তোমাকে বলার ছিল অষ্টম পর্ব

0
366

তোমাকে বলার ছিল
অষ্টম পর্ব
লেখনীতে অনিমা হাসান

– তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করব তৃণা, সত্যি করে বলবে ?
– হ্যাঁ বল I
– এইযে হিয়া আমাকে এত কবিতা পাঠাতো; এগুলো কি সব আসলে ওই পাঠাতো ?

তৃণা চমকে উঠলো I তৎক্ষণাৎ কোন জবাব খুঁজে পেল না I কিন্তু দ্রুতই সামলে উঠলো I তারপর বলল
– কেন তোমার কি মনে হয় এসব আমি পাঠাতাম ?
এরকম সরাসরি উত্তরে সুজন একটু হকচকিয়ে গেল I বলল
– আমি তো সেটা বলিনি I
– আমি আবৃত্তির গ্রুপের সঙ্গে আছি এজন্য আমার বাসায় প্রচুর কবিতার বই আছে I হিয়া আমার কাছ থেকে নিয়ে কবিতা পড়তো I আর তোমাকে কবিতাগুলো ওই পাঠাতো I
– ও আচ্ছা I
– আমাকে নিচে যেতে হবে, অনেক রাত হয়েছে I
-আচ্ছা ঠিক আছে যাও I আবার পরে কথা হবে I

পরীক্ষার আর মাত্র দুই মাস বাকি I ক্লাসের অনেক প্রেসার I তৃণা কয়েকদিন আর সুজন কে ফোন দিল না I পড়াশোনার চাপ অনেক I তৃণা ভেবেছিল শুক্রবার সকাল থেকে লাইব্রেরীতে চলে যাবে I কিন্তু জানা গেল শুক্রবারে বাসায় কয়েকজনকে দাওয়াত করা হয়েছে I বড় চাচীর ফুফাতো বোন আর তার ননদ I তৃণাকে বাসায় থাকতে বলা হয়েছে I

তৃণার অসম্ভব বিরক্ত লাগছে I বিকেলে টিউশনিতে যেতে হয় বলে এমনিতেই ও পড়ার সময় পায়না I ভেবেছিলো শুক্রবার দিন কয়েকটা চ্যাপ্টার শেষ করে ফেলবে I কিন্তু এসব হাঙ্গামা বেঁধে গেল I দুপুরে খাওয়ার পর তৃণা নোটপত্র নিয়ে ছাদে যাচ্ছিলো একটু পড়বে বলে I যাবার আগেই চাচী বললেন
– তৃণা সবার জন্য একটু চা করে দিয়ে যাও তো I
তৃণা ভাবলো ভালোই হয়েছে I নিজের জন্য শুধু চা করা যাচ্ছিল না; এখন সবাইকে দিতে হবে বলে নিজেও কিছুটা নিতে পারবে I তৃণা সবাইকে চা দিয়ে, নিজের কাপ নিয়ে ছাদে চলে গেল I যাবার আগে একজন আত্মীয়া বললেন
– বাহ তুমি তো খুব ভালো চা বানাও I তুমি চা নিয়ে কোথায় যাচ্ছ? বস আমাদের সঙ্গে I
– আন্টি আমার সামনে পরীক্ষা I একটু পড়বো বলে ছাদে যাচ্ছি I আপনারা গল্প করুন I
– ও আচ্ছা যাও তাহলে I

তৃণা ছাদে এসে মাদুর পেতে বসলো বই-খাতা ছড়িয়ে I ফোনটা অনেকক্ষণ ধরে বেজে যাচ্ছে I সাইলেন্ট করে রেখেছে তৃণা I হিয়া সকাল থেকে ফোন দিচ্ছে সমানে I তৃণা ঠিক করেছে হিয়ার ফোন ধরবে না I ফোনটা বেজেই যাচ্ছে I তৃণা পড়তে পড়তেই ফোন ধরে বেশ ঝাজের সঙ্গে বলল
– কি হয়েছে ?
– সেটাইতো আমি জানতে চাচ্ছি কি হয়েছে ? আমার ছাত্রী হঠাৎ করে আমাকে ভুলে গেল কেন ?
– ও সুজন I না ভুলে যায়নি I সামনে পরীক্ষা তাই তোমাকে আর বিরক্ত করছি না I আমাকে পড়াতে গেলে তোমার পড়ার ক্ষতি হবে I
– আমি প্রথমে নিজে পড়ে তার পরেই তোমাকে পড়াই I কোন ক্ষতি হয় না I বরং আবার রিভিশন হয়ে যায় I আজ কি পড়াবে বল ?

