#৫ম_তলার_মেয়েটাপর্ব_১৭
নওমিকে কেন বাড়িওয়ালার বাসায় ডেকে আনা হয়েছে সে বুঝতে পারছে না। তার সামনে অনেক রকমের নাস্তা দেয়া হয়েছে। তার একটু অস্বস্তি লাগছে। দাদু মানে বাড়িওয়ালা তোফাজ্জল হোসেনের মা জালেরা বেগম নওমির একদম কাছে বসে আছেন।নওমি খুব সুন্দর একটা মিষ্টি ঘ্রাণ পাচ্ছে, সব সময় শুভ্রতায় ঘেরা জালেরা বেগমের শরীর থেকে।এমন একটা ঘ্রাণ যা খুব মিষ্টি যা কাছে টানে। একবার নওমি ভাবল জিজ্ঞেস করবে,’দাদু আপনার গা থেকে এত সুন্দর ঘ্রাণ আসছে সেটা কিসের? কিন্তু মানুষ যা ভাবে সব সময় সেটা করতে পারে না।জালেরা বেগম নওমির জীবন বৃত্তান্ত সব কিছু সম্পর্কে নওমির কাছ থেকে জেনে নিলেন।বাবা মা মরা নওমির জন্য খুব হা হুতাশ করলেন।
জালেরা বেগম যেই জন্য নওমিকে ডেকেছেন তার কিছুই বললেন না।নওমিকে একটা ও কড়া কথা বলতে পারলেন না।নওমির জন্য কেমন একটা টান অনুভব করতে লাগলেন।এই টান কোন সুতার টান না,হৃদয়ের গভীর থেকে ভালোবাসার টান।সেই নাক,সেই মুখ,সেই হাসি অবিকল একই রকম। কিভাবে সম্ভব জালেরা বেগম ভাবতে লাগলেন।যেই আশঙ্কাটা মনে এসে ধাক্কা দিচ্ছে সেটা সত্যি , এটা ভাবতেই তাঁর গায়ে কাঁটা দিচ্ছে।না না আশঙ্কা, আশঙ্কাই থেকে যাক। মানুষের মতো দেখতে মানুষ হয় না?
প্রথমদিন সিঁড়িতে নওমিকে দেখে তিনি এতটাই অবাক হয়েছিলেন মনে হচ্ছিল তাঁর শ্বাশুড়ি সামনে দাঁড়িয়ে আছেন,সেটা কিভাবে সম্ভব? যিনি সাতচল্লিশ বছর আগে মারা গেছেন তিনি কিভাবে আসবেন?তাঁর পা সিঁড়িতে আটকে গিয়েছিল। বুকটা ধরাস করে উঠেছিল।এত দিন এই নিয়ে অনেক ভেবেছেন,কোন কূল কিনারা করতে পারেন নি।আসলে বার বার ঘুরে ফিরে একটা জায়গাতে গিয়েই চিন্তাটা থেমে যায়।এর বেশি তিনি ভাবতে চান না,তার আশঙ্কা সত্যি হয়ে সামনে আসুক সেটা তিনি মনে প্রাণে চান না।
কিন্তু কিছু কিছু সত্যি বড় নির্মম হয়।না চাইলেও সামনে চলে আসে।
জালেরা বেগম , নওমিকে ডেকেছিলেন এটা বলার জন্য যে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই বাসা ছেড়ে নওমি যেন চলে যায়। এই কথাটা তিনি বলতেই পারলেন না, তার গলায় আটকে গেল।
তার শাশুড়ির নাম ছিল গুলনাহার। অসম্ভব অমায়িক আর ধার্মিক মানুষ ছিলেন। অনেক কিছু শিখেছেন তিনি শাশুড়ির কাছ থেকে, অনেক কিছু না বলতে গেলে সবকিছুই শিখেছেন। তার বিয়ের সময় বয়স ছিল বারো বছর। তিনি ছিলেন খুবই একরোখা এবং রাগি স্বভাবের মেয়ে। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে রাগ করলেই তার শাশুড়ি মিষ্টি করে হেসে কাছে বসিয়ে বুঝিয়ে বলতেন। এত বছর আগের একজন অশিক্ষিত মহিলা ছিলেন অসম্ভব আধুনিক মন- মানসিকতা সম্পন্ন। খুবই উচ্চ, বিচক্ষণ এবং সরল মন-মানসিকতা ছিল উনার।
