#এটা গল্প হলেও পারতো
#পর্ব ৪
মেট্রোর গেট দিয়ে বেরোতে বেরোতেই রিয়া কৌশিকের দিকে তাকালো,
চল, চলি এবার, টা টা!
কৌশিক চুপ করে থাকলো, ওর মুখের দিকে তাকিয়ে রিয়া একদম ইনোসেন্ট ভঙ্গিতে প্রশ্ন করলো,
আচ্ছা, তুই হটাৎ এখানে নেমে পড়লি কেনো বলতো? তোর টালিগঞ্জ নামলে সুবিধা হয় না?
মুহূর্তে কৌশিকের মুখ গম্ভীর হলো, ওর এখানে নেমে পড়ার কারণ রিয়ার অজানা নয়, তাও জেনেশুনেই কথাগুলো বলছে!
তুই জানিস না আমি কেনো নেমেছি?
কৌশিকের গলার স্বরে অপমানের সুর। রিয়া একটু চুপ করে থাকলো, তারপরে আস্তে আস্তে বললো,
তুই তো জানিস আমার বাবার কথা, বাবা এসব মেনে নেবে না একটুও!
এই কথাগুলো গত তিন বছর ধরে শুনছি, আর নতুন করে শোনার নেই! এই বছরটা আমাদের একসঙ্গে কাটানো শেষ বছর, এখনও তুই মনস্থির করতে পারলি না? তোর বাবার কথা ছাড়, তুই নিজের কথা বল? তুই কি ভাবছিস?
বিশ্বাস কর, আমার ভাবাভাবির কিছু নেই। আমার বাবা একটা হাই ফাই স্টাটাস মেনটেইন করে চলে, তোর মতো মধ্যবিত্ত ছেলের সঙ্গে বিয়ে কিছুতেই মেনে নেবে না।
তারমানে তোর বাবার ইচ্ছেই তোরও কথা, তাই তো?
একটু ভাঙা গলায় বললো কৌশিক, রিয়া মাথা নাড়লো,
প্লিজ! আমি বন্ধু হিসেবে তোকে হারাতে চাই না!
কৌশিক চুপ করে থাকলো, তারপর বললো,
ঠিক আছে, চল তোকে বাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসি অন্তত। আজ পর্যন্ত নিজের বাড়িতে যেতেও তো বলিসনি কোনোদিনও!
তাড়াতাড়ি মাথা নাড়লো রিয়া,
প্লিজ যাসনা! আমাদের গেটে সিসিটিভি লাগানো আছে, বাবা দেখতে পেলে রাগ করবে!
শ্রেয়া মেট্রোর গেট দিয়ে বেরোতে বেরোতে দীপ কে ফোন করলো,
যা দিলি না নামার আগে! দুজনের মুখ তো শুকিয়ে গেছে একদম!!
দীপ মুচকি হাসলো ফোনের মধ্যেই,
তুই নেমে পড়েছিস?
না নেমেই ওদের পাশে দাঁড়িয়ে তোকে ফোন করছি নাকি? এইটুকু সেন্স নেই তোর?
খিঁচিয়ে উঠলো শ্রেয়া, দীপ তাড়াতাড়ি বললো,
আরে হ্যাঁ! বুঝেছি সেটা, তাও কনফার্ম হয়ে নিলাম। হটাৎ করে সব ছেড়ে কৌশিকের পেছনে পড়ে গিয়েছে তিয়াসা টা!! আর নিজের বেলায়? একদিনও তো অনির্বাণ কে গাড়ি আনতে দেয় না, আগেই বলে রাখে মেট্রোয় ফেরার জন্য।
হ্যাঁ, তো! সেই কবে থেকে শান্তিনিকেতন যাওয়ার প্ল্যান হচ্ছে ওর গাড়ি নিয়ে তা আর হোলো কই? বললেই আগে তো তিয়াসাই ঝাঁপিয়ে পড়ে ট্রেনে যাওয়ার জন্যে! অনির্বাণ কে কথাই বলতে দেয় না একটাও!
