শিশির_ভেজা_রোদ্দুর
Part_19
#Writer_NOVA
চোখ খুলতেই নিজেকে হসপিটালের বেডে আবিষ্কার করলাম।সারা মাথা ভার হয়ে আছে। হাত নড়াবার শক্তিও নেই। তাকিয়ে দেখি হাতে ক্যানুলা লাগানো।স্যালাইন চলছে।শরীরটা প্রচুর দূর্বল।আমাকে নড়তে দেখে পাশ থেকে কেউ বলে উঠলো,
—এখন কেমন লাগছে নোভা?
মলিন চোখে তাকিয়ে দেখি আম্মু শুকনো মুখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। স্মিত হেসে ক্ষীণ গলায় বললাম,
—একটু ভালো।তবে মাথাটা ভার হয়ে আছে। শরীরে শক্তি পাচ্ছি না।
—আল্লাহ ভরসা।সব ঠিক হয়ে যাবে।
—তোমরা কখন এলে?
—ভোর ছয়টার বাস ধরে ইভাকে নিয়ে চলে এলাম।
—আব্বু আসেনি?
—তোর আব্বু তো আমাদের আগে চলে এসেছে।
—ইভা,আব্বু কোথায়?
—বাইরে আছে।
—বাকি সবাই কোথায়?
—তোর খালামণি ও তন্বী একটু আগে বাসায় গেলো।সবার জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে।
—তোমরা খেয়েছো?
—সকালে তো না খেয়ে চলে আসছি।নয়তো বাসে আমাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যেতো।এখানে আসার পর তোর আব্বু রুটি কলা কিনে আনছিলো।সেগুলো খেয়ে পানি খেয়েছি।
আম্মু মাথায় হাত বুলাতে লাগলো।আমি আশেপাশে তাকিয়ে তায়াং ভাইয়া ও এনাজকে খুঁজতে লাগলাম।ঠোঁট দুটো কিছু সময় পরপর শুকিয়ে আসছে।জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট দুটো ভিজিয়ে আম্মুকে জিজ্ঞেস করলাম,
—তায়াং ভাইয়া কোথায়?
—তায়াং, তায়াং-এর বন্ধু বললো বাসা থেকে ফ্রেশ হয়ে আসবে বললো।গিয়েছে কিনা জানি না।
—তার বন্ধুও সাথে আছে?
— হ্যাঁ,ছেলেটা তো সেই রাত থেকে এখানেই।তায়াং-এর সাথে সবকিছু সামলাচ্ছে। ও নাকি তোকে কোলে করে হসপিটালে নিয়ে এসেছে। তোর যা অবস্থা ছিলো তাতে বাসার সবাই ভয় পেয়ে গেছে। তুই অজ্ঞান হওয়ার পর সেই রাত বারোটায় দ্রুত হসপিটালে এনে ভর্তি করছে।তারপর থেকে সবকিছু তো ছেলে দুটোই সামলিয়ে নিচ্ছে।
—তুমি ছুটি নিয়ে আসছো?
—সকালে কিছু নলি নাই।নয়টার দিকে এখানে এসে তারপর হ্যাড স্যারকে সব বলে ছুটি নিলাম।ছুটি ছাড়া কি আমি থাকতে পারবো।রাতে যখন তায়াং তোর খবর দিলো তখন থেকে টেনশনে শেষ। আমি কতক্ষণে আসবো সেই চিন্তায় ছিলাম।
—আম্মু একটু পানি দিবা?বড্ড তেষ্টা পেয়েছে।
আম্মু বসা থেকে উঠে জলদী করে পানির বোতল থেকে গ্লাসে পানি ঢেলে আমাকে খাইয়ে দিলো।গ্লাসটা যথাস্থানে রেখে আমার শরীরের চাদরটা আরেকটু টেনে দিলো।মাথায় হাত দিয়ে জ্বর চেক করে বললো,
—জ্বরটা ছেড়ে গেছে। ১০৪° ছাড়িয়ে গিয়েছিল। আলহামদুলিল্লাহ, এখন জ্বর নেই। ১২ ঘন্টার পর সজ্ঞানে আছিস তুই।
—ঘুমের ইনজেকশন দিয়েছিলো?
—হুম, তোর শরীর দূর্বল।তাই ঘুম পারিয়ে রেখেছিলো।এটা দুই নাম্বার স্যালাইন চলছে।একটা শেষ হওয়ার পর এটা অর্ধেক হয়ে গেছে। কিছু খাবি?
—না,মুখ তিতা হয়ে আছে। কিছু ভালো লাগছে না।
চুপ করে চোখ দুটো বন্ধ করলাম।যেই আমি ঘুম পাগলী সেই আমার এখন আর শুয়ে থাকতে ভালো লাগছে না।তাছাড়া বহু সময় ঘুমিয়েছি।এখন ঘুম বাবাজী আমার চোখে ধরাও দিবে না।মৃদুস্বরে আম্মুকে ডাকলাম,
—আম্মু!!
