#Your_psychoPart_23+24
#A_Devils_Love
#Written_by_Aruhi_khan (ছদ্মনাম)
.
.
.
রশ্নি: আচ্ছা ভাইয়া কি আমাকে অনেক মারবে?
না না ও তো সেই লেভেলের রাগ না উঠলে মারে না।
আর এমনিও আমি জানি ভাইয়া আমার চোখের পানি সহ্য করতে পারে না ওটা দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করবোনে😎
কিন্তু আজ আমি যা করেছি তারপর তো ওর রাগার কথা।
আর ওর রাগ মানেই আমার গালে ঠাস ঠাস।
কেন যে ওকে বিয়ে করতে গেলাম😭
ধুর আমি করেছি নাকি। সবাই জোর করে দিয়েছে।
তাহলে তো মার খাবো😨
না না রশ্নি তুই ব্রেভ গার্ল ভয় পেলে চলবে না।
মার ধর করলে একদম নারিনির্যাতনের কেস ঠুকে দিব।
সাথে আরো দুই তিন লাইন বাড়িয়েও লিখে দিব।
আর আমার মা উকিলও সো ম্যানেজ করে নিবে😎
কিন্তু মা টাও তো ওই দজ্জাল চৌধুরীর পক্ষে😭
তাহলে এখন আমার কি হবে?
উফ আমার গেবনটা এত বদনাময় কেন।😭
রশ্নি এগুলো ভাবছিল তখনই গেট খুলার শব্দ হলো।
আর রশ্নি বিছানার কোনার সাইডে বসে ছিল তাই শব্দ শুনে একদম খাট থেকে পড়ে গেলো।
ইয়াশ তাড়াতাড়ি দৌড়ে গিয়ে রশ্নিকে তুললো।
ইয়াশ: কি যে করো না। এলিয়েনদেরও হার মানাবে।
রশ্নি: প্লিজ ভাইয়া আমাকে মেরো না এমনিই অনেক ব্যাথা পেয়েছি সো তোমার শোধ তুলা তো এমনিতেই হয়ে গিয়েছে বলো।
ইয়াশ রশ্নিকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় বসালো।
আর নিজেও ওর সামনে বসলো।
ইয়াশ: ফার্স্ট অফ অল এই ভাইয়া ডাকা টা বন্ধ করো প্লিজ।
রশ্নি: কেন কেন বিয়ে হয়ে গিয়েছে বলে কি হয়েছে?
আপনি তো এখনো আমার ফুপাতো ভাই তাই না
তাহলে ভাইয়া ডাকবো না কেন?
ইয়াশ: দাঁত মেবি বেশি হয়ে গিয়েছে তোমার তাই না?
রশ্নি: সরি🙁
হঠাৎ ইয়াশ রশ্নির গুলো নিজের হাতের মাঝে পুরে নিলো।
ইয়াশ: আচ্ছা আমি কি এতটাই খারাপ? আমাকে একটু ভালোবাসা যায় না?
রশ্নি: 😳
ইয়াশ: জানো তুমি আমি সেই ছোট বেলা থেকে তোমাকে বউ ডেকে আসছি। সবাইকে বলতাম আমি এই বাবুটাকে বিয়ে করবো।
রশ্নি: সালায় পিচ্চি কাল থেকাই পাকনা (বিড়বিড় করে)
ইয়াশ: কিন্তু সবাই বলতো তোমাকে নাকি কাব্যর সাথে বিয়ে দিয়ে দিবে। তখন থেকেই তোমাকে নিয়ে পসিসিভ হয়ে উঠি। কাব্যকে তোমার সাথে খেলতে আসলে ওকে মারতাম।
ইয়াশের কথা শুনে রশ্নি সাংঘাতিক লেভেলের শক খেলো।
ইয়াশের হাত ছাড়িয়ে বিছানার উপরেই দাঁড়িয়ে গেল।
রশ্নি: এতদিনে আসল কথা বের হলো। মানে আপনার ছোট কালের সেই পাগলামির ঠেলায় আপনি আমার সাথে ওমনটা করেছিলেন। ডাইনসরএর জেঠা😤😤
ইয়াশ রশ্নিকে টেনে আবার বসিয়ে দিল।
ইয়াশ: এখানে আমার কোনো দোষ নেই। আমি ভেবেছিলাম তোমরা…..
