গ্রামের ছেলেটি -(পর্ব- ১২তম)

0
568

#গ্রামের_ছেলেটি

পর্ব- ১২তম

স্বপন

তামান্না রাকিবের কথা শুনে তো আরও আগুন,,

তামান্নাঃ এই আমি আপনাদের কে আমাকে আন্টি বলতে বলছি, দাড়ান আমি এখনি আপনাদের মজা দেখাচ্ছি। জানে না আমি কে,,(রেগে ফায়ার)
আমিঃ এই ব্যাটা তুই যানোস এনি কে,,,(আমি রাকিবের দিকে ফিরে বলি।)
রাকিবঃ কে,,,
আমিঃ আমি কি করে বলবো,,আফা আমি কেডা।
তামান্নাঃ আম্মু,, আম্মু,,দেখো না এই দুই খাটাস আমার সাথে কেমন করছে,,

তামান্না চলে গেলো ম্য ম্য করতে করতে, আমরা দুই জন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছি। এটা কি হলো,,,,

একটু পরে দেখি রাজিব চলে আসে,,,,,,

রাজিবঃ তোমরা কেমন আছো,,,,
আমিঃ জি ভালো,,,কিছু মনে না করলে একটা কথা বলি,,,
রাজিবঃ কি বলো,,,
আমিঃ আপনাকে তো এর আগে দেখিনি কখনো,,,,
রাজিবঃ ওহ এই কথা আমি এখানে থাকি না বেশি, আমরা সবাই ইংল্যান্ডে থাকি শুধু মার বোন এরাই এখানে থাকতে চায়। ভাবছি মাকে আর তামন্নাকেও সাথে নিয়ে যাবো এবার।
আমিঃ কেন দেশে থাকতে কি সমস্যা??
রাজিবঃ এখানে কি আছে,,কেন জানি না মা এখানের মায়া ছাড়তেই পারে না।

আমি তার কথা শুনে হেসে দেই,,,
রাজিবঃ হাসছ কেন,,
আমিঃ যেই ইংরেজ শাসন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কত কিছু না করেছে এদেশের মানুষকে। আর আজ তাদের দেশে যাবেন তাদের গোলামি করতে। এর থেকে হাসির আর কিছু আছে বলে,।

রাজিবের মা চলে আসে এদিকে রাজিব ও উঠে চলে গেলো, মনে হয় কিছুটা রাগ করেই চলে গেলো।

আন্টি এসে আমাদের বলে,,
আন্টিঃ তোমাদের কাছে জিজ্ঞেস করার আছে,,,

আমি আর রাকিব শুনে গলা শুকিয়ে গেছে কি না বলে। আমরা দুজন দুজনের দিকে তাকাই একবার আবার আন্টির দিকে।।

আমিঃ কি, কি কথা আন্টি,,
আন্টিঃ কিছুদিন আগে একটা মেয়ে এসেছিলো তোমার সাথে দেখা করতে, কি যে নাম বলল,, ,

রাজিব পিছনে থেকে বলে উঠে,,,
রাজিবঃ নিলিমা,, নাম তার,,

তার কথা শুনে আমি আরও ভয় পেয়ে যাই এখন আবার কি না কি বলে।

আমিঃ কিন্তু দেখু তার আর আমার মধ্যে কিছু নেই আন্টি। সে তো আমার অফিসের বস,
আন্টিঃ সেটা জানি সে তোমার অফিসের বস,। আমাকে শুধু ওর কিছু জানার ছিলো তোমার কাছ থেকে,,

আমি আর রাকিব দুজনেই এখন কিছুটা সাভাবিক হয়। তারপর কিছু সন্দেহ জনক মনে হচ্ছে। নিলিমার সম্পর্কে জেনে কি কবেন আর নিলিমাকে বা চিনেন বা নাম যানেন কি করে।

আমিঃ আসলে আমি তার বিষয়ে বেশি কিছু জানি, তার মা নেই বাবার একমাত্র মেয়ে। কিছু মনে না করলে জানতে পারি কি জন্য এসব জানতে চাইছেন?