আরে গাড়িতে গেলে তো লস! ড্রাইভারের সামনে তো আর প্রেম করতে পারবে না, তাহলেই গিয়ে অনির্বাণের বাবার কানে তুলে দেবে সব। সেই জন্যেই তিয়াসার ট্রেনে যাওয়ার ইচ্ছে,
শ্রেয়ার কথা প্রায় ছিনিয়ে নিয়ে বললো দীপ।
তবে রিয়াটাও কম যায় না ভাই! এতো পয়সা, সারাক্ষন খালি বড়লোকি কথা বার্তা, এই আছে, ওই আছের গল্প! কিন্তু দ্যাখ গাড়ি নিয়ে কোথাও যাওয়ার কথা বললেই ভাই বাবার গল্প শোনায়। ওর বাবা নাকি তাহলে ও বন্ধুদের সঙ্গে যাচ্ছে সেটা জেনে যাবে!
শ্রেয়ার কথায় মাথা নাড়লো দীপ,
হ্যাঁ রে, ঠিকই বলেছিস! ওই শান্তিনিকেতন যাওয়ার কথাতেও এটাই বলেছিলো। ট্রেনে গেলে তবেই যেতে পারবে ও, ওর মা নাকি বাবা কে মাসীর বাড়ি যাচ্ছে বলে ম্যানেজ করে ফেলবে!!
শ্রেয়াও নেমে যাওয়ার দুটো স্টেশন পরেই তিয়াসা আর অনির্বাণ নেমে পড়লো, ফুটপাথ ধরে হাঁটতে হাঁটতেই তিয়াসা অনির্বাণ কে বললো,
দীপটা কিরকম বললো দেখলি? রিয়ার মেট্রোয় চড়ার সঙ্গে তোর কারণটাও একসাথে করে ফেললো। আসলে কৌশিক সংক্রান্ত কোনো কিছু বললেই ওর রাগ হয়ে যায়। আর শ্রেয়া? কিরকম ইনোসেন্ট ভাবে বললো, “সে তো অনির্বাণ ও যায়”। ন্যাকা!! যেনো কিছুই জানে না!! যতো ইনোসেন্ট মুখ করে থাকে না ও, ততোটা নয় কিন্তু। অর্ক আর অরিন্দম স্যারের দিকে কি রকম তাকিয়ে ছিলো দেখলি? নেহাত আমরা পেছনে সরে এলাম, না হলে ওর কিন্তু ওদের সাথেই ওঠার ইচ্ছে ছিলো!
অনির্বাণ কথাটা কে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলো,
ছাড় তো!! বললে কি এসে যায়? আর মিথ্যে তো বলে নি কিছু, আমি তো সত্যিই তোর জন্যেই মেট্রোয় আসি!
তিয়াসা মুখ নিচু রেখে মাটির দিকে তাকিয়ে হাঁটতে লাগলো, কোনো উত্তর না পেয়ে কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পরে অনির্বাণ বললো,
কি হলো? এটা শুনেও কিছু বললি না তো?
তিয়াসা মাথা নাড়লো,
এই মুহূর্তে ভাবিনি কিছু!! সময় লাগবে, আপাতত ফাইনাল এক্সামের আগে এসব নিয়ে ভাবতে চাই না, একটু সময় দে!!
কয়েক মিনিট তিয়াসার মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে অনির্বাণ বললো,
দিলাম!
