#৫ম_তলার_মেয়েটাপর্ব_৩৯
গাড়িটাকে ঘিরে ছোট বড় বাচ্চাদের জটলা,এদের মধ্যে কয়েকজন অতি উৎসাহী লোকও আছে, তারা খুঁজে বের করতে চেষ্টা করছে কার বাড়িতে গাড়িওয়ালা লোক এসেছে। বিভিন্ন প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছে ড্রাইভারকে।
ড্রাইভার নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছে না কার বাড়িতে এসেছে পম্পিরা, শুধু এতটুকু জানে রজনী ঐ বাড়িতে আছে। রজনীর নাম বলার পরেও তেমন কেউ চিনতে পারলো না।
পদ্মপুর গ্রামটা ছবির মতো সুন্দর।এখানে কালো বিএমডব্লিউ গাড়িটাকে খুব বেশি বেমানান লাগছে।এখানে হঠাৎ কোন গাড়ির হর্নে ভীত হয়ে পাখিদের উড়ে চলে যেতে হয় না কারণ খুব একটা গাড়ি ঢুকে না এখানে। তালুকদার বাড়ির গাড়ি আসলেও সেটা ছয় মাসে কিংবা বছরে একবার।রজনীর নানির বাড়ি থেকে বেশ অনেকটা দূরে গাড়িটা রাখতে হয়েছে। এর পর থেকে রাস্তা এত সরু যে কোন ভাবেই সামনে এগিয়ে যাওয়া যাবে না।
এত কিছুর মধ্যেও ড্রাইভারের চোখ গেলো দূরে, যেখানে টুপ করে সূর্যটা ডুবলো।
এই দৃশ্যটা অসম্ভব সুন্দর হলেও কেন জানি মনটা বিস্বাদে ভরিয়ে দেয়।একটি দিনের সমাপ্তি দিয়ে শুরু হয় আরেকটি দিনের জন্য অপেক্ষা। রাতের আঁধারে সব কিছু ডুবে গেলেও রাত হাজির হয় তার আলাদা সৌন্দর্য নিয়ে। সেই সৌন্দর্যের অংশ হিসেবে থাকে আকাশের চাঁদ আর তারার মেলা,মেঘেদের লুকোচুরি। শুরু হয় আঁধারের প্রতিক্ষায় থাকা প্রাণিদের বিচরণ।প্রতিটা জিনিসের প্রয়োজন ব্যক্তিভেদে আলাদা। কোন ফুল হয়তো রাতের আঁধারে সুরভী ছড়ায় আবার কোন ফুল হয়তো দিনের আলোয় নিষ্প্রাণ হয়ে যায়।কারো কাছে যেটা প্রয়োজন কারো কাছে হয়তো সেটা মৃত্যুসম। যেটা কারো কাছে হয়তো অপছন্দের সেটারই তীব্র প্রতিক্ষায় থাকে হয়তো কেউ।তবে প্রকৃতিতো চলে তার নিজস্ব নিয়মেই।
এই একটু আগে পম্পির বাবা গলা চড়িয়ে যখন বলছিলেন ঘরের ভেতরে কে আছে। বৃদ্ধা একচোট ধমক দিলেও পম্পির বাবার ধারণা ছিল আরো কেউ আছে, ইনফর্মারকে ইশারা করলেন দেখতে।দুইটা ছোট ঘর ,বাড়ির এই কোনা থেকে ঐ কোনা সহজেই দেখা যায়।সে বলল,কেউ নেই। পম্পির বাবা অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন রজনীর দিকে।এই বৃদ্ধা তার নানি হয়।নানির বয়স হলেও তিনি অত্যন্ত চালাক মহিলা। বিশেষ করে তাঁর সামনেই রজনীর খুব লজ্জা লাগছে কারণ তার স্বামী তাকে নিয়ে যে বাজে ধারণা করছে সেটা আবার নানি বুঝে না ফেলেন।
পম্পি সামনে এসে বলল-
—আব্বু তুমি কাকে খুঁজছ?
