#মৃত_কাঠগোলাপ – ৩১
#আভা_ইসলাম_রাত্রি
_____________________________
আপাদমস্তক মন খারাপের নতুন ভোর! সারারাত আয়েশী ঘুমায় নি। শুধু ফ্যাচফ্যাচ করে কেঁদেছে। ধ্রুব সেসময় আয়েশীর পাশে থেকেছে। আয়েশীর মাথাটা নিজের কাঁধে রেখে হরেক রকমের গল্প পেতেছে। দুঃখ গল্প, সুখ গল্প, আবেগ গল্প, রংতুলিতে গল্পের রঙ এঁকে আয়েশীর মন মাতানোর চেষ্টা করেছে। তবে পেরেছে কি?
আয়েশীর নিজেকে খুব দুঃখী মেয়ে মনে হচ্ছিল। সে সব পেয়েও অভাগার ন্যায় সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে।
সেদিন রাতে অন্ধকার যত বৃদ্ধি পাচ্ছিল, আয়েশীর বারবার মৃদুলের কথা মনে পড়ছিল। ছটফট করেছিল মনের পিঞ্জরে আটকে থাকা দুঃখী পঙ্খী। বুকের ভেতরে বারবার ডানা ঝাপটে ঘোষণা করেছিল মনের মধ্যে বহমান তীব্র ঝড়ো হাওয়ার বার্তা!
সকালের নাস্তা খাওয়ার পর ধ্রুব হাতে ব্লেজার নিয়ে বেরিয়ে যেতে উদ্যত হয়। একটি গুরুত্বপূর্ন মিটিং আছে। যেতে যেতে আয়েশীর কপালের মধ্যখানে ক্ষুদ্র চুমু খেয়ে বলেছে, ‘ দ্রুত ফিরব। ভালো থেকো! মন খারাপ করবে না একদম, ঠিক আছে? ‘
আয়েশী কথা বলেনি। মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। ভালো লাগছে না কথা বলতে। মুখ-হৃদয়ে কি অসহ্য ব্যথা।
ধ্রুব তুষারের সাথে ফোনে কথা বলতে বলতে ব্যস্ত পায়ে বেরিয়ে পড়ে বাড়ি ছেড়ে।
ধ্রুব চলে যাওয়ার এক ঘন্টা পর, আয়েশী সেই মেয়েকে ডাকে ধ্রুবর বাড়িতে। মেয়েটা আসে। সম্পূর্ন শরীর কালো বোরকা দিয়ে ঢাকা, শুধু চোখ দুটো ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছে না তার। আয়েশী মেয়েকে সোফায় বসিয়ে, উপর থেকে রেডি হয়ে আসে। নিচে এসে মেয়েটার হাত খপ করে ধরে বলে, ‘ তোমার কথার সত্যতা পরীক্ষা করব আজ। চলো আমার সাথে। ‘
আয়েশী ভেবেছিল, তার কথায় মেয়েটা ভয়ে লুটিয়ে পড়বে। ঘনঘন ঢোক গিলে শান্ত হওয়ার চেষ্টা করবে। আত্মা কাঁপবে, হাত পা কেঁপে অস্থির হবে। অথচ মেয়েটা এমন কিছুই করল না। বরং বলল, ‘ চলুন। ‘
আয়েশী হতভম্ব অনুভব করল। অশান্তি লাগছে তার। ভেতর ভেতর শঙ্কা হচ্ছে। মেয়েটার কথা না সত্যি হয়ে যায়!
