#মেঘবতী_কন্যা পর্ব ২৪
#সুমাইয়া আক্তার মিম
‘বস মেয়েটি আমাদের সব কাজ দেখে নিয়েছে সাথে ভিডিও!’
সবাই হিংস্র দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সামনে বড় গাছটির নিচে পরে থাকা একটি মেয়ের দিকে। এতো সময়ের সকল কর্মকান্ড গাছের আড়াল থেকে ভিডিও করছিলো মেয়েটি।কতো বড় সাহস এই মেয়ের! নিশ্চয়ই মরার পাখা গজিয়েছে তাঁর।মেয়েটি সকলকে তাঁর দিকে তাকাতে দেখে ভয়ে আরো সিটিয়ে যায়, এতোক্ষণ অনেক কষ্টে নিজেকে আটকিয়ে রেখেছিল। অবশেষে তাকে এই ভয়ানক পশু গুলোর নরজে পড়তে হলো। আজকে তাঁর জীবনের শেষ দিন হতে চলছে বিষয়টি ভাবতেই মেয়েটি শরীর কাঁপিয়ে কেঁদে উঠলো। ছায়ান দাঁত চেপে ভয়ানক হেসে কাঁধ বাঁকা করে মেয়েটির দিকে তাকালো তা দেখে ভয়ে বসা অবস্থায় কয়েক কদম পিছিয়ে গেলো মেয়েটি।ছায়ান সিত্তিস এর হিংস্র নজরে পরে বড্ড বেশি ভুল করে ফেলেছে।এমন একটি পরিস্থিতিতে পরা কতোটা ভয়ানক,তা বলে বুঝানো মুশকিল।ছায়ান আগের ন্যায় দিগুন হিংস্র হয়ে নিচে পরে থাকা ছুরিটি উঠিয়ে মেয়েটির দিক বরাবর ছুঁড়ে মারলো।মেয়েটি ভয়ে সাথে সাথে সরে যাওয়ার ফলে একটুর জন্য গর্দান যায়নি, সামান্য বাহু ছুঁয়ে গিয়েছে যার থেকে ফিনকি রক্ত বের হতে লাগলো।ছায়ান পুনরায় শয়তানি হাসি দিয়ে বলে উঠলো,
‘ইউর লাক বেবি,বাট লাক উইল নট গিভ ইউ।আই উইল পট ইউ টু স্লিপ টুডে্’
ছায়ানের কথাটি শুনে মেয়েটি ভয়ে ঘেমে নেয়ে একাকার হয়ে গিয়েছে। না তাকে বাঁচতে হবে। নিচে পরে থাকা নিজের মোবাইলটি হাতে নিয়ে কাউকে বোঝে উঠার আগে যেদিক থেকে এসেছিল সেদিক দিক দিয়ে ছুট লাগালো। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।তাঁকে পালাতে দেখে ছায়ান ক্রদিতো হয়ে সকলকে উদ্দেশ্য করে চিৎকার করে বলে উঠলো,
‘জাস্ট কিল দিস্ এশিয়ান গার্ল।’
তাঁর কথামতো কয়েকজন ছুটে গেলো মেয়েটির পিছন পিছন। হিংস্র হায়েনার ন্যায় ছুটে চলছে মেয়েটির পেছন পেছন আজকে মেয়েটিকে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে উপরে পাঠিয়ে এরা থামবে।ছায়ান রাগে গজগজ করতে করতে নিজের গাড়িতে উঠে বসে এখন তাঁর ওষুধ সেবন করার প্রয়োজন। প্রচন্ড মাথা ব্যথা করছে, এখন কয়েকটা খুন করতে পারলে ক্ষান্ত হতো সে। কিন্তু এখন সরাসরি এমন কিছু করা যাবে না। সামনে তাঁর ফাইনাল ইন্টারন্যাশনাল খেলার দিন চলে এসেছে তাই এখন তাকে যথাযথ নিজেকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে।