নওমি মেয়েটার সাথে কথা বলে বুঝতে পারছেন এই মেয়ের স্বভাব ও তার শাশুড়ির মতো। কথা বলে ঠিক সেইভাবে মিষ্টি করে হেসে হেসে। এই রহস্যের একমাত্র মীমাংসা করতে পারে তার ছেলে তোফাজ্জল।ভাবতেই তাঁর বুকটা আবার কেঁপে উঠলো।
নওমি মনে মনে ভাবছে দাদু হয়তো তার জন্য পাত্র ঠিক করছে।এর আগেও দেখেছে যারা তার সঙ্গে এভাবে কথা বলে, তার সব কিছু জানতে চায় এর কারণ একটাই বিয়ের পাত্রী হিসেবে তাকে যাচাই-বাছাই করতেই এই প্রক্রিয়া।
এটা বুঝতে পেরেও নওমি কিছু বলছে না।
বাড়িওয়ালী এসে বসলেন তার শ্বাশুড়ীর রুমে একটু ভয়ে ভয়ে। এই মেয়েটার সামনে আবার কি না কি বলে ফেলেন শাশুড়ি! কিন্তু নিজের কৌতুহল দমিয়ে রাখতে পারলেন না। এতক্ষণ ধরে তার শাশুড়ি কি কথা বলে এই মেয়ের সাথে? সেই কৌতুহল থেকেই তিনি এসে ভয়ে ভয়ে বসলেন। এই ব্যাপারটা জালেরা বেগম ঠিকই বুঝতে পারলেন। তার ছেলের বউয়ের স্বভাব খুব ভালো করেই তিনি জানেন।
তাই এত দূ্ঃশ্চিতার মাঝেও হাসলেন-
—আস আস বস আইসা, নাইলে তো তোমার পেটের ভাত হজম হইবো না।
—কি যে বলেন আম্মা,আপনাদের কিছু লাগবে কিনা দেখতে আসলাম।
—না কিছু লাগবে না।এই মেয়েটা যে এত দিন থাইকা এইখানে আছে কোন দিন একটু কাছে বসাইয়া দুইটা কথা বলছ?একলা থাকে ,কি খায় কি না খায়, একদিন ডাইকা খাওয়াইছ?
আজকে খুব ভালো কইরা রান্না কর,রাত্রে আমাগোর সাথে ও খাইবো।
নওমি বলল-
—না না দাদু খেতে হবে না। সন্ধ্যার পরে আবার ঝিমি পড়তে আসবে আমার কাছে।
—ঝিমিটা কে আবার?
—আমার পাশের ফ্লাটের মেয়েটা। আমার কাছে পড়ে।
—ঐ যে ঐ মেয়ে স্যার কি যেন খারাপ ব্যবহার করলো?এখন ঐ ব্যাটার কি খবর?
—ঐ স্যারের বিচার চলছে,জেলেই আছে।
—উচিত কাম হইছে।বদ একটা।এর তো ফাঁসি হওন দরকার।আহারে, মেয়েটা কি ইস্কুলে যায় এখন?
—টেস্ট পরীক্ষা দিয়েছে।এখন ওর ক্লাস বন্ধ, কয়েকদিন পরেই ফাইনাল পরীক্ষা।
এবার তোফাজ্জলের স্ত্রী হাজেরা বললেন-
—তুমি পড়ানো শেষ করে চলে এসো।আমার উচিত ছিল তোমার খোঁজ খবর রাখা।আজকে আম্মা বলেছেন ,তোমাকে অবশ্যই আমাদের সাথে খেতে হবে।
—হাজেরা তোমার উচিত ভাড়াটিয়াগর সবার খোঁজ খবর রাখা।কয় দিন কার খবর নিছ?
