অরোনী, তোমার জন্য~৭
লিখা- Sidratul Muntaz
বৃষ্টি থেমে গেছে। অরোনী আর রাফাত দু’জনেরই বৃষ্টির পানিতে গোসল শেষ। অরোনী একের পর এক হাঁচি দিচ্ছে। হাঁচি থামার নামই নিচ্ছে না। রাফাত রাগান্বিত স্বরে বলল,” আগেই বলেছিলাম ঘরে চলো। এখন ভালো লাগছে?”
অরোনী জবাব দিল না। ওরনায় নাকের সর্দি মুছল। রাফাত বলল,” এবার অন্তত ঘরে চলো অরোনী।”
” তুমি এইখানে রাতে কিভাবে ঘুমাও? তোমার কি শীত লাগে না?”
” আমি কিভাবে এখানে ঘুমাই সেটা নিয়ে চিন্তা করার সময় এখন না। রিতু ঘুমিয়ে পড়েছে নাকি কে জানে? জেগে থাকলে ওকে দিয়ে আদা চা বানানো যেতো।”
অরোনী হাঁচি দিতে দিতেই হেসে উঠল। হাসির জোরে তার হাঁচি হয়ে গেল বন্ধ। রাফাত ভ্রু কুচকে বলল,” কি ব্যাপার?”
” ব্যাপার হলো, তুমি ছাতা সেজেও আমার ভিজে যাওয়া বন্ধ করতে পারলে না। সেই তো আমাকে ভিজতে হলো। তোমার জায়গায় আমি হলে কি করতাম জানো?”
” কি?”
” কোলে উঠিয়ে ঘরে নিয়ে যেতাম।”
” না বাবা! এতোবড় সাহস আমার নেই। মাটি যেই পিচ্ছিল হয়ে আছে। এই অবস্থায় তোমাকে কোলে নিয়ে হাঁটতে গেলে ধপাশ করে পড়ে কোমড় আমার ভাঙবে।”
অরোনী ক্ষীপ্তদৃষ্টিতে বলল,” এর মানে? তুমি কি বলতে চাও আমি ভারী?”
” ভারী তো বলিনি। কিন্তু কাঁদামাটির মধ্যে আমি একা হাঁটলেও তো পিছলে যেতাম। সেখানে তোমাকে কোলে নিয়ে হাঁটা আরও বেশি রিস্ক না?”
অরোনী কটমটে দৃষ্টিতে বলল,” কথা ঘুরানোর চেষ্টা করবে না।”
” আই সুয়্যের! আমি এমন কিছু মিন করিনি।”
অরোনী হাত ভাজ করে জেদী মেয়ের মতো বলল,” আজকে আমি ভুলেও ঘরে যাবো না। প্রয়োজনে সারারাত এইখানে বসে থাকবো৷ এইভাবে হাঁচতে থাকবো।”
” ঠিকাছে থাকো। একটু পর ছোট ছোট সাপেরা আসবে তোমার সাথে বন্ধুত্ব করতে। তারপর..”
” আমাকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই!”
অরোনীর কণ্ঠ শুনেই বোঝা গেল সে যথেষ্ট ভয় পেয়েছে। রাফাত জোরে হেসে উঠল।
” ওকে তাহলে গুড নাইট। তুমি বসে বসে সাপদের সাথে আড্ডা মারো। আমি গেলাম।”
অরোনী ভাঙবে তবু মচকাবে না। তার ভয় লাগছে কিন্তু এটা সে রাফাতের কাছে ভুলেও স্বীকার করল না। বলল,” সমস্যা নেই। চলে যাও তুমি। আমি ভয় পাই না।”
রাফাত সত্যি সত্যি চলে যাচ্ছে। কি খারাপ! অরোনী মনে মনে সিদ্ধান্ত নিল বেশি ভয় লাগলে সে উর্মিদের ঘরে চলে যাবে। তাও রাফাতের কাছে যাবে না। এই ভেবে অরোনী চুপচাপ ওখানেই বসে রইল। একটু পর রাফাত এলো। ব্যর্থ গলায় বলল,” ঠিকাছে যাও। আমি হেরে গেছি। তুমি জিতে গেছো। এইবার চলো।”
এই কথা বলে রাফাত অরোনীকে পাজাকোলায় নিল। অরোনী বিজয়ীনির মতো হেসে বলল,” গাঁধা পানি খেলেও ঘোলা করে খায়।”
” হোয়াট ডু ইউ মিন? আমি গাঁধা?”
” রামগাঁধা!”
রুমে এসে সবার আগে ভেজা পোশাক বদলাতে হলো। অরোনীর খুব শীত শীত লাগছে। জ্বরটা মনে হয় আবার আসবে। রাফাত এখন টের পেলেই ধমকানো শুরু করবে। অরোনী চুপচাপ বিছানায় শুয়ে পড়ল। রাফাত কাছে এসে বলল,” দেখি তোমার গা গরম কি-না!”
