#সুখের_নেশায়
#লেখিকাঃআসরিফা_সুলতানা_জেবা
#পর্ব___৬
‘ আমার মা হয়ত অজ্ঞাত ছিল নিজের হাতে আগলে রাখা পরিবারের শয়তানি মুখোশ হতে! দাদি ব্যাতিত কেউই ভালোবাসার হাত টা বাড়ায় নি আমার দিকে এই পরিবারের। এমন মানুষগুলোকে আম্মু নিজের ছায়াতলে জায়গা দিয়েছে যারা কি-না তার ছেলেরই প্রাণ কেঁড়ে নিয়ে দখল করতে চায় সর্বস্ব। ‘
দিহান সচকিত নয়নে তাকালো সাফারাতের মুখের দিকে। গাঢ় তমসায় আবছা আবছা আলোতে স্পষ্ট দেখতে পারছে না সে সাফারাতের চেহারাটা। তবুও সাফারাতের মুখভঙ্গি বুঝার আপ্রাণ চেষ্টা তার। বিষন্ন,মলিন কন্ঠে বললো,
‘ চৈত্রিকাকে সেদিন এভাবে অস্বীকার করা ঠিক হয় নি তোর সাফারাত।’
‘ তুই ওকে আমার বাড়ির এড্রেস দিয়ে ভুল করেছিস।’
‘ মেয়েটা প্রচন্ড আঘাত পেয়েছে।’
সঙ্গে সঙ্গে সাফারাতের সুদীর্ঘ ভারি নিঃশ্বাস দিহানের কর্ণকুহরে এলো। মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে বসল সাফারাত। নিষ্প্রভ স্বরে প্রতিউত্তর দিল,
‘ তার চেয়েও অধিক আঘাত আমি পাচ্ছি। প্রতিনিয়ত কষ্টে জর্জরিত হচ্ছে আমার মন।’
‘ কলেজ জীবনের সেই অভিমান কে আঁকড়ে এত বছর দূরে থেকেও তো পারলি না থাকতে। ঠিকি চলে এলি ওর টানে। তাহলে এখন কেন আঘাত করছিস ওকে?’
সাফারাত গাড়িতে আলো জ্বালিয়ে রক্তিম দৃষ্টি তাক করল দিহানের পানে। ঠোঁট বাকিয়ে অল্প হেসে বললো,
‘ অভিমান আছে। তাই বলে ওকে আমার আঘাত করার সাধ্য নেই।
পুনরায় গম্ভীর স্বরে বললো,
‘সেদিন নিরুপায় ছিলাম আমি। বিন্দুমাত্র কেউ আমার দুর্বলতা আঁচ করতে পারলে ওকে ছেড়ে দিত না। তবুও আমার জন্য ওর বাবার এতো বড় ক্ষতি হয়ে গেল। পৃথক সন্দেহের উপর ভিত্তি করেই ওকে আঘাত করে, ওর পরিবার কে আঘাত করে আমাকে ভেঙে দিতে চেয়েছে। তখন তো আমি জানতাম না আমার উপর দুইবার এট্যাক পৃথক করেছিল। তা আজ যখন জানলাম তখনই তুই জানালি চৈত্রর বাবার এক্সিডেন্ট হয়েছে তাও পৃথকের গাড়ির নিচে।’
দিহান সূক্ষ্ণ একটা নিঃশ্বাস ফেলল। আজ অফিস হতে ফেরার পথে সে নিজ চোখে দেখেছে একটা গাড়ি ইচ্ছাকৃতভাবে একজন লোক কে ধাক্কা দিয়েছে,যার ফলে লোকটা তাল সামলাতে না পেরে রাস্তায় ছিটকে পড়ে। দিহান তড়িঘড়ি করে গাড়ি থামিয়ে নেমে আসার আগেই গাড়িটা লোকটার পায়ের উপর চাপা দিয়ে চলে যায়। হতবিহ্বল, দিশেহারা হয়ে পড়ে দিহান। গাড়িটার দিকে ভালো করে লক্ষ্য