রাজকন্যা হূরিয়া পর্ব-২৫

0
295

#রাজকন্যা_হূরিয়া 🌸🥀
#লেখা_মুহতারিযাহ্_মৌমিতা
_২৫_

“আদিম সম্পূর্ণ ঠিক আছে এবং সুরক্ষিত আছে।”

তাড়াহুড়ো করে রাজপ্রাসাদ থেকে বের হতে নিলেই পেছন থেকে ভেসে আসে আয়াসের গলা। রাজকন্যা দাঁড়িয়ে পড়ে। তার চোখে মুখে মুষড়ে পড়া ভাব। হতাশায় নিমজ্জিত। পেছন মুড়ে তাকালো রাজকন্যা। আয়াসের এমন উক্তিতে শুঁকিয়ে যাওয়া গলাটা অল্প হলেও ভিজে এলো। প্রশান্ত হলো ছটফট করা মনটা। না চাইতেও বুক চিঁড়ে তপ্ত দীর্ঘশ্বাসের আনাগোনা হলো।

“কোথায় আছে আদিম?” তীক্ষ্ণ স্বরে জানতে চায় রাজকন্যা।

আয়াস দু’পা এগিয়ে আসে। তার নিজস্ব অভিব্যক্তি ব্যক্ত রেখে বলে,

“আপনাকে খুঁজতে প্রসাদ থেকে আমি আর আদিম একত্রেই বেরোই। তবে আপনাকে খোঁজার সেই পুরোটা সময় আমি চাইলেও আদিমকে আমার সঙ্গে রাখতে পারতাম না। তাই মাঝপথে পরিকল্পনা মাফিক ইচ্ছে করেই আমার লোক দিয়ে নিজেদের উপর হামলা করাই। ঘটনার এককালে আদিমের মাথার পেছনটাতে আঘাত লাগে। আর সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারায় ও। আর তারপর ওকে একটা সুরক্ষিত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েক ঘন্টা ব্যাপী ওর জ্ঞান ফিরে আসার কথা। জ্ঞান ফিরতেই ওকে প্রাসাদে সুরক্ষিত অবস্থায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে।”

সবটা শুনে পূণরায় দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে রাজকন্যা। অতিষ্ঠ স্বরে বলে ওঠে,

“কসম আল্লাহর! ঠিক যতবার ভাবী আপনাকে আমি ক্ষমা করে দিবো ঠিক ততবারই আপনি আমার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেন আপনি ক্ষমা পাওয়ার যোগ্যই নন। সেই এক যুগ পূর্ব থেকে আপনি কেবল আমার ক্ষতিই করে এসেছেন! প্রথমত আমার আব্বাজানকে কেঁড়ে নিয়ে অতঃপর একের পর এক আমার প্রিয়জনদের কেঁড়ে নিয়ে। আচ্ছা সত্যি করে বলুন তো? আমাদের কি কোনো পূরণো শত্রুতা ছিলো.. কোনোদিন কি..

বলতে বলতে থেমে গেলো রাজকন্যা। আকস্মিক কিছু একটা মনে পড়তেই আতংকে তার চোখ মুখ ভরে উঠলো। আয়াস তাকিয়েই ছিলো তার দিকে। হঠাৎ তার মুখের এহেম পরিবর্তনে চিন্তান্বিত কন্ঠে বলে উঠলো,

” কি হলো? কি ভাবছেন!”

রাজকন্যা দ্রুত পায়ে এগিয়ে এসে আয়াসের সম্মুখে দাঁড়ালো। শুঁকনো গলায় ঢোক গিলে ভীত মনে প্রশ্ন করলো,

“আচ্ছা,মেরাজ আপনার কি হয়?”

আয়াসের কপাল কুঁচকে এলো। ভাবুক কন্ঠে আওড়ালো,

“কি হবে?”

“মানে, ও আপনার কিছু হয়না?”