কিছু না বলে, নিলিমার বাসার ঠিকানা জানতে চাইলেন আমি তাকে দিয়ে বাসায় চলে আসি। বাসায় আসতেই রাকিব বলে,,,,

রাকিবঃ শিমুল আমার তো ব্যপারটা খুব একটা ভালো মনে হচ্ছে না। হটাৎ তোকে বাসায় নিয়ে নিলিমার কথা জিজ্ঞেস করার কি কারণ থাকতে পারে,,,?
আমিঃ কে জানে ছাড় বাদ দে আমাদের কি বাসা তো আর ছাড়তে হচ্ছে না।
রাকিবঃ মানে কি বলছিস তুই, এসবের তোর কিছু মনে হচ্ছে না। যদি নিলিমার বাসায় গিয়ে নিলিমার ,,,
আমিঃ বাসায় গিয়ে কি,,,। দেখ রাকিব আমি নিলিমাকে ভালোবাসতাম,,
রাকিবঃ আর এখন,,,
আমিঃ জানি না,,আর যদি ভালোবাসিও, এখন কেমন যে একটা ভয় কাজ করে এগোতে। আমার আর নিলিমার মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। তাই এসব নিয়ে ভাবা একধরণের বোকামি।
রাকিবঃ আমি এতো দিনে যতটুকু বুঝেছি নিলিমার কাছে তুই অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
আমিঃ এসব কিছু তুই যত সহজ মনে করছিস তোত সহজ না। আবেগে পরে বিয়ে করে নিলাম, তারপর যখন ও বলবে আমার বাসায় থাকতে সমস্যা হয় ওর নিজের বাড়িতে থাকবে,,হাজারো বাহানা দেখাবে। আর নিলিমা হুকুম দিতে শিখেছে, হুকুম শুনতে না। দেখা গেলো মা কিছু বলল সেটার না শুনে উল্টো কিছু বলে দিলো। আবার আমি কিছু বলতে গেলে বলবে আমি তোমাকে বিয়ে করেছি ,তোমার পরিবারের কথা কেন শুনবো। আরো অনেক কিছু।
রাকিবঃ অন্যকেউ এলে যে সে আসব করবে না সেটার কি কোন গ্যারান্টি আছে।
আমিঃ বুঝতে পারছিনা মাথায় কিছু ঢুকছে না। ভাবছি একটু ছুটি নিয়ে গ্রামে যাবো কিছু দিনের জন্য।
রাকিবঃ তোর যা মনে চায় কর,,
রাকিব চলে গেলো,,, আমি বসে আছি একা ।অনেক দিন হলো গ্রামে যাই না তাই ভাবছি একটু গ্রাম থেকে ঘুরে আসি হয় তো এসে দেখবো সব কিছু ঠিক হয়ে গেছে।
,,,,,,,,,,

বিকালে ঘুমিয়ে আছি এর মধ্যে ফোনটা বেজে উঠল,,,,তাকিয়ে দেখি নিলিমার ফোন। দেখে প্রথমে একটু অবাক হয়, নিলিমা এই সময় আবার কেন ফোন করেছে।

ফোনটা রিসিভ করি,,আমি নিলিমাকে জিজ্ঞেস করি কি কারণে ফোন করেছে, সব কিছু ঠিক আছে তো। নিলিমাকে বলে না কিছু হয় নি, তোমাকে ফোন করেছি অন্য একটা কারণে,,। আমি জিজ্ঞেস করি কি কারণে??
নিলিমা বলে তার বাসায় যেতে আজ সন্ধ্যার সময়।

আমিঃ কেন,,,
নিলিমাঃ সেটা আসলেই বুঝতে পারবে, কি জন্য বলছি। তুমি যেটা চেয়েছো তাই হয়েছে,,,

আমি বলি ঠিক আছে, এসব বলে ফোন কেটে দেয়।

একটু পর রাকিব এসে বলে বেরুতে হবে, তাই ওর সাথে বেড়িয়ে গেলাম। আমি রাকিব কে বললাম নিলিমা আজকে ওর বাসায় যেতে বলল, রাকিব বলল, ” ভালো তো যাবি এতে আবার ভাবার কি আছে”।
আমিঃ দোটানায় আছি, ভয় করছে ভিতরে যাবো কি যাবোনা,,যদি তোর কথা সত্যি হয়ে যায়।
রাকিবঃ দেখ ভাই তোর এই আজাইরা পেচাল ভালো লাগে না৷ তুই রাইসাকে কল দে ওর কাছে জিজ্ঞেস কর,
আমিঃ ওকে কেন জিজ্ঞেস করবো,,
রাকিবঃ তুই কি গেছোস পাগল হয়ে,,নিলিমার পিএ কে,,
আমিঃ রাইসা,,
রাকিবঃ তাহলে ও যানবে না তো কে যানবে তুই।
আমিঃ হুম দাড়া কল করছি ওকে,,। রাইসা রাইসা,,, (ফোন করে।)কি বলব ওকে।
রাকিবঃ আল্লাহ ওকে এখানে আসতে বল,,।

