গ্রামের ছেলেটি -(পর্ব-৯ম)

0
669

#গ্রামের_ছেলেটি

পর্ব-৯ম

স্বপন
রাকিবের কল,,,
আমিঃ হ্যালো,,,
রাকিবঃ এই বাসার চাবি কোথায়,,,,
আমিঃ দরজার নিচে চিপাতে রাখা দেখ ভালো করে,,,দেখিস আবার ভিতরে যেন চলে না যায়।
রাকিবঃ আচ্ছা ঠিক আছে,,,,
আমিঃ এই শোন,,,(বলার আগেই কেটে)
রাকিব দরজা খুলে ভিতরে চলে গেলো,,,,গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বাইরে বের হয়ে বিছানার দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে যাব। কারন এবাসায় শিমুল একা থাকে শিমুলের মা বোন গ্রামে থাকেন। রাতে দুইনেই ছিল, তাহলে এ আবার কে। আসতে আসতে করে কাছে চলে যায়। চুলের কারনে মুখটা ভালো করে দেখা যাচ্ছে না। এটা যে মেয়ে মানুষ সেটা বুঝতে ওর অসুবিধে হচ্ছে না। তাই মুখের চুলগুলো হাত দিয়ে সরিয়ে নেয়। রাকিব দেখেই হা হয়ে যায়, এভাবে অনেক ক্ষন তাকিয়েই আছে। রাকিব ওর হাত রাইসার গালে স্পর্শ করে।
রাইসার ঘুম ভেঙে যায় ও মুচকি হাসি দেয়। রাইসা মনে করেছে শিমুল, যখনি চোখ খুলে তাকালো দেখেই চিতকার দিয়ে উঠে,রাকিব কি করবে বুঝতে পারছে না। গিয়ে রাইসার মুখ চেপে ধরে বলল।।

রাকিবঃ কি করছেন কি চিল্লাচ্ছেন কে,,,,(বলতেই দিলো এক লাথি)

রাকিব নিচে পরে ধরে বসে পরে,,

রাকিবঃ ওমাও লাথি দেখে দিবেন তো,,,
এই ফাকে রাইসা দিলো দৌড়। গিয়ে রান্না ঘর থেকে কিছু একটা নিয়ে নিলো। রাকিব ওর পিছনে পিছনে খোরাতে খোরাতে গেলো। রুম থেকে বেরিয়ে রান্না ঘরে কাছে আসতেই রাকিবের মাথা দিলো এক বারি। রাইসা চোখ বন্ধ করে ভয়ে এদিক ওদিক না তাকিয়ে। রাকিব সেখানেই অজ্ঞান হয়ে গেছে।
,,,,,,

আমিঃ নিলিমা একটা কথা বলব তোমাকে কিছু মনে করবে না তো।
নিলিমাঃ কি কথা বলো,,,মনে করার কি আছে।
আমিঃ তোমার বয়ফ্রেন্ড আছে,,,,,
নিলিমাঃ নাহ,,,
আমিঃ কি,,, তুমি মিথ্যা কথা বলছো,,,
নিলিমাঃ আরে নাহ সত্যি আমার কোন বয়ফ্রেন্ড নেই এমনে ফ্রেন্ডছিলো অনেক। জিবনে অনেক প্রোপোজ পেয়েছি, মনে করেছি হয়তো সবাই আমার বাবার টাকা দেখে আমাকে আমার চেহারাকে ভালোবাসে। তাই সব গুলোকে রিজেক্ট করে দেই।

আমিঃ তোমার একসময় মনে হয় নি যে আমারো একজন বয়ফ্রেন্ড থাকা উচিত। যার সাথে সারাজীবন কাটানোর সপ্ন দেখবে।
নিলিমাঃ নাহ সেরকম করে কখনো ভেবে দেখিনি। আর এখনো সেরকম কোনো ছেলে আমার চোখে পরেনি যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখবো।
আমিঃ ওহ তাই,,,তোমার কাছে এই জায়গাটা কেমন লাগছে,,?
নিলিমাঃ ভালোই কোন গাড়ির হন নেই লোকজনের ভির নেই। বাতাসের সাথে নেই কোন ধুলো, সব মিলিয়ে পরিবেশটা খুবি সুন্দর।
আমিঃ হুম ঠিক এখানে কোন মানুষ কখনো বিরক্ত অনুভব করতে পারবেনা,,, চলো
নিলিমাঃ হুম,,,,
,,,
রাকিব ব্যাথায় কাতরাতে থাকে,,,,

