#অভ্র_নীল
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
#পর্ব_১২
____________
পরেরদিন সকালে…
কলেজে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছে!
→ নীল →তানজু →তানু →কাজু
নীল এর মুখে বিরক্তির ছাপ!
তানজু→তানু→কাজু তিনজনের মুখে খুশির হাসি…!
নীলকে নিতে অভ্র আসছে আগের মতো আর এখন অভ্র সাথে যোগ হয়েছে আকাশ শুভ তন্ময়…!
নীল কিছু না বলে চুপচাপ গাড়ি উঠে পড়ল।
এনগেজমেন্ট এর পর থেকে অভ্রই নিয়ে যাচ্ছে আর দিয়ে যাচ্ছে এটা আবার নতুন কি প্রচুর মেজাজ খারাপ হয় নীল এর কিন্তু কিচ্ছু করার নেই।
ওই দিকে ওরা মহা খুশি তিন জনেই বাইক নিয়ে আসছে আহহহহ বাইকের পেছনে বসে দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরছে তিন মাইয়া তিনডা পোলারে পাবলিক রাস্তায় কেমনে জড়াইয়া ধরছে শরম ও করে না আর করবেই বা কেন হবু জামাই বলে কথা
এভাবেই চলতে লাগে রোজ!
কাজল এর পরিবর্তন ওর ফ্যামিলির চোখে পড়ছে!
মাঝে মাঝে বাহিরে কানা কানি ও হচ্ছে আদনান সাহেবের মেয়ে একটা ছেলের বাইকের পেছনে ঘুরে বেড়ায় প্রমান নেই বলে আদনান সাহেব মেয়েকে কিছু বলছে না কিন্তু উনার বড় ছেলেকে বলেছে কাজল এর উপর নজর রাখতে!
এরমধ্যে সন্ধ্যা বেলা তিন বাড়ি থেকেই একসাথে বিয়ের কার্ড আসছে! তানিয়া তানজুম আর নীল এর বিয়ের কার্ড।
তিন জনের একসাথে বিয়ে হচ্ছে ভেবে কিছুটা অবাক হন আদনান সাহেব এবার ভাবে নিজের মেয়েরও বিয়েটা দিয়ে দিবে!
যা কানে আসছে আজকাল পরে মান সম্মান থাকবে না।
কলেজ শেষ হলে আকাশ শুভ তন্ময় → তানজু তানু আর কাজল কে নিয়ে বাহিরে ঘুরতে যায় সবাই মিলে অনেক টা সময় কাটায়!
অভ্র নীলকে যেতে বললেই সবসময় নীল কোনো এক অজুহাত দিয়ে চলে আসে! অভ্র বুঝতে পারে নীল ওর সাথে যেতে ইচ্ছুক নয় তাই আর জোর করে না!
নীলকে ওর বাড়িতে ড্রপ করে অফিসে চলে আসে।
আর ওরা ওদের মতো সময় কাটায়। অভ্রর কিছুটা মন খারাপ হলেও অভ্র নীলকে জোর করতে চায় না!
শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নীল এর অভ্রকে এইভাবে এভয়েড করা তানজু, তানু, কাজলের একটুও পছন্দ না আর এখন তো কিছুদিন পর বিয়ে এখনও কেনো এমন করছে? সেটাই বুঝতে পারছে না ওরা।
অভ্র হাজারও কষ্ট অভিমান বুকে চেপে রেখে হাসি মুখে সবার সাথে মিশছে কিন্তু ভিতরে কি চলছে সেটা শুধু আকাশ আর শুভ বুঝতে পারছে বন্ধুর কষ্ট করা মেনে নিতে পারছে না অভ্র খুব চাপা স্বভাবের হাজার কষ্টে থাকলেও কারো সাথে শেয়ার করবে না। অনেকবার বুঝানোর চেষ্টা করেছে অভ্রকে ওরা নীলকে একটু জোর করার জন্য বুঝানোর জন্য কিন্তু অভ্র চায়না জোর করে ভালোবাসা পেতে।
এইভাবেই চলছে দিন…..!