—আম্মা সময় তো পাই না।
—সারাদিন দেখি টেলিভিশন দেখ।তাইলে সময় পাইবা কেমনে?
—আম্মা এখন থাইকা খোঁজ খবর রাখবো।
হাজেরা মনে মনে ভাবতে থাকেন তার শাশুড়ি নতুন করে এই খবর নেয়ার ব্যপার নিয়ে পড়লেন কেন?আসলে বয়স্ক মানুষ কখন যে কি মনে আসে, ঠিক ঠিকানা নাই।
—আচ্ছা দাদু আমি এখন আসি তাহলে।
—ঠিক আছে যাও।ঠিক নয়টায় আইসা পড়বা। আমি নয়টায় রাইতের খাওন খাইতে বসি।সব কিছু নিয়ম মত ,সময় মত করবা ,তাইলে দেখবা অসুখ বিসুখ কম হইবো।
—ঠিক আছে দাদু আমি চলে আসবো।
নওমি চিন্তা করতে করতে উঠতে লাগলো।তার নিজের যদি দাদু থাকতো তাহলে নিশ্চয়ই খুব আদর করতো।এই দাদুর মধ্যে কি মায়া!কত সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলেন।নওমির মোবাইল বেজে উঠলো-তাশফি কল করেছে।না বুঝতে দিলেও নওমি তাশফির কলের অপেক্ষা করে।কল না করলেই অস্থির লাগে।
—কেমন আছ নওমি?
—ভালো,আপনি কেমন আছেন?
—ভালো আর থাকতে দিচ্ছ কই?
—কেন?আমি কি করলাম?
—আমার মন চুরি করে বলছ কি করলাম?
— আমি কারো মন চুরি করিনি।
—আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে।একটা সুখবর দেয়ার জন্য তোমাকে ফোন দিলাম।
—কি সুখবর?
—আমার একটা প্রমোশন হয়েছে।
— চাকরির এক বছরের মাথায় প্রমোশন এটা আসলেই সুখবর। কনগ্রেচুলেশন।
—থ্যাঙ্কস এ লট।আব্বুর তো এখনো আফসোস নিজে ডাক্তার হয়ে তাঁর ছেলে মেয়ে একজন ও ডাক্তারি পড়লো না।
—ডাক্তার বাবা-মায়ের আশা তো থাকতেই পারে সন্তান তাদের মতো হবে।
নওমি কথা বলতে বলতে লক খুলে বাসায় ঢুকলো।
—ছোটবেলা থেকে বাবা-মাকে পড়ালেখা আর প্রফেশন নিয়ে এত ব্যস্ত থাকতে দেখেছি যে ডাক্তারি পড়ার প্রতি অনীহা চলে এসেছে। ডাক্তারদের সারা জীবনই পড়তে হয়।স্বর্ণা তো ডাক্তার ছেলেকে কখনো বিয়েও করবে না।
—ডাক্তারি পেশা একটা মহৎ পেশা।ডাক্তারদের শুধু নিজের জীবন নিয়ে ভাবলেই হয় না, উনারা তৈরি হয়েছেন মানুষের সেবা করার জন্য।যে কষ্ট যে ত্যাগ স্বীকার করে একজন ডাক্তার হয়েছেন! সেজন্যই তো একজন ডাক্তারকে এত সম্মানের চোখে দেখা হয়।
—তাহলে তুমি ডাক্তারি পড়লে না কেন?
—চান্স পাইনি। পাবলিক কোথাও চান্স হয়নি। তাইতো বাধ্য হয়ে প্রাইভেটে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি।
এটা আমার জীবনের অনেক বড় একটা দুঃখ।
—সরি তোমাকে দুঃখ দেওয়ার জন্য।
—দুঃখিত হওয়ার কিছু নেই।যা ভাগ্যে আছে তাই হবে?
—তুমি ভাগ্য বিশ্বাস কর?
