#বাবুইপাখির_অনুভূতি🕊️পর্বঃ১৫

0
564

#বাবুইপাখির_অনুভূতি🕊️পর্বঃ১৫
#লেখিকা:#তানজিল_মীম🕊️

_________________

ভয়ে কাচুমাচু হয়ে খরগোশ ছানাকে ঝাপটে জড়িয়ে ধরে বসে আছে আহি। শরীরও থর থর করে কাঁপছে তার। বৃষ্টির পানিতে অনেকটাই ভিজে গেছে সে। আদ্রিয়ান আহির অবস্থা বুঝতে পেরে বেশি কিছু না ভেবে বিছানার ওপর থাকা তার কোটটা এনে পিছন থেকে জড়িয়ে দিলো আহির তারপর বললো,

‘ চলো আমার সাথে?’

আচমকা গায়ে কোনো কিছুর স্পর্শ লাগতেই চমকে উঠলো আহি। পরক্ষণেই আদ্রিয়ানের ভয়েস শুনে উঠে দাঁড়ালো সে। তারপর কিছু না বলেই আস্তে আস্তে আদ্রিয়ানের সাথে ঢুকে পড়লো ভিতরে। আদ্রিয়ান আহিকে সোফার উপর বসতে বললো। আহিও চুপচাপ গিয়ে বসে পড়লো সেখানে। শীতে প্রায় কাঁপা কাঁপা অবস্থা তাঁর গায়ে থাকা জামা কাপড় সব ভিজে গেছে তাঁর। আদ্রিয়ান কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো আহির দিকে এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে তাঁর তখন রেগে বের করে না দিলেই ভালো হতো। আদ্রিয়ান ছোট্ট একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে চলে যায় তার ব্যাগের কাছে তারপর ব্যাগ থেকে একটা ফুলহাতার ওয়াইট টিশার্ট সাথে ব্লাক জিন্স এগিয়ে দিল আহির দিকে। তারপর উল্টো ফিরেই বললো সে,

‘ এগুলো পড়ে নেও?’

আদ্রিয়ানের কথা আর কাজ দেখে বেশ অবাক হয় আহি। সে ভাবে নি আদ্রিয়ান এমন কিছু করবে। আহি বেশি কিছু ভেবেই আদ্রিয়ানের হাত থেকে জামা কাপড় গুলো নিয়ে চলে যায় ওয়াশরুমের দিকে। আহি যেতেই খরগোশ ছানা গিয়ে লুকিয়ে পড়লো সোফার পিছনে। হয়তো সেও বুঝতে পেরেছে আদ্রিয়ান খুব রাগী।’

আদ্রিয়ানের মটেও এসব করতে ভালো লাগছে না কিন্তু তারপরও সে রাগী হতে পারে কিন্তু মনুষ্যহীন নয়। ছোট্ট দীর্ঘ শ্বাস ফেললো আদ্রিয়ান। এমন সময় দরজায় নক করলো কেউ। আদ্রিয়ানও বেশি কিছু না ভেবে চলে যায় দরজার কাছে। দরজা খুলতেই ছাতি মুঁড়ি দেওয়া একজন লোককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আদ্রিয়ান কিছু বলবে তার আগেই বলে উঠল লোকটি,

‘ দাদা বাবু আপনার খাবারে কি কি লাগবে আসলে যে ছেলেটা আপনারে খাবার দিতে আইতো ওরা এই বৃষ্টির জন্য আইতে পারে নাই তাই আমি আইছি।’

আদ্রিয়ান কিছু ভেবে দুজনের জন্যই খাবার অর্ডার করলো। যদিও লোকটি এতো খাবারের অর্ডারের কথা শুনে বেশ অবাক। এত খাবার একলা কেমনে খাবে?’ তবে আপাতত সে ব্যাপারে প্রশ্ন না করে বলে উঠল লোকটি,

‘ আচ্ছা দাদাবাবু আমি কিছুক্ষনের মধ্যে খাওন নিয়া আইতাছি।’

