#সুখের_নেশায় পর্ব ৫০
#লেখিকাঃ আসরিফা সুলতানা জেবা
পার্ক থেকে বেরিয়ে ওরা গাড়িতে বসে। ফাইয়াদ হাতে একটা কোক নিয়ে প্রিয়ন্তীর পাশে বসে পড়ল নির্বিকার ভঙ্গিতে। আকস্মিক পাশে একটা পরপুরুষের অস্তিত্ব অনুভব করতেই প্রিয়ন্তী ভড়কে গেল, কেঁপে উঠল। ফাইয়াদ হাসল ওর ভয়ার্ত চেহারা চোখে পড়তেই। কানের কাছে মুখ নিয়ে খুবই দৃঢ় কন্ঠে বলল,
‘ বেঙ্গলি মেয়েরা তোমার মটো ভীতু হয় প্রিয়ন?’
প্রিয়ন্তী তাজ্জব বনে গেল। হাসবে নাকি রাগবে দ্বিধাদ্বন্দে ভুগছে সে। মটো!মত কে মটো বানিয়ে দিল শেষমেশ এই জার্মানির বাচ্চা।
সাফারাত ড্রাইভ করছে,পাশের আসনে চৈত্রিকা। জানালা দিয়ে
বাহিরের দৃশ্য দেখেছে সে। রাস্তায় তেমন মানুষ নেই। জনমানবহীন। প্রায় মিনিট দশেক পেরিয়ে ওদের গাড়ি এসে থামল একটা এপার্টমেন্টের সামনে। ফাইয়াদ আগেভাগে গাড়ি থেকে নেমে পড়ল। সাফারাত নামতেই ওর হাতে একটা চাবি ধরিয়ে দিয়ে বললো,
‘ ফ্ল্যাটের চাবি। ‘
‘ লট অফ থ্যাংকস ফাইয়াদ। ‘
চৈত্রিকা ও প্রিয়ন্তীকে নিয়ে সাফারাত লিফটে উঠল। পিছু পিছু ফাইয়াদ। পঞ্চদশী প্রিয়ন্তী বার কতক তীররেখা নজরে,আঁড়চোখে চাইল ফাইয়াদের দিক। লিফট থেকে বেরিয়ে সাফারাত ফ্ল্যাটের দরজা খুলে ঢুকে পড়ল। অবাকতার বিষয় হলো চৈত্রিকা কিংবা প্রিয়ন্তী কাউকেই ঢুকতে দিল না। দরজার বাহিরে দাঁড় করিয়ে রাখে ওদের। মিনিট পেরুতেই দরজা খুলে বেরিয়ে আসে হাতে একটা কালো কাপড় নিয়ে। বিনা বাক্যে চৈত্রিকার চোখ বেঁধে দিয়ে ওকে অগ্রসর হতে বলে। চৈত্রিকা হতভম্ব, কিংকর্তব্য বিমূঢ়,তবে দ্বিরুক্তি করল না। অন্ধকারাচ্ছন্ন চক্ষুদ্বয় নিয়ে ও ভরসা যোগ্য মানুষ টার হাত ধরে ধীরে ধীরে ফ্ল্যাটের ভিতরে আসে। থেমে থায় একটা সময়। সাফারাত চোখের বাঁধন খুলে দিল। আবছা আবছা অস্পষ্ট নেত্র যুগলে চৈত্রিকা অবলোকন করলো একটা সাজানো গুছানো কক্ষ। বহুমূল্যের আসবাবপত্র দ্বারা ভরাট পুরো কক্ষ। ওর বিস্ময় বাড়িয়ে দিয়ে সাফারাত সাবলীল কন্ঠে বলে উঠল,
‘ এটা আমাদের ফ্ল্যাট চৈত্র। আমরা এখানে থাকব। ‘
নিমিষেই চৈত্রিকার কপালে ভাঁজ পড়ল। তার মস্তিষ্কে সর্বপ্রথম যেই ভাবনা উদয় হলো তা হচ্ছে আলো বেগমের বারংবার বলা কথাটা। তিনি চান সাফারাত, আয়ান সবাইকে নিয়ে সুন্দর একটা পরিবার। যেই মানুষ টা মায়ের মতো আগলে রেখেছে, কয়েক মাস দেখতে না পেয়ে ছুটে গিয়েছে বাংলাদেশ, সাফারাত তার থেকেই দূরে থাকতে চাইছে!বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথ খুঁজে ফেলেছে! চৈত্রিকার কন্ঠনালি যেন তালাবদ্ধ হয়ে পড়ল। উন্মুক্ত হয়ে উচ্চারিত হলো না একটা শব্দ কিংবা বাক্য। বাকরুদ্ধ চৈত্রিকা মুগ্ধ লোচনে পুরো ফ্ল্যাট টা ঘুরে দেখল। ফ্ল্যাটে চারটে রুম। কিচেন রুমের পাশেই একটা বড় বারান্দা। গুটিগুটি পায়ে চৈত্রিকা সেই বারান্দায় আসে। মুহুর্তেই এক পশলা বৃষ্টির ন্যায় দমকা হাওয়া চৈত্রিকার সমস্ত কায়া স্পর্শ করে গেল। খোলা চুল উড়ে এসে পড়ে ললাট জুড়ে। চৈত্রিকার সরানোর জন্য উদ্যত হলে আঁটকে গেল হাত। কপাল পর্যন্ত পৌঁছালো না। একটা হাত ওর সমস্ত কপালের, কর্ণ ধারের অলক সরিয়ে গুঁজে দিল কানের পিঠে। লহু স্বরে জিজ্ঞেস করলো,
‘ ফ্ল্যাট টা আপনার পছন্দ হয়েছে চৈত্র?’
চৈত্রিকা ঠোঁট চেপে নিরুত্তর রয়ে যায় কিয়ৎপরিমাণ সেকেন্ড, মিনিট,সময়। মাথা নাড়িয়ে বলে,
‘ পছন্দ হয়েছে। কিন্তু খালামণি কি ভাববেন সাফারাত? উনি তো চান আমরা একসাথে থাকি। ‘
‘ কিন্তু আমি চাই না। আমি আপনাকে ও প্রিয়ন্তীকে নিয়ে থাকতে চাই। উনার চাওয়ার দাম কেন দিতে হবে আমার?’
চৈত্রিকা প্রতিবাদ করে বলে উঠল,
‘ উনি আপনাকে মায়ের মতো আদর দিয়েছেন সাফারাত। ‘
সাফারাতের চোখ জ্বালা করে উঠল। অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেই চৈত্রিকা পিছিয়ে গেল একটুখানি। ভয়ার্ত চক্ষু মেলে ধরল। কিছু বলতে নিলে সাফারাত দ্বিরুক্তি করে রোষপূর্ণ স্বরে চাপা গর্জন করে বলল,
‘ মায়ের মতোন। মা নই আমার। ‘
রাগমিশ্রিত এই স্বরে চৈত্রিকার ভূ তল কাঁপল ক্ষীণ। ঈষৎ বিস্ফোরিত হয়ে এলো নয়নজোড়া। কোনো ক্রমেই মানতে পারছে না ও সাফারাতের গলায় উচ্চারিত শেষোক্ত বাক্য খানা। এ কোন সাফারাত! যার চোখে আলো বেগমের জন্য অজস্র শ্রদ্ধা, ভালোবাসা দেখেছিল মাত্র দু’টো মাস পূর্বে বাংলাদেশে, এই গম্ভীর পুরুষ যেন একদমই সেই চরিত্রের ব্যতিক্রম। দু নেত্রে কেবল ঘৃণা। ভয়ে গলা শুকিয়ে এলো চৈত্রিকার। সাফারাত কি বুঝল কে জানে! তৎক্ষনাৎ ভিতর হতে পানি নিয়ে এসে চৈত্রিকার মুখের সামনে ধরল। ঢকঢক পানি পান করে শরীরের ভর ছেড়ে দিল চৈত্রিকা শক্ত, পাথরের মতো বক্ষে। সাফারাত দৃঢ়বন্ধনে বেঁধে নিল। ক্রমাগত চুমু খেল চৈত্রিকার মাথায়,গালে,কপালে। নিশ্চুপ চৈত্রিকা পিটপিট করে দেখতে থাকল প্রিয় মানুষ টার অস্থিরতা। কর্ণকুহরে ঝংকার তুলে প্রবেশ করে– ‘ আত্মীয়তার সম্পর্কের বেইমানি টা আমি আর নিতে পারছি না চৈত্র। ‘
চৈত্রিকার অন্তস্থল নড়ে উঠল। বিষাদ, বেদনার স্পষ্ট আভাস যেন সাফারাতের কন্ঠে। কে আবার বেইমানি করল?
