#Your_psychoPart_25+26
#A_Devils_Love
#Written_by_Aruhi_khan (ছদ্মনাম)
.
.
.
সানা হঠাৎ সেহেরকে ধাক্কা দিয়ে নিজের থেকে সরিয়ে নিল। সেহের অবাক হতে তাকিয়ে আছে।
কিন্তু সানা তা উপেক্ষা করে সেখান থেকে বেরিয়ে গেল।
এদিকে রশ্নি ইয়াশকে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না।
কখনো চিমটি কাটছে তো কখনো আবার কাতুকুতু দিচ্ছে। ইয়াশের মেজাজ খারাপ হচ্ছে কিন্তু এত মানুষের ভিড়ে কিছু বলতেও পারছে না।
ইয়াশ: একবার শুধু তোমায় একা পাই। তখন বুঝাবো মজা।
.
কিছুক্ষন পর সবাই একসাথে খেতে বসলো।
সেহের সবার সাথে একসাথে খেতে বসেছে।
আর সবার সাথে কথা বলছে। সেই সুযোগে সানা আস্তে আস্তে করে সেখান সরে আসলো।
এখানেই আসতে পেরেছে অনেক কষ্টে মা বাবাকে মানানোর পর।
আর সেহেরের সাথে আবার দেখে ফেললে তো একদম মেরেই ফেলবে।
.
কিছু দূর যাওয়ার পর মনে হলো কে যেন সানার পিছু নিচ্ছে।
আর এই জায়গাটায় খুব সুনসান
কোনো রিকশা গাড়ি নেই
তাই মেইন রোড পর্যন্ত হেটেই যেতে হবে।
সানা এবার কারো পায়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছে।
খুব ভয় হচ্ছে এখন।
হাঁটার গতি ধীরে ধীরে বাড়িয়ে দৌড়াতে শুরু করলো।
দৌড়ে একটা চিকন গলির মাঝে গেল।
সেখান থেকে উকি দিয়ে বাহিরে দেখার চেষ্টা করলো।
কিন্তু কাউকে দেখতে পেলো না।
এবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে অন্য দিকে ঘোড়ার পর
হঠাৎ কিছুর সাথে বাড়ি খেলো।
সানা: আআআ……
সানা মুখ তুলে দেখে এটা সেহের
ঠোঁটের কোণে অদ্ভুত হাসি
তবে চোখ দুটো রক্তবর্ণ ধারণ করা।
সানা: সে-সেহের আপনি এখানে?
সেহের: আমার কাছ থেকে পালানোটা এতোটাও সহজ না জান।(বাঁকা হেসে)
সানা: পা পালাবো কেন? লেট হচ্ছিল তাই….
সেহের সানার দুই হাতের কব্জি শক্ত করে মুষ্টি বদ্ধ করে নিলো।
সেহের: তাই তুমি চোরের মতো কাওকে না জানিয়ে চলে যাচ্ছিলে।
সানা: কি যা তা বলছেন। আর ছাড়ুন আমায়।
সেহের: তা তো আর হচ্ছে না।
সানা: আপনি একটা মেয়ের সাথে রাস্তার মাঝে অসভ্যতামি করছেন।
সেহের: শাট আপ!
এন্ড হোয়াটস রং উইথ ইউ? এমব করছো কেন?
সানা: আমার জাস্ট আপনাকে বিরক্তিকর লাগছে।
সেহের: মানে কি এসবের? একটু আগেও তুমি শিকার করেছ যে তুমি আমায় ভালো…
সানা: আই জাস্ট হেট দিস শিটি ওয়ার্ড!
আর আমি কখন বলেছি যে আপনাকে ভালোবাসা?
সেহের: তাহলে তখন জড়িয়ে ধরেছিলে কেন?
সানা: তো?
শুনুন এটা নিয়ে অতো ভাবার কিছু নেই।
আর আপনি প্রথম কেউ না যাকে আমি জড়িয়ে ধরেছি। (কারন সানা নিজেকে সেহেরের সামনে খারাপ প্রুভ করতে চায় যেন সেহের ওকে ভুলে যায়)
সেহের রাগের মাথায় সানাকে থাপ্পড় মেরে বসলো।
সানা ভাবছে ওর প্ল্যান বোধহয় কাজ করেছে।
কিন্তু সেহের ওকে অবাক করে দিয়ে
সানাকে আবার টেনে নিয়ে গাড়িতে বসালো।
.
