#সুখের_নেশায়
#লেখিকাঃআসরিফা_সুলতানা_জেবা
#পর্ব___৯
চৈত্রিকার কপাল বেয়ে ঘাম ঝড়ছে। গরম,তপ্ত নিঃশ্বাস বেরিয়ে আসছে নাসারন্ধ্র হতে। উত্তাপে হাসফাস অবস্থা। হাঁটছে আর লম্বা লম্বা শ্বাস ফেলছে। দুপুরের কড়া রোদের চেয়েও যেন তাপের প্রখর প্রদাহ অপরাহ্নে। আজকের বিকেল টা পুরোই অস্বস্তিতে ভরপুর। বাতাসের ছিটেফোঁটা নেই। পানির জন্য হাহাকার। গলা শুকিয়ে কাঠ পুরো। চৈত্রিকা আর এক পাও বাড়াতে পারছে না সামনের দিকে। পুরো দেহ জুড়ে গড়িয়ে যাচ্ছে ঘাম। শ্বাস প্রশ্বাস নিতে বড্ড কষ্ট হচ্ছে। তৃষ্ণায় ব্যাথা করছে গলা৷ লাস্ট টিউশন টা করিয়ে বেরিয়ে এল সে। পুরো আধাঘন্টার রাস্তা অতিক্রম করে ভীষণ ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত হয়ে পড়েছে দেহের প্রত্যেক টা অঙ্গ প্রতঙ্গ। না পেরে ধুলোবালিতে সজ্জিত ফুটপাতে বসে পড়ল। গরমের দাপটে মুখশ্রী অসম্ভব রকম লাল। চোখ জ্বলছে ভীষণ। চৈত্রিকা করুন দৃষ্টিতে সোজা পথের দিকে চেয়ে থাকল। তাকে আরো বিশ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে হবে। কিন্তু শরীর!তা যেন আর এক মিনিটের পথ অতিক্রম করতে রাজি নয়।
কথায় আছে -সুস্থ দেহ,সুস্থ মন। দেহ ও মন একই সুতোয় বাঁধা। চৈত্রিকার সাথে তা যেন মিলে গেল অক্ষরে অক্ষরে। শরীরের দুর্বলতা তার মন কে দুর্বল করে দিচ্ছে ক্রমাগত। কোনোভাবেই সামলে উঠতে পারছে না নিজেকে। মনটা কাঁদছে অতি সন্তর্পণে। কিন্তু বহিঃপ্রকাশ করতে নারাজ মেয়েটা। সে উঠে পড়ে লেগেছে এই নিষ্ঠুর ধরায় নিজেকে শক্ত, আবেগহীনা প্রমাণ করতে। জাহির করতে। তবুও হেরে যাচ্ছে। নারী যতই চেষ্টা করুক শক্ত হবার,পাথরে পরিণত হওয়ার। একটা সময় দেখা যায় শক্ত খোলসের মধ্যে নরম মন,মায়া,দরদে ভরপুর। ঠিক যেমন ঝিনুক। নিজের খোলস টা শক্ত হলেও দেহ টা তো বড্ড নরম!
পঞ্চাশ টাকা বাঁচানোর জন্য ক্লান্ত দেহে হাঁটতে রাজি চৈত্রিকা। তার উপর তিনটে মানুষের দায়িত্ব। টিউশনি করে মানুষগুলোর জন্য কিছু করা কঠিন হয়ে দাড়াচ্ছে। প্রতিদিন রিকশা দিয়ে আসা যাওয়াতে অনেক টাকা খরচ হয়। কি হয় নিজের দেহ কে একটু কষ্ট দিয়ে যদি কিছু টাকা বাঁচানো যায়!বাঁচানো যায় বাবা,বোন,মা’কে। তাই তো চৈত্রিকা হেঁটে এসে টিউশনি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজকাল রিকশাচালক রা ভাড়া অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। তারাও তো নিরুপায়। পেটে ভাত জুটাতে হলে এবং ঢাকা শহরে টিকে থাকতে হলে টাকার প্রয়োজন অত্যাধিক। চৈত্রিকার বুক চিঁড়ে দীর্ঘ একটা শ্বাস বেরিয়ে আসতে চাইল। কিন্ত এলো না বরঞ্চ তা দমিয়ে ক্ষীণ একটা শ্বাস ফেলল চৈত্রিকা। কানে এলো একটা ছোট্ট বাচ্চার অনুনয়ের স্বর। আওয়াজ লক্ষ্য করে সেদিকে চক্ষু নিবদ্ধ করে চৈত্রিকা। একটা বাচ্চা মেয়ে পেয়ারা ভর্তা বিক্রি করা লোক কে অনুরোধ করছে,
‘ কাকা একটু ভর্তা দেন। পাঁচ টেহা দিমু আমি।’
