#Your_psychoPart_29+30(last)
#A_Devils_Love
#Written_by_Aruhi_khan (ছদ্মনাম)
.
.
.
নিলাসা বেগম: কি এসব?
ইয়াশ: ডিভোর্স পেপার!
নিলাসা: মানে কি?
ইয়াশ: যেটা দেখলে সেটাই! আমি রশ্নির সাথে আমার বিবাহের সম্পর্ক ছিন্ন করছি।
আমাকে ও ঘৃণা করে আর সত্যিই তো জোর করে কোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যায় না।
তাই আমি ওকে মুক্ত করে দিয়ে চলে যাচ্ছি।
শুভা: ওহ মাই গুডনেস!
ইয়াশ রশ্নিকে ডিভোর্স দিচ্ছে।
আমার যে কি খুশি লাগছে।
শাহানা: আর কয়েকদিন যাক। ইয়াশের মন মেজাজ ভালো হলে তোর সাথে বিয়ের ব্যাপারে কথা বলবো।
শুভা: 😍
.
ইয়াশ: আর আমি এই বাড়ি ছেড়েও চলে যাচ্ছি।
আমাকে দেখলে রশ্নি আরো অসুস্থ হয়ে পড়বে।
শুভা: 😦😧
শাহানা: আরেহ চিন্তা করিস না। এগুলো রাগের মাথায় বলছে। মাথা ঠান্ডা হলে নিজেই আবার চলে আসবে।
শুভা: ওহ ওকে!😌
ইয়াশ কারো কথা না শুনে চলে যাচ্ছিল।
তখনই পিছন থেকে জোৎস্না খালা দৌড়ে এসে কাঁদতে শুরু করলো।
শাহানা: এমা! তোমার আবার কি হলো?
জোৎস্না খালা: ইয়াশ বাবা রশ্নির ঘুম ভাঙার পর ও আবারো নিজেরে রুমে লক কইরা আত্মহত্যা করার চেষ্টা করতাসে। প্লিজ ওরে আটকাও।
ইয়াহ: মানে কি? কি বলছো তুমি এসব?
জোৎস্না: কিছু কয় নাই আমারে শুধু এই চিঠিটা দিলো!😭
যাহিরা: উফফ আবারো সেম ঢং শুরু করেছে।
শাহানা: আর ভাল্লাগে না।
শুভা: এবার অন্তত মরে যাওয়া উচিত।😤
ইয়াশ: তোমরা প্লিজ গিয়ে ওকে শান্ত করার চেষ্টা করো।
কজ, আমি গেলে ও আরো হাইপার হয়ে যাবে।
কয়েকজন রশ্নিকে শান্ত করে গেট টা খুলতে গেল।
কিন্তু এদিকে ইয়াশের খুব ভয় হচ্ছে।
নিলাসা: আচ্ছা তুই চিঠিটা পর না। দেখ না কি লিখা আছে।
ইয়াশ: হ-হ-হ্যা….
ইয়াশ কাপা কাপা হাতে চিঠিটা খুললো তারপর পড়া শুরু করলো।
.
★★★
তোমরা আমাকে শান্তিতে মরতেও দিবে না তাই না?
মরেই তো যাচ্ছিলাম তারপরও কেন আবার বাচালে?
কিন্তু এবার এই চিঠিটা পড়ার পর তোমরা আমাকে আর বাঁচাতে চাইবে না।
কারন তারপর আমি তোমাদের কাছে শুধুই একজন মিথ্যেবাদী থাকবো।
হ্যা আমি আগের চিঠিটাতে যা লিখেছিলাম তার সবটাই মিথ্যে ছিল।
নীল ভাইয়া কখনোই আমাকে অত্যাচার করতো না।
আমি সেটা মিথ্যে বলেছিলাম।
এখন নিশ্চই ভাবছো আমি কেন মিথ্যে বলেছিলাম?
কারন আমার ভালোবাসার বোন, আমার কলিজার টুকরা শুভা আপাজান নীলকে ভালোবাসতো।
আর আমার আগে ওর বিয়ে নীলের সাথে হওয়ার কথা ছিল। আর আমার সম্মানীয় বড় আম্মু আর দাদিও চাইতো যেন নীলের বিয়ে শুভার সাথে হয়।
মানছি যদিও তা চৌধুরী বাড়ির প্রপার্টি হাতিয়ে নেওয়ার লোভে ছিল। কিন্তু তারপরও শুভা আপু নীলকে ভালো বাসতো তো।
আর হ্যা আমি এটাও জানি যে আমি তোমাদের কুড়িয়ে পাওয়া সন্তান।
সেদিন যখন তোমরা সবাই কথা বলছিলে তখন আমি সবটাই শুনে ফেলেছিলাম।
হ্যা মানছি যে আমি তোমাদের কুড়িয়ে পাওয়া সন্তান না হওয়া সত্ত্বেও শাহানা বড় আম্মু আর দাদি আম্মু ষড়যন্ত্র করে আমার নামের পাশে কুড়িয়ে পাওয়া সন্তানের হ্যাশট্যাগ লাগিয়ে দেয়।
রাশিদ: হোয়াট!!???
