#সিঁদুর শুদ্ধি
#নাফিসা মুনতাহা পরী
#পর্বঃ২৮
অভির কথায় বিদ্যার কোন পরিবর্তন ঘটেনা। আশে পাশের সবাই নিজেদের ফোনে ভিডিও করতে ব্যস্ত। মনে হয় এদের সামনে একটা সার্কাস পার্টি বসেছে। অভি বিদ্যাকে বুকে নিয়েই হাত জোড় করে বলল,
–” প্লিজ চলে যান আপনারা। এটা আমাদের হ্যাসব্যান্ড ওয়াইফের পার্রসোনাল ব্যাপার।”
অভির কথায় সবাই চলে গেল কিন্তু বিদ্যা একইভাবে ডুকরে কেঁদেই চলছে। অভি বিদ্যার কপালে একটা কিস করে মুচকি হেসে বলল,
–” হেই রিল্যাক্স, রিলাক্স। আই এ্যাম জোকিং। রিলাক্স, জাষ্ট জোকিং।”
এতেও বিদ্যার কোন রেসপন্স পেলোনা অভি। অভিকে বুকের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে অঝোড়ে কেঁদেই চলছে।
–” স্যরি, স্যরি এমন কাজ আমি কোনদিনও করবোনা। প্লিজ কান্না থামাও। আমি তো জাষ্ট তোমাকে পরীক্ষা করছিলাম।”
বিদ্যা অভির বুকে একটা আলতো কিল বসিয়ে দিয়েই কান্না কন্ঠে বলে উঠলো,
–” তোমার এমন একটা পরীক্ষা নেওয়া আমার জন্য মৃত্যর সমতুল্য।”
–” স্যরি আমার এঙ্গরি বার্ড, এমনটা আর হবেনা।”
দুর থেকে ঋষি বিদ্যার এমন কান্ডে আহম্মক বনে গেল। খানিকটা মুখে অপ্রসন্নতার ভাব এনে মৌপ্রিয়া কে জিজ্ঞাসা করে বলল,
–” মৌ, মিসেস.বিদ্যা কি কারো সাথে রিলেশনে আবদ্ধ।”
মৌপ্রিয়াও বিদ্যাকে অবাক চোখে দেখছিল। ঋষির কথা শুনে ওদিক চেয়েই মৌ বিড়বিড় কন্ঠে বলে উঠলো,
–” আমাদের ঠিক জানা নেই স্যার। আজ এমন দৃশ্য দেখে, আমরাই অবাক হয়ে যাচ্ছি। তবে প্রথমদিন ছেলেটাকে ওর সাথে দেখেছিলাম।”
ওকে, আপনারা চলে যান। অনেক রাত হয়ে গেছে। পরদেশে এত রাত অবদি বাহিরে থাকা ঠিক নয় বলে ঋষি ওদেরকে পাঠিয়ে দিল। তারপর নিজে একাই দাড়িয়ে ওদের কাজগুলো দেখতে লাগলো।
♥
অভি বিদ্যাকে আরো কয়েকটা কিস করে বলল,
–” আমাকে ছাড়া আর থাকতে পারবে বিদ্যা!”
বিদ্যা কান্না থেমে মৃদ্যু কন্ঠে বলে উঠলো,
–” প্রেমে পড়ার মত সুখ আর পৃথিবীতে নেই। আমি সত্যিই তোমার প্রেমে পড়েছি অভি! তুমি আমার কাছে পৃথীবীর সর্বাধিক প্রিয় একটা মানুষ। আই লাভ ইউ অভি।”
অভি বিদ্যা কে নিয়ে বসা আবস্থা আগে পিছে একটু দুলতে দুলতে বলল,
–” আই লাভ ইউ টু বিদ্যা।”
তারপর একটু থেমে আবার বলল,
–“বাহ্ এত ভালবাসা তোমার থেকে কবে উদয় হল! তুমি তো সবসময় ভালোবাসতে কিপ্টামো করতে। হঠাৎ এত পরিবর্তন?”
