#মেঘবতী_কন্যা পর্ব ৩২
#সুমাইয়া আক্তার মিম
_
ভোরের কুয়াশা মুড়ানো।চারদিকে আবছা আলোয় দূর দুরন্ত অপরিষ্কার,কিছুই ঠিকঠাক দেখা যাচ্ছে না।দূরে হেঁটে যাওয়া মানুষ গুলো জেনো শিল্পীর রঙ তুলিতে আঁকা এক অভয় মাত্র।নিউ ইয়র্ক এর রাস্তাঘাটে মানুষজন নেমেছে মর্নিং ওয়ার্ক করার জন্য। তরুণ তরুণী থেকে শুরু করে বৃদ্ধা লোকজন পর্যন্ত মর্নিং ওয়ার্ক করছে।সকলে জ্যাকেট আর শীতের পোশাকে নিজেদের আবৃত করে ছুটে চলছে। এদের সকলের মাঝে আরো একজন উপস্থিত রয়েছে আর সে হলো স্বয়ং ছায়ান সিত্তিস নিজে।যে ছদ্মবেশে সকলের মাঝে উপস্থিত রয়েছে। তাঁর পেছন পেছন দৌড়াচ্ছে তাঁর দুজন গার্ড।মাথার হুডি লাগিয়ে নির্ভয়ে এগিয়ে চলছে।সে ভুলে বসেছে নিজের অবস্থান। নিজেকে ডাবল সাহসী আর বুদ্ধিমান ভাবছে কিন্তু অতিরিক্ত কনফিডেন্স যে ভালো নয়।অশুভের লক্ষন।সে নিজেতে এতোই বিভোর যে তাঁর পেছনে কেউ শকুনের চেয়ে তেজি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে রেখেছে সে আন্দাজ করতে পারেনি।একেই বলে দুঃসময়। মৃত্যুর আগে কেউ যদি বুঝতে পারতেন সে মৃত্যু বরণ করবে তাহলে কতোই না সচেতনতার সাথে সবকিছু করতেন।কিন্তু মৃত্যু তো বলে কয়ে আসে না।তা এসে যায়। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মীম।ছায়ান রাস্তার দাড় ধরে দৌড়ে চলছে। কালো রঙের বিশাল গাড়ি অনেকক্ষণ যাবত তাকে লক্ষ্য করে চলছে।যখন খালি রাস্তার মাঝ দিয়ে তাকে দৌড়াতে দেখলো তখন গাড়িতে থাকা আগুন্তক বাঁকা হেসে গাড়ি স্টার্ট দিলো।দিমে দিমে…… পরক্ষনেই খুব জোরে চালিয়ে দিলো ছায়ান সিত্তিস এর উপরে। গাড়ির ধাক্কা খেয়ে হুমড়ি খেয়ে সামনের দিকে পড়লো।বুকে,নাক, মুখে ভীষণ ব্যথায় কুঁকড়ে উঠলো ছায়ান।নাক আর ঠোঁট থেকে রক্তপাত হচ্ছে। রেগে চিৎকার করে খারাপ ভাষায় মন্তব্য করতে করতে সোজা হয়ে বসতে নিবে তখনি গাড়িটি আবার এগিয়ে আসতে দেখে আগের ন্যায় ভয়ে শুয়ে পড়লো।গাড়িটা তাঁর পায়ের উপর দিয়ে যেতে গগন কাঁপানো চিৎকার দিয়ে উঠলো ছায়ান।গাড়িটা সামনে গিয়ে পুনরায় পেছনের দিকে এসে গাড়ির পেছনের চাকা দ্বারা পুনরায় ডান হাতের উপর চালিয়ে দিলো।ছায়ানের দম বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম।সে চিৎকার করতে লাগলো ব্যথায়। ততক্ষণে ছায়ানের গার্ড এসে তাকে ধরে। একজন দৌড়ে গাড়ির দিকে এগিয়ে আসার আগে গাড়িটা তাদের ধরা ছোঁয়ার বাহিরে চলে যায়।এটা ইচ্ছাকৃত ভাবে কেউ করেছে বুঝতে অসুবিধা হয়নি।ছায়ানের অবস্থা নাজেহাল।পায়ের হাড় ভেঙেছে নিশ্চয়ই।হাতটাও থেঁতলে গিয়েছে।ব্যথায় রাগে চিৎকার করছে ছায়ান। তাঁর এই আর্তনাদ কারোর মনে পৈশাচিক আনন্দ দিচ্ছে। দুজন গার্ড মিলে ছায়ানকে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যায়।