– আমার কাছে এখন শুধু ইনকম্পটিবিলিটি চ্যাপ্টার টাই আছে I এটা পড়লে পড়াও I
– তুমি কোথায় ?
– ছাদে I
– সারাক্ষণ ছাদে কি করো ?
– ছাদ আমার ভীষণ প্রিয় I আমি ঠিক করেছি আমার যখন চাকরি হবে, তখন আমি একটা চিলেকোঠার ঘর ভাড়া নেবো ছাদ সহ I সারাক্ষণ ছাদেই থাকবো I অনেক গাছ লাগাব, আর দোলনাতে বসে বৃষ্টিতে ভিজবো I
– বাহ ! শুনেইতো ভাল লাগছে I
তৃণা সাধারণত এধরনের ব্যক্তিগত কথা কারও সঙ্গে শেয়ার করেনা I আজকে এটা বলে নিজেই অবাক হয়ে গেল I তাড়াতাড়ি নিজেকে সামলে নিয়ে বললো
– যাক বাদ দাও I এস পড়া শুরু করি I
– তুমি সব সময় নিজের প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাও কেন ?
– কোথায় ?
– তোমার প্রসঙ্গ আসলেই বল বাদ দাও I
– আমার প্রসঙ্গে বলার মতো কিছু নেই I
-তবুও আমি জানতে চাই I
– তুমি মনে হয় আমার ব্যাপারে একটু বেশিই আগ্রহ দেখাচ্ছো I
– আমার তো মনে হয় শুরু থেকে আমার তোমার ব্যাপারেই আগ্রহ দেখানো উচিত ছিল I
– কি বললে ?
– কিছুনা এসো পড়া শুরু করি I
তৃণার বেশিক্ষণ পড়া হলো না I নিচে থেকে ডাক এলো, মেহমানরা চলে যাচ্ছে তাদের বিদায় জানাতে যেন নিচে আসা হয় I তৃণা হতাশ গলায় বলল
– এখন মনে হয় আর পড়া হবেনা I দেখি চেষ্টা করব রাতে ফোন দিতে I
– আচ্ছা I ফোন দিয়ে অবশ্যই I
– দেখি
ফোন রেখে সুজন বারান্দায় গিয়ে বসল I শরতের দুপুর I আকাশে মেঘের ভেলা ঘুরে বেড়াচ্ছে I নিস্তব্ধ দুপুর ফাঁকা ফাঁকা লাগছে খুবI সুজন হাত বাড়িয়ে সাইড টেবিল থেকে কবিতার বই টেনে নিল I পড়তে ইচ্ছা করছে না I বই না খুলেই একমনে আবৃত্তি করল

তোমার সাথে প্রতিটি কথাই কবিতা, প্রতিটি
মুহুর্তেই উৎসব-
তুমি যখন চলে যাও সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর
সব আলো নিভে যায়,
বইমেলা জনশূন্য হয়ে পড়ে,
কবিতা লেখা ভুলে যাই।
যতোক্ষণ তুমি থাকো আমার নিকটে থাকে
সপ্তর্ষিমণ্ডল
মাথার ওপরে থাকে তারাভরা রাতের আকাশ,
তুমি যতোক্ষণ থাকো আমার এই হাতে
দেখি ইন্দ্রজাল
আঙুলে বেড়ায় নেচে চঞ্চল হরিণ;
তুমি এলে খুব কাছে আসে সুদূর নীলিমা
তোমার সান্নিধ্যের প্রতিটি মুহূর্ত সঙ্গীতের
অপূর্ব মূর্ছনা
যেন কারো অবিরল গাঢ় অশ্রুপাত;
তোমার সাথে প্রতিটি বাক্য একেকটি কবিতা
প্রতিটি শব্দ শুভ্র শিশির।

