#অপূর্ব প্রাপ্তি পর্ব ৪০
#নাফিসা নীলয়া!
রাতে আর শিহাব নীরার সাথে তেমন কথা বললো না। এতে নীরার খুবই খারাপ লাগলো। কিন্তু সে কি করবে বুঝলো না। সকালবেলা শিহাব অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হতে গেলে নীরা এসে সামনে দাড়ালো। শিহাব ভ্রু কুঁচকে নীরার দিকে তাকালো। নীরা সরাসরি কথায় চলে গেল।
-এমন করার মানে কি শিহাব?
শিহাব হেয়ালি করে বললো।
-কেমন?
নীরা শান্ত কন্ঠে বললো।
-তোমার একটা কথা শুনছি না বলে এমন করছো কেন?
শিহাব চুপ করে রইলো। নীরা শিহাবকে চুপ করে থাকতে দেখে বললো।
-সমস্যা কি? প্লিজ বোঝার চেষ্টা করো আমি কি করে না করবো আন্টিকে?
শিহাব চুপচাপ নীরার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলো। নীরা আবার বললো।
-বুঝতে পারছো না কেন! তুমি কিন্তু বলেছিলে আমাকে কোনোকিছুতে বাঁধা দিবে না।
শিহাব শুধু বললো।
-ঠিক আছে। তোমাকে বাঁধা দেওয়ার আমি কে! তুমি যার সাথে ইচ্ছে তার সাথে দেখা করো।
নীরা শিহাবের ব্যবহার দেখে হতবাক হয়ে গেল। বললো।
-ইউ আর জাস্ট ইম্পসিবল শিহাব।
বলেই নীরা সেখান থেকে চলে যেতে চাইলো কিন্তু পারলো না। শিহাব নীরার হাত ধরে ফেলেছে। হাত ধরে সে নীরার সামনে গেল। নীরা শিহাবের দিকে প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকালো। শিহাব নীরার অগোছালো চুল ঠিক করে দিতে দিতে বললো।
-আই এম স্যরি। আমি আসলে খুব রেগে গিয়েছিলাম। তাই এমন আচরণ করে ফেলেছি।
নীরা কিছুই বললো না। চুপচাপ শিহাবের কান্ড দেখলো। শিহাব আবার বললো।
-কারো জন্য আমাদের মাঝে মনোমালিন্য করা যাবে না। বুঝেছো?
নীরা এবার বললো।
-এটা তুমি ভালো করে বুঝলেই হয়।
শিহাব নীরার কথা শুনে হেসে ফেললো। তারপর বললো।
-আচ্ছা। আর শোনো একা যাবে না স্কুলে। আমার জন্য অপেক্ষা করবে।
নীরাও হাসলো৷ হেসে নিচে চলে গেল।
মিলা সকাল সকাল আয়েশি ভঙ্গিতে চা খাচ্ছিলো। নূরজাহান বেগম মিলার সামনে বসে বসে মিলাকে পর্যবেক্ষন করছিলেন। মিলা দেখলো নূরজাহান বেগম একধ্যানে তার দিকেই তাকিয়ে আছেন। এতে সে একটু বিরক্ত হলো। চায়ের কাপ টেবিলে রেখে সে নূরজাহান বেগমকে প্রশ্ন করলো।
-আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে কি দেখছো দাদী?
নূরজাহান বেগম থমথমে কন্ঠে বললেন।
-এতো বড় ঢিঙ্গি মেয়ে কোনো কাজ না করে সারাদিন কি করে টইটই করে সেটাই দেখছি।
নূরজাহান বেগমের কথায় মিলা মিটিমিটি হেসে বললো।
-কিন্তু আমি তো টইটই করছি না। আমি তো চা পান করছি। তুমিও করো।
মিলার কথা শুনে নূরজাহান বেগম রেগে গেলেন।
-নীরা যাওয়ার পর দুইদিন খুব কাজ দেখানো হচ্ছিলো। আর এখন যেই কে সেই। শ্বশুড়বাড়িতে গিয়ে করবিটা কি! বোনের মতো হতে পারলি না।
-কিহ্! আমি কাজ করি না? অনেক কাজ করি। একা একা ভোরে ঘুম থেকে উঠি নিজের চুল নিজে আঁচড়াই। তোমাকে আর আব্বাকে ওষুধ খাওয়াই এগুলো কি কম? আগে তো এগুলো আপা করতো।
মিলার কথা শুনে নূরজাহান বেগম কি বলবেন বুঝলেন না। তিনি জোরে মালিহাকে ডাকলেন। মালিহা নূরজাহান বেগমের ডাক শুনে জলদি রান্নাঘর থেকে আসলেন।
-কি হয়েছে আম্মা?