বিদ্যা অলপলক ভাবে অভির দিকে চেয়ে আছে। যদি সময়টা থেমে যেত! যদি সকাল বলেই কিছু না থাকতো! বিদ্যা আলতো করে চোখ বন্ধ করলো তারপর চোখ খুলে অভির দিকে চেয়েই বলল,
–” তুমি যেমন, আমাকে কেন ভালবেসেছ তার সঠিক রিজন দিতে পারবেনা! ঠিক তেমনি,আমি কবে থেকে, কোন সময় থেকে ভালোবাসি সেটাও বলতে পারবোনা। এটাতো ঈশ্বর প্রদত্ত্ব একটা অদৃশ্য মায়া এবং টান জনিত সম্পদ। যা তিনি আমাকে তোমার মাধ্যমে সেই মূল্যবান সম্পদ দিয়েছেন।”
–” হুমহ্ কত শত যুক্তি। বউ আমার দেখছি, কথার ক্লু পেলে আর ছাড়েইনা। ফাকা মাঠে গোল দিতে সে একটুও কার্পন্য করেনা। বেশ জিনিয়াস…।”
বিদ্যা অভির নাক টিপে দিতেই অভি ওর নাক দিয়ে বিদ্যার নাকে ঘষা দিল। তারপর বিদ্যাকে নিয়ে উঠে দাড়াল। বিদ্যার শাড়ী থেকে সব ময়লা ঝেড়ে ফেলতেই কোথা থেকে যেন একটা পুরুষ এসেই বিদ্যার কাছ থেকে একনিমিষেই অভিকে সরে নিয়ে গিয়ে অভির গলা চেপে শূন্যতে তুলে ধরলো। পুরুষটি আর কেউ নয়, সেটা ছিল ঋষি।
চোখের পলকে কাজটা হওয়াতে বিদ্যা থমকে গেল। কি হল এটা! ওদিকে ঋষি চিৎকার করে বলে উঠলো,
–” পিশাচ নাগরানীর গায়ে হাত দেওয়ার সাহস আসে কোথা থেকে! তুই একটা সামান্য তুচ্ছ মনুষ্য হয়ে কিভাবে ওর শরীরে টার্চ করিস? তোর সাহসতো কম নয়!”
বিদ্যা আছে বলে অভি কিছু করতেও পারছেনা। যন্ত্রনা উপভোগ করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই ওর। কিন্তু এ কে?
বিদ্যা দৌড়ে এসে দেখে, ঋষি অভির গলা চেঁপে ধরে আছে। স্যার ওকে ছাড়ুন বলছি বলেই ঋষিকে ধাক্কা দিয়ে সরানোর চেষ্টা করে বিদ্যা। এবার ঋষি রেগে গিয়ে চোখের পলকে বিদ্যারও গলা চেঁপে ধরল, তারপর বলল,
–” মা তোকে মারার সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। এখন তো দেখছি, তোদের মত মেয়েদের কে পায়ের তলায় পৃষ্ঠ করে মারা উচিত। জাত-পাত না দেখেই প্রেমে পড়লি?”
তোকে এখুনি শেষ করে দেওয়া উচিত বলেই বিদ্যাকে ছুড়ে মারল। আগে এটাকে শেষ করি পরে তোর ব্যবস্থা নিব। তোকে আমি আমার মত করেই চাই। যার জন্য তোর মৃত্যু খুব প্রয়োজন।
বিদ্যা ছিটকে গিয়ে রোড লাইটের থাম্বার সাথে ধাক্কা খেয়েই টাল সামলাতে না পেরে পড়ে গেল। সাথে সাথে মাথার পিছন দিয়ে ব্লাড গড়িয়ে মাটি ভিজে গেল।
অভি এই দৃশ্য সহ্য করতে না পেরে নিজের মাথা দিয়েই ঋষির মাথায় আঘাত করতেই ঋষি অভিকে ছেড়ে দিয়ে পড়ে গেল। অভি সাথে সাথে ওর বিশাল পাখা দুটি মেলিয়েই ঋষির সামনে দাড়ালো। তারপর ওর চোখ দিয়ে আলোক রশ্মি বের হয়েই ঋষির গলায় জড়িয়ে ধরে শূণ্যতে তুলে দুরে ছুড়ে ফেলল। খুব ভুল করেছিস আমার গায়ে হাত দিয়ে। তার থেকেও বড় ভুল করেছিস আমার বিদ্যাকে আঘাত করে।
