“শিমুপু জানো ভাইয়ু তোমাকে বেচে দিয়েছে। একটু পর ওই লোকটা এসে তোমাকে নিয়ে যাবে।”
তাথৈই এর কাছ থেকে এমন একটা কথা শুনে শিমু হাসলো। তাথৈই প্রায়ই বলে সে শিমুকে বিক্রি করে দিবে। আর যে টাকা পাবে সেগুলা দিয়ে অনেক চকলেট খাবে। কলেজের আজকে তৃতীয় দিন ছিলো শিমুর। মাত্রই ফিরেছে সে। কাট ফাটা রোদের মধ্যে দিয়ে হেটে এসে প্রায়ই ক্লান্ত শিমু। কাধ থেকে ব্যাগটা রেখে নেকাব খুললো। ঢকঢক করে দুইগ্লাস পানি খেয়ে হাতের মোজা খুলছে। তাথৈই আবার শিমুকে বললো,
— “শিমু শুনো না, ভাইয়ু তোমাকে বেচে দিবে। তুমি পালিয়ে যাও।”
তাথৈইকে কোলে নিয়ে দুইগালে চুমু দিলো শিমু। কপালের চুল সরিয়ে দিয়ে বললো,
— “আমাকে বিক্রি করে যে টাকা পাবে সেগুলা দিয়ে আমার লক্ষী বোনটা অনেক চকলেট খাবে। ঠিকাছে?”
তাথৈইকে কোলে নিয়ে রুমে আসলো। বিছানায় বসিয়ে দিয়ে পরনের বোরকা খুলে হ্যাঙারে ঝুলিয়ে বারান্দায় রেখে আসলো। তাথৈই খুব রেগে আছে। ফোসফাস করছে। শিমু ওয়াশরুম থেকে হাত মুখ ধুয়ে এলো। তীব্র রোদের কারণে শিমুর গাল দুটো লাল হয়ে আছে।
ওয়াশরুম থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই রুমে শিমুর দাদি আসলো। এসেই খট করে দরজা লাগিয়ে দিলো। শিমু তার দাদিকে দেখে হাসলো মাত্র। গামছা দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে বললো,
— “কি হয়েছে বুড়ি? দরজা লাগালে কেনো?”
দাদি শিমুর হাতে কিছু টাকা গুজে দিয়ে বললো,
— “শিমু তুই পালিয়ে যা। মাহিন তোকে বিক্রি করে দিয়েছে।”
— “কি যা তা বলছো দাদি। তুমি জানো মাহিন ভাইয়ের সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। তাহলে কেনো আমাকে বিক্রি করবে?”
— “তুই মাহিনকে চিনিস না। টাকার জন্য নিজের বউকে বিক্রি করতে দুই মিনিট ভাববে না।”
তাথৈই দৌড়ে এসে শিমুকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে কেঁদে বললো,
— “প্লিজ তুমি চলে যাও। ওই লোকটা অনেক খারাপ।”
শিমুর দাদি সৈয়দা খাতুন জোর করে বোরকা পরিয়ে দিলো। ব্যাগের মধ্যে কিছু কাপড় চোপড় ঢুকিয়ে দিয়ে বললো,
— “এখান থেকে অনেক দূরে চলে যা।”
সৈয়দা খাতুন আগে আগে বের হলেন। দরজার কাছে এসে দরজা খুলার আগে বাহির থেকে মাহিন ভেতরে ঢুকলো। সৈয়দা খাতুন ভূত দেখার মতো চমকে উঠলো। আমতা আমতা করে বললো,
— “তুই এতো তাড়াতাড়ি চলে এলি যে? তোর তো তিনটায় আসার কথা।”
মাহিন বাঁকা হেসে বললো,
— “আমি আসায় সমস্যা হয়ে গেছে? তোমার নাতনিকে এখনো ভাগিয়ে দিতে পারোনি তাই না?”