পম্পির বাবা চুপ করে রইলেন।
নানি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালেন রজনীর দিকে।
—যার সাথে আমার বিয়ে হইছে উনি সেই।আর ও হলো উনার মেয়ে।
পম্পির অদ্ভুত লাগলো পরিচয় পর্বটা।তবে এর চাইতে ভালো পরিচয় আর দেওয়ার ছিল না।
রজনী খুব ভালো ভাবে বুঝতে পারছে পম্পির বাবা মনে করেছে কোন পুরুষের সাথেই রজনী এখানে এসেছে।রাগে তার গা জ্বলা করতে লাগলো।এই অমানুষটা পুরুষহীন নারীর জীবন কল্পনাই করতে পারে না!!
নানি তাড়া দিলেন-
—এইটা আগে কইলেই তো অইতো।নাতজামাই আইছে কি দিয়া আমি যে সমাদর করমু?তয় জামাই আপনে কারে খুঁজেন?আর তো কেউ এই বাড়িতে থাহে না।
—পম্পির বাবা নিজেকে সামলে নিয়ে, নানিকে সালাম দিলেন।
বৃদ্ধা একেবারে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন নাতজামাইয়ের আদর আপ্যায়নে।
বাড়িতে কোন চেয়ার নেই।উঠানের এক কোনায় বসার জন্য মাঁচা আছে,যেটা অনেকদিন আগে নানির প্রতিবেশী ছেলে জমিরকে দিয়ে বানিয়েছিলেন। তিনি এখানে আগে মাঝে মাঝে বসতেন , এখন আর কেউ বসে না।এখন অনেক দিন পর এটা কাজে লাগলো।তিনি রজনিকে দিয়ে একটা কাপড় বিছিয়ে তাতে বসতে বললেন পম্পির বাবাকে।পম্পি হাঁটাহাঁটি করছে,সে সব কিছু দেখেই মুগ্ধ হচ্ছে,তার চোখ সে কথাই বলছে।
নানি রজনীকে বললেন-
—শরবত কর।লেবু গাছ থন একটা লেবু ছিইরা ল।
নানি নামায পড়তে ঘরের ভেতরে গেলেন। কারেন্ট নেই এখন । এখানে বলা যায় না কখন কারেন্ট আসবে, একবার গেলো তো গেলোই। একটু বৃষ্টি বা ঝড় হলে তো কথাই নেই সেটা কয়েক ঘণ্টা বা একদিন বা দুইদিন ও লেগে যেতে পারে। একমাত্র হেরিকেনটা উঠানে রাখা হলো।
শরবত খেয়ে পম্পির বাবার মাথা মনে হয় কিছুটা ঠান্ডা হলো।
পম্পি শরবত খেয়ে একেবারে অভিভূত। লেবুর এত সুন্দর ঘ্রানে মন জুড়িয়ে গেলো!
প্রতিবেশী দুইজন মহিলা এলো।এর মধ্যে একজন জমিরের মা।যে সব সময় নানিকে সাহায্য করে। সব সময় খোঁজ খবর রাখে।নানির যা লাগে জমির বাজার থেকে কিনে এনে দেয়। নানি এদেরকে ডেকে একটু দূরে নিয়ে বললেন-
—তোরা একটু আত(হাত) লাগা। চৌকির নিচে মুরগি আছে দুইডা।জবাই দে।আর ভাত বওইয়া দে,চাইরডা ডিম আছে হিদ্দ দে (সেদ্ধ)।
—চাচি জামাইরে ভাত দিতাইন ক্যায়া।পোলাউ দিবাইন।চাউল আমার বাড়িতে আছে আমি লইয়া আই।আর কি কি লাগবো?
—আর তেমুন কিছু লাগতো না।কাইল রজনী শহরে গিয়া কিইন্না আনছে ম্যালা(অনেক) কিছু।
— একটা হারিকেন মনে অয় লাগবো?