রাইসা ফোন ধরার পর আমি ওকে এখানে আসতে বলি রাকিবের কথায়।

রাকিবঃ এটা কি করলি,,
আমিঃ কি করলাম,,
রাকিবঃ তুই ওকে এখানে আসতে বলার কি দরকার ছিলো। ফোনেই তো জিজ্ঞেস করতে পারতি।
আমিঃ কি বলিস তুই তো বললি ওকে এখানে আসতে।
রাকিবঃ ও তাই তাহলে ও আসলে আমার সাথে ওর লাইন্টা এক্টু করিয়ে দিস।
আমিঃ কি বলিস এখানে আমার সমস্যা নিয়ে বাচিনা আবার তুই বলছ তোর টা করে দিতে।
রাকিবঃ আমার কাজ না করে দিলে আমি কেন তোমার সাহায্য করবো??
আমিঃ আচ্ছা রাইসা আসুক তারপর দেখি।
রাকিবঃ বেশি খারাপ লাগছে,,,
আমিঃ কি জন্য এই যে যদি গিয়ে নিলিমার বাসা যদি তারা যায়। আর ওর বাবাকে বলে বিয়ে পাকা করে ফেলে সেই ভয়ে।
আমিঃ জানি না, কিন্তু শরির কাপছে মনে হয়। এখন মনে হচ্ছে নিলিমাকে এই কয় দিনে আগের থেকেও অনেক ভালোবেসে ফেলেছিরে।
রাকিবঃ আমরা বেশির ভাগই এই ভুল করি, যখন আসে তখন দূরে সরিয়ে দেই। আর যখন দূরে চলে যায় তখন বুঝি সে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো জিবনে।

রাইসা চলে এসেছে,,

রাকিবঃ এই এগুলো তো আমার পোশাক,,, (রাইসাকে দেখে বলে)
আমিঃ এই কি করছিস সবাই দেখছে,,(রাকিবকে ধরে টান দিয়ে আমার কাছে এনে কানের কাছে বললাম)
রাকিবঃ কিন্তু আমার,,
আমিঃ চুপ,,

আমি রাকিব আর রাইসা দুজনেই বসে আছি কেউ কোন কথা বলছি না।

রাইসাঃ কিরে আমাকে এখানে ডেকে এনে তোরা চুপ করে আছিস কেন কিছু বল।
রাকিবঃ এই কি হলো জিজ্ঞেস কর,,
আমিঃ আসলে রাইসা নিলিমা আমাকে ওর বাসায় যেতে বলেছে, তো আজকে কি কোন,,
রাইসাঃ হাহাহ ওহ এই ব্যাপার আসলে আমি ও ঠিক যানি না রে। ম্যাম তো যানে যে আমি তোর ফ্রেন্ড তাই ম্যাডাম আমার কাছে তার সব কিছু সেয়ার করে। এমনটাই ভাবছেন তাইনা, কিন্তু তার কোন টাই না ঠিক আছে।

আমি একটা দৃঘ্যশাস ছাড়লাম।
রাকিবঃ এতো ভেবে কাজ নেই তুই বরং নিলিমার বাসায় চলে যা।
আমিঃ যাবো,,,
রাকিবঃ হুম,,,