______________
দুপুর নাগাদ চৈত্রিকা,সাফারাত, প্রিয়ন্তী আয়ানদের বাড়িতে ফিরে আসে। ফাইয়াদ ওদের সাথে লাঞ্চ সেড়ে চলে যায়। যাওয়ার সময় চৈত্রিকা ধন্যবাদ জানায় ফাইয়াদকে ওদের জন্য এত সুন্দর একটা ফ্ল্যাট খুঁজে বের করেছে বিধায়। মূলত সাফারাতের কথামতোই ফাইয়াদ এই কাজটা করে। আসার পর থেকে প্রিয়ন্তীর ফাইয়াদের বলা একটা কথা মনে পড়ে হাসি পাচ্ছে। কি সুন্দর করে নরম স্বরে ছেলেটা বলে গেল –‘ আবার দেকা হবে প্রিয়ন। ‘ কথাটা কেউ শুনতে পায় নি। শ্রবণ হয় শুধু প্রিয়ন্তীর। খুবই ক্ষীণ স্বরে ওর কানের নিকটে কৌশলে কথাটা বলে যায় ফাইয়াদ। ফাইয়াদের ওমন আজব ব্যবহারের কারণ প্রিয়ন্তীর অজানা। তবে ফাইয়াদের কারণেই বহুকাল,বহুদিন পর হাসতে পেরে সে নিজেই চমকিত।
চৈত্রিকা বিছানায় বসে আয়মানের সাথে টুকটাক আলাপন চালাচ্ছে। পিচ্চি একটা ছেলে অথচ বেশ বুদ্ধিমান সে। এবং মেধাবীও বটে। তখনই সাফারাতের ফোন বেজে উঠে। ওয়াশরুমে সাফারাত। অগত্যা চৈত্রিকা হাত বাড়িয়ে মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখে দিহান ভিডিও কল দিয়েছে। মিমের কথা মনে পড়তেই চট করে কলটা রিসিভ করল। নিমেষে একটা হাসি মাখা,আদুরে মুখ ভেসে উঠল মোবাইলের স্ক্রিনে। মিম আনন্দে আবেগাপ্লুত হয়ে বলে উঠল,
‘ তুমি জার্মানি গিয়ে একদিনেই আরো দ্বিগুণ সুন্দরী হয়েছ আপু। ‘
‘ ভালো আছি কিনা জিজ্ঞেস না করে এমন বলছিস?’
অভিমানহত স্বর চৈত্রিকার। মিম তড়তড় করে বলে উঠে,
‘ তোমার সৌন্দর্য বলে দিচ্ছে তুমি ও তোমার পেটের টা ভীষণ ভালো আছে। বাই দ্যা ওয়ে আপু তোমার পাশে এই হ্যান্ডসাম বয় কি করছে?’