সানা: কোথায় যাচ্ছি আমরা?
………
সানা: আপনি আমার কথার উত্তর দিচ্ছেন না কেন?
কোথায় যাচ্ছি আমরা?
সেহের কিছু না বলে
নিজের মতো ড্রাইভ করেই চলেছে।
সানা চিৎকার করে কান ফাটিয়ে দিচ্ছে সেহেরের
কিন্তু কোন লাভ হচ্ছে না।
আধা ঘন্টা পর সেহের গাড়িতে ব্রেক লাগায়।
সানা: আপানি কি আমার কথা শুনতে পাচ্ছেন না?
সেহের নিজে গাড়ি থেকে বেরিয়ে
তারপর সানাকে বের করলো।
সানা সামনে তাকিয়ে দেখে এটা একটা কাজী অফিস।
সানা: 😱😱😱
সেহের সানাকে টানতে টানতে ভিতরে নিয়ে গেল।
সানা: আমার ওকে রাগান উচিত হয় নি (মনে মনে)
সেহের সানাকে একটা চেয়ারের মধ্যে বসিয়ে দিলো।
আর অপর একটা চেয়ারে লাথি দিয়ে সেটাকে সামনে এনে
নিজেও বসে পড়লো।
হঠাৎ এমন কিছু ঘটায় সেখানের সবাই অবাক।
টেবিলের অপর পাশের চেয়ারে বসা লোকটা
(কাজী সাহেব)
চিকন ফ্রেমের চশমার মাঝে আঙ্গুল দিয়ে সেটাকে ভিতরে ঠেলে দিয়ে
সানা আর সেহেরের দিকে তাকালেন।
কাজী: কে তোমরা? আর এই টাইমে এসেছ।
সেহের: এখানে আপনার বার্থডে সেলিব্রেট করতে তো নিশ্চই আসিনি!
বলে সেহের টেবিলএর মধ্যে দুই হাত দিয়ে জোরে বাড়ি মারলো।
কাজী সাহেব: 😨😨
সেহের: দুইজন তরুণ ছেলে মেয়ে কাজী অফিসে কেন এসেছে এটাও কোনো ধরনের প্রশ্ন হতে পারে?
কাজী: জ-জ-জি…
সেহের: বিয়ে পড়ানো শুরু করুন।
.
কাজী সাহেব সানাকে কবুল বলতে বললো!
সানা: আমি মইরা গেলেও এই বেডারে নিজের জামাই হিসেবে বকুল থুক্কু কবুল করমু না😠😡
কাজী: মেয়ে তো রাজি না। আপনি উনাকে জোর করে বিয়ে করছেন?
হে আল্লাহ তুমি আমাকে এই দিনটাও দেখালে।
ছি ছি তওবা তওবা আজকালকার পোলাপান….
সেহের টেবিলের মধ্যে জোরে একটা লাথি মারলো।
আর কাজী সাহেব চুপ।
সেহের: কবুল বলবে নাকি বিয়ে ছাড়াই বাসর করতে চাও?
সানা: লা হাউলা ওয়ালা কু-ওয়াতা ইল্লাহ বিল্লাহ।
পোলায় এডি কি কয়।
সেহের: কবুল বলবে না তাই তো?
সানা মুখ ঘুরিয়ে নিলো।
সেহের পকেট থেকে একটা লাইটার বের করলে।
সানা: মরগা আমার কি।
সেহের গিয়ে সানার গালটা চেপে ধরলো।
সেহের: যে জবান দিয়ে সেহেরের জন্য কবুল বের হবে না
সেটাকেই আমি শেষ করে দিব।
সানা: চাচা বাঁচাও।
কাজী: এই তোমরা এগুলা প্লিজ একটু বাহিরে গিয়ে করো।
সানা: চাচা হোয়াট ইজ দিস বিহেভিয়ার?
