#বাবুইপাখির_অনুভূতি🕊️পর্বঃ৪২
#লেখিকা:#তানজিল_মীম🕊️
—
_________________
বেশ আগ্রহ নিয়েই দাঁড়িয়ে আছে আহি নিলয়ের সামনে। কিন্তু নিলয় এখনও কিছু বলছে না তাঁকে। নিলয়কে চুপ থাকতে দেখে বলে উঠল আহি,
‘ কি হলো ভাইয়া চুপ করে আছেন যে কি বলবেন আমায়?’
উওরে নিলয় বেশি কিছু না ভেবে বলে উঠল আহিকে,
‘ আহি তুমি যেহেতু রাতে আদ্রিয়ানের কাছে থাকবে আইথিংক তোমার ওর ব্যাপারে কিছু সিক্রেট জিনিস জানা উচিত।’
নিলয়ের কথা শুনে বেশ অবাক হয়ে বললো আহি,
‘ মানে?’
‘ আদ্রিয়ানের একটা দুর্বল বিষয় আছে?’
‘ আপনার কথা ঠিক বুঝতে পারছি না আমি?’
‘ বলছি তোমায়,
তখন আদ্রিয়ান খুব ছোট। এতটুকু বলেই আদ্রিয়ান সাথে হয়ে যাওয়া সেই সব ঘটনাগুলোর কথা বললো নিলয়। আদ্রিয়ানের রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়া, তাকে কিডন্যাপ করা, হাত পা বেঁধে রাখা, কুকুরের ডাক, রক্তের ছাপ আর সব শেষে আহির আদ্রিয়ানকে সাহায্য করা। আহি তো সব শুনে চরম অবাক। সে তো বিশ্বাসই করতে পারছে না ছোট বেলায় সে যে ছেলেটাকে বাঁচিয়ে ছিল সে আদ্রিয়ান ছিল। আসলেই জীবনটা যেন একটা গোলাকার বৃত্ত। নিলয় আহিকে সব ঘটনা খুলে বলে উঠল,
‘ আর সেদিনের সেই ভয়টা এখনও আদ্রিয়ানের যায় নি আহি, আর সেই ভয়টাই রোজ রাতে আদ্রিয়ানকে তাড়া করে। এমন অনেক সময় গেছে আদ্রিয়ান রাতে না ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিয়েছে আর যেদিন ঘুমিয়েছে তাও ঘুমের ঔষধ খেয়ে। যেহেতু তুমি আদ্রিয়ানের কাছাকাছি থাকবে কিছুদিন তাই আমার মনে হলো এই জিনিসগুলো তোমার জানা উচিত।’
নিলয়ের সব কথা শুনে আহির মনে পড়লো শ্রীমঙ্গলের সেই ঝড় বৃষ্টিতে কাটানো রাতের কথা। যে রাতে সে থেকে ছিল আদ্রিয়ান সাথে আর হুট করেই আদ্রিয়ান ঘুমের ঘোরে কিছু একটা নিয়ে ভয় পেয়েছিল খুব। সেদিন রাতে এই বিষয়টা নিয়ে ওতটা না ভাবলেও এখন যে সত্যি অবাক লাগছে আহির। সাথে খারাপও কারন ভয়টা তো আদ্রিয়ান আহির কুকুরের জন্যই পেয়েছিল। ছোট্ট দীর্ঘ শ্বাস ফেললো আহি। তারপর বললো,
‘ বুঝতে পেরেছি ভাইয়া,কিন্তু ওনার এই সমস্যার কোনো ট্রিটমেন্ট করেন নি কেন?
‘ ট্রিটমেন্ট করেনি বললে ভুল হবে আহি, অনেক কিছুই করেছি কিন্তু কোনো কিছুতেই এর সমাধান মেলে নি কারন এটা আদ্রিয়ান কোনো শারীরিক সমস্যা নয় যে ঔষধ খেলেই ঠিক হয়ে যাবে এটা হলো ওর ভয়। ছোট বেলার ভয় দেখে এটা আরো বেশি আঁকড়ে আছে আদ্রিয়ানকে। তাই কিছুতেই কিছু হচ্ছে না তবে?’