নূরজাহান বেগম মিলার দিকে কটমট করে তাকিয়ে বললেন।
-এই ঢিঙ্গি মেয়েকে এবার বিয়ে দিয়ে দাও। শ্বশুড়বাড়ি গিয়েই এই মেয়ে শুধরাবে। তার আগে না।
নূরজাহান বেগমের কথা শুনে মিলা ফিঁক করে হেসে ফেললো। তারপর তাড়াহুড়ো করে ব্যাগ নিয়ে উঠে মালিহাকে বললো।
-আম্মা তাড়াতাড়ি যেতে হবে আমার। আজকে ক্লাস আছে একটু পরেই। বাই!
মালিহা বিরস মুখে মিলাকে বিদায় দিলেন। নূরজাহান বেগম মালিহাকে বললেন।
-এইবার এইটার ব্যবস্থা করো। মিলার বিয়েটাও দেখে যেতে চাই।
মালিহা নূরজাহান বেগমের কথা শুনে হাসলেন। নীরার বেলাতেও নূরজাহান বেগম এভাবেই বলতেন। মালিহা বললেন।
-মিলার মাস্টার্স শেষ হওয়ার আগে নীরা এসব ভাবতে না ই করেছে। মিলা আগে স্টাডিজ শেষ করুক তারপর নিজে কিছু একটা করুক। তারপর ভাবা যাবে।
মালিহার কথা শুনে নূরজাহান বেগম নিজের মতো বকবক করতে করতে ঘরে চলে গেলেন।
মিলা বাড়ির বাইরে গিয়ে রিকশার খোঁজ করছিলো। কিন্তু একটা রিকশাও সে পাচ্ছে না। হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে সে দেখলো সময় পার হয়ে যাচ্ছে। সে এদিক ওদিক চোখ বুলালো কিন্তু তার নজরে কিছুই পরলো না। সে একমনে এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতেই তার ঠিক সামনে একটা গাড়ি ব্রেক করলো। মিলা ভয় পেয়ে দুই কদম পিছিয়ে গেল। তারপর রেগেমেগে গাড়ি চালককে কিছু বলার উদ্দেশ্যে এগিয়ে যেতে ধরলো। কিন্তু তার আগেই গাড়ি থেকে রেহান বেড়িয়ে আসলো। রেহানকে দেখে মিলার রাগ তরতর করে আরো বেড়ে গেল। রেহান ততোক্ষনে হাসতে হাসতে মিলার কাছে এসে গেছে। মিলা রেহানকে দেখে ধমকের সুরে বললো।
-তাই তো বলি এমন অভদ্রের মতো কাজটা কে করলো! গুনধর রেহান ছাড়া এরকম কাজ করার সাধ্য আর কার আছে! বেয়াদব ছেলে ম্যানার নেই কোনো? রাস্তাঘাটে কেউ এভাবে গাড়ির ব্রেক কষে? যদি কিছু হয়ে যেতো? আমার জায়গায় যদি অন্য কেউ থাকতো? এতো বদমাশ কেন তুমি! আশ্চর্য। আজকে যদি আমি আপা আর ভাইয়াকে তোমার নামে বিচার না দিয়েছি তো আমার নামও মিলা না।
মিলার একনাগারে কথা শুনে রেহান থতমত খেয়ে গেল প্রথমে। তারপর মিলাকে থামানোর উদ্দেশ্যে বললো।
-আচ্ছা কুল কুল! স্যরি সত্যিই আমার এরকম করা উচিত হয়নি। এবার তো থামো। এক শ্বাসে এতো কথা কি করে বলতে পারো তুমি টিলা?