আয়েশী আর কথা বাড়ায় না। ধ্রুব আসার আগেই কাজ শেষ করতে হবে। তাই আয়েশী দ্রুত মেয়েটাকে সাথে নিয়ে বেরিয়ে যায় বাড়ি থেকে।
ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছে। ধ্রুব পেছন সিটে বসে ল্যাপটপে আয়েশীর বাড়ি থেকে চলে যাওয়া দেখছে। ওসমান পাশে বসে ছিল। ধ্রুবর দৃষ্টি অনুসরণ করে ল্যাপটপে চোখ পড়লে, ওসমান ভয়ে আঁতকে উঠে। আয়েশী ম্যাম ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন! আজ তো ধ্রুব স্যার ম্যাডামের হাড্ডি ভেঙে গুঁড়ো ফেলবেন। ওসমান আতঙ্কভরা চোখ নিয়ে ধ্রুবর দিকে চায়। ধ্রুব তখন শান্ত। ডান হাতের আঙ্গুল দিয়ে খোঁচা দাড়ি চুলকায়। হঠাৎ বুকে হাত চেপে সিটে হেলান দেয়। ক্ষুদ্র নিঃশ্বাস ছেড়ে চোখ উল্টে বলে,
‘ তোমার ম্যাডাম এত সুন্দর কেন, ওসমান? তাকে দেখলেই কেন আমার বুক ধড়াস ধড়াস করে? আনসার মি, ওসমান।’
ওসমানের মুখ হা হয়ে যায় ধ্রুবর কথা শুনে। আয়েশী ম্যাডাম বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন, অথচ ধ্রুব স্যার এত নিশ্চিন্তে বুক কম্পনের গল্প পাতছেন? কিভাবে? তার তো এখন রাগে রণমূর্তি হয়ে সবকিছু ধ্বং’স করে দেওয়ার কথা। ওসমান বোকার মত চেয়ে থাকে ধ্রুবর দিকে। ওসমানকে চুপ করে থাকতে দেখে ধ্রুব ঘাড় কাত করে তাকায় তার দিকে। ওসমানের মুখ তখনো হা! ধ্রুব হেসে ফেলে। ওসমানের ধ্যান ভাঙে। লজ্জা পেয়ে যায় সে। সঙ্গেসঙ্গে মাথা নত করে বিড়বিড় করে বলে, ‘ সরি স্যার। ‘
ধ্রুব হাসে মিটিমিটি। এই প্রথম ওসমান ধ্রুবকে মন খুলে হাসতে দেখছে। আয়েশী ধ্রুবর জীবনে আসার পর থেকে ধ্রুবর সমগ্র জীবনটাই বদলে গেছে। ধ্রুব আগে ন্যায় সর্বদা মুখ গোমড়া করে থাকে না, হঠাৎ হঠাৎ হাসে। হাসলে তার সুন্দর মুখ আরো বেশি আকর্ষণীয় লাগে। ডান গালে গর্ত লক্ষ্য হয়। ধ্রুব আপাদমস্তক ভয়ংকর সুদর্শন পুরুষ! সকল নারীর স্বপ্ন রাজপুত্রের মত বদনের অধিকারী। ধ্রুব এমন ভয়ংকর সৌন্দর্য্য পেয়েছে তার বাবার থেকে। ধ্রুবর বাবা ছিলেন ঠিক ধ্রুবর মত। সুন্দর তবে ভয়ংকর! ধ্রুবর সৎ মা অনেকেই ছিলেন। তবে ধ্রুবর মা ছিলেন ধ্রুবর বাবার একমাত্র ভালোবাসা। বাকি স্ত্রীরা শুধুমাত্র কামনা মেটানোর জন্যে ছিলেন। ধ্রুবর মা ছিলেন আয়েশীর মত সহজ সরল। ধ্রুব তার মায়ের সরলতা না পেয়ে পেয়েছে বাবার হিং’স্রতা! বিষয়টা হতাশাজনক!
ধ্রুবর এমন ভয়ংকর সৌন্দর্য্য দেখে ওসমানের মাঝেমধ্যে মনে হয়, ওসমান যদি কখনো মেয়ে হত তাহলে সে নিশ্চয়ই ধ্রুবর প্রেমে পড়ত। ধ্রুবর হিংস্র’তা যে মেয়ে জানে না, সে প্রতি প্রার্থনায় ধ্রুবকে চায়। ধ্রুবর সঙ্গে জীবন কাটানোর স্বপ্ন দেখে। যদি তারা ধ্রুবর ধ্বং’সাত্মক আচরন দেখত, তবে তারা কু’ক্ষণেও ধ্রুবর সঙ্গ চাইতো না। বরং মনের ভুলেও ধ্রুবর নাম উচ্চারণ করতে তাদের বুক কাঁপতো। ভয়ে তাদের শরীর বেঁকে যেত।
‘ ওসমান, প্যারিসের দুটো বিজনেস ক্লাস টিকেট কাটবে। বহুদিন হয়েছে কোথাও ঘুরতে যায়নি। তোমার ম্যাডামের মন খারাপ তাড়াতে প্যারিসের শীতল হাওয়া, রোমান্টিক পরিবেশ যথেষ্ট! তোমার জন্যেও একটা নরমাল টিকিট কেটো। তুমিও যাচ্ছ আমাদের সঙ্গে। ‘
ধ্রুবর কথা শুনে ওসমানের মুখের অভিব্যক্তি তখন দেখার মত ছিল। এই প্রথম ধ্রুবর সাথে সে দেশ ভ্রমণ করতে যাচ্ছে। পূর্বেও ধ্রুব অনেকবার নানা দেশে ঘুরেছে, তবে একা। ধ্রুব একা একা ঘুরতে পছন্দ করে। কেউ সাথে থাকলে বরং তার উপভোগ করতে বিরক্ত লাগে। তবে আজ ধ্রুব আয়েশীকে সঙ্গে নিচ্ছে, আশ্চর্যের ব্যাপার ওসমানও যাচ্ছে তাদের সাথে। আজ কি ধ্রুব স্যারের মন খুব ভালো? মন ভালো হওয়ার কারণ কি? আয়েশী ম্যাডাম?