রশ্নি আবার দাঁড়িয়ে গেল।
রশ্নি: আপনি ভেবেছিলেন যে আমরা কিস করছিলাম আর তাই বলে একটা ব্লেড দিয়ে আমার কালা বিকাল..
কলা বিকা..কালা বিলাই..ক…..
ইয়াশ: ক্লাভিকাল!
রশ্নি: হ ঐটাই…কলা..কালা..আমি কলার বোন বলবো😤
তো এমন একটা লেইম কারনে আপনি আমার কলার বোনের নীচে নিজের অটোগ্রাফ ছেপে দিলেন🤬🤬
আমি আপনাকে ছাড়বো না…
বলে ইয়াশের হামলা করে দিলো। মানে ওর ইয়াশের উপর উঠে ওর গলা চেপে ধরলো।
রশ্নি: আজ আমি আমার নিরীহ চামড়াটার বদলা নিব।
ইয়াশ অনেক কষ্টে রশ্নিকে ছাড়ালো। আর রশ্নির চিকন চিকন আঙ্গুল ওয়ালা হাত অতটা ইফেক্টও ফেলেনি ইয়াশের গলার উপর😂
ইয়াশ রশ্নিকে কোন রকম করে সরালো।
ইয়াশ: বাসর রাতে কোন বউ নিজের স্বামীকে এভাবে মার্ডার করতে চায়।
আর আমি মরে গেলে তুমিই বিধবা হয়ে যেতে।
রশ্নি: হোয়াট দা বিগ ডিল?
আরেকটা বিয়ে করে…
ইয়াশ রশ্নির গাল চেপে ধরলো।
ইয়াশ: সব কিছু সহ্য করবো কিন্তু মুখে অন্য কারো নামও যেন না আসে।
রশ্নি একটু ভয় পেলো
ইয়াশ আবার বলা শুরু করলো।
ইয়াশ: কিন্তু পরে আমি আমার ভুল টা বুঝতে পেরেছি দেখো….
ইয়াশ পরনের শেরওয়ানি টা একটানে খুলে ফেললো।
রশ্নি: উমা😨…..নাআআআআ আপনি আমার সাথে এটা করতে পারেন না😭😭
ইয়াশ: শাট আপ…
রশ্নি: লজ্জা করে না এভাবে একটা ভদ্র মেয়ের সামনে শার্টলেস হয়ে ঘুরতে। (হাত দিয়ে চোখ ঢেকে)
ইয়াশ টেনে রশ্নির চোখ থেকে হাত সরাল।
রশ্নি: 😖
ইয়াশ– সুইটহার্ট…
ইয়াশের সফ্ট ভয়েস শুনে রশ্নি একটু একটু করে সামনে তাকালো।
আর আবারো একটা বড়সড় ঝটকা লাগলো।
কারন ইয়াশের বুকে খুব গাঢ় করে রশ্নির নাম লিখা।
বুঝা যাচ্ছে এটা করতে ইয়াশের খুবই কষ্ট হয়েছে।
রশ্নির চোখে পানি চলে আসলো।
রশ্নি হালকা করে ইয়াশের বুকে হাতে রাখলো।
রশ্নি: আপনি আমার জন্য………এ্যা এ্যা এ্যা..😭
ইয়াশ তাড়াতাড়ি রশ্নিকে বুকের মাঝে জড়িয়ে নিলো।
ইয়াশ: আরেহ এই সামান্য ব্যাপারে কেউ কাঁদে?
তোমার জন্য আমি সব করতে পারি আর আমি তোমার তোমাকে যেই কষ্টটা দিয়েছিলাম সেটার সামনে এটা কিছুই না।
রশ্নি: কিন্তু ওটা অতটাও গাঢ় ছিল না। আর আপনার বুকে তো যেন খোদাই করে লিখা হয়েছে। আপনি নিশ্চই খুব ব্যাথা পেয়েছেন?
