প্রাণেশ্বরী সূচনা পর্ব

0
719

বদ্ধ রুমের ওপাশ থেকে অবিরাম আওয়াজ ভেসে আসছে। সাথে তাল মিলিয়ে ভঙ্গুর হৃদয় তুলছে তীব্র ঝংকার, কেঁপে কেঁপে উঠছে ‘সুখনীড় ভিলার’ প্রত্যেকটি ইটপাথর। উ’ন্মা’দের ন্যায় ভা’ঙচু’র করেই চলেছে প্রাণ, নিজেকে কোনভাবে সংযত রাখতে পারছে না সে। চোখের কার্ণিশ বেয়ে গড়িয়ে চলেছে নোনাজলের স্রোতধারা। থামাথামি কোন নাম গন্ধ নেই। মনের দুয়ারে বার বার ভেসে উঠছে কিছুক্ষণ আগের ঘটনা। প্রতারক আর বিশ্বাস’ঘাত’ক’তার চরম পরিচয় পেয়েছে আজ সে। যাকে চিত্তের অর্ধেকাংশ জুড়ে রাজ করতে দিয়েছে, যাকে নিয়ে জীবনের প্রথমবারের মত স্বপ্ন বুনেছে, সে এমনভাবে প্রতারণা করবে তা কখনো ভাবতে পারেনি। বিশ্বাস’ঘা’ত’কতা করেছে। তাও বিশ্বাসঘাতকতা করেছে কার সাথে মিলে? যাকে সে নিজের চেয়ে বেশি বিশ্বাস করেছে? নিজের সখী কম বোন মেনে এসেছে। নয়ন ও জেসিকা মিলে এভাবে তার পিঠে আঘাত করবে তা ইহকালেও ভাবেনি সে। কি দোষটা ছিল তার? কেন এভাবে ঠকানো হলো তাকে? প্রশ্নের উত্তর মিলে উলটো যতবারই ঘটনাটা তার মস্তিষ্ক স্মৃতিচারণ করছে ঠিক ততবারই দ্বিগুণ ভেগে বেসামাল হচ্ছে।
.
কয়েক প্রহর পূর্বে, নিজের বাগদত্তাকে সারপ্রাইজ দিতে এসে তাকে নিজেরই বেস্টফ্রেন্ডের সাথে অপ্রী’তিকর অবস্থায় দেখে প্রাণের পুরো দুনিয়াটাই ঘুরে গেল। স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো সে সামনে, যেন সে মনে প্রাণে চাইছে সে যা দেখেছে-বুঝেছে সবটাই মিথ্যে হোক, ভুল প্রমাণিত হোক এই মুহূর্ত। কিন্তু চাইলেই কি তা আর হয়? যে সত্য একদম ফকফকে পরিস্কার তা কিভাবে মিথ্যে প্রমাণিত হবে? কথাটা ভেবে উঠতে অজান্তেই নয়নযুগল বেয়ে গড়িয়ে পড়লো অশ্রুকণা, ভিজিয়ে গেল তার গাল,চিবুক। ঝাপসা দৃষ্টিতে কিঞ্চিৎ ফাঁক হয়ে থাকা দরজার ওপারে স্পষ্ট দুইজন নর-নারীর বিশেষ মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে গেল সে অবিলম্বে। তবে সেই কথা জানলো না কেউ, নিজেদের মধ্যে এতই মত্ত ছিল দু’জন যে চোখে পড়লো না দরজার অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েলি গঠনের অবয়বটির দিকে। ধৈর্য্যের বাঁধ হয় এবার ভাঙালো, সহ্য হলো না এসব নোং’রামি। সে এগিয়ে এসে দরজার ঠ্যালার জন্য হাত বাড়ালেও তাদের বি’ষা’ক্ত কথা কর্ণকুহরে পৌঁছাতেই সেই হাত গুটিয়ে নিল সে। লম্বা এক নিশ্বাস নিয়ে নিশ্চুপ পায়ে পিছিয়ে গেল প্রাণ, দিকবিদিক লক্ষ্য না করে হাতের পার্সটা মুঠো করে ধরে বেরিয়ে পড়লো সে। যাওয়ার পূর্বে দরজার লাগিয়ে গেল ঠিক তবে সেই আওয়াজ পৌঁছালো না কারো কর্ণকুহর পর্যন্ত। টলমল পায়ে বাড়ির বাহিরে এসে দাঁড়ালো প্রাণ, শরীর তার প্রচন্ড রকম কাঁপছে। হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে বেশ। খোলা চুলগুলো এলোমেলো হয়ে এসেছে, কাঁধে ঝুলানো ওড়না মাটির সাথে মিশে চলছে। দু’চোখের নিচে কাজল লেপ্টে গিয়েছে বিশ্রীভাবে, গালেও দাগ বসে আছে। বা হাত দিয়ে কাজলে ভেজা গাল জোড়া মুছে নিলো সে। সাথে সাথে হাতের কোণও হয়ে গেল কাজলরাঙা। ধীর পায়ে এগিয়ে গেল সে, গাড়ির শব্দ শুনে যদি নয়ন বুঝে যায় প্রাণ এসেছে তাহলে তার সারপ্রাইজ নষ্ট হয়ে যাবে ভেবেই গাড়ি একদম বাহিরে পার্ক করেছিল সে। তবে এই ছোট ভাবনা যে তাকে এত বড় সত্যের মুখোমুখি করাবে তা কি আর সে জানতো?কোনরকম হেটে বড় গেটের সামনে এসে থামতেই রহিমকে মাথা নত অবস্থা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল। লোকটার বয়স চল্লিশোর্ধ্বে, গায়ের গড়ন ছিমছাম, ঠোঁট দু’টো পানের পাতার কালছে রঙে রাঙ্গা, পড়নে দরজার প্রহরীর উর্দি। প্রাণ তার দিকে তাকিয়ে নিভন্ত কন্ঠে বলল, “চাচা দরজাটা খুলে দিবেন একটু?”