মাহিনের মা মিসেস রাবেয়া বেগম বের হয়ে এলেন। বললেন,
— “বাবা এইকাজটা করিস না। শিমু কিছুদিন পর তোর বউ হবে। আর তুই ওকে বিক্রি করে দিতে চাচ্ছিস।”
মাহিন তেড়ে এসে রাবেয়া বেগমের গলা চেপে ধরে। সৈয়দা খাতুন আতকে উঠে। দৌড়ে এসে বললো,
— “মাহিন ছাড় আমার বউমাকে।”
মাহিন সৈয়দা খাতুনেরও গলা চেপে ধরে। মা এবং দাদি দুইজনের গলা চেপে ধরেছে। ভেতর থেকে শিমু তাড়াতাড়ি করে এসে বললো,
— “মাহিন ভাই প্লিজ উনাদের ছেড়ে দিন। কেনো এমন করছেন আপনি? প্লিজ উনাদের ছাড়ুন।”
দুইজনকে ছেড়ে দিয়ে মাহিন শিমুর দিকে তাকায়। শিমুর দুই বাহু চেপে ধরে বললো,
— “পালিয়ে যাওয়ার দুঃসাহস দেখাবি না। একটু পর আবির চৌধুরি আসবে। তার সাথে তোর বিয়ে। একটু গরমিল হলে তোর সামনেই এদের লাশ পরবে। মনে রাখিস কথাটা। পালানোর বিন্দুমাত্র চেষ্টা করবি না।”
মাহিন তার মা এবং দাদির উদ্দেশ্যে বললো,
— “রান্নাবান্নার আয়োজন করো যাও। কোনো কমতি চাই না আমি।”
দরজার দিকে তাকিয়ে বললো,
— “বাজার নিয়ে ভেতরে আসো তোমরা।”
দুইটা ছেলে বাজারের ব্যাগ নিয়ে ভেতরে এলো। শিমু তাডের দেখে ভেতরে চলে গেলো। বাজারের ব্যাগ রান্নাঘরে রেখে ছেলে দুটো চলে যায়। সৈয়দা খাতুন এবং রাবেয়া বেগম নিরুপায় হয়ে রান্নাঘরে গিয়ে রান্নার ব্যবস্থা শুরু করলেন। মাহিন শিমুর কাছে গেলো। শিমু তাথৈইকে কোলে নিয়ে বসে ছিলো। মাহিন এসেই তাথৈইকে একটানে কোল থেকে নামিয়ে দিলো। তাথৈইকে বললো,
— “বাইরে যাও।”
তাথৈই না গিয়ে শিমুর হাত ধরেই দাঁড়িয়ে ছিলো। মাহিন ঠাটিয়ে চড় মারে তাথৈইকে। তাথৈই এর চিৎকারে রাবেয়া খাতুন এসে নিয়ে যান। শিমু বললো,
— “কেনো এমন করছেন আপনি? তাথৈইকে মারলেন কেনো? এতটুকু একটা বাচ্চাকে এভাবে মারলেন আপনি। আর বিয়েতো আপনার সাথে ঠিক হয়ে আছে তাহলে কেনো এসব করছেন?”
মাহিন বাঁকা হাসলো। শিমুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বললো,
— “খুব অহংকার না তোর? পর্দা করিস। পরপুরুষের সামনে যাস না। তোর এই অহংকার গুড়িয়ে দেয়ার জন্যই এতোকিছু।”
শিমু অবাক হলো এমন কথা শুনে। মাহিন আবার বললো,
— “অনেকবার বলেছি আমার কাছে আসতে। রাতে আমার সাথে সয়ম কাটাতে কিন্তু তোর এই অহংকারের কারণে পাত্তাই দিস নি।”
— “বিয়ের পর তো আমি আপনার সাথেই থাকতাম।”
— “উহু। বিয়ে নয়। বিয়ের আগে একটু ফুর্তি করতে চেয়েছি। উঠতি বয়স। আর তোর যে দৈহিক গঠন। ইশ্! আগুন ধরে মনে। তাই একটু মজা করতে চেয়েছিলাম। আচ্ছা তোর ইন্টারনাল সাইজ কত? থারর্টি ফোর? নাকি থার্টি সিক্স?”
