#বিষাক্তফুলের_আসক্তি পর্ব-১০
লেখনীতেঃ তাহমিনা তমা
হসপিটালের করিডোরে বসে আছে তাজ। আজ সাতদিন যাবত এখানেই আছে। তিতিরকে যখন হসপিটালে আনা হয় তার জীবন প্রদীপ নিভু নিভু করছে। তেল শেষে প্রদীপ যেমন নিভু নিভু করে তিতিরের অবস্থাও তেমনই ছিলো। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ আর ঠান্ডার জন্য অবস্থা অনেক বেশি খারাপ হয়ে যায়, এখনো বিপদ কাটেনি। জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত ডক্টর কিছু আশ্বাস দিতে পারছে না। তিতিরের হয়তো জীবনের হিসাব কিছু বাকি আছে তাই মরে মরে বেঁচে গেছে। তার বেঁচে থাকাও ডক্টরদের কাছে বিস্ময়। কাঁধে হাতের স্পর্শ পেয়ে ফিরে তাকালো তাজ। মৌকে দেখে আবার সামনে তাকালো।
মৌ দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বললো, বাসায় যাও একটু রেস্ট নিয়ে এসো।
তাজ নির্বিকার গলায় বললো, আমি মেয়েটাকে কষ্ট দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু এভাবে নয় মৌ। ওর কিছু হয়ে গেলে নিজেকে কখনো মাফ করতে পারবো না।
মৌ শান্ত গলায় বললো, ওর কিছু হবে না তাজ। তুমি চিন্তা করো না।
অপরাধবোধ আমাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। আমার জন্য একটা মেয়ে আজ সাতদিন ধরে মৃত্যুর সাথে লড়ছে। এটা আমি কিছুতেই মানতে পারছি না। একবার চিন্তা কর, আমি প্রতিশোধের নেশায় কতটা অমানুষ হয়ে গিয়েছিলাম। মেয়েটা যখন আধমরা হয়ে বাথটবে পরে ছিলো আমি তখন ওর কথা চিন্তা না করে ভেবেছিলাম ও মরে গেলে আমি মার্ডার কেসে ফেঁসে যাবো।
মৌ কী বলবে খোঁজে পাচ্ছে না। সেদিন ডাক্তার যখন জানালো তিতিরের অবস্থা অনেক খারাপ, বাঁচানো যাবে কিনা বলা যাচ্ছে না। তখন থেকেই তাজ অপরাধবোধে ভুগছে। তখন তার হুঁশ ফেরে সে কতটা অমানুষে পরিণত হয়েছে।
তাজ সোজা হয়ে মৌয়ের দিকে তাকিয়ে বললো, মৌ বিশ্বাস কর আমি মেয়েটাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চাইনি। ও আমাকে যেমন মানসিক কষ্ট দিয়েছে সেটা ওকে বুঝানোর জন্য মানসিক কষ্ট দিতে চেয়েছিলাম।
মৌ কিছু বলবে তার আগেই একজন নার্স এসে বললো, রোগীর জ্ঞান ফিরেছে। ডাক্তার আপনাকে যেতে বলেছেন।
মৌ আর তাজ চমকে তাকালো নার্সের দিকে। তাজ কিছু না ভেবে উঠে তিতিরের কেবিনের দিকে পা বাড়ালো। মৌ তাজের পিছনে যেতে গেলে রায়হান হাত টেনে ধরলো পেছন থেকে।
মৌ পেছন ফিরে নিজের হাতের দিকে তাকালো যা আপাতত রায়হানের দখলে। মুখ তুলে তাকালো রায়হানের দিকে।
রায়হান বললো, তুই কোথায় যাচ্ছিস ?