বাড়িতে ফিরে থেকেই সোফায় শুয়ে শুয়ে টিভির রিমোট বিভিন্ন চ্যানেলে ঘুরিয়ে যাচ্ছিলো অর্ক, অদিতি কে বাড়িতে দিয়ে আসার পর থেকেই সন্ধ্যে বেলাটা কাটতেই চায়না আর। কলেজ আর বাড়ি ছাড়া তো জীবনে কিছুই করেনি ও। কাল তাও স্টুডেন্টরা এসেছিলো ওর কাছে কিছু নোটস এর জন্যে, সন্ধ্যে বেলা ঘন্টা খানেক ভালোই কেটে ছিলো। ও নিজে কোনো স্টুডেন্টকে বাড়িতে আসতে বলে না সাধারণত, কিন্তু এই মেয়েটা বেশ কিছুদিন যাবত ওর কাছে নোটস গুলো চাইছিলো। দিচ্ছি, দেবো করে দেওয়া হয়ে উঠছিলো না।
অদিতির শরীরটা ভালো ছিলো না বেশ কিছুদিন ধরে, ওকে নিয়ে বার বার ডাক্তারের কাছে ছোটা দৌড়া করতে করতে ও ভুলেই যাচ্ছিলো নোটস এর কথা। তারপর মা ফোন করে ওকে ওখানে রেখে আসতে বললো, কিছুদিন বিশ্রাম নেওয়ার জন্যে। দিতির খুব একটা আপত্তি ছিলো না, ওর সত্যি এখানে রেস্ট হচ্ছিলো না। বাড়ি থেকে ফিরে কাল কলেজে ঢুকতেই তিয়াসার মুখোমুখি হলো ও।
স্যার, নোটসগুলো? আজ পাবো কি? রিয়া বলছিলো ও আপনাকে বলে রেখেছে কদিন আগেই, আপনি আজ নিয়ে আসবেন বলেছেন!
তিয়াসার প্রশ্নে একদম লজ্জায় পড়েছিলো ও, এতো ভুল হয়ে যায় ওর!
সরি, একদম ভুলেই গেছি। কাল এনে দেবো, আমি একটু ব্যস্ত ছিলাম কদিন,
লজ্জা ঢাকতে একটু বেশি গম্ভীর হয়ে গিয়েছিলো ও।
স্যার, সামনের সপ্তাহে পরীক্ষা, কাল মানে আরও দেরি হয়ে যাবে। আমরা একটু আপনার বাড়িতে গিয়ে যদি নিয়ে আসি, প্লিজ স্যার,
তিয়াসা কিছু বলার আগেই পেছন থেকে রিয়া এগিয়ে এসেছিলো। অর্ক একটু থতমত খেয়েছিলো, অদিতি বাড়িতে নেই, ওদের বাড়িতে আসতে বলা ঠিক হবে কি! ওকেই তো চা করার ঝামেলা পোহাতে হবে আবার!
স্যার, আমরা ঢুকবো না আপনার বাড়িতে, দরজা থেকেই চলে আসবো নোটস নিয়ে, প্লিজ স্যার, আমাদের খুব দেরি হয়ে যাবে কাল পেলে,
অর্ক কে চুপ করে থাকতে দেখেই বোধহয় কিছু একটা আন্দাজ করে বলেছিলো রিয়া, এরপরে আর কিই বা বলা যায়, অগত্যা এসো বলে দিয়েছিলো অর্ক।
সন্ধ্যেবেলায় সোফায় বসে মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতেই দরজায় বেলের আওয়াজ হয়েছিলো, সোফার ওপর মোবাইলটা রেখে দরজা খুলে দেখলো স্টুডেন্টরা এসেছে। দরজার সামনে দাঁড়িয়েই ওরা নোটসটা চাইলো যখন, তখন মনে পড়লো ও যথারীতি ওটা বার করে রাখতেই ভুলে গেছে। ওদের দরজার বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে ওটা খুঁজতে যাওয়া খারাপ দেখায়, তাই ওদের ঘরে ঢুকে সোফায় বসতে বলেছিলো ও।
চা খাবে? উল্টোদিকের সোফায় বসতে বসতে ওদেরকে জিজ্ঞেস করেছিলো অর্ক, বাড়িতে এসেছে যখন, তখন এটুকু সভ্যতা তো করতেই হতো।
হ্যাঁ, বলেই নিজেই উঠে দাঁড়িয়ে ছিলো রিয়া,
স্যার, আপনি বরং নোটস গুলো খুঁজুন ততক্ষন, আমি করছি, ম্যাডাম নেই, আপনাকে করতে হবে না।
একটু অবাকই হয়েছিলো অর্ক, দিতি নেই ওরা সেটা কিভাবে জানলো!