“না। ও আমার কিছুই হয়না। আব্বাজানের হয়। আপনি যার খোঁজে গিয়েছিলেন, মানে আপনার ফুপুআম্মার স্বামী! মেরাজ নাজিমউদ্দিন এবং বেগমজির পুত্র।”

রাজকন্যা আঁতকে উঠে দু’কদম পিছিয়ে পড়লো। বড়বড় নিঃশ্বাস নিতে নিতে ডুব দিলো অতীতে।

তবে কি মেরাজ সেই লোকমুখে বলা মৃ/ত সন্তান? যে আসলে কোনোদিন ম/রেইনি। বরং তাকে অপহরণ করা হয়েছিলো জন্মের ঠিক কয়েক মুহুর্ত পরেই।

“আপনার কি হয়েছে বলুন তো? কি এতো ভাবছেন আকাশ-কুসুম?”

রাজকন্যা আয়াসের স্থীর দৃষ্টি খানার দিকে তাকালো। সন্দিহান মনে জানতে চাইলো,

“আপনি কি জানেন সেই ইতিহাস?”

“কোন ইতিহাস?”

“কেন মেরাজের জন্মের পরমুহূর্তেই তাকে অপহরণ করা হয়েছিলো? কেন ফুপুআম্মার কোলে একটা মৃ/ত সন্তান তুলে দেওয়া হয়েছিলো? আর কেন নাজিমউদ্দিন নিজেকে মৃ/ত বলে ঘোষণা দিয়েছিলো?”

আয়াস স্থবির হয়ে গেলো আচমকা। যেন এমন আশ্চর্যজনক কথা সে ইতিপূর্বে কোনোদিন শোনেনি। উদ্বিগ্ন কন্ঠে আওড়ালো,

“এসব আপনি কি বলছেন রাজকন্যা? ঘটনা তো এরকম কখনো ঘটেইনি। বরং বেগমজি এবং রাজামশাই পরিকল্পনা করেই নাজিমউদ্দিনকে এই প্রাসাদ থেকে বিতাড়িত করেছিলো। এমনকি তাদের সদ্যোজাত সন্তানও এই ব্যভিচার থেকে ছাড় পায়নি। উনারা ওকেও বিতাড়িত করেছিলো তার আব্বাজানের সঙ্গে।”

রাজকন্যা মৃদুস্বরে চেঁচিয়ে উঠে বলল,

“মানে! এসব আপনাকে কে বলেছে?”

“কে আবার! আমার আব্বাজান বলেছেন।”

রাজকন্যা থমকালো। আর কিছু বলতে আকস্মিক বাঁধা দিলো তার মস্তিষ্ক। যেন এখানে নিরব থাকাই বাঞ্ছনীয়।

ভাবনায় ডুব দিলো রাজকন্যা। ডাকাত কুঠুরিতে এই মিথ্যে রটালো কে? আয়াস নিজেই যেহেতু সবটা ভুল জানে এর মানে তার আব্বাজানও ভুলটাই জানে। কিন্তু নাজিমুদ্দিন তো সবটা সঠিক জানে। এবং যতদূর ধারণা এই সব কিছুর মুলে নাজিমউদ্দিনেরই হাত আছে। তবে তার নিজেরই লোকদের এতো বড় সত্যিটা না বলে লাভটা কি হলো উনার? ঐ ডেরায় এই সত্যি আর কে কে জানে? নাকি কেউই জানেনা? আচ্ছা,মেরাজ কি জানে?

“মেরাজ জানে এই প্রাসাদে তার আম্মাজান থাকেন?”

রাজকন্যা উৎসুক নয়নে শুধালো। আয়াস কপাল কুঁচকে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লো। অর্থাৎ জানে।

“জেনেও কখনও নিজের মাকে একবারও দেখতে চাইলো না?”

“এমন মাকে কোন পুত্রই দেখতে চাইবে,যে মা জন্মের পরমুহূর্তেই নিজের সন্তানকে নিজের থেকে আলাদা করে দেয়!”

“তবুও! আক্ষেপ হলোনা কোনোদিন?”