রশ্নিড কথা শুনে ইয়াশএর মাথায় শয়তানি বুদ্ধি ভর করলো😈
ইয়াশ: হুম…তাহলে তার বদলে কিছু দিয়ে পুষিয়ে দাও।
রশ্নি: আর কোনোখানে নাম লিখতে পারবে না পিলিগ😵
ইয়াশ: নাম লিখতে হবে না এদিকে তাকাও।
ইয়াশ রশ্নির মুখটা উঁচু করে ওর ঠোট জোড়া দখল করে নিলো।
রশ্নির আজ কেন যেনো কোনো বাধা দিতে মন চাইছে না। ইয়াশের ছোয়া আজ ওকে এক অন্যরকম অনুভূতি মিশে আছে কারন এই স্পর্শে যে মিশে আছে ইয়াশের ভালোবাসা আর সেটা আজ রশ্নি অনুভব করতে পারছে।
কিন্তু হঠাৎ রশ্নির কি হলো কে জানে
ইয়াশকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিল।
তারপর উঠে দৌড়ে বাথরুমে চলে গেল।
(পিরিয়ড ফ্যাক্ট 🙆🏻♀️)
ইয়াশ: 🤦
.
.
.
★’.!.°.!.°.!.`◆পরেরদিন সকালে◆’.!.°.!.°.!.`★
ইয়াশের ঝারি শুনে রশ্নির ঘুম ভেঙে গেল।
তবে ইয়াশ কি বলছে তা কিছুই শুনতে পাচ্ছে না
কারন ও এখনো ঘুমের মধ্যে আছে।
শুধু আধো আধো চোখ খুলে ঝাপসা ইয়াশের ঠোঁট গুলো দেখতে পেলো
কারন ইয়াশের ঠোঁট গুলো এতই লাল যার কারনে সেগুলো ইয়াশের মুখে হাইলাইট হিসেবে ধরা যায়।
রশ্নির ঝাপসা চোখে সেগুলোকে স্ট্রবেরি মনে হচ্ছে।
রশ্নি: কি ব্যাপার স্ট্রবেরি শেখ শেখ মুজিবুর আঙ্কেলের ভাষণ দিচ্ছে কেন।
হোয়াটএভার, নাও আই এ্যাম হাংরি সো কাম
লেট মি ইট ইউ🤤
রশ্নি ইয়াশের মুখ টা ধরে জাস্ট স্ট্রবেরিগুলো কামড়ে দিলো😣
ইয়াশ– WHAT THE HELLllllllllllllllllll….!!!!!!
রশ্নি: এ্যাএএএএ আআ….
ইয়াশ: ইউউউউউউউ…..
রশ্নি: VWXYZ😨😨
ইয়াশ: শাট আপ!
রশ্নির এবার আস্তে আস্তে সব মনে পড়লো।
রশ্নি: সরি ভাইয়া🙁
ইয়াশ: উফ আবার…
এই ১৫ মিনিটের মধ্যে রেডি হয়ে নীচে আসো
নাহলে আজ তোমার কপালে সাংঘাতিক দুঃখ আছে।
রশ্নি: কেন?
ইয়াশ: কেন মানে? কয়টা বাজে কোনো খবর আছে?
রশ্নি: আমি নিচে গিয়ে কি করবো ঘড়ি দেখলেই তো হয়!
ইয়াশ: তাহলে ভার্সিটি কি যাবে?
রশ্নি: না না আমি আর ভার্সিটিতে যাবো না।
ইয়াশ: যাবে না মানে?
রশ্নি: যাবো না মানে যাবো না।
ইয়াশ: তা কেন যাবেন না জানতে পারি? (দাঁতে দাঁত চেপে)
রশ্নি কি বাহানা দিবে বুঝতে পারছে না
কারন ঘুম আসছে বললে পাক্কা আবার মার খাবে।
রশ্নি: ইয়ে মানে…মেয়েদের এত পড়ালেখা করে কি হবে😅
বিয়ের পর কেউ পড়ালেখা করে নাকি😅
আর বিয়ের পরের দিন থেকেই ভার্সিটি? লাইক সিরিয়াসলি? Ugh no way
আমি এখন সংসার করবো। সংসারই মেয়েদের জীবন।and you know what I am too much “সংসারী” from deep inside🤩
.