মিলা রেহানের কথা শুনে একটু থামলো। তারপর আবার বললো।
-রেহান আমার নামকে তুমি একদম ব্যঙ্গ করবে না। তোমার মুখ যে আমি এখনো ভেঙে দেইনি এটাই শুকুর।
মিলার কথা শুনে রেহান বিড়বিড় করে বললো।
-ডাইনি একটা।
মিলা রেহানের দিকে সরু চোখে তাকিয়ে বললো।
-কি বললে?
রেহান হালকা হেসে বললো।
-না কিছু না। আমি এদিক দিয়েই যাচ্ছিলাম ভাবলাম তোমাদের বাড়িতে ঘুরে যাই। কিন্তু এখন দেখছি সময় নেই। তুমি চাইলে আমার সাথে যেতে পারো। যেহেতু আমরা একই জায়গায় যাচ্ছি।
মিলা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো। তার হাতে বেশি সময় নেই। সেজন্য সে রাজি হয়ে গেল। গাড়িতে উঠে বসলো। রেহান গাড়ি স্টার্ট করলো। মিলা মনে পড়ার ভঙ্গিতে বললো।
-তুমি না আমাদের বাড়িতে যেতে চাইছিলে? আম্মা শুনলে রাগ করবে তুমি বাড়ির সামনে থেকে ফিরে গেলে।
মিলার কথা শুনে রেহান বললো।
-আজ সময় নেই। অন্য একদিন যাবো।
রেহানের কথা মিলার ঠিক বিশ্বাস হলো না। সময় নেই সেটা তো আগেই জানতো তবুও এলো কেন! যাক যা খুশি করুক মিলার কি।
ইউনিভার্সিটি থেকে একটু দূরে একটা খালি মাঠে রেহান গাড়ি থামালো। মিলা অবাক হয়ে বললো।
-দেরি হয়ে যাচ্ছে তো এখানে থামালে কেন?
রেহান একটু হেসে বললো।
-নামো পাঁচ মিনিট ঝগড়া করি। তারপর যাবো।
মিলা এতে আবার রেগে গেল। বললো।
-বেয়াদব ছেলে তাড়াতাড়ি চলো। নইলে তোমাকে মেরে নাক ফাটিয়ে দিবো।
রেহান তবুও হাসতে হাসতে বললো।
-আরে পাঁচ মিনিটই তো। নামো না। পাঁচ মিনিট পরে আমরা দ্রুত চলে যাবো।
মিলা রেহানের দিকে সরু চোখে তাকিয়ে নামলো। দুইজন হাটতে হাটতে একটা গাছের নিচে থামলো। রেহান মিলার দিকে তাকিয়ে বললো।
-আই থিংক আমরা এভাবে সারাজীবন ঝগড়া করেও ক্লান্ত হবো না।
এই কথা শুনে মিলা রাগী স্বরে বললো।
-তুমিই সবসময় আগ বাড়িয়ে ঝগড়া করো। মেয়েদের মতো পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করতে তোমার তো খুব ভালো লাগে।
রেহান বললো।
-তোমার দোষ। তুমি সবসময়ই রেগে থাকো কারনে অকারনে রেগে থাকো। তোমার রাগের স্পেসিফিক কোনো কারন থাকে না। ম্যাচের কাঠি ছাড়াই তুমি জ্বলে উঠো।
মিলা এবার রেহানের দিকে অগ্নিশর্মা দৃষ্টিতে তাকালো।
-তোমার মতো বেয়াদব রেহানের সাথে এমনই করা উচিত। শয়তান একটা। সবসময় তুমি আমার পেছনে লেগে থাকো। আবার আমাকে দোষ দিচ্ছো।
রেহান এবার জোরে হেসে ফেললো। একটা গাছের নিচে থামলো মিলাও থামলো। মিলা রেহানের হাসি দেখে বললো।
-তুমি বেয়াদব শয়তান বেজি হওয়ার পাশাপাশি পাগলও আছো। অকারনেই হাসছো।
রেহান বহুকষ্টে হাসি থামালো। তারপর হাসি হাসি মুখ করে বললো।
-আমি সারাজীবন তোমার পেছনে পরে থাকতে চাই। তোমাকে জ্বালাতে আমার খুব ভালো লাগে। সারাজীবন জ্বালাতে চাই। তুমি কি সারাজীবন জ্বালাতে দিবে?