উওরে হাল্কা হেঁসে বললো আদ্রিয়ান,

‘ ঠিক আছে।’

বলেই দরজা আটকিয়ে পিছন ঘুরতেই আচমকা চোখে পানির ছিঁটে আসতেই চমকে উঠলো আদ্রিয়ান। পরক্ষণেই সামনে আহিকে দেখে মাথা থেকে অবদি স্ক্যান করলো সে। সাদা ওয়াইট টিশার্ট লুস অনেকটাই আহির,ব্লাক জিন্স চুলগুলো ভেজা,মুখে কোনো সাজ নেই একদম অগোছালো লাগছে আহিকে। হঠাৎই আহি বলে উঠল আদ্রিয়ানকে,

‘ আই এম সরি।’

উওরে আদ্রিয়ান কিছু না বলে চলে যায় বিছানায়। আর আহিও তাঁর চুল মুছে গিয়ে বসে পড়লো সোফায়। তারপর সোফার পাশ দিয়ে খরগোশ ছানাটাকে সুন্দর মতো মুছে শুয়ে দিলো সোফার ওপর। কিছুটা অস্থিরতা আর সামান্য ভয় হচ্ছে আহির। ভয়ের চোটে আদ্রিয়ানের দিকে তাকাতেও পারছে না সে। হঠাৎই আদ্রিয়ান তাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠল,

‘ তুমি যদি ভেবে থাকো তোমায় রুমে নিয়ে এসেছি বলে আমি তোমায় ক্ষমা করে দিয়েছি তাহলে তুমি ভুল ভাবছো?’ কাল সকালে আমার ঘুম ভাঙার আগে এখান থেকে চলে যাবে আর হা যাওয়ার আগে আমার শার্ট ধুয়ে দিয়ে যাবে।’

আদ্রিয়ানের কথা শুনে শুধু মাথা নাড়ালো আহি। এমন সময় দরজায় নক করলো কেউ। আদ্রিয়ান বুঝতে পেরেছে তখনকার সেই লোকটা এসেছে। আদ্রিয়ান চোখের ইশারায় আহিকে সরে যেতে বললো আহিও বেশি কিছু না ভেবে সোফা থেকে উঠে চলে যায় একটু সাইডে। আহি সরতেই আদ্রিয়ান আস্তে গিয়ে তার দরজাটা হাল্কা ফাঁক করে লোকটার হাত থেকে খাবার ট্রেটা নিয়ে নিলো। তারপর লোকটিকে ধন্যবাদ দিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো।’

আদ্রিয়ান খাবার ট্রে-টা নিয়ে রাখলো টেবিলের উপর তারপর বিছানায় বসে আবারো আহিকে উদ্দেশ্য করে বললো,

‘ খেয়ে নেও?’

আদ্রিয়ানের এবারের কথা শুনে যেন আহি আরো চমকে গেল হুট করে এতো ভালো কিভাবে হয়ে গেল?’– কথাটা মাথায় আসতেই কেমন একটু লাগলো আহির। আহিকে চুপচাপ বসে থাকতে দেখে একটু রাগী কন্ঠে বলে উঠল আদ্রিয়ান,

‘ তুমি কি বাংলা বুঝতে পারো না খেতে বলেছি তোমায়?

সাথে সাথে আহি দৌড়ে চলে যায় সোফার কাছে তারপর এতো খাবার দেখে সে বুঝতে পেরেছে আদ্রিয়ান তাঁর জন্যই বেশি খাবার অর্ডার দিয়েছে। আহি একবার খাবার গুলোর দিকে আর একবার আদ্রিয়ানের দিকে তাকিয়ে বললো,

‘ আপনি খাবেন না?’

‘ হুম খাবো তুমি আগে খাও?’ এতটুকু বলে আদ্রিয়ান তাঁর ফোনে হাত দিয়ে বিছানায় বসে গেম খেলতে শুরু করলো। আর আহিও পাল্টা কিছু না বলে আদ্রিয়ানের জন্য আলাদা আলাদা খাবার রেখে চটজলদি খেতে শুরু করলো প্রচন্ড খিদে পেয়েছে কি না?’