আধা ঘন্টা পর—-★
রশ্নি: ভাইয়া পায় ব্যাথা হচ্ছে এবার তো ছেড়ে দাও।
ইয়াশ কিছু বলছে না শুধু চোয়াল শক্ত করে রশ্নির দিকে তাকিয়ে আছে
ইয়াশ এর মাথায় এখন ঠান্ডা পানি রেখে দিলেও মেবি ফুটন্ত গরম পানি হয়ে যেত।
রশ্নি: গালটাও জ্বলছে🙁
(তো রশ্নি ওই আইকনিক লাইন গুলো বলার পর থেকে এভাবেই কান ধরে এক পায়ের উপর দাঁড়িয়ে আছে
আর গালে থাপ্পড়ও পড়েছে)
রশ্নি: আআআআআআ…..আম্মু বাঁচাও।
রশ্নি ঠুস করে পড়ে গেলো কিন্তু আজ ইয়াশ ওকে তুলেনি।
রশ্নি: এ্যা এ্যা এ্যা…😭😭
ইয়াশ: তা তোমার মতো কোনো মূর্খ মেয়েকে যে নিলাদ্রিশ আহমেদ চৌধুরী ইয়াশ নিজের বউ করে যত্ন সহকারে শো কেসে তুলে রাখবে না তা নিশ্চই তুমি জানো রাইট?
রশ্নি: ভুল হয়ে গেছে সরি😭
ইয়াশ: হ্যা সেটাতো তোমার সারাদিনের কাজ।
আজকে তোমার জন্য ভার্সিটি যাওয়া হলো না।
সেটার শাস্তি তুমি পাবে।
বলে ইয়াশ রুম থেকে বেরিয়ে গেল।
রশ্নি: কাল রাত পর্যন্তও তো ঠিক ছিলো আজকে আবার জিনে কাতুকুতু দেওয়া শুরু করছে।😨
কোন জামাই নিজের বউকে এভাবে বিয়ের পরের দিনই কানে ধরায় তাও আবার এক পায়ের উপর😭😤
তবে আমি ভার্সিটি যাওয়া থেকে তো বাঁচলাম
এখন ঘুমামু😎
— ব্রেকফাস্ট করতে তাড়াতাড়ি নীচে এসো!
রশ্নি: 🙄😑
.
.
বিকালে রশ্নিদের বাসায়—★
রশ্নি আর নিলাসা বেগম দোলনায় বসে কথা বলছেন।
রশ্নি নিলাসা বেগমের কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে।
ওদিকে রেহেনা বেগম আবার ইয়াশকে খাইয়ে দিচ্ছেন।
রশ্নি শুনিয়ে শুনিয়ে
বললো– শুনো মিষ্টি আমি আগের থেকেই একটা কথা বলে রাখি!
পরের জনম বলতে যদি কিছু হয় তাহলে কিন্তু আমি তোমাকে আগের থেকেই আমার মা হিসেবে বুক করে রাখলাম। হুহ😒
ইয়াশ: হিংসা ওভারলোড হলে যা হয় আরকি।
রশ্নি: মিষ্টি তোমার ছেলেকে কিছু বলে দাও
আমাকে হিংসুটে বলছে।
নিলাসা: আহা ইয়াশ আমার মেয়েটার সাথে এমন করিস না তো।
.
টিং টং টিং টং..☠️ (ডোর বেল)
রেহেনা বেগম গিয়ে গেইটটা খুলে দিলো।
আর সামনে থাকা মানুষগুলোকে দেখে মাথায় যেন মহা বিশ্ব ভেঙে পড়লো!
রেহেনা বেগম আসছেন না দেখে রশ্নিও উঠে গেল।
আর ও নিজেও শক খেলো।
.
#Your_psycho
#A_Devils_Love
#Part_24
#Written_by_Aruhi_khan (ছদ্মনাম)
.