রেহানের কথা শুনে মিলার খুব হাসি পেলো। কিন্তু এখন হাসলে চলবে না। নইলে রেহানকে টাইট দিয়ে রাখা যাবে না। রেহানকে সবসময় ধমকের ওপরেই রাখতে হবে ভাবলো মিলা। সেজন্য সে গম্ভীর স্বরে বললো।
-সারাজীবন আমাকে জ্বালাতে চাইলে সারাজীবনই আমার ধমক শুনতে হবে। সবসময় আমার রাগী দৃষ্টি সহ্য করতে হবে তুমি কি পারবে?
রেহান একটু হেসে বললো।
-পারবো। আমার তো জ্বালাতে ভালো লাগে। আমি কেন এই সুযোগ হাতছাড়া করবো!
মিলার হাসি পেলেও সে বহুকষ্টে আটকে রাখলো। বললো।
-আমি কিন্তু খুব স্বার্থপর। তোমাকে সারাজীবন ধমকের ওপরে রাখার সুযোগ পেলে আমি আমার আপার কাছেও সারাজীবন থাকতে পারবো। সুতরাং এতে অন্যকিছু ভাবার অবকাশ নেই।
রেহান আবারও জোরে হেসে ফেললো।
-বললো স্বার্থপর মানুষদের সারজীবন জ্বালানোর সুযোগ হাতছাড়া কয়জন করে! অন্তত আমি করবো না। সুতরাং আমিও অন্যকিছু ভাবছি না।
এবার মিলা হাসবে হাসবে না করেও হেসে ফেললো। রেহানও হেসে মিলার হাসিমুখের দিকে তাকিয়ে রইলো।
আসাদ নিজের অনিচ্ছায় নীরা যেই এনজিওতে কাজ করে সেখানে জয়েন করেছে। তার বিন্দুমাএ ইচ্ছে ছিলো না। শুধুমাএ তিশার জন্যই তাকে এসব করতে হচ্ছে। আসাদ বিরস মুখে সব বুঝে নিয়েছে। এখানকার হেড বলেছেন নীরা আর রুমাও আজ আসবে। এখানে আসার পর আসাদ নীরার সাথে দেখা করতে চাইছিলো। কিন্তু সে এখানে আসার চার দিন পর নীরা আর রুমা আসছে। আসাদ বিরক্তমুখে সবার সাথে ওদের জন্য অপেক্ষা করছে।
নীরা আর রুমা স্কুল ছুটির পর এনজিওতে আসলো। অনেকদিন পর আসা হয়েছে এখানে। নীরা বিয়ের পর আর সময়ই পায়নি এখানে আসার। তাই প্রথমেই এসে বাচ্চাদের সাথে দেখা করলো।। নীরা আর রুমার সাথে এখানকার হেডের খুব ভালো সম্পর্ক। যিনি হেড তিনি একজন মহিলা। ওনার নাম সুরাইয়া। তিনি নীরাদের সাথেই ছিলেন এতোক্ষন। নীরা ওনাকে প্রশ্ন করলো।
-নতুন কয়েকজন নাকি জয়েন করেছে। আমরা তো সময়ই দিতে পারি না। যাক সদস্য বেড়েছে এখন সবাই মিলে কাজ করলে ভালো এগোবে।
সুরাইয়া নীরার কথা শুনে বললেন।
-এতো ব্যস্ততার মাঝেও যথেষ্ট সময় দাও তোমরা। সময় দিতে পারো না কে বললো!
