#বিষাক্তফুলের_আসক্তি পর্ব-১২
লেখনীতেঃ তাহমিনা তমা
কেটে গেছে আরো এক সপ্তাহ। তিতির এই এক সপ্তাহ হসপিটালেই ছিলো। তার সাথে ছিলো তাজ, তবে তাজের হসপিটালে থাকার উদ্দেশ্য ছিলো অন্য। তাজ নজর রেখেছে হসপিটাল আর রায়হানের উপর। হসপিটালে গোপন কিছু চলছে সেটা আন্দাজ করতে পারলেও সঠিক তথ্য পায়নি। এদিকে রায়হানের উপর নজর রেখে এটুকুও বুঝতে পেরেছে মৌ তাজের আশেপাশে থাকলে সেটা রায়হান ভালোভাবে নিচ্ছে না। কোনো না কোনো বাহানা দিয়ে তাদের আলাদা করার চেষ্টা করে। তিতিরের দেখাশোনার জন্য নার্স আছে তাই তার দিকে নজর দিতে হয়নি তাজের। আজ হসপিটাল থেকে বাড়ি নিয়ে যাবে, সেই প্রস্তুতি নিচ্ছে তাজ। তিতির বেডে হেলান দিয়ে বসে আছে আর তাজ বেডের পাশের টেবিল থেকে রিপোর্টগুলো গুছিয়ে নিচ্ছে।
তিতির ভাঙা গলায় বললো, নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ। কথাটা শুনেছেন স্যার।
তিতিরের গলা পুরোপুরি ঠিক হয়নি তবে কথা বুঝা যায়। তাজ তার কাছাকাছি থাকায় স্পষ্ট বুঝতে পারলো তিতিরের কথা।
তাজ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, মানে ?
তিতির মুচকি হেসে বললো, আমাকে কষ্ট দিতে চেয়েছিলেন ? আমি নিজেকে কষ্ট দিয়ে আপনাকে নাকানিচুাবানী খাইয়ে দিলাম।
তাজ ঘৃণার দৃষ্টিতে তাকালো তিতিরের দিকে, তারমানে তুমি ইচ্ছে করে এমন করেছো ?
তিতির হাসিটা বজায় রেখে বললো, তো আপনার কী মনে হয় ? ওয়াশরুমে ভূতে এসে আমাকে বাথটবে ফেলে রেখে গিয়েছিলো ?
তাজ গাল চেপে ধরলো তিতিরের, তোমার মতো চরিত্রহীন মেয়ের দ্বারাই এসব সম্ভব। আর আমি কিনা নিজেকে দোষারোপ করে অপরাধবোধে ভুগছিলাম। আই জাস্ট হেইট ইউ তিতির।
তাজ রেগে বের হয়ে গেলো তিতিরের কেবিন থেকে।
টলমলে চোখে সেদিকে তাকিয়ে রইলো তিতির, আপনি কোনো অপরাধ করেননি স্যার। তাই আপনার চোখে অপরাধবোধ দেখে নিজেকে আরো বেশি অপরাধী মনে হচ্ছিল। আজকে বলা কথাগুলোর জন্য আপনি হয়তো আরো বেশি ঘৃণা করবেন আমাকে, তবে নিজেকে তো অপরাধী মনে করবেন না। আপনার চোখে আমার জন্য অপরাধবোধ নয় ঘৃণা মানায়। আপনার ঘৃণা যে আমার আসক্তিতে পরিণত হয়েছে। আমি আর যে কয়েকদিন আপনার সাথে আছি, আপনার ঐ চোখে আমার জন্য তীব্র ঘৃণা দেখতে চাই কেবল। আমি যতদিন এই পৃথিবীতে শ্বাস নেই ততদিন যেনো আপনার চোখে আমার জন্য তীব্র ঘৃণা থাকে। আপনার ঘৃণা আমার আসক্তি। আপনার মনে আমার জন্য যদি একটুও মায়া তৈরি হয়, ভ,,ভালোবাসা তৈরি হয়, তার প্রকাশ যেনো হয় আমার মৃত্যুর খবরে আপনার চোখের দুফোঁটা নোনাজল।