নিলয়ের কথা শুনে বেশ আগ্রহ নিয়ে বললো আহি,
‘ তবে কি ভাইয়া?’
‘ একটা জিনিস বলবো তোমায়?’
‘ হুম বলুন ভাইয়া।’
‘ আদ্রিয়ানের এই সমস্যা সমাধান যদি কেউ করতে পারে তাহলে সেটা হলে তুমি?’
নিলয়ের এবারের কথা শুনে আহি অবাকের চরম সীমানায় পৌঁছে গিয়ে বললো,
‘ আমি মানে?’
‘ সবই বলছি তোমায়?’
এতটুকু বলে আহিকে জড়িয়ে ধরার বিষয়টাও বললো নিলয় আহিকে। নিলয়ের কথা শুনে আহি কি বলবে বুঝতে পারছে না। আহিকে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বললো নিলয়,
‘ আমি জানি আহি তোমার মনে কি চলছে এখন, অবাক করার বিষয় কি জানো আদ্রিয়ান তোমায় ভালোবাসে আহি। আমি তো কখনো ভাবতেই পারি নি আদ্রিয়ান কাউকে ভালোবাসবে। আমি এটাও জানি আহি তুমি নীরবকে ভালোবাসতে। কিন্তু নীরব অন্যকাউকে। আপাতত তোমায় এতটুকুই বলবো তুমি চাইলেই আদ্রিয়ানের সমস্যার সমাধান করতে পারবে। আবার এমনও হতে পারে তুমিও একটা সময় আদ্রিয়ানকে ভালোবেসে ফেলবে।’
নিলয় আরো কিছু বলবে তাঁর আগেই নিলয়ের ফোনটা বেজে উঠল উপরে অফিস থেকে ফোন আসায় আহির দিকে তাকিয়ে বললো,
‘ অফিস থেকে ফোন আসছে আহি আমাকে এখন যেতে হবে পড়ে আবার আসবো। এমনিতে রাতে কোনো প্রবলেম হলে আমায় ফোন করো ঠিক আছে। আর সবশেষে বলবো,
‘ জীবনে যা হয়ে গেছে সব ভুলে যাও আহি, সবকিছু আবার নতুন করে শুরু করো। দেখবে ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে।’
এতটুকু বলে ফোনটা তুলে ‘হ্যালো’ বলে বেরিয়ে যায় নিলয়। আর আহি জাস্ট অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে নিলয়ের যাওয়ার পানে। সবকিছুই কেমন যেন অগোছালো লাগছে আহির। আহি আনমনেই এগিয়ে চললো আদ্রিয়ানের কেভিনের দিকে।’
সাদা বেড সিটে বেঘোরে ঘুমিয়ে আছে আদ্রিয়ান। মাথায় ব্যান্ডেজ করা তার। আহি আস্তে আস্তে এগিয়ে গেল আদ্রিয়ানের দিকে। তারপর বসলো আদ্রিয়ানের বেডের পাশ দিয়ে থাকা একটা চেয়ারে। তারপর তাকালো সে আদ্রিয়ানের মুখের দিকে। তার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না ছোট বেলায় সে যে ছেলেটাকে বাঁচিয়ে ছিল সেই আদ্রিয়ান। আহি আদ্রিয়ানের দিকে তাকিয়ে বলে উঠল,
‘ জীবনটা খুব গোল বলুুন, সেই কবে কোন ছেলেকে বাঁচিয়ে ছিলাম,তাঁর সাথে এইভাবে দেখা হবে আমার এটা তো কখনো ভাবিই নি আমি। সত্যি আজব লাগছে বিষয়টা।’
