চাচাত বোন যখন আদূরে বউ”
‘
(৮ম পর্ব)
‘
লিখা:- Nr Joy Khan(Nazmul)
‘
আমি নিলীমাকে আর কোন কথা বলতে না দিয়ে ওকে কোলে করে সোজা ছাদের দিকে হাটা দিলাম
ছাদে গিয়ে আমরা দুজন এক কর্নারে বসলাম। নিলীমা সোজা আমার কোলে বসে আমাকে জরিয়ে ধরল
আমি ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলাম আর পাগলীটা আমার বুকে নাক ঘসতে লাগল। একটু পর নিলীমা আমাকে বলল দেখ আকাশে কত সুন্দর চাদ উঠেছে।
আমিঃ
নিলীমাঃ এই এভাবে তাকিয়ে আছ কেন হুম তোমাকে আমি কি বললাম তুমি শোন নি
আমিঃ আমি আমার পাগলীটাকে দেখছি। আমার না তোমাকে আদর করতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে।
নিলীমাঃ এখন আদর দেখানো হচ্ছে না। সন্ধ্যায় তো আমাকে ঠিকই বকলে
আমিঃ আরে ঐ সময় তো আমি তোমার স্যার ছিলাম
নিলীমাঃ তাহলে এখন কী হুম।
আমিঃ কেন তুমি জান না।
নিলীমাঃ না।
আমিঃ আচ্ছা চিনাচ্ছি আমি কে
বলেই নিলীমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে ওর ঠোট আর আমার ঠোট এক করে দিলাম।
পাচ মিনিট পর পাগলীটাকে ছারলাম। দুজনই হাপাচ্ছি।
আমিঃ এবার চিনেছ আমি কে।
নিলীমাঃ যাহ দুষ্টু।
আর কিছুক্ষন ছাদে থেকে আমরা দুজন নিচে নেমে আসলাম। এবারও পাগলীটাকে কোলে করে নিয়ে আসতে হয়েছে। আমি জানি পাগলীটা আমাকে আনেক বেশি ভালবাসে তা না হলে পরিবার ছেরে আমার সাথে থাকত না আর বাসার সব কাজ করত না।
এভাবে ভালবাসার মধ্য দিয়েই আমাদের দিন কাটছিল তো একদিন আমি আমার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম ঠিক সেই সময় আমাদের এক বন্ধু এসে বলল
সিজানঃ দোস্ত আমিতো ক্রাশ খাইছি।
আমিঃ কস কি
সিজানঃ হু দোস্ত সত্যি ক্রাশ খাইছি।
সাকিবঃ তো মেয়েটা কে।
সিজানঃ মামা ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পরে
আমিঃ তাই নাকি তাহলে তো মেয়েটাকে দেখতেই হয়।
সিজানঃ মামা কাল দেখাব নে
পরদিন আমি আর নিলীমা একসাথে কলেজে আসছি। আমি তারাতারি বন্ধুদের আড্ডায় গেলাম
আমিঃ কিরে হারামি কই তোর ক্রাশ গার্ল।
সিজানঃ মামা তোর সাথে যে মেয়েটি গেট দিয়ে ঢুকল না সেই মেয়েটি।
কি বলে উই নিলীমা ছারাতো আমার সাথে কেউ ঢোকে নাই
আমি যখনই এই কথা ভাবছিলাম তখনই নিলীমা আমার কাছে এসে সবার সামনে বলল
নিলীমাঃ এই আমার না আজ ভাল লাগছে না চল কোথাও ঘুরে আসি।
সবাই আমার আর নিলীমার দিকে তাকিয়ে আছে।
নিলীমাঃ এই আপনারা সবাই আমাদের দিকে এইভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?
সবাই একসাথেঃ ও আপনার কী হয়?
নিলীমাঃ কেন আপনারা জানেন না আমি ওর কি হই।
সিজানঃ না তো
আমিঃ আসলে ওদেরতো আমি কিছু বলি নি।
সাকিবঃ কি বলস নি
আমিঃ আসলে আমরা দুজন স্বামী স্ত্রী।
সবাইঃ কীহহহহ! তোরা কবে বিয়ে করেছিস।
.
(চলবে….)