#প্রেমনগরে_প্রশান্তির_ভেলা পর্ব ৫
#আফসানা_মিমি
আমারা বাঙালিরা সাধারণত মধ্যাহ্নভোজের পর পর বিশ্রাম নামক নিদ্রায় আচ্ছাদিত হতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি। মধ্যাহ্নভোজের পর নরম তুলতুলে বিছানায় গা এলিয়ে দিলেই নিদ্রা ভর করে আসে আঁখি পল্লবে।
পুরো মহল্লার মানুষেরা যেখানে শয়নকক্ষে বিশ্রাম নিচ্ছে সেখানে রুপ কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে বের হচ্ছে প্রেম নীড় থেকে। উদ্দেশ্যে দর্পণ নামক কোচিং সেন্টার। যেখানে দুই থেকে চার ঘন্টা রুপ ক্লাস করাবে। রুপ ভার্সিটির ছাত্রী। দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছে রুপ। পাবলিক ভার্সিটি হওয়ায় ক্লাস মিস দিলে তেমন একটা সমস্যা হয় না রুপের। এতদিন এতিমখানায় থেকে পড়াশোনা করতো রুপ। এতিমখানার মালিক পরিবর্তন হওয়ায় নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে যেখানে বিশ বছর বয়সী মেয়েরা নিজ উপার্জনে চলতে হবে। তাদের দায়ভার এতিমখানার মালিক নিবে না। রুপের সাথে রাইসাও এতিম। রাইসাকে এতিমখানার পুরোনো মালিক রাস্তা থেকে কুঁড়িয়ে এনে আশ্রয় দেয়। ছোট বেলা থেকেই রাইসা রুপের পাগল। রুপ ছোট বোনের ন্যায় স্নেহ করে বড়ো করেছে রাইসাকে। রাইসার বয়স এখন একুশ। পড়াশোনায় কাঁচকলা। টেনে টুনে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়িয়েছে রুপ। বর্তমানে একটি কফি শপে চাকরি করে। পরিধানের জন্য জামা কাপড় নেই রাইসার। রুপের কাপড় পরিধান করে করেই চাকরিতে যায় রাইসা।
প্রেম নীড় থেকে বের হতেই রুপের মুখোমুখি হতে হয় দারোয়ানের। দারোয়ান কুদ্দুস মোল্লা দাঁত কেলিয়ে হাসছেন রুপকে দেখে।
” কই যাইব মাইয়া? মার্কেটে নাকি?”
দারোয়ানের কথা বুঝতে যেন রুপের কয়েক মুহূর্ত লেগে গেল। পিটপিট চোখে দারোয়ানের দিকে তাকিয়ে কথার মানে বুঝতে চেষ্টা করলো রুপ। অবশেষে বুঝতে সক্ষমও হলো।
” কোচিংয়ে যাচ্ছি। সন্ধ্যার আগেই ফিরে আসবো।”
কুদ্দুস মোল্লা একটু হাত পাতা মানুষ। যার তাঁর কাছে টাকা চাইতে তাঁর বিবেকে বাঁধে না। রুপকে নতুন পেয়ে হাত চুলকোতে চুলকোতে বলে,
” তা তুমি কি আদব কায়দা কিছুই জানো না?”
রুপ দারোয়ানের মুখে এমন কথা শোনার জন্য প্রস্তুত ছিলো না। রূপের যতটুকু মনে পড়ে এই লোকের সাথে খারাপ আচরণ করে নি। রুপ যথেষ্ট বড়োদের সম্মান করে। রুপ প্রশ্নবোধক চাহনিতে দারোয়ানের দিকে তাকিয়ে থাকে। এদিকে দারোয়ান কুদ্দুস মোল্লা মনে মনে বেজায় খুশি। এমন বোকা মেয়ের কাছ থেকে প্রতিদিন পকেট ভর্তি টাকা নিতে পারবে।
” এই বাড়ির হগ্গলে আমারে মেলা ভালাবাসে। আসতে যাইতে দোয়া দিয়ে যায়। তুমি তো কিছু দোয়া দিলা না?”
