#অভ্র_নীল
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
#পর্ব_১৭
______
চৌধুরী হাউজ হল রুম!
সবাই বেশ গল্প গুজব করছে কিছুক্ষণের মধ্যে অভ্র ও চলে আসে। সবাই অভ্রর ব্যান্ডেজ করা হাত দেখে সবাই জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে একটু আগেও হাত ঠিক ছিলো এখন ব্যান্ডেজ কেন এইসব আরকি অভ্র নয় ছয় বুজিয়ে বাজিয়ে কথা টেলে দেয়।
তারপর রাতে___!
ডাইনিং টেবিল খেতে বসেছে সবাই!
মিস্টার ও মিসেস চৌধুরী পাশাপাশি বসেছে। তার পাশেই এক সিরিয়ালে বসেছে তিয়া, তিথি, স্বপ্না, তোয়া…!
আর আরেক পাশে নীল আর অভ্র…!
অভ্র বসে বসে খাবার প্লেটের দিকে তাকিয়ে আছে কিভাবে খাবে হাতটা কাটা + ব্যান্ডেজ করা।
অভ্রর অবস্থা দেখে নীল এর কেনো জানি খারাপ লাগছে কারণ ওর জন্যই তো অভ্রর হাতের এই অবস্থা।
মিস্টার চৌধুরী কোনো রকম তারাহুরো করে খেয়ে রুমে চলে যায় ল্যাপটবে কিছু ইমপোর্টেন্ট কাজ করবে।
এইদিকে নীল নিজের প্লেট থেকে খাবারের এক লোকমা নিয়ে অভ্রর দিকে এগিয়ে দিয়েছে সবাই বেশ অবাক সাথে খুশিও কিন্তু অভ্র চরম অবাক হয়েছে অভ্র– কিভাবে সম্ভব নীল ও আমাকে পছন্দই করে না তাহলে?
নীল– কি হলো হা করুন!
তারপর অভ্র হা করে নীল ও খাইয়ে দেয় এভাবেি চলে যায় খাবারের পর্ব।
রাতে অভ্র সোফা বসে আছে সামনে ল্যাপটব কিন্তু কিছু করতে পারছে না কারণ ওর ডান হাত টাই তো ব্যান্ডেজ করা নীল বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে রাতের জ্যোৎসনা মাখা চাঁদ দেখতে নীল বেশ পছন্দ করে অন্ধকারেও চাঁদের আলোয় সব কিছু দেখা যায় এই জিনিসটা বেশ ভালো লাগে। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে নীল প্রবেশ করতে গিয়ে দেখলো অভ্র বা হাতে টাইপিং করার চেষ্টা করছে কিন্তু ডেরস কিচ্ছু লিখতে পারছে না সেটা দেখে নীল একটু শব্দ করেই হেসে দিলো কারো হাসির শব্দ শুনে অভ্র মাথা তুলে তাকালো দেখে নীল মুখের উপর হাত চেপে ধরে হাসছে।
অভ্র– এতে হাসার কি আছে আমি বা হাতে টাইপিং করতে পারি না।
নীল– এই জন্যই বলে রাগ কন্ট্রোল করতে হয়। তখন তো রাগ করে নিজেরই ক্ষতি করেছেন।
অভ্র– জ্ঞান দিচ্ছো!
নীল– উমম ভাবতে পারেন।
অভ্র– জ্ঞান না দিয়ে কোনো উপায় বের করে দাও😑
নীল– সরুন।
অভ্র– কেনো?