সেহের সত্যি সত্যিই লাইটারটা জ্বালালো।
সানা: না প্লিজ….
সেহের বাঁকা হাসলো…
.
∆∆∆পরের দিন∆∆∆
সকালে রশনী ইয়াশকে কোল বালিশ বানিয়ে
ওর উপর পা তুলে ঘুমাচ্ছে।
ইয়াশ এর ঘুম অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল।
এখন রশ্নিকে দেখতে ব্যাস্ত।
বিছানার মাঝে ডিস্কো ডান্স করে
সারারাত বেচারাকে ঘুমাতে দেয় নি রশ্নি।
কয়েকটা লাথিও মেরেছিলো।
হঠাৎ খুব জোরে রশ্নির হাত এসে ইয়াশের মুখে পরে।
আর ইয়াশ বেচারা খুব ব্যথা পায়।
ইয়াশ: আউচ্!!
রশ্নি: আহা নিজে ঘুমাবেন না বলে কি অন্যের ঘুম নষ্ট করবেন নাকি!
আমাকে ঘুমাতে দিন আর নিজেও চুপচাপ ঘুমান।
ইয়াশ: ইউউউউউ…..
রশ্নি: VWXYZ …😪
ইয়াশ: ঘুমের ঘোরেও এর বাঁদরামি কমে না।
রশ্নি ইয়াশকে আরো টাইটলি জড়িয়ে ধরলো।
ইয়াশ রশ্নির মুখের সামনে এসে পড়ে থাকা চুল গুলো সারিয়ে দিলো।
ইয়াশ: তবে যাই হোক বউ টা আমার একদমই কিউট বাচ্চা☺️
হঠাৎ রশ্নি ইয়াশের মাজায় লাথি দিয়ে ওকে খাট থেকে ফেলে দিলো। আর ইয়াশের রোম্যান্টিকতার ওখানেই দি এন্ড।
.
বিকালে—-★
রশ্নি হাতে ক্যামেরা নিয়ে একটা তেলাপোকার সামনে বসে আছে।
(এটা রশ্নির পেট আর ওর নাম পিকো চ্যান
আর আজকাল রশ্নি পিকো চ্যানকে প্রফেশনাল তেলাপোকাদের মতো উড়ার ট্রেনিং দিচ্ছে)
রশ্নি: শুনো পিকোচ্যান আজ তোমার শেষ সুযোগ
আজ যদি সুন্দর করে না উড়তে পারো তাহলে তোমাকে আর এনিকোর(পিকোচ্যান এর ক্রাশ)
সাথে মিশতে দিব না।
তো তুমি এখন সুন্দর করে উড়ে উড়ে একটা পোজ দিবা আর আমি তা ক্যামেরা বন্ধি করে নিব
চলো তাহলে শুরু করা যাক।
3…..2…..1……
রশ্নি টেবিলে হালকা বাড়ি দিলো আর পিকোচ্যান
ফুরফুর করে উড়তে শুরু করলো।
আর রশ্নি ছবি তুলতে শুরু করলো।
রশ্নি: হুম গুড তুমি আগের থেকে ভালো পারফর্ম করতে শুরু করেছ।☺️
আচ্ছা তাহলে তুমি এবার এনিকোর সাথে ডেট এ যেতে পারো বায়।
বলে রশ্নি উঠে চলে যাচ্ছিল।
আর ইয়াশ উপর থেকে এগুলো সব দেখেছে।
আর ওর অবস্থা এখন মর্মান্তিক।😵
তবে ইয়াশ আগের থেকেই জানে যে ওর সাথে তেলাপোকাদের ভালো সম্পর্ক।
রশ্নি চলে যাচ্ছিল
আর তখনই ইয়াশদের বাড়িতে শুভ ঢুকে।
আর টেবিলের উপর তেলাপোকা দেখতে পায়।
শুভ: বোইনা তুমি যতই লেডি কারাটে চ্যাম্পিয়ন হওনা কেন।
দিন শেষে তো একটা মেয়েই। আর সব মেয়েদেরই তেলাপোকার প্রতি ভয় থেকেই। সো আজ তো তু গায়া
(উইথ ইভিল স্মাইল)
ইয়াশ শুভর হাসি দেখেই বুঝে গেছে ও কি করতে চলেছে।
আগে কি হবে তা ভেবে ইয়াশের ঠোঁটের কোণেও বাঁকা হাসি ফুটে উঠলো।
.
