আকাশে তারার মেলা -পর্ব -১

0
2217

ভরা বিয়ের আসরে নিজের হবু বরের পা দুটো চেপে ধরল তুলি। ফ্যালফ্যাল নয়নে তাকিয়ে রইল বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত থাকা প্রত্যেক টা ব্যক্তি। এই প্রথম হয়ত দেখছে নিজের বিয়ের আসরে কোনো কনে নিজের হবু বরের পা জরিয়ে ধরে এভাবে কান্নায় ভেঙে পড়তে।পানিতে টুইটুম্বুর চোখ নিয়ে আহাদের দিকে মুখ তুলে চাইল তুলি। অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছে আহাদ। তার পাশেই দাঁড়িয়ে আছে তার প্রেমিকা । হাতের মুঠোয় হাত রেখে দাড়িয়ে আছে দু’জন স্বাভাবিক ভঙিমা বজায় রেখে। অপরদিকে লাল বেনারসি পড়ে বধূবেশে থাকা তুলি আহাদের পা চেপে ধরে বসে আছে মেঝেতে। অথচ আহাদ তুলির দিকে একবারও মুখ ফিরিয়ে তাকাচ্ছে না। তুলির মামা-মামী ও নিস্তব্ধত হয়ে আছেন। নিজের ছেলের এমন কান্ড দেখে তুলির খালা মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন চেয়ারে। আহাদের মুখ পানে অশ্রুসিক্ত নয়নে চেয়ে থেকে কান্নামিশ্রিত কন্ঠে বলে উঠল তুলি,,

—-আজ তো আমাদের বিয়ে ছিল আহাদ ভাই। দেখো না লাল বেনারসি পড়ে বধূবেশী এই আমি তোমার পায়ে হাত চেপে রেখেছি । অপেক্ষায় ছিলাম তোমার বধূবেশী সাজে। কিন্তু! কিন্তু আমার বদলে অন্য কারো হাত ধরে রেখেছ তুমি। ছোট থেকে আগলে রেখে কেন দিলে এমন পরিণাম? বিয়ে করে নাও আমাকে আহাদ ভাই।

তুলির অশ্রুসিক্ত কন্ঠের আকুতি আহাদের মস্তিষ্কে ছ্যাঁত করে উঠল। নিজের দু চোখ বুঁজে আবারও মেলে দৃষ্টি নিবদ্ধ করল তুলির মায়াবী মুখ খানাতে। নিষ্পাপ তুলি। শ্যামবতী কন্যা। অথচ অজস্র মায়ায় ভরপুর তার চেহারা। ডাগরডাগর চোখে চিকচিক করছে জল। সতেরো বছরের মেয়েটা কে লাল টুকটুকে বেনারসি তে হুট করেই সাতাশ বছরের রূপবতী মনে হচ্ছে আহাদের কাছে। নিজের ঠোঁট দুটো ভিজিয়ে নিল সে। শুকিয়ে গেল গলা। পাশে দাঁড়ানো ঝুমুর হাত টা আঁকড়ে ধরল আরো শক্ত করে। কঠিন গলায় বলে উঠল,,,

—আমি ঝুমু কে ভালোবাসি তুলি। তোকে আমি কখনোই ভালোবাসি নি। আমি জানতাম না খালামণি আমাদের বিয়ে ঠিক করে রেখেছিলেন আগে থেকেই। কিন্তু বিশ্বাস কর আমি তোকে নীতির মতো করে ছোট বোন ভেবে আগলে রেখেছি সর্বদা। মা যে হুট করে বিয়ের আয়োজন করে ফেলবে বুঝতে পারি নি আমি । তুই আমায় ক্ষমা করে দে তুলি।

আহাদের পা দুটো ছেড়ে বহু কষ্টে উঠে দাঁড়াল তুলি। ভারী বেনারসি টা ছোট্ট তুলির জন্য বহন করা খুব একটা সোজা নয়। আহাদ ও ঝুমুর দিকে এক পলক চাইল সে। আহাদের কাছাকাছি দাড়িয়ে কঠিন স্বরে বলে উঠল,,,