নীল– আমি বসবো তাই।
অভ্র ও সরে গেলো নীল অভ্রর পাশে বসে ল্যাবটপ নিজের দিকে ঘুরিয়ে কি লিখতে চাচ্ছেন বলেন আমাকে আমি লিখছি করছি।
তারপর অভ্র নীলের দিকে তাকিয়ে এক এক করে সব বলছে আর নীল নিচে ল্যাবটপের দিকে তাকিয়ে টাইপিং করছে।
দীর্ঘক্ষণ কাজ করার পর।
নীল– আমি তো হাঁপিয়ে গেছি আপনি সারাদিন এত কাজ করেন আর এত টাইপিং করেন কিভাবে।
অভ্র– ম্যাজিক করে। টেডি স্টাইল হাসি দিয়ে।
নীল– খুবই খারাপ জোক ছিল। মুখ ভেংচি দিয়ে চলে যায়।
অভ্র ঘুমানোর জন্য সোফা রেডি করছে প্রতিদিন সোফায় শুতে শুতে ঘাড়ের অবস্থা খারাপ।
অভ্রর যে সোফায় শুতে প্রবলেম হয় নীল তা বেশ বুজতে পারছে। বেশ কিছুক্ষণ চুপ থেকে নীল শুয়ে পরে। অভ্র ও শুয়ে পরে।
দুজনেই ঘুমের দেশে তলিয়ে যায়।
সকালে রোজকার মতো আজও অভ্র নীলকে কলেজ ড্রপ করে দিয়ে অফিস চলে গেছে।
আজ কলেজে তানজু তানিয়া ও আসছে। ওরা কক্সবাজার থেকে কাল রাতেই ফিরেছে যদিও আজ ফিরার কথা ছিল। কাল নীলের বাড়ি থেকে বেরিয়ে ওনারা তানজু তানিয়ার শশুর বাড়ি মানে আকাশ ও শুভর বাড়ি গিয়ে ওদের কেউ ইনবাইট করে এই কথা দুই ফ্যামিলি কল দিয়ে ওদের জানায় ওরা তাতক্ষণিক রওনা দেয়।
কলেজে আজ বিয়ের পরে সব গুলা বান্ধবীর দেখা কত দিন পর। কাজলের সাথে তো নীলের দেখা হয়েইছে।
এতদিন পর বান্ধবীদের দেখা কলেজের সামনে থেকেই সব গুলো বেরিয়ে পরে কলেজে আর যায় বাহিরে কফি শপে যায় আর শত সব উগান্ডা কথা বার্তা আছে সব কইতাছে জানেনই তো কয়েকটা মাইা মানুষ এক লগে থাকলে কত কথা কয় আর এহন তো তিনটার বিয়া হইছে আরেকটার হইবো এহন তো আরও বেশি কইবো।
কফি শপ থেকে বেরিয়ে চারজনে গেলো ফুচকা খেতে ২/৩ ঘন্টা পর চারজন ঠিক কলেজ ছুটি হওয়ার ১০মিনিট আগে কলেজের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায় ভাব এমন ধরে মনে হয় ওরা ক্লাসেই ছিল।
ওইদিকে আকাশ শুভ অভ্রর সাথে মিট করার জন্য অভ্রর অফিস চলে আসে তিন বন্ধু ইচ্ছা মতো আড্ডা দিচ্ছে। এতদিন পর দেখা কথা বলতে বলতে ভুলেই গেছে ওদের তিনজনকে ওদের তিনজনকে কলেজ থেকে পিক করতে হবে।
ড্রাইবার অভ্র এখনো আসছে না বলে অভ্রকে কল দেয়।
ফোনের রিংটোন শুনে অভ্র ভ্রু কুঁচকে ফোন হাতে নিলো আর ফোনের স্কিনে দেখতে পেলো ড্রাইবার কল দিয়েছে। (এমনি তে তো অভ্র নিজেই ড্রাইব করে কিন্তু হাত এখনো নীলের ব্যান্ডেজ করা তাই আজ ড্রাইবার কার ড্রাইব করেছে) অফিসে আসার আগে নীল ব্যান্ডেজ চেঞ্জ করে দেয়। অফিসে আসার পর থেকে ১০ বার দেখেছে ব্যান্ডেজ টা কত যত্ন করে বেধেছে। অভ্রর মনে একটা প্রশ্ন গুরুপাক খায়। নীল কয়েকদিন ধরে অভ্রর খেয়াল রাখছে এটা কি নীল এর ভালোবাসা নাকি সহানুভূতি কোনটা?