মা আর ভাবি আমার মেয়েকে ষড়যন্ত্র করে…..
রাশিদ খান আর বলতে পারলেন না।
তার মাথাটা কেমন ঘোড়াচ্ছে এগুলা শোনার পর।
সবাই গিয়ে তাকে ধরলো।
শুভর যেন কেমন গা গুলিয়ে আসছে নিজের মার ব্যাপারে এসব শোনার পর। তারপরও নিজেকে সংযত করে নিলো।
শুভ: ভাই তুমি আগে পর।
ইয়াশ আবার পড়া শুরু করলো।
★★
কিন্তু তারপরও আমি তো তাদের ভালোবাসি সম্মান করি।
আমি চলে যাচ্ছি এই পৃথিবী ছেড়ে আর হ্যা আমি একটা মিথ্যেবাদী!
তোমরাও নিশ্চই আর এই মিথ্যুককে আর বাঁচাতে চাইবে না। আর আমার একটা রিকুয়েস্ট রেখো প্লিজ।
শুভা আপু আর নীল ভাইয়ার বিয়ে টা দিয়ে দিও।
শুভা আপু আমাকে বলেছে ওর বিয়ে নীলের সাথে না হলে ও সবার খাবারে বিষ মিশিয়ে দিতেও পিছ পা হবে না। তাই নিজের কথা ভেবে হলেও ওদের বিয়ে টা দিয়ে দিও।
আলভিদা! দুয়াও মে ইয়াদ রাখনা।
★★★
.
শুভা: WTF!!!!
আমি এসব কখনো বলি নি!
শাহানা বেগম শুভাকে থামানোর চেষ্টা করছেন।
কিন্তু শুভা শাহানা বেগমকে সরিয়ে দিয়ে আবার চিৎকার করে বলতে লাগলো–
শুভা: আচ্ছা আম্মু তুমিই বলো আমি কখনো বলেছি যে ইয়াশের সাথে বিয়ে না হলে আমি সবার খাবারে বিষ মিশিয়ে দিব?
শাহানা: মা শান্ত হো তুই।
শুভা: আহ লিভ মি!
আর রশ্নির এই লেটারের সাথে আমার লিখা লেটারের কথা গুলো কিভাবে মিলল?
ওই তো জানেও না যে আমি ওর লিখা লেটারটার সাথে আমার লিখা লেটারটা এক্সচেঞ্জ করে দিয়েছিলাম।
নিলাসা: তুমি লেটার এক্সচেঞ্জ করে দিয়েছিলে মানে?
শুভা রাগের মাথায় এসে সব বলে দিল।
শুভা: তাহলে কিভাবে মিলল? কিভাবে? হাও ইজ দিস পসিবল? হাও হা….
ঠাশশশশ…….শুভার গাল.. হইয়া গেল লাল।
নিলাসা: ছি তোমরা এতটা জঘন্য?
শুভা: কাউকে ভালোবাসা টা কি অন্যায়?
আমি তো ইয়াশকে সত্যিই খুব ভালোবাসতাম।
ছোট কাল থেকে ওর সাথে আমার বিয়ে ঠিক করা ছিল কিন্তু তারপরও তোমরা রশ্নির সাথে ওর বিয়ে দিয়ে দিলে। কিন্তু আমি যে ইয়াশকে সত্যিই খুব ভালোবাসতাম। আর ওকে পাওয়ার জন্য আমি সব কিছু করতে রাজি ছিলাম তাই আমি…..
— তাই তুমি একটা সুস্থ মানুষকে মিথ্যে বলে ডিপ্রেশনের খালে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলা…Clap clap!!
সবাই পিছনে ঘুরে দেখলো রশ্নি দুই হাত গুঁজে দাঁড়িয়ে আছে।
ইয়াশ দৌড়ে গিয়ে রশ্নিকে একটা সোফায় বসালো।
ইয়াশ: তুমি এই দুর্বল শরীর নিয়ে নীচে আসতে গেলে কেন?
রশ্নি: আই এ্যাম ফাইন। বাট এই ছ্যাচড়া মহিলা গুলার গেম আজকে ফিনিশ করবো।
শাহানা: কি বলতে চাচ্ছ তুমি?
রশ্নি: আহারে কচি খুকিটা কিছু বুঝে না।
না করতে পারবেন? সেদিন হসপিটালে আমাকে আপনি নিজে টাকা খাইয়ে মানুষ দিয়ে চুরি করান নি?
শাহানা: ক-ক-কি বলছো এসব? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।
রশ্নি: ওহ রিয়েলি? আচ্ছা ঠিকাছে এবার মেবি বুঝতে পারবেন।
শাহানা বেগমের রীতিমত হাত পা কাপা শুরু হয়ে গিয়েছে।
রশ্নি: জামাই…
ইয়াশ: ইয়াহ!
