‘ একদিন তুমিও ভালোবাসবে ‘
||পর্ব~২৪||
@কোয়েল ব্যানার্জী আয়েশা
৪১.
আদিত্য প্রিন্সিপালের ঘরের বাইরে দেয়ালে মাথা ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো চোখ বন্ধ করে সেসময় আদিত্যকে কেউ একটা ধাক্কা দেয়। আদিত্য চমকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে কে এসেছে সেটা দেখতে পেয়ে ক্যাবলা হাসলো আর মাথাটা হালকা চুলকে বললো,
‘রাজ তুই? কখন এলি?’
‘প্রথম প্রেমে পড়লে সত্যিই মানুষের এমন দশাই হয় এটা তোকে না দেখলে শিওর হতে পারতাম না।’
‘ই..ইয়ে মানে…
‘কার কথা ভাবছিলি এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে? তোর বউয়ের?’
রাজ হেসে কথাটা জিজ্ঞেস করলে আদিত্য হালকা হেসে হ্যাঁ বোধক মাথা নেড়ে বলে,
‘ভাবছিলাম ওকে কি ভাবে বলবো আমার মনের কথাটা? ওর সাথে যেই বিহেভটা আমি করেছি সেটা তো ও ডিসার্ভ করতো না। এখনও ও আমার জন্যেই সাফার করছে। জানি না ও আমাকে মেনে নিতে পারবে কি না।’
রাজ আদিত্যকে চিন্তিত দেখে ওর কাঁধে হাত রেখে বললো,
‘তুই একবার যখন বুঝতে পেরেছিস তুই মৌমিতাকে ভালোবাসিস তখন হাল ছাড়িস না। হ্যাঁ, দোষ তোর বেশি বাট তুই সেটা শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করছিস এটা দেখলেও মৌমিতা তোকে ক্ষমা করে দিতে পারে। কিন্তু ভাই, জিয়ার কেসটা? ওটা আমি বলতে পারছি না। জিয়া যেভাবে তোর সাথে চিপকে থাকে সেটা কোনো মেয়েই মেনে নেবে না। কোন স্ত্রী মানতে পারে নিজের স্বামীকে অন্য একটা মেয়ের সাথে? সেখানে তুই তো আবার জিয়াকে নিজের জিএফ বলে রেখে দিয়েছিস।’
‘রাজ তুই ভালো ভাবে জানিস আমি কাউকে বলিনি জিয়া আমার জিএফ। ও নিজেই লোককে বলে বেড়ায় সেখানে আমি কি করতে পারি বল তো? কিন্তু তুই ঠিকই বলছিস, এই বিষয়ে মৌয়ের রাগ করাটা স্বাভাবিক। আমি নিজেই তো ওকে অন্য কোনো ছেলের সাথে সহ্য করতে পারি না।’
রাজ জোরে হেসে ফেললো আদিত্যের কথা শুনে সেই দেখে আদিত্য ভ্রু কুঁচকালে রাজ ওকে বলে,
‘আমি ভাবতেই পারছি না তুই নিজেকে অন্যের জায়গায় রেখে তার অবস্থাটা, অনুভূতিগুলো বোঝার চেষ্টা করছিস। এটাই তো চাই ব্রো! বৌদিকে তো মানতেই হবে এবার। আমাদের এতদিনের নিরামিষ আদিত্য ব্যানার্জীকে কয়েক মাসেই বদলে দিয়েছে।’
‘ঠিক আছে ঠিক আছে, চল চল। দেরী হয়ে যাচ্ছে, এমনিতেই দেরী করে এসেছিস তুই। কোথায় ছিলি?’
রাজ হাসছিলো এতক্ষন কিন্তু আদিত্যের প্রশ্ন শুনে আস্তে আস্তে ওর মুখের হাসিটা মিলিয়ে গেলো। সামাল দেওয়ার জন্য আমতা আমতা করে বললো,
‘আমি, ওই, ওই আসার পথে ভার্সিটিটা একটু ঘুরে দেখছিলাম। তাই দেরী হলো আর কি।’
‘তুই তো এক্সাম দিতে এসেছিস, তাহলে তোর তো ভার্সিটি ভোলার কথা নয়?’