মেয়েটার আকুতি ভরা কন্ঠ লোকটার মন গলাতে পারছে না। উল্টো বিরক্তিতে চোখ মুখ কুঁচকে নিচ্ছে লোকটা। ধমকেছে অনেকবার। তবুও বাচ্চা মেয়েটা যেন নাছোড়বান্দা। চৈত্রিকার লাল, রক্তিম মুখ খানায় নিমিষেই একদলা কালো মেঘ এসে জড়ো হলো। লোকটার আচরণে তার মন ক্ষুব্ধ হলো। পাঁচ কিংবা ছয় বছরের ছোট্ট একটা মেয়ে। পড়নে একটা ছেঁড়া জামা। চেহারাটা মলিন,শীর্ণ। চৈত্রিকার মনটা হু হু করে উঠে। নিজের ব্যাগ হাতড়ে পাঁচ টাকার একটা পয়সা ব্যতীত কিছুই পেল না। মাসের শেষ দিন আজ। প্রায় দুইশো টাকা ছিল ব্যাগে,যা আহমেদের একটা ওষুধ কিনতেই শেষ। হতাশ হয়ে উঠে দাঁড়াল সে। কাঁদতে ইচ্ছে করল খুব। কিন্তু একদমই শোভা পায় না ক্রন্দনরত চেহারা। এই বলে নিজেকে নিজেই শাসায় চৈত্রিকা। ঢিমে ঢিমে পায়ে হেঁটে এসে বাচ্চা মেয়েটার পাশে দাঁড়াল। মেয়েটার কপোলে গড়িয়ে যাওয়া মুক্ত দানা গুলো মুছে দেয় যত্ন করে। নিজের হাতের পাঁচ টাকা মেয়েটার হাতে গুঁজে দিয়ে ম্লান হাসল। মৃদু স্বরে বললো,
‘ এবার পেয়ারার ভর্তা দিবে তোমাকে। তোমার হাতের পাঁচ টাকা আর আমার পাঁচ টাকা মিলে দশ টাকা হয়েছে। দশ টাকার ভর্তা দেয়া হয়। এখন আর তোমার দামি দামি অশ্রু গুলো বিসর্জন দিতে হবে না।’
মেয়েটা খিলখিল করে হেসে উঠল। ছোট মুখটায় উপচে পড়ছে আনন্দ। খুশিতে চৈত্রিকাকে জড়িয়ে ধরতে এসেও পিছিয়ে গেল এক পা। হয়ত নিজের অবস্থা বুঝে। চৈত্রিকা চিকন চিকন ঠোঁট দুটো প্রশস্ত করে,একটু ঝুঁকে কাছে টানল মেয়েটাকে। মেয়েটা আশ্বাস পেয়ে বুকে মিশে গেল তৎক্ষনাৎ। চৈত্রিকা আলতো কন্ঠে বললো,
‘ তোমার আমার জীবনে তেমন পার্থক্য নেই। দু’জনেই বোধ হয় তৃষ্ণার্ত ওই কাকের মতো,যে কিনা এক ফোঁটা পানির আশায় ছটফট করেছে। আমরাও করছি প্রতিনিয়ত সুখের নেশায়। জানি ধরা দিবে না। এই জীবনে সুখ আমাদের জন্য নয়। কিন্তু আশা রাখতে ক্ষতি কি বলো!’
মেয়েটার ছোট্ট মস্তিষ্কে চৈত্রিকার মুখে উচ্চারিত প্রত্যেক টা শব্দ তরঙ্গিত হলেও বুঝতে পারল না। ভর্তা পেয়ে খেতে শুরু করে। চৈত্রিকা সেদিকে তাকায় না আর এক পলকও। রাস্তা ধরে হাটতে শুরু করে। নিঃশব্দ,সূক্ষ্ম নিঃশ্বাস ফেলতে ফেলতে হেঁটে আসে অনেকখানি। এদিকে থেকে দু’টো রাস্তা। বাম দিকের টায় পা রাখতেই কারো চিৎকারে কেঁপে উঠে সমস্ত দেহ। কেউ বোধহয় ডাকছে তাকে। তড়িৎ গতিতে পিছন ফিরে তাকায়। ছোট্ট সেই মেয়েটাকে দেখে প্রচন্ড অবাক এবং বিস্ময়তায় ডুবে যায় নিমেষে। আপা,আপা ডাকতে ডাকতে কাছে এসে উপস্থিত হলো মেয়েটা। হাতে পানির বোতল ও দুই প্যাকেট ভর্তা। চৈত্রিকার দিকে বাড়িয়ে হাঁপানো কন্ঠে বলে উঠল,
‘ আপা লন। আপনের লাইগ্গা এগুলো।’
চৈত্রিকা কিংকর্তব্য বিমূঢ়। হতবাক, হতবিহ্বল দৃষ্টিতে তাকালো মেয়েটার হাতের দিকে। অপ্রস্তুত হলো অনেকটা। প্রশ্নবিদ্ধ নয়ন জোড়া। মুখে বললো,
‘ আমার জন্য মানে?তুমি এগুলো আমার জন্য কেন আনলে?টাকা কোথায় পেলে?’