রাত বারোটা ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগে এখন প্রায় একটার কাছাকাছি। পুরো হসপিটালের সব কেভিনগুলোই প্রায় স্তব্ধ। আশেপাশের লোকজনগুলো প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছে এখন। হসপিটালের আনাচে-কানাচেতে টুকিটাকি মানুষের আনাগোনা তখন। ক্যাভিন নাম্বার ৫০৪, আদ্রিয়ানের বেডের ওপর মাথা দিয়ে নিশ্চুপে ঘুমিয়ে আছে আহি। অনেকক্ষণ আগেই একা একা বকবক করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছে সে। আহির পাশেই কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে আছে আদ্রিয়ান। আজ আবারো তাঁকে আঁকড়ে ধরলো তাঁর সেই দুঃস্বপ্ন, ভাঙাচোরা বাড়ি, রক্তের ছাপ, কুকুরের ডাক, দৌড়ে আসা সেই মেয়েটি, তাঁকে জড়িয়ে ধরার মুহূর্ত, বাবা মায়ের নিথর দেহ, সবকিছুই ভেসে আসতে লাগলো আদ্রিয়ানের চোখের সামনে। ভয়ে বুক কেঁপে উঠল তাঁর। মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করছে আদ্রিয়ান, ঘেমে একাকার হয়ে গেছে সে। হুট করেই চোখ খুলে উঠে বসলো আদ্রিয়ান। আচমকা কিছু একটা অনুভব হতেই চোখ খুলে তাকালো আহি। সামনেই আদ্রিয়ানকে বসে থাকতে দেখে কিছুটা চমকে উঠে বললো সে,
‘ কি হলো আপনার?’
উওরে আদ্রিয়ান চুপ। ঘেমে একাকার হয়ে গেছে সে। মাথায় অসহ্য যন্ত্রনা হচ্ছে আদ্রিয়ানের। আদ্রিয়ান তাঁর মাথাটাকে ধরে চুপচাপ বসে রইলো কিছুক্ষন। আদ্রিয়ানের কান্ড দেখে আহি বেশ বুঝতে পেরেছে নিশ্চয়ই আদ্রিয়ান আবার কোনো দুঃস্বপ্ন দেখেছে। আহি কিছু একটা ভেবে সামনের টেবিল থেকে পানির গ্লাসটা হাতে নিয়ে এগিয়ে দিল আদ্রিয়ানের দিকে। আদ্রিয়ানও অল্প একটু পানি খেল তবে কিছু বললো না। আজ রাতে আর সে ঘুমাতে পারবে না এটা বেশ বুঝতে পেরেছে আদ্রিয়ান। আহি আদ্রিয়ানকে ধরে বিছানায় শুয়ে দিলো তারপর ওর পাশে বসে বললো,
‘ এত ভয় পাওয়ার কি আছে আমি তো আছি আপনার সাথে?’
বলেই আদ্রিয়ানের মাথায় হাত রাখলো আহি। আহির কাজে বেশ অবাক হয়েছে আদ্রিয়ান। তবে কি আহি জানে তাঁর সমস্যার কথা। আদ্রিয়ান শুধু তাকিয়ে রইলো আহির মুখের দিকে। তবে কিছু বললো না। আদ্রিয়ানকে এখনও বসে থাকতে দেখে আহি বেশ বুঝতে পেরেছে আদ্রিয়ান হয়তো আজ রাতে আর ঘুমাবে না। হঠাৎই আহি উঠে দাঁড়ালো তারপর আদ্রিয়ানের রুমে থাকা কাঁচের জানালাটার পাশে থাকা সাদা পর্দাটা সরিয়ে থাইগ্লাস খুলে দিল। সাথে সাথে রাতের জোৎসা ভরা চাঁদের আলো এসে পড়লো আদ্রিয়ানের রুমে। আদ্রিয়ানের রুম থেকে স্পষ্ট চাঁদ মামাকে দেখা যাচ্ছে। আদ্রিয়ান নীরবেই তাকিয়ে রইলো সেদিকে। আহি আবার চলে আসলো আদ্রিয়ানের কাছে তারপর বললো,
‘ আজকের চাঁদটা খুব সুন্দর তাই না।’
উওরে আদ্রিয়ান আহির দিকে তাকিয়ে বললো,
‘ হুম।’
‘ কিছু কথা বলবো আপনায়?’