~অন্যদিকে মেয়েটি নিজেকে বাঁচানোর জন্য ছুটে চলছে শূন্য রাস্তা জুড়ে। নিরব রাস্তা কোনো গাড়ির ছিটে ফোঁটাও নেই। নিস্তব্ধ রাস্তা, কুয়াশায় মুড়ানো চারিদিক। মেয়েটি দৌড়াচ্ছে আর পেছনে তাকাচ্ছে এই লোকগুলো তাকে ধরে ফেললো বলে।
প্রতিটি লোকের হাতে বড় বড় ছুরি যা চিকচিক করছে পেছন থেকে ঝংকার দিয়ে তাকে থামতে বলছে। মেয়েটি কোনোরকমে নিজের শক্তি লাগিয়ে ছুটতে লাগলো।যে করে হোক তাকে বাঁচতে হবে এবং এই ভিডিও পুলিশের হাতে দিতে হবে।সবাই তো জানুক বিখ্যাত খেলোয়াড় ছায়ান সিত্তিস কতোটা জঘন্য মানের, কতোটা হিংস্র পশুর মতো একটি মানুষকে হত্যা করলো। তাঁর এমন অপকর্মের কারন যেকরে হোক জানাতে হবে এবং নিজেকেও বাঁচাতে হবে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছে সে জেনো বেঁচে যায় এই হিংস্র হায়েনার দলের হাত থেকে। মেয়েটি একটি ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে পড়ে লোক গুলোর নজর থেকে বাঁচার জন্য। লোকগুলো এদিক সেদিক তাকিয়ে মেয়েটিকে না পেয়ে একে অপরকে ইশারা করে ক্ষিপ্ত নজর এদিক সেদিক করে সেখান থেকে প্রস্থান করে। লোকগুলোকে যেতে দেখে মেয়েটি মুখ চেপে কেঁদে উঠলো। মেয়েটির নাম রাত্রি।আজ বেস্ট ফ্রেন্ড এর জম্মদিনের পর্টি ছিল যার কারণে ভীষণ রাত হয়ে গিয়েছে ফিরতে এরই মাঝে বিপত্তি ঘটে যখন মাঝ রাস্তায় গাড়িটা নষ্ট হয়ে যায়।গাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়া হেঁটে বাড়ি ফিরছিলো।নীরব রাস্তায় হঠাৎ দেখা হলো রাস্তার থেকে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু লোক। তাদের থেকে সাহায্য নেওয়ার জন্য এগিয়ে আসতে দেখতে পেলো বিখ্যাত খেলোয়াড় ছায়ান সিত্তিসকে।এই অসাধারণ প্লেয়ারকে সে বেশ পছন্দ করে তাইতো এগিয়ে যাচ্ছিল তাঁর দিকে কিন্তু তখনি ঘটে সেই নির্ম ঘটনা যা তাঁর ধারনার বাহিরে ছিলো।কী জঘন্য ভাবে একটা মানুষকে মারছে ছায়ান।একটি জীবন্ত মানুষকে পিচ পিচ করে ফেলছে ধারালো অস্ত্র দিয়ে। ভয়ে শিউরে উঠে সে,থরথর করে কাঁপতে লাগলো।অন্য কেউ হলে এমন নির্মম ঘটনা দেখলে ভয়ে ছুটে পালাতো নাহয় জ্ঞান হারিয়ে ফেলতেন কারোর বা ভয়ে মৃত্যু নিশ্চিত এতোটা জঘন্য আর ভয়ানক দৃশ্য ছিলো। তবুও সে নিজেকে শক্ত করে গাছের আড়ালে দাঁড়িয়ে চোখ বন্ধ করে এমন নির্মম দৃশ্য নিজের ক্যামেরায় বন্দী করে নিয়েছে কিন্তু হঠাৎ গাছের শিকড়ে পা বেঁধে পরে যায়।
শরীরের স্কার্ফ দিয়ে মুখের ঘাম টুকু মুছে নিলো।এই অতি শীতেও সে তরতর করে ঘামছে। আশেপাশে চোখ বুলিয়ে ওই বদ লোকগুলোর মাঝে কাউকে দেখতে না পেয়ে সচেতন ভাবে উঠে সেখান থেকে পুনরায় ছুট লাগালো লোকগুলো থেকে বাঁচার জন্য।
__
“তুমি কি জানো তুমি আমার কাছে কি?