*****************

সামাদ সাহেব মহা বিপদে পড়েছেন I তার মায়ের শরীর খারাপ I উনার ধারণা তিনি আর বাঁচবেন না I তাই মারা যাবার আগে বিষয় সম্পত্তির একটা ফয়সালা করে দিয়ে যেতে চান I উকিলের সঙ্গে কথা বলে ফেলেছেন I সামাদ সাহেব শুনে হতভম্ব হয়ে গেছেন I গোপনে উকিলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, গ্রামের বিষয় সম্পত্তির কিছুটা তৃণার নামে লিখে দেওয়া হয়েছে I অতটুকু হলেও কথা ছিল I শোনা গেছে এই বাড়ির দোতালা তৃণার নামে লিখে দেয়া হবে I তৃণা চাইলে সেখানে থাকতে পারে I কিংবা ভাড়া দিয়ে টাকা নিতে পারে I তবে পৈত্রিক বাড়ি বিক্রি করতে পারবেনা I কখনো বিক্রি করতে হলে সামাদ সাহেবের কাছে বিক্রি করতে হবে I

উনি বুঝতে পারছেন না কিভাবে এই বিপদ থেকে উদ্ধার পাবেন I এই বিষয়ে স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন I যদিও সেদিন তৃণার সামনে রেহানার সাথে চেঁচামেচি করাতে সে ভীষণ ক্ষিপ্ত হয়ে ছিল I অনেক বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ওকে ঠান্ডা করা গেছে I তবে আজ রেহানা যে বুদ্ধিটা দিয়েছে সেটা এক কথায় চমৎকার I রেহানার ফুপাতো বোনের ননদের একটা ছেলে আছে I ব্যাংকে চাকরি করে I খুব হিসেবে ছেলে I এর সঙ্গে যদি তৃণার বিয়ে দিয়ে দেয়া যায় I দাওয়াত এর দিন তৃণাকে দেখে ওদের বেশ পছন্দ হয়েছে I এমনটা হলে সম্পত্তি টা নিজেদের হাতে থাকে I সময়মতো নামে মাত্র দামে ওদের থেকে কিনে নেয়া যাবে I ভাড়া এখন যেমন হচ্ছে তেমনি উঠবে I কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তৃণা হয়তো বিয়েতে রাজি হবে না I সেটারও উপায় রেহানা বের করে ফেলেছে I মাকে দিয়ে কথা বলাতে হবে I উনার কথা তৃণা কিছুতেই ফেলতে পারবে না I পরিকল্পনা মতো সামাদ সাহেব আর রেহানা মায়ের কাছে কথাটা পারলেন বেশ কায়দা করে I

তীর নিশানা মতোই লাগলো I কারণ তার কয়েকদিন পরেই তৃণা দাদীর কাছে থেকে ফোন পেল I দাদির বক্তব্য শুনে তৃণা হতভম্ব হয়ে গেল I অনেক চেষ্টা করেও কোনোভাবেই এড়াতে পারল না I কান্নাকাটি করে উনি একবার ছেলের সঙ্গে দেখা করার জন্য তৃণা কে রাজি করিয়ে ফেললেন I পরীক্ষার কথা বলেও কোন লাভ হল না I বলা হল, যা হবে পরীক্ষার পরেই হবে I কিন্তু এখন একবার দেখা করে নিতে I

সামাদ সাহেব এবং রেহানা দুজনেই ভীষণ খুশি I ঝটপট তারা রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাও করে ফেললেন দেখা সাক্ষাতের জন্য I নির্ধারিত সময়ে সেখানে পৌঁছে তৃণা একটু অবাক হল I মোটামুটি মানের একটা চাইনিজ রেস্টুরেন্ট I ভেতরে ঢুকেই তৃণা এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো I কোনার টেবিল থেকে একটা ছেলে উঠে এসে হাসি হাসি মুখে বলল
– আমি মামুন I তুমি নিশ্চয়ই তৃণা ?

