#Your_psychoPart_07+8

0
819

#Your_psychoPart_07+8

#A_Devils_Love

#Written_by_Aruhi_khan (ছদ্মনাম)

.

.

.

হঠাৎ রশ্নির ফোন বেজে উঠলো–

Munni badnaam huyi, darling tere liye
Munni badnaam huyi, darling tere liye
Munni ke gaal gulabi, nain sharabi, chaal nawabi re
Main zandu balm huyi, darling tere liye
Munni badnaam huyi, darling tere liye

ইয়াশ চোখ বড় বড় করে রশ্নির দিকে তাকায়!

আর এদিকে রশ্নি একবার ইয়াশের দিকে তাকাচ্ছে তো একবার ফোনের দিকে!

ফোন কাটার চেষ্টা করছে কিন্তু হচ্ছে না মেবি হ্যাং হয়ে গিয়েছে।

শেষে অনেক সাধনার পর কল টা কাটা গেল।

রশ্নি ধীরে ধীরে মাথা উঠিয়ে ইয়াশের দিকে তাকালো।

ইয়াশ: রশ্নি কি এসব?

রশ্নি: হেহেহে নিউ রিংটোন, জোস না?😅

ইয়াশ: তুমি কি একটুও শুধরাবে না? এগুলো কেমন ধরণের রিংটোন? মানে তোমার যে আগে যেয়ে কি হবে সেটা ভেবেই আমার ভয় হচ্ছে!

— “মুন্নি বাদনাম হুই, ডার্লিং তেরে লিয়ে,
ম‍্যা ঝান্ডু বাম হুই ডার্লিং তেরে লিয়ে”!

ইয়াশ রশ্নিকে বকছিল এর মধ্যে আবার রশ্নির ফোনটা বেজে উঠলো!

রশ্নি: উফ আবার হ্যাং করছে, ওহ মাই প্রিয় আল্লাহ প্লিজ প্লিজ হ্যাংটা ঠিক করে দাও,
উড়ি বাবা এখন মুই কিয়া করুম ফোন তো ঠিক হয়ে না😭

ইয়াশ হাসবে নাকি কাঁদবে তা বুঝতে পারছে না!

ইয়াশ: গেট আউট ফ্রম হেয়ার……

ইয়াশের ঝাড়ি খেয়ে রশ্নি তাড়াতাড়ি রুম থেকে বেরিয়ে যায়!

.

রশ্নি: হুহ প্রথম দিন এসেই বকা ঝকা শুরু করে দিয়েছে।
দোষ করলো ওই বান্দরনিগুলা আর শাস্তি পেতে হলো আমার!
কিন্তু আগে দেখি কে এত মরিয়া হয়ে গেছে রশ্নির সাথে কথা বলার জন্য।

রশ্নি চেক করে দেখে সুপ্তির কল,

রশ্নির ফোনে কখনোই ব্যালেন্স থাকে না তাই লোন নিয়ে কল করতে হলো। 😒

২ বার রিং হওয়ার সাথে সাথেই সুপ্তি কলটা রিসিভ করে!
.

রশ্নি: কিরে শাকচুন্নি তোর নানীর বিয়া লাগছে নাকি তোর জামাই মইরা গেছে? এতবার কল দিতাছিলি কেন তুই জানোস তোর জন্য……

সুপ্তি: আরে এসব আজাইরা কথা রাখ তুই তাড়াতাড়ি ভার্সিটির সামনের মল টাতে আয় আমরা সবাই ঐখানে আছি।

রশ্নি: এখন কোনো টাইম হইলো শপিং করার?

সুপ্তি: আরেহ শপিং এর জন্য না!

রশ্নি: স্টার জলসার বেডিগো মতো ঘুরায়া ফিরাই কথা না কইয়া, ক কি হইছে!

সুপ্তি: অনু রে পাওয়া যাইতাছে না।😭

রশ্নি: হারায় গেছে মানে?

