রাজকন্যা হূরিয়া পর্ব-৩২

0
341

#রাজকন্যা_হূরিয়া 💙🌸
#লেখা_মুহতারিযাহ্_মৌমিতা
পর্ব_৩২;

“আমি শুধু আমার আব্বাজানকে ফিরে পেতে চাই! তার পরিবর্তে আপনাকে রাজ্য সমর্পিত করতে আমার কোনো আপত্তি নেই।”

রাজকন্যার পাঠানো প্রত্রে এমন লেখা দেখে বিমূঢ় হয়ে গেলেন ওস্তাদজী। যেন নিজের কানকে তার বিশ্বাস হচ্ছে না। ঠিক শুনেছে তো সে? নাকি ঘোরের মাঝে ভুল শুনলো?

“আব্বাজান, রাজকন্যা এতো শীঘ্রই মেনে যাবে আমি তো ভাবতেও পারিনি!”

আয়াসের সন্তোষজনক কন্ঠটি কানে বাজতেই হো হো করে হেসে উঠলেন ওস্তাদজী। নিজের খুশিতে উল্লাস করে বললেন,

“কন্যা কেবল ধূর্তই নয় আব্বাজান, বুদ্ধিমতীও বটে। সে ঠিক ঠাওরে নিয়েছে আমাদের কি চাই?”

আয়াস হঠাৎ মলিন মুখে তাকালো পত্রখানার দিকে। মন খারাপের সুরে বলল,

“নাজিমজী থাকলে বেশ ভালো হতো। তাই না আব্বাজান?”

আয়াসের এমন কথায় ভেতরে ভেতরে ক্রোধে ফেটে পড়লেন ওস্তাদজী। অসহ্য! এই পুত্রের হঠাৎ এতো দরদ হচ্ছে কেন নাজিমউদ্দীনের জন্য?

“আব্বাজান? চিন্তা করিওনা। খুব শীঘ্রই মিত্রকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবো।”

“ওস্তাদজী, রাজকন্যা কি এখানে আসবে? আমাদের ডেরায়?”

পত্রের লেখা গুলো মেরাজের কানেও পৌঁছেছে। সে হঠাৎ নিজের পৈশাচিক আনন্দগুলো ধরে রাখতে পারেনি। তাই ভুল করেই যমের সম্মুখী দাঁড়িয়ে ভুল কথা বলে ফেলেছে।

আয়াস তীক্ষ্ণ নজরে মেরাজের পানে তাকাতেই মেরাজ শুঁকনো ঢোক গিললো। নিজের অন্য চোখ টা রক্ষা করতে কথার মানে পাল্টানোর চেষ্টায় ব্রত হলো,

“ম- মানে নিজের আব্বাজানকে ফিরিয়ে নিতে নিশ্চয়ই এখানে আসবে।”

“আসবে বৈ কি? দেখগে আমায় রাজ্য দিয়ে নিজেরাই এই ডেরায় বাস শুরু করে!”

মেরাজের কথার পৃষ্ঠে বলে উঠলেন ওস্তাদজী। সঙ্গে তাচ্ছিল্য করে হাসলেনও। আয়াস তাদের কথায় আর ভ্রুক্ষেপ করলো না। ছোট্ট করে হেসে ঘরের ভেতর চলে গেলো। তার পেছন পেছন রেদোয়ানও গেলো। ওস্তাদজী তাদের যাওয়ার পানে তাকিয়ে শয়তানি হাসলো। মনেমনে ভাবলো, আর কিছু ক্ষন আব্বাজান! আর তারপরই সব খালাস!”

“এই কে আছিস? রাজকন্যার জন্য পত্র লিখে পাঠা। তার শর্তে ওস্তাদজী রাজি।”

মেরাজ বাঁকা হাসলো। বাঁ হাতটা তুলে জখমে ঘেরা চোখটায় হাত বুলালো। রাজপ্রাসাদে যাওয়ার আগে নিশ্চয়ই একবার শরীরের জ্বালা মেটাবে সে। আর ঠিক ঐ আয়াসের সামনে বসেই।

দু’জন চেলা এসে হাজির হলো। একজন বলল,

“ওস্তাদজী, আমরা তো লেখতো জানিনা। সরদারের হাতেই লেখাতে হবে।”

