#সুখের_নেশায় পর্ব ৩৬
#লেখিকাঃআসরিফা_সুলতানা_জেবা
চৈত্রিকা টলমল পা দুটো নিয়ে ফ্লোর আঁকড়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে ঠাঁই। রুমে যেন ঝড় তান্ডব বয়ে গেছে। আসবাবপত্র ছড়ানো ছিটানো। ফ্লোর জুড়ে কাঁচের ছড়াছড়ি। এতো বড় ঝড় বয়ে গেল অথচ সাফারাত সটান হয়ে শুয়ে আছে চোখের উপর হাত রেখে। মুখভঙ্গি এমন যেন কিছুই হয় নি। দুরুদুরু বুক নিয়ে আস্তেধীরে রুমে প্রবেশ করল চৈত্রিকা। কাঁচের জন্য সঠিকভাবে হাঁটা যাচ্ছে না পাছে যদি পায়ে বিঁধে যায় সেই ভয়ে। অতি সাবধানে পা ফেলেও একটা কাঠের টবের সাথে পা বেজিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ল সে সাফারাতের শরীরের উপর। পুরুষালি শক্ত দেহে হুমড়ি খেয়ে পড়ার কারণে ব্যাথায় মৃদু চিৎকার করে উঠল চৈত্রিকা। ঘটনার আকস্মিকতায় সাফারাত হতভম্ব হয়ে গেল। দু হাতে নিজের সাথে ঝাপটে ধরল চৈত্রিকাকে। বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়ে উত্তেজিত সুরে বলে উঠল,
– ‘চৈত্র ঠিক আছেন আপনি?ব্যাথা পেয়েছেন? বেশি লেগেছে?কোথায় পেয়েছেন আমায় বলুন জান। ‘
ক্রমাগত প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সুযোগ পেল না চৈত্রিকা। ভালো হাতে সাফারাতের শার্ট আঁকড়ে ধরল। মুঠোয় পুরে মলিন,নিস্তেজ স্বরে বললো,
-‘ ঠিক আছি আমি। আপনি কি হাল করেছেন রুমের? ‘
-‘ সার্ভেন্ট এসে গুছিয়ে দিয়ে যাবে। ‘
-‘ আর আপনার রাগ?সেটাও কি সার্ভেন্ট কমিয়ে দিয়ে যাবে?’
সাফারাত ভ্রুঁ উঁচু করে তাকালো। চৈত্রিকাও মায়াময়,ভয়ার্ত দৃষ্টি নিবদ্ধ করল তার রক্তিম দু চোখে। চাতক পাখির ন্যায় চেয়ে আছে সে নিষ্পলক জবাবের প্রতীক্ষায়।
বলিষ্ঠ দু’হাতে টেনে ওকে উপরে তুলে নেয় সাফারাত। শাড়ি ভেদ করে কোমরে রাখা শক্তপোক্ত হাতের বাঁধন ঢিল হওয়ার বদলে আরো শক্ত হলো। চক্ষুদ্বয় মেলে রাখতে পারছে না চৈত্রিকা। মুখের একদম নিকটে ভাসমান সাফারাতের চেহারা খানি। হুট করে মাদকতাময় হয়ে উঠেছে চোখ দুটো। নেশাতুর গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সাফারাত। চৈত্রিকার শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা। সাফারাতের দৃষ্টি যেন ওর শ্বাস চেপে ধরছে। মাতালের ন্যায় টালমাটাল করছে অনুভূতিরা। বুক কাঁপছে দ্রিমদ্রিম শব্দ তুলে। সাফারাত মুখ অল্প পরিমাণ কাছাকাছি আনতেই চৈত্রিকা ছটফট করতে শুরু করলো। শক্ত করে চেপে ধরে ঠোঁট এগিয়ে এনেও সাফারাত ঠেলে সরিয়ে দিল চৈত্রিকাকে। থতমত খেয়ে গেল চৈত্রিকা। বিছানায় বসে চোখ বড়সড় করে তাকিয়ে রইল। এটা কি হলো?সাফারাতের দমে যাওয়া রাগ কি আবারো মাথা চারা দিয়ে উঠল নাকি চৈত্রিকার কান্ডে বিরক্ত হলো?