সুপ্তি: শি ইজ লস্ট! 😭

রশ্নি: আব্বে হালি… তোরে কি ইংলিশে ট্রান্সলেট করে দিতে বলছি নাকি।
হারায় যায় আবার কেমনে ওই বাচ্চা নাকি?

সুপ্তি: জানি না😭

রশ্নি: তো নান্নি বাচ্চার হাত ধইরা রাখবা না?
আজব হারায় গেছে বলে!
দারা আমি আসতেছি।

এদিকে ইয়াশ রশ্নির সব কথা শুনেছে!

ইয়াশ শুভকে ফোন দিল……..

.

তখন………

সুপ্তি, সানা, কাশিকা,রাতুল,অনু,অন্তর আর দিপু একসাথে হাটছিল!

অনু সবার পিছনে ছিল!

হঠাৎ কোথাথেকে এক জোড়া হাত এসে, পিছন থেকে তার মুখ চেপে ধরে।

অনু চিৎকার করার সুযোগটাও পায় নি, আর না কে তাকে নিয়ে যাচ্ছে তাকে দেখার।

শেষে ওদের ভার্সিটির লাইব্রেরিতে এসে লোকটা থামে!

লাইব্রেরিতে এসে লোকটা অনুকে ছেড়ে দেয়।

অনু পিছনে ঘুরে দেখে এটা সেই ব্যক্তিটাই যে তাকে ফার্স্ট ডে তে র‍্যাগিং করেছিলো মানে এমনিই ভয় দেখাচ্ছিল!

অনু: আপনি?

শুভ: খুব খুশি হলে মনে হচ্ছে!

অনু: না মানে….

শুভ: মানে কি? আমাকে দেখে খুশি হও নি?

অনু: আমি ওভাবে বলতে চাই নি!

শুভ: কিভাবে বলতে চেয়েছো?

অনু কি বলবে বুঝতে না পেরে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে!

শুভ এবার হেসে দিলো।

অনু লক্ষ করলো, “শুভর হাসি টা সত্যিই খুব সুন্দর”,
অনু আনমনা হয়ে সেই হাসির দিকে তাকিয়ে আছে।

শুভ: এভাবে দেখো না বোকা পাখি, আমারও তো লজ্জা করে।

অনু লজ্জা পেয়ে মাথা নামিয়ে নিলো।

শুভ: হায় ম‍্যা মার যাওয়া!

শুভর কথায় অনু এক প্রকার ব্লাশ করতে শুরু করলো,
গাল গুলো একদম লাল হয়ে গিয়েছে!

অনুকে অবাক করে দিয়ে শুভ হঠাৎ ওর গালে হাত রাখল!

অনু বড় বড় চোখ করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে

শুভ আস্তে আস্তে ওর মুখটা অনুর আরো কাছে নিয়ে যেতে লাগলো!

অনুর আজ অন্য রকম এক আলাদা অনুভূতি কাজ করছে!

অনু নিজের চোখ গুলো বন্ধ করে নিলো।

কিছুক্ষন পর শুভ ওর বড় বড় পাপড়ি ওয়ালা চোখ গুলোতে হালকা করে ফু দিলো।

অনু চোখ খুলে অবাক হয়ে শুভর দিকে তাকায়।

অনুর রিয়েকশন দেখে শুভ যেন হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে!

শুভ: এর জন্যই আমি তোমাকে বোকা পাখি বলে ডাকি….

বলে আবারো হাসতে লাগলো।

অনুর এখন সত্যিই অনেক বেশি লজ্জা লাগছে।

তাই ও নিজের জামা নিজেই খামচে দাঁড়িয়ে আছে।

হঠাৎ শুভর ফোনটা বেজে উঠলো।

(ওর রিংটোন নরমালই আছে রশ্নির মতো মুন্নি বাদনাম নাই😂)

স্ক্রিনে ইয়াশের নাম ভেসে উঠায় শুভ তাড়াতাড়ি করে কলটা রিসিভ করলো।

শুভ: হ্যা ভাই বলো।

ইয়াশ: তুই এখন কার সাথে আছিস?