#Your_psycho
#A_Devils_Love
#Part_26
#Written_by_Aruhi_khan (ছদ্মনাম)
.
.
.
শুভ তেলাপোকা টা হাতে নিয়ে
চুপচাপ পিছন থেকে রশ্নির ঘাড়ে রেখে দিল।
তারপির নিজেই চিৎকার করতে শুরু করলো।
শুভ: রশ্নি দেখ তোর ঘাড়ে তেলাপোকা।
এদিকে শুভ যখন রশ্নির ঘাড়ে তেলাপোকা রেখেছিল তখনই রশ্নি বুঝে যায়।
রশ্নি: আ….ম্যা তো ডার গাই😑
শুভ: 😅!!
রশ্নি তেলাপোকাটা নিয়ে শুভর গেঞ্জির ভিতর ছেড়ে দিলো।
রশ্নি: ইনজয়
শুভ: 😱😱😱😨😨😭😭
রশ্নি: 🤣
শুভ ব্রেক ডান্স শুরু করে দিয়েছে।
শুভ: বোইন তোর পায় ধরি প্লিজ এইটা বের করে😭
রশ্নি: হুহ আসছিল রশ্নির সাথে পাঙ্গা নিতে😆
শুভ: আর করুম না।
রশ্নি: কানে ধর!
শুভ: প্লিজ..(কানে ধরে)
রশ্নি ফোনে পিকোচ্যানর ফেভরেট গান প্লে করে দিলো।
রশ্নি: কাম আউট বেবি….
আর পিকোচ্যান ও শুভর গেঞ্জির নিচ থেকে বেরিয়ে আসলো।
রশ্নি: এইত্তো আমার গুড বয়😽
শুভ: 😨
রশ্নি: 😎
ইয়াশ: কবে যে এরা বড় হবে🤦
.
পরের দিন—★★
ইয়াশ কোনো ভাবে রশ্নিকে টেনে বিছানা থেকে তুললো।
রশ্নি: ভাই রে ভাই তোর কি শত্রুতা আমার সাথে? এমব করস কেন😭
ইয়াশ: চুপচাপ গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসো।
রশ্নি: 😪
ইয়াশ আবার রশ্নিকে ঝাকাতে শুরু করলো।
কিন্তু রশ্নি বারবার মরা মানুষের মতো হেলে দুলে পরে যাচ্ছে।
ইয়াশ: একে এর স্টাইলেই উঠাতে হবে!
তাই এবার ইয়াশ রশ্নিকে ভয় দেখানোর জন্য
বললো ঘরে জিন এসেছে।
ইয়াশ: রশ্নি তাড়াতাড়ি উঠো ওই দেখো জিন….
ইয়াশের কথা শুনে রশ্নি এক লাফে উঠে গেল।
রশ্নি: জিন আসছে?😳
ইয়াশ: হ্যা তাড়াতাড়ি উঠো।
রশ্নি ইয়াশকে সরিয়ে বিছানায় দাঁড়িয়ে গেল।
রশ্নি: কোথায় জিন? আমার ভালোবাসার জিন
কই তুমি?
ইয়াশ: 😕
রশ্নি: ওপ্পা জিন তুমি কই….
রশ্নি পুরো ঘর খুঁজছে কিন্তু জিনকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছে না।
ইয়াশ রশ্নিকে ওর সাথে বসিয়ে calm করার চেষ্টা করলো।
ইয়াশ: পাগল হয়ে গিয়েছো? কি বলছো এসব?
রশ্নি: আপনিই তো বললেন জিন এসেছে।
ইয়াশ: হ্যা বাট আমি তো…..