আদিত্য এভাবে কথাটা ধরে ফেলবে রাজ ভাবতে পারেনি। এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে রাজ বললো,
‘ছাড় না, চল ভিতরে।’
‘রাজ!’
রাজ এগিয়ে যেতে নিলে আদিত্য রাজের কাঁধে হাত রেখে বাঁধা দিলো। ওর দিকে এগিয়ে, পাশে দাঁড়িয়ে বললো,
‘কথা বলেছে….(একটু থেমে) কোয়েল?’
রাজ কেমন জানো নেতিয়ে পড়লো আদিত্যের প্রশ্নে। একটা ব্যর্থতার নিশ্বাস বেরিয়ে আসলো তার ভিতর থেকে। চোখ-মুখ শক্ত করে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিলে আদিত্য রাজকে জিজ্ঞেস করে,
‘যার দায়িত্ব আমাকে দিয়ে গেছিলি, প্রতিটা মুহূর্তে যার খবর নিয়েছিস সে কেমন আছে জানতে চাইলি না তো একবারও?’
রাজ অবাক হয়ে আদিত্যের দিকে তাকালে আদিত্য হালকা হাসে। হেসে বলে,
‘তুই কি ভেবেছিস? তুই খবর নিবি অন্যদের থেকে আর আমি টের পাবো না এটা হতে পারে?’
‘কেমন আছে ও?’
ভাঙা গলায় রাজের উত্তর পেলে আদিত্য একটু মজার ছলে বলে,
দেখ, আমার নিজেরও তো প্রাণের ভয় আছে নাকি? তোর প্রাণপাখির খেয়াল না রাখলে তুই তো আমার প্রাণপাখি ফুরুত করে দিতি? তখন আমার বাচ্চা বউটার কি হতো বল?’
‘শালা তোরে তো?’
__’প্রিন্সিপাল ম্যাডাম আপনাদের ডাকছেন।’
রাজ আদিত্যের কলার ধরে ওকে মারতে গেলে প্রিন্সিপালের রাখা স্টাফটি এসে পরে। তাকে দেখে রাজ আদিত্যকে ছেড়ে দিলে আদিত্য জয়ের হাসি হাসে। সেই দেখে রাজ বলে,
‘বেঁচে গেলি। চল, চল। না জানি ইনি আবার কি বলবে?’
‘জিয়ার বাবা যা শিখিয়েছে তাই বলবে, আবার কি?’
‘ওই জন্যেই তো যেতে মন চাইছে না।’
‘কিন্তু যেতে তো হবেই।’
আদিত্য আর রাজ একটা বড় নিশ্বাস নিয়ে ভিতরে ঢুকে গেলো জানো যুদ্ধে যাচ্ছে। ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখলো প্রিন্সিপাল ম্যাডাম চিন্তিত হয়ে বসে আছেন, ওদের দেখেই উঠে দাঁড়ালেন। রাজের দিকে তাকিয়ে জানো স্বস্তি পেলেন উনি যেটা আদিত্য লক্ষ্য করলো।
‘রাজ, তুমি এইবার রেগুলার আসবে তো?’
রাজ আদিত্যের দিকে আড় চোখে তাকিয়ে একটু ইতস্তত করে বললো,
‘হ..হ্যাঁ।’
‘কিছু একটা করো তোমরা দুজন মিলে এবার। প্লিজ!’
‘কি হয়েছে ম্যাডাম? পরেশবাবু কি কিছু…
‘হ্যাঁ। উনি ডিরেক্টর হওয়ার পর থেকে উল্টো পাল্টা বিষয়ে আমাদের সাপোর্ট করতে বলছেন। ওনার মেয়ের কাজকর্মের কথা তো ছেড়েই দাও। আদি, তুমি বুঝতে পারছো তো আমি কিসের কথা বলছি?’
