শেষ। ভার্সিটির ফি কিভাবে দিবে সেটাও এখন অজানা। খাওয়া দাওয়ার খরচ তো অনেক দূরে। শুভ গেইট দিয়ে একটু সামনে যেতেই দেখে নেহাল আর রনি দাঁড়িয়ে আছে আবিরের সাথে। ওর কলিজার বন্ধুদের দেখে একটু শান্তি পেলেও আবিরকে দেখে মুহূর্তেই ওর প্রাণটা যেন গলা পর্যন্ত চলে আসে। শুভ কোন রকম নিজেকে সামলে ওদের দিকে এগিয়ে যায়। নেহাল দ্রুত শুভর কাছে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে বলে,

নেহালঃ ওই শালা ফোন দিলে ফোন ধরস না। ধরলেও ঠিক মতো কথা বলিস না। কি হইছে বল তো?

পাশ থেকে রনিও এসে ওকে ধরে বলে,

রনিঃ বুঝোছ নাই নেহাল, ওই চুপিচুপি প্রেম শুরু করছে। তাই গার্লফ্রেন্ডকে নিয়া সারাদিন বিজি থাকে।
নেহালঃ কিরে শুভ তোর কি হইছে? মুখ, চোখ এমন দেখাচ্ছে কেন?

শুভ আবিরের দিকে একবার ভয়ে ভয়ে তাকিয়ে কোন রকম একটু হেসে বলে,

শুভঃ রাতে ঘুম হইনি দোস্ত তাই একটু ক্লান্ত।
— ওহ! (নেহাল আর শুভ)

শুভ নিজেই আস্তে আস্তে ভীষণ ভয় নিয়ে আবিরের কাছে গিয়ে আমতা আমতা করে জিজ্ঞেস করে,

শুভঃ হাই, কেমন আছো?

আবির একটু হেসে বলে,

আবিরঃ আলহামদুলিল্লাহ। তুমি কেমন আছো?

শুভ ছোট্ট করে বলল,

শুভঃ ভালো। তুমি একটু ছুটির পর থেকো। তোমার সাথে আমার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার আছে। থেকো কিন্তু।
আবিরঃ আচ্ছা আচ্ছা।
নেহালঃ কিরে তোরা কি কথা বলছিস?
শুভঃ আবিরের সাথে ভালো ভাবে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করছি। ওর সাথে তো ঠিক মতো কথাই হলো না।
রনিঃ আচ্ছা। চল এবার ক্লাসে। ক্লাস শুরু হবে।

এরপর ওরা চারজন একসাথে ক্লাসের দিকে যাচ্ছিলো। হঠাৎই মাঝ পথে নেহাল আর রনির গার্লফ্রেন্ডরা দৌড়ে এসে বলে,

ঈশাঃ নেহাল আশ্চর্যজনক ব্যাপার হয়েছে।
নিলাঃ সত্যি রনি আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। তোমরা তাড়াতাড়ি ক্লাসে চলো।
নেহালঃ আরে কি হইছে আগে সেটা তো বলো।
ঈশাঃ মায়ার গার্ল গ্রুপ আর নেই। মায়া নাকি সব অফ করে দিছে। যে মায়া সামনে ছাড়া কখনো বসে না। সেই মায়া আজ সবার পিছনে একা বসে আছে।
আবিরঃ ওয়াও। তাহলে মেয়েটা এবার শেষমেশ ভালো হয়েছে। চলো শুভ ওকে দেখে আসি।

আবির শুভর কাঁধে হাত রাখলে ও চমকে উঠে। আবির শুধু হাসে। এরপর ওরা ক্লাসে গিয়ে দেখে সত্যি সত্যিই মায়া একা এক কোণায় বসে আছে। ওর বান্ধবীরা সবাই যে যার মতো বসে আছে। মায়া হয়তো এবার বুঝতে পেরেছে সবাই ওর টাকার জন্য ওর সাথে ছিল। নেহাল আর রনি ওদের গার্লফ্রেন্ডদের সাথে বসে। শুভ আর আবিরকেও ওদের সাথে বসতে বলে। কিন্তু আবির না করে শুভকে নিয়ে মায়ার কাছে যায়। মায়া আবিরকে দেখে ভয়ে মাথা নিচু করে ফেলে। আবির মায়ার কাছে গিয়ে বলে,

আবিরঃ কি হলো একা বসে আছো কেন? কেউ কিছু বলেছে নাকি তোমাকে?