দেখতে দেখতে বিয়ের দিন চলে এলো।
আজ তিন মেয়ে ও তিন ছেলের গায়ে হলুদ।
সকাল সকাল সম্পূর্ণ বাড়ি মাথায় উঠিয়ে নিয়েছে আত্মীয়স্বজন রা!
এইটা এমন কেনো ওইটা ওমন কেনো এইটা করো ওইটা করো তারাতাড়ি করো লেইট হয়ে যাচ্ছে মানে জানেনই তো বিয়ে বাড়ি বলে কথা কত কাজ।
গায়ে হলুদ থেকে শুরু করে সব কিছু কমিউনিটি সেন্টারেই হবে। তাই বাড়ি থেকে গুলছ গাছ করে সবাই কমিউনিটি সেন্টারের উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন।
তিন জনেরই একই কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ে হবে।
তিন ফ্যামিলিই ছেলে মেয়ে আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে চলে আসলেন সেন্টারে।
আজ গায়ে হলুদ তাই পুরো সেন্টার ফুল দিয়ে সাজানো হচ্ছে নানাম ধরনের ফুল,,, ফুলের সুগন্ধ চারদিকে ছুই ছুই করছে।
স্টেজ খুব সুন্দর করে সাজানো হচ্ছে আর বড় করেই সাজাচ্ছে তিনটা স্টেজ সাজানো হচ্ছে তিন জোড়ার জন্য প্রত্যেকটা স্টেজে লেখা আজ নীল ও অভ্রের হলুদ সন্ধ্যা → তানু ও শুভর হলুদ সন্ধ্যা → তানজু ও আকাশ এর সন্ধ্যা..
স্টেজের সামনে টেবিলের উপর রাখা হয়েছে নানান ধরনের ফল সাজিয়ে রাখছে + হলুদ বাটা + টিউব মেহেদী টেবিলটার চার কোনায় ও ফুল দিয়ে সাজানো তিনটা স্টেজই সেম ভাবে সাজানো হয়েছে।
সম্পূর্ণ সেন্টারটাই ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে ফুলের জন্য অন্য কিছু দেখাই যাচ্ছে না এমন টাইপ।
এদিকের সব গোছগাছ প্রায় শেষের দিকে।
তিনজন মেয়ে সহ ছেলে রাও গিয়েছে পার্লারে।
ছেলেরাও পার্লারে যায় শুধু শিকার করে না
তিনজনকে হলুদে শাড়ি পড়ানো হয়েছে লাল পাইড়ের তিনজনের শাড়ি থেকে সাজ হেয়ারস্টাইল সব সেম হবে এটাই মেয়েদের প্ল্যান
ছেলেদের ক্ষেত্রেও একই ওরাও তিনজন হলুদ পাঞ্জাবি পড়েছে সাথে সাদা কালারের ধুতি…!
তিন জনের সাজগোছ প্রায় শেষ ছেলেদের ফেসিয়াল টেসিয়াল সব শেষ পুরাই রেডি..¡
আকাশ শুভ অভ্র পার্লার থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠে কমিউনিটি সেন্টারের উদ্দেশ্য রওনা দিলো!
ভাবছেন তো মেয়ে তিনজন কে ছাড়াই চলে আসছে কেনো কারণ হচ্ছে মেয়ে গুলা অন্য পার্লারে গেছে তাই
এতক্ষণে অতিথিরা সবাই এসেগেছে।
অভ্র, আকাশ, শুভ গেইট দিয়ে আসছে সবাই ওদের দিকে তাকিয়ে আছে।
নীলের কলেজের ফ্রেন্ড গুলাও আসছে তাদের মধ্যে ওই তিন জন মাইয়াও আছে যারা শুরুতে অভ্রর উপর নজর দিছিলো। তানজু, তানু আর কাজুল ইচ্ছে করেই ওদের তিনটা কে ইনভাইট করছে দেখবে আর জ্বলবে!