“হ্যাঁ হ্যাঁ যা করার জলদি কর। যা।”

“আজ্ঞে ওস্তাদজী।”

চেলা দু’জন যেভাবে এসেছিলো আবার সেভাবেই ফিরে গেলো আয়াসের কাছে। আয়াস ততক্ষণে নিজের কক্ষে গিয়ে গা এলিয়ে দিলো শয্যায়। রেদোয়ানও বসলো তার সম্মুখে। রেদোয়ান সেই তখন থেকেই হাসফাস করছে। কিছু বলতে চায় সে। কিন্তু সাহস সঞ্চার করে বলতে পারছেনা। সময় গড়াতে হঠাৎ আয়াস নিজেই বলে উঠলো,

“কি বলতে চাও বলে ফেলো? এতো ভাবনার প্রয়োজন নেই।”

রেদোয়ান প্রথম দফায় চমকায়। ফের নিজেকে সামলে নেয়। কথাটা এতক্ষণ বলার জন্য মরিয়া হয়ে থাকলেও এখন যেন সাহসে কুলোচ্ছে না। আমতাআমতা করছে। আয়াস ওর মুখ দেখে হাসল। শোয়া থেকে উঠে বসে রেদোয়ানের কাঁধে হাত রাখলো। ভরসা দিয়ে বলল,

“এতো ভেবে ভেবে কূল-কিনারা না হারিয়ে বলে ফেলোতো ঝটপট?”

“আ-আ আসলে সরদার.. আমার একজন মনে ধরে গেছে!”

প্রথমে ভয় পেলেও পরক্ষণে যেন ফট করে বলে বসলো কথাটা। আয়াস নেত্র জোড়া বড় বড় করে তাকালো। অবাক স্বরে বলল,

“তাই? কাকে?”

রেদোয়ানের কম্পিত হৃদয় খানা কেঁপে উঠলো হঠাৎ। তার নাম নিতে গিয়েও কম্পন হলো বক্ষজুড়ে।

“কি হলো? বলো কাকে? কার মায়ায় জড়ালে তুমি?”

“প- পরীর!”

নিঃশ্বাস আঁটকে বলে ফেললো রেদোয়ান। আয়াসের নেত্রকোন উপচে এখন বিস্ময় গড়াতে লাগলো। পূর্বের ন্যায় বলে উঠলো,

“পরী? মানে রাজকন্যার জিন্নাত?”

“হ- হ্যাঁ সরদার!”

আয়াস হেসে উঠলো। বলল,

“শেষ পর্যন্ত একটা পরীর প্রেমে পড়লে? এটা কি সম্ভব রেদোয়ান?”

শেষোক্ত প্রশ্নটা আয়াস বেশ নরম গলাতেই জিজ্ঞেস করলো। কয়েক মুহুর্ত চুপ থেকে পূনরায় বলল,

“আমরা বিনা কারনে ওর সঙ্গে যে অ/বিচার
অ/ত্যাচার করেছি.. তারপর কি কখনও ও তোমায় মেনে নিবে?”

রেদোয়ান আহত নয়নে তাকালো। আহত স্বরেই বলল,

“আমি ওর কাছে ক্ষমা চাইবো!”

“তাতে ও মেনে যাবে?”

“দরকার হয় আমার সর্বস্ব ত্যাগ করবো সরদার! তবুও আপনি ওকে আমার জন্য নিয়ে আসুন।”

“পাগলামি করো না রেদোয়ান..”

“দয়াকরুন সরদার! ওকে আমার চাই!”