আমি আর কিছু না ভেবে চলে গেলাম,,,, বাসার কাছে আসতেই দেখি

আমি যাওয়ার পর রাইসা রাকিবকে বলে,,

রাইসাঃ নি এখন বলুন তখন যে কি বলছিলেন,,( রেগে রাকিবের সামনে)
রাকিবঃ ক,,ক,,কই কিছু না তো এমনি,,, (জোর করে হেসে বলে)
রাইসাঃ হুম মনে থাকে যে,,আর আপনার পোশাক যেহেতু আমি পড়ছি আমার পোশাক আপনার বাসায় আছে সেগুলো পড়ে নিয়েন তাহলেই তো মিটে গেলো।
রাকিবঃ কি বলছেন এসব আমি আপনাদের পোশাক পরলে তো মানুষে আমাকে দেখে হাসবে। আপনারা আমাদের পোশাক পরলে মডেল আর আমরা আপনাদের পোশাক পরলে থাক আর বললাম না,,
রাইসাঃ হাহাহাহাহা,,,,

আমি নিলিমার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে আছি কলিং বেল বাজাতেই নিলিমা দরজা খুলে দিলো মনে হয়েছে ও দরজার কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলো,,

আমি নিলিমা কে দেখে অবাক অনেক সুন্দর করে সেজেছে, কিন্তু আমাকে দেখে ওর চোখের কনে পানি চলে আসে,। আমার বুঝতে কোন সমস্যা হলো না যে কি হয়েছে। নিলিমা আমার কাছে এসে আমাকে এক চর মেরে, আমার কলার ধরে কান্না করে আর বলে, ” তুই কেন এমন করলে” নিচে বসে পরে।

আমার চোখের পানি চলে আসে কিন্তু আমি ওকে বুঝতে না দিয়ে মুছে ফেলি।

আমি আর নিলিমা ওদের বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে আছি অন্ধকারে আমার চোখে পানি পরছে। নিলিমা সেটা বুঝতে পারছে না। আমি নিলিমাকে বলি,,,,

আমিঃ তোমাকে এই শাড়িতে অনেক সুন্দর লাগছে।
নিলিমাঃ হুম,, তামান্না পরিয়ে দিয়েছে।
আমিঃ তারা কি বলল,,
নিলিমাঃ কি বলবে আমি তার ছেলের সাথে তাদের বাসায় গিয়ে ছিলাম, আমাকে নাকি তার ছেলের সাথে দেখে তার খুব পছন্দ হয়েছে এসব আর কি,,,,
আমিঃ তোমার বাবা আর তুমি কি বললে,,
নিলিমাঃ বাবা কি বলবে, আমার উপর ছেড়ে দিয়েছে যদি আমার হ্যা হয় তাহলে তারো হ্যা,,।
আমিঃ আর তুমি তাতে রাজি হয়ে গেলে,,
নিলিমাঃ (হেসে বলে)আমি অবাক তো তখন হয়েছি যখন শুনেছি আমার বাসার ঠিকানা তুমি দিয়েছো তাদেরকে দেখতে আসার জন্য। আর যাই হোক তোমার আমার উপর প্রতিশোধ নেয়া হয়ে গেছে।
আমিঃ বিশ্বাস করো আমি জানতাম না যে এসব হবে,। আর তিনি আমার বাড়িওয়ালী আমি ভেবেছি তোমাকে হয় তো সেদিন দেখেছে আমার বাসায় তাই সন্দেহ করে তাই সেটা জানার জন্য হয় তো।
নিলিমাঃ আর যানলেই বা কি করতে তুমি তো বলেই দিলে আমাকে তুমি বিয়ে করতে পারবে না।

আমি চুপ হয়ে আছি কিছু বলছি না। নিলিমা আমার দিকে তাকিয়ে আছে
হয় তো ও আমার মুখতে হ্যা শোনার জন্য মরিয়া হয়েছে,,আমি তাকে অভিনন্দন জানিয়ে চলে আসি নিচে। চোখের পানি মুছতে মুছতে।

নিলিমা আমাকে পিছন থেকে ডাক দিলো, আমি দাড়াই আমাকে তার কাছে ডেকে নিয়ে। বলে খাবার টেবিলে বসতে বলে,,

নিলিমাঃ খাবার তো মনে হয় খাওনি বসো আমি খাবার নিয়ে আসতেছি,,
আমিঃ না খেয়েছি আমার যেতে হবে,,(মিথ্যা বলি।)
নিলিমাঃ তাই তারপর ও খেতে হবে, আর যদি না খাও তাহলে মনে করবো তুমি,,,