রশ্নি: ওয়েট ওয়েট…আপনি জিন দ্বারা আমার ওয়ার্ল্ড ওয়াইড হ্যান্ডসাম সেওক জিন ওপ্পাকে বুঝান নাই?😨
ইয়াশ: চুপচাপ গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসো… বাদর মেয়ে কোথাকার😤🤬🤬
ইয়াশের চিৎকার শুনে রশ্নি দৌড়ে ওয়াশরুমে ঢুকে যায়।
(কোনো A.R.M.Y. reader থাকলে কমেন্টএ জানাইও😪)
.
রশ্নি ইয়াশকে ব্রেকফাস্ট করতে ডাকার জন্য রুমে এসেছিল। কিন্তু ইয়াশকে রুমে পায় নি বলে আবার চলে যাচ্ছিল
কিন্তু হঠাৎ কিছু একটার সাথে বাড়ি লেগে
রশ্নি আবার বিছানায় পরে যায়।
রশ্নি: আউচ্ এটা কিসের উপর বসলাম।
রশ্নি নিজের যায়গা থেকে সরে দেখলো
এটা ইয়াশের চশমা।
যার উপর রশ্নি পড়েছিল।
আর চশমাটা একদম বাজে ভাবে ভেঙে গিয়েছে।
রশ্নি: 😨😱😱😱😱😱😱
এখন আমার কি হবে? আগের বার একটু গ্লাস ক্র্যাক হওয়াতেই যা ঝেড়েছিলো
এবার তো আমাকেই ক্র্যাক করে দিবে😭
কারো কন্ঠ শুনে রশ্নি সামনে তাকালো।
আর ইয়াশকে দেখতে পেলো।
শুধু একটা টাওয়াল পেঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
রশ্নি: ওহ মাই গুডনেস😗
এইট প্যাক্স🥵
ইয়াশ: ওহ হ্যালো?
রশ্নি: নো নো এখন এসব ভাবলে চলবো না। জান বাঁচাইতে হইবো। কিন্তু কেমতে?😭
ইয়াশ আবার ধমক দিলো।
ইয়াশ: কি ভাবছো?
রশ্নি: ভাইয়া সরি…😭
আমি আসলে….
রশ্নি খেয়াল করলো
যে ইয়াশ ওর দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে।
রশ্নি: আরেহ ভাইয়ার চশমা তো আমি ভেঙেই ফেলেছি তাহলে আর ভয় কিসের
চশমা ছাড়া তো ও আর আমাকে দেখতে পাচ্ছে না😎
ইয়াশ: 😑??
রশ্নি গিয়ে ইয়াশের চুল গুলো টেনে ধরলো।
তারপর ওর কপালে কয়টা টোকা মেরে দিলো।
ইচ্ছা মতো কিছুক্ষন মেরে
পাগলের মতো হাসা শুরু করলো।
এদিকে ইয়াশএর মাথায় কিছু ঢুকছে না রশ্নি কি করছে।
ইয়াশ: আর ইউ ওকে না?
রশ্নি: ইয়েস বাট ইউ আর নট🤣
ইয়াশ: কি বলতে চাইছো?
রশ্নি: কালকের টা কালকে দেখা যাবে কিন্তু….
বলে রশ্নি বিছানায় পায়ের উপর পা তুলে স্টাইল করে বসে পড়লো।
রশ্নি: আজকে আপনি আমার কিচ্ছুটি করতে পারবেন
না😎
ইয়াশ: 🤨
রশ্নি: কজ, রশ্নি এনায়াত খান আপনার চশমা ভেঙে ফেলেছে।
আর এটা আমি আপনার মুখের উপর বলছি হুহ😎
ইয়াশ এতক্ষনে ব্যাপারটা বুঝলো।
ইয়াশ: হাউ ড্যার ইউ…..
রশ্নি: হুহ করুন করুন চিৎকারই করুন। ওই ইন্দ্রিয় টাই কাজে লাগবে। বাকি চোখে দেখার সেন্স রশ্নি ভেঙে ফেলেছে।
ইয়াশ: ওহ রিয়েলি?
রশ্নি: ইয়েস আপনি শুধু চিৎকারই করতে পারবেন।থাপ্পড় মারার ক্ষমতা শেষ😎
ইয়াশ: তাই না….