_______________________________
আয়েশী এবং মৃদুলের মা, তাহিয়া বেগম মুখোমুখি বসে আছেন। অনেকদিন পর তাহিয়া বেগম আয়েশীকে দেখে খুশিতে গদগদ হয়ে পড়লেন। মৃদুলের মারা যাবার পর, আয়েশী মাঝেমধ্যে তাহিয়া বেগমকে যোগাযোগ করে খোঁজ খবর নিত। কিন্তু আয়েশীর বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর, আয়েশী আগের মত খোঁজ নেয়নি। তিনি ভেবেছেন, নতুন সংসারে মেয়েটা হয়তো ব্যস্ত ভীষন। তাহিয়া বেগম একপলক আয়েশীর পাশে থাকা বোরকা পরিহিত মেয়েটার দিকে তাকালেন। মেয়েটিকে তাহিয়া বেগম চিনতে পারছেন না। আয়েশীকে জিজ্ঞেস করলেন মেয়েটার নাম কি? আয়েশী বলল, ‘ মুনিজ’
আয়েশী সর্বপ্রথম তাহিয়া বেগমের হাল চাল জিজ্ঞেস করল। তাহিয়া বেগম আঁচলের কোণ কর্তৃক চোখের জল মুছে বললেন, ‘ ভালো আছি মা। তুমি কেমন আছ? অনেকদিন পর তোমায় দেখলাম। তোমার স্বামী কেমন আছে? ‘
স্বামীর কথা জিজ্ঞেস করলে, তাহিয়া বেগমের চোখে জল ভরে। আজ মৃদুল বেঁচে থাকলে, আয়েশীর মত লক্ষ্মী মেয়ে তাদের বাড়ির বউ হত। মৃদুল এবং আয়েশীর ভালোবাসায় এ ঘর মুখরিত থাকত। তাদের ছেলে মেয়ে হলে, ফাঁকা ঘরটা পূর্ণতা লাভ করত। তাদের নাতি নাতনি ছোটছোট পা ফেলে ঘরময় ঘুরে বেড়াত। ইশ, তাহিয়া বেগম সারাক্ষণ নাতি নাতনীদের সাথে হেসে খেলে বেড়াতেন। একাকীত্বে ভোগার সময় কোথায় তার? কিন্তু আজ? আজ মৃদুল নেই। আয়েশীও অন্য কারো ঘরের ঘরণী। আজকাল তাহিয়া বেগমের ঘরটা কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগে। রাত হলে তাহিয়া বেগম ক্লান্ত হয়ে পড়েন একাকীত্বের সাথেই যুদ্ধ করে। একমাত্র ছেলেবিহীন বাড়িটা মৃ’ত মৃ’ত মনে হয়। মৃদুলের বাবার শরীরটাও ভালো যাচ্ছে না। টাকার সংকট দেখা দিয়েছে। ভালো চিকিৎসা করাবেন, তারও উপায় নেই। কবে যে সব ভালো হবে!
‘ মা? ‘
আয়েশীর মা ডাকে ধ্যান ভাঙে তাহিয়া বেগমের। মৃদুল থাকাকালীন আয়েশী বিয়ের আগেও তাহিয়া বেগমকে মা ডাকত। আজ মৃদুল নেই। তবুও আয়েশী তাকে মা ডাকছে। তাহিয়া বেগম সেই মা ডাক শুনে ক্রমশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছেন।
‘ মা, আপনাকে আমার কিছু প্রশ্ন করার ছিল। ‘
তাহিয়া বেগম নিজেকে সামলে বললেন, ‘ বলো! ‘
আয়েশী মুনিজকে নিকাব খুলতে বলল। মুনিজ কিছুক্ষণ থেমে নিকাব খুলে তাহিয়া বেগমের দিকে তাকাল।
মুনিজের চেনা চেহারা দেখে তাহিয়া বেগম ধপ করে সোফা ছেড়ে উঠে গেলেন। মৃদু চেঁচিয়ে বললেন, ‘ তুমি? ‘
আয়েশীর বুক ছ্যাঁত করে উঠল। অর্থাৎ, মেয়েটাকে মৃদুলের মা চিনেন। আয়েশী বলল,
‘ মা, আপনি কি তাকে চিনেন? ‘
তাহিয়া বেগম উত্তর দিলেন না। বরং মুনিজের হাত খপ করে ধরে বাড়ির বাইরে টেনে যেতে উদ্যত হলেন। আয়েশী তাকে থামাল। বলল, ‘ মা, থামুন। কি করছেন? শান্ত হোন। ‘