আয়াস অদ্ভুত হাসলো। একরাশ অসহায়ত্বতা ঢেলে পড়লো তার বাজপাখির ন্যায় ঐ দৃষ্টিতে। নিমিষেই কেমন বিষাদে ভরে উঠলো তা।

“জানিনা। কিন্তু আমার বরাবরই ভীষণ আক্ষেপ ছিলো নিজের আম্মাজানকে এক নজর দেখবার। কিন্তু কি করেই বা দেখতাম! সে যে আমায় জন্ম দিতে গিয়েই..”

কথাটা শেষ করার পূর্বেই আয়াসের স্বর মিইয়ে এলো। নিজের মায়ের মৃ/ত্যুর কথাটা সে নিজ মুখে কোনোদিনই উচ্চারণ করতে পারেনি। আজও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। বড়বড় করে বার কয়েক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে সামনের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো। এখন যে তাকে ফিরতে হবে। তার ফেরার সময় হয়ে এসেছে।

“কোথায় যাচ্ছেন?”

উদগ্রীব কন্ঠে ডেকে উঠলো রাজকন্যা। আয়াস দাঁড়িয়ে পড়লো। পেছন মুড়ে চমৎকার হাসলো।

“আমায় এবার ফিরতে হবে!”

“কোথায়?”

“নিজের বেশে। নিজের ডেরায়।”

রাজকন্যার কন্ঠনালি থেমে যায়। এই মুহুর্তে মানুষটাকে কি বলে আটকানো উচিৎ জানা নেই তার। ভেতরে ভেতরে অদ্ভুত রকমের তাড়না হচ্ছে। যেন তাকে আটকাতে না পারলে সে ম/রে যাবে। দম বন্ধ হয়ে ম/রে যাবে।

“আ্ আমার কথা এখনও শেষ হয়নি। আমার প্রত্যেকটা প্রশ্নের জবাব নেওয়া এখনও বাকি!”

আয়াস দুর্বোধ্য হাসলো। কপালের কোন চুলকে বলল,

“আপনি প্রশ্ন করুন,আমি জবাব দেবো।”

“আমার আব্বাজান কোথায়?”

“রাজামশাইকে এতোদিন যাবত ডেরাতেই বন্দী রাখা হয়েছে। গত কয়েক দিন পূর্বে হঠাৎই তাকে কোথাও একটা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কোথায় পাঠানো হয় জানিনা আমি। আব্বাজানকে জিজ্ঞেস করলে উনি বলেন, তিনি সুরক্ষিত আছেন। এতো সহজে তাকে মা/রবেনা।”

সাবলীল গলায় বলে গেলো আয়াস। রাজকন্যা ফোঁস করে উঠলো,

“এতো সহজে তাকে মা/রবেনা মানে! আমি আপনাকে বলে রাখছি আয়াস, আমার আব্বাজানের উপর যদি এতোটুকু আচ আসে তবে আমি লণ্ডভণ্ড করে দেবো আপনাদের ঐ কালো দুনিয়া।”

“হু মা/রবেনা। আর মা/রবেনা ঠিক দিন অব্দি, যতদিন অব্দি আব্বাজান এবং নাজিমউদ্দীন এই রাজ্যের সিংহাসনে বসতে না পারে। এই রাজ্য নিজেদের দখলে করতে না পারে।”

“ঠাট্টা করছেন আপনি?”

“সত্যি বলছি।”

“এতোদিন পর হঠাৎ এই পরিকল্পনা কেন? এই এক যুগে কেন বসলো না সিংহাসনে। তখন তো আটকাবারও কেউ ছিলো না।”

“ছিলো!”