বলে ইয়াশ গিয়ে রশ্নির হাত দুটো বিছানায় চেপে ধরলো।
রশ্নি: আআআ আপনি আমাকে দেখলেন কিভাবে😨
ইয়াশ: এই তোমার কি আমাকে অন্ধ মনে হয়? যে চশমা ছাড়া কিছু দেখবো না।
রশ্নি: আপনি অন্ধ নন?😭
ইয়াশ: তোমাকে নিয়ে জাস্ট টায়ার্ড হয়ে পড়েছি আমি।
বিরক্তিকর!
বলে ইয়াশ উঠে জামা কাপড় নিয়ে অন্য রুমে চলে গেল।
রশ্নির একটু খারাপ লাগলো।
রশ্নি: আমি ভাইয়ার বিরক্তির কারণ হলাম?😭
কিন্তু তাতে আমার বাপের কি? কে বিরক্ত হলো না হলে দ্যাটস নান অফ মাহ বিজনেস বিছ😎
হুহ বিরক্ত😏….হ তাতে আমার কি..আই ডোন্ট গিভ এ ড্যাম!
কিন্তু😭…..নাথিং😤
অনলি swag ইজ রিয়াল😎
হুহ!
বলে রশ্নিও চলে গেল।
.
হঠাৎ চোখে তীব্র আলো এসে পড়ায়
সানার ঘুম ভেঙে যায়।
পিটপিট করে চোখ খুলে
নিজেকে একটা নরম তুলতুলে বিছানার উপর আবিষ্কার করে।
আর ওর সামনের জানালার সামনে সেহের দুই হাত গুঁজে দাঁড়িয়ে আছে।
সানা: আপনি এখানে?
সেহের গিয়ে সানার মুখের সামনে চুল গুলো
হাত দিয়ে কানের পিছনে গুঁজে দিলো।
সেহের: আমার বাড়িতে তো আমিই থাকবো।
সানার এবার বিয়ের কথা মনে পড়লো।
আর এক ঝটকায় সেহেরের হাত টা সরিয়ে দিল।
সেহের: কি হলো বউ?
সানা: আমি আপনার বউ না। মানি না আমি এই বিয়ে।
সেহের: হয়ে গেছে মেলোড্রামা?
সানা: হ্যা..এ্যা কি?
সেহের এবার সানার দুই বাহু চেপে সামনে আনলো।
সেহের: মানো বা নামো
কিন্তু তুমি আমার স্ত্রী আর এই সত্যিটা কেউ বদলাতে পারবে না।
সানা: 😒
সেহের: এবার আমার জন্য একটু নাস্তা বানিয়ে নিয়ে এসো প্লিজ।
সানা: পারবো না।
সেহের: ওকে।
বলে সেহের শার্টের বোতামে হাত দিল।
সানা: কিচেন টা কোথায়?😭
সেহের সানাকে কিচেন দেখিয়ে দিল।
.
আধা ঘন্টা পর সানার রান্না শেষ হলো।
সানা: কি একটা অবস্থা
এত বড়লোক হয়েও বাড়িতে কোনো সার্ভেন্ট নাই।
মনে হয় এমনেই কিপ্টামি কইরা টাকা জমাইছে।
সানা খাবার নিয়ে সেহেরের সামনে রাখলো।
মেজাজ পুরো বিগড়ে আছে। এই গরমের মধ্যে সেহের সানাকে দিয়ে রান্না করিয়েছে।
সানার মেজাজ খারাপ হলে কারো মার্ডারও করে দিতে পারে। কিন্তু আজ কিছু বলতে পারছে না।
সেহের: তুমি শুধু ডিম ভাজা আর জ্যা পাউরুটিই বানাতে পারো?
সানা: জি আর আমিই আমার ফ্রেন্ড সার্কেলের মধ্যে একমাত্র যে রান্না পারে। সো ইউ শুড থ্যাংকস টু মি😤
Ting titing ting tong (ফোনএর রিংটোন😑)
সেহের কল রিসিভ করে ফোনটা কানে ধরে।
পরক্ষনেই সেহেরের মেজাজটা বিগড়ে গেল।
সেহের: আমি এখনই আসছি।
বলে সেহের ফোনটা কেটে উঠে যাচ্ছিল।
সানা: একটু খেয়ে যান। আমি কষ্ট করে রান্না করেছি।
সেহের: সিরিয়াসলি? এগুলোকে তুমি কষ্ট বলো?