–অন্য কাউকে ভালোবাসলে কেন আমায় বিয়ের আসর পর্যন্ত আনলে? কেন আমার ছোট্ট মনটা তে তোমরা সবাই মিলে আঘাত হানলে? আমি তো বিয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না আহাদ ভাই। তোমরা সবাই মিলেই তো আমাকে,,,

কথাগুলো বলতে বলতে মামা -মামীর দিকে চোখ বুলাল তুলি। চিতকার করে বলল,,,

–শান্তি হয়েছে তোমাদের? হয়েছে শান্তি? আমায় বিয়ে দেওয়ার জন্য তো উঠে পড়ে লেগেছিলে। দাও এবার। বিয়ে দাও আমাকে। সহ্য করতে পারছিলে না তো আমাকে? বিদায় করো এখন। যার সাথে পারবে তার সাথেই বিদায় করে দাও।

কানাঘুঁষা শুরু হয়ে গেল পুরো বিয়ে বাড়িতে । ভারী শাড়ি টা আগলে নিয়ে পা বাড়াতেই ফ্লোরে ঢলে পড়ল তুলি । আঁতকে উঠল আহাদ। এগিয়ে আসতে নিলে বাঁধা প্রদান করলেন তুলির মামা। ওনি নিজেই কোলে করে রুমে নিয়ে গেলেন তুলি কে । সাথে সাথেই মুখ বাঁকাল তুলির মামী। ননদের দিকে তাকিয়ে বললেন,,

–ছেলের কুকীর্তি দেখেছ হিমা? কেমন ঠকাল মেয়েটা কে?

অসহায় চোখে আহাদের দিকে তাকালেন হিমা বেগম। কঠোর স্বরে বলে উঠলেন,,,

—-আমার ছেলে কুকীর্তি করেছে নাকি আপনি ও ভাইয়া উঠে পড়ে লেগেছিলেন তুলি কে বিদায় করতে? তুলি তো বোঝা হয়ে গিয়েছিল আপনাদের উপর। আমি কতো করে বলেছি একবার ছেলেমেয়েদের মতামত জেনে নিই কিন্তু আপনি ও ভাইয়া মিলে আমায় জোর করলেন বিয়েটার জন্য। দেখলেন তো পরিণতি???

আসমা বেগম মুখ বাঁকিয়ে চলে গেলেন। তুলির মামা এসে হতাশার নিশ্বাস ফেলে হিমা বেগমের উদ্দেশ্যে বলে উঠলেন,,

— আহাদ ও মেয়েটার বিয়ের ব্যবস্থা কর হিমা।

সাথে সাথেই বিচলিত কন্ঠে প্রশ্ন করল আহাদ,,

–তুলি ঠিক আছে মামা?