রশ্নি: ওরা কোথায়?
ইয়াশ: মাঝ রাস্তায়েই আছে। কিছুক্ষনের মধ্যেই এসে পড়বে।
রশ্নি: ওকে!
.
টিং টং (ডোর বেল)
রশ্নি: এসে পড়েছে মেবি।
শুভ গিয়ে গেট টা খুলে দিল। আর গেট খোলার সাথে সাথে রেহেনা বেগম সাথে একজন মহিলাকে নিয়ে ভিতরে চলে আসলেন।
রেহেনা একবার মহিলাটার দিকে তাকিয়ে তারপর শাহানা বেগমের দিকে তাকালেন।
রশ্নি: কি গো বড় আম্মু এবার চিনতে পারছো তো?
শাহানা বেগম কিছু বলছে না শুধু নিচের দিকে তাকিয়ে আছেন।
এদিকে রেহেনা বেগমের সাথের ভদ্র মহিলা কেঁদেই চলেছেন।
(লেটস কল হার “রিনা”)
রিনা রেহেনা বেগমের পায়ের কাছে বসে কাঁদতে শুরু করলেন।
রিনা: প্লিজ আমাকে মাফ করে দিন। আমার ভুল হয়ে গিয়েছে। আমাকে দয়া করে যেতে দিন।
রেহেনা: উফ ডিসগাস্টিং! একদম নেকামী করবে না
চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকো।
নিলাসা: কি হচ্ছে এসব? আর উনি কে?
রেহেনা: মনে আছে যেদিন আমি মেয়ে প্রথম পৃথিবীর মুখ দেখেছিল? আর সেদিনই ওকে ওর মার কাছ থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছিল?
নিলাসা: সেদিনের কথা আমরা কিভাবে ভুলে যেতে পারি?😔
রেহেনা: আর রশ্নিই আমার সেই হারিয়ে যাওয়া সন্তান।
এখন আমি চাই বাকি টা রিনা নিজে বলুক।
রিনা ভয় ভয় শাহানা বেগমের দিকে তাকালো তারপর বলতে শুরু করলো–
আচ্ছা আসেন আমিই আপনাদের পুরা কাহিনী বলি😌
২০ বছর আগে~~
আমরা সবাই জানি যে শাহানা বেগম রশ্নিকে পছন্দ করেন না।
আর সেটার কারন শুধু শুভার সাথে ইয়াশের বিয়ে হয়নি সেটা না।
উনি চাইতেন খান বাড়ির সব সম্পত্তি যেন তার নিজের ছেলে মেয়ের নামে চলে আসে।
তাই উনি যখন জানতে পারলেন রেহেনা বেগম প্রেগন্যান্ট তখন বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করতে শুরু করলেন।
কিন্তু তারপরও যখন বাচ্চা নষ্ট করতে পারেন নি তখন
রশ্নি জন্ম হওয়ার পর ওকে রিনা বেগম দ্বারা অপহরণ করানো হয়।
তখন ইয়াশ আর ওর পুরো ফ্যামিলি দেশের বাহিরে থাকতো। আর রাশিদ খানও কিছুক্ষনের জন্য
সেখানে উপস্থিত ছিল না।
আর সেটার সুযোগই শাহানা বেগম নেন।
রশ্নিকে পাওয়া যাচ্ছে না জানতে পেরে রাশিদ খান পুলিশ দিয়ে পুরো শহরের রশ্নিকে খুঁজতে লাগেন।
কিছুদিন পর রিনা বেগম সেই নিউজ শুনে রশ্নিকে একটা কাপড়ে মুড়িয়ে রাস্তায় ফেলে চলে যায়।
রাশিদ খান আর রেহেনা বেগমও হোপলেস হয়ে পড়েছিলেন।
আর একদিন চলার পথে রাশিদ খান রাস্তায় একটা বাচ্চাকে পরে থাকতে দেখেন। আর তখন ওকে নিজের মেয়ের নাম দিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। কিন্তু তখনও উনি জানতেন না যে এটা উনার নিজেরই মেয়ে।
কিন্তু রশ্নিকে বাসায় নিয়ে আসার পর শাহানা বেগম রশ্নিকে দেখে চিনে যায়। কারন উনি রশ্নিকে আগে দেখেছিলেন।
আর আবার রশ্নিকে হিংসা করতে শুরু করেন।
★★★
রেহেনা: তোমার কি কিছু বলার আছে ভাবি?