সাফারাত বিছানা থেকে উঠে হাট করে খুলে রাখা দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে আসে। চৈত্রিকা হতবাক হয়ে দেখে যাচ্ছে কেবল। দরজা বন্ধ করে এসে সাফারাত শক্ত হাতে চৈত্রিকার এক হাত টেনে কাছে নিয়ে এলো৷ চৈত্রিকা কিছু ঠাহর করবার আগেই সাফারাত কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিচেল স্বরে বলে উঠল,
-‘ দরজা খোলা ছিল বলেই ছটফট করছিলেন। আপনার সমস্যা সমাধান করে দিলাম তবুও কাঁপছেন কেন? ‘
-‘ কই না তো। ‘
লজ্জা মিইয়ে গেল চৈত্রিকা। সাফারাত টুপ করে ওর গালে চুমু খেয়ে নেয়। চৈত্রিকা লাল আকার ধারণ করা চেহারা নিমিষেই যেন নীল হয়ে গেল। চোখের পল্লব ঝুঁকিয়ে ফেলল ঝটপট। সাফারাত কপালে চুমু খেয়ে সরে যায়। বিছানায় হেলান দিয়ে বলে,
-‘ অস্থির হবার টাইমিং টা ভুল। দমিয়ে নিলাম নিজেকে। তবে আপনি চাইলে আমায় এক দুটো কিস করতে পারেন চৈত্র। ‘
সাফারাতের কথায় চৈত্রিকার মাথা ঘুরে গেল। যেখানে নিজেই সাফারাতের সান্নিধ্যে চুপসে যায়,মিইয়ে যায় সেখানে নাকি ও নিজ থেকে কিস দিবে!এটা এভারেস্ট জয় করার মতো কঠিন বিষয় তার নিকট। সাফারাত স্মিত হেসে চৈত্রিকাকে অবাক করে দিয়ে বললো,
‘ আপনাকে আমি আদরে কৃপণতা করি নি চৈত্র অথচ আপনি সামান্য চুমুতে পিছিয়ে যাচ্ছেন। ‘
পৃথিবীতে সবচেয়ে সুন্দর সম্বোধন বুঝি ‘আপনি ‘ সম্বোধন টা। সাফারাতের কন্ঠে যতবার এই শব্দ টা শুনে ততবারই চৈত্রিকা সুখময় নেশায় ডুবে যায়। কতটা ভালোবাসা, সম্মান লুকায়িত এই আপনি নামক শব্দে চৈত্রিকার নিকট প্রকাশ করা অসম্ভব। হাঁটুতে ভর করে শাড়ি সামলে এগিয়ে গেল ও সাফারাতের কাছে। রিনঝিনে স্বরে আওড়ায়,
-‘ আপনি কি চোখ বন্ধ করবেন সাফারাত? ‘
-‘ কেন?আপনি কি চুমু খাবেন?’
