ঠাসসসস, ঠাসসসস…..
নিলিমাঃ ওই তোর মতো ছোটলোকের বাচ্চা আমায় প্রোপজ করার সাহস পায় কি করে 😠😠তুই জানস আমার জন্যে কলেজের সবছেলে পাগল। তা ছেড়ে তোর মতো ছোটলোকের বাচ্চা সাথে প্রেম করব হুম।তোর কি যোগ্যতা আসে আমার সাথে প্রেম করার।তোর মতো গ্রামের গাইয়াভুত এর সাথে প্রেম করলে আমার ষ্টটাস কথা যাবে ভেবে দেখছোত।।।
(এক সাথে সবকথাগুলো বলল।)
আমিঃ (চুপ করে দারিয়ে আছি আর শুধু ভাবছিলাম নিলিমার কথা।ঠিকিতো কলেজের কতো সুন্দর ছেলে আসে তাদের সাথে প্রেম না কিভাবে ভাবলাম কলেজের সবচেয়ে সুন্দর মেয়ে আমার সাথে প্রেম করবে)😥😥
নিলিমাঃ আর কোন দিন যদি আমার সামনে দেখি আর প্রেম কথা বলছ তাহলে তকে কলেজের বড় ভাইদের দিয়ে হাত পা ভেঙে ফেলব মনে থাকে জেনো।।😠😠চল যা এখান থেকে।।
এ কথা বলে নিলিমা চলে গেলো…….
আমি ও মাথা নিচু করে আছি নিজের অজান্তেই চোখ দুটো দিয়ে পানি পরে যাচ্ছে, আজ প্রথম ওকে প্রোপজ কিরিনি এর আগেও অনেক বার বলেছিলাম কিন্তু নিলিমা আমাকে এই ভাবেই অপমান করতে থাকে। চলে আসলাম আর ভাবতে লাগলাম যে শুধু আমি গ্রামের মানুষ বলে নিলিমা আমাকে কি কথাগুলো আজ আমাকে শোনাল।আচ্ছা গ্রামের মানুষ কি মানুষ না শুধু কি শহরে মানুষগুলোই কি মানুষ নাকি।
হতে পারি গ্রামের মানুষ একটু পড়াশোনা কম করে থাকে এবং একটু অন্য রকম পোশাক পরে।তাই বলে কি তারা মানুষ না।
কথা বলতে বলতে আমার পরিচয় দেয়াই হয়নি।
আমি সিমুল। আমার বাবা মায়ের এক মাত্র ছেলে আমি আর একটা বোন আছে আমার বোনটি খুব মিষ্টি দেখতে।আমি এবার অনার্স ১বর্ষে পড়ি আর ছোট বোন পড়ে ৮ম শ্রেণিতে, নাম সুমা। আমি অনেক গরিব ঘরের ছেলে কিন্তু পড়াশোনায় অনেক মেধাবি আমি। SSC এবং HSC তে গোল্ডেন প্লাস পাই তাই তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চান্স পায়ই।
আমার পড়াশোনার খরচ আমার পরিবার দিতে পারবেনা তাই আমি এখানে কিছু টিউশনি পড়াই। আমার খরচ করা পারে ও কিছু টাকা থাকে তা আমি আমার গ্রামে বাবা মায়ের কাছে পাঠাই।
কলেজের প্রথম দিনই নিলিমা কে থেকে আমার খুব ভালো লাগে। সেদিন নিলিমা একটা নিল রঙে জামা পরে ক্যাম্পাসে বসে ছিলো।একদম পরির মতো দেখতে লাগছিল। তার বন্ধুদের সাথে বসেছিলো, নিলিমার হাসিটা দেখতে খুব মিষ্টি ছিলো। হয়তো ওর ওই হাশি দেখেই তার প্রেম পরেছিলাম।
আজ আর ক্লাস করতে ইচ্ছে করছে না। হস্টেলে চলে এলাম। কেমন যেন লাগছে আমার বুঝতে পারছি না। তাই একটু শুয়ে থাকালাম। হটাৎ ফোন এলো গ্রাম থেকে মায়ের ফোন থেকে কিন্তু অপাশ থেকে মা না অন্য কেউ কথা বলছিল। যেটা শোনার জন্য আমি একদমি প্রস্তুত ছিলাম না।
ওপাশ থেকে বলো যে আমার বাবা নাকি আর নেই।এই কথা শুনে কেমন জেন মনে হল আমার পায়ের নিচে মাটি সরেগেছে। কিছু ক্ষনের জন্য পুরো স্তব্ধ হয়ে গেছি।কি করবো বুঝতে পারছি না । বিধাতা আমার সাথে কেন এমন করলো। 😫😫
আমি কান্না করতে করতে জ্ঞান হারাই আমার বন্ধু রাকিব আমার জ্ঞান ফিরিয়ে আনে।জিজ্ঞেস করে আমাকে……
রাকিবঃ কিরে কি হয়েছে তুই কাদছিস কেন। কি হয়েছে বল আমার কাছে।।।
আমিঃ বন্ধু আমার সাথে কেন এমন হয় বলতো( কাদতে কাদতে)😫😫😫
রাকিবঃ কি হয়েছে বাড়িতে কি কিছু হয়েছে নাকি।বাড়িতে সবাই ভালো আছে নাকি কিছু হয়েছে নাকি। 😥😥
আমিঃ বাবা বাবা…
রাকিবঃ হুম আংকেল, আংকেলের কিছু হয়েছে নাকি😥
আমিঃ বাবা আর নেই…. (কাদতে কাদতে😫😫)
রাকিবঃ কখন কিভাবে জানতে পারলি।আর তো তাহলে এখনি যেতে হবে। তুই তারাতারি যা আমি এদিকের সব কিছু দেখছি।
আমি চলে আসলাম গ্রামের বাড়িতে। বাড়ির উঠানে দেখি বাবা একটা চাদর দিয়ে ঢেকে রেখেছে। আমাকে দেখে ছোট বোন দউরে আসে আমাকে জরিয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো আমিও কান্না করেছি। সুমা (বোন) আমাকে বলতে লাগলো….
সুমাঃ ভাইয়া একি হয়েগেলো আমাদের সাথে 😫😫বাবা কেন আমাদের ছেড়ে কেন চলেগেলেন ভাইয়া ও ভাইয়া কিছু বল না ভাইয়া। এখন আমাদের কি হবে। কাকে বাবা বলে ডাকবো আমারা😫😫😫
আমিঃ ( কিছু বলছিনা শুধু ওকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে যাচ্ছি।। 😫😫😫)
মাকে দেখি কান্না করতে করতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে।।কাকি মায়ের জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।।।।।
কি করবো বুঝতে পারছি না। বাবা কে গোসল করাতে নিয়ে গেছে। কিছুক্ষন পরে নিয়ে আসে তারপরে জানাজা অনুষ্ঠিত হলো। কিছুক্ষন পরে বাবা কে আর কোনো দিনও দেখতে পারবো খুব কান্না পাচ্ছে। কান্নায় বুক ফেটে যাচ্ছে।
খুব জোরে চিৎকার করে কান্না করতে ইচ্ছে করছে।আর বলতে ইচ্ছে করে কেন আল্লাহ কেন তুমি আমাদের সাথে এমন করলে……😫😫😫
কিছু দিন গ্রামের বাড়িতে থাকলাম।তারপরে……
চলবে…