আকাশ– কিরে কল রিসিভ কর কে কল দিয়েছে?
অভ্র– ড্রাইবার আঙ্কেল! এক মিনিট ওয়েট কর। কল রিসিভ করে হ্যাল……অভ্রকে থামিয়ে দিয়ে।
ড্রাইবার- অভ্র বাবা নীল মা কে কলেজ থেকে পিক করতে যাবে না কলেজ তো ছুটি হয়েছে আরও ১০মিনিট আগে।
অভ্র– হোয়াট…… সিট সিট।
শুভ– কি হয়েছে?
বসা থেকে উঠে নিজের ব্লেজার টা হাতে নিয়ে পরতে পরতে আমি ভুলেই গেছি আমাকে নীলকে পিক করতে যেতে হবে নীল ওয়েট করছে বলেই দিলো এক দৌঁড়…
আকাশ, শুভ – ওয়ে দাঁড়া আমাদের ও তো যেতে হবে।
শুভ আকাশ ওরাও দিলো দৌঁড়! ওদের তিনজনকে এভাবে দৌঁড়াতে দেখে অফিসের সকল স্টাফরা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
তানিয়া– ওরা হয়তো আসবে না চল আমরা চলে যাই।
তানজু– আসবে না কল দিয়ে ইনফর্ম করলেই পারতো।
কাজল– তোরা থাক ওয়েট কর আমি গেলাম। বলে গাড়িতে উঠে গেলো।
তানজু– তুই ফ্রেন্ড না-কি শত্রু রে আমাদের রেখে একা চলে যাচ্ছিস?
তানিয়া– ওই ওই শয়তান মাইয়া!
কে শোনে কার কথা চলে গেলো
তানজু– চল ট্যাক্সি করে চলে যাই।
তানিয়া– হ্যাঁ চল আর কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবো সবাই চলে গেছে শুধু আমরা বাদে।
নীল– আমি যাবো না আমার বিশ্বাস অভ্র আসবে।
তানজু– আসবে না।
বলতে বলতেই তিনটা গাড়ি ওদের সামনে এসে থেমে গেলো। আর গাড়ির ভেতর থেকে ওরা তিনজন নামলে আর ওদের তিনজনকে ভেতরে ডুকতে ইশারা করলো।
তানজু– নীল তুই এত সিউর ছিলি কি করে?
তানিয়া– হ্যাই ঠিক কথা কুছ কুছ হতা হে কেয়া?
নীল– যা ভাগ যতসব ফাউল কথা কস। গেলাম একদম কাজলের বিয়েতে দেখা হবে।
তানিয়া- বাই!
তানজু- টাটা!
নীল– আল্লাহ হাফেজ।
তারপর যে যার গাড়িতে উঠে গেলো।
অভ্র- সরি!
নীল– কেনো?
অভ্র– ওই আকাশ আর শুভর সাথে এতদিন পর দেখা হলো আড্ডা দিতে দিতে টাইমের কথা ভুলেই গেছিলাম। তাই সরি আর এতক্ষণ অপেক্ষা করেছো।তার জন্য ও সরি।
নীল– আজ তো আমি ক্লাস করিনি কেনো জানি অভ্রর কাছ থেকে কথাটা লুকাতে ইচ্ছে করছে না পরে যদি অন্য কোথা থেকে শুনে তো আমাকে ভুল বুঝবে তার থেকে ভালো আমি নিজেই ওকে সত্যি বলে দেই। (মনে মনে)
অভ্র– কিছু বলছো না যে কি ভাবছো?
নীল- আমার আপনাকে একটা কথা বলার ছিলো।
অভ্র– হুম বলো!
নীল– আসলে আজ আমি ক্লাস করিনি মানে সত্যি বলতে আমরা কেউ করিনি আমি তানজু তানিয়া কাজল অনেকদিন পর দেখা হয়েছে তাই সবাই মিলে কফিশপে চলে গিয়েছিলাম।
অভ্র– কি বলবো বুঝতে পারছি না। কারণ যে নীল আমাকে সহ্যই করতে পারতো না সে নীল আমার কেয়ার করছে সব কথা শেয়ার করছে। আমি কি বেশি বেশি ভাবছি। ভাবি সমস্যা কি তাতে ভাবতে তো আর টাকা লাগে না আমার মতো আমি ভাবতে থাকি।
চৌধুরী হাউজ!
