#অভ্র_নীল
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
#পর্ব_৩২
______
নীল হালকা সেজেছে, লাল লিপস্টিক চোখে কাজল কপালে টিপ হাতে চুড়ি চুলগুলে ছেড়ে দিয়েছে..!
কাজল- আমি যাচ্ছি তুই তারাতাড়ি আয়.!
নীল- আমিও তো যাবো আমার জন্য একটু দাঁড়া কাজু… যা চলে গেলো..! নীল কানে ঝুমকো জোড়ূ পরতে পরতে বললো।
হল রুমে সব গেস্ট চলে আসছে.. কিছুক্ষণের মধ্যে উনারাও পৌঁছে যাবে মিসেস সরকার কল দিয়েছিলো।
অভ্র একজন স্টাফ কে বলছে।
অভ্র- সুইচ অফ করে রাখবে আর আম্মু আব্বু ভেতরে প্রবেশ করার সাথে সাথেই লাইট অন করবে… আর আকাশ উপর থেকে গোলাপের পাপড়ি উনাদের উপরে ফালানোর দায়িত্ব তোর.. আর তুমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমার মুখের দিকে কি দেখছো পেক্টিস করো সুইচ অন অফ করো.!
স্টাফ- জি স্যার… (বলে লাইট অফ যে করছে আর অন করার নামে খবর নাই)
অভ্র- এদের দিয়ে কিচ্ছু হবে না। এইবার ভুল হইছে উনারা আসলে জেনো ভুল না হয় লাইট অন করো।
অভ্রর বলার সাথে সাথেই স্টাফ লাইট অন করে দেয়।
লাইট জ্বলতেই সবার নজর সিঁড়ির উপর গিয়ে পরে।
নীল গাউন উঁচু করে ধরে সিঁড়ি দিয়ে নামছে..!
পুরাই পরী….!
অভ্র পেছনে ঘুরে স্টাফের সাথে কথা বলছে।
তিয়া বার বার অভ্রর কাঁদে হাত দিয়ে অভ্রকে পেছনে ঘুরতে ইশারা করছে অভ্র তিয়ার এমন কান্ড বুঝতে না পেরে এক রাশ রাগ নিয়ে পেছনে ঘুরে বলল।
অভ্র- সমস্যা কি তোর মুখ নাই নাকি কথা না বলে এমন করছিস কেন?
তিয়া- ভাই সামনে তাকা…!
অভ্র- আজব কথা নাই বার্তা নাই সামনে তাকা বলছিস কি সামমমমম…নে
অভ্র সামনে তাকাতেই অভ্র নীলকে দেখতে পায়।
অভ্র মায়া ভরা দৃষ্টিতে নীল এর দিকে এগিয়ে আসছে.
অভ্র সিঁড়ির সামনে এসে হাত বাড়িয়ে দেয় নীল ও অভ্র হাত ধরে শেষের ২ সিঁড়ি নামে।
অভ্র সবার সামনেই নীলকে জরিয়ে ধরে সবার আড়ালে অভ্র নীল এর ঘাড়ে আলতো করে একটা চুমু দেয় আর কানে কানে বলে।
অভ্র- ইচ্ছে করছে তোমার খুবসুরাতসি ঠোঁটে কিস করতে শুধু গেস্টদের জন্য নিজেকে কন্ট্রোল করলাম।
নীল- ইশশ কি কষ্ট… (বলে শব্দ করে হেসে দেয়)
নীল হেঁটে সবার কাছে গেলো সবাই এখনো নীল কে দেখছে পেছন থেকে অভ্র এসে.
অভ্র- আমার বউয়ের দিকে কেউ নজর দিও না একটাই বউ আমার।
সবাই হাসতে শুরু করে দেয়।
এর মধ্যেই গাড়ির হন বাজার শব্দ শুনে।
অভ্র- লাইট অফ করো… আর এবার জেনো ভুল না হয়।
স্টাফ- জি স্যার।
লাইট অফ চৌধুরী হাউজ অন্ধকার…..!
গাড়ি থেকে নেমে গেইটের সামনে এসে দেখে মেইন গেইট সম্পূর্ণ খোলা…!
মিসেস চৌধুরী- গেইট খোলে গেলো কই সব?
