#Your_psychoPart_19+20
#A_Devils_Love
#Written_by_Aruhi_khan (ছদ্মনাম)
.
.
.
ইয়াশ রশ্নিকে টানতে টানতে নিয়ে এসে ড্রইং রুমের ফ্লোরে সবার সামনে ছুড়ে ফেললো।
সবাই একসাথে বসে টিভি দেখছিলো।
হঠাৎ এমন কিছু হওয়াতে সবাই চমকে গিয়ে উঠে দাঁড়ায়।
তার মধ্যেই রাশিদ খান তাড়াহুড়ো করে ভার্সিটি থেকে বাড়িতে ফিরলেন।
রাশিদ: কি হয়েছে হঠাৎ বাড়িতে আসতে বললে কেন ইয়াশ?
আর ওরই বা এই অবস্থা কেন?
ইয়াশ: ওকেই জিজ্ঞেস করেন
ইয়াশএর রাগে স্বাস নিতেও যেন কষ্ট হচ্ছে।
রশ্নি কান্না করেই চলেছে। ও এখন কিছু বলার অবস্থাতে নেই।
রেহেনা: কি করেছে ও?
ইয়াশ কোনো রকম নিজেকে কন্ট্রোল করে নিলো।
ইয়াশ: কাজী অফিসে বিয়ে করতে গিয়েছিল।
আমি ঠিক সময় না গেলে এতক্ষনে না জানি কি কি হয়ে যেত।
রেহেনা পুরাই শকড।
রেহেনা: হোয়াট? বিয়ে করতে গিয়েছিল?
ইয়াশ কিছু না বলে জোরে জোরে নিঃস্বাস ফেলতে লাগলো।
রাশিদ: রশ্নি ইয়াশ কি বলছে এসব?
রশ্নি: 😭😭😭
ইয়াশ: রশ্নি ফিরছিল না দেখে ওকে খোঁজার জন্য আবার ভার্সিটি গিয়েছিলাম কিন্তু ও সেখানে ছিল না। ওর ফ্রেন্ডসরাও কিছু জানতো না তাই ওর ফোন ট্র্যাক করতে হয়। আর তা ফলো করেই জানতে পারি ও কাজী অফিসে আর সেখানে গিয়ে দেখি এই অবস্থা।
রেহেনা: তোর যদি কাউকে ভালো লাগতো তাহলে আমাদের বলতি। আমরা কি মানা করতাম নাকি! কিন্তু এটা তুই কেন করলি।
ইয়াশ: মামা জানতে চাইবে না কোন ছেলের সাথে বিয়ে করতে গিয়েছিল?
রাশিদ প্রতিত্তরে ভ্রু কুঁচকে ইয়াশের দিকে তাকালেন।
ইয়াশ: নাহিদ। সেই ছেলেটাই যে কিনা সেদিন এডুকেশন ক্যাম্পেইনএ রশ্নির সাথে অসভ্যতামি করেছিল।
রাশিদ: শেষে কিনা ওই ছেলেটাকে?….ছি!
রশ্নি: তোমরা আমার কথাটা শু…
সৌভিক: এই মেয়েটা আমাদের নাক কাটিয়েই ছাড়লো।
শাহানা: আমি তো বলি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একে বিয়ে দিয়ে দাও।
নিলাসা: এটা তুমি কি বলছো শাহানা? ওর বয়সটাই কত যে বিয়ে দিয়ে দিবে। সবে মাত্র ২০ এ পা রাখতে যাচ্ছে।
রেহেনা: ভাবি ঠিক বলছে।
শাহানা: আপদটা হয়তো এবার বিদায় হবে
এটার বিয়েটা হয়ে যাক তারপর শুভার সাথে ইয়াশের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলবো।– মনে মনে
রশ্নি: আম্মু……
রেহেনা: চুপ!! আর একটা কথাও বলবে না তুমি। যা করেছ তারপর আবার কোন মুখ দিয়ে কথা বলো?
রেহেনা গিয়ে ইয়াশের সামনে দাঁড়ালো।
রেহেনা: একদিন তুমি আমাদের কাছে রশ্নির হাত চাইছিলে আজ আমি আমার মেয়ের জন্য তোমার হাত চাইছি। ইয়াশ তুমি কি……
ইয়াশ নিলাসা বেগমের কথা শেষ হওয়ার আগে তাকে ধরে ফেলল।
ইয়াশ চোখ দিয়ে হ্যা বুঝালো।
শুভা: what the…….!!