শাহানা বেগম বেশ ভেবে চিন্তে উত্তর দিলেন—
Clap clap clap….বাহ কাহিনী তো বেশ ভালো বানাতে পারো। তোমরা কি ভেবেছো
তোমরা যা বলবে আমরা তাই বিশ্বাস করে নিব? এমন ও তো হতে পারে যে তোমরা এই মেয়েটাকে খান বাড়ির আসল ছোট মেয়ে বানানোর জন্য এসব গল্প বানাচ্ছ।
ইয়াশ: ওহ প্লিজ! ডোন্ট বি সো ড্রামাটিক😒
রশ্নি: কথায় বলে না বুড়ি মরে মরে কিন্তু খুদের হারি ছাড়ে না🤣🤣
ব্যাপার না যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার লড়াই করতেই পারো। আফটার অল খান বাড়ির বৌমা বলে কথা। একটা ঝাকানাকা ব্যাপার আছে না🐸
রশ্নি: ওকে ওকে…জোস বেবি!!
রশ্নির ডাকে জোৎস্না খালা হাতে একটা ফাইল নিয়ে চলে আসলো।
রশ্নি সেটা নিয়ে শাহানা বেগমের দিকে ছুড়ে মারলো।
রশ্নি: ডিএনএ টেস্ট এর রিপোর্টস😊
.
.#Your_psycho
#A_Devils_Love
#Part_30 (last part)
#Written_by_Aruhi_khan (ছদ্মনাম)
.
.
.
.
,
রশ্নি: আর কিছু বলার আছে?
শাহানা বেগম মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছেন।
গলা বারবার শুকিয়ে আসছে।
নিলাসা: ছি তুমি এতটা নিচ শাহানা?
শাহানা: …
নিলাসা: তোমার অবস্থা যে কি বেহাল হয় সেটা আমি তোমাকে দেখাবো।
রশ্নি: আই এ্যাম ইনাফ ফর দ্যাট মিষ্টু!
নিলাসা: ইয়াহ আই নো!
বাট এদেরকে পুলিশে তো আমি দিবই।
শুভা: এতই সহজ নাকি ফুপ্পি?
তোমাদের কাছে কোনো প্রুভ আছে যে ওই লেটারটা আমিই লিখেছি?
রশ্নি নিজে লিখে আমার নামও তো দিতে পারে।
দিতে পারে কি, দিয়েছেই। নিজে লিখে আমার নাম দিয়েছে।
কারন আগের লেটারটায় নাহিদ ওকে জোর করে বিয়ে করতে চেয়েছিল তা স্পষ্ঠ উল্লেখ করা আছে আর আমি তো সেই ব্যাপারে কিছু জানতামই নাম। আমি কেন কেউই জানতো না।
আহহহহহ……….
হঠাৎ কারো চিৎকার শুনে সবাই গেটের দিকে তাকালো।
একটা ছেলে মাটিতে চিৎকার করে পড়ে আছে।
আর একটা লোক ছেলেটার ঘাড়ে বন্দুক ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
রশ্নি: কি চিনতে পারছো একে?
শুভা ভ্রু কুচকালো।
রশ্নি পাশে বন্দুক ঠেকিয়ে ধরে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটাকে ইশারা করলো।
টা বুঝতে পেরে লোকটা।
মাটিতে পড়ে থাকা ছেলেটার চুল টেনে ধরে মুখটা উপরে তুললো।
ছেলেটা আর কেউ না। আরিয়ান। মানে নাহিদের ভাই।
শুভা চোখ বড় বড় করে ওর মার দিকে তাকালো।
ইয়াশ: এর ভাইয়ের গেম আগেই ফিনিশ তাই ওটাকে আনতে পারলাম না
একে দিয়ে কাজ চালাতে হবে।
আরিয়ান: you morons!🤬
তোমাদের জন্য আমার ফাসতে হলো।
শুভা: হ্যা আর তুমি তো দুধের ধোয়া তুলসী পাতা ছিলে।
তুমি কেন এসেছিলে প্রতিশোধের গান গাইতে?
আরিয়ান: আমি গান গাই নি। তোমাদের গানে সুর দিতে গিয়েছিলাম আর সেটাই ছিল আমার লাইফের সব থেকে বড় ভুল।
রশ্নি: আহা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করো না। সবাই একটু একটু করে বলার সুযোগ পাবে।
বেটা আরিয়ান! আগে তুমি। বলো।
আরিয়ান কিছু বলছে না দেখে লোকটা রশ্নির ইশারায় আবার আরিয়ানকে মারতে শুরু করলো।
আরিয়ান: আহ! প্লিজ স্টপ। আমি সব বলছি।
রশ্নি: such a wasting of time😒
(সেদিন রশ্নিকে রেখে চলে আসার পর।
ইয়াশ গিয়ে রশ্নিকে নিয়ে আসে। আর নাহিদকে সেখানেই শুট করে দেয়।
আর সেটা আরিয়ান জানার পর ওর ভিতর প্রতিশোধের আগুন জ্বলা টাইপস কিছু শুরু হয়।
বাট কিভাবে প্রতিশোধ নিবে তা ভাবতে ভাবতেই ওর মাথায় শুভা আর শাহানা বেগমের কথা মাথায় আসে।
ওদের কাছে গিয়ে আরিয়ান ওদের সব কাহিনী বলে।
কিন্তু ওরা আরিয়ানকে হেল্প করতে পরিষ্কার ভাবে না করে দেয়।
আর এভাবেই শুভা আর শাহানা বেগম নাহিদের ব্যাপারটা জানতে পারে কিন্তু।
আর সেটা মনে পড়াতেই শুভা লেটারে ওটা লিখে)
আরিয়ান: নাও টেল মি! এখানে আমার দোষটা কোথায়?