ঋষিও ওর সুবিশাল পাখা সাথে সাথে মেলে ধরে বলল,
–” অহ্ তাহলে তুই মানুষ না, তুই অন্য কিছু। তাহলেতো জমে গেল খেলা। তুই লালপ্রভা রাজ্যর হবু রাজার গায়ে হাত তুলেছিস, এর মূল্যতো তোকে চুকাতেই হবে।”
ঋষি ওর সমস্ত শক্তি নিয়ে অভির দিকে ধেয়ে যেতেই অভি নিমিষেই ওর দুই হাত দিয়ে ঋষির পাখা দুটো ধরেই ছুড়ে মারলো দুরে। তারপর অভি চিৎকার করে বলল,
–” তোর শরীর থেকে এই কয়েক ফোটা রক্ত নিলাম। এটারই আগে মূল্য চুকাস। দেখি তোর কত দম, কিভাবে আমার থেকে এই রক্ত গুলো উদ্ধার করতে পারিস। আর তুই এর জন্য কি কি করতে পারিস সেটা আমিও দেখে ছাড়বো। ফার্দার যদি বিদ্যার আসে-পাশেও তোকে দেখি, তাহলে সেদিন আর মায়ের কোলে বেঁচে ফিরবিনা। কথাটা মাইন্ডে রাখিস।”
ঋষি ছটপট করছে কিন্তু অভির মায়া থেকে বের হতে পারছেনা। অভি দ্রুত গিয়ে বিদ্যাকে তুলে দাড় করিয়ে ওকে বুকে নিয়েই ঋষির দিকে দুই আঙ্গুল তুলে বলল,
–” আজ থেকে এই দু’চোখ শুধু তোকেই ফোকাস করবে। আমাকে মারার জন্য এত অল্প বিদ্যা দিয়ে কিছু হবেনা। আরও বড় পরিকল্পনা করে আসিস। বিদ্যা মাই ওয়াইফ। তাই ওর দিকে নো ফোকাস..। জানে মেরে দিব।”
অভি বিদ্যাকে নিয়ে ওখানেই ভ্যানিস হয়ে যায়। আর মাটিতে পড়ে থাকা বিদ্যার ব্লাডগুলোও অদৃশ্য হয়ে যায়।
♥♥
ঋষি মা মা বলে ওখানেই গলা ফাটিয়ে চিৎকার দিতেই মিসেস. রত্না স্যানাল এসে সেখানে হাজির হলেন। ঋষি তোর এই অবস্থা কে করলো!
–” মা, আমাকে আগে এই বন্ধন থেকে মুক্ত করো। আমি আর এই কষ্ট সইতে পারছিনা।”
আ…আমি দেখছি বাবা বলেই রত্না ওর মায়া প্রয়োগ করে কিন্তু কোন কিছু দিয়েই কিছু হয়না। রত্না বিচলিত হয়ে একের পর এক শক্তি প্রয়োগ করে। তবুও কোন লাভ হয়না। এদিকে রত্না পরপর শক্তি প্রয়োগ করার ফলে ওর শরীর নিস্তেজ হয়ে আসলো। শেষে বিদ্যার অবয়বের জারটি হাজির করে সেই শক্তি প্রয়োগ করতেই ঋষি মুক্ত হয়ে যায়।
রত্না ইশারা করতেই চারজন পুরুষ এসে হাজির হল। রত্না দেবী ওদের নির্দেশ করলো ঋষিকে বাসায় নিয়ে যেতে। তারপর নিজেই ভ্যানিস হয়ে গেল।
সবাই বাসায় আসতেই ঋষিকে ওর রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। রত্না দেবী দ্রুত একটা তরল জেল নিয়ে ঋষির রুমে চলে এলেন। তারপর ওর শরীরে মালিশ করে দিয়ে বললেন,
–” এসব কি করে হল! পুরো দিন কেন বাসায় আসিস নি?”
