তোমাকে বলার ছিল পঞ্চদশ পর্ব

0
388

তোমাকে বলার ছিল
পঞ্চদশ পর্ব
লেখনীতে অনিমা হাসান

তৃণার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে I ও বুঝতে পারছেনা এখন কি করবে I তৃণা আশেপাশে তাকিয়ে ওর মোবাইলটা খুজলো I তখনই মনে পড়লো এখানে আসার আগেই মোবাইলটা টেবিলের উপর রেখে এসেছে I এখন উঠে নিয়ে আসা সম্ভব নয় I তাছাড়া মোবাইল থাকলেও এই অবস্থাতে কাউকে ফোন করতে পারত না I ফোনটাই বা কাকে করবে I হিয়ার নাম্বারে কানেকশন পাওয়া যাচ্ছে না I সুলতানা আন্টিকে ফোন করা যায় I উনি নিশ্চয়ই সাহায্য করবেন I কিন্তু বড় চাচা, দাদি এরা থাকতে উনি কি বা করবেন I যা করার নিজেকেই করতে হবে I তৃণার মনে হল এখন তো শুধু আংটি পড়াবে বিয়ে তো আর পড়াচ্ছে না I বিয়ের সময় ও ঠিকই বেকে বসবে I এটা ভেবে যাও একটু নিশ্চিন্ত হয়েছিল বড় চাচীর কথা শুনে ওর মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো I চাচী বললেন
– আমি বলি কি ভালো কাজটা জুম্মার আগে করে ফেলি I বিয়েটা পড়িয়ে তারপর সবাই আলহামদুলিল্লাহ বলে নামাজে যাই I আপনারা কি বলেন ? মামুন এবং তার মা খুশি খুশি মুখ করে বলল
– আমাদের কোনো আপত্তি নেই
– আলহামদুলিল্লাহ
-কিন্তু কাজীর ব্যবস্থা….
– ও নিয়ে আপনারা ভাববেন না I কাজী রেডি আছে I নিচে গাড়িতে বসে আছে I আমি এখনই ফোন করে দিচ্ছি I তৃণার বড় চাচা বললেন
তৃণার এবার সত্যি সত্যি ভয় করতে লাগলো I তৃণা মনে মনে বলল
আল্লাহ আমাকে এই বিপদ থেকে বাঁচাও
জীবনে মনে হয় এই প্রথমবার তৃণার প্রার্থনা এত তাড়াতাড়ি কবুল হয়ে গেলো I হঠাৎই নিচে হইচইয়ের শব্দ শোনা যেতে লাগলো I অনুষ্ঠান উপলক্ষে তিনতলার দরজাটা খোলাই ছিল I নিচ থেকে শব্দ ভেসে আসতে লাগলো
পুলিশ আইছে পুলিশ I জায়গা দে I
তৃণা তাকিয়ে দেখল ইউনিফর্ম পরা একজন পুলিশ অফিসার গম্ভীর ভঙ্গিতে ভেতরে ঢুকেছে I কোনরকম ভনিতা না করেই ভদ্রলোক এসে বললেন
– মামুনুর রশীদ কে এইখানে ?
মামুন ভয়ে ভয়ে উঠে দাড়িয়ে বললো জি আমি
– আপনার নামে এরেস্ট ওয়ারেন্ট আছে
-কেন আমি কি করেছি ?
– আপনার নামে কমপ্লেন আসছে I আপনি একজন বিবাহিত মহিলাকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন
– কি !!? কে বিবাহিত ?
ভদ্রলোক তৃণার দিকে তাকিয়ে বললেন
– আপনার নাম আফসানা আক্তার তৃণা ?
– জি
– আপনার স্বামীর নাম হাবিবুল বাশার ?
তৃণার মাথায় কিছুই ঢুকছেনা I এখন আবার এই হাবিবুল বাশার কোথা থেকে এলো I এই নাম জীবনে শুনেছে বলেও মনে পড়ছে না I তবে এর কারণে যদি এই বিয়ে ভন্ডুল করা যায় তবে এটাও খারাপ না I তৃণা চুপ করে রইলো I