তিতির চোখ বন্ধ করে নিলো। চোখের কোণ বেয়ে পড়ছে নোনাজল। কেবিনে কারো উপস্থিতি অনুভব করে চোখ মেলে তাকালো তিতির। মৌ এসেছে সাথে তিতিরের চিকিৎসা করা ডক্টর।
ডক্টর ইশরাক তিতিরের উদ্দেশ্যে বললো, নিজের প্রতি একটু যত্নশীল হন মিসেস খান।
মিসেস খান শব্দটা মৌয়ের বুকে তীরের মতো বিঁধল। এই ডাকটা শোনার অধিকার তো তার হওয়ার কথা ছিল। মৌ তিতিরের দিকে তাকিয়ে মলিন হাসলো। ইশরাক আরো কিছু কথা বলে চলে গেলো। মৌ এগিয়ে গেলো তিতিরের দিকে।
তিতির মৌয়ের দিকে তাকিয়ে বললো, আমার উপর তোমার অনেক রাগ তাই না আপু ?
মৌ মলিন হেসে বললো, সত্যি বলবো নাকি মিথ্যা ?
মিথ্যা শুনতে ইচ্ছে করছে না, সত্যিটা বলো।
মৌ বসলো তিতিরের পাশে চেয়ার টেনে, তাজকে আমি কবে থেকে ভালোবাসি সেটা আমি নিজেও জানি না। তবে এটুকু বলতে পারি, ভালোবাসা কী সেটা বুঝার আগে থেকে আমি তাজকে ভালোবাসি। বিয়ের আসরে তোমার কথা শুনে আমার সারা পৃথিবী থমকে গিয়েছিলো। নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছে করছিলো। এত ভালোবাসার প্রতিদান কী এমন হওয়ার কথা ছিলো ? কিন্তু সেদিন বাসায় গিয়ে তুমি যখন বললে তাজ নির্দোষ তখন তোমাকে খুন করতে ইচ্ছে করেছিল আমার। সেটাকে তুমি রাগ বলবে নাকি অন্যকিছু সেটা তোমার ইচ্ছে। কিন্তু পরবর্তীতে ঠান্ডা মাথায় তোমার বলা সব কথা চিন্তা করার পর বুঝতে পারি তুমি পরিস্থিতির স্বীকার। কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে, সেটা হয়তো তুমি চেয়েও সবার সামনে আনতে পারছো না। তারপর তোমার উপর থেকে রাগ চলে গেছে। তাজকে আমি ভালোবাসি আর শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত বাসবো। এখন কোনোদিন তাজ আমার হবে কি, হবে না। সেটা আমি নিজের ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছি। তাজ যদি আমার হয় তাহলে হাজার বাঁধা পেরিয়ে সে আমার হবে। আমার ভালোবাসা মিথ্যা কিংবা আবেগ নয় তিতির। আর যদি সে আমার না হয়,,,
মৌ কথা অসমাপ্ত রেখে বের হয়ে গেলো কেবিন থেকে। তিতির কাঁদছে, সে একজনের এতবছরের ভালোবাসায় আঘাত করেছে। নিজেকে আবর্জনা মনে হচ্ছে তাজ আর মৌয়ের জীবনের।
তিতির কাঁদতে কাঁদতে বললো, তাজ তোমার হবে আপু, হতেই হবে। তাজ তোমার ছিলো আর তোমারই থাকবে।
১৪.