নিলাসা: ইয়াশ…..
ইয়াশ: হ্যা আমি রশ্নিকে খুব আগের থেকেই পছন্দ করি। আর আমিই প্রথমে রশ্নিকে বিয়ে করতে চাওয়ার কথা আন্টি আঙ্কেলকে বলেছিলাম।
নিলাসা: কিন্তু মেয়েটা তো এখনো অনেক ছোট বাবা।
ইয়াশ: এই ছোট বয়স নিয়েই এত বড় অঘটন ঘটাতে যাচ্ছিল।
শাহানা: আপাজান তো ঠিকই বলছে। আর ইয়াশ এই মেয়ে তোমার যোগ্য না। দেখলে না কি কাজটাই না করতে যাচ্ছিল। তুমি এর থেকে ভালো….
ইয়াশ: কে আমার যোগ্য আর যোগ্য নয় সেটা না হয় আমিই দেখে নেব।
রেহেনা: ইয়াশ আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করছি! তুমি কি রাজি?
ইয়াশ: জি আন্টি! আমি ওকে নিয়ে আর কোনো রিস্ক নিতে চাই না।
রেহেনা: তাহলে তো হয়েই গেল। কালকের মধ্যেই আমি হলুদের ব্যবস্থা করছি।
শাহানা: ছোট কি বলছিস এসব? কালকের মধ্যে?
রেহেনা: আমার মেয়ের ব্যাপারে আপনার নাক না গলালেও চলবে।
শাহানা: ছোট কি বলছিস এসব?
রেহেনা: যেটা শুনেছেন সেটাই বলেছি।
বলে গড়গড় করে নিজের রুমে চলে গেলেন।
শাহানা: যেমন মেয়ে তেমন তার মা।
বলে মুখ ভেংচি দিয়ে নিজের রুমে চলে গেলেন আর তার পিছন পিছন সৌভিক খানও।
রশ্নি অসহায় দৃষ্টিতে ওর বাবার দিকে তাকালো।
কিন্তু আজ উনিও মুখ ফিরিয়ে নিলেন।
ইয়াশ এসে রশ্নির কাছ থেকে ওর বাইকের চাবি টা নিয়ে নিল।
ইয়াশ: আজ থেকে বিয়ে পর্যন্ত তুমি বাড়ি থেকে এক পাও বের করবে না। নাহলে আমার থেকে খারাপ আর কেও হবে না।
বলে সেখান থেকে চলে গেল।
নিলাসা বেগম এসে রশ্নিকে উঠালো।
রশ্নি: মিষ্টিইইইইইই…😭
নিলাসা রশ্নির চোখের পানি মুছিয়ে দিলো।
রশ্নি: মিষ্টি তোমারও কি মনে হয় আমি অমন কিছু করতে পারি? কেও আমায় বিশ্বাস না করলেও তুমি তো করো?😭
নিলাসা: আমি জানি মা কিন্তু ইয়াশের রাগ জেদ কতটা তুই তো জানিসই। ওর জেদের সাথে আমরা কখনোই পেরে উঠবো না।
নিলাসা বেগম কোনোরকম রশ্নিকে বুঝিয়ে টুঝিয়ে রেখে আসলেন।
.
পরের দিন——★
আজ সন্ধ্যায় রশ্নি আর ইয়াশের গায় হলুদ।
রশ্নির আম্মু ওকে ওর রুমে লক করে গিয়েছেন।
যাতে ও পালাতে না পারে।
রশ্নি: না কোনো ভাবেই আমি ঐ সাইকোটাকে বিয়ে করবো না।
পরে দেখা যাবে
কফি তে চিনি বেশি দিয়ে ফেলেছি বলে আমারও হাত ভেঙে চোখ উপরে ফেলবে।
উমা…চোখ না থাকলে আমি সেলফি তোলার পর বুঝবো কিভাবে সেটা ভালো হয়েছে কিনা খারাপ।
আর আমার যে শয়তান বন্ধুবান্ধব।
ওরা নিশ্চই আমার বস্তাভরা ক্যান্ডিড পিক তুলবে।
নো নো নো কিছু একটা করে এখান থেকে পালাতেই হবে।
রশ্নি অনেক ভাবনা চিন্তার পর বারান্দা দিয়ে টপকে যাওয়ার ডিসিশন নিলো।
.