“ছিলো?” উদ্বিগ্ন মনে শুধালো রাজকন্যা।

“জি। ছিলো। আর সে হলো সেনাপতি আতাউল এর পিতা, শহীদ সেনাপতি মির্জা আবদুল্লাহ। তিনিই এই এক যুগ আপনার গোটা সাম্রাজ্যটাকে রক্ষা করেছেন। একা। নিজ হস্তে। এক ফোটা আচ আসতে দেয়নি কোনো দিন।”

‘শহীদ সেনাপতি মির্জা আবদুল্লাহ’ নামটা শুনতেই বুকের ভেতর শূন্য জায়গাটা কেমন হাহাকার করে উঠলো রাজকন্যার। গতবার ঠিক এমনই একটা সময়ে তাকে কারা যেন নৃশংস ভাবে হ/ত্যা করে দি/খন্ডিত মাথাটা ঝুলিয়ে রেখে দিয়ে যায় নিজেরই কক্ষে। তার এমন ভয়াবহ দশা দেখে জ্ঞান হারিয়েছিলো রাজকন্যা। তারপর থেকে ঠিক কত রাত যে নির্ঘুম কেটেছে তার,হিসেব নেই।

“তার এমন বিভৎস হত্যাকাণ্ডের পেছনে অবশ্য মেরাজের ক্ষোভ ছিলো প্রচন্ড। আব্বাজান ওকে বলেছিলো মির্জা আবদুল্লাহকে মেরে ফেলতে। কিন্তু তাকে এমন বিভৎস ভাবে মারার হুকুম দেওয়া হয়নি। উনার একটা কন্যা ছিলো। আর ঐ কন্যাকে প্রথমবার দেখতেই মেরাজের মাথা খারাপ হয়ে যায়। অনেকবার প্রচেষ্টা চালায় ওকে তোলার। কিন্তু বারবার ব্যর্থ হয় মির্জা আবদুল্লাহ-র জন্য। যে কিনা গোটা একটা রাজ্যকে রক্ষা করে আসছে তার কাছে নিজের ছোট্ট মেয়েটাকে রক্ষা করা দুধভাত ছিলো। আর তখন থেকে মেরজের ক্ষোভ রয়ে যায় উনার উপর। আর যখন সুযোগ এলো তখন তো..”

“সায়েরা বুবুকে ওমন পশুর মতো ধর্ষণ করে নিজের পিতার পায়ের কাছে বিবস্ত্র করে ফেলে রাখা মানুষটা মেরাজই ছিলো?”

“হু!” (উপর-নীচ করে মাথা নেড়ে)

রাজকন্যার শরীর ভেঙে আসতে চাইলো। তাড়নায় বুঁজে আসতে চাইলো নেত্রজোড়া। বুকের ভেতর হাহাকার করে উঠলো চাপাকান্নাগুলো। দু’হাতে কপাল চেপে ধরলো। রাগে,দুঃখে ধ্বংস করে ফেলতে ইচ্ছে করছে সব কিছু। একদম সব কিছু।

রাজকন্যার এমন দশা দেখে ছুটে এলো আয়াস। তার বাহু আগলে সামলে নিতে নিতে বলল,

“কি হলো আপনার? শরীর খারাপ লাগছে?”

রাজকন্যার চোখ ফেটে কান্না এলো। কিন্তু কাঁদতে পারছেনা। আয়াসের ছোঁয়ায় এক বিষ যেন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়লো সর্বাঙ্গে। আয়াসকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দিয়ে বাজখাঁই গলায় চেঁচিয়ে উঠলো,

“আপনিও ওদেরই একজন! প/শু,জা/নোয়ার ঠিক ওদেরই মতো। আপনারা ভালোবাসতে পারেন না। কেবল হিংস্র দানবের মতো ধ্বংস লীলা করতে পারেন। হ্যাঁ, আ্ আপনারা ভালোবাসতে পারেন না।”

“পারি! পারি.. আমরাও ভালোবাসতে পারি। এবং আমি ভালোবেসেছি। হু। ভালোবেসেছি আমি। আপনাকে। আমি আপনাকে ভালোবেসেছি। আর ভালোবেসেই নিজের হিংস্র দানবী খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছি। হ্যাঁ মনোহরীণি! আপনাকে ভীষণ ভালোবেসে নিঃশ্ব করেছি নিজেকে।”

দৃঢ় কন্ঠে বলে গেলো আয়াস। রাজকন্যা কয়েক মুহুর্ত নিশ্চুপ থেকে বজ্রকন্ঠে জবাব দিলো,

