#বিষাক্তফুলের_আসক্তি পর্ব-২৩
লেখনীতেঃ তাহমিনা তমা
প্রচন্ড মাথা যন্ত্রণা নিয়ে পিটপিট করে তাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করলাম কোথায় আছি। আশেপাশে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম এটা হসপিটাল, পাশেই একজন নার্স দাড়িয়ে কিছু করছে। মনে করার চেষ্টা করলাম এখানে কীভাবে এলাম।
কুয়াশা ঘেরা সকাল দেখে একটু ঘুরতে ইচ্ছে হলো পাহাড়ি রাস্তায়। ইচ্ছেটাকে প্রাধান্য দিয়ে সবুজকে কিছু না বলেই গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যাই। ধীরে ধীরে গাড়ি চালাচ্ছিলাম আর আশপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম৷ হঠাৎ করেই লক্ষ্য করলাম গাড়ির গতি বাড়ছে, চেষ্টা করেও কমাতে পারছি না। তারপরই বড় ঝটকা খেলাম, ব্রেক কাজ করছে না। এমনি পাহাড়ি রাস্তা, তার উপর ব্রেক কাজ করছে না। কোনোভাবে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলাম না, তখনই সামনে দেখতে পাই একটা গাড়ি দাঁড় করানো। সেটা পাশ কাটিয়ে একটা গাছে ধাক্কা লাগে, মাথায় ব্যাথা অনুভব করি তারপর আর কিছু মনে নেই।
ধীর গলায় বললাম, নার্স।
২৮.
মিস্টার খানের জ্ঞান ফিরেছে শুনে হন্তদন্ত হয়ে কেবিনে গিয়ে বললাম, এখন কেমন লাগছে মিস্টার খান ?
তাজ ঘুরে তাকালো আহানের দিকে, জী আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু আপনি ?
নার্স বললো, স্যারই আপনাকে হসপিটালে নিয়ে এসেছেন।
তাজ প্রশ্নবোধক চাহনিতে তাকিয়ে বললো, স্যার ?
আহান মুচকি হেসে বললো, আমি আহান চৌধুরী। এই হসপিটালটা আমাদেরই বলতে পারেন।
আহানের বাকি কথা তাজের কানে গেলো না। শুধু আহান নামটাই মস্তিষ্কে তীব্র বেগে আঘাত করলো।
কাঁপা গলায় বললো, আহান চৌধুরী ?
আহান মলিন হেসে বললো, জি আপনি যাকে ভাবছেন সেই আহান চৌধুরী।
অস্থির হয়ে উঠলো তাজ, তি,,,তিতির কোথায় ? আমি জানি তিতির আপনার কাছেই আছে। আপনি আমার ছোট হবেন বয়সে, তবু হাত জোর করে বলছি বলুন তিতির কোথায় ? গত প্রায় ছয়টা বছর যাবত হন্নে হয়ে খোঁজে চলেছি ওকে।
তাজের অস্থিরতা দেখে বুক কেঁপে উঠলো আহানের। তাজের চোখমুখ বলে দিচ্ছে সে তিতিরের জন্য কতটা অস্থির হয়ে আছে। সত্যিটা জানলে মানতে পারবে তো ?
আহান নিজেকে সামলে বললো, আপনি আগে শান্ত হন। এখন এত উত্তেজনা আপনার শরীরের জন্য ঠিক নয়। মাথার ক্ষতটা খুব গভীর না হলেও উত্তেজিত হলে ক্ষতি হবে।
তাজ আগের মতো অস্থির হয়েই বললো, আমি একদম ঠিক আছি। আপনি দয়া করে তিতিরের কাছে নিয়ে চলুন আমাকে।
কথা শেষ করে তাজ বেড থেকে নামতে গেলে আহান দ্রুত এসে ধরে ফেলে, আরে আরে করছেন কী ? আপনি এখনো অনেক উইক, অনেকটা রক্ত বেরিয়ে গেছে শরীর থেকে। ডান হাতটা ভেঙে গেছে, আপনি প্লিজ শান্ত হন।
তাজ এতক্ষণে খেয়াল করলো তার ডানহাতে ব্যান্ডেজ করা। এদিকে আহান নিজের ভুল বুঝতে পারলো। এখনই তাজের সামনে আসা ঠিক হয়নি তার। কিন্তু এতোকিছু ভাবেনি সে। তাজ এতটা ডেস্পারেট হয়ে উঠবে বুঝতে পারেনি।
তাজ তবু একই কথা বললো, প্লিজ বলুন তিতির কোথায় ? আমি আর সহ্য করতে পারছি না এই অপরাধবোধের বোঝা।
আহান কী করবে বুঝতে পারছে না। তাজকে এখনই সবটা জানালে সেটা তাজের জন্য ক্ষতিকর হবে। এদিকে তাজকেও শান্ত করা প্রয়োজন।
আহান তাজের কাঁধে হাত রাখলো, আপনি শান্ত হন আগে। তিতির আমার কাছেই আছে। আপনি সুস্থ হয়ে উঠলেই নিয়ে যাবো আপনাকে।
তাজ যেনো হাতে চাঁদ পেলো, সত্যি বলছেন আপনি ?