রহিম এবার চোখ তুলে তাকালেন। প্রাণের এমন বিধস্ত চেহেরা দেখে তার মায়া হলো বটে। সে তো জানেন ভিতরে কি হচ্ছে। এ যে নতুন নয়, বছর খানেক ধরে চলে আসছে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে সে ধাতস্থ কন্ঠে বলল, “মা আফনি কোষ্ঠ ফাইয়েন নে। ছোট্টসাব সত্তিকারে তোমারেই ভালোবাছেহ। ওই ডা’ই’নি হের মা….”

রহিমকে কথার মাঝে থামিয়ে দিয়ে প্রাণ বলে উঠলো, “কারো পক্ষ নিতে হবে না আপনার চাচা। আমি কোন পাঁচ বছরের বাচ্চা নই যে আমাকে কথায় ভুলানো যাবে। ভালো-মন্দ বোঝার ক্ষমতা আমার বেশ আছে।”

রহিম এবার লজ্জায় মাথা নুইয়ে ফেললেন। প্রাণ পুনরায় বলে উঠে, “দরজাটা খুলে দিন চাচা।”

রহিম এবার কথা এগোলেন না। চুপচাপ লোহার দরজাটা খুলে দিলেন। প্রাণ নিস্তব্ধ পায়ে একবার বেরিয়ে নিতে গিয়েও থমকে দাঁড়ালো। পিছন ঘুরে পার্স ব্যাগ থেকে কয়েক হাজার টাকার নোট বের করে রহিমের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো, “চাচা, রাখেন আপনি এটা। নয়ন যাতে জানতে না পারে আমি এসেছিলাম এখানে। এটা আমার অনুরোধ।”

রহিম বিস্ময়কর দৃষ্টিতে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করেন, “এটি কি কোন আপনি?”