অসহায় কন্ঠে আওড়ালো রেদোয়ান। না পেরে হাত জোর করলো আয়াসের সম্মুখে। আয়াস ছোট্ট করে নিঃশ্বাস ফেলে রেদোয়ানের হাতের উপর হাত রাখলো। আস্থা দিয়ে বলল,

“চিন্তা করো না। তুমি আমার ভাইয়ের চেয়ে কিছু কম নও। তোমার খুশির জন্য আমি এটুকু নিশ্চয়ই করবো।”

রেদোয়ান অতি আনন্দে জড়িয়ে ধরলো আয়াসকে। অশ্রুসিক্ত নয়নে আবেগি স্বরে বারবার শুকরিয়া জানালো তার। আয়াস বড় ভাইয়ের ন্যায় স্নেহের সহিত হাসলো।

এমন সময় কক্ষে প্রবেশ করার অনুমতি চাইলো দু’জন চেলা। রেদোয়ান চোখ মুছে আয়াসের সঙ্গে একত্রেই তাকালো পেছন মুড়ে। আয়াস দু’জনকে দেখে অনুমতি দিলো ভেতরে আসার। দু’জন ভেতরে প্রবেশ করে নতশির করলো। অতঃপর একজন বলে উঠলো,

“রাজকন্যা হূরিয়াকে পত্র লেখার জন্য বলেছেন ওস্তাদজী।”

চেলার মুখে এমন কথা শুনে আয়াস এবং রেদোয়ান মুখ চাওয়াচাওয়ি করলো। ফের দু’জনেই রহস্য মণ্ডিত হাসলো।

___

“রাজকন্যে, পত্র এসেছে ডাকাতদের ডেরা থেকে।”

রাজকন্যা বসা থেকে একপ্রকার ছিটকে দাঁড়াল। জিন্নাতের হাতে ধরে রাখা পত্রটা নিয়ে নিলো নিজের হাতে। তাতে লেখা,

“আমি রাজি।”

এই ছোট্ট কথাটায় যেন এক জনমের সুখের নিঃশ্বাস একত্রে ফেললো রাজকন্যা। আনন্দে তার নেত্রকোণ ভিজে উঠলো। জিন্নাতও আনন্দে হাসতে লাগলো। রাজকন্যার চোখে জল দেখে বলল,

“এখন কাঁদার সময় নয় গো রাজকন্যে। এতোকাল বাদে রাজামশাইয়ের সন্ধান পেয়েছি এখন কি কাঁদলে চলবে। তাকে ফিরিয়ে আনতে যেতে হবেনা?”

রাজকন্যা কাঁদতে কাঁদতে হাসলো। হাতের উল্টো পিঠে চোখের জল মুছে বলল,

“এক যুগ.. এক যুগ পেরিয়ে গেলো জিন্নাত! ঐ মানুষটাকে দেখি,ছুঁই না। এক যুগ.. এক যুগ আমার আম্মাজান হাসেনা। কাঁদে না। এক যুগ!”

“অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়েছে রাজকন্যে। রাজামশাইয়ের অভাবে হাহাকার করা এই রাজপ্রাসাদ পূনরায় হাসবে। প্রাণবন্ত হবে। দেখো তুমি।”

“নিশ্চয়ই। তুমি তৈরি তো? আমরা এখনই বের হতে পারি।”

“রাজকন্যে তুমি কি নিশ্চিত এই যুদ্ধে তুমি একাই যাবে? কোনো প্রজা,সৈন্য ব্যতীত!”

“একা কোথায় হলাম? তুমি আছো,সুফি থাকবে সেনাপতি আতাউল থাকবেন।”

“কিন্তু রাজকন্যে…”

“না জিন্নাত। এই যুদ্ধ আমাদের। আমাদের ব্যক্তিগত। আমি চাইনা সেখানে আমার একটা প্রজাও ক্ষতির সম্মুখীন হোক।”

জিন্নাত চমৎকার হাসলো। সন্তর্পণে এগিয়ে এসে রাজকন্যার ললাটে ছোট্ট একটা চুমু খেলো। আহ্লাদী হয়ে বলল,

“রাজকন্যা হূরিয়া.. সিরাজদী রাজ্যের প্রাণভোমরা। আমাদের সবার গর্ব,আশা,ভরসা। আমাদের প্রাণ। আমি যতদিন বাঁচবো কেবল এই দোয়াই করবো যেন প্রত্যেকটা ইতিহাসের পাতায় আমি তোমায় খুঁজে পাই। তোমায় এই স্বয়ং সম্পূর্ণ মানুষটাকে আমার রাজকন্যে হিসেবে ফিরে পাই। এটাই আমার আক্ষেপ থাকবে সারাজীবন। যতদিন বাঁচব। আমার সালাম তুমি সর্বদা স্বরণে রেখো রাজকন্যে। তোমায় আমি সারাজীবন এভাবেই পেতে চাই।”