.
.
গেটের বাহিরে একজন বয়স্ক মহিলা দাঁড়িয়ে আছেন।
আর তার সাথে একটা অল্প বয়সী মেয়েও আছে।
মহিলার গেটআপ দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেশ স্মার্ট।
কিন্তু তাকে দেখে সবাই শক।
রশ্নি: আম্মু এই রাক্ষসী বুড়ি আবার আসছে কেন? (ফিসফিস করে)
রেহেনা: শাট আপ!
রেহেনা গিয়ে ভদ্র মহিলাকে সালাম করলো।
রেহেনা: মা আপনি? সত্যি এখনো দেখে বিশ্বাস হচ্ছে না।
কেমন আছেন মা?
— নিশ্চই ভালো আছি বলেই আমাকে এখানে দেখতে পাচ্ছ?
রেহেনা: জি..
ভদ্র মহিলা হেসে দিলেন।
— জাস্ট কিডিং! এতদিন পর দেখা হলো
শাশুড়ি বউ মার মাঝে এইটুকু খুনসুটি না হলে চলে?
(তো এতক্ষনে আপনারা নিশ্চই এদের কথা শুনে বুঝে গিয়েছেন যে এরা শাশুড়ি বৌমা মানে রশ্নির দাদি
তাই আর বাড়তি প্যারাগ্রাফ লিখলাম না
বিকজ, আমার আইলসামি লাগে:3)
রেহেনা: মা আপনি এসব…
আর দেশে কবে ফিরেছেন?
— কালই ফিরেছি…. এখন কি আমরা এখানেই দাঁড়িয়ে থাকব?
রেহেনা তাড়াতাড়ি সরে গিয়ে তাকে ভিতরে আস্তে দিলেন। আর তার সাথের মেয়েটা(মৌরি) তার লাগেজ নিয়ে ভিতরে আসলো।
নিলাসা তাড়াতাড়ি উঠে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরলেন।
ইয়াশও আর শাহানা বেগম এসেও তাকে সালাম করলো।
নিলাসা: মা তুমি? এতগুলো দিন কোথায় ছিলে? আর আজ হঠাৎ?…..
— বাহ রে যাহিরা জুলফিকার খানের সব থেকে ছোট নাতনির বিয়ে হলো আর সে আসবে না তা কখনো হতে পারে?
(আর হ হেতির নাম যাহিরা জুলফিকার খান😪
আর হ্যা it’s “zahira” not jahira!😑)
রেহেনা গিয়ে রাশিদকে নিয়ে আসলেন।
রাশিদ এখনো শকে আছে তার মাকে দেখে।
(কারন রাশিদ তার মাকে শেষ বার দেখেছিলেন প্রায় ২১-২২ বছর আগে
রাশিদ কাউকে না জানিয়ে রেহেনাকে বিয়ে করে নিয়ে চলে আসেন। আর সে বিয়ে যাহিরা মানতে নারাজ ছিলেন। তাকে হাজার বোঝানোর পরও সে বুঝেনি।
আর উনি ভীষন জেদি স্বভাবের মহিলা ছিলেন।
উনি বলেছিলেন রেহেনাকে মানবেন না
আর সে কথাতেই অটল থেকে তিনি দেশ ছাড়েন)
রাশিদ তো তাকে ধরে কেঁদেই দিলো।
.