রাইসাঃ দেখি,,এটা আপনার ব্যাথা যায় গায় ধরুন।
রাকিবঃ কি এটা,,,,
রাইসাঃ বরব,,,
রাকিবঃ অহ,,,
রাইসাঃ সরি আসলে আমি বুঝতে পারি নি হটাৎ ঘুমের চোখে আপনাকে দেখে আমি ভয় পেয়ে যাই। আর চোর মনে করে আপনাকে মারি।
রাকিবঃ আমাকে দেখে কি আপনার চোর মনে হয়। আচ্ছা একমিনিট আপনি কে?
রাইসাঃ আমি রাইসা শিমুলের বন্ধু। আমরা ছোট বেলা থেকেই একসাথে।
রাকিবঃ শুধু কি বন্ধু না আপনাদের ভিতরে অন্য কিছু আছে।
রাইসাঃ নাহ শুধু বন্ধু। খাবার খেয়েছেন নাকি খাবেন।
রাকিবঃ নাহ,,,
রাইসাঃ তাহলে নিজেই রান্না করুন, আমি সব খুজে দেখেছি কিছুই নেই।
রাকিবঃ জানি নেই রান্না করতে হবে,।
রাইসাঃ আপনি রান্না করবেন তাহলে বেশি করে করবেন আমার অনেক ক্ষিদের পেয়েছে।
রাকিবঃ আমি একা রান্না করবো।
রাইসাঃ হ্যা তা নয় তো কি যদি আমি না থাকতাম তাহলে তো একাই রান্না করতেন তাই এখন সেটাই করুন। আমি ফ্রেশ হতে যাই।

রাইসা ফ্রশ হতে চলে গেলো এদিকে রাকিব একাই রান্না করতে থাকে। রাইসা ফ্রেশ হয়ে রান্না ঘরে সামনে এসে বলে।

রাইসাঃ রান্না হয়েছে নাকি এখনো বাকি আছে।
রাকিবঃ এই তো আর একটু সময় লাগবে,,,(বলেই রাইসার দিকে তাকাতেই ওর চোখ কপালে উঠে যায়।)আরে এগুলো তো আমার পোশাক, আপিনি পরেছেন কেন,,,
রাইসাঃ তাই নাকি চোখের সামনে যা পেয়েছি তাই পরেনিয়েছি। দেখুন তো আমাকে কেমন দেখাচ্ছে।
রাকিবঃ আপনি চোখের সামনে যা পাবেন তাই পরবেন কেন। আপনার কাপড় কোথায়।
রাইসাঃ বাসা আমার কাপড় এখানে আনতে যাবো কেন,।
রাকিবঃ কেন আবার পড়তে,,,
রাইসাঃ কি বলে আপনি আবার মেয়েদের পোশাক পরেন নাকি,,। পরতেও পারেন কারন এটা তো আবার মেয়েদের পোশাকের মতোই।
রাকিবঃ কি আবলতাবল বলছেন আমি পরতে যাবো কেন আপনি আপনার কাপড় পরবেন। আমার পোশাক মেয়েদের হতে যাবে কেন আমারটা পিওর জিন্স।
রাইসাঃ হুম সেটা তো পরেই বুঝতে পারছি,।
রাকিবঃ আমি আপনার থেকে চিকন দেখে আপনি তো একদম তাই টাইট হচ্ছে,,
রাইসাঃ কি বলতে চাচ্ছেন আমি মোটা,,,, 😠😠
রাকিবঃ আমি তা বলেছি নাকি, আপনি নিজেই তো বলছেন আপনি মোটা🙄🙄
রাইসাঃ ঠিক আছে রান্না শেষ হলে দিন খাবো,,,এসব কি রান্না করেছে।
রাকিবঃ এই অল্প সময়ের মধ্যে আর কি করবো শুনি আর আমি কি মেয়ে নাকি যে সুন্দর সুন্দর খাবার রান্না করে রাখবো আর আপনি খাবেন। আলু ভর্তা আর ডিম ভাজা খেলে খান না হলে,নিজেই পাক করে খান।
রাইসাঃ দিন কি আর করার,,,
তারপর ওরা দুইজনে বসে খেতে লাগলো।।