রাজকন্যা মৃদু হাসলো। জিন্নাতের নরম তুলতুলে হাত দুটো স্পর্শ করে বলল,

“ওয়া আলাইকুমুস সালাম জিন্নাত। আমিও আমার গোটা জীবনটাতে প্রত্যেকটা যুদ্ধে আমার জিন্নাতকে যেন সঙ্গে পাই। ঠিক এভাবেই। আমার বোন তুমি। আমার আদ্ধেক জীবন তুমি। তোমায় আমি ভীষণ ভালোবাসা আর যত্ন দিয়ে আগলে রেখেছি এতোকাল। জীবনের শেষ দিন অব্দি ঠিক এমন করেই আগলে রাখতে চাই।”

জিন্নাত জড়িয়ে ধরলো রাজকন্যাকে। রাজকন্যা স্মিত হেসে মাথায় হাত রাখলো জিন্নাতের। ফের বলল,

“এবার কিন্তু যেতে হবে। দেরী হচ্ছে।”

জিন্নাত মাথা জাগিয়ে চমৎকার হাসলো। বলল,

“চলো যাই।”

__

সুফির পিঠে রাজকন্যা আর জিন্নাত। সেনাপতি আতাউল তার ঘোড়ায়। তারা পৌঁছে গেছে গহীন জঙ্গলে। ততক্ষণে সন্ধ্যা নেমেছে। ধোঁয়া কুয়াশার মতো অন্ধকার বিরাজ করছে চারপাশে। সুফি খুব সাবধানে হাঁটছে। আর তাকে অনুসরণ করছে সেনাপতি আতাউলের ঘোড়া। অবশেষে পৌঁছাল তারা। রাজকন্যা সুফির পিঠ থেকে নেমে পড়লো। একবার জিন্নাতকে দেখে ফের সেনাপতি আতাউলকে দেখলো। চোখের ইশারায় কিছু একটা বলে তাদের রেখেই রাজকন্যা প্রবেশ করলো ডাকাতদের ডেরায়। ওস্তাদজী এবং মেরাজ সেখানেই ছিলো। আকস্মিক রাজকন্যার আগমনে কিঞ্চিত ভড়কালেন তারা দু’জনে। ফের সামলে নিলেন নিজেদের। ওস্তাদজী রাজকন্যাকে তীক্ষ্ণ নজরে দেখতে দেখতে অদ্ভুত রকমের হাসলো। মুখে বলল,

“এসো রাজকন্যা, এসো। আমার ছোট্ট সাম্রাজ্যে তোমায় সুস্বাগত।”

মেরাজ পৈশাচিক আনন্দ নিয়ে দেখতে লাগলো রাজকন্যাকে। রাজকন্যার আগমনে সবার মাঝেই এক অদ্ভুত ভয় দানা বাঁধলো যেন। কেবল ওস্তাদজীই নয়৷ বাকি সবাই অদ্ভুত ভাবে ভয় পাচ্ছে রাজকন্যা হূরিয়াকে। হয়তো এর জন্য; ‘পাপের চূড়ায় এক ফালাক পূন্যতার ছোঁয়া পড়লো বলে।’

“ভাবিজী? সালাম ভাবিজী!”

সুর টেনে বলল মেরাজ। রাজকন্যা পাশ ফিরে দেখলো না তাকে। সে স্থীর দাঁড়িয়ে চেয়ে আছে ওস্তাদজীর পানে। তার চোখমুখ একদম স্বাভাবিক। ক্ষণকাল এভাবে পেরিয়ে গেলে রাজকন্যাই আগে মুখ খুলে,

“উত্তরে সিরাজদী রাজ্য আপনার অপেক্ষায় পথ চেয়ে বসে আছেন ওস্তাদজী। আপনি চাইলে এক্ষনি চলে যেতে পারেন। আপনার সিংহাসন আপনাকে সাদরে গ্রহণ করবে বলে অপেক্ষার প্রহর গুনছে।”

ওস্তাদজীর শিরদাঁড়া বেয়ে শীতল রক্তস্রোত বয়ে গেলো যেন। তার এতোকালের স্বপ্ন.. আজ পূরণ হতে যাচ্ছে। সে যেন বিশ্বাস করতে পারছেনা।

আনন্দে ওস্তাদজী উল্লাস করছে মনেমনে। কিন্তু বাইরেটা রেখেছে একদম সাদামাটা। যেন এ কথায় বিশেষ কিছু নেই। খুবই স্বাভাবিক কথা।

“তুমি একা কেন? তোমার পরিবারের বাকি সদস্যরা কোথায়?”