তুমি আমার হৃদয়ে থাকা সুপ্ত বাসনা।
এক অপূর্ন ইচ্ছে একটি বারের জন্য
আমার অস্তিত্ব খুব কাছে থেকে উপলব্ধি করার।”
বারিশের শীতল কন্ঠের প্রতিটি কথা খুব মুগ্ধ হয়ে শুনছে রূপ। অন্ধকার রাত। চারিদিকে এতো সুন্দর ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশ প্রতিটি মুহূর্ত আরো রোমাঞ্চকর করে তোলছে। প্রেমিক প্রেমিকার জন্য জেনো ভালোবাসায় মুড়ানো রাত।বারিশ রূপসাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে চুলে মুখ গুঁজে দাঁড়িয়ে আছে। তাঁরা এখন নিউ ইয়র্ক এর বিশাল সেতুর উপর দাঁড়িয়ে রাতের অন্ধকারে ভালোবাসা আদান প্রদান করছে প্রকৃতির মাঝে। প্রকৃতির এমন সুন্দর অনুভূতি উপভোগ করছে রূপ। আর বারিশ সেতো রূপে মগ্ন। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম। তাদের থেকে কিছু দূরে দাঁড়িয়ে আছে গার্ডরা। আজকে এই গভীর রাত জেনো সামন্য মনে হচ্ছে রূপের কাছে। দুজনে মন খোলে নিজেদের মতো মগ্ন হয়ে আছে সময়টাকে গভীর ভাবে উপভোগ করার জন্য।রূপ নিচের চিকচিক করার পানির দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হেসে বললো,
‘বাহ্ বেশ কাব্যিক ভাষায় কথা বলছেন!’
বারিশ চুলে নাক ঘষে রূপের ঘাড়ে থুতনি রেখে ফিসফিস করে বললো,
‘কি করি বলো তো রূপজান ভালোবাসায় দ্যা বারিশ খানকে কবি বানিয়ে দিয়েছে।’
বারিশের এমন ধারা কথা শুনে রূপ কিটকিট করে হেসে উঠলো।বারিশ সেদিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।এই মেয়েটা তাকে দিনকে দিন পাগল করে দিচ্ছে।বারিশ বাঁকা হেসে বলে উঠলো,
‘ইশ্ এমন করে হাসতে নেই রূপজান ইচ্ছে করে কামড়িয়ে কুমড়িয়ে খেয়ে ফেলি তোমায়।’
বারিশের কথা শুনে রূপ বারিশের দিকে ঘুরে রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে বুকে চিমটি কাটলো তা দেখে বারিশ উচ্চ স্বরে হেসে উঠলো। রূপের কোমড় জড়িয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো,হালকা দুলিয়ে বলে উঠলো,
‘এই তুলতুলে নরম হাতে আমার বিন্দুমাত্র আঁচড় কাটবে না তাই শুধু শুধু নিজের শক্তির অপচয় করে লাভ হবে না রূপজান।’
রূপ বারিশের কথা শুনে মুখ ভেংচি কাটলো তা দেখে বারিশ গাল টিপে বলে উঠলো,
‘এমন বাচ্চাদের মতো গাল বাঁকা করছো কেনো!’
রূপ বারিশের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল,
‘আমার ইচ্ছে আপনাকে কেন বলতে হবে হু।আর এটা মুখ বাঁকা নয় ইটস্ মুখ ভেংচি।এই দেখুন এমন করে।’
পুনরায় বারিশের সামনে মুখ ভেংচি কেটে।বারিশ মাথা দুলিয়ে হালকা হাসলো। পিচ্চি রূপ আগে যেমন ছিলো এখনো সেই আগের মতই আছে যাকে সে সেই অল্প বয়সে নিজের করে পাওয়ার বাসনায় কাতর হয়ে উঠেছিল।বারিশ রূপের নাক টেনে শান্ত গলায় বললো,
‘বুঝতে পেরেছি ম্যাম।তো এখন কী বাড়ি যাওয়া লাগবে নাকি এখানে থাকার পরিকল্পনা আছে!ঘুম পাচ্ছে না?’
রূপ মাথা দুলিয়ে বলো,
‘উহু ঘুম পাচ্ছে না আর বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন নেই।আজ আমরা বরং সারা রাত এখানেই থাকবো কেমন!’