আফটার অনেক গুলা মেলোড্রামা—■◆●
যাহিরা: কিন্তু রাশিদ তোর মেয়ের দেখা তো পেলাম না।
রেহেনা তো বললো ও বাড়িতেই আছে।
রশ্নি: নাতনিরেই চিনে না আর আয়া পড়ছে মুখ উঠায় বিয়া খাইতে ননসেন্স বেডি😑(মনে মনে)
রাশিদ: ওহ আপনাকে তো রশ্নির সাথেই পরিচয় করানো হলো না।
রাশিদ গিয়ে রশ্নিকে নিয়ে আসলো।
রাশিদ: এটা আমার মেয়ে আর আপনার নাতনি
রশ্নি এনায়াত খান।
নিলাসা: রশ্নি এনায়েত চৌধুরী খান।
নিলাসার কথা শুনে যাহিরা ভ্রু কুচকালো।
নিলাসা: ও এখন চৌধুরী বাড়ির বউ! মা।
মানে ওর বিয়ে আমার ইয়াশের সাথেই হয়েছে।
যাহিরা যেন বেশ অবাক হলেন। আর কেমন অদ্ভুত দৃষ্টিতে শাহানা আর শুভার দিকে তাকালেন।
তার এমন চাহনি দেখে ওরা মাথা নিচু করে নিলো।
যাহিরা এবার রশ্নির দিকে এগিয়ে গেলেন।
যাহিরা: হুম! চোখের তীক্ষ্ণতা আর এ্যাটিটিউডই পরিচয় দিয়ে দেয় যে ও খান বাড়ির মেয়ে।
রশ্নি: ফার্স্ট টাইম কেউ তারিফ করলো:’)
(মনে মনে)
আরো কিছু কথা হওয়ার পর রশ্নি নিজের রুমে চলে গেল। তার মহিলাকে মোটেও ভালো লাগছে না। কেন যেন হিন্দি সিরিয়াল ভ্যাম্পদের মতো ঢং করছে।
রশ্নি চারজিং থেকে ফোন টা খুলে হাতে নিলো।
রশ্নি: উমা এমন হ্যাং করতেছে কিনু😨
প্রায় আরো অনেক্ষন পর গিয়ে ফোনটা থামলো।
রশ্নি এফবি তে ঢুকার সাথে সাথে চোখ যেন চরাগ গাছে পৌঁছে গেল।
99+ নোটিফিকেশন আর ম্যাসেজ শো করছে।
রশ্নি ম্যাসেঞ্জারে ঢুকে দেখলো
অনেকেই ম্যাসেজ দিয়েছে কিন্তু বেশিরভাগ ম্যাসেজ ছেলেদের।
রশ্নি একটা একটা করে সবগুলো চেক করতে লাগলো।
সবারই এক কথা
“বিয়ে করে ফেললে আর আমাদের জানালেও না”
আর অনেকে তো whatsapp থেকে কপি মারা স্যাড শায়রিও সেন্ড করা শুরু করে দিয়েছে।
রশ্নি: এরা জানলো কেমনে আমার বিয়ের কথা😨
রশ্নি এবার ফেইসবুকে ঢুকলো।
এবার অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা।
রশ্নি: WHAT THE HELLLLLLLLLLLL
ওর রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস ম্যারিড দেওয়া।
রশ্নি সাইড প্রোফাইলের নাম আর প্রোফাইল পিক দেখে বুঝলো এটা ইয়াশের আইডি।
রশ্নি: উমা! বুকে কেমন চিনচিন ব্যাথা করে😵
রশ্নির এখন কান্না পাচ্ছে😭
রশ্নি ইয়াশের ছবিটা সামনে ধরলো।
— দেখিস একদিন আমি তোরে মাইরালামু😤
তোর বিয়ে করার বহুত শখ না? দারা এবার রশ্নি তোর শখ মিটাইবো😤
.
সন্ধ্যায় রশ্নি আর রেহেনা একসাথে রিসিপশন পার্টির জন্য রেডি হচ্ছে।
রশ্নি: আচ্ছা আম্মু এই ওল্ড মিসেস খান না তোমায় আগে পছন্দ করতে পারতো না? আর উনি তো নাকি তোমার জন্যই দেশ ছেড়েছিলেন তাহলে এখন এত ভালোবাসা দেখাচ্ছেন কেন?
রেহেনা: হয়তো মেনে নিয়েছেন।
রশ্নি: আর তুমিই বা উনার সাথে এত ভালো ব্যাবহার করছো কেন? তোমাকে না উনি কত অপমান আর বাজে কথা বলতো?
রেহেনা: উনি আমার মনে যে আঘাত গুলো দিয়েছেন তা আমি কখনোই ভুলব না।
রশ্নি: 🙁
huh তবে যতদিন আছে ততদিন না হয় একটু আদর্শ বৌমার রোল প্লে করলাম তাতে কি?