মৌ বললো, তিতিরের কেবিনে।
রায়হান বিরক্ত গলায় বললো, তুই কী কিছুই বুঝিস না মৌ। ওরা হাসবেন্ড ওয়াইফ এখন ওদের একা ছাড়া উচিত।
মৌ ভ্রু কুঁচকে তাকালো রায়হানের দিকে। এই ছেলে গত সাতদিন ধরে তাকে বিভিন্নভাবে বুঝাতে চাইছে তাজ মেনে নিয়েছে মৌকে। কারণটা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না মৌয়ের তবু সে চুপ আছে। কারণ সে তো জানে তাজের এই অস্থিরতা কেবল অপরাধবোধ থেকে।
মৌ বিরক্ত গলায় বললো, আমি বাচ্চা না রায়হান। আমাকে বুঝানোর প্রয়োজন নেই কোনটা ঠিক কোনটা ভুল।
রায়হান গম্ভীর গলায় বললো, এবার তোর উচিত তাজ আর তিতিরের জীবন থেকে সরে যাওয়া।
মৌ দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বললো, কে কার জীবন থেকে সরবে সেটা তো সময় বলে দিবে।
মৌ রায়হানের হাত থেকে নিজের হাত সরিয়ে তিতিরের কেবিনের দিকে গেলো। রাগে চোখমুখ লাল হয়ে উঠলো রায়হানের। গত সাতদিন তাজ আর মৌ প্রায় সবসময় একসাথেই ছিলো হসপিটালে। রায়হানের এখন ইচ্ছে করছে তিতিরকে মেরেই ফেলতে। সে তাজ আর মৌকে দূরে সরানোর পরিবর্তে আরো কাছাকাছি আনছে।
রায়হান বিড়বিড় করে বললো, যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে। তাজ মৌয়ের থেকে দূরে না সরলেও মৌয়ের বাবা-মার মনে তার জায়গা নষ্ট হয়েছে। সেটাই কাজে লাগাতে হবে।
রায়হান এসব চিন্তা করে সেও মৌয়ের পিছনে চলতে লাগলো। মৌ কেবিনে গিয়ে দেখলো তাজ ডক্টরের সাথে কথা বলছে আর তিতির শূন্য দৃষ্টিতে উপরের সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে আছে।
মৌ তিতিরের পাশে বসে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো, কেনো এভাবে কষ্ট পাচ্ছো ? শুধু আমাদের কষ্ট দিতে গিয়ে নিজেও তো কম পাচ্ছো না। বলে দাও না সত্যিটা সবার সামনে।
তিতির ঘুরে তাকালো মৌয়ের দিকে দূর্বল গলায় বললো, আমার জীবনের চেয়ে অন্য একটা জীবন অনেক বেশি দামী আমার কাছে। সেই জীবনটাকে বাঁচিয়ে রাখতে নিজের জীবন দিতেও রাজি। ওপারে গিয়ে বাবা-মার সামনে মাথা উচু করে বলতে পারবো আমি আমার দ্বায়িত্ব পালন করেছি। আর নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে তার কিছু হয়ে গেলে এখনো আয়নায় নিজের সাথেই চোখ মেলাতে পারবো না। সেই মুহূর্ত আমি চাই না আপু।
ঠোঁট নড়লেও গলা দিয়ে আওয়াজ আসছে না তার। গলার ব্যাথায় দম বন্ধ হয়ে আসছে। মৌ কিছুই শুনতে পায়নি তার কথা।
মৌ বললো, আমি বুঝতে পারছি না তোমার কথা।
মৌয়ের কথা খেয়াল করে ডাক্তার বললো, অনেক সময় ঠান্ডা পানিতে ভিজে থাকার কারণ গলার এই অবস্থা। আওয়াজ ঠিক হতে সময় লাগবে। উনাকে কথা বলতে বাধ্য করবেন না ডক্টর মৌ। কথা বলতে উনার অনেক কষ্ট হচ্ছে।
ডক্টরের কথা শুনে চুপ করে গেলো মৌ। তাজ তাকালো তিতিরের দিকে। সাত দিনে শুকিয়ে অর্ধেক হয়ে গেছে। গলার হাড়গুলো দেখা যাচ্ছে। তাজ গোপনে দীর্ঘ শ্বাস ছাড়লো। মেয়েটাকে সে সবসময় দেখেছে গোছানো, পরিপাটি। আজ কেমন বিধস্ত দেখাচ্ছে। জীবন মৃত্যুর লড়াইয়ে জিতে গিয়েও কেমন উদাসীন। দরজায় দাঁড়িয়ে লাল চোখে তিতিরের দিকে তাকিয়ে আছে রায়হান। তার মনে কোনো মায়াদয়া হচ্ছে না তিতিরের জন্য। মেয়েটা মরে গেলে তার সব খেলা নষ্ট হয়ে যেত সেটা ভাবতেই রাগ হচ্ছে তার উপর। রায়হান সরে গেলো দরজা থেকে। সে অপেক্ষা করছে তিতিরকে একা পাওয়ার।
একটু পর ইরিনা এসে হাজির হলো, ইকবাল আসেনি সে অফিসে।
ইরিনা তিতিরকে দেখে ডক্টরের উদ্দেশ্যে বললো, বাচ্চাটার কী অবস্থা ডক্টর ?