শুভ: ইয়ে মানে!

ইয়াশ: দেখ আমি জানি তুই রশ্নির কোনো ফ্রেন্ডকে নিয়ে আছিস।

শুভ: ওই ইয়ে।

ইয়াশ: রাখ রাখ আর মানে মানে করতে হবে না আমি, ভালোই ভালোই নিজের সেটিংটাও করিয়ে নাও।

শুভ: ভাই তুমিও না।

ইয়াশ: একে নিয়ে কোনো প্ল্যানিং আছে নাকি…….

শুভ: ছি ছি ভাই আমি অমন টাইপের ছেলে না,
আর তুমি তো জানোই তোমার বউ কেমন, তার কলিজার সাথে উল্টো পাল্টা কিছু করার কথা ভাবলেও আমাকে জিন্দা দাফ্নে দিবে!

সো বলতে পারো প্ল্যানিং আছে!

ইয়াশ: বড় আন্টির তাহলে আর কষ্ট করে পাত্রী খুঁজতে হবে না।

শুভ: 😂

.

ইয়াশ: আচ্ছা শুন যার জন্য কল করেছি,
রশ্নির পুরো বাহিনি মিলে ওকে খুঁজতে বের হয়ে গিয়েছে, সো বি কেয়ারফুল!

শুভ: হুম।

.

এদিকে রশ্নিরা হাজার খুজার পরও অনুকে পায়নি

রশ্নি: আমি তো কই, ওর নামে পোস্টার ছাপায়া দাও উইথ হেড লাইন, যে একটা কুত্তি হারায় গেছে।

রাতুল: রশ্নি এটা কোনো মজা করার বিষয় না,
আমাদের ফ্রেন্ড হারিয়ে গেছে!
মানে তুই কি কোনো কোনো টাইমে একটু সিরিয়াস হইতে পারস না?

রশ্নি: না!

রাতুল: তোর সাথে কথা বলতেও আমার এখন বিরক্ত লাগে।

রশ্নি: ঐ তুই কি কইলি?
আমার সাথে কথা বলতে তোর বিরক্ত লাগে? তাহলে বলস কেন? কে বলছে তোকে আমার সাথে কথা বলতে?

অন্তর: তোরা একটু থাম না প্লিজ!

রশ্নি: 😒

হঠাৎ কোথাথেকে অনু এসে ওদের কাছে যায়।

সুপ্তি: আআআআ ভূত!

রশ্নি: “ভূতনি” হবে!😒

সুপ্তি: তোর প্রবলেম টা কি বল তো?

রশ্নি: আমারে কি বলস? আগে নিজের বাংলা গ্রামার ঠিক কর! 😒

সুপ্তি: ক্লাসে তো ঠিক মতো পড়া লেখা করস না আবার আমারে লেকচার দেস!

রশ্নি: হ তুই তো যেন পড়া লেখা কইরা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যা সাগর হয়ে গেছস। 😒

অন্তর: উড ইউ গাইজ ক‍্যান বি কিপ কোয়াইট?

সুপ্তি: বাংলায় ক :^

সানা: এদের বাদ দে তো,

দোস্ত তুই বল এতক্ষন কোথায় ছিলি? জানোস আমরা কত খুঁজছি তোরে!

রশ্নি: ওই কি আমগো লগে আসিলো নাকি যে জানবো আমরা কত আর কেমনে খুঁজছি? কমনসেন্সহীন প্রাণী🙄

সানা: উফ….

অনু কোনো রকম কথা কাটিয়ে ব্যাপারটাকে ঝামাচাপা দিলো।

কিন্তু তাদের মধ্যে রাতুলের এখনো ব্যাপারটা কেমন যেন ঘোলাটে লাগলো! বাট ও তা প্রকাশ করল না।

.

রাতে………..◆”◆,,◆”◆

শুভ নিজের রুমে বসে কি যেন ভাবছে আর ভেবে নিজে নিজেই আবার হাসছে!