প্রাণ রহিমের হাতের মুঠোয় টাকা গুঁজে দিয়ে বলেন, “একবার আপনি বলেছিলেন না আমি আপনার মেয়ের মত? তাহলে আজ আমি সেই মেয়ে হিসাবেই অনুরোধটুকু করছি, ফেলবেন না প্লিজ। নয়ন যাতে কোনভাবে আমার আসার কথাটা জানতে না পারে।”

প্রাণের কথায় রহিম দূর্বল হয়ে পড়লেন। বড়লোকদের প্রতি তার তীব্র অনিহা থাকলেও প্রাণের এমন আমায়িক আচরণের জন্যই রহিম প্রাণকে কখনো নিচু চোখে দেখতে পারেননি। সে জানে নয়ন কেমন, এক নাম্বারের ল’ম্প’ট, ধুর’ন্ধর প্রকৃতির মানুষ। তার মত মানুষের জন্য এই ফুলের মত মেয়েকে আর যাই হোক কষ্টে দেখতে পারবেন না তিনি। নেহাৎ তখন প্রাণকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য কথাগুলো বলেছিলেন, এর ব্যতীত কিছুই না। তিনি এবার মৃদুস্বরে আশ্বস্ত করে বললেন, “টাহা লাগবো না মা। আফনি নিসচিন্তে থায়ুন,ছোট্টসাব কিচ্চু জানবোহ নাহ।”

প্রাণ কথা শুনলোনা। টাকাটা রহিমের হাতে গুঁজে দিয়ে তাকালো দোতালা বিশিষ্ট সুবিস্তীর্ণ বাড়িটার পূবপার্শ্বের আঁধারে অর্ধমিলিত রুমটার পাণে। পাশ থেকে রহিম জিজ্ঞেস করে উঠলেন, “আফনে কি ছোট্টসাবরে মাফ কইরা দিবেননি?”

প্রাণ আনমনে বলে উঠে, “অন্যায়ের কখনো ক্ষমা হয় না চাচা।”
কথাটা বলে প্রাণ বেরিয়ে আসে সেখান থেকে।
.
প্রাণ চোখ লম্বা লম্বা শ্বাস নিয়ে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করে। আঁখিপল্লবের ধার গেসে তখনও নোনাজলের হাতছানি। এতটা আঘাত সে আগে কখনো পায় নি। কখনো না। ছোট থেকে পাওয়া দমবন্ধকর কষ্ট কি কম ছিল যে আজ তার পাল্লা ভারী করতে নতুনত্বের আগমন? বিধাতা কি তাকে সারাজীবন কষ্টের ভাগীদার বানাতেই পাঠিয়েছে এই পৃথিবীতে? সহ্য হচ্ছে না কিছুই প্রাণের। ড্রেসিং টেবিলে সাজিয়ে রাখা ‘ব্লু ওসেন’ পারফিউমের বোতলটি তুলে সজোরে আছাড় মারলো পাশের দেয়ালে। ক্ষণেই সে-টি বিপরীত বেগে ছুটে এসে গায়ের পাতলা চামড়া ভেদ করে সর্বাঙ্গে গেঁথে গেল নিপুণভাবে। গৌড়বর্ণ গা লেপ্টে গেল আগুন ঝড়া কৃষ্ণচূড়ার রঙে, ব্যাথায় আনচান করে উঠল মন। প্রাণ পাত্তা দিল না সেদিক, ডান-পা সামনের দিকে এগিয়ে দ্বিতীয় বস্তু হাতের নেওয়ার সময় বড় কাঁচের টুকরোটিও আড়াআড়িভাবে গেঁথে গেল। এবার ব্যথা নিতে না পেরে প্রাণ মৃদু আ’র্ত’নাদ করে মেঝেতে বসে পড়ল। গলায় দলা পাকিয়ে থাকা সকল আকুলতা-ব্যাকুলতা বেরিয়ে এলো চিৎকার করে, অশ্রুকণা সব জড়লো মুক্তা হয়ে। নিজের জীবনের প্রতি দুঃসহ নিয়ে মৃ’ত্যু’র কামনা করল বিধাতার কাছে।

