#বাতাসী_বউ
___অন্না
পর্ব ১
সকাল ৭ টা বাজে। মেয়েটাকে কখন থেকে ডেকেই যাচ্ছি ওঠার নাম গন্ধই নাই। কিরে উঠবি, এর পর দেরি হইয়ে গেলে আমায় কিছু বলবি না,
_____উমমম্ মা আর একটু
_____যা ইচছা কর পরে আমায় কিছু বলবি না,,,
_____ হুম,কয়টা বাজে?
_____৭-৩০
_____কিহ্ আরো আগে ডাকবে তো, কত্ত কাজ আছে আজ। বলেই দিলাম দৌড় বাথরুম এ,,,,ফ্রেস হয়ে নাস্তা না করেই বেরিয়ে পরলাম। ওহ্ পরিচয় ই দেওয়া হল না, এই আমাদের গল্পের নায়িকা সুপ্তি। অনার্স ফাইনাল ইয়ার এ পরার পাশাপাশি একটা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে জব করে।আজ কোম্পানিতে নতুন এমডি আসবে, আর কলেজে ও নতুন ম্যাথ টিচার টিচার জয়েন করবে।তাই দিক এই থাকতে হবে।ভাবছেন দুকাজ একসাথে কিভাবে করে। সেটা অন্য একদিন বলবো।কিভাবে সব ম্যানেজ করবে ভাবতে ভাবতে সুপ্তি হাটছিলো, হঠাৎ কেউ পিছে থেকে সুপ্তি বলে ডাকল,
পিছে ঘুরে তাকিয়ে দেখে রাজ,,
সুপ্তি- (হায় আল্লাহ্ সকাল বেলাই ও কেন, ধুর সারাদিন টাই খারাপ যাবে) হায় ভাইয়া কেমন আছেন?
রাজ__ ভাল আর থাকি কেমনে তুমি আমায় না দেখার ভান করে চলে যাচ্ছ।
সুপ্তি__ না ভাইয়া আমি আসলে খেয়াল করি নাই।
রাজ__ আচ্ছা তো অফিস যাচ্ছো?
সুপ্তি__ জি ভাইয়া। আমার তারা আছে যেতে হবে।
রাজ__ চলো আমি ড্রপ করে দেই
সুপ্তি-__ না ভাইয়া আমি যেতে পারব।
রাজ__ আমি জানি তুমি জেতে পারবে, তবুও প্লিজ প্লিজ প্লিজ,,
সুপ্তি __ ( জানি এই গাধা টা আমায় না নিয়ে জাবে না) ওকে ভাইয়া চলেন।
রাজ সুপ্তিকে অফিস এর সামনে নামিয়ে চলে গেল,,,
সুপ্তি- যাক বাবা ছাগলটার হাত থেকে বাচা গেলো,,,, ওকে আমার একদম পছন্দ না। গায়ে পরে কথা বলে।
অফিস এ গিয়ে সব অ্যারেজমেন্ট করে জানতে পারলাম নতুন এমডি আসতে ২ ঘন্টা দেরি হবে তাই কলেজে আসলাম
সুপ্তি- ওপস্ অনেক দেরি হয়ে গেছে আজ, নতুন স্যার কিজে বলবে,,,,
ভাবতে ভাবতেই কারো পায়ের নিচে উপর হয়ে গেলাম পরে,,,,,,
[যদি আপনাদের ভালো লাগে তো কনটিনিউ করব],,,,
চলবে,,,,,,#বাতাসী_বউ
__ অন্না
পর্ব ২
সুপ্তি- ইসসসস এই রাস্তা টাও না, ধরফর করে উঠতে গিয়ে দেখি যার পায়ের নিচে পরছি সে জোরে হো হো করে হাসছে,,,,, ( মেজাজ টাই খারাপ হয়ে গেল)
এই যে মি,,,,,,,,,,( কথাটা শেষ করতে পারলাম না যাকে দেখলাম তাকে দেখার আসা করিনি এত্ত দিন পর। কেন আবার ও আমার লাইফ এ আসলো। কিন্তুু আমি আর পাস্ট এ ফিরে যেতে চাই না) ।
এত্ত হাসার কি হলো??? আমি কি ইচ্ছে করে পরছি নাকি? রাস্তা টাই এমন পরে গেলাম