ইরিনার কথা শুনে থতমত খেয়ে গেলো ডক্টর। এদিকে মৌ আর তাজ অবাক চোখে একবার ইরিনার দিকে তো একবার ডক্টরের দিকে তাকাচ্ছে।
ইরিনা বললো, এতদিন ওর জীবন নিয়েই টানাটানি ছিলো তাই এটা আর জিজ্ঞেস করা হয়নি।
ডক্টর আমতা আমতা করে বললো, মিসক্যারেজ হয়ে গেছে উনার।
তাজের এসব নিয়ে ঝামেলা করার ইচ্ছে হলো না, তাই কিছু বললো না। মৌ অবাক চোখে তাকিয়ে আছে ডক্টর ইশরাকের দিকে। এই ডক্টরও মিথ্যা বলবে ভাবেনি মৌ। তবে মৌও কিছু বললো না।
তিতির মনে মনে বললো, আমার এই অবস্থায় নিজের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ভুল করলেন না মিস্টার রায়হান চৌধুরী। অবশ্য ভালোই হলো আরো একটা মিথ্যা নাটক আমাকে করতে হলো না। রায়হান চৌধুরী আপনার পাপের পরিমাণ আকাশ ছুঁতে চলেছে। পাপের শাস্তি আপনাকে পেতে হবে, কঠিন শাস্তি।
ইরিনা তিতিরের মাথায় হাত রেখে বললো, যাক মেয়েটা তো বেঁচে গেছে।
তিতির তাকালো তাজের দিকে। তাজের দৃষ্টিও তিতিরে সীমাবদ্ধ। তিতির ব্যাকুল হয়ে একটু ঘৃণা খুঁজলো তাজের চোখে। কিন্তু আজ তাজের দৃষ্টিতে কেবলই অপরাধবোধ।
তিতির মনে মনে আওড়ালো, আপনার চোখের ঘৃণা দৃষ্টি আমার আসক্তি। আমার জন্য আপনার চোখে কেবলই ঘৃণায় দেখতে চাই আমি অন্যকিছু নয়। আপনার ঘৃণা যে আমার আসক্তিতে পরিণত হয়েছে। আপনার জীবনের এই বিষাক্তফুলের আসক্তি আপনার ঘৃণা।
১২.
মনে হচ্ছে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে কেউ তাকিয়ে আছে, প্রচন্ড অস্বস্তি নিয়ে চোখ মেলে তাকালো তিতির। তার ধারণাই সঠিক। রায়হান দাঁড়িয়ে আছে তার সামনে, দৃষ্টি তার দিকে। তিতির আশেপাশে চোখ বুলিয়ে বুঝতে পারলো কেবিনে কেউ নেই। তিতিরকে মৌয়ের কাছে রেখে তাজ তার মায়ের সাথে বাড়ি ফিরেছে। হসপিটালে থাকতে থাকতে সেও ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলো।
রায়হান বাঁকা হেসে বললো, কেমন আছিস বোন ?
তিতির ঘৃণায় চোখমুখ কুঁচকে ফেললো। রায়হান হুট করে তিতিরের গাল চেপে ধরলো শক্ত করে।
চিবিয়ে চিবিয়ে বললো, তোকে আমি যে কাজে তাজের কাছে পাঠিয়েছি তুই তার উল্টো কাজ করছিস। তোর জন্য যদি আমার পরিকল্পনা বিফলে যায় তোদের দু’বোনকে কেটে টুকরো টুকরো ফেলবো আমি।
ভয়ে রক্তশূণ্য হয়ে গেলো তিতিরের মুখমন্ডল। বারবার মাথা নাড়িয়ে পাখির ক্ষতি করতে না বুঝালো। হাত জোর করলো রায়হানের সামনে। রায়হান তিতিরের গাল ছেড়ে কাটা হাত চেপে ধরলো। সেখানে ইনফেকশন হয়েছে ঠিক হতে সময় লাগবে। ব্যাথায় কুঁকড়ে গেলো তিতির।
আজ তুই মরে গেলে আমার পুরো খেলাটা গন্ডগোল হয়ে গেলো। আমার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তুই মরতেও পারবি না তিতির। তুই মরে গেলে আমি তোর বোনের জীবন নরক করে দিবো। বেঁচে থেকেও ধুঁকে ধুঁকে মরবে। তোর অবুঝ বোনটাকে মানুষ রুপী হয়নার দল ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাবে। কথাটা মাথায় ঢুকিয়ে নে ভালো করে, তুই মরার আগেও আমার অনুমতি নিতে হবে তোকে।
রায়হান হনহনিয়ে বের হয়ে গেলো কেবিন থেকে। ডুকরে কেঁদে উঠলো তিতির। নিজের নিয়তির উপর কেবলই ধিক্কার আসছে তার। নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় মানুষ মনে হচ্ছে। মৌ কেবিনে এসে তিতিরকে কাঁদতে দেখে দ্রুত এগিয়ে এলো।
তিতিরের মাথায় হাত রেখে বললো, কী হয়েছে তুমি কাঁদছো কেনো ?