ওর ভাবনার মধ্যে বাধা দিয়ে ঠাস করে দরজা খুলে,
রশ্নি ওর রুমে ঢুকে গেলো।

রশ্নি: কিরে আজকে তুই অনুর সাথে কি করতাছিলি?

শুভ: তুই জানলি কেমনে যে অনু আমার সাথে ছিল?

রশ্নি: এইটুক জানা আমার জন্য কোনো ব্যাপার না, তুই এবার আমার প্রশ্নের উত্তর দে।

শুভ: তোর ভাবি বানানোর প্ল্যান করতেছিলাম 😌

রশ্নি: বাহ😐

যেদিন তুই প্রথম অনু রে দেখছিলি, সেদিনই তোর লুইচ্ছা মার্কা এক্সপ্রেশন দেইখা আমি বুইঝা গেছিলাম যে “কুছ তো গারবার হ‍্যা”

শুভ: আমি সত্যিই ওরে ভালোবেসে ফেলছি রে।

রশ্নি: গুড কিন্তু আমি তোর জন্য ওরে কোনো ধরনের কনভেন্স করতে পারুম না।

শুভ: লাগবোও না তুই হেল্প করতে গেলে উল্টো আরো সব বিগড়ে দিবি।

রশ্নি: ওই আমার সাথে ভদ্র ভাবে কথা বলিস নাহলে কিন্তু…….

শুভ: জানতাম!

রশ্নি: আচ্ছা বল কালকে ট্রিট দিব।

শুভ: ওকে ডান!

রশ্নি: তুই এত ভালো হয়ে গেলি কেমনে? যাই হোক ট্রিট পাওয়া দিয়া কথা।

তারপর রশ্নি রুম থেকে গেল

শুভ: অন্তিকাকে একটা কল দিলে কেমন হয়?
কিসের অন্তিকা, অনু নামটাই সুন্দর!

উফ এসব ভেবে সময় নষ্ট না করে অনুকে একটা কল দেই।

এদিকে অনু রাতুলের সাথে কথা বলছিল হঠাৎ স্ক্রিনে “শুভ” নামটা ভেসে উঠায় অনুর বুকটা ধুকপুক করে উঠে।

[আজকেই অনুর কাছ থেকে নাম্বার নিয়েছিল শুভ]

অনু: দোস্ত আমি তোকে পরে কল করছি।

বলে অনু কল টা কেটে দেয়।

রাতুলের কাছে ব্যাপার টা যেন কেমন লাগে!

নিজের পছন্দের মানুষের কাছ থেকে এমন ইগনোরেন্স যেন সে সহ্য করতে পারছে না।

হ্যা রাতুল অনুকে পছন্দ করে, সেই কলেজ লাইফ থেকেই অনুকে ভালোবাসে কিন্তু ফ্রেন্ডশিপ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় কখনো বলতে পারে নি।

কিন্ত এবার ঠিক করে নিয়েছিল যে, ওকে নিজের মনের কথা বলে দিবে। কিন্তু হঠাৎ অনুর এমন আচরণ রাতুলের মনে অনুকে হারিয়ে ফেলার ভয় সৃষ্টি করে দিচ্ছে।

.

এদিকে সানা নিজের ঘরে বেঘোরে ঘুমাচ্ছিল…..

হঠাৎ তার ঘুম ভেঙে যায়, নিজের শরীরে ভারী কিছু অনুভব করার ফলে।

সানা কিছু বুঝে ওঠার আগে তার ঠোট কারো দখলে চলে যায়।

কিন্তু অন্ধকার রুমে কাওকে দেখেছেও না।

পাঁচ মিনিট পর অজানা ব্যাক্তিটি সানাকে ছেড়ে দিলো।

সানা হাতড়ে, ল্যাম্প টা জ্বালিয়ে দিলো।

মৃদু আলোতে তার সামনে থাকা বাক্তিটাকে দেখে হকচকিয়ে উঠে সানা…….

সানা: সেহের আপনি?