শিমু থাপ্পড় দিলো মাহিনের গালে। বললো,
— “আপনি আমাকে নিয়ে এতো বাজে চিন্তা কিভাবে করতে পারেন? লজ্জা লাগে না আপনার? কয়েকদিন পর আপনার সাথে আমার বিয়ে হবে আর আপনি এখন এসব বলছেন কেনো? আর কেনোই বা অন্যের কাছে বিক্রি করছেন?”
— “একটা ফ্ল্যাট, দশ লক্ষ টাকা আর সারাজীবন ফূর্তি করার জন্য প্রতিদিন নতুন নতুন মেয়ে দিচ্ছে আমাকে এই আবির চৌধুরি। বিনিময়ে তার শুধু একটা ইনটেক মেয়ে চাই। যার কোনো আত্মীয় স্বজন থাকবে না। এমন একটা সুযোগ আমি হাত ছাড়া কিভাবে করি বল।”
শিমু কাঁদতে কাঁদতে বললো,
— “সেই ছোটবেলা থেকে আপনাকে আমি চেয়ে এসেছি তার বিনিময়ে আপনি আমাকে এভাবে ঠকাচ্ছেন?”
— “আমিও তোকে চাই। কিন্তু আগে আমি ফ্ল্যাট আর টাকা চাই। তাই ওইযে শাড়ি আর গয়না রাখা আছে সেগুলা পড়ে রেডি হয়ে নে।”
মাহিন শিমুর কানে ফিসফিস করে বললো,
— “তোর পর্দার অহংকার সব গুড়িয়ে দিবে এই আবির চৌধুরি। রেডি ফর ইট। আমি এসে যদি তোকে রেডি না পাই তাথৈইকে বিক্রি করে দিবো। কচি দেহ। টাকা অনেক আসবে।”
— “নিজের বোনকে নিয়ে এসব বলতে আপনার একটুও বাধছে না? আমি নাহয় পর কিন্তু তাথৈই তো আপনার নিজের মায়ের পেটের বোন।”
— “যেখানে আমি নিজের মাকে গলা চেপে ধরতে পারি। সেখানে এসব সম্পর্ক আমার জন্য কিছুই না।”
মাহিন চলে গেলো। শিমু মেঝেতে বসে পরলো। সৈয়দা খাতুন এগিয়ে এলেন। শিমু তার দাদিকে ধরে কান্নায় ভেঙে পরলো। ভাঙা গলায় বললো,
— “দাদি আমিতো কোনো অহংকার দেখাইনি। শুধু পর্দা করি, নামাজ পড়ি আর ছেলেদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখি। তাহলে কেনো এমন হলো? আমি কি মাহিনকে কম ভালোবেসেছি? তাহলে কেনো আমাকে এভাবে ঠকালো মাহিন?”
— “এখনো সময় আছে তুই পালিয়ে যা। নিজের জীবন গড়ে নে।”
— ” না দাদি। আমি চলে গেলে একটু খানি বাচ্চা মেয়ে তাথৈইকে বিক্রি করে দিবে মাহিন।”
সৈয়দা খাতুন আর বলার জন্য কিছু পেলেন না। শিমুর মনে হলো তিনজন মানুষকে এভাবে শেষ হতে না দিয়ে সে নিজেই বলির পাঠা হয়ে গেলে তো সমস্যা নেই। তাছাড়া শিমুর জন্য কাঁদার আপন বলতে কেউ নেই। তাই মাহিনের কথা অনুযায়ী রেডি হয়ে নিয়েছে।
যথা সময়ে বিয়ে হয়ে গেলো শিমুর। খাওয়া দাওয়া শেষে শিমুকে নিয়ে চলে গেলো আবির চৌধুরি।
——————————
ফুলে সাজানো পুরো ঘর। ফুলের ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে পুরোটা রুম। শিমু বিছানার এক কোণে বসে আছে। নিরবে কাঁদছে। মনে মনে ভাবছে — “কাউকে মন থেকে চাইলে বুঝি এভাবে ঠকতে হয়? কাউকে অন্ধের মতো ভালোবাসলে বুঝি তাকে অন্ধ প্রমাণ করা হয়?”