তিতির কিছু না বলে কেবল কান্না করে যাচ্ছে। মৌ কিছু বুঝে উঠার আগেই তিতিরের পাশে পরে থাকা একটা জিনিস তার চোখে পড়লো। জিনিসটা চিনতে অসুবিধা হলো তা মৌয়ের। কারণ এটা তার নিজের কেনা। মৌ একটু হিসাব করতেই দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে ফেললো। তিতিরকে আর কিছু জিজ্ঞেস না করে মাথায় হাত বুলিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করতে লাগলো। মৌয়ের অজানা কারণে রাগ কাজ করে না তিতিরের উপর। মৌ এটুকু বুঝতে পেরেছে তিতির নিরুপায়, সে বাধ্য হচ্ছে এসব করতে। তাই রেগে থাকতে পারেনি তিতিরের উপর। তিতির কাঁদতে কাঁদতে একসময় ঘুমিয়ে পড়লো আবার। তিতির ঘুমিয়ে যেতেই জিনিসটা হাতে নিয়ে মৌ বেরিয়ে পড়লো জিনিসটার মালিকের উদ্দেশ্যে। মৌ যেনো একটু একটু করে হিসাবটা মিলাতে শুরু করেছে।
বাড়ি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে একটু ঘুম দিয়েছিলো তাজ। তখনই ফোনের আওয়াজে ঘুম ভেঙে গেলো। বিরক্তি নিয়ে তাকালো ফোনের দিকে। নাম্বারটা দেখে তাড়াতাড়ি রিসিভ করলো।
রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে বলে উঠলো, স্যার নাম্বারের ডিটেইলস পাওয়া গেছে।
ঠিক আছে আমি এখনই আসছি।
রেস্ট নেওয়া আর হয়ে উঠলো না তাজের। কোনরকমে শার্টটা গায়ে জড়িয়ে বের হয়ে গেলো ফার্ম হাউসের উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে হয়তো জীবনের দ্বিতীয় ধাক্কা খেতে চলেছে সে। সহ্য করতে হয়তো অনেকটা বেগ পেতে হবে।
এদিকে রায়হানকে লুকিয়ে পাখির সব ইনফরমেশন বের করার চেষ্টা করছে আহান। এই কয়েকদিনে মেয়েটার পাগলামো তার হৃদয় ছুয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। মেয়েটা যা করে তাতেই যেনো মুগ্ধ হয় আহান। এই কয়েকদিনের কষ্টের ফল হিসাবে বাংলাদেশ থাকা তার এক বন্ধু তাকে কিছু ইনফরমেশন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। তার ফোনের অপেক্ষায় বসে আছে আহান। সামনে পাখি পুতুল নিয়ে খেলছে।
পাখি হঠাৎ বললো, আহান তোমার পুতুলের সাথে আমার পুতুলের বিয়ে দিবে ?
পাখির কথায় আহানের ঘোর কাটলে মুচকি হাসলো, আমার তো পুতুল নেই।
পাখি ঠোঁট উল্টে বললো, তোমার পুতুল নেই কেনো ?
আমাকে তো কেউ পুতুল কিনে দেয়নি।
আমার কাছে একটা বয় পুতুল আছে সেটা তোমাকে দেবো। তারপর আমার পুতুলের সাথে তোমার পুতুলের বিয়ে দিবো।
আহান দুষ্টু হেসে বললো, বিয়ে দিলে কী হবে ?
পাখি খিলখিল করে হেসে বললো, এ মা তুমি দেখি অনেক বোকা। তুমি জানো না বিয়ে দিলে একসাথে ঘুমাতে পারবে, তাহলে আর ভয় পাবে না কেউ। আপুনি বলেছে বিয়ে হলে একসাথে ঘুমানো যায় তাই ভূত আসতে পারে না।
আহান ঠোঁটের কোণে হাসিটা বজায় রাখলো, আমাকে বিয়ে করবে তুমি ? আমরাও একসাথে থাকবো তাহলে, একসাথে ঘুমাবো। আমি তো ভূতে ভয় পাই অনেক।
পাখি অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকালো আহানের দিকে। আহান আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে পাখির উত্তরের অপেক্ষায়।
পাখি খানিকটা সময় চিন্তা করে বললো, আমি তো রিদুকে বিয়ে করবো। তুমি জানো রিদু অনেক কিউট। আমি রিদুকে বিয়ে করে আমার কাছে রাখবো সবসময়। তুমিও কিউট কিন্তু আমি তো রিদুকে বিয়ে করবো বলেছি আপুনিকে।
আহান ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে পাখির দিকে। সে বুঝার চেষ্টা করছে এই রিদু আবার কে। পাখি কথা শেষ করে নিজের মতো খেলতে লাগলো। আহান কিছু জিজ্ঞেস করবে তার আগেই ফোন বেজে উঠলো। স্কিনে বাংলাদেশের সেই বন্ধুর নাম্বার দেখে ফোন নিয়ে অন্যদিকে চলে গেলো।
চলবে,,,,