____ হা হা হা হা সরি সরি,,,, রাস্তার দোষ,,, হা হা হা হা
সুপ্তি- লজ্জা করে না এই ভাবে দাতঁদেখাতে??? যত্তসব
বলেই হনহন করে ক্লাস রুমে চলে যায়। ক্লাস রুমে,,
নিলা—- কিরে এত্ত দেরি হলো কেনো আজ,,,,,
সুপ্তি- আর বলিস না, অফিসে অনেক কাজ ছিল তাই,,,,
নিলা__ তুই কত্ত কাজ করিস দোস্ত আর আমায় দেখ সারাদিন কোন কাজ ই নায়,,
সুপ্তি- থাক থাক আর ফুলাস না ফেটে যাব, তুই তো সব ই জানিস বাবার ওপর এমনি অনেক পেসার। আমি যদি কিছু না করি তো কেমনে হবে,,,,
২ জন বকবক করতেই প্রিন্সিপ্যাল স্যার নতুন টিচারকে নিয়ে রুমে ঢুকলেন,,,,
প্রিন্সিপ্যাল স্যার___ Hlw Everyone this is yours new math teacher. enjoy yours class bye.
(নতুন স্যার কে দেখেই সুপ্তির চোখ ছানাবড়া। কারন যে লোকটি আর কেউ নয় যে সুপ্তির পরে যাওয়া দেখে হাসছিলো সে অন্য কেউ নয় নতুন স্যার )
সুপ্তি- হায় আল্লাহ্ এইটাই বাকি ছিল,,
,,
নিলা___ সুপ্তি দেখ দেখ আমাদের স্যার কত্ত কিউট, কত্ত হ্যান্ডসাম,, প্রেমে পরে গেলাম,,,
সুপ্তি- এইযে ম্যাডাম থামেন, উনি শুনলে কান ধরে বের করে দিবে,,,,
স্যার__ Hlw students i am yours math teacher. আমার নাম আবির আহমেদ্।আমাকে তোমাদের টিচার নয় বন্ধু মনে করবে, প্রথম দিন আর বেশি জালাবো না,,, কিন্তুু তোমরা তোমাদের পরিচয় দাও বোর্ড এর কাছে এসে,।
সুপ্তি- (সবাই যার যার পরিচয় দিচ্ছিল..আর উনি আমার দিকে তাকিয়ে হেসেই যাচ্ছে,,, অসহ্য লোক একটা। আমার সিরিয়াল আসাতে উঠতে গিয়ে ব্রে্ঞ লেগে আমার জামাটা পেট এর কাছে গেলো ছিরে ।) হায় আল্লাহ্ এইটাই বাকি ছিল।,,,,,,,
(স্যার এর দিকে তাকিয়ে দেখলাম উনি হা করে তাকিয়ে দেখছে, অসহ্য লোক, ইসারায় আমাকে বসতে বললো।আমি বসে পরলাম
)
(পুরোনো সৃতি একে একে সামনে আসছে। নিজেকে কন্ট্রল করতে পারছি না। নিজের অজান্তে চোখ দিয়ে পানি পরছে। হাজার চেষ্টা করে ও আটকাতে পারছি না। কেন ও আবার আমার লাইফ এ আসলো। আমি তো নিজেকে গুছিয়ে নিছি।)
সুপ্তি নিজে নিজেকে বলছে,,, স্টপ সুপ্তি স্টপ আর ভাবিস না চুপ কর।
(আর এদিকে আবির সুপ্তিকে কাদতে দেখে নিজেকে কন্ট্রল করতে পারে না,,,, মনে মনে বলে, তোমার কান্নার শুরু হলো মাত্র।কিন্তুু সুপ্তির কান্না দেখতে পারছিলো না তাই চলে গেলো),,,,
স্যার ___ আমার একটা ইম্পর্ট্যন্ট কাজ আছে। বাকি পরিচিতি কাল করবো,,,, bye gayes..
bye sir (সবাই মিলে)
নিলা ::: কিরে কাদছিস কেনো? কি হয়েছে আমায় বল।
সুপ্তি- কই কাদছি চোখে কি যেনো গেলো।।
নিল:::: তাই, আমার কাছে লুকাচ্ছিস?