আজ তিয়া তিথি স্বপ্না সকালেই চলে গেছে বাড়ি পুরো ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। নীলের একটু ও ভালো লাগছে না। রাতে অভ্র নীলের ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে।
তোমার জন্য একটা গিফট আছে!
নীল পেছনে ঘুরে। নীল- কি?
অভ্র– নিজেই নিয়ে খুলে দেখো!
নীল– আচ্ছা দেন।
অভ্র– হাত থেকে নিয়ে নাও।।
নীল– ওকে। এই বলে নীল অভ্রর হাত থেকে গিফটের বক্স টা নিতে গেলেই অভ্র হাত টা সরিয়ে একটু উপরে উঠিয়ে নেয়। নীল- এটা কি হলো?
অভ্র– তুমি আমার হাত থেকে গিফটের বক্সটা নিতে পারলে এটা তোমার কিভাবে নিবে সেটা তোমার ইচ্ছা।
নীল– আচ্ছা এই ব্যাপার।
অভ্র– হুম হুম। তারপর অভ্র তো লম্বা ৬’৩ ইঞ্চ নীল ৫’৪ ইঞ্চ। অভ্র হাত একবার এপাশ ওপাশ নিচ্ছে আগে পিছে সামনে পেছনে উপরে আর আমাদের নীল অভ্রর চারপাশে ঘুরছে। অভ্র হাত উপরের দিকে নেওয়ায় এখন নীল লাফাচ্ছে কিন্তু তবুও অভ্রর হাত পর্যন্ত লাগাল পাচ্ছে না। প্রায় ১০ মিনিট পর।
নীল– আপনি ইচ্ছে করে করছেন এমন যাতে আমি গিফট টা নিতে না পারি। লাগবে না আমার কোনো গিফট। বলেই অভ্রর দিকে তাকিয়ে মুখ ভেংচি দিয়ে বারান্দায় চলে গেলো। অভ্র নীলের মুখ ভেংচি দেখে শব্দ করে হেসে দেয়। তারপর নীলের পিছু পিছু বারান্দায় চলে আসে।
মেয়েদের কি এটা জন্মগত স্বভাব নাকি।
নীল বারান্দার রেলিং ধরে বাহিরের দিকে তাকিয়ে ছিল অভ্রর কথা শুনে অভ্রর দিকে ঘুরে উত্তর দিলো।
নীল– কোনটা?
অভ্র নীলের দিকে একটু ঝুঁকে উত্তর দিলো।
অভ্র– এই যে কথায় কথায় রেগে গিয়ে মুখ ভেংচি দেওয়া! (নীল ভ্রু কুঁচকে অভ্রর দিকে তাকিয়ে আছে)
এটা এটা কি মেয়েদের জন্মগত স্বভাব?
নীল– আপনাকে আপনাকে আমি? রাগে গজগজ করতে করতে বললো।
অভ্র– তুমি কি? (টেডি স্টাইল হাসি দিয়ে)
নীল– কিচ্ছু না সরুন সামনে থেকে।
রুমের মধ্যে____
অভ্র– আচ্ছা বাবা সরি! এই না-ও তোমার গিফট। (এক হাত পেছন থেকে বের করে এনে গিফটের বক্সটা নীলের দিকে বাড়িয়ে)
নীল বিছানার উপর বসে আছে আর একবার অভ্রর দিকে তাকাচ্ছে আর আরেক বার অভ্রর হাতের গিফটটার দিকে।
নীল– না আমি নেবো না আপনি আবার ছো মেরে হাত সরিয়ে নিবেন।
অভ্র– আর নেবো না। না-ও!
নীল– সত্যি?
অভ্র– তিন সত্যি!