আয়মান এতক্ষণ মোবাইলের দিক চেয়েছিল ফ্যালফ্যাল করে। মিমের সাথে ওর বেশ সখ্যতা হয়েছে বাংলাদেশ থাকা কালীন। গম্ভীর স্বরে বললো,
‘ হাই রিদিতা আন্টি। ‘
মিম ভ্রুঁ কুঁচকালো। যেখানে সবাই ওকে মিম বলে ডাকে এই ছেলে ডাকে রিদিতা। ওর পুরো নাম রিদিতা আহি মিম। কিন্তু সবাই মিম ডেকেই অভ্যস্ত।
‘ কেমন আছো আয়মান? আমার ছেলের বউকে পাহারা দিচ্ছো?’
আয়মান অবুঝ মনে প্রশ্ন করে,
‘ আপনার ছেলের বউ কে আন্টি?’
‘ আপুর পেটে যে আছে ওই তো আমার ছেলের বউ। ‘
‘ কিন্তু আপনার তো ছেলে নেই। ‘
আয়মানের চিন্তিত কন্ঠস্বর শুনে মিম ঢের মজা পেল। বিস্তর হেসে বললো,
‘ এখন নেই। একবছর পর থাকবে। বউ এক বছর সিনিয়র হলে কিচ্ছু হবে না। সুন্দরী হলেই চলবে। ‘
আয়মান বিছানা থেকে নেমে গেল সাথে সাথে। চৈত্রিকার পেটের দিকে এক পলক চেয়ে দরজার কাছে চলে যায়। চৈত্রিকা আয়মানের এমন কান্ড দেখে প্রশ্ন করে,
‘ কোথায় যাচ্ছো আয়মান? ‘
আয়মান স্থির দৃষ্টি পাত করে প্রতুত্তর করলো,
‘ মাম্মার কাছে। মাম্মাকে বলব আমাকে আজকেই একজন ফাইটার ম্যানের কাছে নিয়ে যেতে। উনার কাছে আমি ফাইট করা শিখব। সুখ কে প্রটেক্ট করতে হবে তাই। ‘
মিম,চৈত্রিকা দু’জনের মুখ হা হয়ে গেল। আয়মান এতটুকু বয়সে একটা মেয়ের জন্য যে কি-না এখনও দুনিয়ায় আসে নি তার জন্য এত সিরিয়াস!এখন তো চৈত্রিকার ভয় হয় মেয়ে না হয়ে যদি ছেলে হয়ে যায়। এই ছেলের কি হবে!
.
.
শর্বরী ধরণীর দুয়ারে এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র। সাফারাত নেই রুমে। আয়ানের সাথে বাগানে বসে কথা বলছে। কথার ফাঁকে ফাঁকে হাসছে মৃদু। সেদিকটায় নির্নিমেষ দৃষ্টে চেয়ে আছে চৈত্রিকা বিশাল কাঁচের উপর দিয়ে। একটা চিন্তা ওর মস্তিষ্ক অচল করে দিচ্ছে বারংবার। ঠাহর করতে পারছে না আলো বেগমের প্রতি সাফারাতের অকস্মাৎ ঘৃণার কারণ। আলো বেগম ব্যতীত বাকি সকলের সঙ্গে ঠিকঠাক কথা বলছে। কিন্তু ওনার সাথেই এমন আচরণ কেন?