তিনজন গিয়ে তিনটা স্টেজে গিয়ে বসে আর পাশেই বক্স বাজানো হচ্ছে গায়ে হলুদের গান চলছে৷
(আর আমার ঘুম আসতাছে লিখতে লিখতে)
কিছুক্ষণ পর অভ্র শুভ ও আকাশের নজর বন্ধি হয় গেইটের দিকে তিনটা পরী আসতেছে
খুব সুন্দর লাগতেছে তিনজন কেই সাথে আসছে তন্ময় ও কাজল
কাজল নিয়ে ওদের তিনজনকে এক এক করে ওদের তিনজনের পাশে বসিয়ে দিলো।
ক্যামেরাম্যানরা ভিডিও করছে শুরু থেকে আরেকজন ছবি তুলছে।
এক এক করে সবাই হলুদ দিচ্ছে ওদেরকে!
এদিকে সুযোগ এর সৎ ব্যবহার করছে কাজল।
এক ধুমধারাকা গান চালিয়ে ডান্স শুরু করে দিছে ওর সাথে ওদের কলেজের কয়েকটা বান্ধবী ও যোগ হয়েছে। এই নাচের পর কাঁপল ডান্স দিবে তন্ময় এর সাথে
কাজল এর ফ্যামিলির কেউ এখনো আসেনি কাজল ভেবেই নিয়েছে তারা আজ কেউ আসবে না।
৩০মিনিট উড়াধুরা নাচ দেওয়ার পর!
এখন সময় কাঁপল ডান্সের তো নাচ শুরু করা যাক
গান হচ্ছে
Gaan👇🎶🎶🎶🎶💃🕺
Saans🎶🎶 mein teri saan mile to mujhe🎶🎶
saans🎶🎶 ayyi Mujhe saans ayyi🎶🎶🎶
🎶🎶 Tu hone chori jismein ki khushbo🎶🎶
Tu jo pass ayyi tu jo pass ayyi🎶🎶🎶
(বাকি গান নিজ দায়িত্বে শুনে নিবেন ইউটিউব থেকা আমি বেশি লিখলাম না ঘুম আসতেছে তাই)
নাচের মধ্যেই কাজল এর পুরো ফ্যামিলি এসে উপস্থিত
যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যে হয়।
দাঁড়িয়ে সবাই মেয়ের নাচ দেখছে।
আর আদনান সাহেব মেয়ের সাথে ছেলে টাকে লক্ষ্য করছে কোথায় যেনো দেখেছে।
কাজল নাচের মধ্যে এতটাই মগ্ন ছিলো ও দেখতেই পায়নি ওর আব্বা আম্মা ভাইয়ারা ভাবি সবাই চলে আসছে।
নাচ শেষ সবাই হাত তালি দিচ্ছে খুশি তে কাজল সাত আসমানে উড়ছে আর হঠাৎ করেই ধুপ করে সাত আসমান থেকে নিচে পড়ে গেছে হাত পা একটুর জন্য ভাঙে নাই৷
কাজল— আব্বা জান! (বড় বড় শুকনা ঢোক গিলছে)
আদনান সাহেব তুমি আমার সাথে পরে আমার বাড়িতে দেখা করবে।
তন্ময়– জি আঙ্কেল।
আদনান সাহেব– তোমাকে আমার খুব চেনা চেনা লাগছে।
তন্ময়– মুচকি হাসছে..
কাজলের ছোটো ভাই– আব্বু আমার মনে পড়েছে চিনতে পারছি।
আদনান সাহেব– কি?
ছোটো ভাই– তোমাকে একটা ছেলে কার এক্সিডেন্ট হওয়া থেকে বাঁচিয়ে ছিলো নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মনে আছে তোমার?
আদনান সাহেব– হ্যাঁ হ্যাঁ মনে পড়েছে তুমিই সেই ছেলেটা?
তন্ময়– জি আঙ্কেল!
ছোটো ভাই– সে দিন আর্মির ড্রেস পড়েছিল তাই তুমি আজকে দেখে চিনতে পারো নাই।
আদনান সাহেব– আচ্ছা সেজন্যই যাইহোক বাবা সেদিনের কথা আমি কোনো দিনও ভুলবো না তুমি না থাকলে সেদিন হয়তো আমি আর বাঁচতাম না তোমাকে অনেক ধন্যবাদ আর তুমি আমার সাথে অবশ্যই দেখা করবে। (তন্ময় এর কাঁদে হাত রেখে)
পরে চলে গেলেন নীল তানজু তানিয়ার বাবা মার সাথে দেখা করতে!