রশ্নি: সালা নিজের আধা ডুইবা যাওয়া টাইটানিকের জাহাজ মার্কা ভাইয়ের সাথে আমার বিয়ে দিতে চাইছিলি আবার জিজ্ঞেস করস তোর দোষ কই।
তোরে তো আমি….
ইয়াশ: আহা..ডোন্ট বি সো হাইপার।
রশ্নি: 😒
ইয়াশ: এটাকে আমার ম্যাক্সিকো থেকে আনা কুকুর গুলোর খাঁচায় ছেড়ে দাও। (পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটার উদ্দেশ্যে)
রশ্নি: নো নো নো….
আরিয়ানের নিজের গুড লুকস নিয়ে অনেক অহংকার না? একটা কাজ করো ওর মাথার মাঝ খানে চুল গুলো চেছে দিয়ে বাকি গুলোতে লাল, নীল, হলুদ,সবুজ কালার করে আর একটা ফ্রগ পরিয়ে রাস্তার মাঝে ছেড়ে দাও।
আর হ্যা সাইডের চুলগুলতে ছোট ছোট ঝুটি করতে কিন্তু ভুলো না☺️
আরিয়ান: হোয়াট??????
আরিয়ানকে টেনে নিয়ে গেল। আরিয়ান বেচারা চিল্লাচিল্লি করেও লাভ হলো না।
নিলাসা: এবার বলো তুমি আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলে কেন?
রশ্নি: আসলে…সেদিন……
.
ফ্লাশব্যাক—-★★★
শুভা, শাহানা বেগম আর যাহিরা বেগম একসাথে বসে কথা বলছিল।
ওদের কথা শুনে রশ্নির হাত থেকে গিফ্ট এর বক্সটা পরে যায়।
যার শব্দ শুনে ওরা বাহিরে আসে। আর রশ্নিকে ওভাবে দেখে।
আর র্শনও যখন জিজ্ঞেস করে ও কুড়িয়ে পাওয়া কিনা তখন শাহানা আর শুভা ওকে মিথ্যে বলে।
যে ও কুড়িয়ে পাওয়া আর ডক্টর বলেছিল রেহেনা কখনো মা হতে পারবে না।
কিন্তু রশ্নি যখন সুইসাইড করতে যায় তখন জোৎস্না খালা দেখে ফেলে আর ইয়াশকে ডেকে নিয়ে আসে।
আর ইয়াশ রশ্নিকে নামানোর পর রশ্নির স্বাস নিতে কষ্ট হলেও কিছুক্ষনের মধ্যে নরমাল কন্ডিশনে ব্যাক করে।
তারপর…..
রশ্নি ইয়াশকে সব কিছু খুলে বলে ও কেন অমনটা করেছিল।
যা শুনে ইয়াশ রেগে যায় আর রশ্নিকে থাপ্পড় দেয়।
রশ্নি: আমি জানতাম আমার আসল পরিচয় জানার পর তুমি আমায় ঘৃণা করবে কিন্তু বিশ্বাস করো আমি বিয়ের আগে জানতাম না যে আমি…..
ইয়াশ আরেকটা থাপ্পড় লাগিয়ে দিল।
রশ্নি: 😭😭
ইয়াশ: তোমার কি মনে হয় আমি তোমাকে
তোমার নামের পাশের টাইটেলের জন্য ভালোবাসি?
রশ্নি: 😭😭😭
হঠাৎ ইয়াশের চোখ টেবিলে থাকা চিঠিটায় পরে।
যেটা পড়ার পরই ও বুঝে যায় যে এটা রশ্নির হ্যান্ড রাইটিং না। আর তখন ও একটা প্ল্যান বানায়।
ইয়াশ: শুনো এখন আমি যেমনটা বলবো ঠিক তেমনটা করবে কেমন?
তারপর ইয়াশ সবাইকে বলে যে রশ্নি সুইসাইড করার চেষ্টা করেছিল আর এখনো সেন্সলেস।
হসপিটালে গিয়ে ইয়াশ রশ্নির ডিএনএ টেস্ট করে জানতে পারে যে রশ্নিই সেই হারিয়ে যাওয়া মেয়েটা।
আর ইয়াশের আগের থেকেও ডাউট ছিল।
তাই ও টেস্ট গুলো করায়।
তারপর রেহেনা বেগমের সাথে মিলে ইয়াশ সেই মহিলাকে(রিনা) খুঁজে বের করে)
কাব্য: ছি! তোমাদের লজ্জা করে না?