সময় বহমান দেখতে দেখতে মাস পেরিয়ে গেছে। তিতিরের প্রতি তাজের ঘৃণা বেড়েছে। তিতির নিজেই সেটা তৈরি করেছে নতুন নতুন কারণ দিয়ে। তাজের মুখে আই হেইট ইউ শব্দটা তিতিরকে অদ্ভুত প্রশান্তি দেয়। তাজ যখন তার দিকে একরাশ ঘৃণা নিয়ে তাকায়, সেই দৃষ্টি বুকে লাগে তিতিরের। তিতির কখনো ভুলতে পারবে না তাজকে আর ভুলতে চায়ও না। কিছুদিন ধরে সবকিছু অনেক অস্বাভাবিক শান্ত মনে হচ্ছে তিতিরের কাছে। যেনো আবার কোন বড় ঝড় আসতে চলেছে তাদের দিকে।
তিতির এক কাপ চা দিয়ে যাও।
ইরিনার ডাকে চিন্তার জগৎ থেকে বের হয়ে এলো তিতির। এ বাড়িতে আছে প্রায় দেড় মাস হতে চললো। তাজ আর ইকবাল খানের চোখের বিষ বলা চলে তিতিরকে। কিন্তু ইরিনা প্রথমদিকে তিতিরকে এড়িয়ে চললেও এখন খানিকটা স্বাভাবিক ব্যবহার করার চেষ্টা করে। হয়তো একা একা থাকেন তাই তিতিরের সাথে টুকটাক কথা বলে নিজের একাকীত্ব কাটাতে চান। তিতির চা নিয়ে গেলো ইরিনার কাছে। ইরিনা বেলকনিতে বসে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে।
তিতির চায়ের কাপটা রেখে বললো, আপনার চা।
ইরিনা তিতিরের দিকে তাকিয়ে চায়ের কাপ হাতে নিলো, তোমাকে কেমন অসুস্থ দেখা যাচ্ছে। সারাদিনে কিছু খাওনি।
বেশ কিছুদিন ধরে তিতির অসুস্থ ফিল করছে, অস্বস্তি হচ্ছে, শরীরটাও দূর্বল লাগছে। আজ সকালে তো বমিও করেছে। প্রেশার আর গ্যাস্টিকের সমস্যা মনে হচ্ছে তার কাছে। খাবার খেতে ইচ্ছে করেনি তাই আর খায়নি।
তিতির নিচু গলায় বললো, গ্যাস্টিকের সমস্যা হয়েছে একটু।
ইরিনা সন্দেহাতীত ভাবে বললো, বেশি অসুস্থ ফিল করলে বলো আমাকে। এখন একটা মেডিসিন নিয়ে কিছু খেয়ে নাও।
তিতির মাথা নাড়িয়ে ঠিক আছে বুঝিয়ে ইরিনার রুম থেকে চলে এলো। তার খাবার দেখে বমি পাচ্ছে তাই আরো খেলো না। সে ছাঁদে চলে গেলো একটু ফ্রেশ বাতাস নিতে। পাখির কথা বড্ড মনে পড়ছে তার। শেষ কথা বলেছিলো আরো সাতদিন আগে। পাখির সাথে কথা বলার সময় রায়হান সবসময় তাদের মধ্যে থাকে। কখনো একা কথা বলার সুযোগ হয়নি। সেদিন কথা বলার পর রায়হানেরও কোনো খোঁজ নেই। তিতিরের কেমন ভয় ভয় করছে, কিছু তো একটা হতে চলেছে আবার।
***
বিয়েটা আমি করতে কারবো না বাবা, হতাশ গলায় কথাটা বলে বাবার দিকে তাকালো মৌ।
মহিবুল রহমান গম্ভীর গলায় বললো, কেনো করতে পারবে না ? রায়হান তোমার ছোটবেলার বন্ধু, দু’জন দু’জনকে বুঝবে। ছেলেটা তোমাকে ভালোবাসে, তাহলে প্রবলেম কোথায় ?