আহান তাজকে আশ্বস্ত করে বললো, জী আমি সত্যি বলছি।
মনে মনে বললো, আমাকে মাফ করবেন মিস্টার খান। তিতির আমার কাছে থেকেও নেই। কিন্তু এই মুহুর্তে এটা আপনাকে জানানো যাবে না।
হন্তদন্ত হয়ে কেবিনে প্রবেশ করলো ইরিনা। তাজকে দেখে ডুকরে কেঁদে উঠলো, এসব কীভাবে হলো বাবা ?
আমি ঠিক আছি মা, প্লিজ কান্না করো না।
কে শুনে কার কথা ইরিনা ছেলেকে জড়িয়ে কাঁদতে লাগলো। তাজের এক্সিডেন্টের কথা শুনে তাদের দুনিয়া অন্ধকার হয়ে গিয়েছিলো। ফ্লাইট পেতেই চলে এসেছে। এবার কেবিনে ঢুকলো সবুজ আর ইকবাল।
ইকবাল ভেজা গলায় বললো, এসব কীভাবে হলো তাজ ?
দুজনেই অস্থির হয়ে উঠলো তাজকে নিয়ে। তাজ যে তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। তাজ বাবা-মাকে বুঝাতে লাগলো সে ঠিক আছে। ইকবাল সবু্জকে ইচ্ছে মতো বকলো তাজকে একা ছাড়ার জন্য। একপাশে দাঁড়িয়ে আহান সবই দেখছে। চোখে নোনাজলের আনাগোনা দেখা গেলো তার।
মনে মনে বললো, সবার জীবনে কিছু শূন্যতা থেকেই যায়। মাকে বড্ড মনে পড়ছে আজ আহানের। সেই সাথে বাবার প্রতি হচ্ছে তীব্র ঘৃণা। চোখ মুছে নিলো আহান।
কেবিন থেকে বের হওয়ার জন্য পা বাড়াতেই তাজ বলে উঠলো, মা তিতিরকে পেয়ে গেছি আমি।
তাজের এক কথায় চমকে উঠলো সবাই। কেবিনে পিনপতন নীরবতা বিরাজ করছে।
ইরিনা কাঁপা গলায় বললো, ক,,কোথায় পেয়েছিস তুই তিতিরকে ?
আহানকে দেখিয়ে তাজ বললো, তিতির আহানের কাছে আছে মা। আহান তিতিরের কাজিন।
ইকবাল আর ইরিনা দুজনেই তাকালো আহানের দিকে। আহানের আর পা বাড়ানো হলো না। সে জায়গাতেই স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। সবার দৃষ্টি এখন তার দিকে।
ইরিনা এগিয়ে এলো আহানের দিকে, তিতির তোমার কাছে ?
টলমল চোখে ইরিনার দিকে তাকালো আহান, সময় হলে সব জানতে পারবেন আপনারা। আপাতত আমাকে যেতে হবে এখন।
কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে বের হয়ে গেলো আহান। রেখে গেলো কয়েক জোড়া কৌতূহলী চোখ। আহান অস্থিরতা নিয়ে বাড়ির দিকে ছুটলো। সবুজের থেকে তাজের গত পাঁচ বছরের জীবনযাপনের সম্পর্কে জেনেছে আহান। সন্ধ্যা পেরিয়ে বাড়িতে পৌঁছালো সে। সোজা চলে গেলো তিতিরের কবরের কাছে।
তুই যে বলেছিলি তাজ তোকে ভালোবাসে না। তবে কেনো তোর জন্য এতো অস্থিরতা তার ? এবার কীভাবে সবটা বলবো আমি তাকে ? সে তো তোর আশায় বসে আছে এখনো। বিয়ে পর্যন্ত করেনি তোর আর তোদের সন্তানের আশায়। তুই সত্যি স্বার্থপর রে তুতুল।
তাজ একাই আছে এখন কেবিনে। তিতিরের দেখা পাওয়ার জন্য ছটফট করছে৷ হঠাৎ তাজের মনে হলো নিজের সন্তানের কথা। তিতিরের খোঁজ পাওয়ার খুশিতে বাচ্চার কথা ভুলেই গিয়েছিলো তাজ। আহানকে বাচ্চার কথা জিজ্ঞেস করতে মনেই নেই। নিজের কান্ডকারখানায় নিজেই হতভম্ব হয়ে গেলো তাজ। বাচ্চাটার জন্য অস্থির হয়ে ছিলো সে আর তিতিরের খোঁজ পেয়ে বাচ্চার কথা মনেই নেই তার। এটা কীভাবে সম্ভব ? আহান তো বললো তিতির তার কাছেই আছে। তারমানে তিতির ভালো আছে, সুস্থ আছে আর বাচ্চাটা ? এত প্রশ্নের ভীড়ে মাথা ব্যাথা করছে তাজের। চোখ বন্ধ করে শুয়ে ভাবতে লাগলো কীভাবে তিতিরের কাছে মাফ চাইবে। একসময় ঘুমিয়ে পড়লো তাজ।
২৯.