‘বুঝতে পারছি ম্যাডাম। আপনি চিন্তা করবেন না।’
প্রিন্সিপাল ম্যাডাম ওদের কাছে এগিয়ে এসে রাজের দিকে তাকিয়ে বললো,
‘তুমি যে নিজের কাজে এভাবে সাফল্য পাবে, তা সত্যি ভাবিনি আমি। যাক, তোমাকে সাপোর্ট করে আমি ভুল করিনি তাহলে। আরো এগিয়ে যাও, এত কম বয়সে তুমি এত ভালো কাজ করছো ভাবতেই গর্ব হচ্ছে। আদির মতো তুমিও যে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছো এটা জেনে আমি খুব খুশি।’
রাজ প্রিন্সিপাল ম্যাডামের কথা শুনে ভয়ে ভয়ে আদিত্যের দিকে তাকালে দেখে আদিত্য নিরাকার ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। এটা দেখে রাজ মনে মনে বললো,
‘ঝড় ওঠার আগের পরিবেশ। এখান থেকে বাইরে বেরিয়ে বাঁচবো কি না সন্দেহ, আপনি আমাকে আরো এগানোর কথা বলছেন?’ শেষ রাজ, তুই শেষ। তোর আর বিয়ের শখ পূরণ হবে না বাদ বাকির কথা তো ছেড়েই দে।’
‘আমার নিজেকে অনেক হেল্পলেস লাগছে বিশ্বাস করো? একজন প্রিন্সিপাল হয়ে আমি কিছুই করতে পারছি না শুধুমাত্র পলিটিক্যাল প্রেসারের জন্য। ওরা এখন রণিতকেও দলে টেনেছে।’
কথাটা শুনে আদিত্য চমকে উঠলো। ও মনে মনে এইটাই ভেবেছিলো যা সত্যি দাঁড়ালো।
‘যাই হোক, শীত এসে গেছে। আদি, তুমি তো জানোই প্রত্যেকবার আমাদের ভার্সিটি থেকে ট্যুরে নিয়ে যাওয়া হয়। এইবারও হবে আর তুমি যেহেতু ইউনিয়ন লিডার প্লাস লাস্ট ইয়ার তাই দায়িত্ব তোমার উপর। সাথে পার্টনার হিসাবে রাজকেও নিয়ে নিতে পারো। সমস্যা নেই।’
‘তার আগেই অনেক বড়ো সমস্যার সমাধান করবো ম্যাডাম। আসছি।’
আদিত্য কথাটুকু বলেই বেরিয়ে গেলো প্রিন্সিপালের রুম দিয়ে। রাজ তো বোকার মতো তাকিয়ে আছে আদিত্যের যাওয়ার দিকে। কিছুক্ষণ পর ওর নিজেকে নিয়ে ভয় লাগতে শুরু হলে, প্রিন্সিপাল ম্যাডাম কে বললো,
‘ম্যাডাম আপনি আদির সামনে কথাগুলো না বললেই পারতেন। ও তো..
‘আমি ইচ্ছা করেই বলেছি রাজ। তোমরা দুজন একে অপরকে না জানিয়ে কিচ্ছু করোনা সেখানে তোমাদের সাকসেসের বিষয়টা লুকিয়ে গেছো? যত বেশিদিন এটা লুকিয়ে রাখবে তত খারাপ হবে তোমাদের সম্পর্ক সবটা জানার পর, যেটা আমি চাই না। যাও, সবটা মিটিয়ে নাও নিজেদের মধ্যে। তোমাদের দুজনকে এক হয়ে ন্যায়ের জন্য লড়তে হবে, কেউই একা পারবে না।’
রাজ প্রিন্সিপালের কথায় হেসে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে। বেরিয়ে ভাবতে লাগলো আদিত্য কোথায় যেতে পারে রাগের মাথায়।
অন্যদিকে,
‘এভাবে ওখান থেকে টেনে নিয়ে এলি কেন আমাকে? আর এরমভাবে কে থ্যাংক ইউ বলে?’