অরোনী বলল,” খবরদার ডন্ট টাচ। কি ভেবেছো সব ঠিক হয়ে গেছে? এখনও কিছুই হয়নি।”
অরোনীর রাগী কণ্ঠ শুনে ভ্যাবাচেকা খেয়ে রাফত বলল,” এর মানে কি? আবার কি হলো?”
“তোমার মতলব আমি বুঝি না ভেবেছো? গায়ে হাত দিচ্ছো কেন আমার? মন না ছুঁয়েই শরীর ছুঁতে চাও? আমার মন ছোঁয়ার মতো কোনো কাজ এখনও করোনি তুমি। শুধু চড়টা মেরেছিলাম বলে খারাপ লাগছিল। তাই তোমাকে ডাকতে গেছিলাম। রেগে ছিলে তাই মিষ্টি করে কথা বলেছি। এর বেশি কিচ্ছু মিন করবে না।”
রাফাত দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,” আমি কিছুই মিন করিনি। আমার ওই ধরণের কোনো ইনটেনশন ছিল না। আমি শুধু দেখতে চেয়েছিলাম তোমার জ্বর আছে কি-না!”
” আমি কি তোমাকে বলেছি হাত দিয়ে আমার জ্বর দেখো?”
” আচ্ছা স্যরি। আমার অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে।”
অরোনী কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল,” কাল থেকে আমি আর কখনোই নিচে যাবো না। তুমি ব্যবস্থা করে দিবে যেন আমার আর নিচে যেতে না হয়।”
” কেমন ব্যবস্থা করে দিবো?”
” এইখানে যে স্টোর-রুমটা আছে সেখানে চুলা লাগিয়ে তুমি একটা রান্নাঘর বানিয়ে দিবে। আমি এখানেই রান্না করবো। খাওয়া-দাওয়া সব এখানেই হবে। তুমি বাজার করে আনবে। তাহলেই আর নিচে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।”
অরোনী এই কথা আগেও অনেকবার বলেছিল। রাফাত তখন মানেনি। বরং অরোনীকে বলেছে মানিয়ে নিতে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আর এই কথা বলা সম্ভব না। আজকে বাড়িতে যে ঘটনাটা ঘটেছে তা ভুলে যাওয়ার মতো না। রাফাত নিজেই যে ঘটনা কোনোদিন ভুলতে পারবে না অরোনীকে সেটা কিভাবে বলবে ভুলে যেতে? রাফাত একটু ভেবে বলল,” রান্না করার কথা যে বলছো, তুমি কি রান্না করতে পারবে রেগুলার? ”
” চেষ্টা করলে সব পারবো। তাছাড়া রিতু তো আছেই। ও আমাকে সাহায্য করবে। প্রয়োজনে ওকে আমরা এক্সট্রা করে টাকা দিবো।”
” ঠিকাছে। সেটা না হয় করলাম। কিন্তু সকালে কি করবে? রান্নাঘর ঠিক করতে তো কমপক্ষে একদিন সময় লাগবে। ”
” এক সপ্তাহ সময় লাগলেও প্রবলেম নেই। আমি প্রয়োজনে না খেয়ে থাকবো।”
” না খেয়ে থাকতে হবে না। আমি রিতুকে বলে তোমার জন্য উপরে খাবার পাঠানোর ব্যবস্থা করবো। এখন শুয়ে পড়ো।”
রাফাত অরোনীর মাথায় হাত দিতে নিলেই অরোনী চটপট বলে উঠল,” ডন্ট টাচ মি!”