কাজল– আব্বুর এক্সিডেন্ট হওয়া থেকে তুমি বাচিয়েছো মানে আমাকে বলবে।
তন্ময়– আরে তখন তো আমি জানতাম না উনি তোমার আব্বু আমি তো এখন জানলাম উনি তোমার আব্বু।
কাজল– যাই হোক এখন আমাকে সব বলো।
তন্ময়– বাপ বেটির একটাই ডায়লগ যাইহোক। (মুখ ভেংচি দিয়ে)
কাজু– কি বললা? (রেগে গিয়ে)
তন্ময়– বলছি রাগলে তোমায় সুন্দর লাগে চলো ওই দিকে বলছি।
কাজল– হুম চলো। (…………….)
আজকের মতো এখানেই শেষ হলুদের অনুষ্ঠান সম্পর্কে লিখতে থাকলে শেষ হবে না।
অনেকরাত হয়েগেছে মেয়েরা ফ্রেশ হয়ে সব এক সাথে শুয়ে পড়ছে। আর ছেলেটা ব্যাচেলার পার্টি
পরেরদিন সকালে….!
সবাই সবার মতো কাজে লেগে পড়েছে।
মেয়েদের ডেকে ঘুম থেকে তুলে ফ্রেশ হতে বলে!
আর নাস্তা করে নিতে বলে। নাস্তা ওদের চার জনের রুমেই দিয়ে যায়।
ওরাও উঠে এক এক করে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নেয়!
এখন সব গুলা এক সাথে বসে আছে..!
(নাস্তার কথা লিখতে গিয়া আমারই খিদে লাইগা গেছে)
তানজু– শেষ স্বাধীনতা।
তানু– আজ থেকা আমরা মিসেস হইয়া যামু।
কাজল– জানিস আব্বু না কাল তন্ময় কে বলছে আব্বুর সাথে দেখা করতে আর আব্বুও তন্ময় কে আগে থেকে চিনে।
তানজু– সে কি? কি ভাবে?
তানু– তারাতাড়ি বল।
কাজল– ওইদিন মনে আছে কলেজ শেষে ফুচকা খেতে গিয়েছিলাম আর শুভ ও আকাশ ভাইয়া তোদের নিয়ে চলে গিয়েছিল আর ফিরে এসে দেখেছিল তন্ময় আমার সাথে বসে আছে।
তানিয়া– হু তারপর।
তানজু– হ্যাঁ হ্যাঁ মনে আছে।
নীল– নিশ্চুপ হয়ে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে আর ওদের কথা শুনছে।
তন্ময় ওইদিন ওই রাস্তা দিয়েই যাচ্ছিল.. আর আব্বু হঠাৎ রাস্তায় সিগনাল না দেখেই রোড পার হতে যাচ্ছিল আর তখন একটা গাড়ি চলে পেছন থেকে আব্বু কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় আর নিচে আব্বুর জায়গায় দাঁড়িয়ে পড়ে ড্রাইবার টাইমলি ব্রেক করায় তন্ময় এর কিছু হয় নাই আর আব্বুর সাথেই ওর পরিচয় হয় তারপর আব্বুকে বিদায় দিয়ে চলে যাবে তখন আমাকে দূর থেকে বসে ফুচকা খেতে দেখে পেছনে আসে আর চুরের মতো আমার ফুচকা খেয়ে ফেলে.!