চৈত্রিকা মাথা নাড়ালো। রাঙা হয়ে উঠেছে দু’গাল ইতোমধ্যে। সাফারাত চোখ বন্ধ করে অধর কোণ বাঁকিয়ে বললো,
-‘ শুরু করুন চৈত্র মাস। ‘
চৈত্রিকা লজ্জা মাখা চেহারা নিয়ে ঠোঁট ছুঁয়ে দিল সাফারাত এর কপালে। গালেও চুমু খায়। ঠোঁটের কাছে ওষ্ঠদ্বয় আনতেই চৈত্রিকার শিরা উপশিরায় কাঁপুনি ধরে যায়। এই জীবনে হয়ত ওর দ্বারা লিপ কিস করা হবে না। সরে আসতেই নিলেই সাফারাত চোখ বুঁজে থেকেই মাথার পিছনে হাত গলিয়ে কাছে টেনে নেয়। নিজের শুষ্ক ওষ্ঠযুগল চেপে ধরে চৈত্রিকার ঠোঁটে। চৈত্রিকা হকচকিয়ে গেল। সামনের মানুষ টা গভীরভাবে মত্ত হয়ে পড়ে ওর নরম অধর জোড়ায়। মিনিট খানেক পর সাফারাত ঠোঁট ছেড়ে দিতেই চৈত্রিকা থম মেরে রইল। জমে রইল বরফের ন্যায়। সাফারাত ঠোঁট মুছতে মুছতে বলে,
-‘ আপনি আমার রাগ প্রশমনের মেডিসিন। ‘
_______________
মিম নাস্তা করে রেডি হয়ে নেয় কলেজের জন্য। আজ মডেল টেস্ট আছে। কলেজে যাওয়া জরুরি। নয়ত বিয়ের এতো তোরজোরের মধ্যে থেকে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল না। ফাহমিদা ব্যস্ত হাতে সব গুছিয়ে দিয়ে বললেন,
-‘ চৈত্রর সাথে তো কথা হলো না। একটু পর ফোন দিব। আমার মেয়েটা যে কেমন আছে। আর নিচে থেকে তো আজ গাড়ির হর্ণ শোনা যাচ্ছে না। দিহান আসে নি হয়ত তোকে আজ নিতে। গাড়ি ভাড়া দিয়ে দিচ্ছি। হেঁটে যাস না আবার। ‘
মায়ের কথা শুনে হু হা কিছুই বলল না মিম। তবে বেশ অবাক হলো দিহান আসে নি শুনে। অকারণেই মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছে। হুট করে সবকিছু শূন্য শূন্য লাগছে। বিমর্ষ চেহারা নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে আসে। নিচে এসে দেখে সত্যিই আসে নি দিহান। মোবাইল তো উপরে রেখে এসেছে। দারোয়ানের কাছ থেকে চেয়ে ওনার মোবাইলটা নিয়ে দিহানের নম্বরে ফোন দিল। এ কদিনে নাম্বার টা একদম মুখস্থ তটস্থ করে নিয়েছে মিম। কেন নিয়েছে নিজেও জানে না। কিন্তু মাঝে মাঝে অনুভব হয় দিহান ছাড়া ভীষণ অচল ও। এই যে এই মুহুর্তেও ঠিক এমন অনুভূতি হচ্ছে। পরপর কয়েকবার কল দিল মিম। অপরপাশ থেকে প্রত্যেক বার বিজি শুনালো। ওয়েটিং দেখাচ্ছে। সাত সকালে কার সাথে এতো কথায় ব্যস্ত দিহান? ওকে নিতে পর্যন্ত এলো না। ভুলে গেল?প্রায় আধাঘন্টা ধরে ফোন করেও ব্যস্ত পেয়ে এবার মিমের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল। চারপাশের সবকিছু বিষ মনে হচ্ছে ওর। কেন গা ভাসাতে গেল আবেগে?কেন পারলো না নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে?শেষমেশ ভালো বাসতেই হলো দিহানকে?অন্য কাউকে বাসা যেত না?হাবিজাবি প্রশ্নে মন ব্যাকুল। দারোয়ান এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করল,
-‘ কি হইছে মিম?’
-‘ কিছু না চাচা। এই নিন আপনার মোবাইলটা। ‘
গেট দিয়ে বের হয়ে একটা সিএনজি ডেকে উঠে যায় মিম। পরীক্ষা দিবে না সে আজ। মনের উচাটন নিয়ে কোনোভাবেই পরীক্ষা দেওয়ার সম্ভব না ওর পক্ষে। দিহানের অল্প পরিমাণ অবহেলা সহ্য করবার শক্তি নেই তার। নির্দিষ্ট স্থানে গাড়ি থামতেই ভাড়া মিটিয়ে নেমে পড়ল মিম। হাত ঘড়িতে সময় দেখে নিল। ১০ টা বেজে গেছে। এমন সময় অফিসে থাকে দিহান। তাই সোজা এখানেই আসে। লিফটের অপেক্ষা না করে সিঁড়ি বেয়ে ফোর্থ ফ্লোরে উঠে যায়। ক্লান্তিতে বড় বড় শ্বাস ফেলছে মেয়েটা। কলেজ ড্রেস টা ঘামে অল্পসল্প ভিজে গেছে। রিসিপশনে চাকরিরত মেয়েটাকে উদ্দেশ্য করে হাঁপাতে হাঁপাতে জিজ্ঞেস করল,
-‘ মিস্টার দিহান আছেন?’