পার্কের অপজিট সাইট থেকে এতোক্ষণ ছায়ানের তিল তিল করে কষ্ট পাওয়ার দৃশ্য দেখে খুব আনন্দ পাচ্ছিলো বারিশ। গাড়ির দরজা খোলে এক পা বাহিরে এক পা ভেতরে রেখে হাঁটুতে এক হাত ভর দিয়ে বাঁকা হেসে তাকিয়ে রইলো ছায়ানের যাওয়ার দিকে।ভ্রু স্পর্শ করে গার্ডদের ইশারা করতে তাঁরা ছায়ানের গাড়ির পেছন পেছন চলে যায়। চব্বিশ ঘন্টা বারিশের কড়া নাড়ছে রয়েছে ছায়ান। কোথায় যাচ্ছে থেকে শুরু করে কী খাচ্ছে পর্যন্ত সব খবরাখবর পৌঁছে যাচ্ছে তাঁর কাছে।বারিশের অদৃশ্য দেয়ালে ছায়ান ছদ্মবেশে থাকার মতো বোকামি করছে। নিজেকে চালাক প্রমান করা আর বেঁচে ফিরবে বলে সাবাশি দিচ্ছে।বারিশের পাশে দাঁড়িয়ে রোহান আঙ্গুল কামড়াচ্ছে। বেচারা মাথা মন্ডু কিছুই বুঝতে পারছে না। তাঁর স্যার নিজের জানের দুশমনকে এতো সহজে ছেড়ে দিলো।বিষয়টি ঠিক হজম হচ্ছে না। বেচারা ছায়ান সিত্তিস রূপ ম্যামের হাত ধরেছে এখন আর সেই হাত দিয়ে খেতে পর্যন্ত পাড়বে না। না দাঁড়াতে পারবে। ইশ্। মনে মনে ব্যঙ্গ করে আফসোস করতে লাগলো রোহান।বারিশ ইশারা করতে গাড়িতে উঠে বসে গাড়ি স্টার্ট করলো রোহান।
_
রাতের আঁধার মিলিয়ে গিয়েছে ধরনী। কুয়াশা মুড়ানো শীতের রাত। আগের তুলনায় শীতের প্রভাব এই কমছে আবার এই তরতর করে বাড়ছে। শীতের শেষের সময় তাই হয়তো এমন অনিয়ম করছে প্রকৃতি। সময়টা ৮টার কাঁটায় টিকটিক করছে। অন্ধকার রাস্তা পেরিয়ে,ঝোপ-ঝাড়কে দামিয়ে এগিয়ে চলছে দুইটি কালো এবং একটি হালকা লালচে রঙের সাথে সাদা মিশ্রিত গাড়িগুলো। দুই পাশে বড় বড় গাছ গাছালি পেড়িয়ে ভেসে উঠলো বিশাল বড় ধূসর রঙের আউট হাউসটি।বারিশের গাড়ি দেখতে গার্ড লোহার গেইটি টেনে খোলে দিলো।করমড়ে আওয়াজ হলো।সে আওয়াজের প্রতিধ্বনিতে শান্ত রাত্রি পরিবেশ অশান্ত হয়ে উঠলো।ভয়ে এদিক সেদিক ছোটাছুটি শুরু করে দিলো বনের পশু-পাখিরা। ঝাপটে এক ডাল পরিবর্তন করে অন্য ডালে আশ্রয় নিলো হলদে প্রেমিক যুগল পাখি দু’টো।বারিশের তপ্ত নিঃশ্বাস, ভারী হওয়া রাগ আজ সকলের মনে ভয়ের বিচ বিচরণ করছে।