যেমন ভাবা তেমন কাজ।
রশ্নি পাইপএর সাহায্যে নিচে নেমে গেল।
আর ওর রুমটা সেকেন্ড ফ্লোরে হওয়াতে
নামতে বেশি অসুবিধে হয় নি।
.
রশ্নি: চলে তো আসলাম কিন্তু এখন যাবো কোথায়?😭
একটা কাজ করি কিছুদিনের জন্য নানু বাড়ি চলে যাই।তারপর সেখান থেকে পুলিশ স্টেশন গিয়ে আম্মুর আর জল্লাদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে একটা অবলা এডাল্ট মেয়েকে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার কেস ঠুকে দিব!😎
রশ্নির কাছে যেহেতু এখন ওর ধাণ্য নেই তাই বাস দিয়ে যেতে হবে।
কিন্তু সেখানেও বাধলো আরেক বিপত্তি।
বাসের টিকিট এর জন্যও ওর কাছে টাকা নেই।
রশ্নি: এখন আমি কি করবো!😭😭
বাসায় গিয়ে টাকা নিয়ে আসবো?
ধুরো তাহলে পালানোর লাভ কি?
রশ্নি একটা দোকানে গিয়ে কিছু টাকা ধার চাইলো
আর বলল কয়েক মাস পর এসে দিয়ে যাবে।
ওর কথার লাস্টের লাইন শুনেই আর কেউ দিতে চায় না।
রশ্নি: এখন কি করি? বাড়ি ফিরে যাব?
কোনোভাবেই সম্ভব না।
আইডিয়া! কিন্তু এটা আমি করতে পারবো না😭
কিন্তু করতে তো হবেই। বাট বিলিভ মি, আমি একটু করটে চাচ্ছি না😭
.
শুভা একটার পর একটা সব দামি দামি কাচের জিনিষ ছুড়ে ভেঙে ফেলছে।
শাহানা আটকাতে চেয়েও পারছে না।
শাহানা: মা আমার কথা টা শুন!
শুভা: যা বলেছ তাতে মন ভরে নাই এখন আরো বলতে চাইছো?
শাহানা: আমি তো…..
শুভা: কি দরকার ছিল রশ্নির বিয়ের ব্যাপারে কথা বলার? দেখলে তো কি হলো।
শাহানা: আমি ওকে ভাগানোর জন্যই এটা বলেছিলাম।
শুভা: ওহ রিয়েলি? দেন কংগ্রাচুলেশনস! তুমি পেরেছো
ওকে এই বাড়ি থেকে ভাগাতে।
ভাগাতে ভাগাতে একদম ইয়াশদের বাসায় পৌঁছে দিয়েছো।
শাহানা: মানলাম একটা ভুল হয়ে গিয়েছে কিন্তু তুই চিন্তা করিস না আমার কাছে আরো একটা ভালো আইডিয়া আছে।
শুভা: শুনার কোনো ইচ্ছে নেই তবুও বলে ফেলো।
শাহানা: শুন তাহলে….
.
রশ্নি রাস্তার মধ্যে থেকে একটা ভাঙা প্লেট পেয়ে
সেটা নিয়ে রাস্তায় ভিক্ষা চাওয়ার জন্য বসে পড়েছে।
রশ্নি: O my Allah! so embarrassing……
Huh…..It’s ok কোনো কাজই ছোট বা বড় হয় না।
কিন্তু আমার শরম করে….😑😭
রশ্নির ড্রেস আপ দেখে ওকে কোনো দিক দিয়েই ফকিরএর মতো লাগছে না।
তাই সবাই এসে দাঁত কেলিয়ে দেখে আবার চলে যাচ্ছে।
রশ্নি: কি একটা অবস্থা! কেউ কিছু দিচ্ছে না কেন?
সবাই কি গরিব হয়ে গেল নাকি? একটা এ্যাড এ না দেখেছিলাম বলছিল।
বাংলাদেশে আর ফকির মিসকিন নাই তাহলে এখন কোথায় গেল সব বরোলক্সরা?
রশ্নি: হুম বুঝেছি এভাবে বসে থাকলে চলবে না।
ফকিরদের মতো সুর তুলে গান গেয়ে চাইতে হবে।
লাইক– আম্মাজান আল্লাহর নামে কয়ডা ট্যাহা দিয়া যাও।
রশ্নি কয়েকবার রিহার্সাল করে নিলো।
রশ্নি: হুম পারফেক্ট। লেটস স্টার্ট!