সেহের: আরেহ বেবি চিৎকার করছো কেন আস্তে কথা বলো, অবশ্য তাতে আমার কিছু যায় আসে না প্রবলেম টা তোমারই হবে।

সানা: এই টাইমে? আমার রুমে আসলেনই বা কি করে?
আর একটু আগে ওটা কি ছিল?

সেহের: আরেহ আরেহ, কাম ডাউন কাম ডাউন!
এত গুলো প্রশ্ন কেউ একসাথে করে?

আচ্ছা আমি সবগুলোর উত্তর দিচ্ছি।

ফার্স্ট অফ অল তোমার সাথে দেখা করার জন্য আমার টাইম লাগে না, যখন মন চাইবে আমি তখনই আসবো আর তুমি কিছু করতেও পারবে না।

সানা: 😒

সেহের: এর পরে আসে, কিভাবে এসেছি!

ওয়েল সো…..(বলে সেহের নিজের মাথা চুলকালো)

বারান্দা টপকে এসেছি।

সানা: 😒

সেহের আবারো সানার ঠোঁট নিজের ঠোঁটের ভাঁজে নিয়ে নিলো……

সানা: এটা কি হলো?

সেহের নিজের মুখটা সানার কানের কাছে নিয়ে গিয়ে বলল– তোমার তৃতীয় প্রশ্নের উত্তর!

সানা: 😲

সানার মার কন্ঠ শুনা যাচ্ছে। উনি মেবি এই রুমেই আসছে

সানা: সেহের প্লিজ এখন চলে যান, আম্মু রুমেই আসছে।

সেহের এবার সানার ঠোঁটে কামড় বসিয়ে দেয়!

সানা: সেহের আপনি…..

সেহের চোখ টিপ মেরে
উঠে আবার বারান্দা দিয়ে চলে যায়…….

.

.

সানার মা রুমে এসে সানার পাশে শুয়ে পড়লেন।

এদিকে সানা ঘুমের ভান করে ছিলো যেন তার মা মনে করেন যে ও ঘুমিয়ে আছে, ওর প্লান সাকসেসফুলও হলো।

সানার মা শুয়ে পড়ার পর!

সানা একবার নিজের ঠোঁটে হাত ছুইয়ে নিজে নিজেই মুচকি হাসে

তারপর পারি জমায় ঘুমের রাজ্যে।

.

পরেরদিন বিকালে…….

রশ্নি আর শুভ বসে পাবজি খেলছে……

রশ্নি: আরেহ এই শুভর বাচ্চা…..ব্লু যোনে কি তোর বউ এর বিয়া লাগছে নাকি?

তাড়াতাড়ি ঐখান থেকা বের হ…….

হঠাৎ একটা হাত এসে রশ্নির ফোনটাকে তার কাছ থেকে সক টানে নিয়ে নিল।

এতে রশ্নি অনেক রেগে যায়।

রশ্নি: কোন এনিমি রে আমার হাত থেকে মোবাইল নেস,

রশ্নি পিছনে ঘুরে দেখে ইয়াশ অগ্নি দৃষ্টি নিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।

তা দেখে রশ্নি একটা শুকনো ঢোক গিললো।

রশ্নি: হেহেহে নীল ভাইয়া রাগ করছো কেন? আমি তো জাস্ট এমনিই বলছিলাম,,,,,,না মানে আসলে চিকেন ডিনারের খুব কাছাকাছি ছিলাম তো তাই আর কি😞

ইয়াশ: চুপ, পড়া নাই লেখা নাই, সারাটা দিন দুষ্টামি, ফাজলামি নিয়ে পড়ে থাকে।

বলে ইয়াশ রশ্নির হাত ধরে টানতে টানতে রশ্নির রুমে নিয়ে যায়।

তারপর ওকে পড়ার টেবিলে নিয়ে গিয়ে বসায়।

ইয়াশ: নাও পড়া স্টার্ট করো!

রশ্নি: এহ! 😟

ইয়াশ: আবার এহ? শুন আজকে থেকে আমি তোমার নিউ হোম টিউটর!