—ওর এ অবস্থার জন্য তুমি ও আমরা সবাই দায়ী। তাই এ প্রশ্ন টা করা মানায় না তোমার।

দমে গেল আহাদ।বিয়ে বাড়ির সবাই চলে গেলেন একে একে। তুলির মায়ের চাচাতো বোন ও ওনার হাসবেন্ড এসেছিলেন ওনারা ও চুপ করে বসে আছেন ড্রইং রুমে। তুলি সতেরো বছরের এক কিশোরী কন্যা। বাবা-মা কে হারিয়েছে প্রায় বছর খানেক গড়াবে। মামার সাথে বাবার বিজনেস ছিল। সেখানে তুলির কিছু প্রাপ্য আছে সেই সুবাদে মামার বাড়িতেই তার বসবাস। চাচা আছেন একজন কিন্তু বারো বছরের তুলি কে পালন করতে রাজি ছিলেন না তারা। শেষমেশ মামার বাড়িতেই ঠাঁই হল তার। কিন্তু মামীর চক্ষু বিষ ডাগরআঁখির অধিকারীণি তুলি।
——————————–
অন্ধকার রুমে চাঁদের ঝলমলে আলো এসে প্রবেশ করছে। পাশ থেকে হাওয়ার তালে নাকে এসে দোলা দিচ্ছে চাঁপা ফুলের ঘ্রাণ। বিছানার কোণায় মাথা ঠেকিয়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন তুলি। তার ছোট্ট বাটন ফোনটা যে কখন থেকে বেজেই যাচ্ছে সেদিকে খেয়াল নেই তার। শব্দ ও যেন তার কর্ণগোচর হতে রাজি নয়।গভীর চিন্তায় মত্ত মানুষগুলোর কি আর আশপাশের খেয়াল থাকে? টুপ টুপ করে জল ঝরে পড়ছে চোখ থেকে। ভিজিয়ে দিচ্ছে চাদরের সামান্য একটু অংশ। কষ্ট হচ্ছে তার। খুব বেশি পরিমাণে কষ্ট পাচ্ছে তার ছোট্ট হৃদয় টা। আহাদ কে সে ভালোবাসে না। তবে! তবে এক রাশ ভালো লাগা জমায়িত তার মন জুড়ে আহাদের জন্য। আবেগ বলা যেতে পারে অথবা বলা যেতে পারে সাময়িক ভালো লাগা। কিন্তু চঞ্চল মন যে মেনে নিতে পারছে না কষ্ট টা। তুলির বয়সের মেয়েদের জন্য হঠাৎ এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা মেনে নিতে পারা সহজ কথা না। ফোনটা আবার বেজে উঠতেই চরম বিরক্তি প্রকাশ করল তুলি। না দেখেই কানে ধরতেই কর্ণকুহরে এসে পৌঁছাল আহাদের দৃঢ় কন্ঠ। সোজা হয়ে বসল তুলি।

—আ’ম সরি রে তুলি। আমার জন্য আজ কতো কিছু ফেইস করতে হলো তোকে। আমায় ক্ষমা করে দে বোন।

—বোন বলছো আবার ক্ষমা ও চাইছো? যদি পারো তবে দোয়া করবে তোমার ছোট্ট বোনের হৃদপিণ্ড যেন এক রাজকুমার এসে কবজা করে নেয়।

অবাকের শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছে গেল আহাদ। নরম স্বরে বলে উঠল,,,

–তুই অনেক কষ্ট পেয়েছিস তাই না তুলি? জানিস তুই যখন আমার পায়ে ধরেছিলি তখন মনে হচ্ছিল কেউ আমার কলিজা ছিঁড়ে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমি অসহায় ছিলাম তুলি। যেই মেয়েটা আমার জন্য নিজের পরিবার ত্যাগ করে চলে এসেছে ঢাকা থেকে তাকে আমি কিভাবে ফিরিয়ে দিতাম বল? তোকে বিয়ে করলে তোদের দু জন কেই ঠকানো হত। আমি খুব ঘাবড়ে গিয়েছিলাম তুলি। মামা এতো তাড়াহুড়োয় বিয়েটা ঠিক করল যে আমি কোনো সিদ্ধান্তই নিতে পারছিলাম না। দয়া করে আমায় ক্ষমা করে দিস।