‘ এক ভাইয়ে কিনে দিছে আপা। উনিও আপনের মতো বহুত ভালা। আমারেও আরও কিনে দিছে। আপনি লন,আমার গুলো লইয়া আমি বাড়িত যামু। আমার আম্মা পছন্দ করে ভর্তা। ভাইয়ে কইছে আপনের কাছে দিতে এইগুলো।’
চৈত্রিকা নিস্তব্ধ হয়ে পড়ল। সরব করে বললো,
‘ কে দিয়েছে আমাকে দেখাতে পারবে?’
মাথা দুলিয়ে সায় জানালো পিচ্চি মেয়েটা। তার পিছু পিছু যতখানি পথ পাড়ি দিয়ে এসেছিল ঠিক ততখানি এলো। কিন্তু পেল না মানুষটাকে। মেয়েটা মাথা চুলকে বললো,
‘ চইল্লা গেছে মনে হয় আপা। এডি নেন না। আমি বাসাত যামু।’
অস্থিরচিত্তে মেয়েটার হাত থেকে জিনিসগুলো নিয়ে নিল চৈত্রিকা। কে করছে এসব?কিছুই তার মাথায় ঢুকছে না। মাথা ব্যাথায় ছিঁড়ে যাচ্ছে মনে হচ্ছে। গরম হয়ে আছে অনেক। বোতলের মুখ খোলে কয়েক ঢোক পানি খেয়ে নিল। পিপাসায় কাতর গলা যেন এক পশলা বৃষ্টির ছোঁয়া পেল মুহুর্তে।
.
.
বাসায় ঢুকে টেবিলের উপর প্যাকেটগুলো রেখে দিয়ে অবাক হয়ে গেল। পুরো বাসায় নিরবতার অভাব নেই। কোনো প্রকার শব্দ চৈত্রিকার কর্ণে আসছে না। বাসায় কি কেউ নেই!তাহলে দরজা হালকা করে খোলা ছিল কেন!আস্তে ডেকে যখন কাউকে পেল না তখন জোরে জোরে হাঁক ছাড়তে শুরু করে। মিম পিছন হতে উদ্বিগ্ন স্বরে বলে উঠে,
‘ কি হয়েছে আপু?’
চকিতে ঘুরল চৈত্রিকা। নজর গেল মিমের হাতের কাপড়চোপড়ের দিকে। ছাঁদ থেকে শুকানো কাপড় গুলো নিয়ে এসেছে। মিমের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে পাল্টা প্রশ্ন করে চৈত্রিকা,
‘ মা কোথায়?’
‘ উপরের বাসার ইহছান কাকাদের এখানে।’
চৈত্রিকার ভ্রুঁ কিঞ্চিৎ কুঁচকে এলো। দ্বিধান্বিত চাহনি নিক্ষেপ করল মিমের পানে।
‘ কেন?’
‘ কিছু টাকা ধার চাইতে। বাড়িওয়ালা বলেছেন আজ রাতের মধ্যে টাকা না দিলে কাল সকালে ধাক্কা মেরে বের করে দিবেন আমাদের। বাবা তো হাঁটতে পারে না। তাকে নিয়ে কোথায় যাবো আমরা আপু?কোথায় থাকব?’