ওস্তাদজী জিজ্ঞেস করে। রাজকন্যা জবাবে বলে,

“তারা সবাই আমার সঙ্গেই আছেন। এখানে আসেন নি অবশ্য। আব্বাজানের অপেক্ষায় জঙ্গলের বাইরে খোলা প্রান্তরে অপেক্ষা করছে সবাই। আব্বাজান কে নিয়ে আমরা অনেক দূরে চলে যাবো। আর কোনোদিন এই রাজ্যে ফিরবো না।”

“আর আমার মিত্র?”

“আপনার মিত্র নাজিমউদ্দীন রাজপ্রাসাদে আপনার অপেক্ষায় আছেন।”

ওস্তাদজীর আনন্দটা কিঞ্চিৎ খসে পড়লো। নাজিমউদ্দীন থাকা মানেই তাকে সিংহাসন ফিরিয়ে দেওয়া।

“আমার আব্বাজান কোথায়? ঠিক আছেন তো উনি?”

রাজকন্যা আবারও প্রশ্ন করে। ওস্তাদজী নিজের ঘোর থেকে বেরিয়ে আসে। হ্যাঁ সূচক মাথা নেড়ে বলে,

“একদম ঠিকাছেন। ঘুমচ্ছিলেন এতক্ষণ। এখন ঘুম ভেঙেছে।”

“ডাকুন তাকে।”

“হ্যাঁ- এই কে আছিস? রাজামশাইকে নিয়ে আয়।”

“এক মিনিট!”

ওস্তাদজী হুকুম করতেই রাজকন্যা বাঁধা স্বরূপ বলে ওঠে।

“কি হলো?” জানতে চায় ওস্তাদজী।

“ওরা কেন নিয়ে আসবে আমার আব্বাজানকে? আপনি কি করছেন? আপনি নিজে আমার আব্বাজানকে তার সাজে সজ্জিত করে নিতে আসবেন।”

ওস্তাদজী ক্ষেপা গলায় বলে ওঠে,

“আমি তাকে নিজর হাতে তৈরী করবো? অসম্ভব!”

“অসম্ভব কেন? আমি আপনাকে আমার গোটা রাজ্য দিয়ে দিচ্ছি আর আপনি আমার জন্য সামান্য এটুকুও করতে পারছেন না?”

“না পারছে না। ওস্তাদজী এই কাজ করতে পারবেন না। দরকার পড়ে আমি…”

মেরাজ কথাটা বলতে বলতে মাঝপথেই থামিয়ে দেয়। রাজকন্যার শীতল চাহনিতে ভড়কায় সে। মনে হলো ঐ দৃষ্টি দিয়ে বিষাক্ত তীর নিক্ষেপ করছে রাজকন্যা।

“আমি কোনো সংহার চাই না ওস্তাদজী। আমার সামান্য ইচ্ছে আপনি অবশ্যই পূরণ করতে পারেন।”

ওস্তাদজী ক্ষেপা দৃষ্টিতে তাকায় মেরাজের দিকে। কি দরকার রাজকন্যাকে রাগানোর। ভালোয় ভালোয় এসেছে আবার ভালোয় ভালোয় ফিরে যাবে। তা না!

“আমি পারবো। তুমি অপেক্ষা করো।”

#চলবে___

[ খাপছাড়া হচ্ছে কি? কিছু কমেন্ট পেলাম গল্পটা এখনও শেষ করছি না কেন? খাপছাড়া হচ্ছে হ্যানোত্যানো! বেশি বড় হয়ে গেলে দয়াকরে জানাবেন সবাই। তাহলে অল্পতেই শেষ করবো। খামোখা এতো কষ্ট করে টুইস্ট দিয়ে লিখবো না। ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here