কিছু বলল না তুলি। কল কেটে ফোনটা ফেলে দিল বিছানায়। চোখের অশ্রু এখনও গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে। ভালো না বাসুক! ভালো লাগা তো ছিল। প্রেমিক পুরুষ না হোক এক মুহুর্তের জন্য হলেও তার অতি চঞ্চল কিশোরী মনটা স্বামী রুপে আহাদ কে কল্পনা তো করেছিল! আজ আহাদ তার ছোট্ট মন ভঙ্গ করেছে হয়তো সময়ের স্রোতে একদিন আহাদের মন ভঙ্গ হবে।
——————————————-
গাড়ি ছুটে চলেছে সুদূরে কোথাও। ফাল্গুনের মৃদু মৃদু বাতাস পাল্লা দিয়ে উড়িয়ে চলেছে তুলির খোলা চুল। মৃদু মৃদু বাতাস শীতের রুক্ষতা দূর করে মন কে উদাস করে দিচ্ছে। ঋতুরাজ বসন্তে প্রকৃতি সেজে উঠেছে নতুন রুপে কিন্তু তুলির মনে কেন ঘোর অমানিশার সমাহার? কিশোরী বয়সের আবেগ কেন চঞ্চল তুলি কে দমিয়ে দিচ্ছে? চোখ জোড়া ব্যস্ত বাহিরের দৃশ্য অবলোকন করতে । সবুজে ঘেরা প্রকৃতি দেখতে। তুলি কখনও এর আগে ঢাকা আসে নি। আজ প্রথম ঢাকার উদ্দেশ্যে ছুটে চলেছে সে। মাথায় কারো হাতের স্পর্শ পেতেই আলতো হাসল তুলি। একটা নদী দেখিয়ে বলল,,,

—দেখো না খালা মণি নদী টা কি সুন্দর!

তুলির দিকে চেয়ে মুখে হাসি ফুটে উঠল মিসেস সায়েরার। তিনি তুলির মায়ের চাচাতো বোন। বাবার বাড়িতে সচরাচর আসা হয় না ওনার। বহু বছর পর এসে তুলি কে দেখে মায়ায় পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। পরক্ষণেই যখন জানতে পারল তুলির বিয়ে চমকে উঠেছিলেন। আর গত পরশু দিন যা হলো তাতে মেয়েটার জন্য ভীষণ কষ্ট লেগেছে ওনার। তুলির মামার কাছে আবদার করলেন তুলি নিজের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তুলির মামী যেন না চাইতেই জল পেয়ে গেল। ধরে বেঁধে বিদায় করে দিল তুলি কে। তুলির খারাপ লাগে নি। একটু ও খারাপ লাগে নি। এ শহরে আর থাকতে চাই না সে। তার মন তো নিজের মত করে উড়তে চায় অন্য কোনো শহরে । কিশোরী বয়স টাই এমন। আহাদের চেহারা দেখে ব্যথিত হতে ও আর রাজি নয় সে। তবুও বেহায়া কষ্ট কি আর এতো সহজে ছেড়ে দিতে রাজি হয়!!!

ড্রইংরুমে বসে আছে তুলি। সায়েরার দুই মেয়ে ইনশিতা ও আমরিন ড্যাবড্যাব চোখে তাকিয়ে আছে তুলির দিকে। ইনশিতা অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। আমরিন তুলির সমান এবার কলেজে ভর্তি হবে। ইনশিতা ও আমরিনের কাছে তুলি কে ভীষণ ভালো লেগেছে। ভীষণ! কেমন মায়াবী চেহারার মেয়েটা। আর এসেই কেমন মিশে গেছে ওদের দু’জনর সাথে। পকপক করার জন্য যে তুলি নামক মেয়েটা ওস্তাদ তা বুঝতে বাকি নেই ইনশিতার। তাদের বাড়িতে তো আগে থেকেই এক অত্যন্ত রাগী, গুমরো মুখো মানুষের বসবাস। এখন তো এক পকপক রাণী ও চলে এসেছে। এবার মনে হচ্ছে বাড়িটা একদম পরিপূর্ণ হয়েছে। প্রচন্ড টায়ার্ড তুলি বিছানায় শুয়েই চোখ দুটো বুঁজে নিল। খুব সুন্দর বাড়িটা। দুপুরে এসেই ফ্রেশ হয়ে ঘুরে ঘুরে দেখেছে আমরিনের সাথে। আমরিন ও ইনশিতা কে বেশ ভালো লেগেছে তার। এখন তার মনটা একটু শান্তি চায়। একটু বসন্তের মাঝে হারিয়ে যেতে চায়।