‘তো কীভাবে থ্যাংক ইউ বলতাম? ফুল-মালা দিয়ে পুজো করে? ওনাকে কে বলেছিলো আমাকে বাঁচাতে? আমি পড়ে গেলে পড়ে যেতাম তাতে ওনার কি? যত্তসব!’
আমি কোয়েলের ব্যবহারে অবাক হয়ে গেলাম। এরকম ব্যবহার করছে কেন হঠাৎ করে? আমি কোয়েলের কাঁধে হাত দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
‘কি হয়েছে তোর? সামান্য বিষয়ে এতো রিয়াক্ট কেন করছিস?’
আমার কথা শুনে কোয়েল জানো হুঁশে ফিরলো। কোয়েল কিছু বলবে তার আগেই আমি নিজের হাতের উপর কাওর হাতের স্পর্শ পেলাম। পাশে তাকাতেই দেখলেন রণিত আমার হাতটা ধরে দাঁড়িয়েছে।
‘তুই এখানে?’
আমি হাতটা ছাড়াতে যাবো তখনই রণিত আমার হাতটা নিজের বুকের সামনে ধরলো আর আমি অবাক হয়ে গেলাম। কোয়েলের দিকে তাকাতেই দেখলাম ও’ও আমার মতো অবাক হয়ে আছে।
‘কি করছিস রণিত? সবাই দেখছে তো নাকি?’
‘দেখুক, আই ডোন্ট কেয়ার।’
‘রণিত হাতটা ছাড় আমার, প্লিজ!’
আমি রণিতের থেকে হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছি কিন্তু ও ততো বেশি করে আমার হাত শক্ত করে ধরছে। মুহূর্তেই ভার্সিটির স্টুডেন্ট যারা আশেপাশে ছিলো তাঁরা সবাই তাকিয়ে আছে। মাথাটা এতো গরম হচ্ছে কিন্তু কিছু করতেও পারছি না। এরমধ্যেই রণিত হুট করে আমার আরেক হাত নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে বললো,
‘আই লাভ ইউ মৌমিতা! আই রিয়েলি রিয়েলি লাভ ইউ। প্রথম দেখাতেই আমি তোর প্রেমে পরে গেছি, যাকে বলে লাভ এট ফার্স্ট সাইড। প্লিজ, আমাকে ফিরিয়ে দিস না। আমি পারবো না তোকে ছাড়া থাকতে। ট্রাস্ট মি, আমি তোর মনের মতো হয়ে থাকবো। প্লিজ!’
আমি বাকরুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছি রণিতের কথাগুলো শুনে। কি বলবো বা কি করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করেও লাভ হচ্ছে না। কিছু ভেবে না পেয়ে আশেপাশে তাকাতেই আমার নজর একজনের উপর স্থির হয়ে গেলো।
‘আদিত্য! উনি কি? উনি কি রণিতের কথাগুলো শুনে ফেলেছেন? মনে হয় তাই, ওইজন্যেই ওনার মুখটা এরকম ফ্যাকাশে লাগছে কিন্তু আমি কি করতে পারি? আমি তো কথা বলা কমিয়ে দুরত্ব বাড়িয়ে নিতেই চেয়েছিলাম ওনার কথা শুনে কিন্তু তার আগে যে রণিত এমন করবো কি করে বুঝবো?’
আদিত্য ওখান থেকে চলে গেলেন আমার দিকে থেকে দৃষ্টি সরিয়ে। ওনার চোখটা কেমন জানো ছলছল করেছিল। না, না। এটা একদম ঠিক হলো না। কালকেই উনি বারণ করলেন রণিতের সাথে মিশতে আর আজকেই এমন? যতই হোক, আমি একজন বিবাহিত মেয়ে। এভাবে একজন পর পুরুষ আমাকে স্পর্শ….