– জি I সরি একটু দেরী হয়ে গেলো; জ্যাম ছিল I
– সমস্যা নাই বস I
তৃণা বসলো I আশেপাশে তাকিয়ে দেখল I এই রেষ্টুরেন্টে আগে কখনো আসেনি ও I মামুন বলল
– কি খাবে বলো ?
– একটা কিছু হলেই হবে I আপনার পছন্দমত অর্ডার দিন I
মামুন মেনু বুকের উপর ঝুঁকে পড়ল I তৃণা বেশ অবাক হয়ে দেখতে লাগলো I দেখে মনে হচ্ছে মেনু বুকটা আরবি ভাষায় লেখা I মামুন ডান দিক থেকে বাম দিকে দেখে যাচ্ছে I কিছুক্ষন পর বুঝতে পারলো মামুন আগে দাম দেখে নিচ্ছে I তৃণা মনে মনে একটু হাসলো I পাত্রী দেখতে গিয়েও যে কোন ছেলে এরকম করতে পারে, এখানে না আসলে তৃণা বুঝতে পারত না I অনেকক্ষণ ধরে দেখার পর মামুন বলল I
– তুমি কি অন্থন খাও ?
– হ্যাঁ কেন ?
– দেখো অন্থন অর্ডার করে লাভ নেই I আটটা দেবে I চারটা চারটা করে তো আমরা খেতে পারব না I শুধু শুধু নষ্ট হবে I চিকেন ফ্রাই এর ক্ষেত্রেও তাই I সুপ্ তো আমার একেবারেই পছন্দ না I কোনদিনও শেষ করতে পারিনা I টাকাটাই নষ্ট হয় I তারচেয়ে বরং নুডুলস অর্ডার করি I কি বল ?
– করেন I
– নুডুলস এর সঙ্গে আর কিছু খাবে ?
– না I
– কোক খাবে না পানি বলবো ?
ওয়েটার অর্ডার নিতে চলে এসেছে I দুজনের জন্য শুধু একটা নুডুলস দেখে অবাক হল I কোক অর্ডার দেয়া হলো না পানির জগ দিতে বলা হলো I দেখা গেল এরা পানি আলাদা দেয় না পানির বোতল কিনে নিতে হয় I তাতে পয়সা খরচ হবে দেখে মামুন বেশ বিরক্ত হলো I বলল তাহলে কোক ই দিন I
তৃণা হাফ ছেড়ে বাঁচলো I যাক অর্ডার পর্ব শেষ হয়েছে তাহলে I মামুন এবার হাসি হাসি মুখ করে বলল
– এবার বলো তোমার খবর কি ?
– এই চলছে আরকি I
-চললেই ভালো I দিনকাল যা পড়েছে I সবকিছুর দাম বেশি বুঝলে I আলুর কেজি 2 টাকা বেড়ে গেছে I বল মানুষ থাকবে কি করে ?
আলুর কেজি কত তৃণা জানেনা I দু টাকা বেড়ে কত হয়েছে সেটাও জানেনা I তাই ও আর কোনো মন্তব্য করল না I
– সামনে রোজা আসছে এখন দেখবে সব কিছুর দাম আগুনের মতন হয়ে যাবে I আর শুধু কি আলু; রিকশাভাড়া যে পরিমাণ বাড়ছে তাতে রিকশায় চড়া ছেড়ে দিতে হবে I
– গাড়ি কিনে ফেলুন I
– গাড়ি কিনে ও তো শান্তি নেই বল I পেট্রোলের খরচ, গ্যাসের খরচ, ড্রাইভার এর বেতন- এসব আছে না I যাক এসব কথা বাদ দাও I তুমি পাশ করে কি করতে চাও সেটা বল I
ভদ্রলোকের ভাবভঙ্গি দেখে তৃণার মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে তাই ও ইচ্ছা করেই বললো