বাবা তুমি ভালো করেই জানো আমি তাজকে ভালোবাসি।
মহিবুল এবার কঠিন গলায় বললো, তাজ এখন বিবাহিত অন্যকারো স্বামী সেটা তুমিও ভালো করেই জানো।
মৌ অসহায় গলায় বললো, বাবা।
মহিবুল গম্ভীর গলায় বললো, বিয়েটা তুমি না করলে আমার মরা মুখ দেখবে। প্রত্যেক বাবার স্বপ্ন থাকে নিজের রাজকন্যাকে সাজিয়ে এক রাজপুত্রের হাতে তুলে দেওয়ার, আমারও আছে। এখন সিদ্ধান্ত তোমার উপর।
মহিবুল বের হয়ে গেলো মেয়ের রুম থেকে আর মৌ ধুপ করে বসে পড়লো নিজের বেডে। সে কিছুতেই তাজের জায়গা অন্য কাউকে দিতে পারবে না।
মৌ বিড়বিড় করে বললো, এটা তুই ঠিক করছিস না রায়হান।
***
কাবার্ড থেকে বাসায় পড়ার পোশাক বের করতে গিয়ে একটা ছোট ব্যাগ চোখে পরে আহানের। পাঁচদিন ধরে বড্ড বেশি উদাসীন হয়ে আছে সে। পাঁচদিন আগে রায়হান হঠাৎ হাজির হয় আহানের ফ্ল্যাটে। আহানের হাতে এই ব্যাগটা দিয়ে বলে আহান যেনো তার বলার সাথে সাথে পাখিকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। রায়হান অপেক্ষা করেনি, ব্যাগটা দিয়ে আবার চলে গিয়েছে। আহান কিছু না বুঝে রায়হানের দিকে কেবল তাকিয়ে ছিলো। পাখিকে ফিরিয়ে দিতে হবে ভাবতেই আহানের বুকের ভেতর কেমন করে উঠে। মেয়েটার মায়ায় জড়িয়ে গেছে সে। পারবে না তাকে ছাড়া থাকতে। পাখিকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা শুনে সেই ব্যাগের প্রতি আর আগ্রহ হয়নি আহানের। এখন চোখে পড়তেই ইচ্ছে হলো এটাতে কী আছে দেখার জন্য। আহান ব্যাগটা নিয়ে নিজের বেডে বসলো। ব্যাগ খোলে ভেতরের জিনিস দেখে ঠোঁটের কোণে হাসি ফোটে উঠলো আহানের। এটাতে পাখির পাসপোর্ট সহ যাবতীয় কাগজপত্র রাখা। আহান তাড়াতাড়ি পাসপোর্টটা নিয়ে খোললো। সবার আগে নামটা দেখলো, মানহা মাহমুদ পাখি। নামটা দেখে আহান থমকে গেলো।
মনে হচ্ছে স্পষ্ট স্বরে ছোট মেয়েলি কণ্ঠে বলছে, আহু আমার বোন হলে নাম রাখবো মানহা মাহমুদ পাখি।
সাথে সাথে ছোট একটা ছেলে বলছে, আর যদি বোন না হয়ে ভাই হয়।
নাহ আমার ভাই হবে না, আমার বোন চাই তাই বোন হবে। আমি আমার বোনকে পুতুলের মতো সাজিয়ে রাখবো, অনেক ভালোবাসবো।
বাহ্ ভালো তো তুতুলের বোন পুতুল। আমি ওকে পুতুল বলেই তাকবো। আমার কাছে বিয়ে দিবি তোর বোনকে ?