কথাটা ভাবতেই আমার মধ্যে কি হলো জানি না। আমি জোর করে রণিতের হাত থেকে হাতটা ছাড়াতে চাইলেও রণিত না ছাড়লে ওকে বলি,
‘হাত না ছাড়লে উত্তর পাবি না।’
কথাটা শুনে রণিত আমার হাত ছেড়ে দিলে আমি সজোরে একটা চড় বসিয়ে দেই ওর গালে সবার সামনে। ও চুপচাপ মাথা নিচু করে থাকলে আমি বলি,
‘সাহস কি করে হলো তোর আমাকে এভাবে টাচ করার? আমি তোকে রাইট দিয়েছি কোনোদিন আমাকে টাচ করার? আগের দিন কোলে তুলেছিলি আমাকে হেল্প করার জন্য তাই কিছু বলিনি বলে ভেবে নিলি কখনো কিছু বলবো না? আজকের পর থেকে আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টাও করবি না। নাহলে এর পরিণাম ভালো হবে না।’
কথাগুলো বলে আদিত্য যেদিকে গেছেন সেদিকে চলে এলাম। কোয়েল আমার পিছনে আসলে ওকে বললাম,
‘আদিত্য এদিকেই এসেছিলেন। তুই একটু ওদিকটায় খোঁজ।’
‘আদিত্যদা দেখেছে পুরো বিষয়টা?’
‘তাই তো মনে হচ্ছে।’
কোয়েল অন্যদিকে চলে গেলে আমি খুঁজতে থাকি কিন্তু আদিত্য কোথাও নেই। কোথায় চলে গেলেন এক মুহূর্তের মধ্যে?
__’আদি কে খুঁজছেন?’
পিছন থেকে একটি ছেলের আওয়াজ পেয়ে ঘুরলাম তার দিকে। রাজ! হ্যাঁ, উনি তো জানতেই পারেন আদিত্যের কথা।
‘হ্যাঁ। আপনি জানেন উনি কোথায়?’
‘নাহ। যতদূর জানি রেগে আছে, কিন্তু কোথায় আছে আর ঠিক কি বিষয়ে রেগে আছে বুঝতে পারছি না।’
‘আমার জন্যেই রেগে আছেন।’
‘কেন? আপনি কি করেছেন….বৌদি!’
আমি চমকে উঠলাম রাজের কথায়। ওনার দিকে অবাক ভাবে বড়ো বড়ো চোখ করে তাকালে উনি হেসে ফেলেন আর বলেন,
‘চিন্তা করবেন না আমি আদিত্যের বেস্ট ফ্রেন্ড টি পুরো বিষয়টাই জানি। কাওকে বলবো না আমি। এখানে কেউ নেই তাই বৌদি বলে ডাকলাম নাহলে মৌমিতাই বলতাম।’
‘তাহলে আপনি না বলে তুমি বলবেন। আপনার থেকে বয়সে ছোটো আমি।’
‘যো হুকুম, বৌদিমনি।’
‘(হালকা হেসে) আচ্ছা আপনি দেখেছেন ওনাকে?’
‘নাহ। রেগে আছে কিন্তু তুমি কি কিছু করেছ? আমি যতটুকু জানি আমার জন্য রেগে আছে।’
আমি রাজদাকে সবটা বললাম কিছুক্ষণ আগে যা যা ঘটেছে। সব শুনে উনি একটা ঢোঁক গিলে বললেন,
‘তোমার নাম্বারটা দাও। আমি তোমাকে সবটা জানাবো যদি আস্ত থাকি। আজকে বোম্ব ব্লাস্ট হবে একটা।’
‘এ্যা?’
‘হ্যাঁ! তাড়াতাড়ি করো। ও যদি গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায় সমস্যা হয়ে যাবে। এখন তুমি ওর কাছে যেও না, আমিই যাচ্ছি।’
আমি আমার নাম্বারটা রাজদাকে দিয়ে দিলে রাজদা ছুটে বেরিয়ে যায় ভার্সিটি থেকে। এদিকে আমার তো আগের ঘটনার কথা ভেবে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। আমি একা দাঁড়িয়ে আছি এমন সময় আমার কাঁধে হাতের স্পর্শ পেলাম…………….
[#ফিরে_আসবো_আগামী_পর্বে 🥀]
আইডি- কোয়েল ব্যানার্জী