নীল তারপর অভ্রর হাত থেকে বক্সটা নিয়ে খুলতে লাগলো। নীল গিফটটা খুলে অনেক অবাক হলো সাথে চিল্লিয়ে বিছানা থেকে উঠে এক প্রকার লাফিয়ে
নীল– Woowwwwwwww 😍😍😍
এটা অনেক সুন্দর আমার খুব পছন্দ হয়েছে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। জাস্ট অসাধারণ এটা আমি খুব যত্ন করে রাখবো আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ইশশশশ উফফ কত্তো কিউট এটা।
গিফটের বক্সে একটা সঁপিস ছিলো সঁপিস টা এমন ছিলো সঁপিসের ভেতরে একটা ছেলে মেয়ে দু’জন দু’জনের হাত ধরে ঘুরছে সাথে একটা রোমান্টিক মিউজিক টিউন বাজছে। অভ্র নীলকে এতটা খুশি দেখে নিজেও বেশ অবাক হয়েছে কারণ এত বড় বিজনেসম্যানের মেয়ে সামান্য একটা সঁপিস পেয়ে এত খুশি হয়েছে জাস্ট কল্পনার বাহিরে। এই রকম অল্প জিনিস পেয়ে তো আমার পরীও অনেক খুশি হয়ে যেতো আর নীলও সেম এক মিনিট আমি কোনো ভাবে পরীকে নীলের মধ্যে খোঁজার চেষ্টা করছি না তো? না না এটা করা যাবে না এটা তো অন্যায় (মনে মনে)
অভ্র– তোমার পছন্দ হয়েছে?
নীল– খুব!
অভ্র- অনেক রাত হয়েছে এখন ঘুমিয়ে পরো।
নীল– ওকে।
তারপর নীল ঘুমিয়ে যায়। অভ্র এখনো ঘুমায়নি আজ এতদিন পর আবার পরীর সেই ছোটোবেলার মুখটা অভ্রর চোখের সামনে ভেসে উঠছে। সারা রাত অভ্র ঘুমায়নি ফজরের আজান শুনে উঠে নামাজ পরে নিয়ে বারান্দায় চলে যায় অনেকক্ষণ ধরে চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে।
অভ্র– আমাকে ক্ষমা করে দাও পরী সেদিন ওই ভাবে তোমাকে ছেড়ে চলে যাওয়া আমার উচিত হয়নি আমার তোমার নাম পরিচয় ঠিকানা জানা উচিত ছিলো বিশ্বাস করো পরী তোমাকে আমি অনেকবার অনেক জায়গাতে খুঁজেছি কিন্তু পায়নি বিশ্বাস করো আমাকে তুমি প্লিজ ক্ষমা করে দিও তোমাকে দেওয়া কথা রাখতে পারিনি। যেখানে সারাজীবন তোমাকে রাখবো তুমি থাকবে বলে প্রমিস করেছিলাম সেখানে আমি নীলকে জায়গা দিয়ে ফেলেছি প্লিজ ক্ষমা করে দিও প্লিজ পরী আমার মনের মধ্যে তুমি সবসময় থাকবে যেখানেই থাকো ভালো থাকো।
তারপর অভ্র রুমে এসে দেখে নীল ঘুম থেকে উঠে নামাজ পরতে দাঁড়িয়ে পরেছে।
অভ্র সোফায় এসে শুয়ে পরে। সারারাত না ঘুমানোর কারণে শুয়েই ঘুমিয়ে যায়,, নীল নামাজ শেষ করে নিজেও গিয়ে শুয়ে পরে।
এই ভাবেই ২দিন কেটে যায়!
আজ কাজলের হলুদ সন্ধ্যা! কাজলের বিয়ে কাজলের বাড়ি থেকেই হবে। কাজলের বাড়ি ভর্তি মানুষ ও আত্মীয়স্বজন। কিছুক্ষণের মধ্যে অভ্র নীল ও চলে আসে।
.
.
.
#চলবে …..?
রি-চেইক করা হয়নি ভুল ক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন!
ভালো থাকবেন সবাই!
“হ্যাপি রিডিং”
“কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ” ❌