এদিকে ভা’ঙচু’রের শব্দ শুনে নিচ থেকে দৌড়ে আসলেন আশা বেগম। দরজার পাশে দাঁড়িয়ে অনবরত করাঘাত করে চললেন। মিনিট কয়েক পর পর নম্রস্বরে বলে উঠলেন, “প্রাণ মামণি আমার, দরজা খোল। কি হয়েছে বল আমায়। দরজা খোল না সোনা।”

একটু সময় পর সব নিস্তব্ধতায় ডুবে গেলে ভয়ে আঁটসাঁট হয়ে গেলেন আশা বেগম। মিনিট পনেরো ডাকাডাকির অহেতুক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পরও যখন প্রাণ দরজা খুললো না তখন আশা বেগম কিছুটা ভয় পেলেন। দ্রুত নিচে নেমে নিজের রুমে চলে গেলেন তিনি, আলমারির ভিতর থেকে প্রাণের রুমের ডুবলিকেট চাবি মুঠোয় পুরে ছুটলেন উপরের দিকে। দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতেই নজরে পড়লো র’ক্তা’ক্ত প্রাণের দেহটার দিকে, মেঝেতে মূর্তির ন্যায় দুই পা জড়িয়ে বসে আছে। অভিব্যক্তিহীন এক ভঙ্গিতে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে। ডান পায়ের পাশ দিয়ে সরলরেখার ন্যায় গড়িয়ে চলেছে উষ্ণ র’ক্তের ধারা। চারদিকে বেহাল পরিস্থিতি অদেখা করে আশা বেগম ছুটলের প্রাণের নিকট। খুব সন্তর্পণে প্রাণের ক্ষ’তে হাত বুলিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “মামণি আমার, কি হয়েছে? নিজের এই হাল কেন করেছিস? আয় উপরে, খাটে বস। আমি মলম লাগিয়ে দিচ্ছি।”

প্রাণ প্রত্যুত্তর করলো না। নড়লোও না। আশা বেগম হাজারখানেক প্রশ্ন করার পরও কোন উত্তর না পেয়ে শেষে বলে উঠলেন, “কি হয়েছে বল না? তুই না নয়ন বাবাকে সারপ্রাইজ দিতে গেলি, তাহলে? ও কিছু বলেছে? ঝগড়া হয়েছে দুইজনের মাঝে? বল কিছু!”

প্রাণ কয়েক মুহূর্ত চুপ থেকে বলে উঠে, “প্রতারক সে আশামা। বিশ্বাস ভে’ঙে’ছে আমার। হি ইজ আ ব্লা’ডি বা’স্টা’র্ড।”

আশা বেগম কি বুঝলেন কে জানে। তিনি প্রাণকে ধরে বললেন, “কি হয়েছে পড়ে শুনব। আগে তুই উঠ জখমে মলম লাগানো জরুরি। আয়!”

কথাটা বলে একপ্রকার জোর খাটিয়েই আশা বেগন প্রাণকে ধরে তুলে বিছানায় বসালেন। দ্রুত ফাস্টএইড বক্স এনে ক্ষ’ত স্থানগুলো পরিষ্কার করে মলম লাগিয়ে হাতে পায়ে ব্যান্ডেজ করে দিলেন। অতঃপর প্রাণের মাথায় আদুরে ভঙ্গিতে হাত বুলিয়ে বললেন, “এবার কি হয়েছে বল আমায়। কি করেছে নয়ন?”

প্রাণ এতক্ষণ নিচে তাকিয়ে ছিল। আশা বেগমের কথা কর্ণগোচর হতেই চোখ তুলে তাকালো। ঈষৎ রক্তিম হয়ে আসা অক্ষিকাচ ক্ষো’ভের আ’গু’নে দ্যুতিময়। পরিপূর্ণ কঠোরতায়। কিছুটা সময় নিয়ে প্রাণ আশা বেগমের কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়লো, বলতে শুরু করলো সবটাই। সব জেনে আশা বেগমের বুক কেঁপে উঠলো। নিষ্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলেন। ভাবলেন, “ছোট থেকে মেয়েটা কি কম সয়েছিল ছিল যে এখন আবার এসব হয়ে গেল। ভালোবাসা নামক মরিচিকা কি কখনো সত্যের রূপ নিবে না তাহলে?”