– কিছুই করতে চাই না I বিয়ে করে ঘর সংসার করতে চাই; আর হাজবেন্ডের টাকা উড়াতে চাই I
মামুন হো হো করে হেসে ফেললো I
-তুমি মজা করছ তাইনা ? তোমার চাচী আমাকে বলেছে I তুমি তো ছোটবেলা থেকেই টিউশনি করো I যত দ্রুত সম্ভব চাকরি নিতে চাও I তা কোন লাইনে চাকরি করার ইচ্ছা তোমার ? তোমাদের সাবজেক্ট তো চাকরির অপশন অনেক I বেতনও ভালো I
তৃণার মাথাব্যথা শুরু হয়ে গেছে I এক কাপ চা খেতে পারলে ভালো লাগতো I কিন্তু এখন সে কথা বললে আবার দুধ চিনি চা পাতার দাম নিয়ে একগাদা কথা শুনতে হবে I এখানে আসাটাই ভুল হয়েছে I হিয়াকে পাঠানো দরকার ছিল I সুমনাকে যখন দেখতে আসার কথা তখন প্রক্সি দিতে হিয়াকে পাঠানো হয়েছিল I ঘটনাটা ছিল এরকম সুমনা আর রিপন ভাই সেই ফার্স্ট ইয়ার থেকেই প্রেম করছে I হঠাৎ করেই সুমনার বাসা থেকে বিয়ে ঠিক করে ফেলল I দেখাদেখির জন্য একটা রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থা করা হলো I সুমনা কান্নাকাটি করে হিয়াকে রাজি করালো I ভদ্রলোককে দেখে অবশ্য হিয়ার বেশ ভালো লেগেছিল I ভদ্র ও মার্জিত Iদেখতে শুনতেও খারাপ না I কথাবার্তাতেও ভালো I কিন্তু যেহেতু সম্পর্কটা ভাঙতে হবে, তাই হিয়া হুট করে জিজ্ঞেস করল
– আপনি কি ভার্জিন ?
ভদ্রলোক একটু চমকালেন I কিন্তু সেরকম কিছু প্রকাশ না করে একটু হেসে বললেন
– এ প্রশ্নটা কিন্তু আমিও তোমাকে করতে পারি I
– অবশ্যই পারেন I কিন্তু যেহেতু আমি প্রশ্নটা আগে করেছি তাই উত্তরটা আপনি প্রথম দিবেন I
– হ্যাঁ I আমি তোমাকে এই প্রশ্ন করব না I
– ছেলেদের ভার্জিনিটি টেস্ট করার একটা কিট পাওয়া যায় I ইউকে থেকে আমি আমার বান্ধবীকে দিয়ে আনিয়েছি I আপনি চাইলে আমি এখনি টেস্ট করে দেখতে পারি I
ভদ্রলোক বিষম খেলেন I শার্টের মধ্যে পানি টানি ফেলে একাকার অবস্থা করলেন I তারপর আমি ওয়াশ রুমে যাচ্ছি বলে উঠে গেলেন I ওয়াশরুম থেকে ফিরে এসে দেখলেন পাত্রী গায়েব I
যদিও পরবর্তীতে এই ছেলের সঙ্গেই সুমনার বিয়ে হয়েছিল I বিয়ের দিন স্টেজে উঠে ছবি তোলার সময় হিয়া বরের পাশে গিয়ে কানে কানে বলেছিল
– ভাইয়া ভার্জিনিটি টেস্ট এর কিটটা আমি সুমনাকে দিয়ে দিয়েছি I বেস্ট অফ লাক I
ভদ্রলোক চমকে তাকালেন; কিন্তু তার আগেই হিয়া উধাও হয়ে গেল I আজ ওকে এখানে পাঠানো দরকার ছিল I শালার আলু পেঁয়াজের দাম ছুটিয়ে দিত I

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here