তার উপর একটা ডিম ভাজতে লাগিয়েছ আধা ঘন্টা।
সানা: পরের বার থেকে ভালো ভাবে রান্না করার চেষ্টা করবো বাট প্লিজ এখন একটু খেয়ে যান।
সেহের: তোমার পিছে এমনিতেই অনেক টাইম ওয়েস্ট হয়েছে আর নষ্ট করতে চাই না প্লিজ।
সানা: প্লিজ..(কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে)
সেহের: মেলোড্রামা যত্তসব।
বলে সেহের উঠে যাচ্ছিল
সানা সেহেরের কাঁধে ধাক্কা দিয়ে আবার ওকে বসিয়ে দিল।
তারপর মুখ চেপে ধরে ডিম টা মুখে ঢুকিয়ে দিলো।
সানা: তুই খাবি তোর ঘারেও খাইবো।
এই তোরে আমি বলছিলাম আমারে বিয়া করতে?
তুই জোর কইরা করস নাই? তাহলে এখন ঝাড়ি কারে মারস?
আমার সাথে একদম ওসব তিড়িং বিড়িং চলবো না।
হুহ আসছে সুবরা সানারে ঝাড়ি দিতে।
বলে সানা নিজের রুমে চলে গেল।
আর সেহের বি লাইক: 😐😦
.
ভার্সিটিতে–★
ভার্সিটিতে প্রবেশ করা মাত্র রশ্নির সব ফ্রেন্ডরা এক লাইনে দাঁড়িয়ে ওকে সালাম দিলো।
সবাই একসাথে: আসসালামু আলাইকুম ম্যাডাম।
রশ্নি: কেডস এর ফিতাডা খুইলালোই🙂
এক চুটকিতে সব গায়েব!
রশ্নি: হারামি গুলা😒
.
সারা ক্লাসে রশ্নি ইয়াশের সাথে একটুও কথা বলেনি। ফুল ইগনোর করেছে। আর কোনো দুষ্টামিও করেনি যার সূত্র ধরে ইয়াশ ওর সাথে কোনো কথা বলবে।
ক্লাস শেষে
রশ্নি বাগানে একটা বেঞ্চে গিয়ে বসে।
সেখানের ফুল গাছ গুলোতে একটা লোক পানি দিচ্ছে।
রশ্নি গিয়ে তার কাছ থেকে পাইপ চাইলো গাছে পানি দেওয়ার জন্য।
— কেন?
রশ্নি: গাছদের গোসল করাবো তাই।😤
— 🙄
রশ্নি: আরেহ আঙ্কেল গাছে পানি দিব।
— আমি তোমারে চিনি! গন্ডগোল ছাড়া কোনো কাজ তোমার দ্বারা সম্ভব না। তাই আমার কাজ আমারে করতে দাও।
রশ্নি: কি একটা অবস্থা😩
— 🙄😏
রশ্নি: আমি কিন্তু আব্বুকে বলে দিব😤
— স্যারই মানা করছে।
রশ্নি: ঠগ গেবন😧
রশ্নি সেখান থেকে চলে আসলো।
–পানি তো মুই দিমুই😤
যেটা চাইছি সেটা পায়াই ছারমু। হেইয়ো!😤
কিন্তু কি করুম?😨
ইয়াহ আইডিয়া!
রশ্নি ওদের ভার্সিটির পিয়ন খালার কাছে গিয়ে তার ফোনটা নিলো।
শান্তি খালা: ফোনটা নিলা কেন?😒
দাও বলতেছি! আবার কোনো নতুন শয়তানি করবো। এই দেও তো!
রশ্নি: এই তোমার নাম শান্তি কে রাখছে বলো তো?