আমি বসে পরি নিলিমা আমার সামনে একটা প্লেট দেয়। আর বলে,,

নিলিমাঃ খেয়ে বলো তো খাবার কেমন হয়েছে,,বাকি সবাই তো বলল ভালোই হয়েছে। এখন তুমি বলো দেখি খেয়ে।

আমি খাবা খাচ্ছি আর নিলিমা আমার সামনের টেবিলে বসে গালে হাত দিয়ে আমার খাওয়া দেখছে।
আমিঃ খেয়ে বলি হ্যা ভালোই হয়েছে। তা তুমি যে বলছিলে তুমি রান্না করতে পারো না,,
নিলিমাঃ এই কয়দিনে শিখেছি,,ভেবেছিলাম তোমাকে সারপ্রাইজ দেবো তাই আজকে রান্না করা। কিন্তু আজকে যে আমি এতো বড় সারপ্রাইজ পাবো তা ভাবিনি। জানো আমি মনে মনে ভেবেছিলাম আজকে তোমাকে আর বাবাকে আমার প্রথম রান্না করা খাওয়াবো।(কান্না কান্না কন্ঠে বলছে আমি শুনে ওর দিকে তাকাই, দেখি ওর চোখে পানি টল টল করছে)কিন্তু দেখো আমার ভাগ্য আমার রান্না খেয়ে আজ অন্য কেউ আমার প্রশংসা করেছে।

নিলিমা এসব বলে কেদে ফেলে তাই নিজেকে না সামলাতে পেরে উঠে চলে যায়। কেন যানিনা আমার মুখ দিয়ে খাবার যাচ্ছে না। চোখ দিয়ে পানি পরছে, পানি গালদিয়ে গরিয়ে আমার ভাতে প্লেটে পরছে।

আমি খাবার মুখে নিতে চেষ্টা করছি কিন্তু আমার হাতে খাবার উঠছে না। অনবরত চোখ দিয়ে পানি পরছে, আমি পাগলের মতো হয়ে যাই কি করবো বুঝতে পারছি না। খাবার প্লেট রেখে উঠে তারাতাড়ি বাড়ির বাইরে চলে আসি। বাসার দিকে হাটা দেই মন চাইছে খুব চিৎকার করে কাদি, রাস্তা দিয়ে দৌড়াচ্ছি। দৌড়াতে দৌড়াতে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে পরি, সেখানে হাটু গেরে বসে খুব জোরে কান্না করতে থাকি।

নিলিমা ভাবছে আমি তাদের যেনে শুনে ওই বাড়িতে পাঠিয়েছি। যেনে শুনে আমি কেন চাইবো এসব।

বাসায় সামনে আছি, রাকিব দরজা খুলে দিলো। রাকিব আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করে,,

রাকিবঃ কিরে কি হয়েছে তোকে এরকম দেখাচ্ছে কেন,,, কি হলো কথা বলছিস না কেন,,

আমি রাকিবের কোন কথার উত্তর নাদিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম,,

কল ছেড়ে চোখে মুখে পানি দিচ্ছি, রাকিব দরজা ওপাশ থেকে জিজ্ঞেস করলে বলি কিছু হয় নি।
সকালে ছাদে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছি, কি করবো না রাতে ঠিক মতো ঘুমাতে পেরেছি। সারাক্ষণ শুধু নিলিমার কথা গুলো আমার কানে বেজেছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি আর নিলিমার কথা ভাবছি,,। তখনি পিছন থেকে তামান্না “ভাউ করে উঠে আমার কানের কাছে এসে “। আমি চমকে উঠি, আমার চমকে উঠা দেখে নিলিমা হেসে দিলো,,।

তামান্নাঃ আপনি ভয় পেয়েছেন তাই না,,,হাহাহাহা

এ মেয়ে কি বুঝি না একে তো ভয় দেখায় তারপর আবার বলে আপনি ভয় পেয়েছে তাই না।
আমি ওর কথায় কোন রেসপন্স না দিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকি। আমাকে তামান্না জিজ্ঞেস করে,,

তামান্নাঃ কি হয়েছে এভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। কিছু হয়েছে নাকি আপনার,
আমিঃ তোমার কি মনে হয়,,,
তামান্নাঃ মনে হচ্ছে আপিনার মন খারাপ,, আর সেটা হয় তো পরিবারের জন্য নয় তো প্রেমিকার জন্য।

চলবে,,,,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here