—হু,হারিকেন আর একটা বাত্তি আনিছ।
পম্পির মনে পড়লো আসার সময় যা কেনা হয়েছে সব গাড়িতেই রয়ে গেছে।সে তার বাবাকে বলল –
—আঙ্কেল গিয়ে কেনা জিনিস গুলো নিয়ে আসুক।
পম্পির বাবা সায় দিলেন আর গাড়িতে থাকা এরোসল স্প্রে টা নিয়ে আসতে বললেন।মশার জন্য এখানে বসাই যাচ্ছে না।
এবার একটু ফাঁকা পেয়ে পম্পির বাবা পম্পিকে বললেন রজনী কে ডেকে আনতে। রজনীর সাথে কথা বলা দরকার।
পম্পি গিয়ে দেখলো রজনী রান্নার আয়োজনে ব্যস্ত। শোবার ঘরের দরজা দুইটা, সামনে এবং পেছনে। পেছনের দরজার সাথে রান্নার জায়গাটা লাগোয়া।উপরে একটু ছাউনি, তিনপাশ খোলা, মাটির চুলা দুইটা।অন্য সময় নানির সন্ধ্যার পরে এই রান্না ঘরের দরকার পড়ে না। দিনে একবারই তিনি রান্না করেন।কোন মতে একটু খেয়ে বেঁচে থাকা।এই জীবন এখন অসম্ভব ভারী মনে হয়। অনেক তো বাঁচলেন আর কেন বেঁচে থাকা। গ্রামের সবাই তাঁকে খুব কর্কস মহিলা ভাবে। কারণ নিজেকে সেভাবেই তৈরি করেছেন। যৌবন থাকতে থাকতে স্বামী হারা নিঃসন্তান নানি ,তা না হলে এখনো টিকে থাকতে পারতেন না। শিয়াল, কুকুর খুবলে খুবলে খেয়ে ফেলতো অনেক আগেই।একটা এতিম ছেলেকে বড় করেছিলেন, সেটাও এত বড় বেইমানি করলো,যা জমি জমা ছিল সব ধোঁকা দিয়ে সই করিয়ে নিয়ে গেলো।
—খালামনি আব্বু তোমাকে ডাকছে।
জমিরের মা কাছেই ছিল তাকে কাজ বুঝিয়ে দিয়ে রজনী গেলো উঠানে।
—তো, মনে হচ্ছে ভালোই আছ?
—আশা করেছিলেন খুব খারাপ থাকবো?
—তুমি তো বলেছিলে তোমার নানি মারা গেছেন,এখন আবার নানি আসলো কোত্থেকে?
—উনি আমার নানির আপন ছোট বোন।ছোট বেলায় খুব আসা হতো, খুব আদর করতেন আমাদের।
—উনি একাই থাকেন?
রজনীর কথা বলতে ইচ্ছে করছে না, তবুও বলতে হবে।সব কিছু একবারে বলাই ভালো।
— নানি নিঃসন্তান।নানা অনেক বছর আগে মারা গেছেন।অনেক জমিজমার মালিক ছিলেন। অনেক বড় বাড়ি ছিলো।একটা এতিম ছেলেকে বড় করে বিয়ে দিয়েছিলেন।সেই ছেলে নানিকে ধোঁকা দিয়ে সাইন করিয়ে সব জমিজমা নিয়ে নিলো,সবতবাড়িটা পর্যন্ত।সব বিক্রি করে এক সময় নিরুদ্দেশ হয়ে গেলো।
এই টুকরো জমিটা কিভাবে যেন রয়ে গেলো। এখানেই সবাই সহযোগিতা করে ঘর তুলে দিলো নানিকে। এখন ভাতা দিয়ে নানি কোনমতে চলেন। আগে নানি যাদেরকে সাহায্য সহযোগীতা করতেন তারা এখন নানিকে দেখেন।আমি এই সব কিছুই জানতাম না। ভেবেছিলাম নানি তার পালিত ছেলেকে নিয়ে সুখেই আছে। নানির ব্যবহার কিছুটা রুক্ষ হলেও মনটা খুব ভালো।
—বেরানো তো অনেক হলো ,কখন রওনা দিতে চাও?