ঋষির পুরো শরীরে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। মায়ের হাতের ছোয়ায়, ঋষি যন্ত্রনায় বার বার কুকড়ে উঠছে। অনেক কষ্টে মুখ খুলল ঋষি। মা, আমার বয়সি ছেলে। আমার থেকে বরং ছোটই হবে। সে কিভাবে আমাকে এত আঘাত করলো! আমরা মনে হয় বিদ্যাকে আমাদের মারা সম্ভব নয়। বিদ্যাকে অনেক শক্তিশালী একটা শক্তি সবসময় প্রট্রেক্ট করছে। সে নাকি বিদ্যার হাবি।
রত্না চমকে উঠলেন। কি বলছিস তুই! রত্না এমন করে কথাগুলো বলল, যেন মনে হয় ওনার থালা ভর্তি ভাতে কেউ পানি ঢেলে দিল। আমি যতদুর জানি ও একটা অবিবাহিত মেয়ে। তোর কোথাও ভুল হচ্ছে। তুই ভুল শুনেছিস।
–“না মা আমি সত্যি বলছি।”
সত্যি বলছিস বলেই চিৎকার দিয়ে উঠলো রত্না সান্যাল। তোর কি আমি কম যত্ন নেই না তোকে কম মায়া বিদ্যা শিখিয়েছি। তোর তো রাজা হওয়ারও কোন যোগ্যতা নেই। শুধু স্টাইল মেরে মানুষদের মাঝে ঘুরতে পারিস? তোকে দিয়ে কোন কাজ হবেনা বলতেই রত্নার স্বামী ধীরাজ সান্যাল এসে হাজির হয়ে বলল,
–” কি ব্যাপার! আমার ছেলেকে বকা দাও কেন?”
বকা কেন দেই বলেই রত্না ঋষির শরীর থেকে একটানে চাদর খুলে ফেলল। তারপর হাতের ইশারা করে বলল,
–” ছেলে আমার মহান কাজ করে এসেছে তাই তাকে ফুলের বরনডালা দিয়ে পূজা করতে হবে। যেমন বাপ তার তেমন সন্তান। নিজের রাজ্য থেকে বহিস্কৃত হয়ে এখন আমার সাথে বসবাস করছে।”
–“দেখ রত্না, জাত তুলে একদম আমাকে গালি দিবেনা বলে দিলাম। তোমার মত খোড়া বউকে পালা পোষা চাট্টিখানী কথা না। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তোমাকে নিয়ে এই অবস্থায় ঘর করছি। আমার মত এমন ইনোসেন্ট ছেলে কোথাও পাবে নাকি?”
ধীরাজ, মুখে লাগাম তাও। তোমাকে যে আমি সাতশত বছর ধরে আমার কাছে রেখেছি সেটাই তোমার ভাগ্য বল। ভাগ্গিস ও চলে গিয়েছে তাই তুমি রাজার আসনে বসেছ। ওকে পেলে আমি তোমাকে কখনোই গ্রহন করতাম না। যাও এখান থেকে বলেই একটা চিৎকার দিল রত্না সান্যাল।
অপমানে ধীরাজের পুরো চোখমুখে আগুনের ঝলক খেললো। দাঁতে দাঁত চেপে সেখান থেকে চলে গেল আর ঋষি চুপ করে রইলো। ওকে চুপ করা দেখে রত্না সান্যাল হুংকার দিয়ে বলল,
–” বাবার মত হসনা। নিজের পাওয়ারটা কাজে লাগাতে শিখ। এখন বল কি কি হয়েছিল ওখানে।”
ঋষি ওর মাকে সব ঘটনা খুলে বলল। ওর মা সব শুনে একটা পুরানো বই বের করে খুজতে লাগলো সেই পাওয়ার সম্পর্কে।
রত্না সান্যাল বইয়ের পেজ উল্টে পাল্টে দেখার সময় ঋষি চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো, মা বইটা বন্ধ করো।
ঋষির চিৎকারে রত্না ক্ষেপে গিয়ে বলল,
–” ষাড়ের মত চেচাচ্ছিস কেন? আর বই বন্ধ করবো কেন?”
–” মা তুমি বই বন্ধই করোনা।”
রত্না দেবী বইটা বন্ধ করতেই ঋষি হাত দিয়ে বলে উঠলো,
–” মা, এমন চিহ্নই ওর কপালে ভেঁসে উঠেছিল। ঠিক এই চিহ্নই।”
রত্না দেবী চোখ বড় বড় করে বলল,
–” সত্যিই কি এই চিহ্ন ছিল?”