রশ্নি যেই না সুর তুলতে যাবে এর আগেই ওর রুমালে কেউ এক হাজার টাকার একটা কচকছে নোট রাখে।
রশ্নি: ওহ মাই গুডনেস। গান শুরু করার আগে প্রথম বারেই এক হাজার টাকার নোট। নিশ্চই সুন্দরী রমণী দেখে দিয়েছে
রশ্নি লোকটাকে দেখার জন্য মুখ তুলে উপরে তাকালো।
কিন্তু এই করা রোদের কারনে টা সম্ভব হচ্ছে না।
কে রে এই দয়াবান বেক্তি
রশ্নি কপালে হাত রেখে দেখার চেষ্টা করলো।
রশ্নি: আআআ…!!!!!! নীল ভাইয়াআআআ!!!
রশ্নি সেখানেই পরে গেল।
রশ্নি দেখলো ওর সামনে নীল দাড়িয়ে আছে, আর ওর মুখ অসম্ভব লাল হয়ে আছে।
রশ্নি: পাপ্পা বাঁচাও….
.
#Your_psycho
#A_Devils_Love
#Part_20
#Written_by_Aruhi_khan (ছদ্মনাম)
.
.
.
— এ এ এই একদম এগোবেন না।
ইয়াশ রশ্নির কোনো কথা না শুনে ওকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরলো।
রশ্নি: আ আ আ….
ইয়াশ: চুপ…. নিজের লজ্জা বলতে কিছু নেই বলে কি অন্যদেরও নেই ভেবেছো?
উফ আল্লাহ শেষে কিনা ভিক্ষা?
নিলাদ্রিশ আহমেদ চৌধুরী ইয়াশের হবু বউ কিনা রাস্তায় ভিক্ষা করে ছি।
শুনতেও ডিসগাস্টিং লাগে।
রশ্নি: ব্যাপার না, বিয়ে করার দরকার নেই তাহলেই আর কেউ আপনাকে কিছু বলবে না।
দেখুন তো কিভাবে প্রবলেমএর সলিউশন দিয়ে দিলাম।
এবার আমলে থ্যাংকস জানিয়ে নিচে গিয়ে সবাইকে জানিয়ে দিন যে আপনি আমাকে বিয়ে করছেন না।
হঠাৎ ইয়াশ রশ্নির গালে ঠাস করে থাপ্পড় বসিয়ে দিল।
রশ্নি ছিটকে গিয়ে বিছানায় পড়ে।
ইয়াশ গিয়ে ওর চুলের মুঠি ধরে মুখটা উপরে তুললো।
ইয়াশের হঠাৎ এমন ব্যবহারে রশ্নি বেশ অবাক হলো।
ইয়াশ: সব কিছুই তোর কাছে মজা তাই না?
জানিস এখন পর্যন্ত বেশির ভাগ মানুষদেরই ইনভাইট করা হয়ে গিয়েছে।
তারপর যদি বিয়েটা ক্যান্সেল হতো তখন তোর মা বাবারই নাম খারাপ হতো। সেটা বুঝতে পারছিস?
রশ্নি ইয়াশকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু এক চুলও নড়াতে পারছে না।
রশ্নি: তারা যে আমাকে জোর করে বিয়ে দিচ্ছে সেই বেলায় কিছু না তাই না?
ইয়াশ: আজ না হয় কাল বিয়ে তো তোমায় করতেই হতো আর…..
রশ্নি ভ্রু কুচকালো।
ইয়াশ রশ্নির কানের কাছে ফিসফিস করে
বললো– তোমার শরীরে আমার নাম নিয়ে নিশ্চই তুমি অন্য কাউকে বিয়ে করতে যাবে না রাইট?
নাহলে এর পর যখন…..