পিছন থেকে রাশিদ খান রুমে এসে বলেন
— হ্যা ইয়াশ ঠিক বলছে, আজ থেকে ও তোমাকে ঘরেও পড়াবে।

রেহেনাও রুমে আসে…..

.

রেহেনা: হ্যা ঘরে এত ভালো একজন ব্রিলিয়ান্ট ছেলে থাকতে আবার অন্য টিউটর খুঁজতে যাবো কেন?

আর টিউশনির টাকাটাও বেঁচে যাবে। 😄

রশ্নি: আম্মুর কথা বাদ দিলাম, কজ, আমার আগেই মনে হইতো যে এইটা আমার সৎ মা! আজ তা প্রুভ হইলো।😭

কিন্তু আব্বু তুমি আমার সাথে কিভাবে এই বেইমানিটা করতে পারো😭

না আমি এই বদনাময় গেবন (বেদনাময় জীবন🤣) আর রাখমু না, আজকেই হারপিক খায়া মইরা যামু😭

রাশিদ: তোমার জন্য এটাই ভালো😒
রেহেনা: হুহ চলো তো এখান থেকে😒

তারপর রেহেনা আর রাশিদ রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন।

রশ্নি এবার ইয়াশের দিকে তাকালো!
ইয়াশের ঠোঁটের কোণে বাঁকা হাসি,

সেটা দেখেই রশ্নির পরান পাখি উরু উরু করা শুরু করে দিয়েছে।

ইয়াশ: বই বের কর!

রশ্নির এখন ওই গানটা খুব করে মনে পড়ছে

“আমি জ্ঞান হারাবো, মরেই যাবো
বাঁচাতে পারবে না তো 😵

.
#Your_psycho
#A_Devils_Love
#Part_08

#Written_by_Aruhi_khan (ছদ্মনাম)

.

.

.

ইয়াশ: কি হলো বই বের করছো না কেন!

ইয়াশের ঝাড়ি খেয়ে রশ্নি কেঁপে উঠলো

রশ্নি: ককোন ববই বে…..

ইয়াশ: ক্লিয়ারলি বলো, ড‍্যাম ইট।

রশ্নির এখন কান্না পাচ্ছে, কারন ওর সাথে কেউ এভাবে কথা বলে না। শুধু এই নীলটাই ওর সাথে এমন করে।

কোনোভাবে কান্নাটা চেপে রেখে
বললো– কোন বই বের করবো?

ইয়াশ: হুম,,, চলো ইংলিশ দিয়ে শুরু করি।

ইয়াশ রশ্নির পড়ার টেবিল থেকে ইংলিশ ফার্স্ট পেপার বই টা বের করলো।

.

ইয়াশ রশ্নিকে পড়াচ্ছে, রশ্নিও চুপচাপ মাথা নিচু করে পড়ছে।

সবই ঠিক আছে, শান্ত শিষ্ট একটা পরিবেশ ক্রিয়েট হয়েছে, কিন্তু এখন সমস্যা হলো ইয়াশকে নিয়ে।

রশ্নির এই রূপটা ইয়াশের ভাল্লাগতাছে না😑
[কি একটা অবস্থা মাইরি😂]

ইয়াশ বারবার রশ্নিকে মাথা তুলে দেখছে!

রশ্নির চোখ ছলছল করছে, নাকটা লাল হয়ে গিয়েছে আর ঠোঁটও উল্টে গিয়েছে মানে যে কোনো টাইমে বন্যা আস্তে পারে।

বাট রশ্নি যে ওর কান্নাটা আটকে রেখেছে এটাই ইয়াশের সহ্য হচ্ছে না।

শেষে আর না পেরে ইয়াশ বলেই ফেললো
— এই এখানে এসো

রশ্নি– হুম?

ইয়াশ: শুনো নি কি বলেছি?
এখানে আসো।

রশ্নি উঠে ইয়াশ একটু সামনে গেল।

ইয়াশ: বসো।

রশ্নি: হুম?