দারোয়ানের কথা শুনে রুপ প্রত্যুওরে বলল,
” আমি তো সকলের জন্য’ই দোয়া করি।”
দারোয়ান যেন এবার বিরক্ত হলো। এমন বোকা মেয়ে দারোয়ানের জীবনে এই প্রথম দেখছে।
” আরে দোয়া মানে বুঝো না! হাতে কিছু গুঁজে দোয়া দেয়া। ”
এতক্ষণ পর রুপের বোধগম্য হলো কুদ্দুস মোল্লা কোন দোয়ার কথা বলছে। কিন্তু রুপের নিকট এখন মাত্র একশত পঞ্চাশ টাকা আছে। মাসের শুরু হলেও পাঁচ বা ছয় তারিখে কোচিং থেকে টাকা পাবে। অগত্যা রুপ মলিন হেসে ব্যাগ থেকে টাকা বের করে পঞ্চাশ টাকার নোট দারোয়ানের হাতে তুলে দেয়।
দারোয়ান পঞ্চাশ টাকার নোট পেয়ে খুশি হলো না যেন। মুখটাকে ভোঁতা করে গেইট খুলে দেয়।
রাস্তায় নেমে প্রেম নীড় থেকে কিছুটা এগিয়ে গিয়ে রুপ টাকা হিসেব করছে। ব্লক সি থেকে কোচিং সেন্টারে যেতে হলে আসা যাওয়া চল্লিশ টাকা ভাড়া প্রয়োজন। এদিকে রাইসা আজ ওভারটাইম করবে শপে। সন্ধ্যায় কিছু নিয়ে না আসলে অভুক্ত থাকতে হবে মেয়েটার। রুপ কোন উপায়ান্তর না পেয়ে হাঁটা শুরু করল।
কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে দু’তলা থেকে নাদিফ এতক্ষণ সকল কিছুই পর্যবেক্ষণ করছিলো। ইদানিং দারোয়ানের জিহ্বা যে বেড়ে গিয়েছে তা ছোট করতে হবে। আর এই কাজটা সুযোগ বুঝে নাদিফ করবে। কফির কাপে শেষ চুমুক দিয়ে গায়ে পাতলা টি-শার্ট জড়িয়ে বাইকের চাবি নিয়ে বের হয়ে আসে ঘর থেকে।
কুদ্দুস মোল্লা এই অসময়ে ছোট সাহেবকে বের হতে দেখে অবাক হয়ে যায়। কুদ্দুস মোল্লার ছোট সাহেব এই সময়ে ঘরে’ই থাকেন।সন্ধ্যায় বের হয়ে যায় বাড়ি থেকে ফেরত আসে রাতে।
নাদিফের বাইক চালিয়ে গেইটের কাছে আসার আগেই দারোয়ান গেইট খুলে দেয়। হাত দিয়ে স্যালুট জানিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। কুদ্দুস মোল্লাকে দেখে নাদিফ থেমে যায় গম্ভীর কন্ঠস্বরে বলে,
” চোরের দশদিন, আর গিরোস্তির একদিন। কথাটা মনে রাখিস বাচাধন!”
দারোয়ান নাদিফের কথার মানে বুঝলো না। কপাল থেকে হাত নামিয়ে কিছু বলবে তার আগেই নাদিফ পারাপার।
” এই মেয়ে, জানের ভয় নেই নাকি? এই অসময়ে বাহিরে কি?”
রুপ হেঁটে হেঁটে প্রেম নীড় থেকে অনেকটাই দূরে চলে এসেছে। আচমকা রাগী লোকটার কন্ঠস্বর শুনে শুকনো ঢোক গিলে। পাশ ফিরে তাকিয়ে দেখে রাগী লোকটা ঠিক রুপের পাশাপাশি বাইক নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নজর তাঁর সম্মুখে। রুপ ভাবছে হয়তো অন্য কাউকে বলছে তাই রুপ কোন উওর না দিয়ে আবারও হাঁটতে থাকে। এদিকে নাদিফকে রুপ ইগনোর করাতে নাদিফ রেগে যায়। মোটরবাইকে বসেই রুপের হাত শক্ত করে ধরে,
” কানে কি তুলা দিয়ে রেখেছো?”
” ব্যাথা পাচ্ছি।”
” ব্যাথা পাওয়ার জন্যই এত জোরে ধরেছি। আমাকে ইগনোর করো তাই না?”
” মোটেও না।”
” তাহলে আমার কথার উওর দিচ্ছো না কেন?”