করতেই দেখে সাফারাতের চাচাতো ভাই পৃথক ড্রাইভ করছে। দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েছিল সে। গাড়ির পিছনে ছুটতে গিয়েও থেমে গেল। ফিরে এসে দেখল ইতিমধ্যে অনেক লোক জড়ো হয়ে গেছে। ভিড় ঠেলে কিছুটা এগিয়ে গিয়ে হালকা রক্তমাখা মুখ টা চিনতে একটুও অসুবিধে হয় নি তার। প্রথম দেখায় সে চৈত্রিকার বাবার মুখটা স্মৃতিতে গেঁথে নিয়েছিল,তাই মাত্র এক দু’দিনের ব্যবধানে ভুলল না। সবাই ধরাধরি করে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার সময় যাবে কি-না ভেবেও যায় নি। গাড়িতে উঠে সোজা চলে এলো সাফারাত দের বাড়িতে।
সাফারাত তখন পৃথকের কলার ধরে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে রেখেছে। দিহান আগে থেকে সাফারাতের এমন কান্ডের কারণ খুঁজে পাচ্ছিল না। বিচলিত স্বরে বলে উঠল,
‘ চৈত্রিকার বাবা কে পৃথক গাড়ি চাপা দিয়েছে সাফারাত। তুই কি সেটা জানিস?’
সাফারাত একটা টু শব্দও করে নি। একবার ঘাড় কাত করে চাইল শুধু। এক মুহুর্তের জন্য ভড়কে যায় দিহান। তার বলা কথাটায় সাফারাতের আঁখিজোড়ায় আগুন জ্বলে উঠেছিল যেন। অতঃপর এলোপাথারি মারতে শুরু করে পৃথক কে। কেউ যখন থামাতে পারছিল না,দেখছিল অবস্থা খুবই বেগতিক তখন উপায় না পেয়ে পুলিশ কে ফোন দেয় দিহান। কারণ পৃথক মারা গেলে সাফারাতের বিষাক্ত, বিষাদ ভরা জীবনটা আরো দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। দিহান ভেবেছিল উক্ত কারণেই হয়ত সাফারাত মেরেছে কিন্তু দিহান তখন একদমই বুঝে নি এই কারণ তো পরে যোগ হয়েছে পৃথকের পূর্বের করা কু কর্মের সাথে।
দিহান ভাবনা ভঙ্গ করে দ্রুতবেগে বলে উঠল,
‘ সেদিন চৈত্রিকা আমার অফিসে না এলে তো তোর অতীতের অনেক কিছুই আমার অজানা থেকে যেত। চৈত্রিকা নামক সুন্দরী আমার বন্ধুর এতো ঘনিষ্ঠ ফ্রেন্ড, কাছের কেউ তা তো জানতেই পারতাম না। মা যদি চৈত্রিকা কে পছন্দ করে ফেলত তাহলে না জেনেই তো বন্ধুর ঘনিষ্ঠ মানুষ টা আমার হয়ে যেত। আহারে!’
দিহানের ঠাট্টার স্বর শুনে ভ্রুঁ যুগল কুঞ্চিত হলো সাফারাতের। বিরক্ত বোধ করল প্রচন্ড। দিহান সাফারাতের চোখে মুখে বিরক্তি দেখে মিটমিট করে হাসল। চোখ রাঙাল সাফারাত। হাসি বন্ধ করে দিহান ধাতস্থ কন্ঠে বললো,
‘ জার্মান থেকে আসার পর তোর হাতে যে গুলি করেছিল ওইটা পৃথক ছিল তা কিভাবে জানলি তুই?’