তোমরা এতটা নীচে নেমে গিয়েছো? আরেহ রশ্নি তো তোমাদেরও কিছু লাগে নাকি….
কিভাবে করতে পারলে নিজের বোনের সাথে এমনটা?
শুভা: আমাদের কি বলছিস? যে মেইন কালপ্রিট
তাকে বল না। দাদিআম্মুই তো সব সমস্যার মূল।
তাই কিছু বলতে হলে একে…আআআ….
দাদি কই গেল?
(শুভা পিছনে ফিরে যাহিরা বেগম সেখানে উপস্থিত নেই)
রশ্নি সবাইকে সামনে তাকাতে বললো।
সবাই সামনে তাকিয়ে দেখল।
আরিয়ানকে যে লোকটা টেনে নিয়ে এসেছিল সেই লোকটা আসছে আর তার পিছনে দুইটা মহিলা
যাহিরা বেগমকে ধরে নিয়ে আসছে।
যাহিরা বেগমের অবস্থা কাহিল
দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
রশ্নি: হুহ বেশি চালাকির ফল।
নিলাসা: কি হয়েছে এর? এই অবস্থা কেন?
রশ্নি: আমি জানতাম তো। মাই ডিয়ার দাদি আম্মা এদের মতো ডাম্ব না। পালানোর চেষ্টা তো করবেই।
আর তাই হলো। পিছনের গেট দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল।
কিন্তু আমি আগের থেকেই সেখানে তেল ঢেলে এসেছিলাম।
এর পরেরটা নিশ্চই তোমাদের আর বুঝাতে হবে না😁
সবাই: 🤣🤣
যাহিরা: আই উইল নট স্প্যার ইউ!
রশ্নি: হুহ এক পা কবরে এক পা কলার ছিলকায়। কিন্তু তবুও হেতির শখ কমে না😆😆
যাও যাও পাগলা গারদে গিয়া নতুন বন্ধু পাতায়েও! কেমন?😆
শাহানা: নো নো শাহানা কিছুতেই এভাবে হলে চলবে না। এখনই মেলোড্রামা শুরু করে দিতে হবে।
শাহানা বেগম গিয়ে সৌভিক খানের পায় পরে গেল।
শাহানা: প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি তো তোমার বউ বলো। আর ভুল তো মানুষেরই হয়। প্লিজ শেষ বারের মতো মাফ করে দাও।
সৌভিক খান এতক্ষন সব নিস্তব্ধ হয় শুনছিলো।
কিন্তু এখন আর চুপ থাকতে পারলেন না।
সৌভিক: ছোট থেকেই শুভার সাথে ইয়াশের বিয়ের কথা ছিল কিন্তু হঠাৎ রশ্নি আসায় সবকিছু বদলে গেল। তা আমি মেনে নিতে পারিনি তার থেকে বড় কথা
আমার মনে হতো রশ্নি আমাদের পরিবারের মেয়ে নয়। একটা রাস্তার মেয়ের জন্য ইয়াশ আমার মেয়েকে রিজেক্ট করে দিলো। সেটা আমার ইগো তে লেগেছিল।
তাই আমি রশ্নিকে কখনো পছন্দ করতাম না। তোমার সঙ্গ দিয়ে কত বাজে ব্যাবহার করেছি। কিন্তু আজ যখন তোমার সব কীর্তিকলাপ শুনলাম।
তখন বুঝতে পারছি আমি কতটা ভুল ছিলাম যে তোমার সঙ্গ দিয়েছিলাম।
আর তোমার মতো ঝঘন্ন মানুষ আমি দুটো দেখিনি।
শুধু মাত্র সম্পত্তির লোভে তুমি ওকে টাকা খাইয়ে চুরি করিয়েছিলি ছি।
তোমাকে আর কিছু বলার মতো শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু তোমার সাথে আমার আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না।
বলে সৌভিক খান নিজের রুমে চলে গেলেন।
শুভা: বাপটাও কাজের না।
কিছুক্ষনের মধ্যে পুলিশ এসে শাহানা বেগম আর শুভাকে নিয়ে গেল।
আর যাহিরা বেগমকে পাগলা গারদে পাঠানো হয়েছে।😆
রশ্নি গিয়ে শুভকে জড়িয়ে ধরলো।
রশ্নি: তুই ঠিক আছিস?
শুভ রশ্নির মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো।
শুভ: একটু বেশিই!
রশ্নি: তোর কষ্ট হচ্ছে তাই না?
শুভ: এদের জন্য? নেভার!
রশ্নি: একটু হাসি দে তো দেখি দাঁত ব্রাশ করছস নাকি।
রশ্নি কথা শুনে শুভ সহ সবাই হেসে দিলো।
শুভ: আমি তোর মতো না।
রশ্নি: 😤
শুভ: আই এ্যাম প্রাউড অফ ইউ বোনু।
রশ্নি: দাঁত মাজার জন্য?🙄
শুভ: তুই কখনো শুধরাবী না!😂
রশ্নি: কোয়েশচন মার্ক নাকি ফুলস্টপ?