সুরাইয়ার কথা শুনে নীরা আর রুমা হাসলো। রুমা বলে উঠলো।
-ম্যাম আপনিই তো অর্ধেকের বেশি কাজ সামলান। আমরা আর কতোটুকুই বা করি।
নীরাও রুমার সাথে তাল মেলালো।
-রুমা একদম ঠিক বলেছে ম্যাম।
ওদের কথা শুনে সুরাইয়াও এবার হেসে ফেললেন। বললেন।
-চলো তাহলে নতুনদের সাথে দেখা করবে।
নীরা হেসে বললো।
-অবশ্যই।
আসাদ বিরক্ত হয়ে বসে ছিলো। সবাই যে যার মতো অর্গানাইজেশন নিয়ে কথা বলছে। কোনটা ভালো কোনটা মন্দ এসব নিয়েই আলোচনা চলছে। আসাদের এসবে বিন্দুমাএ কান দিতে ইচ্ছে করছে না। তবুও সে বসে রইলো। সে এসব ভাবতে ভাবতেই সুরাইয়া নীরাদের নিয়ে হাজির হলেন। পুরনো যারা ছিলো তারা সবাই ই নীরা আর রুমাকে চেনে। সবাই ওদের সাথে কথা বলা শুরু করলো। আসাদ নীরার হাটার ভঙ্গি দেখেই বুঝতে পেরেছে ওটা নীরাই। যদিও সে তিশার কাছে ছবি দেখেছিলো। তবে সামনাসামনি দেখতে পেয়ে ভালোই লাগলো তার। সে নীরাকে পর্যবেক্ষন করছিলো। আর মিটিমিটি হেসে ভাবছিলো। নীরা বোধহয় তিশার থেকে একটু বেশিই সুন্দর। শুধু পায়েই একটু সমস্যা। আর কোনোকিছুতেই সমস্যা নেই। এজন্যই তিশা হিংসায় জ্বলে পুড়ে যায়। নীরা আর রুমা হেসে সবার সাথে কথা বললো। নতুনদের সবার সাথে পরিচিত হলো। সুরাইয়া নীরাদের দিয়ে আসাদের সামনে আসলে আসাদের ধ্যান ভাঙলো। সুরাইয়া আসাদকে দেখিয়ে বললেন।
-ও আসাদ। এখানে একদমই নতুন। ও অসহায়দের জন্য কিছু করতে চায় এজন্যই এখানে জয়েন করেছে। আর আমারও ওকে ভালো লেগেছে।
আসাদ নীরা আর রুমার দিকে তাকিয়ে হাসলো। এরপর সুরাইয়া আসাদকে বললেন।
-ওরা হচ্ছে নীরা আর রুমা। আমার এই এনজিওর মোস্ট ইস্পর্টেন্ট মেম্বার। একদম আমার মেয়ের মতো। ওদের গুরুত্ব কিন্তু এখানে সবচেয়ে বেশি। আমার চেয়েও বেশি।
কথা শেষ করেই সুরাইয়া হাসলেন। নীরা আর রুমাও হাসলো। আসাদ ওদের উদ্দেশ্যে বললো।
-নাইস টু মিট ইউ। খুবই ভালো লাগলো আপনাদের সাথে পরিচিত হয়ে।
নীরাও বললো।
-আমাদেরও ভালো লাগলো আপনাদের সাথে পরিচিত হয়ে।
সুরাইয়া বললেন।
-তোমরা কথা বলো। আমি একটু আসছি।
আসাদ হাসতে হাসতে বললো।
-সুন্দর মানুষদের সাথে কাজ করতে খুবই ভালো লাগবে।
আসাদের কথা শুনে রুমা হেসে বললো।
-আমরা সবাই সুন্দর।
আসাদ নীরার দিকে তাকিয়ে বললো।
-হ্যা সবাই সুন্দর।
নীরা কিছু বললো না আর। রুমা আর আসাদই নিজেদের মধ্যে কথা বললো। আসাদ একটু পরপর নীরাকে প্রশ্ন করলে নীরা সৌজন্যতার খাতিরে জবাব দিচ্ছিলো শুধু।
সবকিছু শেষে নীরাদের চলে যাওয়ার সময়ও আসাদ আগ বাড়িয়ে এগিয়ে দিলো। রুমা এসব নরমালি নিলেও নীরার আসাদের এতোটা এডভান্স স্বভাব ভালো লাগলো না।
–চলবে!