শিমুর ভাবনার মাঝেই দরজার খটখট আওয়াজ হলো। শিমু নড়ে চড়ে বসলো। শিমু মাথাটা হালকা তুলে সামনে তাকালো। চওড়া দেহের লম্বা এক যুবক তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। গায়ে কালো সুট প্যান্ট। তার পারফিউমের ঘ্রাণ এসে শিমুর নাকে লাগছে। শিমু কাপা কাপা কণ্ঠে সালাম দিলো। অপাশ থেকে কোনো উত্তর নেই। লোকটা শিমুর কাছে এগিয়ে এলো। শিমু মিনমিনে স্বরে বললো,
— “স্ত্রীর কপালে হাত রেখে একটা দোয়া পড়তে হয়। আপনি আমার কপালে হাত রেখে দোয়াটা পড়ুন।”
শিমু মাথাটা তুলে দেখলো লোকটা কিছু বলছে না। শিমু আবার বললো,
— “না জানলে সমস্যা নেই আমি শিখিয়ে দেবো আপনাকে।”
কথাবার্তা ছাড়াই শিমুকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিলো লোকটা। গায়ের কোটটা খুলে ফ্লোরে আছাড় মারলো। গলার টাই খুলে ছুড়ে মারলো অন্যদিকে। শার্টের উপরের তিনটা বোতাম খুলে ঝাপিয়ে পরলো শিমুর উপর।
চাহিদা শেষে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় শিমুকে খাট থেকে। তখন ফজরের আযান পরেছে। শিমুর জ্ঞান নেই। লোকটার অমানবিক অত্যাচারে শিমু জ্ঞান হারিয়েছে।
——————————
এগারোটার দিকে ঘুম ভাঙলো আবিরের। চোখ খুলে নিজেকে ফুলে সজ্জিত বিছানায় আবিষ্কার করলো। লাফ দিয়ে উঠে বসলো। গায়ে কাপড় নেই। বেড থেকে নামতে গিয়ে দেখলো লাল শাড়িতে জড়ানো একটা কম বয়সি মেয়ে। আবিরের মনে হলো এটা তার বিয়ে করা বউ। নিচে নেমে মেয়েটার মাথার পাশে বসলো। শাড়িটা ঠিকভাবে নেই। এলোমেলো। চুলগুলোও এলোমেলো। ঠোঁট কেটে রক্ত জমাট বেধে গেছে। গালে, গলায়, বুকে কামড়ের দাগ। কোথাও কালচে তো কোথাও লাল হয়ে আছে। মেয়েটার গালে হালকা থাপ্পড় দিয়ে ডাকলো কোনো সাড়াশব্দ নেই। আবির তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বললো,
— “তোরা মেয়েরা এতো রঙ দেখাস কিভাবে? উঠ বলছি।”
আবির দাঁড়িয়ে যায়। পা দিয়ে গুতা দেয় পেটে তাতেও সাড়াশব্দ নেই। রাগের বসে জোরেই লাথি মারে। এতেও কোনো সাড়াশব্দ পেলো না। আবির বললো,
— “এভাবে মানবি না। দাড়া দেখাচ্ছি মজা।”
কোলে তুলে নিলো মেয়েটাকে। ওয়াশরুমে এসে বাথটাবে ফেলে দিলো। বেরিয়ে এসে বিছানার সামনে দাঁড়ালো। কোমড়ে একহাত রেখে অপর হাতে মাথা চুলকে ভাবছে মেয়েটা উঠছে না কেনো? বেডশিটের দিকে নজর যেতেই কাছে এসে ভালো করে দেখলো। অর্ধেক জায়গায় ব্লাডে লাল হয়ে আছে। আবির দৌড়ে ওয়াশরুমে গেলো। মেয়েটা বাথটাবের পানিতে ডুবে গেছে। তাড়াতাড়ি করে কোলে তুলে রুমে এনে বিছানায় শুয়ে দিলো। মেয়েটার জন্য কোনো কাপড় আনা হয়নি। নিজের একটা সাদা শার্ট এবং কালো টাউজার পরিয়ে দিয়ে বিছানা চাদর পালটে ডাক্তারকে ফোন দিলো।
লেডি ডাক্তার ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে বললো,
— “ফার্স্ট টাইম?”