এই কথা শুনে রজনী মুচকি হাসলো।মনে হচ্ছে এখানে খুব শখ করে রজনী বেড়াতে এসেছিল, এক সুখী ফ্যামেলীর মতো একসাথে বিদায় নিয়ে ভালোবাসার নীড়ে ফিরে যাবে তারা।ব্যপারটা এতটাই সহজ আর আনন্দময়!!!
—এত দূর থেকে এত কষ্ট করে আমার অবস্থান জেনে আসছেন,এত ধকল সহ্য হবে একটু রেস্ট না নিয়ে গেলে? গরীবের বাড়িতে যখন এসেই পড়েছেন , রান্না হচ্ছে খাবেন , এর পরে শক্ত চৌকিতে ঘুমাবেন। ঘুম হয়তো আসতে চাইবে না নরম বালিশ আর নরম বিছানা ছাড়া। তখন না হয় এই প্রকৃতির সুর শুনবেন মনোযোগ দিয়ে। বুঝতে চেষ্টা করবেন দূর থেকে দেখা বা শোনার মধ্যে বাস্তবের কতটা তফাৎ।
রজনীর কথায় এতটা দৃঢ়তা ছিল পম্পির বাবা কোন উত্তর দিতে পারলেন না। পম্পিও শুনছিলো রজনীর কথা। তার বাবা এই বাড়িতে ঢুকেই যেই আচরণ করলো সেটার মানে নিতান্ত নির্বোধ ব্যক্তিও বুঝতে পারবে ।সে যা ভেবেছিল সেটা ছিল ভুল, কিছু মানুষ কোনদিনও বদলায় না কিংবা বদলাতে চায় না।একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো পম্পির বুকের গভীর থেকে।
একজন গাড়িওয়ালা লোক এই বাড়িতে এসেছে এই খবর ছড়িয়ে পড়লো গ্রামে। বিভিন্ন মানুষ জন আসতেই লাগলো দেখা করতে।গ্রামের মেম্বারও এলেন।এর মধ্যে জমির অনেকগুলো চেয়ার জোগাড় করে এনেছে, বাজার থেকে একটা চার্জার লাইট ও ভাড়া করে এনেছে। এখন সাত থেকে আট জন লোক দিয়েই উঠান ভরা মনে হচ্ছে। পম্পির আনা মিষ্টি আর নাস্তা এখন কাজে দিচ্ছে। পম্পির বাবা অসম্ভব বিরক্তি নিয়ে সবার সাথে কথা বলছেন।মেম্বার সাহেব দাওয়াত দিলেন তার বাড়িতে খাওয়ার জন্য আগামীকাল দুপুরের।সেই উপলক্ষে গ্রামের সব মানুষের দাওয়াত। পম্পির বাবা যতই বলেন আগামীকাল চলে যাবেন, তাঁর কাজ আছে ততই মেম্বার নাছোড়বান্দা।
আস্তে আস্তে রাত বাড়তে লাগলো, মানুষ জন চলে গেলো একে একে।
পম্পির বাবা ভেবেছিলেন খাবেন না,এটা তাঁর নিরব প্রতিবাদ।কি জন্য, কিসের প্রতিবাদ তিনিই জানেন। কিন্তু সামনে খাবার রাখার পর এর সুঘ্রাণে পেট মোচড় দিলো,টের পেলেন আসলেই ক্ষুধা লেগেছে। মুরগি,ডিম,ভাজি,ডাল যেন অমৃত লাগলো মুখে। রজনীর নানি বলে বলে দিচ্ছেন রজনী কে একা সেটা পাতে দেয়ার জন্য। বহুদিন পর নিজের নানুর কথা মনে পড়লো। তাঁর নানু ও এমনই হয়ে গিয়েছিলেন দেখতে । বৃদ্ধ হয়ে গেলে মনে হয় সবাই একই রকম হয়ে যায়!আহ কি যত্ন করে সামনে বসিয়ে খাওয়াতেন নানু,খাবারের স্বাদ যেন ঠিক এমন ছিলো।
সময়ের সাথে সাথে সবাই এক সময় হারিয়ে যায়।নানা-নানু,দাদা-দাদু কেউ নেই,এমন কি নিজের মা বাবাও নেই।এক সময় তিনিও থাকবেন না। ইচ্ছে হোক বা না হোক সবাইকেই একদিন এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে যেতে হবে।কেন তাহলে এত কিছু?এই সব ভাবনা আসছে কেন মনে-তাহলে কি এই বিশুদ্ধ প্রকৃতির মাঝে মনটাও বিশুদ্ধ হতে চাইছে?