মামুন এবার তেতে উঠে বলল
– এভাবে কিছু হয় নাকি ? কোনরকম প্রমাণ ছাড়া আপনি কি বলতেছেন না বলতেছেন
– আপনি চুপ থাকেন I বেশি ফালাফালি কইরেন না I প্রমাণ ছাড়া আমি আসি নাই I আমার কাছে কাবিন নামা আছে I
এবার ভদ্রলোক একটা কাগজ বের করে তৃণার কাছে ধরে বলল
– এটা কি আপনার সিগনেচার ?
তৃণা মাথা নাড়ল I
এইযে দেখছেন
– এই একটা কাগজে কি যায় আসে ?
– খালি কাগজ না আমার কাছে সাক্ষী ও আছে I কই আপনারা ভেতরে আসেন
হিয়া আর রাতিনকে ভেতরে ঢুকতে দেখা গেল I তৃণার ইচ্ছা হল খুশিতে নাচতে I হিয়া ভিতরে ঢুকে চোখের ইশারায় তাকে আশ্বস্ত করলো যে সব ঠিক আছে I
বড় চাচী হাহাকার করে উঠলেন
– হিয়া তুই আমাদের এই সর্বনাশ করলি
হিয়া ওর জীবনের শ্রেষ্ঠ পারফরম্যান্সটা দিল I কাঁদো কাঁদো মুখ করে বলল
– চাচি আপনি তো আমার বান্ধবীর বিয়েতে আমাকে ডাকলেন না I ডাকলেই তো এই ঝামেলা আর হতো না
ইন্সপেক্টর সাহেব বললেন
– আপনারা এখন বলেন আপনারা কি জানেন
রাতিন কথা শুরু করলো
-তৃণার ফ্যামিলি থেকে এরকম কিছু করতে পারে ধারণা করে হাবিব ভাই তৃণা কে বিয়ের কথা বলেন I গত রবিবার বিয়েটা হয় I আমরা দুইজন সাক্ষী ছিলাম I আজকে সকালে মামুন সাহেব কে ফোন করে জানানো হয়েছিল I কিন্তু তবুও উনি বিশ্বাস করেননি I বিয়ে করতে চলে এসেছেন I
বড় চাচা তেরে এসে বললেন
– তৃণা তুই এটা কি করলি ?
ইন্সপেক্টর তাকে থামিয়ে দিয়ে তৃণার দিকে তাকিয়ে বললেন
– এনারাও কি এই অবৈধ বিয়েতে আছেন ?
তৃণা কোনমতে বলল
– না ওনারা কিছু জানতেন না I আমি কিছু জানায়নি
– এইবার আপনি সবকিছু ঠিকঠাক বলেন I আপনার স্বামীর নাম হাবিবুল বাশার ?
তৃণার একবার মনে হল কোথাকার কোন হাবিবুল বাশার এখন একে স্বামী বানাতে হচ্ছে I তবে হিয়া যখন ঠিক করেছে তখন নিশ্চয়ই ও কাউকে না কাউকে ব্যবস্থা করে রেখেছে I
– কথা বলেন I
ভদ্রলোক হুংকার করে উঠলেন I সমস্ত ঘরে পিনপতন নীরবতা I তৃনা বললো
– জি
ঘরের মধ্যে মনে হল একটা বোমা ফাটলো I জাহানারা বেগম দাঁড়ানো অবস্থা থেকে বসে পড়লেন I বড় চাচা কপাল চাপড়াতে শুরু করলেন I ইন্সপেক্টর এগিয়ে গেলেন মামুন কে এরেস্ট করার জন্য I মামুনের তেজ তখনো কমেনি I ও বলল
– কিসের হাবিবুল বাশার I বিয়ে হয়ে থাকলে জামাই কই I এরা এইসব বিয়ে ভাঙ্গার জন্য করতেছে I
– আপনি চুপ থাকেন I এই সাত্তার মিয়া কখনো কাঁচা কাজ করে না I হাবিব সাহেব ভেতরে আসেন
পর্দা সরিয়ে সুজন ভেতরে ঢুকলো I ওকে দেখে তৃণা হতভম্ব হয়ে গেল I এতক্ষণ পর খেয়াল হল সুজনের ভালো নাম হাবিবুল বাশার I