তোমরা জানলে কি ভাবে ম্যাডাম নেই?
স্যার, আপনি বাড়ি গিয়েছিলেন তো? ম্যাডাম কে রেখে এসেছেন, জানি সেটা। কফি করবো স্যার? এখানে আছে দেখতে পাচ্ছি কফি,
কথাগুলো বলতে বলতেই রান্না ঘরে ঢুকে গিয়েছিলো রিয়া, ও আর কথা বাড়াতে চায়নি,
করো তোমার যা ইচ্ছে, বন্ধুরা যা খেতে চায়!
বলেই নিজের স্টাডি তে ঢুকে গিয়েছিলো নোটস গুলো খোঁজার জন্যে। বেশ কিছুক্ষন লেগে ছিলো ওগুলো খুঁজতে, দিতি যে সব কোথায় গুছিয়ে রাখে! প্রয়োজনের সময় ও কিছুতেই খুঁজে পায়না, কতবার ওকে এখানে হাত দিয়ে বারণ করেছে। বেশি গোছানো থাকলে যে জিনিস খুঁজে পাওয়া যায়না এই থিওরি টা অদিতি কিছুতেই বিশ্বাস করে না। কিন্তু অর্কর গোছানো জিনিস থেকে কিছু খুঁজে বার করতেই বেশি সময় লাগে সব সময়।
নোটস গুলো নিয়ে বাইরে এসে দেখলো রিয়া কফি নিয়ে এসে সোফায় বসে আছে, সামনের টেবিলে ট্রে তে কফি রাখা। সবাই ইতিমধ্যেই চুমুক দিয়ে ফেলেছে নিজের নিজের কাপে। ও ও একটা কাপ হতে তুলে নিয়ে ছিলো, খুব একটা খারাপ বানায়নি কফিটা, চুমুক দিয়েই বুঝেছিলো অর্ক।
বিস্কুট নাওনি কেন তোমরা? রান্নাঘরে ছিলো তো,
বলে সোফা ছেড়ে উঠতে যাচ্ছিলো অর্ক, তার আগেই উঠে পড়েছিলো শ্রেয়া,
আপনি বসুন স্যার, আমি নিয়ে আসছি খুঁজে,
কফি খেয়ে আরো ঘণ্টা খানেক কথা বলে বেরিয়ে গিয়েছিলো ওরা, যাবার আগে অবশ্য সবার কাপগুলো ট্রেতে করে রান্নাঘরে রেখে এসেছিলো তিয়াসা। ও ও তারপর সোজা এসে খেতে বসে গিয়েছিলো টেবিলে। অনেকক্ষণ আগে দিদি রান্না করে যায়, দিতি থাকলে ওগুলো পরে আবার গরম করে, কিন্তু ওর সেটা ইচ্ছে করে না। তাই খুব বেশি ঠান্ডা হয়ে যাবার আগেই খেয়ে নেয় অর্ক।
ধুৎ, আর টিভি দেখতে ভালো লাগছিলো না, কাঁহাতক আর একই খবর বিভিন্ন চ্যানেলে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখা যায়! টিভি টা বন্ধ করে উঠে ঘরে ঢুকে পড়লো ও, এতক্ষনে সব রাগ চলে গেছে,নিজেরই। একটু ফোন করতে ইচ্ছে করছে দিতি কে, ও থাকলে সন্ধ্যে বেলা স্টাডি তে থাকলে বিরক্ত হয়, আর এখন ওর নিজেরই কিছু পড়তে ইচ্ছে করছে না।
অন্য সময় এই নিয়েই অদিতির সঙ্গে ওর গন্ডগোল হয়, কলেজ থেকে ফিরেই স্টাডিতে ঢুকে যাওয়া ওর একটুও পছন্দ নয়। দিতি কে বাড়ি তে রেখে এসে যে বই গুলো ও নিশ্চিন্তে পড়বে বলে আলাদা করে রেখেছিলো, সেগুলো ওই ভাবেই পড়ে আছে!! খুলেও দেখতে ইচ্ছে করছে না এখন!! অথচ তখন কতো কিছু ভেবেছিলো, দিতি না থাকাকালীন কতো কিছু করার প্ল্যান ছিলো ওর। সেসব তো কিছুই হয়নি এই তিন দিনে উল্টে এ সপ্তাহেই আবার বাড়ি যাবার প্ল্যান করতে লাগলো অর্ক!!