‘ পৃথক নিজে করে নি,অন্যকে দিয়ে করিয়েছে। করিয়েছে আমার অফিসের এক কর্মচারীর মাধ্যমে। এছাড়া আমার খাবারে একবার বিষ মেশানো হয়েছিল। সেদিন বাড়িতে কেউ ছিল না। গ্রামের বাড়িতে ছিল সকলে। আমিই ছিলাম শুধু বাড়িতে। বাহির থেকে খাবার খেয়ে আসার কারণে আমি আর রাতে খাই নি। আমার বাড়ির কাজের লোক কে আমার জন্য সার্ভ করা খাবারটা খেয়ে নিতে বলি। কিন্তু আমি কখনও কল্পনাও করি নি আমার বদলে সে তার জীবন হারাবে। সেদিন অনেক খুঁজেও রাঁধুনি কে পাই নি। তখন বুঝতে পারি এর মধ্যে জড়িত ছিল রাধুনি। কিন্তু একজন রাঁধুনির আমাকে মেরে ফেলার মতো কারণ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তার উপর জার্মান থেকে ফেরার কয়েকদিনের মধ্যে এতো বার আমাকে মারার চেষ্টা আমার নিকটবর্তী মানুষ ছাড়া কে করবে! আমার জানামতে বাহিরে কোনো শত্রু পালছি না আমি। দ্বিতীয় বার চেষ্টা টা যখন আমার বাড়িতেই করা হলো,বুঝতে পারলাম দাবার গুটি আমার পরিবারের কেউই চালছিল। লোক লাগিয়ে অনেকদিন পরে সেই রাঁধুনি কে খুঁজে পেলাম। তার মুখ থেকেও শুনলাম পৃথকের নাম। আমার আগে থেকেই সন্দেহ ছিল পৃথকের উপর এবং তা মিলেও গেল।’
‘ তোর চাচা-চাচীও তো হতে পারে! ‘
অকপটে কথাটা বলে বসল দিহান। কোনো কিছু না ভেবেই। সাফারাত কপালে ভাঁজ ফেলে চাইল। সরব করে তীক্ষ্ণ কন্ঠে বলে উঠল,
‘ হতে পারে। মা-বাপ,ছেলে সবই তো এক জাতের। মাঝখান থেকে শুধু প্রিয়ন্তী টা ভিন্ন। ‘
গাড়ি থেকে নেমে দ্রুত পদে পুলিশ স্টেশনের ভেতরে ঢুকল সাফারাত। তার পিছু পিছু দিহান। সাফারাতের চাচা হামিদ বসে আছে ছেলের জন্য। ছেলেকে ছাড়িয়ে নিতে চাওয়ার জন্য পাগল হয়ে আছেন উনি, যা দেখে সাফারাতের ঠোঁটের কার্ণিশে প্রতীয়মান হলো বিদ্রুপের হাসি। চেয়ার টেনে সাফারাত তার চাচার পাশে বসল। তিনি চেয়েও পারছেন না সাফারাতের কাছে ছেলের জন্য আকুতি করতে। করলেও সাফারাত শুনবে না। এই ছেলেটাকে একটা সময় প্রচন্ড আঘাত করেছে তারা সুযোগ পেয়ে। তারই প্রতিশোধ হয়ত ভিন্ন ভাবে কড়ায়-গণ্ডায় নিচ্ছে সাফারাত।