আহি খেতে খেতে দু’ তিনবার তাকালো আদ্রিয়ানের দিকে কিন্তু আদ্রিয়ান সেটা খেয়াল করে নি সে তো তাঁর মতো গেম খেলতে ব্যস্ত। এই মুহূর্তে আহি বুঝতে পেরেছে ‘আদ্রিয়ান মানুষটা রাগী হলেও এমনিতে ভালো’।

____

হঠাৎই আকাশে খুব জোরে গর্জন দিতেই অথৈ ঘাবড়ে গিয়ে নীরবের হাত ধরে বসলো। আর নীরবও আচমকা অথৈর কাজে শুধুতে একটু চমকে উঠলেও পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে বললো,

‘ কুল ডাউন ভয় পেয়ো না আমি তো আছি?’

নীরবের কথা শুনে অথৈ তাকালো নীরবের দিকে তারপর বললো,

‘ আহিকে তো পাচ্ছি না এখন কি হবে?’

অথৈর কথা শুনে নীরবও চিন্তিত মাখা মুখ নিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ালো তবে কিছু বললো না। বেশ কিছুক্ষন যাবৎই তাঁরা খুঁজে চলছে আহিকে কিন্তু আশেপাশে কোথাও খুঁজে পাচ্ছে না তাঁরা। হুট করে কোথায় হারিয়ে গেল আহি এটা ভাবতেই ভিষণ খারাপ লাগছে অথৈর সাথে কান্না পাচ্ছে তাঁর। আহিকে কাঁদতে দেখে নীরব অথৈর দিকে ঘুরে বললো,

‘ আরে তুমি কাঁদছো কেন দেখবে আমরা ঠিক খুঁজে পাবো হয়তো বৃষ্টি দেখে, ও কোথাও দাঁড়িয়ে পড়েছে।’

নীরবের কথা শুনে অথৈ শুধু ছলছল চোখে তাকালো অথৈর দিকে। নীরব অথৈর চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো,

‘ ডোন্ট ওয়ারি।’

এমন সময় সেখানে উপস্থিত হলো রিনি আর সোহান। ওদের দেখেই বলে উঠল নীরব,

‘ কি হলো কোনো খোঁজ পেলি আহির?’

উওরে না বোধক মাথা নাড়ালো সোহান আর রিনি। ওদের কথা শুনে নীরব কিছু না বলে ছাতা থেকে বেরিয়ে গেল এমনিতেও তাঁরা ভিজে গেছে। নীরব আশেপাশে তাকিয়ে বলে উঠল,

‘ কোথায় হারিয়ে গেলি তুই আহি?’

____

একরাশ হতাশা নিয়ে সোফার উপর বসে আছে আহি পাশেই তাঁর খরগোশ ছানা ঘুমিয়ে আছে। আহি বুঝতে পারছে না এখন সে কোথায় ঘুমাবে তারওপর সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়ায় এখন প্রচন্ড ঘুম পাচ্ছে তাঁর। সোফার উপর ঘুমাবে সেটাও হবে না কারন দুটো এক সোফাটা সাইজে ছোট আর দুই আহি ঘুমাতে পারে না সোফাতে। তাই একরাশ হতাশা নিয়েই বসে আছে সে। হঠাৎই আদ্রিয়ান বলে উঠল,

‘ ওইখানে আলমারির ভিতর চাঁদর আর কাঁথা আছে ওগুলো নিয়ে যেন ঘুমানো হয়।’