খানিকটা চিন্তা ভাবনার পর মেয়েটা উত্তর দিলো, নাহ তোর কাছে আমার বোনকে বিয়ে দিবো না। আমার বোন সবসময় আমার কাছে থাকবে। আমি দুইভাই দেখে বিয়ে করবো, বড় ভাইকে আমি বিয়ে করবো আর ছোট ভাইয়ের সাথে আমার বোনুর বিয়ে দিবো। তারপর সবসময় আমার বোনু আমার সাথে থাকবে।
আমরাও তো দুই ভাই রে বোকা, তুই ভাইয়াকে বিয়ে করে ফেলবি আর আমি তোর বোনুকে।
নাহ্ রাজ ভাইয়া পঁচা, আমি তাকে বিয়ে করবো না।
আমাকে বিয়ে করবি তুতুল।
তুই না বললি আমার বোনুকে বিয়ে করবি।
তুই আমাকে বিয়ে করলে অন্য কাউকে বিয়ে করবো না, গড প্রমিস।
তুই আগে ঠিক কর আমাকে বিয়ে করবি, নাকি আমার বোনুকে।
তোকে।
টপ করে চোখ থেকে নোনাজল গড়িয়ে পড়লে হুঁশ ফিরে আহানের। কত বছর হয়ে গেছে স্মৃতিগুলো আজও তরতাজা। মুখটা স্পষ্ট হয়ে গেছে স্মৃতিতে, তবে অনুভূতিগুলো সতেজ। শুধু মানুষটা হারিয়ে গেছে কোথাও।
আহান চোখ মুছে বললো, তোকে আমি মাফ করবো না তুতুল। তুই আমাকে একা ফেলে চলে গিয়েছিলি। এতো বছরেও তোকে ভুলতে পারিনি আমি।
আহান পাখির বাবা-মার নাম দেখে আরো একবার হোঁচট খেলো, আবির মাহমুদ ,সুলতানা পারভীন মামা মামী ? এজন্যই কী ভাইয়া বলেছিলো পাখি আমাদের আপন কেউ ?
আহান বিড়বিড় করে বললো, এক মিনিট তবে পাখির আপুনি তিতির, মুসকান মাহমুদ তিতির ?
আহানের সব হিসেব মিলে গেলো মুহুর্তে। পাখির আপুনি আর কেউ নয় মুসকান মাহমুদ তিতির।
খুশিতে চকচক করে উঠলো আহানের চোখদুটো, পাখির আপুনি তিতির আর কেউ নয় আমার তুতুল। পাখির পরিচয় খুঁজতে গিয়ে আমি আমার তুতুলকে পেয়ে গেছি। এতগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও অন্য কোনো মেয়েকে নিজের মনে জায়গা দিতে পারিনি রে তুতুল। পাখির মধ্যে হয়তো তোর ছায়া খোঁজে পেয়েছিলাম তাই ওর মায়ায় জড়িয়ে গেছি। এবার তোকে খোঁজে বের করবো আমি।
আহান হাসিমুখে নিজের চোখের পানি মুছে ফেললো। উঠে দাঁড়ালো পাখির কাছে যাওয়ার জন্য।
চলবে,,,,
(পরবর্তী পর্বে গল্পের নতুন মোড়। পরবর্তী পর্বে বুঝে যাবেন কার নায়িকা কে। একটা বোনাস পর্ব দেওয়ার চেষ্টা করবো, তবে কথা দিতে পারছি না। যারা আমার গল্প ভালোবাসেন তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আর অনেকেই আমার গল্প ফালতু, বাজে আরো অনেককিছু বলেছেন। তাদের আবারও বলছি আপনারা ভালো রাইটারের গল্প পড়ুন আমার গল্প থেকে দূরে থাকুন। আমি কাউকে দাওয়াত করে ডেকে আনিনি নি গল্প পড়তে, আর না কেউ আমাকে টাকা দিয়ে তারপর গল্প পড়েন। আবারও বলছি আমি ভিন্নতা পছন্দ করি, গতানুগতিক গল্পের মতো হবে না এটা। গল্পের এন্ডিং পর্ব আমি গল্পের প্রথম পর্বের সাথেই লিখে রেখেছি তাই যেমন ভেবেছি গল্পটা তেমনই হবে। সবাইকে ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর ঈদ মোবারক, হ্যাপি রিডিং।)