আবির আমতা আমতা করে বললো,
— “ইয়েস।”
— “আই সি।”
ডাক্তার দাঁড়িয়ে বললো,
— “শি ইজ ভেরি উইক ফিজিক্যালি এন্ড ম্যান্টালি। শি নিড রেস্ট। ইউ সুড গিভ হার সাম টাইম।”
— “ইয়াহ। থ্যাংক ইউ।”
ডাক্তার চলে গেলো। আবির শাওয়ার নিয়ে এসে মেয়েটার পাশে বসলো। একধ্যানে তাকিয়ে আছে আছে মেয়েটার দিকে। দুধে আলতা শরীর মেয়েটার। রক্তজবার ন্যায় ঠোঁট। ভ্রু কুচকুচে কালো। চোখের পাপড়ি বেশ ঘন এবং লম্বা। নাকের ডগায় একটা কালো তিল আছে। যেটা সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। দেখেই মনে হচ্ছে বয়স সতেরো কি আঠারো হবে। চেহারায় একটা অদ্ভুত মায়া আছে। ঘুমন্ত অবস্থায় আরো নিষ্পাপ লাগছে।
একধ্যানে কতক্ষণ তাকিয়ে ছিলো আবিরের জানা নেই। তবে সে এটা বুঝতে পারছে এর আগে এতোটা খুটিয়ে কোনো মেয়েকে সে দেখেনি। মেয়েটাকে পুতুলের মতো সাজানোর ইচ্ছে জাগলো আবিরের। মোবাইল নিয়ে কাকে যেনো ফোন দিলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ির মেইড অনেকগুলো শপিংব্যাগ এনে আবিরের রুমে রেখে গেলো। আবির মেয়েটার হাতে চুমু দেয়। কপালে চুমু দিয়ে কানের কাছে ফিসফিস করে বললো,
— “হেই বিউটিফুল লেডি গেট আপ আরলি। আই এম ওয়েটিং।”
মেয়েটা একটু নড়েচড়ে উঠে। আবির সোজা হয়ে বসে। মেয়েটা পিটপিট করে চোখ খুলে তাকায়। আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো অপরিচিত জায়গা। সামনে তাকিয়ে একজন সুদর্শন যুবককে দেখে ধড়ফড় করে উঠে বসতে চাইলেই ব্যাথায় কুকিয়ে যায়। ধপ করেই বিছানায় পরে যায়। আবির শুধু মুগ্ধ হয়ে দেখছে। চোখ কুচকে ফেললেও মেয়েটাকে অসম্ভব সুন্দর লাগে। মেয়েটা শুয়ে থেকেই চোখ খুলে শান্ত হয়ে আবিরের দিকে তাকায়। আবির নেশা ধরা কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
— নাম কি তোমার?
চলবে,,
সুখপাখি।
সূচনা পর্ব।
® নাহার।