রুপের এখন ইচ্ছে করছে হাত পা ছড়িয়ে কান্না করতে। রুপ যত চায় এই রাগী লোকটার থেকে দূরে সরে থাকতে তত’ই এই লোকটা কোথায় থেকে যেন এসে রুপের সামনে টপকে পড়ে।
” হাত ছাড়ুন। আমি আপনাকে ইগনোর করছি না। আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে। আমাকে যেতে দিন।”
রুপের কান্নামাখা কন্ঠস্বর শুনে নাদিফ শান্ত হয়। রেগে গেলে নাদিফের মাথা ঠিক থাকে না। কখন যে কি করে বসে নিজেও জানে না। আর এই মেয়ে যদি এখন কান্না শুরু করে দেয় তো দেখা যাবে নাদিফ লোকসম্মুখে’ই থাপ্পড় দিতে শুরু করেছে।
নাদিফ চোখ বন্ধ করে লম্বা নিশ্বাস ত্যাগ করে নিজেকে শান্ত করে নিলো। রুপের উদ্দেশ্যে কিছুটা নরম স্বরে বলল,
” গাড়িতে উঠে বসো।”
রুপ যেন আকাশ থেকে টপকে পড়লো। চোখ বড়ো বড়ো করে সুন্দর রাজপুত্রের মতো ছেলেটাকে দেখতে লাগলো। রুপের নড়চড় না দেখে নাদিফ ভ্রু যুগল কুঁচকে বলল,
” আমি ইটালিয়ান ভাষায় কথা বলিনি, শুদ্ধ বাংলা ভাষায় কথা বলেছি। গাড়িতে উঠে বসো মেয়ে, নয়তো এখানেই থাপ্পড়াতে শুরু করব।”
নাদিফের এমন কঠোর কন্ঠস্বর শুনে রুপ আর এক মিনিটও ব্যায় করলো না। হুড়মুড় করে বাইকে চড়ে বসলো। এদিকে রুপের ভয় পাওয়া দেখে নাদিফ বাঁকা হাসলো। এই মেয়েকে শায়েস্তা করতে নাদিফের বেশ লাগে।
” কোথায় যাবে?”
” দর্পণ কোচিং সেন্টারে।”
” পড়াশোনা করতে?”
” পড়াশোনা করাতে।”
” বাব্বাহ! ম্যাডাম দেখি।”
নাদিফের মুখে দুষ্টু হাসি। স্বচ্ছ মোটরবাইকের দর্পণ দিয়ে দেখতে পারছে রুপের লাজুকরাঙা মুখশ্রী। নাদিফের এখন ইচ্ছে করছে রুপের এমন লাজুকরাঙা মুখশ্রীতে একটা নাম দিতে। নাদিফ মনে মনে রুপের নামের পাশে দুইটা অক্ষর বসিয়ে দিলো। রুপের লাজুকরাঙা মুখশ্রীতে ঘায়েল হয়েছি ‘অপরুপ’!
দর্পণ কোচিং সেন্টারের সামনে এসে মোটরবাইক থামায় নাদিফ। রুপ মোটরবাইক থেকে নেমে এদিক সেদিক নজর ঘুরিয়ে সময় নিয়ে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিলো।
রুপের এহেন কান্ডে নাদিফ রুপকে পিছন থেকে ডেখে উঠে,
” এই মেয়ে শুনো?”
এগিয়ে গিয়েও রুপ আবার পিছন ফিরে তাকায়। প্রশ্নবোধক চাহনিতে তাকিয়ে থাকে নাদিফের দিকে।
“আমার বাবার কাছ থেকে দশ হাত দূরে থাকবে, বুঝেছো?”
নাদিফের এমন মিষ্টি হু’ম’কি পেয়ে রুপের মাথা আপনা আপনিই হেলে যায়। নাদিফ এবার জোরে মোটরবাইক চালিয়ে চলে যায় চোক্ষের আড়ালে।
————-
” ললিতা তুমি করো শুধু ভনিতা।
কাছে আসো না, পাশে বসো না।
করো যে শুধু বাহানা।”
বৈকালীন সময়ে আয়েশা আজাদ ঘরে বসে কাপড় ভাঁজ করছিলেন। আজাদ সাহেব মনের আনন্দে বারান্দায় ফুলের গাছে পানি দিচ্ছেন আর মনের সুখে প্রিয়তমা স্ত্রীকে নিয়ে গান গাইছেন। স্বামীর কন্ঠস্বরে গান শুনে আয়েশা আজাদ মুচকি হাসছেন। বোঝা’ই যাচ্ছে শেষ বয়সে এসে স্বামীর অঘাত ভালোবাসা পেয়ে আয়েশা আজাদ বেজায় খুশি।
এদিকে ফাহিমা নিজের ঘরে অনেকক্ষণ যাবত আয়নার সামনে বসে কেশব গুছিয়ে যাচ্ছে। মুখে যেন পুরো রাজ্যের আধার নেমে এসেছে। নাবিল স্ত্রীর কান্ডে খুবই মর্মাহত। সপ্তাহে এই একটা দিন বাসায় থাকে নাবিল। কই স্ত্রী এসে স্বামীর সহিত দুই একটা মিষ্টি কথা বলবে! তা না করে মুখ ভার করে বসে আছে। নাবিল বুঝতে পারছে যেকোন কারণে ফাহিমার মন খারাপ। নাবিল বিছানায় আয়েশ করে বসে বলে,
” কি হয়েছে আমার ফামুটার?”