তারাতাড়ি ভেতরে চলো চোর আসেনি তো..?
মিস্টার চৌধুরী- আমাদের বাড়িতে চোর কোথা থেকে আসবে।
মিসেস চৌধুরী- ভেতরে চলো আগে।
মিসেস চৌধুরী- এত অন্ধকার কেন এখানে..! বলে হাঁটতে হাঁটতে পায়ের সাথে কি জেনো লাগলো.!
এদিকে লাইট অন হয়ে গেছে উপর থেকে মাথার উপর ফুলের পাপড়ি পরছে..!
মিসেস চৌধুরী- এই সব কি….?
(সামনে তাকাতেই মিসেস চৌধুরী ও মিস্টার চৌধুরী অবাক হয়ে যায়)
মিসেস ও মিস্টার চৌধুরী কে দেখে জোরে জোরে বলতে শুরু করে.!
সবাই— Happy Anniversary…. ….!
মিসেস ও মিস্টার চৌধুরী অবাক হয়ে যায় সাথে খুশিও..!
ভেতরে আসতেই অভ্র চার জন উপরে রুমে পাঠিয়ে দেয়। চারজনের জন্য ড্রেস রুমে রাখা আছে জলদি রেডি হয়ে নিচে আসতে বলে।
২০মিনিট পর…………..!
চারজনেই নিচে চলে আসে। নিচে আসার সাথে সাথে সবাই আবারও আরেকবার উনাদের Wish করে।
মিসেস ও মিস্টার সরকার- Happy Anniversary..!
মিসেস ও মিস্টার চৌধুরী- বেয়াই বেয়ান আপনারাও ছেলেমেয়েদের সাথে মিলে প্লেন করে আমাদের বাহিরে নিয়ে যান তাইতো..!
মিসেস ও মিস্টার চৌধুরী- ওই আর কি.!
মিসেস ও মিস্টার চৌধুরী অভ্র আর তোয়া কে জরিয়ে ধরে।
তোয়া- আমরা কিচ্ছু করিনি এইসব কিচ্ছু ভাবি করেছে।
অভ্র- হুম এই সবকিছুই প্লেন নীল করেছে আর ওই সবকিছুর ব্যবস্থা করেছে।
মিসেস চৌধুরী চোখের জল মুছে নীলকে জরিয়ে ধরে কপালে চুমু দেয়।
মিস্টার চৌধুরী নীলের মাথায় হাত বুলিয়ে। আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা তোকে আমাদের মেয়ে হিসাবে পেয়েছি..! মিস্টার চৌধুরী ও নীল এর কপালে চুমু দেয়।
মিসেস চৌধুরী- আর আমাদের ছেলে মেয়েদের মনেই তো থাকে না। আর আমার নীল মা কত কিছু করেছে আমাদের খুশি করার জন্য আমার মাথায় যত গুলো চুল আছে তত বছর বেঁচে থাক মা…!
অভ্র, তোয়া- আমরা কি কিছুই করি নাই কখনো।
বেশ কিছুক্ষণ পর……!
তানজু- নীল প্লিজ আজকের এই খুশির মহলে একটা গান গা প্লিজ…!
তানিয়া- হ্যাঁ হ্যাঁ প্লিজ কতদিন তোর গান শুনি না।
কাজল- আমাদের নীল অনেক সুন্দর গান করে…!
নীল- না প্লিজ……!
অভ্র- আচ্ছা কোই জানতাম না তো।
সবাই নীল কে অনেক রিকুয়েষ্ট করে পরে নীল একটা গান করার জন্য রাজি হয়।
অভ্র- তোয়া আমার গিটার টা নিয়ে আয়…!
তোয়া- এখুনি নিয়ে আসছি ভাই…!
তোয়া- গিটার নিতে অভ্রর রুমে যায় আবার কিছুক্ষণের মধ্যে গিটার নিয়ে চলে আসে।
তোয়া- ভাই তোর গিটার…!
অভ্র গিটার হাতে নিয়ে গিটারে শুর তুলছে নীল রেডি হচ্ছে গান গাওয়ার জন্য…..
.
.
#চলবে …..?
.
“হ্যাপি রিডিং”………
.
“কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ”……… ❌