“হ্যাঁ, ভালোবেসেছেন আপনি। আর ভালোবেসেই সর্বপ্রথম মে/রে ফেলতে চেয়েছেন আমার আম্মাজানকে। আমার সবচেয়ে কাছে মানুষটাকে। গোপনে,নৃশংস ভাবে! আর তার জন্য কাকে হাত করলেন? আমাদের সবচেয়ে বিশ্বাস যোগ্য মানুষটাকে। কবিরাজ মশাইকে! যেন কিছু ঘটে গেলেও আমরা বুঝতে না পারি এটা একটা হ/ত্যার পরিকল্পনা ছিলো। যখন কবিরাজ মশাই বন্দী হলো, এতো প্রহারের পরেও মানুষটা মুখ খোলেনি। কারণ তার একমাত্র কন্যাকে একদল হায়না তুলে নিয়ে আঁটকে রেখেছে। তারা প্রয়োজন পড়তেই ষোড়শীর নরম শরীরটাকে ক্ষুধার্ত কু/কুরের ন্যায় খাবলে খাবলে খেয়েছে। হ্যাঁ, ভালোবেসেছেন আমায়। আর ভালোবেসেই, রাজকন্যাকে দুর্বল রাখতে কবিরাজ মশাইকে ভয়ানক মৃত্যু উপহার দিয়েছেন। হু,ভালোবেসেন আমায়। আর ভালোবেসেই আরোভিকে নিজ হাতে হ/ত্যা করে নিজেই গায়েব হয়ে গিয়েছেন। যেন রাজকন্যা ভুল করেও আপনাকে সন্দেহ করতে না পারে। মূর্খ আপনি। আপনি নিজেও জানেন এই বোকা রাজকন্যা ঠিক কতটা ভালোবেসেছিলো আপনাকে। অন্ধের মতো বিশ্বাস করেছে আপনাকে। আপনি যদি আরোভিকে হ/ত্যা করে র/ক্ত মাখা ছুরি নিয়েও আমায় বলতেন, আমি তবুও কোনোদিন বিশ্বাস করতাম না আরোভিকে সত্যিই আপনি হ/ত্যা করেছেন। ঠিক এতোটাই বিশ্বাস করেছিলাম আপনায়। ঠিক এতোটাই ভালোবেসেছিলাম আপনাকে।”

“হ্যাঁ, আয়াস ভালোবেসেছিল তোমায় রাজকন্যে। আর ঠিক এতোটাই ভালোবেসেছিলো যে আমায় অগ্নিশিখার কারাগারে বন্দী করে ক্রমাগত নি/পীড়ন, নি/র্যাতন করতে করতে মৃ/ত্যুর দুয়ার অব্দি দাঁড় করিয়ে দিতেও তাহার হাত কাঁপলো না। ঠিক এতোটাই ভালোবেসেছিলো তোমায়।”

রাজকন্যার কথার পৃষ্ঠে জিন্নাতের মোহিত কন্ঠস্বর ভেসে আসতেই চমকে উঠলো রাজকন্যা। একই সঙ্গে আয়াসও। জিন্নাতকে পূর্বের ন্যায় সুস্থ সবল দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এক মুহুর্তের জন্য রাজকন্যার চোখ জোড়া চিকচিক করে উঠলো আনন্দে। কিন্তু পরমুহূর্তেই তার কন্ঠে এমন উক্তি শুনে স্তব্ধ হয়ে গেলো সে। বুকের ভেতরটায় যেন কেউ হাহাকার করে উঠলো। দম আঁটকে এলো তার। আয়াসের মুখ পানে তাকাতেই দৃশ্যমান হলো তার তাড়নায় ভরা মুখশ্রী! সে কি ঠিক শুনেছে? তার জিন্নাতের ওমন মরন দশা করার পেছনে তার সবচেয়ে প্রিয় মানুষটারই হাত ছিলো?

#চলবে__

[ 😒 যাই হয়ে যাক না কেন, আমার কিন্তু আয়াসরে সবসময়ই ভালো লাগতো]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here