শুভ: 😑
রশ্নি: 😐
শুভ: ফুলস্টপ!
রশ্নি: 😂😂
সবাই আবার একসাথে হেসে দিলো।
.
.
কেটে গেছে অনেক দিন। দিনের পর রাত, রাত গড়িয়ে আবার দিন। কিন্তু এভাবে চলতে চলতে কবে যে রশ্নি ইয়াশের মাঝের ভালোবাসাটা এতটা তীব্রতা পেয়ে গেল তা কেউ খেয়ালই করলো না।
(আর হ্যা নোভা আর কাব্যও কিন্তু এখন ম্যারিড কাপল)
আজকে রশ্নি আর ওর সব ফ্রেন্ডসদের গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট হয়েছেন
After commencement—★
রশ্নি আর ওর সব ফ্রেন্ডসরা একসাথে বসে আড্ডা দিচ্ছে।
অনু: তো মাম্মারা এর পর সবার প্ল্যানিং কি?
কাশিকা: বিয়া…..😑
আই ওয়ান্ট টু গেট বিয়া😑
সবাই: 🤦🏻♀️
সানা: মাস্টার্স।
অন্তর: আমি, সুপ্তি আর দিপু তো সবসময় একসাথেই থেকেছি সো এইবারও আমাদের লক্ষ সেইম জায়গায় একসাথে জব পাওয়া।
রশ্নি: আর অধরা আফারে বিয়া করা।
অন্তর: 😒
রশ্নি: ওই দেখ অধরা আসতাছে।
অন্তর: হইছে হইছে। আমি এতোটাও বোকা না যে সবসময় তোদের ফাঁদে পা রাখবো।
অধরা: তোমরা কি ব্যাপারে কথা বলছো?
অন্তর: আআআ তুমি কখন আসলে?
অধরা: কেন? কোনো সমস্যা?
অন্তর: না না! বসো না।
অধরা: না আসলে তোমার সাথে একটু কথা ছিল।
অন্তর: হ্যা হ্যা আমি আসছি।
অন্তর উঠে অধরার সাথে চলে গেল।
কিছুটা দূরে শুভকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অনু উঠে ওখানে গেল।
সুপ্তি: দোস্ত দোস্ত! দেখ ভেল পুরী ওয়ালা😍
চল যাইয়া হামলা করি।
দিপু: হেইয়ো!!!
সুপ্তি: আজকে ট্রিট রাতুল দিব।
বলে রাতুলকে দুইজন টেনে নিয়ে গেল।
রাতুল: আমি কেন????😭
রশ্নি: সবাই তো গেলোগা আমিও যায়া একটু আমার জামাইর সন্ধান করি।
এখন সেখানে শুধু সানা বসে আছে।
সেহের এসে ওর সামনে বসলো।
ওকে দেখে সানা উঠে যাচ্ছিল।
তাই সেহের আবার ওর হাত ধরে টেনে ওকে বসিয়ে দিল।
সেহের: নতুন করে কি সবটা শুরু করা যায় না?
একটা বার কি “ভালোবাসি” বলা যায় না?
সানার মুখে মুচকি হাসি ফুটে উঠলো।
সানা: বাহ কবি কবি ভাব।
সেহের: শুনেছিলাম প্রেমে পড়লে নাকি মানুষ কবি হয়ে যায় তাই হয়তো….
সানা ফিক করে হেসে দিলো।
তা দেখে সেহেরও হেসে দিলো।
অনু শুভর সাথে হেসে কথা বলছে দেখে রাতুলের ভিতরটা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে।
অনুকে পাওয়ার ইচ্ছে টা অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছে।
এই কয়েক বছরে ও বুঝে গেছে যে অনু অলরেডি অন্য কারো হয়ে গিয়েছে তাই আর নিজের মনের কথা টা বলেনি।
সুপ্তি: তুই খাবি নাকি তোরটাও আমিই খায়া ফেলুম?
রাতুল ওর প্লেট থেকে ভেল পুরী তুলে সুপ্তির মুখে পুরে দিলো।
রাতুল: নে ঠুস। মুটকি কোথাকার।
সুপ্তি:এ্যাএ আয় আয় আয়াএও
(এ্যাই তুই কি কইলি😂)
.
রাতুল পকেট থেকে লাইটার বের করলো সিগারেট জ্বালানোর জন্য।
কিন্তু যেইনা সিগারেটের গায় আগুন ধরবে তার আগেই রাতুলের গালে খুব জোরে কারো থাপ্পড় পরে গেল।
রাতুল অগ্নি দৃষ্টি নিয়ে সামনে তাকালো।
কিন্তু সামনে থাকা ব্যাক্তি টাকে দেখে চোখ বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম।
রাতুল: তুই?