রশ্নি: দ্যাটস লাইক মাই স্যাভেজ মম।
দুজনই হেসে দিলো
তারপর একসাথে হাই ফাইভ করলো।
রেহেনা: চলো তাহলে এখন যাওয়া যাক।
রশ্নি: হুম।
.
ইয়াশ এতক্ষনে প্রায় অস্থির হয়ে পড়েছিল রশ্নিকে দেখার জন্য।
ফাইনালি এবার রশ্নির দেখা পেলো।
ইয়াশ পুরো হা করে তাকিয়ে আছে।
ব্ল্যাক গাউনে একদম হাওয়াই মিঠাই…
না মানে বাটারফ্লাই..রশ মালাই🙄
(ওকে এবার লাস্ট ওয়ালা:])
মাম্মা পুরাই ঝাকানাকা গর্জিয়াস কালা বিলাই লাগতাছে😍
.
.
(ওকে সরি! আমি সাহিত্যিকদের মতো ডিস্ক্রাইব করতে পারবো না🙂)
কেউ একজন এসে ইয়াশের মুখটা বন্ধ করে দিলো।
— নিজের বউকে কেউ এভাবে হা করে দেখে?
ইয়াশ পাশে ফিরে দেখলো
সেহের এসেছে। এতদিন পর বন্ধুকে দেখে
জড়িয়ে ধরলো।
ইয়াশ: তুই এতদিন কোথায় ছিলি? কোনো খোঁজ খবর নেই একদম উধাও!
সেহের: একটা কাজে ব্যাস্ত ছিলাম।
রশ্নিকে এনে ইয়াশের পাশে বসানো হলো।
শুভ: আরেহ বোইনা তোরে তো চিনাই যাইতাছে না!
রশ্নি: Aab meri itni bhi tareef maat kato😄
(Shinchan fact😁)
আচ্ছা লেখিকা আফা তো পারলো না তুইই বল আমাকে কেমন লাগছে😍
শুভ: কেমন লাগছে জানি না তবে যখন তোরে নামতে দেখছি তখন তোর ভাব দেইখা মাথায় শুধু একটা গান আসছে…..
রশ্নি: I’m a bitch, I’m a boss
I’m a bitch and a boss
I’ma shine like gloss
এই গানটা রাইট?😎
শুভ: না এইটা👇
Tum husn pari tum Jane jaha, tum sabse hasi tu sabse jawan, saundarya sabun nirma, saundarya sabun nirma😁🤣
রশ্নি: তোর কপালে জুতার বারি হারামজাদা🙂
শুভ কোনো রকম পালিয়ে বাঁচে।
ইয়াশ এবার ইট্টু লুমান্টিক কথা বলবো কি না
ফটো শুট শুরু।
এমনে বেকাইয়া অমনে বেকাইয়া
আল্লাহ কতগুলো পোজে যে তুললো😵
ফটো গ্রাফার: এবার ভাইয়ার সাথে😀
ইয়াশকেও জোর করে রশ্নির সাথে হাজার খানেকটা ছবি তুলানো হলো।
ইয়াশ: ফাইনালি একটু বসতে পারলাম!
রশ্নি: এবার বসে ছবি তুলব😀
ইয়াশ: এ্যা?😨
ফটোগ্রাফার: এই তো জামাই হ্যা বলছে।
আবার ফটোগ্রাফি শুরু।
ইয়াশ: বিরক্তিকর!
রশ্নি: সালা বুঝ এবার বিয়া করার মজা!
বিয়া করার শখ ছুটবনে!
ইয়াশ: কিছু বললে?
রশ্নি: নোপ!😐
কিছুক্ষন বাদেই সেখানে রশ্নির গ্যাং এসে হাজির হলো।
তারপর শুরু হলো ওদের সাথে ছবি তোলা।
ইয়াশ: Oh my goodnessssss😵😵
.
সুপ্তি কার সাথে যেন কথা বলে সবার দিকে হ্যাপি লুক নিয়ে তাকালো।
সুপ্তি: বেবি আজকে তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে!