ইয়াশ: উফ!

ইয়াশ নিজেই রশ্নিকে টেনে ওর পাশে বসিয়ে দিল।

ইয়াশ রশ্নির থুতনি ধরে মুখটা উঁচু করে ধরলো।

কিন্তু রশ্নি বারবার ইয়াশের হাতটা সড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, কারন ও কিছুতেই ইয়াশকে নিজের চোখের পানি দেখতে চায় না।

ইয়াশও ছাড়ছে না।

রশ্নিও হার মানবে না, ইয়াশের সাথে এক ধরনের হাতাপাই শুরু করে দিয়েছে।

শেষে ইয়াশের সাথে আর না পেরে কেঁদেই দিলো।

রশ্নি: আআ আ আআআ আআ……😭😭

রশ্নির কান্না যেন নিনজা হাতরির শিনজোর কান্নার আওয়াজএর থেকেও বেশি।

কিন্তু রশ্নির রুম সাউন্ড প্রুফ তাই ইয়াশ এবারও বেঁচে গেল। 😁

রশ্নি কান্না থামিয়ে টিস্যু নিয়ে নাক পরিষ্কার করা শুরু করলো।🤧

ইয়াশ দুই হাত গুঁজে ওকে দেখছে।

ইয়াশ: যাও আজ পড়তে হবে না।

ইয়াশের কথায় রশ্নির খুশি যেন ধরা পায় না।

রশ্নি: সত্যি?😀

ইয়াশ: হুম।

রশ্নি: আমি তাহলে যাই?

ইয়াশ: এটা তোমার রুম!
সো তুমি থাকো আমি যাচ্ছি।

রশ্নি: যেমনটা মহারাজের ইচ্ছে তেমনটাই হোক।😌

ইয়াশ রশ্নির দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল!

.

রশ্নি: বাহ রশ্নি, তোর তো ওই কালা লেডি
(ফিল্ম ফেয়ার এওয়ার্ড😂) পাওয়া উচিৎ এক্টিং এর জন্য। 😎

ডিয়ার নীল ডার্লিং, আমি জানি তো আমার চোখের পানি তুমি সহ্য করতে পারো না, এটা তোমার একমাত্র দুর্বলতা, আর সেটাই আজ আমার অস্ত্র হলো।
হা হা হা…..(বলে ডিপজল আঙ্কেলের মতো হাসতে লাগলো😑🙄)

তারপর রশ্নি স্পিকারে নাক্কা মুক্কা গান প্লে করে ওরা ধুরা নাচতে শুরু করলো। 🙊

.

নাচতে নাচতে রশ্নির চোখ পড়ে গেইটের দিকে।

ইয়াশ গেইটের সাথে মাথা ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রশ্নিকে দেখছে।

ওকে দেখে রশ্নি একটা শুকনো ঢোক গিললো।

রশ্নি গিয়ে গানটা বন্ধ করে দিলো।

ইয়াশ এসে রশ্নির সামনে দাঁড়ালো।

এদিকে রশ্নি জামা খামচে দাঁড়িয়ে আছে

ইয়াশ গিয়ে রশ্নির সামনের চুলগুলো হাত দিয়ে এলোমেলো করে দিলো।

ইয়াশ: বাচ্চা মেয়ে! (বাঁকা হেসে)

রশ্নিকে অবাক করে দিয়ে ইয়াশ ওকে কিছু না বলেই
দুই পকেটে হাত ঢুকিয়ে গুন গুন করতে করতে চলে গেল।

রশ্নি হা করে ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।

রশ্নি: যাক বাঁচলাম!

— কালকের থেকে আর কোনো ছাড়াছাড়ি নেই!

হঠাৎ ইয়াশের কন্ঠ শুনে রশ্নি আবার দাঁড়িয়ে যায়।
কিন্তু বাহিরে এসে ইয়াশকে কোথায় দেখতে পায় না।

রশ্নি: এই বেডা আমারে শান্তিতে বাঁচতে দিব না।

.

.

.

.