রাফাত রেগে বলল,” ওকে কুল। তোমাকে টাচ করার জন্য আমি মরে যাচ্ছি না।”
অরোনী মুখ ভেঙালেও মনে মনে ঠিকই হাসল। টাচ করার জন্য কে মরে যাচ্ছে সেটা তো সে দেখতেই পাচ্ছে। রাফাত গিয়ে সোফাতে শুয়ে পড়ল আর অরোনী বিছানায়। জ্বরের কারণে অনেক রাত পর্যন্ত তার ঘুম এলো না। খারাপ লাগছিল। আলমারি থেকে মোটা কাঁথা বের করল গায়ে জড়ানোর জন্য। তখন রাফাতের ঘুমন্ত মুখ ভালোমতো দেখল। ছোট্ট সোফায় রাফাতের শরীর আঁটছে না। হাঁটু পর্যন্ত পা সোফার ভেতরে। বাকিটা বাহিরে ঝুলে আছে। এই অবস্থাতেই সে ঘুমিয়ে আছে। অরোনী একটা টুল এনে রাফাতের পা দু’টো টুলে উঠিয়ে রাখল। তারপর বিছানায় বসে কল্পনা করতে লাগলো হাজারো অতীত। আচ্ছা, রাফাতের সাথে সে অন্যায় করছে না তো? তাদের সম্পর্কের সমীকরণ শুনলে যে কেউ বলবে অরোনী দজ্জাল বউ। কিন্তু আসলেই কি তাই? রাফাতও অরোনীর সাথে কম অন্যায় করেনি। তার সবচেয়ে বড় অন্যায় ছিল অরোনীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো।
ভার্সিটির নবীনবরণে অরোনীকে রাফাত প্রপোজ করেছিল। অরোনী শুধু বলেছিল ভেবে দেখবে। তার পরদিন থেকেই হাত ধুঁয়ে অরোনীর পেছনে লেগে যায় রাফাত। অরোনীকে ছায়ার মতো অনুসরণ করতে থাকে। অরোনী রীতিমতো ভয় পেয়ে গেছিল। ভার্সিটি কামাই দিতে শুরু করল। কিছুদিন রিল্যাক্সের জন্য খালার বাড়ি চলে গেল ঢাকার বাহিরে। অরোনীকে খুঁজে না পেয়ে রাফাতের অবস্থা পাগলপ্রায়। হন্যি হয়ে অরোনীর ডিপার্টমেন্টে খোঁজ নিতে শুরু করল। ভার্সিটির সবাই ঘটনা জেনে গেল। রাফাতের ফাইনাল এক্সাম তখন শেষ। সে দ্রুত চাকরিতে ঢুকেছিল শুধু অরোনীর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবে বলে। রাফাতের ফুপাতো বোনের হাসব্যান্ড বিশাল ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট। তাই রাফাতের চাকরি পেতে কোনো অসুবিধাই হলো না। অরোনী খালার বাসা থেকে ফিরে এসে জানতে পারল তার বিয়ে ঠিক হয়েছে। পাত্র ভালো চাকরি করে, নিজেদের বাগানবাড়ি আছে, ভালো ফ্যামিলি। অরোনী তার ভাইকে ভীষণ মানে। তাই বিয়েতে রাজি হয়ে গেছিল। তখনও সে জানতো না পাত্র রাফাত। যেদিন রাফাত তার বাবা আর শীলা চাচীকে সাথে নিয়ে অরোনীকে দেখতে এলো সেদিন অরোনী প্রথম জানতে পেরেছিল। রাবেয়া অরোনীকে দেখার জন্যেও আসেননি। বিয়েতেও তিনি ছিলেন না। অরোনীর পরিবারের সবাই জানতো রাবেয়া অসুস্থ। অরোনীও সেটাই ভেবেছিল। কিন্তু বিয়ের পরে জানা গেল তিনি অসুস্থ নয়, অসন্তুষ্ট!
সকালে রাফাত বা অরোনী কেউ নিচে খেতে গেল না। রিতু তাদের দু’জনের জন্যই খাবার বেড়ে উপরে নিয়ে যাচ্ছিল। তখন রাবেয়া বললেন,” রিতু, এগুলো কোথায় নিচ্ছিস?”
রিতু ভয়ে ভয়ে জবাব দিল,” ছোটভাইয়ের ঘরে।”
” ওরা কি জমিদার হয়ে গেছে? নিচে নামতে পারে না?”
” হেইডা আমি কেমনে কইতাম বড় আম্মা? আমি হইছি হুকুমের দাসী। আমার কাজ আদেশ পালন।”
” তোকে ভাষণ দিতে হবে না। এমন চটাং চটাং করা কি ছোটভাবীর থেকে শিখেছিস?”
রিতু মাথা নিচু করল। উত্তর দিল না। রাবেয়া বললেন,” তোর ছোটভাইকে বলবি নিচে আসতে। আমি ডাকছি।”
” জ্বে আচ্ছা।”
রাফাত আধঘন্টা পর নিচে নামল। রাবেয়া চেয়ারে বসে ম্যাগাজিন পড়তে পড়তে অপেক্ষা করছিলেন ডাইনিংরুমে। সিঁড়ির কাছেই ডাইনিংরুমটা। রাফাত এসে শান্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল,” আমাকে ডেকেছো?”
রাবেয়া মুখের সামনে থেকে ম্যাগাজিন সরিয়ে বললেন,
” এখন থেকে কি মহারাণীকে উপরে খাবার দিয়ে আসতে হবে?”
” প্রতিদিন দিয়ে আসার প্রয়োজন নেই। শুধু আজকের জন্যই। কাল থেকে অরোনী নিজেই রান্না করে খাবে।”
” কিভাবে রান্না করবে?”
” স্টোর-রুমে একটা চুলা বসিয়ে রান্নাঘর বানানোর পরিকল্পনা করেছি।”
” বাহ, এখন থেকে কি তাহলে তোদের সাথে আমাদের খাওয়া-দাওয়া আলাদা হয়ে যাবে?”