রশ্নি: যেহেতু তোরা কিছু দিতাছস তাহলে সেটাকে সারপ্রাইজ না বাঁশ বলে বাঁশ🙂
সুপ্তি: যাহ ছেড়ি।
রাতুল সুপ্তির কানে ফিসফিস করে কিছু বলে।
রশ্নি: ওই তুই কি বললি ওর কানে?
সুপ্তি: ওকে ওকে গাইজ এখন রশ্নিকে আমরা সারপ্রাইজ দিতে চলেছি।
রশ্নি সামনে দেখ কে আসতেছে।
রশ্নি সামনে তাকিয়ে খুশি হয়ে যায়।
কারন সানা আসছে।
সেহের ওকে দেখে দাঁড়িয়ে যায়।
সানা এসে রশ্নিকে জড়িয়ে ধরে।
রশ্নি: যাক ফাইনালি তোর নানুর বাড়ি বেড়ানো শেষ হলো।
সানা এতক্ষনে সেহেরকে লক্ষ করলো।
সানার কেন যেন সেহেরকে দেখে একটু ভয় ব্যয় হচ্ছে।
আর সেহের ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে ওর দিকে।
সেহের: নানু বাড়ি?
রশ্নি: আর বলো না ভাইয়া
সেই যে ও নানু বাড়ি গিয়েছিল সেদিনের পর আজকে ওর দেখা পেলাম।
সেহের: ওহ তাই নাকি (তাচ্ছিল্যের সুরে)
সানা: আমি একটু ওয়াশরুম থেকে আসছি।
বলে সানা সেখান থেকে চলে গেল।
সেহের: আমারো একটা ইম্পরট্যান্ট কল করার আছে সো আমিও আসছি। বলে সেহেরও চলে গেল।
দিপু: দুইজন এক সাথে গায়েব?
সুপ্তি: আরেহ মাম্মা বুঝ না এতদিন পর রোমিও জুলিয়েটএর দেখা হইলো তো…..
–সামথিং সামথিং😄
বলে সুপ্তি আর দিপু একসাথে হাই ফাইভ করলো।
সেহের গিয়ে সানাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো।
সানা: আপনি আবার চলে এসেছেন?
সেহের: কোথাও গিয়েছিলাম নাকি?
সানা: কথা প্যাচাবেন না।
সেহের: কেন তোমার তো জিলাপি পছন্দ ছিল!
সানা: আপনার লজ্জা বলতে কিছু নেই তাই না?
এত অপমান করার পর আবারও…
সেহের: এত অপমান করার পরও আবার মুখ তুলে তোমার কাছেই চলে আসি তাই তো?
সানা মুখ ঘুরিয়ে নিলো।
সেহের: যে ভালোবাসে, সে একটু অপমান করলেও মানিয়ে নিতে হয়।
সানা: আমি আপনাকে ভালোবাসি না!
সেহের: ইশ বললেই হলো! প্রমান দাও।
সানা: কিসের প্রমাম?
সেহের: এই যা ভালোবাসো না সেটার!
সানা: সেহের কিসব পাগলামো শুরু করেছেন?
সেহের কিঞ্চিত হাসলো।
সেহের: শুনেছি মানুষ প্রেমে নাকি কবি হয়ে যায়।
সে যাই হোক, আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলো
“ভালোবাসো না” তাহলে আর কোনোদিন বিরক্ত করবো না।
সানা: সেহের আমার ভালো লাগছে না
ছাড়ুন আমায়।
সেহের আরো শক্ত করে চেপে ধরলো।
সেহের: শুধু একবার আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে দাও! প্লিজ।
সানা কিছু বলছে না।
সেহের: সানা লুক এ্যাট মি (উচ্চ স্বরে)
সানা সেহেরের দিকে তাকালো। ওর চোখে পানি ছলছল করছে।
সেহের: বলো!
সানা: আমি!
সানা আর বলতে পারল না এর আগেই চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ল।
সানা আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারল না।
সেহেরকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলো।
.
.
.
To be continued…🥱