উওরে শুধু তাকায় আদ্রিয়ান আহির দিকে। আদ্রিয়ানকে নিজের দিকে তাকাতে দেখে আহিও বলে উঠল,
‘ জানেন তো আমার না বিশ্বাসই হচ্ছে না সেই ছোট বেলায় কোন ছেলেকে বাঁচিয়ে ছিলাম সেই আপনি?’
আহির এবারের কথা শুনে আদ্রিয়ান অবাক চোখে তাকালো আহির দিকে তারপর নীরব কন্ঠে বললো,
‘ তাঁর মানে তুমি?’
‘ আমায় সব বলেছে নিলয় ভাইয়া, তবে বেশি ভাববেন না দেখবেন ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে।’
উওরে তেমন কিছু বললো না আদ্রিয়ান। শুধু বিস্ময় মাখা মুখ নিয়ে তাকিয়ে রইলো সে আহির দিকে। আহি আদ্রিয়ানের পাশে বসলো তারপর বললো,
‘ রাত তো এখনও অনেক বড়। বাকি রাতটা কি না ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিবেন। তবে আপনি এমনটা করতে চাইলে আমার কিন্তু কোনো আপত্তি নেই।’
আহির কথা শুনে আদ্রিয়ান নিশ্চুপেই বলে উঠল,
‘ আমি তো ঘুমাতে চাই আহি কিন্তু আমার দুঃস্বপ্ন আমায় ঘুমাতে দিচ্ছে কই, সেই ভাঙাচোরা বাড়ি, রক্তের ছাপ, কুকুর ছানার নিথর দেহ, আমার বাবা মায়ের মৃত দেহ সবকিছুই ভেসে আসে আমার সামনে। এই জিনিসটা যেন আমার লাইফের একটা অভিশপ্ত বিষয়।
আদ্রিয়ানের কথা শুনে আহি কি বলবে বুঝতে পারছে না। আদ্রিয়ানের কথা শুনে ভীষণই খারাপ লাগছে আহির। আহি বেশি না ভেবে বলে উঠল,
‘ আচ্ছা চলুন আজ রাতে আর ঘুমানোর প্রয়োজন নেই গল্প করেই কাটিয়ে দেই আমরা।’
‘ আমার গল্প ভালো লাগে না।’
‘ আপনি না বড়ই অদ্ভুত আচ্ছা গল্প ভালো না লাগলে আর কি করার যায় তবে,
হঠাৎই কিছুক্ষন ভেবে বলে উঠল আহি,
‘ গান শুনবেন তবে?’
বলেই নিজের মোবাইল আর ইয়ারফুন বের করে একটা আদ্রিয়ানের কানে, আর একটা নিজের কানে লাগিয়ে দিল আহি। তারপর সুন্দর একটা ভিডিও গান ছেড়ে শুনতে লাগলো দুজন। আদ্রিয়ানও কিছু বললো না কারন তাঁর ভালো লাগছে।’
বাহিরে অন্ধকারে ঘেরা জোৎসা ভরা আলো, চাঁদ মামা উঁকি মারছে জানালা বেয়ে, হাল্কা ঠান্ডা মিশ্রিত বাতাস বইছে। আর এসবের মাঝেই আলোকিত বাল্বের আলোয়, পাশাপাশি বসে ইয়ারফুনের গান শুনছে আহি আর আদ্রিয়ান। আদ্রিয়ান নিশ্চুপেই তাকিয়ে আছে আহির মুখের দিকে। এই প্রথম কোনো রাত কাটাবে আদ্রিয়ান, যে রাতে সে একা রাত জাগবে না তাঁর সাথে অন্য একজনও থাকবে। আনমনেই মুচকি হাসলো আদ্রিয়ান। আর আহি মোবাইল দেখতে এতটাই ব্যস্ত যে তাঁর দিকে যে কেউ তাকিয়ে আছে এটা বুঝতেই পারি নি সে।’
_____
সকাল ৮ঃ০০টা___