–” হ্যাঁ মা, আমি এই চিহ্নই ওর কপালে দেখেছি।”
না এটা কখনো হতে পারেনা বলেই বইটি ছুড়ে ফেলে দিল রত্না সান্যাল। আমি বেঁচে থাকতে এটা হতে দিবনা বলেই সামনে থাকা দুটো কাজের মানুষের রক্ত নিমিষেই পান করলো। তারপর গলা ফাটিয়ে চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো,
মা আপনি কোথায়! আপনাকে আমার ভিষন প্রয়োজন। আমি যেটার ভয় করে এসেছি এতদিন ধরে সেটাই আজ ঘটে গেছে। আমাকে সাহার্য্য করো মা। তোমাকে আসতেই হবে বলে ক্রোধে ফেটে পড়ল রত্না সান্যাল। তার চিৎকারে রুমের সমস্ত জিনিসপত্র ভুমিকম্পের মত কাঁপতে লাগলো।
♥
বাসায় রিয়া,মিতু,রিতু,ইভা চলে এসেছে কিন্তু বিদ্যাকে না দেখে সাধনা দেবী এদের কাটগড়ায় দাড় করিয়েছে। বিদ্যাকে রেখে তোরা বাসায় আসলি কোন বেক্কেলে? তোদের আক্কেল কি একে বারেই হবেনা? সারাজিবন কি ঘোড়ার ঘাসই কেটে যাবি! একজনেরও তো তেমন ভাল রেজাল্ট না। তোদের দিয়ে কি হবে?
জেঠি, রিয়াকে নাকি বিদ্যাদি মাসেজ করেছে। রিয়া মাসেজটা দেখা বলেই রিতু রিয়াকে ধমক দিল।
রিয়া ফোন বের করে কেবল মাসেজটা দেখাতে যাবে এমন সময় কেউ কলিংবেল বাজাল পরপর কয়েকবার। সাধনা দেবী হন্তদন্ত হয়ে গিয়ে দরজা খুলেই দেখলো, বিদ্যা দাড়িয়ে আছে।
তুই ওদের সাথে কেন আসলিনা বলতেই বিদ্যা কারো সাথে কথা না বলে সবার সামনে দিয়ে উপরে উঠে গেল। সাধনা দেবীতো অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল তার মেয়ের দিকে। এটা কি হল! ও এমন ব্যবহার করলো কেন? কি হয়েছে ওর।
দিন আরও আদর। বেশি আদর দিয়ে মেয়েকে বাঁদর বানিয়েছেন দিদি। মায়ের সাথে এমন অসভ্যর মত আচরন করে কেউ? আমার মেয়েদের কোনদিনও সাহস হবেনা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলা। আর আপনার মেয়ে! মুখের উপর দিয়ে কেমন করে ঢ্যাং ঢ্যাং করে চলে গেল।
শর্মিষ্ঠার কথাকে পাত্তা না দিয়ে সাধনা দেবী উপরে গিয়ে বিদ্যার রুমের দরজাতে নক করতে লাগলেন। বিদ্যা দরজা খোল। দুপুরে কি খেয়েছিস না খেয়েছিস জানিনা। এখন এসে আমার সাথে খাবি চল।
ভিতর থেকে গম্ভীর কন্ঠ ভেসে আসলো, আমি খেয়ে এসেছি। আর আমি খুব ক্লান্ত। আমার বিশ্রাম দরকার।
সাধনা দেবী ভাবতে লাগলেন, মেয়ে আমার ভাল মনে গেল কিন্তু এখন সে এমন গম্ভীর ভাবে চলে এল কেন?
কি হল এর মধ্য! হয়ত খুব ক্লান্ত তাই এমন করছে। সাধনা দেবী আর কিছু না ভেবে ওখান থেকে চলে এলেন।
এদিকে রুমের ভিতর ইতিমধ্য অগ্নিকুন্ড জ্বলতে শুরু করেছে। অগ্নির উপর শূন্যতে ভেসে আছে বিদ্যা রুপী অবয়বটি। তারপর গম্ভীর মুখে হঠাৎই হাঁসিতে ভরে উঠলো। আজ থেকে এই বাসায় তার শিকারের অভিযান শুরু হল….
[] চলবে………[]
বিদ্রঃ পরের পার্টগুলো একদিন পর পর আসবে। এভাবে ব্যস্ত সময়ের মধ্য প্রতিদিন আমার লেখা আর সম্ভব নয়। আগামী পার্ট ২৩ তারিখে আসবে। কেবল লেখা শেষ করলাম তাই রিভাইজ দেওয়া হলোনা। ভুলক্রুটি মার্জনা করে সকলে পড়িয়া লইবেন।
সরাসরি ওয়েবসাইট এ পড়ুন: https://nafisarkolom.com/2020/10/sidur-suddhi-28/
আমার ব্যক্তিগত ফেইসবুক একাউন্ট: https://www.facebook.com/nafisa.muntaha
চাইলে আমার গ্রুপে জয়েন করতে পারেন: https://www.facebook.com/groups/nafisarkolom