তাহিয়া বেগম শান্ত হলেন না। বরং অশান্ত হয়ে বললেন,
‘ তুমি একে চেনো না আয়েশী। এই মেয়েটা মিথ্যুক। আমার ফুলের মত ছেলেটাকে ফাঁসিয়েছে। আমি কতদিন এই মেয়েকে না করেছি মৃদুলের আশেপাশে না ঘুরতে। কিন্তু নির্লজ্জ মেয়ে মৃদুলের মৃত্যুর দিন এসে বলে আমার মৃদুল নাকি বিয়ে করেছে একে। আমি জানি আমার ছেলে কিছুতেই এসব করতে পারে না। মৃদুল পুরুষ মানুষ, আশেপাশে ঘুরছে তাই হয়তো দু একটা কথা বলেছে। কিন্তু বিয়ে? বিয়ে করতেই পারে না। আয়েশী, আমি চিনি আমার ছেলেকে। সে কি এসব করতে পারে? তুমি বের করে দাও একে আমার ঘর থেকে। আমার ঘর অপবিত্র হচ্ছে এই নোং’রা মেয়ের স্পর্শে। ‘
আয়েশী যা বোঝার বুঝে গেল। অর্থাৎ, তাহিয়া বেগম অনেক আগে থেকেই মুনিজকে চেনেন। মুনিজ মৃদুলের বিয়ের দিন তাহিয়া বেগমের সাথে দেখা করেছে। মৃদুলকে শেষ দেখা দেখতে চেয়েছিল, কিন্তু তাহিয়া বেগম দেননি তাকে দেখতে। আয়েশীর চোখে জল উপচে আসতে চায়। তাহলে মৃদুল সত্যিই মুনিজকে বিয়ে করেছিল। আয়েশী মেয়েটার হাত তাহিয়া বেগমের থেকে ছাড়িয়ে নেয়। তাহিয়া বেগম রাগে ফুসফুস করছেন। মেয়েটা তাহিয়া বেগমকে একে একে মৃদুল এবং তার বিয়ের ছবি, কাবিননামা, এ্যাবোরশন রিপোর্ট, তাদের সকল অন্তরঙ্গ ছবি দেখাল। সব দেখে তাহিয়া বেগম চুপসে গেলেন। হতভম্ব হয়ে বললেন,
‘ আমি বিশ্বাস করি না। আমার মৃদুল এমন নোংরা কাজ করতেই পারে না। ‘
আয়েশী এবার মৃদু কন্ঠে বলে,
‘ যা সত্যি তা কখনো বদলাতে পারবেন না, মা। প্রমাণ আপনার চোখের সামনে। মৃদুল আমাকে, আপনাকে, আমাদের সবাইকে ধোঁকা দিয়েছে, মা। মৃদুল কখনো ভালো প্রেমিক, ভালো ছেলে কিংবা ভালো স্বামী ছিল না। সে ধোঁকাবাজ। সে ঠকেয়েছি আমাদের অনুভূতিকে। ‘
তাহিয়া বেগম ধপ করে সোফায় বসে পড়লেন। মাথা ঘুরছে তার। আয়েশী অনেকসময় নিয়ে তাহিয়া বেগমকে শান্ত করল। তাহিয়া বেগম শান্ত হয়ে, মুনিজকে কাছে ডাকলেন। হাত জোড় করে ক্ষমা চাইলেন মেয়েটার কাছে। আয়েশী, মেয়েটা, তাহিয়া বেগম সবাই কাঁদছেন। এক পুরুষকে এই তিন নারী ভালোবেসে মনে রাখতে চাইছিলেন, অথচ আজ সবাই তাকে ঘৃনা করতে চাইছেন। কিন্তু এই তিন নারীর চোখের মণি ছিল মৃদুল। তাই তারা চেয়েও প্রিয় মানুষকে ঘৃনা করতে পারছেন না। আফসোস,এক সমুদ্দুর আফসোস!
#চলবে ( শব্দসংখ্যা- ১৪০০+)
প্রায় ১৪০০ মানুষ গল্প পড়েন, অথচ রিয়েক্ট করতে চান না। যারা গল্পটা পড়বেন কষ্ট করে রেসপন্স করবেন প্লিজ। পেইজের রিচ অনেক কমে গেছে। আপনাদের ছোট্ট রিয়েক্ট, দু লাইনের কমেন্ট আমাকে গল্প লিখতে অনেক বেশি উৎসাহিত করে।
সেরা কমেন্টকারীদের নাম তাদের কমেন্টসহ লেখিকার গ্রুপে পোস্ট করা হবে।
লেখিকার গ্রুপ,
আভার পাঠকঘর📚-stories of Ava Islam Ratri