পাশাপাশি বসে আদ্রিয়ানের কাঁধে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে আছে আহি আর আদ্রিয়ান সে তাকিয়ে আছে আহির মুখের দিকে। কাল প্রায় শেষ রাতের দিকে আদ্রিয়ান কাঁধে মাথা দিয়েই ঘুমিয়ে পড়েছে আহি। আহি ঘুমিয়ে পড়তে আদ্রিয়ান ওর কানে থাকা ইয়ারফুন খুলে গান অফ করে বসে থাকে চুপচাপ। ঘুম আর হয় নি তাঁর, আহিকে দেখতে দেখতে রাত পাড় করে দেয় সে। এর মধ্যে হঠাৎই নড়েচড়ে উঠলে আহি। আহিকে উঠতে দেখে আদ্রিয়ানও দেয়ালের সাথে মাথা ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে। এরই মধ্যে সূর্যের আলো মুখে পড়তেই ঘুম ভেঙে যায় আহির নিজেকে আদ্রিয়ানের কাঁধে মাথা রেখে ঘুমাতে দেখে এক প্রকার হকচকিয়ে উঠে সে। পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে আদ্রিয়ানকে সুন্দর মতো শুয়িয়ে দেয় সে।”
সময়টা সকাল ১০ঃ০০টার কাছাকাছি, মুখে মাস্ক আর চোখে কালো চশমা পড়ে আদ্রিয়ানের রুমে ঢুকে শুভ। কারন সে চায়না আদ্রিয়ান তাঁকে চিনে ফেলুক।’
বেডে চুপচাপ বসে আছে আদ্রিয়ান। এমন সময় তাঁর রুমে ঢুকলো একজন ডক্টর। মুখে মাস্ক আর কালো চশমা দেখে বেশ অবাক আদ্রিয়ান। মাস্কটা মানা যায় কিন্তু এইভাবে কালো চশমা পড়ে কেউ পেসেন্টের কাছে আসে এটা যেন সত্যি অবাক করার বিষয়। আদ্রিয়ানের পাশেই চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল আহি, শুরুতে সেও একটু অবাক হলেও পরক্ষণেই ওটা যে শুভ এটা বুঝতে পেরে আর বেশি ভাবলো না সে। অন্যদিকে শুভ আস্তে আস্তে এগিয়ে যায় আদ্রিয়ানের দিকে। তারপর আদ্রিয়ানের বেডের পাশে থাকা ফাইলটা আর একবার চেক করে আদ্রিয়ানকেও দেখতে লাগলো। তারপর হাল্কা কন্ঠ চেঞ্জ করে বললো সে,
‘ আপনার কোনো অসুবিধা হচ্ছে না তো ভা, এতটুকু বলেও থেমে যায় শুভ। তাঁর কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,
‘ আইমিন মাথায় বেশি যন্ত্রণা হচ্ছে না তো?’
ডক্টরের কথা শুনে আদ্রিয়ানও বলে উঠল,
‘ খুব বেশি নয় আচ্ছা আমি বাড়ি কবে যেতে পারবো ডক্টর?’
‘ এই তো চার পাঁচদিন পরই যেতে পারবেন?’
‘ ওহ,
‘ হুম, আচ্ছা আমি এখন যাই তবে কোনো প্রবলেম হলে অবশ্যই জানাবেন ( আহির দিকে তাকিয়ে)
বলেই এক প্রকার জোরপূর্বক বেরিয়ে লাগলো শুভ। কারন আদ্রিয়ানের চাহনী তাঁর খুব একটা ভালো লাগছে না। না জানি চিনে ফেললো কি না। হঠাৎই আদ্রিয়ান ছেলেটির যাওয়ার পানে তাকিয়ে থেকে বলে উঠল,
‘ এক মিনিট ডক্টর,
আদ্রিয়ানের কথা শুনে বুক ধড়ফড়িয়ে উঠলো শুভর। তবে কি চিনে ফেললো তাঁকে আদ্রিয়ান?’
!
!
!
!
!
#চলবে…..
[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ। গল্প কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে।খুব শীঘ্রই গল্পের এন্ডিং আসছে অপেক্ষায় থেকো সবাই]
#TanjiL_Mim♥️