মিম ডুকরে কেঁদে উঠল। মেয়েটার মনটা অনেক নরম। কোমলপ্রাণ মেয়েটা। হতে পারে বয়সের কারণে। হয়ত একটা সময় মিমও শিখে যাবে কঠোর হয়ে বাঁচতে। তার মতোই স্যাক্রিফাইস করতে। চৈত্রিকা চোখ বুঁজল।বোনকে জড়িয়ে ধরে কাদতে নিষেধ করে।ঠোঁট চেপে আটকে রাখল নিজের কান্না। চারদিকে এতো কান্নার আহাজারি কেন?কেন এতো কষ্ট পৃথিবীতে? আর সব কষ্টই বা কেন চৈত্রিকার ঘাড়ে চেপে বসল?প্রশ্ন থাকলেও, নেই উত্তর। বাবা কে হসপিটাল থেকে নিয়ে এসেছে আজ চারদিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পথে। সেদিন বাবার আদর পেতে গিয়েও পেল না চৈত্রিকা। কাছে গিয়ে বসতেই তার বাবা একহাত তার হাতের উপর রাখে। তৎপরে ফিরিয়ে নেয় মুখ। চৈত্রিকা বিস্তর কষ্ট পেলেও ক্ষীণ আনন্দ অনুভূত করেছিল। ডেকেছিল তো তার বাবা। তা-ই অনেক চৈত্রিকার জন্যে।
_____________
অন্ধকারাচ্ছন্ন রুম। চুপিচুপি ওষুধের পাতা টা বাবার রুমে রেখে এলো চৈত্রিকা। ফাহমিদা মিমের সাথে ঘুমিয়ে গেছেন। এই কয়েকদিনে তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চৈত্রিকা ধীরে ধীরে নিজের রুমে এলো। সঙ্গে সঙ্গে বেজে উঠে ছোট্ট বাটন ফোনটা। আকস্মিকতায় হকচকিয়ে যায় চৈত্রিকা। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে রাত বারোটা বেজে দশ মিনিট। এতো রাতে কে ফোন দিল!মোবাইল হাতে নিতে চোখে ভেসে উঠে অচেনা একটা নম্বর। হয়ত কেউ ভুলবশত তার নম্বরে ডায়াল করে ফেলেছে তা ভেবে ধরল না। কেটে গেল কল একটা সময়। বেজে উঠল পুনর্বার। চৈত্রিকা রিসিভ করে কানে ধরতেই কেউ অস্থির,ব্যগ্র কন্ঠে বলে উঠল,
‘ সময় লাগালেন কেন চৈত্র?এতো অপেক্ষা করাবেন না আমায়। সাথে সাথে কল ধরবেন।’
চৈত্রিকা চমকে গেল। ধরা গলায় বললো,
‘ সাফারাত আপনি?’
‘ হুম। আমি আপনার বাসার গেইটের কাছ থেকে কিছু দূরে দাঁড়িয়ে আছি চৈত্র। অপেক্ষা করছি আপনার। একটু আসুন না।’
সাফারাতের কন্ঠস্বর জড়িয়ে আসছে। মনে হচ্ছে কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে তার। চৈত্রিকা থমকে গেল। হসপিটালের সেই রাতের পর আজ এক সপ্তাহ পর কোথা থেকে উদয় হলো সাফারাত!এতোদিন একটাবারও তার দেখা পায় নি চৈত্রিকা। সাফারাত নিজেকে অমাবস্যার চাঁদ বানিয়ে নিয়েছিল যেন। যার দেখা মিলে না অহরহ, অহর্নিশ।
‘ বাসায় সবাই ঘুমোয় নি চৈত্র?আপনার কি আসতে প্রবলেম হবে?’
সাফারাতের কন্ঠ শুনে চৈত্রিকা নড়েচড়ে উঠল। আবারও জাগ্রত হচ্ছে অনুভূতি। বক্ষে আছড়ে পড়ছে উত্তাল ঢেউ। অন্তস্থল কাপছে দ্রুত বেগে। সাফারাত কখনও জানবে না,সে নিজের আগমনের সাথে চৈত্রিকার বুকে ঝড়ের আগমন ঘটিয়েছে। চৈত্রিকা নরম স্বরে বললো,
‘ প্রবলেম হবে না। আসছি আমি।’
‘ শুনুন! ‘
‘ হ্যাঁ! ‘
‘ আপনার হাতের চা খাবো। বাসায় চা পাতা থাকলে তিন কাপ বানিয়ে আনবেন প্লিজ।’
চৈত্রিকার কপালে ভাঁজ পড়ল। দৈবাৎ স্বরে বললো,
‘ তিন কাপ কেন?’
‘ এলেই বুঝবেন। অপেক্ষা করছি।’
চুপিসারে বিনা শব্দে,বেশ সাবধানে চা বানালো চৈত্রিকা। ফ্লাস্কে ঢেলে নিয়ে মাথায় ওড়না চাপাল। মা আর বাবা দু’জনেই ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়েছে তাই চিন্তা নেই। আস্তেধীরে বেরিয়ে দরজায় তালা দিয়ে নিচে এলো সে। এখানে এসে বাঁধল আরেক বিপত্তি। চৈত্রিকা ভুলেই গেছে দারোয়ান তো তাকে এতো রাতে বেরোতে দিবে না। কিন্তু সময় আজ যেন চৈত্রিকার বন্ধু। দারোয়ান চেয়ারে মাথা হেলিয়ে গভীর ঘুমে মগ্ন। পা টিপে টিপে হাতে ফ্লাস্ক নিয়ে চৈত্রিকা বেরিয়ে এলো। খানিকটা এগিয়ে আসতেই দেখল সাফারাত দাঁড়িয়ে আছে দূরে। ল্যাম্পপোস্টের আলোয় স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে চৈত্রিকা সাফারাতের উশখুশ চুল,মলিন, অনুজ্জল চেহারা। ধূসর রঙের চক্ষু জোড়া অসম্ভব লাল। ঠিক কৃষ্ণচূড়ার ন্যায়।
#চলবে,,!
(ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)