সুপ্তি:::: এই যে মেডাম আমি সুপ্তি বুঝলেন। আমার কিছু হয় না। আর আমার এখন যেতে হবে। বাই
নিলা ::: কেনো বাকি ক্লাস করবিনা???
সুপ্তি- কেনো জানু তুমি কি করতে আছো??? ভালো করে ক্লাস কর, আর আমায় নোট দিয়ে বাসায় যাবি ওকে???
নিলা :::: ওকে জানু। বাইইই
সুপ্তি- হায় আল্লাহ্ আমি এখন বের হবো কেমনে,যাই হোক বের তো হতেই হবে। ঐদিক এ কি হচ্ছে কে জানে। ব্যাগ টা দিয়ে ছেরা জায়গা টা ঢেকে নিলা কে বলে বেরিয়ে পরলাম,,)
জলদি বের হবার চক্কোর এ কলেজ গেট থেকে বেরিয়েই আবার উচ্টো খেয়ে পরলো নিচে নয় কারো গায়ে।।। তার দিকে তাকিয়ে সুপ্তি বলে ওঠে
সুপ্তি- আবার আপনি??
স্যার __ কেনো এবার কি তোমার পরার পিছে আমার দোষ??দেখে চলতে পারো না?
সুপ্তি- না মানে স্যার আমি জানতাম না আপনি আমাদের নতুন স্যার ম্যাথ
স্যার _ What!!!
সুপ্তি- না না না মানে ম্যাথ স্যার। সকাল এর জন্য সরি স্যার,,
স্যার __ ওকে ওকে আউট
সুপ্তি- জি স্যার ( বলে চলে আসছিলাম হঠাৎ পিছে থেকে স্যার ডাকলো,,,,,
স্যার — এই যে মিস বাতাসী, বাতাসের আগে হেটো না। আর জামার ছেরাটা দিয়ে তোমার পেট দেখা যাচ্ছে,
সুপ্তি- ওহ্ সিট,,, ব্যাগ টা দিয়ে ছেরাটা ঢেকে নিলাম। ফাজিল ছেলে।জলদি বাসায় আসলাম,।জলদি চেন্জ করে অফিস এ চলে আসলাম
( অফিসে ঢুকে সুপ্তি শুনতে পায় নতুন এমডি নাকি খুব করা, প্রথম দিন এই নাকি ২ জন কে বকছে। সুপ্তিকে দেখেই তার কলিগ অলি এসে বলে,,,,
অলি,,,,,,,আজকেই এত্তো লেট করে এলেন আপু। স্যার আপনাকে খুজঁছে।।
সুপ্তি- কিইইইইই!!!! কি জে হবে আজ আল্লাহ্ ই জানে,,,,,
ভয় ভয় পায়ে এমডি র রুমের দিকে এগিয়ে গেলাম,, রুম এ ঢুকে বললাম,, Hlw Sir
স্যার____ What the! বলেই হাতের ফাইলটা টেবিলে আছাড় মারলেন। এই মেয়ে কোনো ম্যানার্স জানো না, কারো রুম এ ঢোকার আগে নক করতে হয়।
সুপ্তি- ইইইইই আপনিইইই( সুপ্তির চোখ চরকগাছ
এযে আর কেউ নয় আবির। সুপ্তির কলেজ এর ম্যাথ টিচার। আর সুপ্তির জিবনে ঘটে যাওয়া পাস্ট আবির)
আবির,,,,,কেন আমার অফিসে আমি থাকব না তো কে থাকবে???
সুপ্তি-আপনি বললেই হলো এইটা আপনার অফিস??? প্রুভ কি আছে???