—কেন করবো না?
এমন সময় দরজায় নক হলো।
—আচ্ছা এখন রাখি তাহলে,মনে হয় ঝিমি পড়তে এসেছে।
—ঠিক আছে।
ঝিমি এখন আর আগের মতো কথা বলে না।ওকে দেখলে মনেহয় হঠাৎ করে ওর বয়স বেড়ে গেছে। একটা হাসিখুশি প্রাণচঞ্চল কিশোরীর জীবন মলিন করে দিয়েছে একটা পশুর থাবা।একটা সময় অনেকটা ভুলতে পারলেও মাঝে মাঝে এই দুঃসহ স্মৃতি এসে কড়া নাড়বে দড়জায়। পড়তে চেষ্টা করে যতটুকু নিজেকে পড়ায় ধরে রাখতে পারে।তবে চেষ্টা করে।নওমি সব সময় ওকে সাহস যুগিয়ে চলেছে।ঝিমির আত্নীয়রা নানান কথা শুনিয়েছে এসে।শফিক ওদেরকে বাসায় আসতে নিষেধ করে দিয়েছেন। বাসায় এসে অশান্তি করার চেয়ে না আসাই ভালো।যেই আত্মীয় স্বজন বিপদের সময় পাশে এসে দাঁড়ায় না উল্টো কথাবার্তা শোনায় সেইসব আত্মীয় স্বজনদের সাথে সম্পর্ক না রাখাই ভালো।
সিমির শারীরে আস্তে আস্তে অনেক পরিবর্তন এসেছে।সে যে প্রেগনেন্ট এখন তাকে দেখলেই বোঝা যায়। ভার্সিটিতে গেলে অনেকেই হেল্প করতে চায়। সিঁড়ি দিয়ে উঠার নামার সময় হাত ধরে নামাতে চায় । টিচাররা ও অনেক হেল্প করছেন। সে দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। অনেকে মন্তব্য করে যে, মেয়ে হবে।মেয়ের মা নাকি অনেক সুন্দর হয়ে যায়।সিমির এখন সবকিছুই ভালো লাগে, পৃথিবীটাকে অনেক সুন্দর মনে হয়। কিছু কিছু মানুষ নেগেটিভ মন্তব্য করলেও সেইসব কানে তোলে না সিমি। এখন সে বোঝে যারা নেগেটিভ মন্তব্য করবে তারা সারাজীবনই কোন কোন বিষয়ে মন্তব্য করতেই থাকবে। জীবনে তারা কোনদিন মানুষের উপকার করবে না উল্টো নিচের দিকে টেনে ধরে রাখবে। সে সুখি , তার এত সুন্দর পরিবার ! বাবার বাড়ি শশুর বাড়ি বলে আলাদা করে কিছু ভাবতে পারে না সবাই এখন তার খুব আপন।
শুধু নিজেকে নিয়ে, নিজের স্বার্থ নিয়ে ভাবলে সুখী হওয়া যায় না। সব মানুষ এক রকম হয় না। সিমির মা শ্বশুরবাড়ির দিক থেকে যে রকম অত্যাচার, অনাদর, অসম্মান পেয়েছে সেই রকম সবাই করে না। এই ধারণাটা সিমির বদলে গেছে। তার বাবার মধ্যেও অনেক পরিবর্তন এসেছে। ঝিমিকে তার বাবা যেভাবে সাপোর্ট দিয়েছেন, ভাবলেই সিমির খুব ভালো লাগে। আসলে বাবা-মায়ের তুলনা হয় না কখনো। বিপদের সময় তাঁরা পাশে না থাকলে কে থাকবে?