পরেরদিন ভার্সিটিতে সবাই একসাথে ক্যান্টিনে বসে খাচ্ছে।

সানা সুপ্তিকে একে অপরকে খাইয়ে দিচ্ছে আর রশ্নি কাশিকা একে অপরকে।

অন্তর পড়ছে, আর দিপু ওকে হেল্প করছে।

রাতুল: এই নে দোস্ত খা।

রাতুলের কথায় অনু খাবারটা খেয়ে নিল।

অনুও রাতুলকে খাইয়ে দিতে গেল কিন্তু হঠাৎ কোথাথেকে একটা সিটি বেজে উঠলো।
সেই শব্দ টা শুনে অনু থেমে গেল।

সেটা শুনা মাত্র অনুর আচরণ কেমন যেন চেঞ্জ হয়ে গেল।

অনু: আচ্ছা ফ্রেন্ডস তাহলে আমি এখন আসি!

কাশিকা: কই যাস?
অনু: আমার বাসায় একটু কাজ আছে তাই তাড়াতাড়ি যেতে হবে।
রশ্নি: তুই বাসায় কাজ ও করস! 😆
অনু: আচ্ছা আমি তাহলে এখন আসি।
বলে অনু সেখান থেকে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে গেল।

রাতুল এখনো ওভাবে বসে আছে।

ওর কাছে অনুর এমন আচরণ মোটেও ভালো লাগছে না।

রাতুলও উঠে চলে গেল।

রশ্নি: এর আবার কি হইলো রে?
সানা: কি জানি।

.

অন্তর আর দিপু পড়ছিল হঠাৎ অন্তর ওর পায় জরে চাপ অনুভব করলো মানে কেউ পারা দিয়েছে।

অন্তর: রশ্নি সবসময়……..

সামনের দিকে তাকিয়ে অন্তরের কথা আটকে গেলো।

অন্তরএর পায় রশ্নি না অধরা পা রেখেছিল।

অধরা: সরি সরি আমি খেয়াল করি নি।

অন্তর কিছু বলছে না শুধু এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,
অধরার বাতাসে উড়া চুল গুলোর খেলা দেখতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে সে।

অধরা: ওহ হ্যালো!

অধরার ডাকে অন্তরের ধ্যান ভাঙলো।

অন্তর: ইটস ওকে।

অধরা আর কিছু না বলে সেখান থেকে চলে গেল।

রশ্নি: এই মাম্মা! ক্রাশ ট্রাশ খাইস নাকি? 🤨

অন্তর: এত ফালতু কথা মাথায় ঘুরে কিভাবে? আর ও আমাদের সিনিয়র।

রশ্নি: ভালোবাসা কি বয়স দেখে হয় নাকি রে?😳

অন্তর: চুপ কর তো, আজাইরা কথা যত্তসব। এই দিপু এটা দেখে তো।

রশ্নি: এটা বললি তো, দেখিস তোদের প্রেম হইলেও আমি আগুন লাগাই দিমু😤

অন্তর: 😒

.

.

.

বিকালে ফুটবল খেলে রশ্নি বাড়িতে ঢুকছিল, তখন এক্সিডেন্টালি কেও রশ্নির সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যেতে নেয়, আর রশ্নি তার কোমর পেঁচিয়ে ধরে তাকে বাঁচায়।

(লাইক আল্ট্রা রোম্যান্টিক বাংলা & হিন্দি সিনেমা🙄)

রশ্নি দেখে এটা ওর ফুপাতো ভাই কাব্য,
যার জন্য ইয়াশের হাতে ফার্স্ট টাইম মার খেয়েছিল।

কারো পায়ের শব্দ পেয়ে রশ্নি সামনে তাকিয়ে দেখে
সিঁড়ির মধ্যে ইয়াশ দাঁড়িয়ে আছে।

আর ইয়াশের তখনের ফেইশিয়াল এক্সপ্রেশন কেমন হবে সেটা আপনারা Imagine করে নেন

.

.

.

To be continued………..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here