মায়া ভীতু ভাবে মাথা নাড়িয়ে না বলে। আবির হাসি দিয়ে শুভকে বলে,

আবিরঃ শুভ তুমি মায়ার সাথে বসো। ওর সাথে ভালো একটা ফ্রেন্ডশিপ করো। সামনে কাজে দিবে। আসি আমি।

বলেই আবির চলে যায়। শুভ আর মায়া অবাক হয়ে আবিরের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। আবির এত মেয়ে থাকতে মায়ার পাশেই কেন ওকে বসালো! শুভ ভেবে পাচ্ছে না৷ মায়া মাথা নিচু করে চুপচাপ বসে আছে। নেহাল আর রনি সামনে থেকে মজা নিচ্ছে। আবির ইশারায় ওদের মজা করতে না বলেছে। এবার শুভ মায়ার দিকে তাকায়। মেয়েটার চোখে মুখে কেমন জানি সেই উজ্জ্বল ভাবটা আর নেই। শুভ দীর্ঘ একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে আস্তে করে জিজ্ঞেস করে,

শুভঃ তোমাকে এভাবে মানায় না। কি হয়েছে তোমার?… আবির কিছু করেছে?

আবিরের নাম শোনা মাত্রই মায়া কেঁপে ওঠে। শুভর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলে,

মায়াঃ তোমারও বা কি হয়েছে? অসুস্থ নাকি?
শুভঃ না। তবে আমার পুরো জীবনটাই এখন অসুস্থতায় ছেয়ে গিয়েছে।
মায়াঃ আমারও। কেন যে এই আবিরটা আসলো! ওর নাম রঙধনু হলেও ও আমার জীবনটাকে ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট করে দিয়েছে।
শুভঃ আমারও।

মায়া অবাক হয়ে শুভর দিকে তাকিয়ে বলে,

মায়াঃ তোমারও! কিভাবে?
শুভঃ আসলে এখনো করেনি। তবে ওর হাতে ক্ষমতা আছে। চাইলেই করতে পারবে।
মায়াঃ ওহ।

শুভ বেঞ্চে মাথা রেখে আস্তে করে বলে,

শুভঃ কালকে কি হবে আমার সাথে জানি না৷ তবে তোমাকে একটা মনের কথা বলতে চাই।
মায়াঃ কি কথা বলো?
শুভঃ যেদিন প্রথম তোমাকে আমাদের ক্লাসে দেখি সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত শুধু তোমাকেই আমি আড়ালে ভালবেসে গিয়েছি। জানি না তোমাকে আর দেখতে পারবো কিনা তাই মনের কথাটা জানিয়ে দিলাম। জীবনে তুমি ছাড়া আর কোন মেয়েকে কখনো ভালো লাগে নি। আর হয়তো লাগবেও না।

মায়া স্তব্ধ হয়ে আছে। তবে শুভর চোখ দেখে ও বুঝতে পারছে যে শুভ একদমই মিথ্যা বলছে না। মায়া চোখ দেখলে বুঝে কে সত্যি বলছে আর কে মিথ্যা৷ যেমন গতকাল আবিরের চোখ দেখে বুঝে গিয়েছে যে আবির কতটা ভয়াবহ। এরপর শুভ আর মায়ার মাঝে টুকটাক কথা চলতে থাকে। আবির দূর থেকে তা দেখে মুচকি হেসে অনুর কাছে গিয়ে বসে। অনু আবিরকে দেখে খুব খুশি হয়। তবে সেটা কিন্তু মনে মনে। বাইরে কাউকে বুঝতে দেয় না। আবির অনুর পাশে বসে জিজ্ঞেস করে,

আবিরঃ কেমন আছো তুমি?
অনুঃ আলহামদুলিল্লাহ। আপনি?
আবিরঃ আমিও আলহামদুলিল্লাহ। আজ কিন্তু তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে। একদম একটা পরীর মতো।

অনু লজ্জা পেয়ে ওর পুরো মুখ লাল টুকটুকে হয়ে যায়। আবির আবার আস্তে করে ওর একটু কাছে এসে বলে,

আবিরঃ তোমাকে তো লজ্জায় আরও বেশি সুন্দরী লাগে। ওয়াও!
অনুঃ উফফ, আপনিও না। শুধু শুধু আমাকে লজ্জা দিচ্ছেন। আমার চেয়ে আরও কতো কতো সুন্দরী মেয়ে আছে ক্লাসে।