নামের মতো তোমার মধ্যে তো কোনো শান্তিই নাই।
হুহ এই নাও তোমার ফোন।
ফোনটা দিয়ে রশ্নি আবার বাগানে চলে গেল।
আসলে রশ্নি শান্তি খালার ফোন দিয়ে ওই গাছে পানি দেওয়া অঙ্কেলটাকে মেসেজ দিয়েছিল।
আর তার মেসেজ পেয়ে সে আসে পাশে তাকিয়ে সেখান থেকে কিছুক্ষনের জন্য চলে যায়।
রশ্নি: অপারেশন সাকসেসফুল😎
রশ্নি গিয়ে এবার নিজের মনের মতো করে পানি দিতে লাগলো।
এদিকে ইয়াশএর জাস্ট দম বন্ধ হয়ে আসছে রশ্নির সাথে কথা বলতে না পেরে।
ইয়াশ খেয়াল করলো রশ্নি বাগানের ফুল গাছ গুলোকে পানি দিচ্ছে।
এই মুখটায় হাজারো স্নিগ্ধতা কাজ করছে
বাতাসে চুল গুলো উড়ছে।
আর হাসলে যেন মনে হয় কলগেট এর এ্যাড দিচ্ছে
(কেয়া আপনাকে টুথ পেস্ট মে নামাক হ্যা?:3)
{আমি আগেই বলছিলাম যে আমি কবি সাহিত্যিকদের মতো বর্ণনা দিতে পারি না:3}
সেখানে বেশি কেউ ছিল না দেখে ইয়াশ ওর কাছে যায়।
ইয়াশ: রশ্নি!
রশ্নি ওকে দেখেও না দেখার ভান করে।
ইয়াশের এতে রাগ হয়।
ইয়াশ খপ করে রশ্নির হাতটা ধরে ফেলে।
ইয়াশ: প্রবলেম কি তোমার? এমন করছো কেন?
রশ্নি হাত ছাড়িয়ে নিলো।
রশ্নি: আজব তো আমি কি করেছি?
ইয়াশ: সকাল থেকে দেখছি কারন ছাড়াই ইগনোর করছো।
রশ্নি: আমি কারো বিরক্তির কারণ হতে চাই না। দ্যাটস ইট!
ইয়াশ বুঝলো রশ্নি কেন রাগ করেছে।
ইয়াশ: ওহ আমার সুইটহার্ট টা বুঝি আমার উপর অভিমান করেছে☺️
রশ্নি: আমি আপনার সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক নই😤
ইয়াশ: এদিকে তাকাও।
রশ্নি: নু😤
ইয়াশ: আচ্ছা এদিকে তাকাও।
ইয়াশ ওর দিকে আসছিল দেখে রশ্নি পানির পাইপটা ওর দিকে ঘোরায়।
ইয়াশ: এই কি করছো
রশ্নির নিজেও পানি বন্ধ করার চেষ্টা করছে কিন্তু হচ্ছে না।
আর ইয়াশ যেখানে যেখানে সরছে রশ্নি হাতের পাইপও সেদিকেই ঘোড়াচ্ছে। (মেন্টালি ডিসব্যালেন্স হয়ে গেলে যা হয় আর কি😹)
ইয়াশ বেচারার পুরো কাক ভেজা অবস্থা।
ইয়াশ: আরেহ মাথা মোটা
পাইপটা আমার দিক থেকে সরাও।
রশ্নি: আআআ😭😭
ইয়াশ এসে পিছন থেকে রশ্নির হাত থেকে পাইপটা নেওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু রশ্নির ছাড়ার মুড নেই।
ইয়াশ: আরেহ ছাড়ো।
রশ্নি: আআআ😭
ওদিকে ইয়াশকে গার্ডেনএ আসতে দেখে ডায়না ম্যাম ও সেখানে আসছে।
আর আসার পর ইয়াশ আর রশ্নির হাতাপাইতে ডায়না ম্যাম সম্পূর্ণ ভিজে যায়।
ইয়াশ ফাইনালি পানি বন্ধ করতে সক্ষম হয়।
ইয়াশ: ইয়েস আই ডিড ইট😎
রশ্নি: আআআ😨
ইয়াশ: আবার কি হলো?
রশ্নি: ডায়না ম্যাম😨
.
.
.
To be continued…..
.