—হুম বল।
—একটু উঠে বসবো।এত শুয়ে থাকতে ভালো লাগছে না। পিঠ ব্যাথা করছে।হাত-পা অবশ হয়ে আসছে।দেখো তো হাতে ক্যানুলা লাগিয়ে কিরকম ফুলিয়ে ফেলছে।হাতটা নাড়াতেও পারছি না। সে কি ব্যাথা।
—এই স্যালাইনে তুই টিকে আছিস।শরীর যা দূর্বল ছিলো।পুরো নিস্তেজ হয়ে গিয়েছিলি।তোর কোন রেসপন্সই ছিলো না। সবাইকে যা ভয় দেখালি।
আম্মু আমাকে ধরে বসিয়ে দিলো।বালিশটাকে পিঠের নিচে দিয়ে আধশোয়া অবস্থায় বসলাম।আম্মু কিছু সময় থেমে রাগী গলায় বললো,
—তুই অসুস্থ না হলে তোর পিঠ ফাটাতাম।
—কিনু🥺?
—বৃষ্টিতে ভিজেছিস কেন?ইচ্ছে করেই নিজের শরীরের এই অবস্থা করলি? আজ যদি তোর কিছু হয়ে যেতো?
—কিছু তো হয়নি।তোমার মেয়েকে আল্লাহ না চাইলে এতো তাড়াতাড়ি নিবে না। আমি চলে গেলে তোমাদের জ্বালাবে কে?
দাঁত দেখিয়ে একটু হেসে আম্মুর মন জয় করতে চাইলাম।কিন্তু ফলাফল শূন্য। আমার দাঁত কেলানি দেখে আম্মু আরো রেগে গেল।রাগী গলায় বললো,
—একদম হাসবি না।আমাদের কাঁদতে কাঁদতে রাত পার হয়েছে আর সে এখন দাঁত বের করছে।হাসলে সত্যি মার খাবি।তুই সামান্য বৃষ্টিতে ভিজলে মাথাব্যথায় টিকতে পারিস না।মাথাব্যথা, মাথাব্যথা বলে চিল্লাস।তাহলে এত বৃষ্টিতে কেন ভিজতে গেলি আমাকে বল তো?
—আম্মু এই অবস্থায়ও আমাকে বকবে☹️?
—বকা তো কমই হসপিটাল না হলে মারতাম।
—তাহলে থেমে আছেন কেন খালামণি?লাগান দুইটা।ও যা করছে তা মার খাবার কাজই।আমি পর্যন্ত ওর অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে গেছি।মনে হয়েছিলো এই যাত্রায় ওকে বোধহয় হারালাম।ও কখনো বৃষ্টিতে ভিজে না।কাল মনে রং লাগছিলো তাই বৃষ্টিতে গোসল করছে।আমি হাতের কাছে থাকলে দুই-চারটা চটকনা মারতাম।আমাকে এনাজ বললো।ওকে ছাদে যেতে দেখে এনাজ দ্রুত ছাতা নিয়ে ওর পিছু পিছু গেছে। ও না গেলে আরো ভিজতো।ও একবার সুস্থ হোক।ওর চুল টেনে আমি যদি না ছিঁড়ি তাহলে আমার নাম তায়াং না।
তায়াং ভাইয়া কেবিনের ভেতর ঢুকতে ঢুকতে আম্মুকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলো বললো।মুচকি হেসে ওর দিকে তাকালাম।আব্বু,ইভাও ভাইয়ার সাথে আছে।শুধু এনাজকে দেখলাম না।এদিক সেদিক তাকিয়ে তাকে খুজেও নিরাশ হলাম।আব্বু পাশে দাঁড়িয়ে মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে জিজ্ঞেস করলো,
—এখন কেমন লাগছে মা?শরীর কি একটু ভালো লাগছে?
—আলহামদুলিল্লাহ, আগের থেকে অনেকটা ভালো।তুমি কেমন আছো আব্বু?
—এতক্ষণ ভালো ছিলাম না।কিন্তু আমার মা কে সুস্থ দেখে এখন ভালো আছি।কিছু খাবা?
—না আব্বু।ইচ্ছে করছে না।
—কিছু তো খেতে হবে।নয়তো ঔষধ খাবা কিভাবে?
—তুমি কিছু খাইছো?
—আমরা সবাই রুটি-কলা খেয়েছি।
—ভাত খাওনি কেন?