আবির কিঞ্চিৎ হেসে সামনে তাকে হাত দুটো এক করে বলে,

আবিরঃ সবার বাইরেটা সুন্দর হলেও ভিতরটা তোমার মতো এত সুন্দর না বুঝলে? বাইরের সৌন্দর্য্য সবাই দেখে, কিন্তু ভিতরের সৌন্দর্য্য কেউ দেখতে চায় না। আমি ভিতরের সৌন্দর্য্যটাকে বেশি প্রাধান্য দি। বুঝলে? (অনুর দিকে তাকিয়ে)

অনু মুগ্ধ হয়ে আবিরের কথা শুনছিল। কেন জানি দিন যত যাচ্ছে আবিরকে ওর খুব ভালো লাগছে। আবিরের জন্য অন্যরকম একটা ফিলিংস কাজ করছে। অনু ঠিক বুঝতে পারছে না এই অনুভূতিটার নাম কি দিবে ও। দেখতে দেখতে ক্লাস শুরু হয়ে যায়। তারপর টানা দুইটা ক্লাস হলে ওদের ক্লাস শেষ হয়। এখন যে যার বাসায় যাওয়ার পালা। মায়া আজ অনেকক্ষণ শুভর সাথে কথা বলেছে। ওর একটু হলেও মনটা ভালো হয়েছে। আবির অনুকে বিদায় দিয়ে ক্লাসের বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিল। মায়া বের হলে আবির বলে উঠে,

আবিরঃ কেমন লাগলো আজকের দিনটা?

মায়া চুপ করে থাকে। আবির হেসে বলে,

আবিরঃ এখন থেকে তোমাকে শুভর সাথেই থাকতে হবে৷ হোক সেটা কালকের জন্য কিংবা সারাজীবন। আসি।

বলেই আবির চলে আসে। মায়া অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। ও একটু হলেও বুঝতে পারছে যে আবির চাচ্ছে শুভর সাথে ওর একটা সম্পর্ক হোক। কিন্তু কেন? আবির নাকি শুভর লাইফটাকে হাতে নিয়ে বসে আছে। তাহলে ও কেন এটা চাচ্ছে। মায়া কিছুই বুঝছে পারছে না। সবকিছু কেমন জানি কম্পলিকেটেড হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। মায়া বাসায় চলে যায়। শুভ, নেহাল আর রনিকে একটা বুঝ দিয়ে বাইরে আসে। আবিরের কাছে এসে বলে,

শুভঃ আমার বাসায় চলো। ওখানে বসেই সব বলি।
আবিরঃ কিছু হয়েছে নাকি?
শুভঃ শুনলেই বুঝবে।
আবিরঃ ঠিক আছে চলো। দাঁড়াও বাইক নিয়ে আসি।

শুভ দাঁড়িয়ে থাকে। আবির ওর বাইক নিয়ে এসে শুভকে নিয়ে ওর বাসায় রওনা হয়। শুভর হার্টবিট শুধু বেড়েই যাচ্ছে ভয়ে। কিভাবে এত বড়ো জঘন্য কাজের কথা ও আবিরকে বলবে? আবিরও বা কিভাবে কথা গুলো নিবে! সব মিলিয়ে ওর মাথা ফেটে যাচ্ছে চিন্তায়। ও জানে না সামনে কি হতে চলছে। শুভ মনে মনে ঠিক করে, যদি আবির সবাইকে বলে দিতে যায় ও তার আগেই সুইসাইড করবে। কারণ ওর বেঁচে থেকে আর উপায় নেই। এসব ভাবতে ভাবতে অনেকটা সময় পাড় হয়ে যায়। শুভ খেয়াল করে আবির বাইক থামিয়েছে। এতক্ষণ ও অন্যমনস্ক ছিল। তাই আশেপাশে তেমন খেয়াল করেনি। এখন তাকিয়ে দেখে ও ওর বাসার সামনে। আবির বলে উঠে,

আবিরঃ কই নামো। আমি বাইক পার্ক করবো।

শুভ অসম্ভব অবাক হয়ে বাইক থেকে নামে। অবাক হবেই বা না কেন! আবির ওর বাসা কিভাবে চিনলো? শুভর মাথা কাজ করছে না৷ আবির বাইক রেখে ওর কাছে আসে। শুভ অবাক কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে,

শুভঃ আবির তুমি আমার বাসা চিনলে কিভাবে?

আবির সেই রহস্যময় মুচকি হাসি দিয়ে বলে,

আবিরঃ বলা যাবে না৷ চলো উপরে যাই। কি জানি বলবে তুমি? কি বলবে না?