পম্পির একটু ঝাল লাগছে কিন্তু তবুও সে খুব মজা করে খাচ্ছে।কে রান্না করেছ জানতে চাইলো সে। রজনী জমিরের বৌকে এনে দাঁড় করালো,
—এই যে এই ছোট্ট বৌটা রান্না করেছে। এই মামির ছেলের বৌ। অসম্ভব মিষ্টি চেহারার মেয়েটার বয়স খুব বেশি হলে পনেরো ষোল।এই বয়সেই বিয়ে, কিছু দিন পর দেখা যাবে দুই তিন টা বাচ্চাকাচ্চার মা। পম্পির মনটা খারাপ হয়ে গেলো।
মেয়েটা কিছু শোনার জন্য তাকিয়ে আছে পম্পির দিকে।
—খুব মজা হয়েছে রান্না। তোমার হাতে জাদু আছে।
কিশোরী বৌয়ের চোখ খুশিতে চকচক করে উঠলো।আর কিছু না এতটুকু শোনার জন্যই হয়তো সে খুব মনোযোগ দিয়ে যত্ন করে রেঁধেছে।
কত মানুষের কত অল্প চাওয়া।কত অল্পতে তারা খুশি হয়।
যার দেখার পরিধি, জানার পরিধি যত কম তার জীবনে চাওয়াও তত কম।অল্পতেই তারা তুষ্ট হতে পারে,সব সময় না পাওয়ার হাহাকার তাকে তাড়া করে ফেরে না, তার কখনো বিনিদ্র রাত কাটে না।
রান্নার সময় জমিলের মা বলেছিলো, ‘রজনী আম্মা জমিরের বৌ খুব ভালা রান্দে,ওরে ডাইক্কা আনি?’ রজনী কে সে আম্মা বলে।গ্রামে দেখা যায় রক্তের সম্পর্ক ছাড়াও যারা পাড়াতো ভাসুর, দেবর, ননাস ,ননদ তাদের ছেলেমেয়েদের শুধু নাম ধরে বলে না । নামের সাথে আব্বা ,আম্মা যোগ করে।
জমির একটা ভ্যান দিয়ে তোশক বালিশ নিয়ে এলো। রজনী বলল-
—এই সব কই পাইলি?
—আরে আফা বড় বাজারে সব কিছু ভাড়ায় পাওয়া যায়।ভাড়ায় আনছি।
—বড় বাজার তো অনেক দূরে।এত কষ্ট করার কি দরকার ছিল?
—কি যে কন না আফা,ওত বড়লোক মানুষ আইছে এই কাঠ বিছনায় থাকতে পারবো?আর আমরার গেরামের জামাই,ভালা কইরা সমাদর করন লাগবো না? দোহান বন্ধ অইয়া গেছিলো, দোহানদারের বাড়িত গিয়া তারে আইন্না দোহান খুলাইছি।
রজনী অভিভূত হয়ে গেলো সবার এত সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব দেখে। সবাই সবার সাধ্য মতো চেষ্টা করছে নিজেদের বাড়িতে থাকা ভালো জিনিসটা দিয়ে সহযোগিতা করতে। জামাই বলে কথা, তাঁর আপ্যায়নে যেন ত্রুটি না থাকে। তবুও কি পম্পির বাবার মন ভরবে?তাতে অবশ্য কিছুই যায় আসে না,রজনী তো তাঁকে দাওয়াত করে আনেনি।
চলবে…
#ফাহমিদা_লাইজু