রাফাত করুণ দৃষ্টিতে চেয়ে বলল,
” এর জন্য কে দায়ী মা?”
” অবশ্যই তোর বউ দায়ী। সে আমার মুখে মুখে তর্ক করে আমার চক্ষুশূল হয়েছে।”
” সে না হয় তর্ক করেছে। কিন্তু তুমি কি করেছো? কখনও তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছো? প্রত্যেক ক্রিয়ারই বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া থাকে।”
” তার মানে তুই বলতে চাইছিস তোর বউ যা যা করেছে সব ঠিক আর আমিই ভুল?”
” তুমি অরোনীর গায়ে হাত তুলেছো এটা নিশ্চয়ই ভুল। যেখানে নিজের মেয়ের গায়ে তুমি কখনও হাত তোলোনি সেখানে অরোনীকে কিভাবে মারলে?”
” আমার মেয়ে আমার সাথে কখনও বেয়াদবি করেনি। অরোনী করেছে। তুই যদি ওইসময় ওখানে থাকতি তাহলে আমার আগে তুই ওকে চড় মারতি।”
” আমি কখনোই ওকে চড় মারতাম না। যাইহোক, তুমি যেটা করেছো সেটা অন্যায় করেছো। এর জন্য তুমি অরোনীর কাছে ক্ষমা চাইবে। নাহলে..”
রাবেয়া গর্জন করে উঠলেন,” ওই বেয়াদব মেয়ের কাছে আমি ক্ষমা চাইবো? তুই এখনি আমার চোখের সামনে থেকে চলে যা।”
রাফাত চলে যেতে নিচ্ছিল। রাবেয়া আবার বললেন,” দাঁড়া।”
রাফাত দাঁড়াল কিন্তু পেছনে তাকাল না। রাবেয়া কাছে এসে বললেন,” দিন দিন বউয়ের দালাল হয়ে যাচ্ছিস। রুমা ঠিক কথাই বলেছিল। তুই ওকে চড় মারলি কোন সাহসে?”
” বড়ভাইয়ের সাথে বেয়াদবি করা তোমার কাছে ঠিক মনে হচ্ছে?”
” অরোনীর বেয়াদবি যদি তোর কাছে ঠিক মনে হয় তাহলে রুমার বেয়াদবিও আমার কাছে ঠিক। তোরও উচিৎ রুমার কাছে ক্ষমা চাওয়া।”
রাফাত শীতল হেসে বলল,” আমি রুমার কাছে ক্ষমা চাইলে যদি তুমি শান্তি পাও তাহলে আমি এখনি ক্ষমা চাইবো।”
এ কথা বলেই রাফাত হাঁটতে লাগল রুমার ঘরের দিকে। রাবেয়াও এলেন পেছন পেছন। রুমা বারান্দায় দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিল। হুট করে রাফাত আর রাবেয়া সেখানে চলে এলেন। রাফাত নতমাথায় হাত জোর করে রুমাকে বলল,” কাল তোকে থাপ্পড় মারা আমার উচিৎ হয়নি। আমি অনেক বড় অপরাধ করেছি।সেজন্য স্যরি। আমাকে ক্ষমা করে দে।”
রুমা থতমত খেয়ে গেল। চড়ের কথা মনে পড়তেই গালে হাত রাখল। রাফাত মায়ের দিকে চেয়ে বলল,” এভাবে চলবে? নাকি পায়েও ধরতে হবে?”
রাবেয়া জবাব দিলেন না।
চলবে
*গত পর্বে লাস্ট লাইনটা নিয়ে অনেকেই বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করেছিলেন। ব্যাপারটা আমি একটু বলি। ওই লাস্ট লাইনটা দিয়ে আমি আসলে সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝাতে চেয়েছিলাম। মা যেমন সবার কাছে প্রিয় তেমন বউও প্রিয় হওয়া উচিৎ। দু’জনই জীবনে সমান গুরুত্বপূর্ণ। মা সন্তানকে অনেক ভালোবাসে তেমনি স্ত্রীরাও স্বামীদের ভালোবাসে। মানুষ বলে মা মরলে মা পাওয়া যায় না কিন্তু বউ মরলে নাকি বউ পাওয়া যায়। এই কথাটা আমার বিছরি লাগে। বউ মারা গেলে নতুন কাউকে পাওয়া যায়। আগের জনকে কি আর পাওয়া যায়? সর্বোপরি বেহেশত বলতে আমি সুখ বুঝিয়েছি। মায়ের কাছে সন্তান সুখী তেমন স্ত্রীর কাছে স্বামী সুখী। যে স্বামী স্ত্রীকে নিয়ে সুখে থাকতে পারে না তার মতো দূর্ভাগা আর কে আছে?*