শুভর মুখটায় মুহূর্তেই আঁধার নেমে আসে। ও আস্তে করে বলে,

শুভঃ হুম চলো।

শুভ নিজের ফ্ল্যাটে একা থাকে। আবিরকে নিয়ে ফ্ল্যাটে ঢুকে সোজা ওর রুমে চলে যায়। তারপর আবিরকে বসিয়ে শুভ বলে,

শুভঃ সরি খাওয়ার কিছুই নেই বাসায়। তাই জিজ্ঞেসও করতে পারছি না কি খাবে।
আবিরঃ সমস্যা নেই। আসল কথা বলো।

শুভ মাটিতে বসে পড়ে। মাথা নিচু করে বলতে শুরু করে,

শুভঃ আবির তুমি কে আমি জানি না। হঠাৎ কেন আমাদের জীবনে আসলে তাও জানি না৷ তবে আজ তোমাকে আমার কিছু অপকর্মের কথা বলবো। যা আল্লাহ, আমি আর একজন ছাড়া কেউ জানে না। তবে আমার এই অপকর্মের কথা শোনা মাত্রই তুমি সাথে সাথে কোন সিদ্ধান্ত নিও না প্লিজ। আগে মন দিয়ে শুনে তারপর যা ভালো লাগে সিদ্ধান্ত নিও।
আবিরঃ ঠিক আছে বলো।
শুভঃ আমার বাবা-মা মারা যায় পাঁচ বছর আগে রোড এক্সিডেন্টে। তারা এই ফ্ল্যাটটা কিস্তিতে কিনেছিল। প্রতি মাসে অনেক টাকা দিতে হতো। যদি টাকা না দেই তাহলে ফ্ল্যাটটা নিয়ে যেত। আমাকে রাস্তায় বসতে হতো। এছাড়া খাওয়া দাওয়া, জামা কাপড় আর পড়াশোনার খরচও আছে। তখন আপাতত ব্যাংকে রেখে যাওয়া টাকা দিয়ে এসব খরচ চালাচ্ছিলাম। কিন্তু সময় যত যাচ্ছিল খুব দ্রুত গতিতে টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছিল। আমি চারদিকে অন্ধকার দেখতে শুরু করি। কোথাও যে একটা জব নিব তারও সুযোগ নেই। যেহেতু পড়াশোনা শেষ হয়নি তাই। আমি ছোট কাল থেকেই কম্পিউটার বা ইলেকট্রনিক জিনিসের প্রতি অনেক আকৃষ্ট ছিলাম। যার জন্য হ্যাকিং শিখি। ডার্ক ওয়েবে একটা একাউন্ট বানিয়ে সেখান থেকেই একজন বিদেশি হ্যাকারের কাছ থেকে হ্যাকিং শিখি। আর সেই মেধাকে কাজে লাগিয়ে আমি আমার জীবন বাঁচানোর জন্য হ্যাক করে বড়ো বড়ো ধনী ব্যাক্তিদের কাছ থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নি। আমাকে সাহায্য করার মতো কেউ ছিল না বিশ্বাস করো। আর আমি যে কারো কাছে হাত পাতবো সেরকম ছেলেও আমি না। বন্ধু, সমাজের মাঝ থেকে হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে আমি এই কাজ করেছি। কিন্তু সব অপকর্মেরই শেষ আছে। আমারও তাই হলো। একজন বড়ো হ্যাকার আমার সব অপকর্মের কথা জেনে গিয়েছে। সে আমাকে শেষ একটা সুযোগ দিয়েছে। তা হলো, তোমাকে সব জানাতে। সে বলেছে, তুমি যদি সব শুনে আমাকে মাফ করে দেও তাহলে সে আমাকে মাফ করে দিবে৷ আর তুমি যদি আমাকে মাফ না করো তাহলে সে আমার জীবন শেষ করে দিবে৷ এখন তুমি বলো তুমি কি আমাকে মাফ করবে? নাকি…. (শুভ অঝোরে কেঁদে দেয়)

আবির চুপ করে আছে। শুভ শুধু কাঁদছে আর আবিরের উত্তরের অপেক্ষায় আছে। কিছুক্ষণ পর আবির একটা পেনড্রাইভ শুভর দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে,

আবিরঃ এটা খুলে দেখো। এটার ভিতরে তোমার সব উত্তর আছে।

শুভ দ্রুত পেন ড্রাইভটা ওপেন করে দেখে…..

চলবে…?

কেমন লেগেছে এই পর্বটি জানাবেন কিন্তু। সবার ভালো সাড়া আশা করছি। ধন্যবাদ।

পরবর্তী পর্বের লিংক কমেন্টে দেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here