রূপ খুশি হয়ে বললো।বারিশ শান্ত দৃষ্টিতে রূপের দিকে তাকিয়ে রূপের জ্যাকেটের হুডিটা ভালোভাবে লাগিয়ে গাল টেনে বললো,
‘না।এখনি বাড়ি যাবে খুব ঠান্ডা পরছে।সো চলো।’
রূপ বারিশের কপালের সামনে পড়ে থাকা স্লিকি চুল গুলো আলতো হাতে ঠিক করে নাক ফুলিয়ে বললো,
‘উহুম আরো থাকতে চাই। এতো সুন্দর আবহাওয়া খুব দারুন লাগছে প্লিজ।’
বারিশ মুগ্ধ দৃষ্টিতে রূপের কাজকর্ম দেখছে। মৃদু হেসে নরম কন্ঠে বলল,
‘আবার আগামীকাল আসবে এখন চলো।’
রূপ আর নিষেধ করলো না। হেসে বললো,
‘ঠিক আছে।’
রূপ বারিশ গাড়ির দিকে যেতে নিবে হঠাৎ কোথা থেকে একটি মেয়ে এসে সজোরে রূপের সাথে ধাক্কা খেলো।রূপ কিছুটা ভয় পেয়ে পিছিয়ে গেলো হালকা ব্যথাও পেয়েছে হঠাৎ এমন হওয়া।বারিশ এমন হওয়া জলদি রূপকে নিজের সাথে জড়িয়ে নিলো উত্তেজিত হয়ে রূপকে পরখ করতে লাগলো কোথাও ব্যথা পেয়েছে কিনা। বারবার ব্যস্ত হয়ে দেখছে আর বলছে কিছু হয়েছে কিনা।বারিশকে এমন করতে দেখে রূপ মৃদু হেসে বারিশকে শান্ত হতে বললো। এতোক্ষণে মেয়েটিকে গার্ডরা চারিদিক থেকে আটকে ফেলেছে। মেয়েটি আর কেউ নয় বরং রাত্রি নামের মেয়েটি যে এতোক্ষণ গুন্ডাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য পালিয়ে এসেছিল।পালাতে পালাতে রাস্তায় বারিশদের দেখে আশার আলো ফুটে উঠে মনে।বারিশ এর কাছে এই প্রমানটা দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারন এসব অপরাধীদের অপকর্মের বিচার বারিশ খুব নিষ্ঠার সাথে করবে তা তাঁর পূর্ব ধারণা রয়েছে।বারিশ অন্যায়কারির স্বয়ং মৃত্যু।তাই সাতপাঁচ না ভেবে তাদের দিকে ছুটে আসে।গার্ডরা আটকানোর আগে তাদের মাঝ দিয়ে রূপ বারিশের মাঝে উপস্থিত হতে নিয়ে রূপের সাথে ধাক্কা খেলো ।বারিশ কটমট দৃষ্টিতে গার্ডদের দিকে তাকাতে সকলে ভয়ে মাথা নিচু করে নিলো।বারিশ ঘাড় বাঁকা করে মেয়েটার দিকে রাগি দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে মেয়েটি ভয়ে কাঁপতে লাগলো। আজকে ভয়ে ভয়ে এই মেয়ের জীবন চলে যাবে। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।বারিশের সামনে আসা যেখানে ভয়ের কারন আর দুস্কর সেখানে তাঁর সামনে তাঁর বউয়ের সাথে ধাক্কা খেতে হলো এই মেয়েকে। এইবার এর নিস্তার নেই।বারিশ রেগে ঝংকার দিয়ে বলে উঠলো,
‘হেই স্টুপিট তোমার সাহস কী করে হয় এখানে আসার!’
বারিশের ধমক শুনে মেয়েটি ভয়ে এইবার কেঁদে দিলো।বারিশ রূপের দিকে তাকিয়ে দেখলো সে তাঁর দিকে ভিতু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তা দেখে বারিশ চোখ বন্ধ করে নিজেকে শান্ত করতে লাগলো। পুনরায় চোখ খোলে দাঁতে দাঁত চেপে গার্ডদের উদ্দেশ্য করে বললো,
‘উনার সমস্যার কথা জেনে তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসবে।যাতে কোনো সমস্যা না হয়।মেয়েটির দিকে তাকিয়ে গম্ভীর গলায় বললো , পরবর্তী সময়ে এতো রাতে এই এরিয়া জেনো না দেখা যায়।’
মেয়েটি মাথা নাড়িয়ে সায় জানালো। সেখান থেকে যাওয়ার পূর্বে সকলের অগোচরে হাতের মোবাইলটি মাটিতে পড়ে থাকা রূপের পার্সের উপর খুব সাবধানের সাথে রেখে দিলো। তখন ধাক্কা খাওয়ার সময় রূপের পার্সটি মাটিতে পড়ে যায়। মেয়েটি মোবাইল রেখে একবার ভিতু দৃষ্টিতে রূপের দিকে তাকাতে মৃদু হাসি উপহার দিলো রূপ।গার্ডের সাথে মেয়েটি চলে যায় আর দুজন গার্ড বারিশদের গাড়ির দরজা খোলে দিতে গাড়িতে উঠে বসে দুজনে। একজন গার্ড রূপের পার্সটি মাটি থেকে তুলে সেখানে পড়ে থাকা মোবাইলটি রূপের মনে করে ব্যাগের ভেতরে রেখে দিয়ে সেখান থেকে প্রস্থান করলো।
চলবে,,,❣️
[লেখিকা-সুমাইয়া আক্তার মিম✵]
❌কার্টেসী ছাড়া গল্প কপি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ❌