এদিকে আমরা চলে আসতে লাগলাম,,

নিলিমাঃ না আজকে আর অফিস যাওয়ার দরকার নেই চলো বাসায় চলে যাই।
আমিঃ হুম চলো,,,,
নিলিমা আমাকে আমার বাসার সামনে নিয়ে আসে।
নিলিমাঃ এখানে তোমার বাসা নাকি।।
আমিঃ হুম,,,চলুন ভিতরে চলুন।
নিলিমাঃ না থাক আজকে দেখে গেলাম আর একদিন যাবো।।
নিলিমা এই বলে চলে গেলো, কিছুক্ষন আনমনেই ওর যাওয়ার দিকে চেয়ে থাকি। তারপর আমি বাসায় সামনে এসে নক করি। কিন্তু কোন সারা শব্দ পাচ্ছি না অনেক ক্ষন পর্যন্ত দাঁড়িয়ে আছি কারও কোন খবর নেই।

শুনবে কি এদিকে এরা দুই জনে খাবার নিয়ে যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে। আমি জোরে জোরে দরজা ধাক্কা দিচ্ছি। কিছুক্ষন পর রাকিব এসে দরজা খুলে দেয় আমি জিজ্ঞেস করতেই।।

রাকিবঃ আমি কি করবো একটা রাক্ষসী রেখে গিয়েছিস। নিজের ডিম তো খেয়েছে সাথে আমারটাও খেয়ে নিয়েছে,,আউসস (বলতে না বলতে রাকিবের মাথায় কি যেনো এসে লাগে।)
রাইসাঃ কি বললি আমি রাক্ষসী তাহলে দেখ আমি তোর ঘারমটকাবো এখন।।
আমি এদের এসব দেখে হাসতে হাসতে শেষ। ওরা লাড়াই করছে মাঝখানে আমি রেফারি। তার অদেরকে ছেড়ে আমি ফ্রেশ হতে চলে গেলাম। আমি অনেক চেষ্টা করেছি অবশেষে থামিয়ে দিলাম। ফ্রেশ হয়ে রাইসাকে আর রাকিবকে নিয়ে বের হলাম।

তিনজনে অনেক ঘুরলাম মজা করলাম,। ঘুরতে গিয়েও ওরা দুইজন ঝগড়া শুরু করে দেয়। তারপর রাইসাকে ওর বাসায় দিয়ে আমরা দুইজনে চলে এলাম,,,,আমি রাকিবের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দেই,,

রাকিব আমার হাসি দেখে বলে,,

রাকিবঃ কি হলো এভাবে হাসতেছিস কেন আমার দিকে তাকিয়ে,,
আমিঃ কিছু না এমনিই।।
রাকিবঃ এমনি হলেই কি তুই এভাবে দেখে হাসতি নাকি, বল কি হয়েছে তা না হলে,,
আমিঃ আচ্ছা বলছি। ভাবছি তোকে আর রাইসাকে একসাথে ভালো লাগে। আর তোদের জুটিটা হলো ভালোই হবে এই আর কি।
রাকিবঃ তুই কি পাগল নাকি আমি এই রাক্ষসী দজ্জাল মেয়েকে না,,,না,না,না,মনে করলেই ভয় করে।
আমিঃ আরে যাই বলিস আমি তো ওকে ভালো করেই চিনি ছোট কাল থেকে মেয়ে ভালো আছে।
রাকিবঃ ওর কথা বাদ দিবি আমার আজকে মাথা টাই খারাপ করে দিয়েছে এই মেয়ে তুই যানিস আজকে আমার সাথে ও কি করেছে।( তারপর সব বলল আমার কাছে আমি শুনে তো হাসতে হাসতে শেষ)
রাকিবঃ তুই হাসতেছিস আমার জায়গায় থাকলে বুঝতি এই মেয়ে কতটা প্যারা দেয় আল্লাহই যানে।
আমিঃ আচ্ছা চল এখন পরে দেখা যাবে।😄😄
একদিন ম্যাডামের বাসায় যাই তার বাবা আমাকে যেতে বলেন যাই। আমি সোফায় বসে আছি। স্যার আমাকে আমার মায়ের কথা জিজ্ঞেস করে আমি বলি সে ঠিক আছে। তারপর স্যার বলে,,
স্যারঃ তোমার সাথে কিছু কথা বলতাম,,,
আমিঃ জি বলুন,,
স্যারঃ নিলিমার বিয়ের ব্যাপারে,,,
আমিঃ ওহ ম্যাডামের বিয়ে কার সাথে,,
স্যারঃ সেটা এখনো ঠিক হয় নি, আমি চাইছি তুমি আমার মেয়ে কে বিয়ে করও।
আমিঃ কি বলছেন স্যার এটা কি করে সম্ভব। আমি কোথায় আর ম্যাডাম কোথায়। আর ম্যাডাম এটা কোনো দিনো মেনে নিবে না।
স্যারঃ আমি নিলিমাকে বলেছি ও রাজি আছে শুধু এখন তুমি তোমার মাকে রাজি করাও।
আমিঃ কিন্তু আমিই কেন আমার থেকেও তো ভালো ছেলে আছে এ শহরে।
স্যারঃ তোমাকে আমার অনেক ভালো একজন মানুষ মনে হয়েছে। আর তোমার সাথে নিলিমার খুব ভালো মানাবেও। নিলিমা আগের থেকে অনেক বদলে গেছে তোমার জন্য।