মেয়েটা তুখোড় দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করে মিমকে। মুখে হাসি ফুটিয়ে বলে,
-‘ আছেন ম্যাম। তবে স্যার এই মুহুর্তে মিটিংয়ে আছেন। আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। ‘
-‘ কতক্ষণ লাগবে?’
-‘ এই ধরুন দুই থেকে তিন ঘন্টা। ‘
-‘ এতো দেরি?আপনি উনাকে একটু ইনফর্ম করবেন যে মিম এসেছে। ‘
-‘ স্যরি ম্যাম। আই কান্ট ডু দিস। অপেক্ষা করুন। ‘
এতো সময় অপেক্ষা কি পসিবল?মিনিট পাঁচেক কথা বলেই তো চলে যাবে ও। মিম নাছোড়বান্দা হয়ে বললো,
-‘ আপনি একবার ইনফর্ম করুন। ‘
মেয়েটা রাজ্যের বিরক্তি প্রকাশ করে বললো,
-‘ আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে না জব রিলেটেড কোনো কাজে এখানে এসেছেন। আমার জানামতে আপনি স্যারের রিলেটিভও না। তাই মিটিংয়ের মাঝে আপনার জন্য আমি স্যার কে ডিস্টার্ব করতে পারব না। চাইলে ওয়েট করতে পারেন আদারওয়াইজ ইউ ক্যান গো। ‘
মিমের মেজাজ গরম হয়ে গেল মেয়েটার ব্যবহারে। কিন্তু একদিক থেকে মনে হলো মেয়েটা সঠিক। নিজের কর্তব্যই তো পালন করছে। মিম দিহানের কেবিনের সামনের সিটে বসে অপেক্ষা করতে থাকে। অফিসের সকল কর্মচারীরা অদ্ভুত চোখে দেখছে ওকে। সবার দৃষ্টি এমন হয়ত মিম কোনো চিড়িয়াখানা থেকে পালিয়ে আসা প্রাণী নয়ত পাবনা ফেরত পাগল। এতো করে দেখার কি আছে?বসে থাকতে থাকতে মাথা ব্যাথা করছে। এবার অস্বস্তি লাগছেও ভীষণ। মিমের ইচ্ছে করছে কেবিনের দরজা ঠেলে রুমে ঢুকে যেতে। এতো অপেক্ষা সে কখনও করে নি। তবে দিহান কে অপেক্ষা করিয়েছে ঘন্টার পর ঘন্টা। একদিন তো ইচ্ছে করে কলেজ ছুটির টাইম ভুল বলেছে মিম। দিহানের ধৈর্য্যশক্তি পরীক্ষার প্রবল আকাঙ্ক্ষা ছিল। তাই বলেছে ছুটি জলদি দিবে। এমন বলে দিহান কে পুরো একঘন্টা অপেক্ষা করিয়েছিল। দিহান জিতেছিল সেদিন ধৈর্য্য পরীক্ষায় নয়ত ভালোবাসায়। একটুও বিরক্তি কিংবা জেদের দেখা মেলে নি তার চেহারায়। উল্টো বলেছিল দীর্ঘ অপেক্ষার পর তোমার ঘর্মাক্ত মুখশ্রী দেখে হৃদয়ে শীতল স্রোত অনুভব করছি আমি মিম-ডিম।