আবির___ OMG Who r you? আমায় এই প্রশ্ন করার, কে তুমি??? জাস্ট আমার একজন স্টাফ ওকে,
(এর মধ্যে আবির এর বাবা মি.ইকবাল আসেন)
ইকবাল সাহেব: আরে মা তুই কখন এলি? অফিসে এসে তোকে দেখলাম না যে?
সুপ্তি- আ্ঙেল কলেজ থেকে আসতে দেরি হয়ে গেছে
,,,,
ইকবাল; ওহ্ মা শোন আজ থেকে আমার ছেলে আবির সব দেখাশোনা করবে। তুই একটু দেখিস
সুপ্তি- উনি আপনার ছেলে?
আবির : yes! any doubt???
সুপ্তি- নো সার, সরি স্যার । আমি আসছি
আবির : ওয়েট মিস সুপ্তি। এটা অফিস নট ইয়োর পারসোনাল প্লেস ওকে? যখন ইচ্ছা আসবেন। চাকরি করার ইচ্ছা না থাকলে বলে দেবেন। নেক্স টাইম টাইমলি অফিসে দেখতে চাই ওকে?
সুপ্তি- জি স্যার ( বলে কাদতে কাদতে বেরিয়ে এলাম)
চলবে,,,,#বাতাসী_বউ
পর্ব ৩
__ অন্না
আবির: দেখলা বাবা ওর সাহস কত? কিছু না বলে চলে গেলো????
.
আবিরের বাবা: তুই কাজ গুলা মোটেই ভালো করছিস না। আমি জানি তুই কাজ গুলা কেন করছিস। তুই আমার কথা একবার শোন বাবা তাহলে সব বুঝতে পারবি
……
.
আবির : ওহ্ বাবা আমি কারো কোনো কথা শুনতে চাই না। আমাকে একা থাকতে দাও।প্লিজ
আবিরের বাবা: তোর যা ইচ্ছা কর। কিন্তুু সুপ্তির থেকে দুরে থাক।
.
( আবিরের বাবা রাগ করে বেরিয়ে যায় রুম থেকে। বের হয়ে সুপ্তিকে খুজতে থাকে। সুপ্তিকে খুজে পায় অফিন ক্যান্টিন এ)
.
আবিরের বাবা: তুই এখানে তোকে কখন থেকে খুজছি।
.
সুপ্তি- ( কাদতে কাদতে) কেন বলো?
আবিরের বাবা:আমার ছেলের কথায় কিছু মনে করিস না। আসলে সেদিন…..
সুপ্তি- থাক আ্কেল আমি কিছু জানতে চাই না। কিন্তুু তুমি আমার কাছে না লুকালে পারতে যে আবির তোমার ছেলে। তাহলে আর আজকে এতো কিছু হতো না।
.
আবিরের বাবা : আমি ভাবছিলাম তোরা ২ জন সামনাসামনি হলে সব ঠিক হয়ে যাবে।কিন্তুু আমার ভাবনাটা সম্পূর্ণ ভুল।আবির নিজের প্রতিশোধের আগুনে ডুবে গেছে। যা ওকে খুব তারাতারি শেষ করে দিব। আমি জানি তুই আমায় ভুল ভাবছিস। তুই আমায় চিনতি না। কিন্তুু আমি তোকে ভালোভাবেই চিনতাম।তাই তোরে কাজ এর বাহানায় আমার কাছে রেখে দিছি। ভবছিলাম হঠাৎ করে তোরা সামনাসামনি হলে সব ভুল বোঝাবুঝি ঠিক করে নিবি। আমি জানতাম না এত্ত কিছু হবে।
.
সুপ্তি- ওহ্ তার মানে কাজ টা তুমি আমার যোগ্যতা দেখে দাওনি তাইতো? তাই আমায় অন্য স্টাফ দের থেকে বেশি কেয়ার করতে। আমায় বেশি ফেবার করতে? আমি সব বুঝতে পারছি। আমি আর এ জব টা করতে পারব না। আমি আজ ই রেজিগনেটার লেটার দিয়ে দিব।
.