বিশেষ কক্ষের মাঝবরাবর রাখা কাঠের দোলনায় বসে রইলো বারিশ।দুই হাত দুই দিকে ছাড়িয়ে আয়েশি ভঙ্গিতে বসে মাথাটা উপরের দিকে হেলিয়ে চোখ বন্ধ করে রেখেছে। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মীম।রোহান বারিশের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।রুমে শুধু সে আর বারিশ।ভয় হচ্ছে রোহানের।না জানি কী অঘটন ঘটাবে তাঁর স্যার?অতি মাত্রা শান্ত আর কোমল মনের মানুষটি যখন রেগে যায় তখন খুব ভয়ংকর দেখতে লাগে।রাগ খুব বাজে জিনিস মানুষকে হঠাৎ পরিবর্তন করে দেয়। রোহান ভাবছে,গত অনেক দিন যাবত বারিশ স্যারের সাথে তাঁর কাজ। খুব নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছে বলে রোহান বারিশের খুব প্রিয়। তেমনি রোহানও নিজ স্যারের জন্য জান পর্যন্ত দিতে রাজি।আজ পর্যন্ত বারিশের সকল কাজে সে সাথ দিয়েছে। অবশ্যই ভালো কাজে সাথ দিতে গর্বে বুক চওড়া হয়ে উঠে। দীর্ঘ সময় এক সাথে থেকে কখনো বারিশকে এতো রাগতে দেখেনি।আজ জেনো খুব অপরিচিত লাগছে তাঁর স্যারকে।রাগ জেনো কমবার নামই নিচ্ছে না।সেই দীর্ঘ কাল থেকে রূপের প্রতি বারিশের ভালোবাসা পাগলোমো দেখে আসছে রোহান।রূপের জন্য নিজেকে তৈরি করা সব তো তারই সামনে। আজকে ধরে সে কাজ করছে না।সেই বহুদিন ধরে সঙ্গে রয়েছে বারিশের।তাই বারিশ সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা রয়েছে। রূপের প্রতি কতটা পজেটিভ বারিশ রোহান খুব ভালো করে জানে। কিন্তু গতকালের ঘটনা আর আজকের ঘটনা, বারিশের চলতি মস্তিষ্কের ধারনা ঠাহর করতে পারছে না রোহান। আজকের ঘটনার কথা ভাবতে ভয়ে বুক ব্যথা হয়ে যাচ্ছে। আজকে মরতে মরতে বেঁচে গিয়েছে ছায়ান সিত্তিস।দুই বার মারতে গিয়েও কী উদ্দেশ্যে ছেড়ে দিলো স্যার? বুঝতে পারছে না রোহান।স্যারের মনোভাব জানার খুব ইচ্ছা জেগেছে মনে।সে যদি মন পড়তে পারতো তাহলে সারাদিন নিজের স্যারের মনের উপর রিসার্চ করতো।
‘ছায়ান সিত্তিস এর সকল ইনফর্মেশন রেডিতো রোহান। আমার সকল ইনফর্মেশন চাই।যতো কুকর্মের ডকুমেন্ট রয়েছে সব হাজির চাই।’
হঠাৎ,বারিশের গমগমে কন্ঠে কেঁপে উঠে রোহান।থতমত খাওয়া গলা বলে উঠলো,
‘জ্বী..জ্বী স্যার।সব রেডি।এই যে এখানে রয়েছে।’
বলে জলদি করে টেবিলের উপর থেকে কিছু কাগজপত্র আর মেমোরি কার্ড বারিশের সামনে রাখলো।বারিশ চোখ খুলে বাঁকা হেসে প্রুফ গুলো হাতে নিয়ে রোহানের দিকে তাকাতে রোহান বলে উঠলো,
‘সব টিভি চ্যানেল গুলোতে ছায়ান সিত্তিস এর কুকর্মের পুরাতন রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে।আজ থেকে আবার সবখানে ছায়ান সিত্তিস এর কুকর্মের বলাবলি শুরু হয়ে যাবে। আপনার কথা মতো সব রেডি হয়ে গিয়েছে। রিতিমত হৈচৈ শুরু হয়ে গিয়েছে।ছায়ান সিত্তিস এর দেশ ছাড়া মুশকিল।সেতো এখন এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় যেতোও সমস্যা হবে।’