সন্ধ্যের আকাশ জুড়ে রক্তিম আভার মেলা। ছাদে অজস্র নয়ন তারার ছড়াছড়ি। ইনশিতার সাথে এসেছিল ছাদে। কোনো একটা কাজে নিচে গিয়েছে ইনশিতা। তখন থেকেই একা দাঁড়িয়ে গায়ে হাওয়া লাগাচ্ছে ছাঁদের কার্নিশ ঘেঁষে । হঠাৎ! হঠাৎ ঘাড়ে উত্তপ্ত নিঃশ্বাস অনুভূত করতেই পিলে চমকে উঠল তুলির। ভয়ার্ত মন নিয়ে উল্টো ঘুরতেই তাল সামলাতে না পেরে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যেতে নিলে তার কোমর জরিয়ে একদম কাছে টেনে নিল কেউ। মানুষটার বুকের কিছু অংশ খামচে ধরে চোখ খুলে তাকাতেই ধুকপুক করা হৃদপিন্ড স্পন্দিত হতে লাগল প্রচন্ড গতিতে। নীলাভ চোখ। এই প্রথম নীলাভ চোখের মণি দেখেছে তুলি। সুদর্শন এক যুবক তার কোমর জরিয়ে চেয়ে আছে তার দিকে ভ্রু কুঁচকে। কি সুন্দর ছেলেটা! তুলির অবুঝ মন হঠাতই বলে উঠল কথাটা। মুখে নিরলসভাব এনে ছেলেটা গম্ভীর স্বরে প্রশ্ন করে বসল,,

–কে আপনি? এখানে কি করছেন?

কি বলবে তুলি? তার গলা তো শুকিয়ে কাঠ । এভাবে প্রথম বার কোনো পুরুষের এতোটা কাছাকাছি সে। এভাবে কাছ থেকে কখনও কোনো ছেলে কে দেখা হয় নি তার। নীরবতা যেন তাকে আষ্টেপৃষ্টে আঁকড়ে ধরেছে। হ্যাঁচকা টান অনুভব করতেই নিজেকে আবিষ্কার করল ছেলেটার বুকের মধ্যে। হৃৎস্পন্দন এসে কানে বারি খেতে লাগল বার বার। ঢোক গিলল তুলি। মুখ তুলে তাকাল নীল পাঞ্জাবি পড়া ছেলেটার মুখের দিকে। ছেলেটার চোখে মুখে বিরক্তির আভা ফুটে আছে। কিছু টা সরে এসে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে জবাব দিল, ,

—-আআমমি তুলি।

আচমকাই সম্মুখে দাঁড়ানো ব্যক্তিটার মুখে হাসি ফুটে উঠল। চোখে ফুটে উঠল মুগ্ধতা। ঠোঁট দুটো আরেকটু প্রসারিত করে তুলির একদম কাছে এগিয়ে এসে বলল,,,

–কুমিল্লার তুলা????

অজান্তেই মাথা দুলাল তুলি। ছেলেটা মুচকি হেসে যেতে যেতে বলে গেল,,,

–অবেলায় ছাদে থাকলে পেত্নী ধরবে তুলা। নিচে নেমে এসো।

তুলি যেন কোনো মোহে আটকা পড়ে গেছে। পরক্ষণেই ছেলেটার যাওয়ার পথে তাকিয়ে একটা কথা মাথায় আসতেই মুখ হা হয়ে গেল তার। নিজেই বিড়বিড় করে বলতে লাগল,,,

–কুমিল্লার তুলা!!!!

#আকাশে তারার মেলা
#লেখিকাঃআসরিফা সুলতানা জেবা
#পর্ব -১

চলবে???

(আগের গল্পটা কে সবাই অনেক ভালোবাসা দিয়েছেন। আশা করি এই গল্পটা ও ভালো লাগবে।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here