( আবির বাবার খোজ করতে এসে সুপ্তির জব না করার কথা টা শুনতে পায় )
.
আবির: তোমার সে আশা আমি বেচেঁ থাকতে তুমি পূরন করতে পারবে না। এত্ত সহজে তোমায় ছেরে দিব ভাবলে কি করে তুমি???
.
সুপ্তি- ওহ্ গুড ভেরি গুড। তো সব প্ল্যান করে আসছেন।
.
আবির: ওহ্ জাষ্ট স্টপ তোমার মতো মেয়ের কাছে আমি কোন কথা সুনতে চাই না। তুমি কি ভাবছো এত্ত সহজে আমি তোমায় ছেরে দিব। তিলে তিলে মারবো তোমায়। তোমার লাইফ আমি হেল করে দিব।
.
সুপ্তি- এত্ত রাগ আমার ওপর। তো মেরে ফেলেন আমায়। সব প্রতিশোধ নিয়ে নিন।
.
আবির : একদম নাটক করবা না। আমি যেমন জলছি তেমনি তোমায় জালাবো। । কিন্তুু টেনশন করো না তোমায় সব রকম কষ্ট দেবার দায়িত্ব আমার।
আর ওহ্ হে জব ছারার কথা স্বপ্নেও ভেবো না। আমায় তুমি চেনো তোমার ফ্যামিলির সাথে কি কি করতে পারব???
আবিরের বাবা: তুই পাগল হয়ে গেলি? ওরে কিছু বলার সুযোগ দে।
আবির: ও কি বলবে? সেদিনও ও কিছু বলে নি আর আজ ও।জাস্ট গো টু হেল।
আবিরের বাবা: আবির,,,,,
সুপ্তি- ওরে যেতে দিন আঙ্কেল।
আবিরের বাবা : তোদের যা ইচ্ছা কর ।
( সুপ্তি আর ওখানে এক মিনিট ও থাকলো না। বাসায় এসে ঘরের দড়জা আটকিয়ে পানি ছেরে সাওয়ার এর নিচে বসে ভাবতে লগলো)
(৩ বছর আগে ফিরে যায় সুপ্তি।আবিরের সাথে সুপ্তির কাজিন এর বিয়েতে দেখা হয়। আবির আসে ছেলের বন্ধু হয়ে। সেখানে দুজনের দেখা হয় অদ্ভুত ভাবে।সেদিন সুপ্তি খুব সুন্দর ভাবে সাজে।চোখে হালকা কাজল,হালকা মেকআপ,ঠোটে হালকা লিপষ্টিক,আর কপালে ছোট্ট টিপ। কালো শাড়িতে সুপ্তিকে অপ্সরীর মতো লাগছিল।
আবির ও কম যায়না। কালো পান্জাবি তে আবির কে দেখতে জাস্ট রকিং লাগছিল।
সুপ্তির কাজিন রুহি
বলে……
রুহি: কিরে তোর এত্ত জলদি কেমনে হলো???? মাত্রই তো গেলি
…..
.
সুপ্তি- মেডাম বেশি সাজলে যদি দুলাভায়ের আবার আমায় পছন্দ হয়ে যায় তখন???
.
রুহি: চেষ্টা করেই দেখ না।
.
সুপ্তি- না বাবা আমার ওমন হেংলা জামায় লাগবে না কি বলিস তোরা???
.
রুহি : তাই নাকি???
.
.
সুপ্তি- আরে না মজা করলাম।আমার দুলাভাই দা বেষ্ট।
.
(বলতে বলতেই
বর জাত্রী চলে আসলো।
)
.
সবাই: এই বর আসছে বর আসছে চলো
সবাই চলে গেল।আমি গিয়ে রুহি র পাশে বসলাম।রুহি আমার হাত চেপে ধরল।
,
আমি: কিরে ভয় লাগছে??