ত্যাচ্ছিল হেসে।বারিশ পুনরায় আয়েশি ভঙ্গিতে হেলান দিয়ে মুচকি হেসে বললো,
‘আগামী কয়েকদিন যাবত বিছানা থেকে উঠে চলাচল করতে পারবে না।এটা তো শুধু আমার জানকে স্পর্শ করার সামান্য শাস্তি। মৃত্যু তো এখনও বাকি।চব্বিশ ঘন্টা নজরদারি রাখবে।যাতে নতুন ফন্দি আঁটতে না পারে। কিছুদিন আদর যত্ন নিক তাহলে না আয়েশ করে….. উপরে পাঠানো যাবে।’
ব্যঙ্গ করে কথাটি বললো। বারিশের হাবভাব বলে দিচ্ছে সে খুব প্রশান্তি পেয়েছে।রোহানো প্রশান্তি পেলো এখন কী নিজের মনে থাকা সকল প্রশ্ন করে দিবে রোহান?স্যারের মন ভালো থাকলে নিজ থেকে সব বলবে। কিন্তু তাঁর আর তর সইছে না। তাঁর স্যার কোনোকিছু পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়া করে না।পরিকল্পনা বিহীন কাজ ফিকে আর অতৃপ্তিময় লাগে।আর বারিশ খান প্রতিটি জিনিস তৃপ্তির সাথে নিতে চায়। খুব বড় ধরনের প্ল্যান কসেছে স্যার। রোহান উশখুশ করে শেষ মেষ ভিতু গলায় বলেই ফেলল,
‘স্যার….।না মানে ছায়ান সিত্তিস কে কেনো মারেননি?’
কথাটা বলে ঢোক গিললো রোহান।কী বলে ফেললো?সব মাথার ভেতরে গুলিয়ে যাচ্ছে।বারিশ খান প্রশ্ন করা পছন্দ করে না সেখানে সে কিনা এমন বোকার মতো প্রশ্ন করলো।হায়!আজ আর তাঁর রক্ষে নেই।বেচারা রোহান নিজের হাতে মাথা চাপড় খাচ্ছে।বারিশ রোহানের কথা শুনে বাঁকা হাসে।
হুম গতকাল ছায়ানকে মারার সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করেও ছায়ানকে মারেনি।হয় তাকে মেরে দিতো রোহান নাহয় তুলে নিয়ে এমন শাস্তি দিতো কখনো নিজের পায়ে দাঁড়াতে পর্যন্ত পারতো না।এমনটা করার আদেশ পেয়েছে বারিশ থেকে সকলে। কিন্তু যখন ছায়ানের উদ্দেশ্য বুঝতে পারলো তখন বারিশেরও প্ল্যান বদলে গেলো।
বারিশ প্রথম থেকে পূর্ব পরিকল্পনা করে নিয়েছিল।সে জানতো তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী সব হবে।ছায়ান সিত্তিস নিজ থেকে বের হয়ে আসবে, গর্ত থেকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সে সুযোগসন্ধানী।সুযোগ বুঝে রূপের কাছে আসবে। হয় প্রমান লুট করতে নয়তো বারিশের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য রূপকে আঘাত করতে।তাই বারিশ পরিকল্পনা অনুযায়ী সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। তাঁর ধারণা কখনো বৃথা কিংবা ভুল হতে পারে না। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মীম।