হামিদের করুন চাহনি সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে পুলিশের হাতে একটা মেমোরি কার্ড তুলে দেয় সাফারাত। এতে পৃথকের বিরুদ্ধে সব প্রমাণ আছে। অফিসের ওই কর্মচারীর মুখ থেকে সত্য বের করতে অনেক বেগ পোহাতে হয়েছে তাকে। মেয়েটা পৃথকের গার্লফ্রেন্ড লিজা। লিজা পৃথকের কথায় জব নিয়েছিল সাফারাতের অফিসে। মেয়েটা অসম্ভব সুন্দর ও স্মার্ট। তার উপর সন্দেহ করার মতো কোনো সুযোগ কাউকে দেয় নি। তবে যেদিন মিটিংয়ের উদ্দেশ্যে ঢাকা হতে বাহিরে গিয়েছে এবং লিজা পানি কিনার জন্য গাড়ি থেকে নেমে যায়,ঠিক সেসময় গাড়ির জানালার কাঁচ ভেদ করে বুলেট এসে লাগে সাফারাতের বাম হাতের বাহুতে। তারই কিছু সময় পর লিজা ফিরে আসে। সামান্য পানি কিনার উছিলায় এতো সময় বিলম্ব করা ভালো ঠেকে নি সাফারাতের কাছে। নিজের সন্দেহ জনক নজর সুস্থ হওয়ার পর হতে একদমই কাউকে বুঝতে দেয় নি। লোক লাগিয়ে লিজার উপর নজর রাখতেই জানতে পারে পৃথকের গার্লফ্রেন্ড সে। সাফারাত চুপ ছিল। অপেক্ষায় ছিল পরবর্তী হামলার জন্য। তারপর একে একে লিজা ও ওই রাঁধুনির মুখ থেকে সব বের করে। তারা বেশি কিছু বলে নি, কেবল পৃথকের নামটা নিয়েছিল। মানুষের মতামত কোন সময় পাল্টে যায় তা তো বলা যায় না। তাই উভয়ের জবানবন্দি রেকর্ড করে রেখেছে সাফারাত। আর চৈত্রিকার বাবা কে ড্রাংক অবস্থায় চাপা দিয়েছে পৃথক। ইচ্ছেকৃত কি-না তা বুঝা মুশকিল। সাফারাতের কাছে তা সম্পূর্ণ ইচ্ছেকৃত মনে হলো।
পুলিশ অফিসার গম্ভীর স্বরে বলে উঠলেন,
‘ আপনার কাজিন তো স্বীকার যাচ্ছেন না উনি কেন আপনাকে মারার চেষ্টা করেছেন। সম্পত্তির জন্য কি-না তাও বলছেন না।’
সাফারাত নিজের চাচার দিকে চেয়ে উঠে দাঁড়াল চেয়ার ছেড়ে। রাশ ভারি কন্ঠ তার,
‘ মুখ খুলতে হবে না, প্রয়োজন নেই। ‘
পুলিশ অফিসার অবাক চোখে তাকালেন। সাফারাত সেই অবাকতা বাড়িয়ে দিয়ে বেরিয়ে এল মৌন মুখে।গাড়ি স্টার্ট দিল। দিহান পাশে বসে শঙ্কিত নেত্রে চেয়ে প্রশ্ন ছুড়ল,
‘ কারণ জানার প্রয়োজন নেই তোর?পৃথক কেন মারতে চাইল তোকে? ‘
‘ প্রয়োজন নেই। ‘
ভরাট শুনালো সাফারাতের কন্ঠস্বর। দিহান দিরুক্তি করে বলে উঠল,
‘ কেন?’
‘ কারণ আমার জীবনের প্রতি মায়া নেই। পৃথক আমাকে মারতে চেয়েছে তাতে আমি বিন্দুমাত্র বিচলিত হয় নি। আমার হিংস্রতা জেগেছে তোর মুখের বলা চৈত্রর বাবার এক্সিডেন্টের কথা শুনে। উনাকে মারার অপরাধে পৃথক কঠোর শাস্তি ডিজার্ভ করে।’
দিহান চমকালো,থমকে রইল অল্প সময়। বিহ্বল স্বরে আওড়ালো,
‘ তুই তো বলেছিস চৈত্রিকার বাবা চৈত্রিকাকে আঘাত করে, দেখতে পারেন না। তাহলে উনার জন্য এতো হিংসাত্মক কেন হয়ে উঠলি?’