আদ্রিয়ানের কথা শুনে শুরুতে একটু চমকে উঠলেও পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিলো সে তবে কিছু না বলেই এগিয়ে গেল সে আলমারির দিকে। তারপর চাঁদর আর কাঁথা বের করে আদ্রিয়ানের খাটের পাশ দিয়েই নিচে চাঁদর পেতে শুতে নিলো আহি। আহিকে শুতে দেখতেই আদ্রিয়ান তার বিছানার পাশে থাকা বালিশটা রাখলো নিচে। তারপর আর কি আহিও বেশি কিছু না ভেবে কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লো নিচে। আর আদ্রিয়ান কিছুক্ষন গেম খেলে সেও শুয়ে পড়লো খাটে। আজ আর কিছু খেতে ইচ্ছে করছে না তার। নিমিষেই চোখ দুটো বুঁজে ফেললো আদ্রিয়ান।’

বাহিরে মুসল ধারে বৃষ্টি হচ্ছে মনে হয় না আজ রাতে এই বৃষ্টি থামবে বলে। ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় রাত ১১ঃ০০টা ছাড়িয়ে গেছে।”

____

নীরবদের রুমে বসে আছে অথৈ,রিনি,মীরা,সোহান,শরীফ আর সুজন। সবার মুখেই চিন্তার ছাপ। আর ওদের সামনেই রুমের মধ্যে পায়চারি করছে নীরব কি করবে না করবে কিছুই বুঝতে পারছে না সে। কিছুতেই নীরবের মাথায় আসছে না হুট করে আহি গেল কই? তাহলে কি ও রাস্তা হারিয়ে ফেলেছিল নাকি ‘উফ আর ভাবতে পারছে না নীরব মাথার মধ্যে ভন ভন করছে তাঁর। কতক্ষণ আগেই তাঁরা আসে তাদের রিসোর্টের ভিতর একই প্রচুর বৃষ্টি, তাঁর ভিতর কোথাও আহিকে না পেয়ে এক প্রকার ব্যর্থ হয়ে চলে আসে তাঁরা তাদের রিসোর্টে। হঠাৎই মীরা নীরবের দিকে এগিয়ে এসে বললো,

‘ এখন কি করবি?’

উওরে নীরব মীরার দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়িয়ে বললো,

‘ জানি না। আন্টিকে কি জবাব দিবো বলতো,আমাকে বিশ্বাস করে আহিকে পাঠিয়ে ছিল এখন আমি কি বলবো তাকে?’

নীরবের কথা শুনে মীরা ছলছল চোখে নীরবের দিকে তাকিয়ে ওর হাত ধরে বললো,

‘ টেনশন নিস না দেখবি কাল সকালের মধ্যেই আহি চলে আসবে হয়তো বৃষ্টির জন্য কোথাও আঁটকে পড়েছে?’

উওরে নীরব কিছু বললো না। একরাশ অস্থিরতা, আর চিন্তিত মাখা মুখ নিয়ে বেরিয়ে গেল সে রুম থেকে।’

আর বাকি সবাইও চুপচাপ বসে রইলো রুমে মধ্যে। সবাই বেশ চিন্তিত আহির জন্য, সবাই এই মুহূর্তে এই দোয়াই করছে আহির যেন কোনো বিপদ না হয়।’

_____

ঘড়িতে তখন একটার কাটায় ছুঁই ছুঁই। বিছানায় আদ্রিয়ান আর নিচে বেঘোরে ঘুমাচ্ছিল আহি। বাহিরেই আকাশে তুমুল বেগে গর্জন দিচ্ছে সাথে বিদুৎ চমকাচ্ছে। বৃষ্টির শব্দে পুরো চারপাশ ঝনঝন করছে। এর মাঝেই বিছানায় আদ্রিয়ানের ঘুমের ঘোরে আবারো তাঁকে দুঃস্বপ্নে আঁকড়ে ধরলো।’

আবারো সেই রক্তের ছাপ ছাপ ফ্লোর ভেঁসে আসলো আদ্রিয়ানের, পুরনো ভাঙাচোরা সেই বাড়ি, মধ্যম বয়স্ক লোকটি তার দিকে তেড়ে আসছে,সেই নিচে লুটিয়ে পড়া কুকুর ছানার ছটফট করা আর্তনাদ, রক্তের দাগ ছাপ আবারো সেই একই জিনিস চোখের সামনে ভেসে আসতেই অস্থিরতা ফিল হচ্ছে আদ্রিয়ানের,এই ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যেও কপালে ঘাম জমে গেছে তাঁর, কিন্তু আজ যেন চোখ খুলতেই ভুলে গেছে আদ্রিয়ান,প্রচন্ড অস্থিরতা ফিল হচ্ছে তাঁর বিছানার চাঁদরটা শক্ত করে চেপে ধরলো আদ্রিয়ান। ঘুমের ঘোরেই বলে উঠল সে,

‘ প্লিজ আমায় মেরো না..