ইয়াশ আর বলতে পারল না এর আগেই রশ্নি ওকে থাপ্পড় মেরে দিলো।
ইয়াশ শয়তানি হাসি দিয়ে নিচের ঠোঁট কামড়ে রশ্নির দিকে তাকালো।
ইয়াশ: বাসরের জন্য রেডি হয়ে নাও বেইবি কারন বিয়ে তো তোমায় আমাকেই করতে হবে।
রশ্নি আবার ইয়াশকে থাপ্পড় মারতে গেল কিন্তু এবার ইয়াশ ওর হাতটা ধরে ফেলল আর ওর চোখে চোখ রেখে গভীর ভাবে ওর হাতে চুমু খেলো।
ইয়াশ রশ্নিকে রেখে বাহিরে চলে যাচ্ছিল তখন রশ্নি আবার পিছন থেকে বলে উঠলো
— আমি মরে যাবো কিন্তু আপনাকে বিয়ে করবো না।
ইয়াশ কিছু বললো না শুধু রশ্নির দিকে ফিরে বাঁকা হাসলো।
ইয়াশের এমন রূপ দেখে রশ্নির ভিতরটা মোচড় দিয়ে উঠলো।
কাব্য শুভর রুম থেকে বেরিয়ে নীচে যাচ্ছিল।
কিন্তু নোভার রুম ক্রস করার সময় ওর কানে কারো গুনগুনানোর শব্দ এসে বাড়ি খেলো।
(ইয়াশ, রশ্নির বিয়ের উপলক্ষে নোভাকে ইনভাইট করা হয়েছে আর ও একেবারে বিয়ে শেষেই ফিরবে)
কাব্য ওখানেই দাঁড়িয়ে তা শুনতে লাগলো।
নোভা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে লিপস্টিক লাগাচ্ছিলো আর গুনগুন করছিল।
ওই টাইমেই কাব্য ওকে দেখে ফেলে।
নোভা যে রুমে ছিল সেখানে বাড়ির সবার ছবি আছে।
একটা ফ্রেমের মধ্যে কাব্য আর ইয়াশের ছবি ছিল।
নোভা সেটা নিয়ে নিজের সামনে ধরলো।
নোভা: হুম আজই তোমাকে নিজের মনের কথা বলে দিব!
অনেক অপেক্ষা করিয়েছ এবার আর না। (মুচকি হেসে)
কাব্যর যেন কথাটা শুনে মাথায় মঙ্গল গ্রহ ভেঙে পড়ল।
কাব্য: আমার আগেই মনে হয়েছিল এই ভাইকে পছন্দ করে। আর আজ তাদের গায় হলুদ তাইই হয়তো আজ সব বলে দিবে।
না আমার জন্য এমনিতেই ভাই আর রশ্নির মাঝে অনেক ঝামেলা হয়েছে এখন আর না।
কাব্য ভিতরে গিয়ে দরজা লাগবে দিলো।
হঠাৎ দরজা লাগানোর শব্দে নোভা পিছনে ফিরে তাকায়।
নোভা: আরেহ কাব্য তুমি?
কাব্য: আজ বাদে কাল যার বিয়ে তাকে তুমি প্রপোজ করতে যাচ্ছ? লজ্জা করে না তোমার?
নোভা: মানে কি বলছো এসব?
কাব্য: ডোন্ট এ্যাক্ট ইনোসেন্ট!
আমি সব শুনে ফেলেছি।
নোভা: তুমি আমায় ভুল বুঝছো।
কাব্য: ওহ রিয়েলি? তো ওই ফটো ফ্রেমটা নিয়ে তুমি কি বলছিলে?
নোভা ব্যাপারটা বুঝতে পারলো।
নোভা: ওহ জেনেই যখন গিয়েছো তাহলে আর মিথ্যে বলে কি লাভ!
হ্যা আমি ভালোবেসে ফেলেছি এই ফ্রেমে বন্ধি মানুষটাকে।
আর আজ আমি তাকে নিজের মনের কথা সব বলে দিব।
বলে নোভা গেইট খুলতে গেল কিন্তু তার আগেই কাব্য ওকে ধরে ফেলল।
নোভা: সমস্যা কি তোমার?
কাব্য: তুমি ভাই আর রশ্নির মাঝে একদম ঝামেলা করবে না।
নোভা: আজব তো! ওদের মাঝে আমি ঝামেলা করতে যাবো কেন। আর তুমি আমায় যেতেই বা দিচ্ছ না কেন?
সে যদি আমায় পছন্দ না করে তাহলে তো বলেই দিবে তাই না!
কাব্য: না তুমি অন্য কাউকে ভালোবাসতে পারো না।
নোভা: 🤨
কাব্য: বুঝ না কেন নোভা আমি তোমায়…
নোভা: তুমি আমায় কি?