—হসপিটালে নিচ তলায় একটা হোটেল আছে। তায়াং বলছিলো খেয়ে আসতে।তোমার খালামণি মানা করলো।সে নিজে রান্না করে আনবে।তাই এতটুকু খাবারই আমাদের সম্বল।
আমি হাত দিয়ে বেডের পাশে দেখিয়ে আব্বুকে বললাম,
—এখানে বসো।
💖💖💖
আব্বু আমার পাশে বসলো।ইভা চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। ওর দিকে তাকিয়ে একটু হাসি দিতেই ও মুখ ভেংচি কাটলো।ওর ভেংচি কাটার স্টাইল দেখে আমার আরো বেশি হাসি পেলো।ফিক করে হাসতেই তায়াং ভাইয়া হুংকার ছেড়ে বললো,
—এখন বত্রিশ পাটি দাঁত দেখানো হচ্ছে? আমাদের টেনশনে ফেলে অনেক আরামে ছিলি তাই না?তোর বৃষ্টিতে ভেজার উসুল আমি হারে হারে বের করবো।একবার শুধু তুই সুস্থ হো।তারপর দেখবি তোর ওপর কি ঝড় যায়।
আমিও মুখ ভেংচিয়ে তায়াং ভাইয়াকে আরেকটু রাগালাম।অনেকক্ষণ ধরে এনজিও সংস্থার কথা জিজ্ঞেস করার জন্য মনটা হাসফাস করছে।বেচারার সারা শরীর তো তেরটা বাজিয়ে দিয়েছিলাম।রাত থেকে নাকি এখানেই। তাহলে আমার সাথে দেখা করতে কেন আসছে না?কেন জানি তাকে দেখতে খুব ইচ্ছে করছে।কিন্তু আব্বু-আম্মুর সামনে তো তার কথা তায়াং ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করতেও পারি না।পরলাম না মুসিবতে।পাশের এক মসজিদে জোহরের আজান হচ্ছে। সবাই নিশ্চুপ হয়ে আছে। আজান শেষ হতেই আব্বু তায়াং ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করলো,
— এই মসজিদের জামাত কয়টায়?
—১ টা ২০ -এ মনে হয়।নামাজে যাবেন?
—হুম,সেটা মিস আছে নাকি।
—তাহলে চলেন।আমিও বাসায় চলে যাই। আপনি নামাজে যান।
—নামাজ পরবে না?
—হ্যাঁ ওরবো তো খালু।কিন্তু জামা-কাপড় ভালো না।গতকাল রাত থেকে তো শরীরের ওপর ধকল কম যায়নি।জামা-কাপড়ের অবস্থাও খারাপ।বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বাসার পাশে মসজিদে পরে নিবে।
আম্মু তায়াং ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করলো,
—তোর সাথের বন্ধুকে যে দেখছি না তায়াং? ও কি চলে গেছে?
—হ্যাঁ, খালামণি।সেই রাত থেকে এখানে।আমি বললাম আমাদের বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে গোসল করে,খাবার খেয়ে নিস।জোর করে পাঠালাম।যেতে চাইছিলো না।
এনাজ চলে গেছে শুনে ভীষণ খারাপ লাগলো। আমার সাথে একটু দেখা করে গেলে কি এমন ক্ষতি হয়ে যেতো। মনের ভেতর এক আকাশ পরিমাণ অভিমানের জন্ম নিলো।পরেরবার এলে একটুও কথা বলবো না। আমার সাথে দেখা না করে গেলে কেন সে? কথা নেই হুহ!
আব্বু তায়াং ভাইয়াকে বললো,
—চলো তাহলে যাই।নয়তো আমার জামাআতে মিস হয়ে যেতে পারে।
—খালু আপনি যান।এনাজ আবার আসবে।আম্মু,তন্বীর সাথে খাবার নিয়ে আসবে।ও আসলে আমি বাসায় যাবো।একজন ছেলে তো এখানে থাকতে হয়।সবাই একসাথে চলে গেলে পরে যদি কিছু দরকার হয় তখন খালামণি একা কি করবে? আপনি নামাজে যান।এনাজ এলে আমিও চলে যাবো।বাসা গিয়ে ফ্রেশ হয়ে একটা ঘুম দিয়ে বিকেলে আসবো।
আব্বু চলে গেলো।এনাজ আবার আসবে কথাটা শুনেই আমার মনে লাড্ডু ফুটলো।কালো আঁধারে ঢেকে থাকা মুখে এক চিলতে হাসি ফুটলো।আম্মু বললো,
—তায়াং তুই কি এখানে আছিস?
—হ্যাঁ,এনাজ না আসা অব্দি আমি এখানেই আছি। কিন্তু কেন খালামণি?
— আমি একটু নামাজ পরতাম।
—আচ্ছা চলো তোমাকে নামাজঘর দেখিয়ে দিয়ে আসি।এখানে তো একটুখানি জায়গা। এতো ছোট কেবিনে নামাজ কি করে পরবে?
—কিন্তু ইভা এখানে একা থাকবে?