ভদ্রলোক তৃণার দিকে তাকিয়ে বললেন
– ইনি আপনার স্বামী ?
– জি
– নেন তাইলে তো সব মিটে গেল I মামুন সাহেব চলেন আমাদের সাথে I
মামুন কাঁদো কাঁদো গলায় বলল
– বিয়ে তো হয়নি আমাকে কেন যেতে হবে ?
– হয় নাই তো কি আমরা না আসলে তো হইতো I চলেন চলেন
– মানে বলছিলাম কি কোনভাবে কি কিছু…
ভদ্রলোক কাছে এসে গলা নামিয়ে বললেন
– ঠিক আছে কিছু দিয়া টিয়া রফা করেন
– কত দেবো ?
– এই আপাতত দুই দিলেই চলবে
– 2000 ?
– ভোদাই নাকি মিয়া আপনে ? 2000 তো আজকাল ট্রাফিক পুলিশেরে পান খাইতে ও দেয় না I 2 লাখ I
মামুন কাবিনের জন্য 50 হাজার টাকা নিয়ে এসেছিল I ওর পকেটে ছিল I মামুন পকেট চেপে ধরে আর্তনাদ করে উঠল
– না… Iকিছু কম করেন স্যার

সুজন এতক্ষণ কোন কথা বলেনি I এবার বলল
– এসবের কোন দরকার নেই ইন্সপেক্টর সাহেব I আমি আমার বউ নিয়ে চলে যাচ্ছি I উনাদের বিরুদ্ধে আমার কোনো কমপ্লেন নেই I
মামুন খুশি খুশি গলায় বলল
– এইতো , এই ভাইসাহেব একদম ঠিক কথা বলছেন I তাছাড়া টাকা দিয়া যদি মাইয়া পাওয়া যাইত তাহলে না হয় একটা কথা ছিল I
সুজনের প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হয়ে গেল I ও রাগী গলায় বলল
– আমি আপনাকে হেল্প করার চেষ্টা করছি আর আপনি আমার ওয়াইফের ব্যাপারে এসব কি ল্যাঙ্গুয়েজ ইউজ করছেন ?
– না না মানে বলতে চাচ্ছিলাম যে
– কিছু বলতে হবেনা আপনাকে I তারপর তৃণার দিকে ফিরে বলল
– তৃণা তুমি রেডি হয়ে এস I এখান থেকে কিছু নেয়ার দরকার নেই I হিয়া তুমি ওর সঙ্গে যাও I

হিয়া তৃণাকে নিয়ে ওর ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল I তৃণা হিয়াকে জড়িয়ে ধরে বলল
– তোরা এটা কি করে করলি ?
– তোর মেসেজ পেয়ে আমি সুজন কে ফোন করি তারপর আমরা তিনজন মিলে মামুনকে ফোন দেই I বেটা দুনিয়ার বদ I তাড়াতাড়ি কর I তৃণা চেঞ্জ করে সুজনের দেয়া নীল শাড়িটা পরল I আলমারি থেকে ওর সার্টিফিকেট আর ক্যাশ টাকা যা ছিল ব্যাগে ভরে নিয়ে বেরিয়ে এলো I জাহানারা বেগম তখনও হতবিহবল হয়ে বসে আছেন I তৃনাকে আসতে দেখে উঠে দাঁড়ালেন I তৃণা দাদিকে জড়িয়ে ধরে কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলল
– দাদি আমি বিয়ে করিনি I কিন্তু আমার আর কোনো উপায় ছিল না I ওই লোকটাকে আমি বিয়ে করতে পারবোনা I
জাহানারা বেগম ও নাতনির কানে ফিসফিস করে বললেন
– এমন সুন্দর ছেলে বিয়ে করলেও আমি রাগ করতাম না I
তৃণা সহ বাকিরা নিচে নেমে এলো I সুজন গাড়ি নিয়ে এসেছে I গাড়িতে উঠার আগে তৃণা ইন্সপেক্টর এর দিকে ফিরে বলল
– আপনাকে অনেক ধন্যবাদ স্যার
বাকিরা হো হো করে হেসে উঠলো I সুজন মানিব্যাগ বের করে ইন্সপেক্টর কে 2000 টাকা দিল I ভদ্রলোক বিগলিত হাসি হেসে বলল
– স্যার আমার ব্যাপারে একটু বলে দিয়েন
তৃণা হতভম্ব হয়ে গেল I রাতিন হাসতে হাসতে বলল I
– তৃণা ও মঞ্চের জুনিয়র আর্টিস্ট I অনেকদিন থেকে একটা টিভি সিরিয়ালের জন্য ঘুরছিল I সুজনদের বাসার ভাড়াটিয়া ফিলম ডিরেক্টর I অনেকদিন থেকেই আমি সুজন কে বলছিলাম ওর কথা I আজ কেমন খাপে খাপে মিলে গেল I

গাড়ি চলতে শুরু করেছে I সুজন নিজেই ড্রাইভ করছে I তৃণা পাশের সিটে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে I অনেকক্ষণ পর ও চোখ খুলে বলল
– আমরা কোথায় যাচ্ছি ?
পেছনে হিয়া আর রাতিন বসে গল্প করছিল I তৃণার কথা শুনে ও বলল
-কাজী অফিস I গত রবিবার যে বিয়েটা হয়নি সেটা এখন হবে