আমি স্যার এর কথা শুনে অবাক, কারন ম্যাডাম বিয়েতে কি করে রাজি হলো বুঝলাম না। আমি কোথায় আর সে, আমি শুধু মাত্র তার অফিসের সামান্য কর্মচারি।

আমিঃ আমাকে একটু সময় দিতে হবে ভাবার জন্য।
স্যারকে সালাম দিয়ে আমি বাসা থেকে চলে আসি।
রাতের বাসায় শুয়ে শুয়ে ভাবছি, এমন সময় রাকিব হাজির।।

রাকিবঃ কিরে কি হয়েছে তোর,, কি ভাবছিস এমন করে,
আমিঃ কিছু না,তোর কি খবর৷ (আমি শোয়া থেকে উঠে বলি)
রাকিবঃ আমার আবার খবর বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে কিন্তু সালার এখনো কোনো মেয়ের চোখেই পরলাম না।
আমিঃ কি বলিস চোখে পরস নাই। রাইসাকে কি তোর মেয়ে মনে হয় না।
রাকিবঃ ধুর কি কস একদিন কি না কি ঘটছে তা নিয়ে কি বলছিস।
আমিঃ একদিন কেন তুই চাইলে তো আবার দেখা করতে পারিস।
রাকিবঃ কিভাবে,,,
আমিঃ কেন ও না তোর পোশাক পরে ওর পোশাক রেখে গেছে। তুই এই উছিলায় ওর সাথে দেখা করবি।
রাকিবঃ পাগল হয়ে গেলি নাকি আমি ওই মেয়ের সাথে দেখা করতে যাবো তাও আবার একা।
আমিঃ কি বলিস ভয় কি জন্য পাবি, চল আমিও যাবো তোর সাথে।
রাকিবঃ আমি কি জন্য যাবও,,, 🙄🙄আমার দেখা করার ইচ্ছে নেই,,,,,,

আমরা দুজনে বেরিয়ে এলাম কিন্তু রাইসার সাথে দেখা করতে না এমনিই ঘুরতে ভালো লাগছে না। তাই একটু বাইরে হাওয়া খেতে এলাম।

আমিঃ রাকিব একটা কথা ছিলো,,,
রাকিবঃ কি কথা,,,
আমিঃ আজকে নিলিমার বাড়িতে গিয়েছিলাম।
রাকিবঃ হুম,,,,
আমিঃ নিলিমার বিয়ে দিতে চায়, বলছিলো তার বাবা,,,
রাকিবঃ কি বলিস কার সাথে,,।
আমিঃ আমার সাথে,,
রাকিবঃ মানে কি বলিস,,, ওয়াও সে তো ভালো খবর কিন্তু তুই এরকম গোমড়া মুখ করে বলছিস কেন৷
আমিঃ আমি ও তাই ভাবছি। আমিই তো ওকে পছন্দ করতাম। তাহলে কেন এখন এমন মনে হচ্ছে যে আমার তাকে বিয়ে করাটা ঠিক হবে না। দেখ যাই হোক নিলিমা শহরে মানুষ হয়েছে আর আমি গ্রামে আমার পরিবারের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবে। ওর বাবার মতো টাকা পয়সা নেই আর ও যেই পরিবেশেমানুষ হয়েছে সেখানে আমার দিক দেখলে কোনোদিন ও এটা সম্ভব না।

রাকিবঃ তাতে সমস্যা কি, বিয়ের পর তো তুই ও কোম্পানি চালাতে পারিস।
আমিঃ আমার এসব দরকার নেই যা বেতন পাই তাতে আমার নিজের পরিবারের সবাই বেশি। আমার এই সিমিততেই আমি খুশি।
রাকিবঃ টাকা পয়সা কারো কাছে বেশি হয় না। আর এখানে এমন তো না যে তুই ওকে ধোকা দিয়ে বিয়ে করছিস। তারা যেনে শুনে তোর কাছে দিতে চেয়েছে।
আমিঃ তার পর ও এখন না হয় সমস্যা হবে না। কিন্তু একসময় গিয়ে দেখা গেলো নিলিমা বলে ফেললো যে ওর বাবা টাকা দেখে আমি এবিয়েতে রাজি হয়েছি। এমনি তেও আমার এই শহরের ইট বালির বানানো ঘরের থেকে গ্রামের কুড়ে ঘরে ভালো লাগে।
রাকিবঃ তুই যেটা ভাবছিস সেটা যদি না হয়। মানে দেখা গেলো তুই যাকে নিলিমার জায়গায় বিয়ে করবি সে যদি নিলিমার থেকে বেশি হয় তাহলে।
আমিঃ আমরা যা চাই তাই যে হবে এমন তো আর না। এখন যা মনে হচ্ছে তাই বললাম আর কি।