দীর্ঘ নিঃশ্বাস বেড়িয়ে এলো আশা বেগমের। প্রাণ হঠাৎ বলে উঠলো, “ওদের কখনো ক্ষমা করব না আমি আশামা। প্রাণের আবেগ,বিশ্বাস,ভালোবাসা নিয়ে খেলেছে তারা। এর পরিমাণ তাদের ভোগ করতেই হবে। ছাড়বো না আমি কাউকে, ক’ঠো’র শা’স্তি দিব। দেখে নিও!”

প্রাণকে এমন আচরণ করতে দেখে আশা বেগম ঘাবড়ে গেলেন। শুকনো গলায় ঢোক গিলে বললেন, “মামণি তুমি এখন ঘুমাও। অনেক রাত হয়েছে, আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি কেমন?”

ঘন্টাখানেক পর প্রাণ সে অবস্থা বিরবির করতেই করতেই ঘুমিয়ে গেল। প্রাণ ঘুমিয়ে পড়তেই আশা বেগম স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। রুমের চারদিকে ভালোমত পরোক্ষ করে পরিষ্কারের কাজে লেগে পড়লেন। প্রাণ নিজের পেশা জনিত কারণে এতদিন দেশের বাহিরে ছিল বিধায় বাসার সকল সার্ভেন্টদের এক সপ্তাহের ছুটি দিয়েছিল সে। যার জন্য আজ বাড়িটা নিত্যদিনকার চেয়ে একটু বেশি নিস্তব্ধ। ঘটনাও সব ভাটা পড়লো এর মাঝেই। ভালোই হয়েছে একদিক দিয়ে, পাঁচকান হবে না কোন কথা। পরবর্তী যা হবে সব আড়ালে-আবডালে।
সার্ভেন্টদের ছুটির মেয়াদ দু’দিন পরে শেষ হওয়ার কথা হলেও কাল বিকেলের মাঝেই হাজির হতে বলবেন সবাইকে আশা বেগম। প্রাণ যেহেতু ফিরে এসেছে সেহেতু নিজের কাজে সামান্যটুকু হেরফের তার চলবে না। তবে এটা এখন মূখ্য বিষয় না, মেয়েটাকে তিনি সামাল দিবেন কিভাবে এটা ভাবার বিষয়। পাগলামি করবে না তো আবার?

____

প্রত্যুষের আলো ফোটামাত্র নয়ন ডাকে কম্পিত হলো ‘সুখনীড় ভিলা’। সে ডাক প্রাণের কর্ণকুহরে বিচরণ করামাত্র ঘুম ছুটে গেল তার। ঘুম ঘুম চোখে তাকানো মাত্র নয়নের চিন্তিত মুখশ্রী ভেসে উঠলো তার অক্ষিকাচে। প্রাণের ঘুম ভাঙতে দেখে নয়ন উৎকন্ঠিত হয়ে বলতে শুরু করল, “তোমার এই অবস্থা কেন প্রাণ? কি হয়েছিল? আর তুমি বাংলাদেশে কবে আসলে? আমাকে জানালে কেন?”

চলবে….

.
প্রাণেশ্বরী
সূচনা পর্ব
.
#Writer_Asfiya_Islam_Jannat

[বিঃদ্রঃ গল্পটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক। কেউ বাস্তবতার সাথে মিলাতে যাবেন না। অনেকদিক পর লিখছি তাই একটু খাপছাড়া লাগতে পারে, আশা করি পরবর্তী পর্বগুলোয় ঠিক হয়ে আসবে। সকলের একটুখানি সাড়া দেওয়ার চেষ্টা করবেন। ভালোবাসা❤️ ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here