বারিশ জানে রূপের পেছনে ছায়ান আসবে রূপের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে।রূপের হাতে তাঁর কুকর্মের ভিডিও রয়েছে সে কী করে রূপকে ছেড়ে দিতে পারে?যেখানে বারিশ খান তাঁর চির শত্রু হয়ে উঠেছে সেখানে সুযোগ পেলে তাঁর দূর্বল জায়গায় অবশ্যই আঘাত করতে চাইবে।ছায়ান আর বারিশের সম্পর্ক এখন সাপ আর চিলের সম্পর্ক।বারিশকে রূপের ভবিষ্যত সেফটির জন্য সামান্য ঝুঁকি তো নিতেই হবে।তাইতো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে, যাতে রূপের কাছাকাছি আসা মানে গর্ত থেকে সাপ বের করে নিয়ে আসা এবং পরিকল্পনা মোতাবেক ছু মেরে সাপকে ঘায়েল করা। ছায়ান সিত্তিসকে অন্য উপায়েও সে ধরতে পারতো কিন্তু তাঁর বিশেষ কারনে এমনটা করতে হচ্ছে।যাতে এক ডিলে সম্পূর্ণ কাজ পরিকল্পনা অনুযায়ী খুব সুন্দর আর সাজানো ভাবে হয়ে যায়। রূপের কোনো পরিক্ষা কিংবা ভার্সিটি খোলা ছিলো না।পিকনিক উপলক্ষে ভার্সিটি বন্ধ।বারিশের পরিকল্পনা অনুযায়ী সব কিছু সাজানো হয়েছে।
গতকাল,বাহিরে দাঁড়িয়ে ছায়ান রূপের সাথে করা প্রতিটি কর্মকাণ্ড বারিশের চোখে সিসি ক্যামেরার ন্যায় ধারন হয়েছে।সে আগুন্তক আর কেউ নয় দ্যা বারিশ খান স্বয়ং। রূপের কাছাকাছি আসা, রূপকে লালসার দৃষ্টিতে দেখা, রূপকে স্পর্শ করা সব মিলিয়ে বারিশকে প্রায় পাগল করে তোলেছে খুনের নেশায়। সে উন্মাদের মতো হয়ে উঠেছিলো এমন দৃশ্য দেখে কিন্তু নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করে রেখে অগ্নি দৃষ্টিতে ছারখার করে দিচ্ছিলো ছায়ান নামক পশুকে। রূপের দিকে সামান্য কুদৃষ্টি যার সহ্য হয় না সেখানে তাঁর জানকে এই কুকুর ছানা ছুঁয়ে দিয়েছিলো ভাবতেই দুনিয়াতে তান্ডব চালিয়ে দিতে ইচ্ছে করেছে।সে শুধু দেখছিলো আর নিজের ভিতরে থাকা হিংস্রতাকে বাড়িয়ে তুলে ছিলো।
বারিশ তখন যায়নি সে ছায়ানের মাইন্ড নিয়ে খেলার জন্য শুধু সেখান থেকে প্রস্থান করে। পরবর্তীতে ঠিক ফিরে এসেছে।বারিশ আছে জানলে কখনো ছায়ান রূপের কাছাকাছি যাওয়ার দুঃসাহস করতো না।তাই যখন বারিশকে চলে যেতে দেখলো তার উপর গার্ডও এতো বেশি নজরদারি করছে না তাইতো সুযোগ বুঝে রূপের কাছাকাছি যেতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু সেতো জানে না সবকিছু বারিশের পূর্বপরিকল্পনা।বারিশ চাইছে বলেই সে রূপের কাছাকাছি যেতে পেরেছে নাহলে বিষয়টি দিনের আকাশে চাঁদ দেখার মতো হতো।
#চলবে,,,❣️
[লেখিকা-সুমাইয়া আক্তার মীম]
❌কার্টেসী ছাড়া গল্প কপি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ❌
[কী মনে হয় আপনাদের? তখন কেনো বারিশ ছায়ানকে রূপের কাছাকাছি দেখেও মারেনি!কী গভীর বুদ্ধি চলছে বারিশের মাথায়?]