হঠাৎই কানে অস্পষ্টনীয় কিছু ধ্বনি কানে আসতেই আহির ঘুম ভেঙে গেল। আশেপাশে তাকিয়ে উঠে বসলো সে। হঠাৎই আদ্রিয়ানের দিকে তাকাতেই আদ্রিয়ানকে ছটফট করতে দেখে চমকে উঠলো আহি, কোনো কিছু না ভেবেই সে চলে যায় আদ্রিয়ানের কাছে তারপর বলে উঠল,

‘ কি হলো আপনার এমন করছেন কেন?’

কিন্তু আহির কথা যেন কান অবদি পৌঁছাচ্ছে না আদ্রিয়ানের। আদ্রিয়ানের ছটফটানি যেন আরো বেড়ে গেল, আদ্রিয়ানের কাজে প্রচন্ড ঘাবড়ে যায় আহি এখন কি করবে সে। আহি আদ্রিয়ানের কাছে এগিয়ে গিয়ে পাশে বসে বললো,

‘ কি হলো কথা বলছেন না কেন এত ভয় কেন পাচ্ছেন কে মারবে আপনাকে।’

হঠাৎই কি হলো ঘুমের ঘোরে আদ্রিয়ান ভয় পেয়ে জড়িয়ে ধরলো আহিকে। আদ্রিয়ানের কাজে চমকে উঠলো আহি,কিন্তু কিছু বলতে পারলো না। অন্যদিকে আদ্রিয়ান আহির বুকে মাথা রাখতেই কিছু একটা ফিল হলো তাঁর। সেই চেনা এক গ্রান,চেনা এক স্পর্শ যেন ছুঁয়ে দিল তাঁকে। অল্প বয়সি একটা বাচ্চা মেয়ে গোলাপি রঙের ফ্রক পড়নে তাঁর,হাত পা তাঁরও বাঁধা আর কিছু ভাবতে পারলো না আদ্রিয়ান। আহিকে জড়িয়ে ধরতেই ধীরে ধীরে যেন তার ছটফটানি কমে যেতে লাগলো। আদ্রিয়ান ঘুমের ঘোরেই আর একটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো আহিকে।’

কিছুক্ষন পর,,

আহিকে জড়িয়ে ধরেই ঘুমিয়ে পড়লো আদ্রিয়ান। আর আহিও চুপচাপ বসে রইলো খাটে। হুট করে আদ্রিয়ানের কি হলো ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না সে। আদ্রিয়ান যেভাবে তাকে জড়িয়ে ধরে আছে মনে হয় ছেড়ে দিলেই পালিয়ে যাবে সে। আহির এইভাবে থাকতে মটেও ইচ্ছে করছে না কিন্তু আদ্রিয়ান যেভাবে তাকে ধরে আছে তাঁর মতো দুজন থাকলেও মনে হয় না তাদের ছাড়াতে পারতো?’

কিছু একটা ভেবে আহি তাকালো আদ্রিয়ানের মুখের দিকে। এখনও চোখে মুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট তাঁর। আহি আদ্রিয়ানের দিকে তাকিয়েই বলে উঠল,

‘ হুট করে কি হলো আপনার,আর এত ভয়ই বা কেন পাচ্ছিলেন?’
!
!
!
!
!
#চলবে…..

[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ। গল্প কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে আর এটা কাল্পনিক গল্প প্লিজ কেউ বাস্তবের সাথে মিলাতে যাবেন না]

#TanjiL_Mim♥️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here