স্বামীর আহ্লাদে কথা শুনেও ফাহিমার কোন নড়চড় নেই। ঠায় হয়ে বসে রয়েছে আয়নার সামনে। নাবিল এবার শক্ত করে স্ত্রীকে ডাকলো,
” তুমি যদি এক্ষুনি আমার কাছে না আসো, তাহলে কিন্তু প্রেম নীড়ে আরেকটা বউ চলে আসবে।”
নাবিলের এক কথা যেন আগুনে ঘি ঢেলে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিলো। এতক্ষণে লতার মতো কেশব আচড়ে দেয়ার চিড়ুনি খানা শব্দ করে টেবিলের উপর রাখলো। রাগে ফোঁস ফোঁস করে বলল,
” হ্যাঁ হ্যাঁ! ঐ একটা কাজ ই তো করতে পারবে। বিয়ে করা ছাড়া তোমাদের ছেলেদের আর কোন কাজ আছে নাকি?”
বর্তমানে নাবিলের কাছে মনে হচ্ছে ফাহিমা যেন আগুনের ফুলকি। যেখানে একটু ছোঁয়া লাগলেই ভষ্ম হয়ে যাবে।
” ফামু! বউ আমার, কি হয়েছে তোমার? আমি তো তোমাকেই ভালোবাসি। মজা করলাম একটুখানি। কাছে এসো বউ কি হয়েছে বলো আমাকে।”
ফাহিমা স্বামীর আহ্লাদ মাখা স্বর শুনে কান্না করে দিলো। নাকে মুখে কান্না করে বলল,
” তোমার কোন বউ পোয়াতি সোয়ামি?”
———
কোচিং সেন্টারে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াচ্ছে রুপ। সাদা বোর্ডে কালো কালি দিয়ে এটা সেটা লিখে জ্ঞান চর্চা করাচ্ছে। প্রায় আধা ঘন্টা যাবত পড়াচ্ছে রুপ। বসারত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে খুব সুন্দর মনোযোগ। সবার মস্তিষ্কে যেন রুপের বুঝানো পড়া ঢুকে যাচ্ছে খুব সহজে’ই মনোযোগী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে শুধুমাত্র একজন ছাড়া। সে একমনে সুন্দরী শিক্ষিকার ভাবভঙ্গি দেখে যাচ্ছে।
” এভাবে হা করে না গিলে, পড়াটা মাথায় ঢুকা। কাজে লাগবে।”
” উফ তুই চুপ থাক তো মুটি! ম্যাডাম আমার বাল্যকালের ক্রাস। ম্যাডামকে যত দেখি তত মুগ্ধ হই।”
কোচিং সেন্টারের দুই বন্ধু ফাল্গুনী, ফয়সাল। নামের মত তাঁদের বন্ধুত্ব মজবুদ। একাদশ শ্রেণীর ছাত্র তারা। ফয়সালের ক্রাস রুপ। উঠতে বসতে রুপের পাগল যেন ফয়সাল। ফাল্গুনী ফয়সালের ছোটবেলার বন্ধু। ফয়সালকে অনেকবার নিষেধ করার পর ও ছেলেটা রুপের পিছনে পড়ে থাকে।
” ফয়সাল, ফাল্গুনী! পড়াশোনায় মনোযোগ দাও।”
রুপের কথায় দুজন কথা ছেড়ে মনোযোগ দেয়।
এদিকে রুপের ফোনটা অনবরত বেজে চলছে। এই নিয়ে ঊনিশবার কল এসেছে ফোনে। ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি রুপ ও এবার বিরক্ত। কোন রকম ক্লাস শেষ করে বের হয়ে আসে শ্রেণী কক্ষের বাহিরে।
ছোট বাটন ফোনের দেয়ালে অপরিচিত নাম্বার দেখে ভ্রু যুগল কুঁচকে আসে রুপের। বিশবারের মাথায় কল আসায় রুপ ফোন রিসিভ করে। রুপ কিছু বলবে তার আগেই অপরপাশ থেকে কথা ভেসে আসে,
” ঐ তোর মতো কি আমি অযথা বসে থাকি? আমার কি কাজ কর্ম নেই? কেন ফোন দিয়েছিলি আমাকে, প্রেম করতে? তোর প্রেমের উপর আগুনের ফুলকি পড়ুক দোয়া করি। রাত-বিরাতে ছেলেদের ফোন করে চুপ করে থাকা তাই না! আরেকবার যদি আমাকে কল করিস তো তোকে জে’লে ঢুকাবো বলে দিলাম।”
কল কেঁটে গেলো। রুপের এক মুহূর্তও সময় নেয় নাই বুঝতে যে এতক্ষণ কে কথা বলেছে। রুপ ফোন হাতে নিয়ে বিস্ময়কর দৃষ্টিতে ফোনের দিকে নজর দিলো। আপনমনে বলল,
” আমি জে’লে যেতে চাই না। ঐ রাগী লোকটার সামনে আর পড়বো’ই না। আজ’ই চলে যাবো প্রেম নীড় থেকে আজীবনের জন্য।”
চলবে……….