অধিক ক্লান্তির মাঝেও মিমের অধর দু’টো প্রসারিত হয়ে এলো দিহানের সেদিনকার কথা মনে করে। আহা!কতই না মোহনীয় ছিল দিহানের উচ্চারিত সেই বাক্য টুকু। সময়ের স্রোতে মিম এখন বড্ড অবিশ্রান্ত হয়ে পড়েছে। দেয়ালে আটকানো বিশাল ঘড়ির দিকে তাকাতেই দেখে প্রায় দেড় ঘন্টা অতিবাহিত হয়েছে। এবার খুবই কষ্ট অনুভব করছে মিম। দেয়ালে মাথা ঠেকিয়ে রইল ও। আজ কিছুতেই ফিরে যাবে না সে দিহানের সাথে দেখা করা ব্যতীত। কেন থাকবে দিহানের ফোন ব্যস্ত? কেন ভুলে যাবে সে নিজ থেকে নেওয়া দায়িত্ব টুকু?নানান চিন্তায় বিভোর মিমের চক্ষুদ্বয় লেগে আসে একটা সময়। শত চেষ্টা করেও খোলা রাখতে পারলো না সে। ঘড়ির কাঁটার ঘূর্ণনের সাথে চোখ দু’টোও ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।
কিন্তু গভীর ঘুমে তলিয়ে যাবার মুহুর্তেই গালে শীতল হাতের স্পর্শে পুরো দেহ ঝাঁকুনি দিয়ে উঠে। বিস্ফোরিত নয়নে সামনে তাকাতেই দেখে দিহান দাঁড়িয়ে আছে। ভ্রঁ যুগল কুঁচকানো তার। দিহান কে দেখেই সব জমে থাকা রাগ, অভিমান মাথা চারা দিয়ে উঠল। ঝড়ের বেগে দিক বিদিক ভুলে দিহানের কলার আঁকড়ে ধরল মিম। হতভম্ব, হতবাক দিহান। পাশাপাশি অফিসের সকল স্টাফ। দিহান চারদিকে চোখ বুলায়। পরক্ষণেই স্মিত হেসে কোমর জরিয়ে শূণ্যে তুলে নিল মিম কে। সবার উদ্দেশ্যে কড়া সুরে বলে উঠল,
‘ সবাই যে যার কাজে যান। ‘
অফিসের সকলের মাঝে কানাঘুঁষা শুরু হয়ে যায়। দিহান নিজেও বেক্কল বনে গেল মিমের কর্মকাণ্ডে। শূণ্যে তুলে কেবিনে নিয়ে এলো। মিমের কোমরে বলিষ্ঠ হাত জোড়া পেঁচিয়ে রেখেই প্রশ্ন করে,
-‘ কি হয়েছে মিম-ডিম?এতো রাগ?আজ কি কলেজ ছিল তোমার?’
-‘ খু/ন করবো আমি আপনাকে। এই আপনার দায়িত্ব? আমার পরীক্ষা ছিল আজ। অথচ আপনি ফোন টাও ধরেছিলেন না। মাত্র দুয়েক দিনে অবহেলা করা শুরু করে দিলেন আমাকে?ভালোবাসা শেষ? আমি অবহেলা একদম সহ্য করতে পারি না। ফেইক আপনার ভালোবাসা। ‘
রাগের চোটে চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে মিমের। দিহানের বুকে মাথা ঠেকিয়ে কেঁদে যাচ্ছে। দিহানের ঠোঁটের কোণে সুপ্ত বাঁকা হাসি ফুটে উঠে। মিমের কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিচেল স্বরে বললো,
‘ আমি কি কখনও তোমায় ভালোবাসি বলেছি?’
#চলবে,,!
( আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আমার আইডি টা এতোদিন লক ছিল। আইডিতে ঢুকতে পারছিলাম না। এই কারণে গল্প দিতে পারি নি। অনেকেই আমার অনেক খোঁজ করেছেন,অসুস্থ কি-না জানতে চেয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আইডি লক হওয়ার কারণেই গল্প দিতে পারি নি। ভুল-ত্রুটি গুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)