#অভ্র_নীল
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
#পর্ব_29
______
অভ্র- আকাশ তুই.
শুভ- অভ্র তুই।
আকাশ- শুভ তুই?
অভ্র- তোরা কবে থেকে ফুচকা খাওয়া শুরু করলি?
শুভ- আমি কি ফুচকা খাই নাকি? বউ আর শালীকে নিয়া আসছি!
আকাশ- আর বলিস না ফুচকা পাগলী বউকে নিয়া আসছি, সাথে চাচতো বোন।
আকাশ, শুভ- আর তুই?
অভ্র- ওই যে আমার রাক্ষসী বোন ওর জন্য আসতে হলো।
তারপর সবাই এক সাথে বসেই ফুচকা খায় + আড্ডা দেয়। (আমি তো ফুচকা খাই না তাই আমার গল্পের নায়িকা গো খাওয়াই,, সময় ও সুযোগ পেলে আমার পাঠক ও পাঠিকাদের কেও খাওয়াবো! ইন শা আল্লাহ)
অভ্র ওদের সবাইকে ইনবাইট করে দেয়। টাইমলি চলে যাওয়ার জন্য,, ওরাও যাবে কথা দেয় তারপর আবার যে যার মতো চলে আসে
নীল গাড়িতে বসে কাজলকে কল দেয়। কাজল এর শশুড় বাড়ি যাচ্ছে ইনফর্ম করার জন্য,, কাজল আর শাশুড়ী ছাড়া কেউ নেই। তন্ময় ও ছুটি শেষ হতেই চলে যায়। বাড়িতে শুধু কাজল আর ওর শাশুড়ী…!
অভ্র নীল তোয়া, এসে উনাদের দু’জন কে ইনবাইট করে চলে যায়।
যাওয়ার পথে অনেক জনকেই অভ্র ইনবাইট করে যায়। যাদের ইনবাইট না করলেই নয় তাদের কেই করেছে। এখন পালা নীল দের বাড়ি যাওয়া।
অভ্র বাজারে গাড়ি থামিয়ে হরেকরকমের ফল কিনে নেয় সাথে মিষ্টি ও কিনে।
সরকার বাড়ি…..!
গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
অভ্রর বিরক্তি লাগছে কারণ ওর হাতে সব ধরিয়ে দিয়েছে ওরা ফল গুলো বা মিষ্টি গুলো নিলো না।
অভ্র- মান ইজ্জত পাইলাম না। কেউ দেখলে কি বলবে নতুন জামাই আর হাতে…..!
নীল এক বার কলিং বেল বাজাতেই একজন মেড সার্ভেন্ট এসে দরজা খুলে দেয়।
আর ওরাও ভেতরে ডুকে পরে।
নীল- খালা তোমাদের জামাইয়ের হাত থেকে ওইগুলো নিয়ে কিচেনে রেখে দাও।
সার্ভেন্ট- জি!
নীল- আম্মু,,,,,,,, আব্বু,,,,৷৷ কোথায় তোমরা!
মেয়ের ডাক শুনে রুম থেকে দৌঁড়িয়ে বেরিয়ে আসে মিসেস ও মিস্টার সরকার।
সিঁড়ি দিয়ে নামছে….
নীল- আম্মু আব্বু বলেই দৌঁড়ে কাছে গেলো।
উনারাও সিঁড়ি থেকে নেমেই মেয়েকে জরিয়ে ধরে।
কতদিন পর আবারও দেখলেন মেয়েকে।
১০ মিনিট পর সবাই হল রুমের সোফায় বসলে।
নীল ওদের হঠাৎ করে না আসার কারণ বলে আর নীল এর প্লেন উনাদের ভালো ভাবে বুঝিয়ে দেয়।
মিসেস ও মিস্টার সরকার এই প্লেনে ওদের হেল্প করবে জানায়।
তারপর সবাই এক সাথে ডাইনিং টেবিলে বসে খেয়ে নেয়।
বেড রুম…….
নীল ওয়াশরুম থেকে মাত্র বেরিয়েছে।
অভ্র ফোন গাটাগাটি করছিলো।
হঠাৎ নীল এর দিকে চোখ যেতেই অভ্র থমকে যায়, জেনো ওর চোখ সরাতেই পারছে না।
নীল অভ্রর লোং টি-শার্ট পরছে হাঁটু থেকে কিছু টা উপরে…ও!
অভ্র বেড থেকে নেমে নীল এর কাছে যায়।
অভ্র- কি পাগল করার ধান্দা আছে না-কি?
নীল- হুম হুম,,,, অবশ্যই সেটাই করতে চাই। বলেই অভ্রর পায়ের উপর পা দিয়ে দাঁড়ালো। অভ্রর দুই ঘাড়ের উপর দুই টা হাত রাখে।
অভ্র- আজ তো মনে হচ্ছে আমার নীলপরী বেশ রোমান্টিক মুডে আছে…! নীক এর কোমড় চেপে ধরে….
নীল অভ্রর চুল শক্ত করে ধরে।
তারপর দু’জনেই দু’জনকে কিস করতে শুরু করে।
রুমের লাইট অফ করে ঘুমিয়ে পরে। আর আজ এভাবেই হয় অভ্র নীল এর দ্বিতীয় বাসর পূরণ হলো।
পরেরদিন সকালে…!
ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে আসে সবাই। ব্রেকফাস্ট খেয়েই যেতে হবে।
.
.
.
#চলবে …..?
.
“কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ”……… ❌