শেষের কথা শুনে তানজু আর তানিয়ার হাসির শেষ নেই।
ওদের কথা বার্তার মধ্যেই নীল- তানজু- তানিয়ার আম্মুরা এসে বলে ওদেরকে এখনি পার্লারের উদ্দেশ্যে বেরোতে হবে। আর কাজল ও ওদের সাথে যাবে।
তারপর তিনজনরেডি হয়ে চলে গেলো পার্লারে।
নীল, তানজু, তানু– তিনজনেই পরেছে বিয়ের লেহেঙ্গা যার বউ সাজ… (বিয়ের জন্য বউ সাজ কেমন হয় লেহেঙ্গা কেমন হয় মেয়েরা খুব ভালো করেই জানো তাই আমি আর বিশ্লেষণ করতে চাচ্ছি না)
তিন ঘন্টা ধরে সাজাচ্ছে আল্লাহ-ই জানে কত আটা ময়দা মাখাচ্ছে
ওইদিকে আকাশ শুভ অভ্র বিয়ের শেরওয়ানী পরেছে লাল + গোল্ডেন কালারের শেরওয়ানী আর কি আর যা যা বর পরে আরকি তাই পরছে জুতা মুজা টুপি রুমাল ধুতি পাজামা
বিয়ের পর্যায়ে যাওয়া যাক চলেন তিন টাকে বিয়ে দিয়া আসি।
তিনজনেই বসে আছে স্টেজে বর সেজে রুমাল দিয়ে আর বাকিরা গিয়া গিয়া সেলফি তুলতাছে জুতা চুরি করার ফন্দি করতাছে কিন্তু সফল হচ্ছে না কারণ বিয়াইন দের জন্য বিয়াই রা আছে সমনে সমনে টক্কা
এত চেষ্টা করেও তিনটা বরের তিন জুড়া জুতা চুরি করে পারছে বা আহাম্মকের দলেরা
৪ঘন্টা হয়ে গেছে মেয়েরূ এখনো পার্লার থেকে ফিরেনি।
এহনো সাজেই
সেন্টার আজকে নতুন ভাবে সাজানো হয়েছে আজ ডিজে গান বাজানো হচ্ছে কিছুক্ষণের মধ্যেই মেয়েদের গাড়িও চলে আসে।
ক্যামেরা ম্যান তিনজনের গাড়ি থেকে নামা ধরে ভেতরে গিয়ে বসা পর্যন্ত ভিডিও শুট করছে।
ওরা আজকেও আবার ওদের দিকে আগের ন্যায় দেখছে নতুন করে প্রেমে পরছে।
(আমি লেখিকা– আরে অত তাকাইছ না রে সব মেক-আপ এর সুফল ধুইলেও শেষ)
তো কনেরা বরের পাশে গিয়ে বসে তারপর কাজি সাহেন আসেন এবং সুন্দর করে বিয়ে পরিয়ে চলে যান।
সবাই খুশি!
অভ্র– অবশেষে তোমাকে আমি আমার করে পেলাম! আলহামদুলিল্লাহ!
নীল পাথর হয়ে গেছে।
তারপর বিদায় আহারে কি কান্না ওদের কান্না দেখে আমারও কান্না আসতাছে কিন্তু কান্না করা যাবে না আমি কান্না করলে লিখবে কে তাই নিজের ফিলিংস কন্ট্রোল করে লেখা শুরু করি
মেয়েরা → তানজু ও তানু ওদের বাবা মা কে জড়িয়ে ধরে হাউ মাউ করে কাঁদছে আর নীল খাম্বার মতো দাঁড়িয়ে আছে নীল কারো সাথে কোনো কথা বলছে না।
নীল এর মা মিসেস রায়হান মেয়ের সামনে গিয়ে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলেন নীল এখনো চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে শুধু চোখের কার্নিশ বেয়ে এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পরেছে।
তারপর বউদের নিয়ে গাড়িতে বসানো হলো আর গাড়ি স্টার্ট দেওয়া হলো গাড়ি চলছে তিন গাড়ি তিনটা বাড়িতে যাবে।
(বিয়ে সম্পর্কে আপনাদের মোটামুটি ধারণা হয়তো আছে তাই আমি তত বিশ্লেষণ দেইনি শটকাট লিখলাম বিয়ের অতশত বিশ্লেষণ করতে গেলে আরও এক পর্ব লাগবে তাই)
.
.
.
#চলবে …..?
রি-চেইক করা হয়নি ভুল ক্রুটি ক্ষমার দৃষ্ট.!
- কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ! ❌