দু’দিন হসপিটালের বেতে ছটফট করে কাটালো তাজ। আহান আড়াল থেকে তাজের খোঁজ খবর নিয়েছে কিন্তু সামনে যায়নি। আবার তিতিরের কথা জানতে চাইলে কী উত্তর দিবে সে ? নার্স জানালো তাজ তাকে খোঁজছে বারবার কিন্তু আহান নিরুপায়৷ তাজের এই অবস্থায় এমন একটা ধাক্কা সহ্য করতে পারবে না।
দু’দিন পর তাজকে আর হসপিটালে রাখা গেলো না। হসপিটাল থেকে আহানের ঠিকানা নিয়ে মাহমুদ ভিলার উদ্দেশ্যে রওনা হলো। সাথে আছে সবুজ, ইকবাল আর ইরিনা হোটেলে আছে। গাড়ি ড্রাইভ করছে সবুজ।
হঠাৎ তাজ বলে উঠলো, আমার ভয় করছে সবুজ।
অবাক হয়ে তাজের দিকে তাকালো সবুজ। তাজের মুখে ভয় শব্দটা তার কাছে পৃথিবীর আরেকটা আশ্চর্যের বস্তু মনে হলো। তাজ আর ভয় শব্দটা ঠিক মেলাতে পারছে না সবুজ। তার হঠাৎ মনে হলো, মাত্র দু’দিন আগে এক্সিডেন্ট করেছে তাই হয়তো গাড়িতে ভয় লাগছে।
সবুজ বললো, স্যার আমি সাবধানে চালাচ্ছি গাড়ি।
তাজের কপালে বিন্দু বিন্দু ঘামের আনাগোনা দেখা গেলো, তিতিরের সামনে কীভাবে দাঁড়াবো আমি সবুজ ?
সবুজ এতক্ষণে বুঝতে পারলো তাজের ভয়ের কারণ। সাথে অনেকটা অবাক হলো, তাজের মতো মানুষও বউকে ভয় পায়। যার তীক্ষ্ণ চাহনিতে মানুষের কাপড় নষ্ট হওয়ার অবস্থা হয়, সে নাকি বউয়ের সামনে দাঁড়াতে ভয় পাচ্ছে। আনমনে হাসলো সবুজ।
স্যার আমার কাছে একটা বুদ্ধি আছে।
তাজ আগ্রহ নিয়ে বললো, কী বুদ্ধি ?
স্যার কিছু না ভেবে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলবেন সরি আর আই লাভ ইউ।
সবুজের কথা শুনে সরু চোখে তাকালো তাজ। সবুজ ঢোক গিলে বললো, স্যার আমি এটাই করি তাই বললাম।
তাজ দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বললো, তোমাদের মতো আমাদের সম্পর্কেটা স্বাভাবিক নয় সবুজ।
গাড়িতে আর কোনো কথা হলো না। তাজ নিজের ভাবনায় ডুবে গেলো। আজ সে তিতিরের কাছে মাফ চেয়ে তাকে ফিরে চাইবে নিজের জীবনে। নতুন করে সূচনা করবে জীবনের। অতীতের সব বিষাক্ততা ভুলে এক মুগ্ধতার সম্পর্ক তৈরি করবে।
স্বপ্নগুলো যখন এক ঝটকায় ভেঙে গুড়িয়ে যাবে কী অবস্থা হবে তাজের ? গাড়ি যত এগিয়ে যাচ্ছে তাজের হার্টবিট তত ফাস্ট হচ্ছে। সবুজও হয়তো পাশে বসে স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে সেই শব্দ।
গাড়ি এসে থামলো মাহমুদ ভিলার সামনে। তাজ জানলা দিয়ে তাকালো বাড়িটার দিকে। বেশ পুরনো রাজকীয় ডিজাইনের বাড়িটা। গেইটের সামনে দেয়ালে সুন্দর করে পাথরে খোদাই করে লেখা “মাহমুদ ভিলা” তার নিচে লেখা “তিতিরপাখির নীড়”। তাজ নেমে গেলো গাড়ি থেকে। তিতির লেখাটা আলতো ছুঁয়ে দিলো। দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে গেইটে টোকা দিলে দারোয়ান গেইট খোলে দিলো।
কাকে চাই ?