‘ কারণ চৈত্র ভালোবাসে ওর বাবা কে।’
‘ আর তুই? তুই ভালোবাসিস চৈত্রিকা কে?নাকি কেবল বন্ধুত্বের জন্যই এতো পাগলামো? ‘
সাফারাত শান্ত চোখ এক পলক চেয়ে দৃষ্টি সরিয়ে সামনে রাখল। কোনো প্রতিক্রিয়া দেখালো না দিহানের প্রশ্নে। দিহান পুনরায় বললো,
‘ কোথায় যাচ্ছি? ‘
‘ কবরস্থানে। আম্মুর কাছে। ‘
সাদামাটা, নিরলস জবাব সাফারাতের। দিহান একটুও চমকালো না। শুধু ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে ভারি শরীরটা এলিয়ে দিল সিটে।
____________
ছোট বাটন ফোনটায় সময় দেখে নিল চৈত্রিকা। রাত এগারোটা বাজছে। বাবার জ্ঞান ফিরেছে প্রায় আধা ঘণ্টা হয়ে এসেছে। কিন্তু তিনি একটা বারও চৈত্রিকার কথা জিজ্ঞেস করেন নি। করেছে মিমের কথা। এতে একটুও কষ্ট অনুভব হয় নি তার। উল্টো বাবার একটুখানি সুস্থতায় আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করল। গোলগাল চেহারার গড়নের একটা মেয়ে এগিয়ে এলো চৈত্রিকার দিকে। পেশায় নার্স সে। চৈত্রিকার মুখের সামনে একটা কাগজ এগিয়ে দিয়ে নিচু স্বরে বলে উঠল,
‘ এই ওষুধ গুলো এখনই লাগবে ম্যাম। আমাদের হসপিটালের ফার্মেসী থেকে আনিয়ে নিব নাকি আপনি আনবেন? ‘
মেয়েটার হাত থেকে প্রেসক্রিপশন টা চৈত্রিকা নিজের হাতে নিয়ে নিল। হসপিটাল থেকে ওষুধ আনলে দ্বিগুণ দাম পড়বে। ব্যাগে থাকা পাঁচ হাজার টাকা তো বাবার চিকিৎসায় লেগে যাবে। আজ বাদে কাল হয়ত পথে জায়গা হবে পুরো পরিবারের। মলিন স্বরে বললো সে,
‘ আমি নিয়ে আসছি।’
নত মস্তকে ক্লান্ত দেহটা নিয়ে চৈত্রিকা নিচে এলো। মনে মনে নিজেকে শক্ত রাখলেও,দেহটা বড্ড নেতিয়ে পড়ছে। সকাল হতে না খাওয়ার দরুন প্রবল দুর্বলতা জেঁকে ধরছে। অসাড় হয়ে পড়ছে পা দুটো। নড়বড়ে হচ্ছে প্রত্যেক টা কদম। হসপিটালের নিচে অবস্থিত ফার্মেসী থেকে ওষুধ কিনল না সে। এখানে অন্যান্য জায়গার তুলনায় দাম বেশি রাখে। কিছু টাকা বাঁচানোর নিমিত্তে অবিশ্রান্ত দেহ টা কে এগিয়ে নিয়ে চলে এলো কিছু দূর। রাস্তা পেরিয়ে ডান পাশ হতে বাম পাশে আসল। এখানে সারি বেঁধে ফার্মেসীর দোকান। ভিড়ও প্রচুর। চৈত্রিকা এক কর্ণারে দাঁড়িয়ে প্রেসক্রিপশন বাড়িয়ে দিল একটা লোকের কাছে। অপেক্ষার প্রহর গুণতে লাগল ওষুধ পাবার। অনেক মানুষ হওয়ায় একটু আকটু দেরি হচ্ছে। আচমকা চোখ খিঁচে নেত্রপল্লব বুঁজে ফেলল চৈত্রিকা। শরীর টা কেঁপে উঠল থরথর করে। কাধের নিচের দিকে হাত রাখতেই কন্ঠনালি গলিয়ে বেরিয়ে এলো,
‘আহ!’
#চলবে,,,!
(ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)