পরিবারের সবাই ছেলে এবং মেয়ের একটা করে নাম কাগজে লিখে পরে লটারি হবে। যেই নামটা উঠবে সেটাই সিমির বাবুর নাম রাখা হবে। ছেলে নাকি মেয়ে হবে এটা আলট্রাসনোগ্রাফির সময় সিমি জিজ্ঞেস করেনি আর করবেও না। যেদিন ডেলিভারি হবে সেইদিনই সবাই জানতে পারবে, কি হয়েছে, ছেলে নাকি মেয়ে। এই জন্য প্রত্যেকে দুইটা করে নাম লিখবে একটা ছেলে আর একটা মেয়ের নাম।
সিমি একটা ডাইরিতে প্রতিদিন একটু একটু করে বাবুর বেড়ে ওঠাটা লিখে রাখছে। একটা অন্যরকম অনুভূতি হয় ডাইরিতে লেখার সময়।
এখনও সিমি গভীর মনোযোগ দিয়ে ডাইরি লিখছে। কখন এসে পরশ দাঁড়িয়েছে বুঝতেই পারেনি। হঠাৎ এ দিকে তাকাতেই সিমি চমকে গেল।
—তুমি কখন এলে?ভূতের মতো দাঁড়িয়ে আছ, একদম ভয় পাইয়ে দিয়েছ।
—তোমাকে দেখছিলাম।
—এত দেখার কি আছে?ঢং দেখে আর বাঁচি না।
—কি যে বলোনা, আমার বৌয়ের সাথে ঢং করবো না তো কার সাথে করবো?
—হয়েছে হয়েছে ,এবার বল ঝিমি কেমন আছে?
—ভালো আছে?
—স্ট্রবেরি ফ্লেভারের আইসক্রিম এর কথা বলেছিলাম, নিয়ে গিয়েছিলে?
—অবশ্যই নিয়ে গিয়েছি। মহারানী আদেশ করেছেন আর এই নগণ্য দাস তার হুকুম মান্য করবে না?
—ঝিমি খুশি হয়েছে? ও খুব পছন্দ করে স্ট্রবেরি ফ্লেভারের আইসক্রিম। বলেছিলাম দেখবে ও খায় কিনা, তোমার সামনে খেয়েছে?
—হু খেয়েছে। আমার সামনেই খেয়েছে। আমি বলেছি আমার সামনে না খেলে তোমার বোন আমাকে আস্ত রাখবে না।হা হা হা।
এই বার ডাইনিং টেবিলে চলো, মা অনেক কিছু দিয়ে দিয়েছেন। সবকিছু তোমার পছন্দের রান্না। খাবে চলো।
—আচ্ছা চল। আমি ইদানিং রাক্ষসের মত হয়ে গেছি। সারাক্ষণ এটা-সেটা খেতে ইচ্ছা করে।আর যেই হারে মোটা হচ্ছি কয়েকদিন পর তোমার পাশে আমাকে খালাম্মা লাগবে।
—লাগুক খালাম্মা কোন সমস্যা নেই।
পরশ দুষ্টুমি করে বলল-
—এবার চলেন খালাম্মা।
সিমি দুঃখী দুঃখী গলায় বলল-
—বাবু হয়ে যাওয়ার পরেও এই মোটা সহজে কমবে না।আমাকে দেখতে অনেক খারাপ লাগবে। তখন তুমি আমাকে ভালোবাসবে তো?
পরশ , সিমির মুখটা দুই হাত দিয়ে ধরে কাছে এনে বলল-
—তুমি যখন,যেমন থাক তেমনি তোমাকে ভালোবাসবো। মানুষের বাইরের সোন্দর্য আর কতদিন থাকে মনের সৌন্দর্য আসল। তোমার মন অনেক সুন্দর।সব সময় মনটাকে এমন সুন্দর রেখো।
এইসব চিন্তা বাদ দাও তো এখন শুধুই বেবির চিন্তা।
—সেটাই তো করছি।বাবুই তো এটা সেটা খেতে চায়,আমি কি খেতে চাই বল?ও খেতে চায় বলেই তো এতো এতো খেয়ে হাতির মতো হচ্ছি।
পরশ হাসতে হাসতে বলল-
—হাতি হও আর জলহস্তিই হও আমার কোন সমস্যা নেই। সব সময় তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসবো।
চলবে…
#ফাহমিদা_লাইজু