রুহি : হুম খুব,
আমি : ভয় করিস না রে আপু সব ভালই হবে।
(একটু পরে সবাই আসলো আপু কে বিয়ের স্টেজে নিয়ে যেতে। আমি দাড়াতেই শাড়ির কুচি টান লেগে খুলে গেল।হায় আল্লাহ্ কি হইলো এইটা।
যাই হোক কুচি গুলা ধরে দিলাম দৌর রুমের দিকে। আর যাইতেই কুচির সাথে পা লেগে গেলাম পরে হুরমুর করে কারো গায়ের ওপর পরে। খেয়াল হলে দেখলাম কেউ আমায় জরিয়ে ধরে মাটিয়ে শুয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি ধরফর করে উঠে উঠলাম। কিন্তুু ছেলেটা ভিসন সুন্দর ।। তার চোখের দিকে তাকিয়েই আমি ক্রাশ খাইলাম।
)
ছেলেটা : ( এত্ত মায়াবি মুখ আমি কোনোদিন দেখিনি, মেয়েটা এত্ত মায়াবি প্রথম দেখেই প্রেমে পরে গেলাম)বাহ্ এত্ত স্টাইলের শাড়ি পরা আমি কোনো দিন দেখিনি।
.
আমি : ওওপস্ আমার শাড়ির কুচি গুলা মাটিতে গরাগোরি খাচ্ছে খেয়াল ই করিনি)
তকিয়ে দেখলাম আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। অসভ্য বলে কুচি তুলে রুমের দিকে দিলাম দৌড়। গিয়ে শাড়ি খুলে ঢিল দিলাম।ধুররর শাড়িই পরব না। একটা থ্রিপিস পরে বাহিরে আসলাম।অসভ্য লোকটা বার বার তাকিয়ে মিটমিট করে হাসছে। অসহ্য
.
যাই হোক বিয়ে টা ভালো ভাবে পার হয়ে গেলো।। আমি বাসায় চলে আসলাম।
কিছুদিন পর,,,,,, কলেজে আসলাম।সামনে আমার hsc
,কলেজ এ ঢুকতেই দেখলাম বিয়ে বারির সেই ছেলেটি একটা মেয়েকে বাইক এ নিয়ে বের হয়ে গেল।ব্যপারটা আমার কেন জানি ভালো লাগলো না। আমি ক্লাসে চলে আসলাম।কাউকে ডাকতে শুনছিলাম ওর নাম আবির।
,
আবির :::: আমি আমার সেই নয়নাকে দেখলাম। কিন্তুু তারায় ছিলাম তাই চলে গেলাম।কিন্তুু কাজ শেষ করে সেই কখন থেকে দারিয়ে আছি মেডামের দেখা নাই।
একটু পরে দেখলাম সে বের হচ্ছে। আজ ওকে এত্তই ভালো লাগছে বলার মতো না। আমি ওরে ডাক দিতেই আমার ওপর এসে উল্টে পরলো।।
আচ্ছা সত্তি বলো তো তোমার পায়ে কোনো সমস্যা আছে???
সুপ্তি- না মানে ইয়ে আসলে
আবির: বেশি বেশি complain খাবে। বুঝলা বাতাসী???
সুপ্তি- আমি কি ছোট মানুষ যে complain খাব। আর আমি মোটেও বাতাসী নই। আর আপনি এখানে কেন?
.
আবার: আরে মেডাম আমি আপনার সিনিয়ার। তোমার সব খবর আমার নেওয়া শেষ।
,
সুপ্তি- আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাসায় যেতে হবে।
আবির: ওকে চলো আমি ড্রপ করে দেই।
,
সুপ্তি- না ধন্যবাদ।আমি আমার বান্ধবির সাথে যাব।
,
আবির : কেন আমার সাথে যাবে না কেনো??? তোমার সাথে আমার জরুরি কথা আছে চলো ।
,
সুপ্তি- না আমার পারসোনাল সমস্যা আছে আমার এখনই যেতে হবে।
,
আবির :::: আচ্ছা তাহলে আসো। আর সাবধানে যেও।
,
সুপ্তি- হুম
(আমি কিছু না বলে চলে আসলাম।
পরদিন,,, কলেজ এ গিয়ে দেখি……….
চলবে,,,,,