এই ইটের শহরে কেবা কার খবর রাখে। ইটের মতো এখানের মানুষের মনও হয়েগেছে।

রাকিবঃ এ বিষয় নিলিমার সাথে কথা বলেছিস।
আমিঃ নাহ,,
রাকিবঃ আমার মনে হয় তুই একবার নিলিমার সাথে কথা বলে দেখতে পারিস হয় তো ও তোকে বুঝবে।
আমিঃ দেখি কাল কথা বলে কি হয়।
রাকিবঃ তখন যদি বলে,,তুমি আমাকে বিয়ে না করলে। তোমার চাকরি থাকবে না।।😄
আমিঃ মজা নিচ্ছ নেও আমারো সময় আসবে তখন দেখবো। চল বাসায় যাই,,,,
রাকিবঃ হাহাহা তাই নাকি চল,,,,

পরের দিন অফিসে দেখি ম্যাডাম আসছে,, আমি সেদিকে তাকিয়ে আছি। যখনি আমার দিকে নিলিমা তাকিয়ে একটা হাসি দিলো। নিজের অজান্তেই আমি ও হেসে দেই। নিলিমা চলে গেলো তার ক্যাবিনে।

সুমন ভাইর দিকে তাকিয়ে দেখি মন খারাপ করে বসে আছে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করি,,,

আমিঃ সুমন ভাই মন খারাপ কেন কি হয়েছে।
সুমনঃ কি বলবো ভাই, কাল রাতে পাশের বাসার এক ভাবি পোস্ট করেছিলো আমি সেখানে একটা কমেন্ট করেছিলাম। এখন রিপ্লাই এলো,
আমিঃ তাহলে মন খারাপ করে আছেন কেন, কি লিখেছে?
সুমনঃ আরে ভাবি না বউ রিপ্লাই করেছে।
আমিঃ কি বলেন কি লিখেছে।
সুমনঃ বলছে বসের থেকে দুইদিনের ছুটি নিয়ে যেতে।
আমিঃ তা ভালোই তা কোথায় যাবেন ঘুরতে?
সুমনঃ হে মিয়া আমি কখন বললাম ঘুরতে যাবো।
আমিঃ এখানে বলার কি আছে, ছুটি যেহেতু নিবেন তখন কোথাও না কোথাও তো যাবেন নাকি।।
মাসুদঃ হাহাহাহাহা,,,শিমুল ভাই বুঝলে না কি বলছে। কালকে এলে বুঝবে কি জন্য বলেছে।

একথা শুনে সুমন সাহেবের মন খারাপ হয়ে গেলো। এতোক্ষনে বুঝলাম কি হয়েছে। সবাই হাসাহাসির করছিলাম। আমাদের হাসি শুনে ম্যাডাম বেরিয়ে এলেন,,,

ম্যাডামঃ কি হচ্ছেটা কি এখানে এতো হাসাহাসি শব্দ কেন।
সবাই চুপ করে যার যার কাজে লেগে যাই। আমি ম্যাডামের আসা দেখাই মাথা নিচু করে কাজ করতে থাকি। কিন্তু কি কাজ করবো ভেবে পাচ্ছি না। কথায় আছে না যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়। ম্যাডাম আসতে আসতে আমার কাছে আসে। আমাকে বলে,,,,

ম্যাডামঃ কি কাজ করছেন,,,,
আমিঃ এই তো ম্যাডাম এই,,,
ম্যাডামঃ কোথায় আমি তো দেখছি আপনি কোন কাজ করছেন না।
আমিঃ আসলে ম্যাডাম,,,,
আর শুরু করে দেয় ম্যাডাম আমি কান বন্ধ করে রাখি ম্যাডামের যেই গলা আমার কান শেষ। আমার এ অবস্থা দেখে পিছনে দারিয়ে রাইসা হাসতেছে। ম্যাডাম চলে গেছেন,,,,

চলবে,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here