—ভেতর থেকে দরজা আটকে রাখবে।আর আমি তো শুধু যাবো আর আসবো।ততক্ষণ ইভা না হয় দরজা আটকে নোভার কাছে থাকলো।
—আচ্ছা চল তাহলে।
তায়াং ভাইয়া আম্মুকে নিয়ে বাইরে চলে গেলো।ইভা দরজা আটকে আমার সামনে এসে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পরলো।এতক্ষণ অব্দি বেচারী অনেক কষ্ট কান্না আটকে রেখেছে। আমি ওর পিঠে হালকা চাপর মেরে বললাম,
—আরে ধূর পাগলী কাঁদছিস কেন? আমি তো ঠিক হয়ে গেছি।দেখ আমি আল্লাহর রহমতে কতটা সুস্থ আছি।
—আমি অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম বোইনে।তায়াং ভাউয়া যখন কল করে বললো তুমি অনেক অসুস্থ তোমাকে হসপিটালে নিয়ে যাচ্ছে। তখন আমি, আম্মু পুরো পাগলের মতো অবস্থা। তুমি কেন বৃষ্টিতে ভিজতে গেছিলা?তোমার যদি কিছু হয়ে যেতে আমাদের কি হতো? সেবার তো মৃত্যুর মুখ থিকা আল্লাহ তোমারে ফিরায় দিলো।কিন্তু এবার কিছু হলে আম্মু-আব্বু, আমিতো পাগল হয়ে যেতাম।
আমি চুপ করে রইলাম।সবার কথার উত্তর আমার জানা থাকলেও আমি বলতে পারছি না।কি উত্তর দিবো সবাইকে? আমার কি বলার মতো কিছু আছে?
দরজায় ঠুকঠুক শব্দ হতেই ইভা আমাকে ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। দ্রুত গতিতে চোখ মুছে দরজা খুলে দিলো।তায়াং ভাইয়া ভেতরে ঢুকতে না ঢুকতেই তার মোবাইলে কল এলো।ইভাকে আমার দিকে খেয়াল রাখতে বলে দ্রুত পায়ে বাইরে চলে গেলো।ইভা আমাকে বললো,
—বোইনে,ওয়াসরুমে যাবো।তাছাড়া নামাজও তো পরতে হবে।
—তখন আম্মু গেলে তার সাথে গেলি না কেন?
—সবাই চলে গেলে তোমার কাছে থাকবো কে? তাই যায়নি।
—আচ্ছা, তায়াং ভাইয়া এসে নিক।ভাইয়ার সাথে যাস।
—আচ্ছা।
কিছু সময় পর এনাজ ও তায়াং ভাইয়া দুজনে টিফিন বাটি নিয়ে ভেতরে ঢুকলো।এনাজের মুখ, চোখ লাল হয়ে ফুলে আছে। সারারাত না ঘুমানোর কারণে বেচারাকে অনেকটা মলিন দেখাচ্ছে। আমি তার দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে চোখ বন্ধ করে শুয়ে রইলাম।ইভা তায়াং ভাইয়াকে বললো,
—ভাইয়া, ওয়াসরুমে যাবো।
—ওয়াসরুমে যাবি?
—হুম।
—চল আমার সাথে।
তায়াং ভাইয়া এনাজকে উদ্দেশ্য করে বললো,
— এনাজ তুই একটু খেয়াল রাখিস।কেবিনেই থাকিস।কোথাও যাস না।
—আচ্ছা তোরা যা।আমি থাকতে তোর এতো টেনশন করতে হবে না।
—জানি তবুও ভাইয়ের কর্তব্য পালন করলাম।
কথাটা বলে ভাইয়া হাসতে হাসতে ইভাকে নিয়ে বাইরে চলে গেলো।পুরো কেবিনে আমি ও এনাজ ছাড়া অন্য কেউ নেই, এই কথাটা মনে হতেই বুকের ভেতরটা ঢিপঢিপ করতে লাগলো। চোখ বন্ধ করে চুপচাপ শুয়ে রইলাম।একটু নড়ছিও না।যার কারণে এনাজ হয়তো ভাবলো আমি ঘুমিয়ে আছি।নিঃশব্দে সে আমার মাথার কাছটায় বসে নিবিড় যত্নে চুলে হাত বুলাতে লাগলো।কিছু সময় পর সে আমার কপালে আলতো করে ঠোঁট ছোঁয়াতেই আমি পুরো শর্কড।ফট করে চোখ দুটো খুলে ফেললাম।কিন্তু একি!!আমার গালে পানির ফোঁটা পরলো মনে হলো।তাহলে কি এনাজ কাঁদছে? আমি অসুস্থ বলে সে কান্না করছে? আচ্ছা সে কি আমায় ভালোবাসে? আমার মনে হয় বাসে।নয়তো আমার কষ্টে সে কেন কষ্ট পাবে?
#চলবে