কাব্য: সত্যিই কি তুমি বুঝ না?
নোভা: উহু…
হঠাৎ কাব্য নোভার গালে কিস করে বসলো।
নোভা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে।
কাব্য: আর কোনো ডাউটস আছে?
নোভা একবার ডানে একবার বামে মাথা নাড়লো।
নোভা গিয়ে কাব্যকে জড়িয়ে ধরতে গেলে কাব্য ওকে আটকায়।
কাব্য: তুমি না ভাইকে প্রপোজ করতে যাচ্ছিলে?
নোভা: কই না তো! আমি তো এই ছবিতে থাকা মানুষটাকে নিজের মনের কথা বলতে যাচ্ছিলাম।
কাব্য: কিন্তু…..
কাব্য এবার বুঝলো যে
ছবিটার মধ্যে তো ও নিজেও আছে যার মানে নোভা ওর কথা বলছিল।
কাব্য নোভাকে জড়িয়ে ধরলো।
আর এতদিন নোভা যা করেছিল তা সবটাই কাব্যকে জ্বালানোর জন্য করেছিল।
এই কয়েক দিনে সানার অবস্থা অনেকটা খারাপ হয়ে পড়েছে।
নিজের অজান্তেই ও সেহের মিস করতে শুরু করেছে।
সেহের সানার বাবাকেও মানানোর চেষ্টা করেছিল।
কিন্তু কোনো লাভ হয় নাই।
সেহের আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছে না।
আর ও এতোটাও ভালো না যে কারো কথা ভেবে নিজের ভালোবাসাকে ছেড়ে দিবে।
ও একবার সানাকে ভালোবেসেছে মানে ওকেই বিয়ে করবে এখন তা জোর করে তুলে এনে হলেও
[যতই হোক ইয়াশের বন্ধু বলে কথা:3]
সেহের: সোজা আঙ্গুলে ঘি বের না হলে সেহের আঙ্গুল বাঁকায় না পুরো ঘি এর ডিব্বাটাই ভেঙে ফেলে।
–বাণীতে ইয়াশ🙄
সেহের: খুব তাড়াতাড়ি তোমার সেহের তোমাকে নিতে আসছে জান…. রেডি টু বি মাইন!
ইয়াশ শিকল দিয়ে রশ্নির হাত আর পা বেঁধে দিলো।
রশ্নি: কেন করছেন আমার সাথে এমন (চিৎকার করে)
রশ্নি কেঁদেই চলেছে কিন্তু ইয়াশকে তা ইফেক্ট করছে না।
ইয়াশ এক গালে হাত দিয়ে তা মুচকি হেসে দেখছে।
রশ্নি: আমি কখনো আপনাকে নিজের স্বামী হিসেবে মানব না।
ইয়াশ এসে রশ্নিকে জড়িয়ে ধরে গলায় মুখ ডুবালো।
রশ্নি চাইতেও বাধা দিতে পারছে না কারন
ইয়াশ ওকে বেঁধে রেখেছে।
ইয়াশ মুখ তুলে রশ্নির চোখে চোখ রাখলো।
ইয়াশ: তুমি না মানলেও তুমি আমার।
রশ্নি: মরে যাবো..যদি আপনাকে আমার বিয়ে করত হয়।
ইয়াশ: মরে যাও!
রশ্নি অবাক দৃষ্টিতে তাকালো।
ইয়াশ: দরকার হলে মেরে নিজের কাছে রেখে দিব।
তবে যেটা আমার সেটা আমারই।
নিজের জিনিষ কিভাবে নিজের করে রাখতে হয় তা নিলাদ্রিশ আহমেদ চৌধুরী ইয়াশের খুব ভালো করে জানা আছে।
রশ্নি ছলছল চোখে ইয়াশের দিকে তাকিয়ে আছে।
ইয়াশ: কিছুক্ষন পর এসে আমি তোমার গায় হলুদের ড্রেস দিয়ে যাবো ততক্ষণ তুমি মেয়েদের মতো চুপচাপ বসে থাকবে।
বলে ইয়াশ রুম থেকে বেরিয়ে গেল।
রশ্নির ভিতরে জাস্ট আগুন জ্বলছে।
সব কিছু জ্বালিয়ে দিতে মন চাইছে।
রশ্নি: আই উইল কিল ইউ মিস্টার জল্লাদ চৌধুরী..😤
.
.
.
To be continued…..