সুফিয়া বেগমের দাফন কার্যকর্ম সম্পন্ন হওয়ার পর সেদিন সাফারাত তো সবকিছুই খুলে বলে। কোনো কিছুই লুকায় নি। চৈত্রিকার হুট করে মনে পড়ল সাফারাত দ্বিতীয় খু*নির বিষয় টা স্কিপ করে যায়। চৈত্রিকা সুফিয়া বেগমকে সেই ফোন আলাপের পর থেকেই সন্দেহ করে। পরে সুফিয়া বেগমের অশ্রুসিক্ত কন্ঠে, আকুতি শুনে বিশ্বাস করলেও ফারুক এহমাদকে যেদিন খুঁজতে বের হয় ওনাকে বলে কিন্তু উনি সাফারাতকে বলে দেয় বাহিরে যাওয়ার কথা সেদিনই চৈত্রিকা বুঝতে পারে সুফিয়া বেগম ছলনাময়ী। উনি সাফারাত থেকে ওকে সরাতে চাইছে। এসব বুঝেও চৈত্রিকা চুপ থাকে পুরো সত্য জানার অপেক্ষায়। আলো বেগম যখন বলেন সিয়ার মৃ’ত্যুর দিন সুফিয়া হসপিটালে ভর্তি ছিলেন হার্ট অ্যাটাক জনিত কারণে তখন আরো সন্দেহ দানা বাঁধে। ঘটনা কতটুকু সত্য তা জানার জন্য চৈত্রিকা সেই হসপিটালে যায় সাফারাতের এক্সিডেন্টের দিন যেখানে সুফিয়া বেগম সিয়ার মৃ’ত্যু’র দিন ভর্তি ছিল। সেখানে গিয়ে জানতে পারে সুফিয়া বেগমের সেদিন কোনো হার্ট অ্যাটাক হয় নি বরং সামান্য বুকে ব্যাথা হয়। কিন্তু তিনি ডক্টরকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে হসপিটালে থাকেন। অবশ্য এই সত্য টা বের করতে চৈত্রিকার দুর্নীতির পথে চলতে হয়েছে। সেই ডাক্তারকে টাকা দিতে হয়েছে সত্যটুকু বলার জন্য। সুফিয়া বেগমের ফোনে একজনকে বলা যে আমার কারণেই তুই আমার ছেলের বউ হতে পেরেছিস এটাই ছিল ওনার উপর সিয়ার মৃ*ত্যুর পিছনে হাত আছে বলে সন্দেহ করার প্রথম কারণ। চৈত্রিকা পরবর্তীতে বুঝতে বাকি থাকে না এই কথাটা ফারুক এহমাদের দ্বিতীয় ওয়াইফকে বলেছেন সুফিয়া। তাছাড়া তিনিই সিয়ার মৃ*ত্যুর কয়েকদিন বাদেই ভাইকে রাজি করিয়ে ওনার মেয়েকে ফারুকের বউ বানান। এতই যদি সাফারাতের মায়ের প্রতি উনার মায়া থাকত তাহলে এসব কেন করতেন তিনি?প্রশ্নটা জাগতেই চৈত্রিকার মাথায় আসে মিনার মায়ের কথা। এহমাদ বাড়িতে যেদিন অগ্নিকান্ড হয় সেদিন মিনার মা উপস্থিত ছিল। তিনি অবশ্যই সিয়ার দেহে আগুন লাগতে দেখেছে?তাহলে কেন বাঁচানোর চেষ্টা করেন নি?চৈত্রিকা যা বুঝার বুঝে যায়। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে — সাপও মরল লাঠিও ভাঙলো না। ব্যাপার টা ঠিক এমন হয়েছে। সুফিয়া বেগম অতি সন্তর্পণে, সতর্কভাবে খু*ন করেছে সিয়াকে। নিজ হাতে না হোক, অন্যের মাধ্যমে। মিনার সাহায্য নিয়ে চৈত্রিকা ওর বিছানায় শয্যাশায়ী মা’য়ের নিকট উপস্থিত হয়। চৈত্রিকা একটু জোর দিতেই মিনার মা বলে দেয় সবটুকু। সুফিয়া বেগম কোনোদিনও সিয়াকে পছন্দ করেন নি। ওনার সবসময় ইচ্ছে ছিল ভাইয়ের মেয়েকে ছেলের বউ বানাবেন। শুধু মাত্র টাকার জন্য উপর দিয়ে মায়া দেখাতেন তিনি। একদিন মিনার মাকে টাকার লোভ দেখিয়ে নিজের প্ল্যান কার্যকর করেন।
#চলবে,,!
( ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি একটু অসুস্থ। দু’দিন ধরে চেষ্টা করেও লিখতে পারছি না। আপনাদের অপেক্ষা করাবো না ভেবে আজ কোনো রকম লিখলাম। ভেবেছিলাম পুরোটা রহস্য খোলাসা করে দিব কিন্তু এখন আর হাত চলছে না,মস্তিষ্কও অচল।)