আহান চৌধুরীর সাথে দেখা করতে এসেছি, উনাকে বলুন তাজওয়ার খান তাজ এসেছে তাহলেই চিনতে পারবেন।
সবুজ ততক্ষণে গাড়ি রাস্তার পাশে পার্ক করে তাজের পিছনে এসে দাড়ালো।
দারোয়ান গেইট ছেড়ে দাঁড়িয়ে বললো, ভেতর আসুন।
দারোয়ান ভেতরে গেলো আহানকে জানাতে তাজের আসার খবর। তাজ আর সবুজ গেইটের সামনেই দাঁড়িয়ে আছে। তাজ আশপাশটা নজর বুলিয়ে দেখে নিচ্ছে।
ধ্রুব আমি কিন্তু খেলবো না, তুমি বল করছো না ভালো করে।
ধ্রুব পূর্বের মতো ভাঙা বাংলায় বললো, আমি তো ভালো করেই করছি মাম্মাম। তুমি খেলতে পারো না তাই বল দেখতে পাও না।
ধ্রুবর আওয়াজ কানে যেতেই বুকটা কেঁপে উঠলো তাজের। আওয়াজের উৎস খোঁজে এগিয়ে গিয়ে দেখতে পেলো বাগানের এপাশে গাছের ছায়ায় একটা মেয়ে আর একটা বাচ্চা ছেলে ক্রিকেট খেলছে। বাচ্চাটার মুখ দেখা যাচ্ছে না। মেয়েটার হাতে ব্যাট আর বাচ্চাটার হাতে বল। তাজ কাঁপা পায়ে এগিয়ে গেলো সেদিকে। বুকের ভেতর তোলপাড় হচ্ছে তার। একটু কাছে গেলে পাখিকে চিনতে পারলো তাজ।
ধ্রুব বল করতেই পাখি আউট হয়ে গেলো এবার।
ধ্রুব হাত তালি দিয়ে লাফাতে লাফাতে বললো, মাম্মাম আউট, মাম্মাম আউট।
পাখি আমতা আমতা করে বললো, নো নো আমি আউট না।
ধ্রুব গাল ফুলিয়ে বললো, তুমি চিটিং করছো আমি খেলাবো না।
ধ্রুব উল্টোদিকে ফিরে গেলো। এবার ধ্রুবর মুখ দেখতে পেলো তাজ। মুহূর্তে শ্বাস আটকে এলো তাজের। অবিকল তিতিরের মুখটাই যেনো দেখতে পেলো ধ্রুবর মাঝে। কোনো ভুল করে তাজের বকা খেলে গম্ভীর তিতিরটাও তো এভাবে গাল ফুলাতো। তাজের পা কাঁপছে, হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে তার। নিজের সাথে যুদ্ধ করে এগিয়ে গেলো তাজ। হাটু গেড়ে বসলো ধ্রুবর সামনে। হঠাৎ তাজকে দেখে খানিকটা চমকে উঠলো ধ্রুব। তবে ভয় পেলো না, অদ্ভুত চাহনিতে দেখছে তাজকে। এই মুখটা তো ধ্রুব দেখেছে কোথাও। ছোট্ট মস্তিষ্কে চাপ দিয়ে ধ্রুব মনে করার চেষ্টা করলো তাজকে কোথায় দেখেছে ধ্রুব। তাজকে মোটেও অচেনা লোক লাগছে না ধ্রুবর কাছে। তাই ভয় পেয়ে সরেও যাচ্ছে না।
তাজ হুট করে বুকে জড়িয়ে নিলো ধ্রুবকে। ছোট্ট ধ্রুব কিছু না বুঝে ঘাপটি মেরে পরে রইলো তাজের বুকে। ধ্রুবকে বুকে নিয়ে তাজের বুকে যেনো প্রশান্তির বাতাস বয়ে গেলো। ধ্রুব তখনো ব্যস্ত তাজকে চেনার।
হঠাৎ করেই অস্পষ্ট গলায় বললো, বাবা।
হ্যাঁ ধ্রুব চিনতে পেরেছে তাজকে। প্রতিদিনই তো তাজ আর তিতিরের ছবি দেখে সে৷ তার বাবা-মা বলেই তো পরিচয় করিয়ে দেয় আহান। ধ্রুবর মুখে বাবা ডাকটা যেনো তাজের পুরো পৃথিবী নাড়িয়ে দিলো। পুরো শরীর থরথর করে কাঁপছে তার। এতগুলো বছরের অপেক্ষার ফল এখন তার বুকে। এ অনুভূতি হয়তো পৃথিবীর অন্য কিছু দিয়ে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
চলবে,,,,