প্রমি রাতুলের চুল গুলো মুঠি করে ধরে টানতে টানতে নিয়ে যেতে লাগলো।
(প্রমি রাতুলের কাজিন সিস্টার)
রাতুল: আ সবাই দেখছে। কি করছিস? প্লিজ ছাড়।
প্রমি: তুই চুপিচুপি এগুলো করিস তাই না?
আজ খালামনিকে সব বলবো তো তোর কুকর্মের কথা।
সিগারেট খাওয়া ছুটাচ্ছি তোর।
(বেচারা রাতুল:3)
এদিকে রশ্নি ইয়াশকে এত খুঁজেও পাচ্ছে না।
তাই মেজাজটা পুরো বিগড়ে আছে।
রশ্নি: এমনিতে তো বাবা লোকনাথের মতো আমি যেখানে যাই সেও সেখানে গিয়ে হাজির হয়ে যায় আর এখন এত খুঁজেও পাচ্ছি না।
হঠাৎ পিছন থেকে কেউ রশ্নির চোখ নিজের হাত দিয়ে ঢেকে দিলো।
রশ্নি: আআআ বাঁচাও!! কিডন্যাপার!!!!!
ইয়াশ: শাট আপ!
রশ্নি: 😳
ইয়াশ: আমার direction ফলো করো।
ইয়াশ রশ্নির চোখে হাত রেখেই এগিয়ে যেতে লাগলো।
তারপর একটা জায়গায় এসে ইয়াশ থামলো।
দেন, হাত সরাল।
রশ্নি: উমা! আমি চোখে সব ঝাপসা দেখি কিনু😵
ইয়াশ রশ্নির মাথায় একটা টোকা মেরে দিলো।
ইয়াশ: সামনে দেখো।
ইয়াশের কথামতো রশ্নি সামনে তাকালো।
আর দেখতে আকাশে একসাথে অনেকগুলো বেলুন উড়ে যেতে দেখতে পেলো।
জেগুলোর সবটাতেই রশ্নির নাম লিখা।
কিছুক্ষন পর রশ্নি অনেক বড় একটা বেলুন আকাশে দেখতে পেলো। যেটার গায় লিখা “I purple you”
রশ্নি: আপনিও আর্মি হয়ে গিয়েছেন?😱😱
ইয়াশ: তোমার সাথে থাকতে থাকতে😅
রশ্নি গিয়ে ইয়াশকে টাইটলি হাগ করলো।
রশ্নি: I purple you too😘💜
(“Purple you” মানে হলো
“I will trust and love you for so long time)
ইয়াশও রশ্নিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
ইয়াশ: ভালোবাসি! (ফিসফিস করে)
রশ্নি: আমি বেশি বাসি।
ইয়াশ: না আমি।
রশ্নি: বললাম না আমি।
ইয়াশ: ওকে ফাইন! আমরা এটার সিদ্ধান্ত নিব খুবই ভয়ংকর একটা গেমএর দ্বারা।
রশ্নি: ইয়েস😤
ইয়াশ আর রশ্নি গেম টা খেলার জন্য নিজেদের নিজেদের পজিশনে দাঁড়িয়ে গেল।
রশ্নি: আর ইউ রেডি কো-আর্মি?
ইয়াশ: ইয়াহ।
রশ্নি: 3…2…1…
রশ্নি আর ইয়াশ দুইজন দুইজন সামনে এসে দাঁড়ালো।
দুইজন একসাথে: রক পেপার সিজার!
রশ্নি & ইয়াশ: 👋
রশ্নি: এ্যা আমরা দুজনেই পেপার?
ইয়াশ: দ্যাটস মিনস আমরা দুইজন দুইজনকে ইকুয়ালি লাভ করি।
রশ্নি: 🥰
হঠাৎ ইয়াশ সবার সামনে হাটু গেড়ে বসে পড়লো।
আর ওর হাতে একটা ছোট বক্স খুলে রশ্নির সামনে ধরলো। যেটার মধ্যে একটা ব্ল্যাক ডায়মন্ডের রিং
ইয়াশ: আমাকে আবার বিয়ে করবেন মিসেস চৌধুরী?
রশ্নি: করবো তবে একটা কন্ডিশন আছে।
ইয়াশ: কি কন্ডিশন?
রশ্নি: BT21 এর plushies কিনে দিতে হবে😁
ইয়াশ: আমি রাজি!
রশ্নি: তাহলেও আমারও আর আপনাকে আবার বিয়ে করতে কোনো আপত্তি নেই😎
ইয়াশ রশ্নিকে রিংটা পরিয়ে দিলো।
সবাই ওদের জন্য তালি বাজাচ্ছে।
রশ্নি: সাইকো!
ইয়াশ নিজের মুখটা রশ্নির কানের কাছে নিয়ে গিয়ে ফিসফিসিয়ে বললো–
#Your_psycho💜
.
.
.
★The end★