কাল রবিবার, কলেজ নেই, সারাদিন যে কিভাবে কাটবে, ভাবতেই বিরক্ত লাগছে অর্কর। অদিতি থাকলে এই ছুটির দিনটাই একদম অন্য রকম হতো, রবিবারগুলোর জন্যে দুজনেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকতো। দিতি নেই, এটা মনে হতেই মনে হলো সকালের পরে ওর সঙ্গে একবারও কথা বলতে পারেনি ও। সেই যে রাগ করে ফোন বন্ধ করে রেখেছিলো, তারপর অন করার পরেও দিতি নিজে থেকে করে নি আর।
কিন্তু ওর নিজের তো কিছু দায়িত্ব আছে, এই শরীরের অবস্থায় ও নিজে দিতি কে টেনশনে রাখতে পারেনা। অর্ক ঠিক আছে কিনা এটুকু জানতে তো অদিতি চাইবে নিশ্চয়ই, তাই মায়ের মোবাইলে ফোন করে দিয়েছিলো ও, কিন্তু দিতি র সঙ্গে কথা বলতে চায় নি।
কথা বললে ওর মোবাইলেই বলবে, মায়ের মোবাইলে ফোন করে ওকে ডাকবে না। তাই সকাল থেকে কথাই হয়নি আর। এতক্ষনে মাথা নিশ্চয়ই ঠান্ডা হয়ে গেছে, ফোন তুলে ডায়াল করলো অর্ক, অদিতির ফোন বন্ধ! এতো রাগ, সামান্য কারণে! পাগলামির একটা সীমা থাকে সব সময়, দিতি যেনো ভীষণ জেদি। কোনো বিষয় একবার মাথায় ঢুকে গেলে আর কিছুতেই বার করা যায় না। সাধারণ বিষয়গুলোকে অসাধারণ করে তুলতে ওর জুড়ি মেলা ভার।
এই সব টুকটাক মান অভিমান গুলো কে বাদ দিলে অদিতি মেয়ে হিসাবে খুবই ভালো। প্রথম বার কথা বলেই এতটাই ইমপ্রেস হয়েছিলো অর্ক, যে ওখানে বসেই বিয়ের ডিসিশন নিয়ে ফেলেছিলো সঙ্গে সঙ্গেই। বাবা মায়ের ও বেশ পছন্দ হয়েছিলো, মায়ের আবার ওর মা নেই শোনার পর থেকেই একটা মায়া পড়ে গিয়েছিলো, তাই দুই বাড়ি থেকেই বিয়ের দিন ঠিক করতে একটুও দেরি হয় নি।
এমনিতে যথেষ্ট সংসারী দিতি, কিন্তু সামান্য কথায় বড্ড বেশি রিয়াকশন দেখিয়ে ফেলে সব সময়। কাল যেমন ফোন না করার জন্যে ডিভোর্সের প্রসঙ্গও তুলে ফেললো, ও যে কখন, কোন সময় দিতির কাছে ডিভোর্সের কথা বলেছিলো ও সেটা একটুও মনে করতে পারছে না। ও তো চায় নি কখনো ডিভোর্স, তাহলে সেটা না দেওয়ার প্রশ্ন আসছে কেনো! ও নিজে যে একটা পাগল, আর ওকেও যে খুব শীঘ্রই পাগল করে ছাড়বে সেটা এখুনি বুঝতে পারছে অর্ক।
ক্রমশ