তৃণা কিছুতেই সুজনের বাবা-মাকে না জানিয়ে বিয়েতে রাজী হচ্ছিল না I হিয়া ওকে আশ্বস্ত করে বলল
-আমার সামনেই সুজন ওর বাবার সঙ্গে কথা বলেছে I উনাদের কোন সমস্যা নেই I
-তবু আমি চাই উনারা ভিডিও কলে হলেও সঙ্গে থাকুক
সুজন এতক্ষণ চুপ করেছিল এবার বলল
– তুমি কি আমাকে বিশ্বাস করছো না ? বাবা মা আমার কাজিনের ওখানে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ায় I ফ্লাইটে ওঠার আগে আমার সঙ্গে কথা হয়েছে I বাবা আমাকে কি বলেছে জানো ? বলেছে আমার ছেলে হয়ে তুই এটা কি করে করতে পারিস I এখনই ওকে তুলে নিয়ে এসে বিয়ে কর I তুমি তো জানো না আমার মা-বাবার বিয়ে ও এভাবে হয়েছে I মায়ের অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল I তবুও তুমি না চাইলে আমি অপেক্ষা করতে পারি I
– না আমার কোন সমস্যা নেই I

রাত তখন ও গভীর হয় নি I একটু আগেই হিয়া আর রাতিন বিদায় নিয়ে চলে গেছে I তৃণা যেহেতু বাসা থেকে কিছু নিয়ে আসেনি হিয়া ওকে একটা ট্রলি ব্যাগ রেডি করে দিয়ে গেল যেখানে ওর প্রয়োজনীয় সবকিছু আছে I যাবার আগে হিয়া ওকে জড়িয়ে ধরে বলল
– আমি অনেক খুশি হয়েছি দোস্ত I তোর বিয়ে দেখে তো আমারও বিয়ে করে ফেলতে ইচ্ছে করছে I রাতিন বলল
– একটু আগে বললেই তো আমরা ও বিয়ে করে ফেলতে পারতাম
ওরা তিনজনই হেসে ফেললো I সুজন খাবার অর্ডার করেছিল I চাইনিজ খেতে খেতে অনেকক্ষণ ধরে মামুনের নুডুলসের আর পুলিশের ভয়ে কান্না কাটির গল্প হল I

আজ আকাশে চাঁদ নেই I তবে আকাশ খুব পরিষ্কার I একটু লক্ষ করলেই সপ্তর্ষিমণ্ডল চোখে পড়ে I সুজন বাইরের আলো টা বন্ধ করে দিয়েছে I পুরো ছাদ জুড়ে নরম মায়াবী আলো I ওরা দুজন বসে আছে দোলনার দুই প্রান্তে I তৃণার খুব অদ্ভুত লাগছে I হঠাৎ করে একদিনের মধ্যেই সব কেমন বদলে গেল Iএকটা অদ্ভুত ভালো লাগায় মনটা ভরে আছে I শুধু যদি সুজন আরেকটু কাছে এসে বসত তাহলে আরো ভালো লাগতো I সুজন কাছে এসে বসলো না I দূর থেকেই বললো
– একটা কবিতা শোনাবে তৃণা
– না I আজকে আমি শোনাবো না I তুমি শোনাবে I আজকে কবিতা পাঠানোর দরকার নেই I এমনি পড়ে শোনাও I
– কিন্তু আমি তো অলরেডি পাঠিয়ে দিয়েছি
– কখন ?
তৃণা ওর ফোনটা চেক করতে গেলে সুজন ওর হাতটা ধরে ফেলল তারপর বলল
– না এখন দেখ না
– কেন ?
– দেখলে তুমি রাগ করবে
– রাগ করবো কেন ? আচ্ছা ঠিক আছে দেখলাম না I যেটা পাঠিয়েছ সেটাই শোনাও
– তুমি শিওর রাগ করবে নাতো?
– না
– তাহলে একটু কাছে এসে বস I এই কবিতা জোরে জোরে বলা যাবে না
তৃণা একটু অবাক হল I তবে ও কাছে এসে বসলো I সুজন একেবারে ওর গা ঘেষে বসল তারপর কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল

কাছে আসো, সম্মুখে দাঁড়াও
খুব- কাছে, যতোখানি কাছে আসা যায়,
আমি আপাদমস্তক দেখি তোমার শরীর
যেভাবে মানুষ দেখে, প্রথম মানুষ।
দেখি এই কাণ্ড আর ডালপালাখানি, ভিতর-বাহির
কতোটা পেয়েছে মাটি, কতোটা বা এই জলবায়ু
পায়নি শিকড়খানি, পেয়েছে কি তোমার প্রকৃতি?
কাছে আসো আরো কাছে, সহজেই যেন চোখে পড়ে
তোমার সূক্ষ্ম তিল, আঙুলের সামান্য শিশির
যেন দেখি তোমার সজল চোখ, তোমার মদির সলজ্জতা
দূরদৃষ্টি নেই মোটে, কেবল কেবল সন্নিকটে।
তুমি খুব কাছে আসো, খুব কাছে, ঠিকই খুব কাছে
যতোখানি কাছে এলে আর কোনো আড়াল থাকে না;

চলবে………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here