#অভ্র_নীল
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
#পর্ব_34
______
১০ মিনিট পর সব কিছু নরমাল করার জন্য ফাস্ট অভ্র কথা বলে।
অভ্র- হিহিহি ইমোশনাল হয়ে গেছিলাম মনেই ছিল না সবার সামনে দাঁড়িয়ে আছি।
সবাই– ইট’স ওকে.!
তারপর কেক কাটা হলে সবাই খাওয়ানো হলো রাতে ডিনার কমপ্লিট করে গেস্টরা সবাই বিদায় নিয়ে চলে গেলো।
শুভর স্পেশাল গেস্ট যে আসার কথা ছিলো সে কোনো কারণ বসত আসেনি বা আসতে পারেনি।
মিসেস ও মিস্টার সরকার- উনারাও বিদায় জানিয়ে চলে যায়।
তাদের পেছনেই আকাশ, শুভ, তানজু, তানিয়া, কাজল ওরাও চলে যায়।
তোয়া- ভাইয়া আমি অনেক ক্লান্ত হয়ে গেছি রুমে যাচ্ছি ঘুমাবো আল্লাহ হাফেজ।
অভ্র- আচ্ছা যা…!
তার পেছনেই তিয়া, তিথি, স্বপ্না- আচ্ছা ভাই আমরা যাই.!
অভ্র- ওই দাঁড়া তোরা কই যাবি?
তিয়া, তিথি, স্বপ্না- কেনো বাড়িতে…!
অভ্র- বাড়িতে যাবি সেটা তো আমিও জানি কিন্তু কয়টা বাজে দেখেছিস। এত রাতে একা একা তিনটা মেয়ে যাবি।
তিয়া- তো কি হইছে আমাদের সাথে গাড়ি আছে আর গাড়ি চালানোর জন্য ড্রাইবার।
অভ্র- এত রাতে তোদেরকে আমি একজন ড্রাইবারের বিশ্বাসে যেতে দিতে পারবো না।
তিথি- আমাদের কিচ্ছু হবে না আমরা ঠিক যেতে পারবো।
স্বপ্না- তুমি শুধু শুধু ভয় পাচ্ছে আমরা যাচ্ছি ওকে..!
অভ্র- ওই দাঁড়া ঠাডাইয়া কানের নিচে মারবো একটা কি বলছি কান দিয়া যায় নাই বলছি না যা রুমে গিয়া ঘুমা কাল সকালে যাবি এত রাতে তিনজনের একজনেও কোথাও যাবি না। (ধমক দিয়ে বললে)
তিন বান্দরনী একমাত্র শুধু অভ্রর ধমক কেই ভয় পায় পুরা যেমন বাঘের গর্জন..!
তিন জনেই ভিজা বিড়ালের মতো সুরসুর করে সিঁড়ি বেয়ে উপরে চলে যায়।
নীল তা দেখে মুখে হাত দিয়ে হাসছে।
অভ্র- খুব বেশি হাসি পাচ্ছে তাই না?
নীল- কোই না তো আমি রুমে যাচ্ছি.!
অভ্র- দাঁড়াও তুমি কোথাও যাবে না।
নীল পেছনে অভ্রর দিকে ঘুরে দাঁড়ালো।
নীল- কেনো?
অভ্র- কারণ তুমি নিজের পায়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে রুমে যাবে না।
নীল- তুমি আমাকে নীলপরী তো বলো কিন্তু বিশ্বাস করো আমার না নীল নীল কোনো ডানা নাই যে আমি উড়েঁ উড়েঁ রুমে যাবো। আমি তো যাচ্ছি..!
অভ্র- আমি তো বলেছি নীল তুমি সিঁড়ি দিয়ে উপরে রুমে যাবে না।
নীল- তো আমি কি সারারাত হল রুমেই দাঁড়িয়ে থাকবে তোমার মতো সোফাতে ঘুমাবো এটা সম্ভব না প্লিজ ধ্যাত… (বিরক্তিকর ভাব নিয়ে অন্য দিকে ঘুরে যায়)
অভ্র মুচকি হেঁসে পেছন থেকে হেঁটে এসে নীলকে কোলে তুলে নেয়।
নীল- কি করছো অভ্র? নামাও আমি পরে যাবো..?
অভ্র- তোমার কি মনে হয় হুহহহ আমি আমার নীলপরী কে ফালিয়ে দেবো জীবনেও না আমি সারাজীবন তোমাকে এভাবে নিয়ে হাঁটতে চাই।
নীল- আজ খুব বেশি রোমান্টিক মনে হচ্ছে।
অভ্র- আমি তো রোজই রোমান্টিক থাকি শুধু আমার নীলপরীই খেয়াল করে না।
নীল- এই এই আমাদের রুম অপর সাইডে আমরা এইদিকে যাচ্ছি কেনো?
অভ্র- সাদে যাচ্ছি চাঁদ দেখতে..!
নীল- আমি চাঁদ দেখবো না আমি রুমে যাবো ঘুমাবো.!
বলেই হাত পা নাড়াচাড়া করছে।
অভ্র- এই তুমি এইভাবে নড়াচড়া করলে কিন্তু ঠুসসস করে ফেলে দিবো। চুপচাপ লক্ষী মেয়ের মতো থাকো।
চাও ফেলে দেই….!
নীল- উহু…..!
অভ্র- তো চুপ থাকো।
সাদে এসে অভ্র নীলকে কোল থেকে নামিয়ে দেয়।
নীল দাঁড়িয়ে আছে শুধু অন্ধকার এতই অন্ধকার যে নিজের হাত টাও দেখা যাচ্ছে না।
নীল- ফুলের সুগন্ধ নীচ থেকে সাদ পর্যন্ত আসছে?
অভ্র- হবে হয়তো…!
নীল- হয়েছে চাঁদ দেখা এখন চলো।
অভ্র- ওই ওই দেখো আকাশ থেকে তারা খসে পরছে।
নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে.!
নীল- কোই কোই…? (বলে খুঁজতে লাগল ২মিনিট পর)
নীল- অভ্র…..(চিল্লানী দিয়ে)
নীল- অভ্র তুমি আমাকে বোকা বানালে… ইইইইহহহ (দাঁতে দাঁত চেপে.) তোমাকে তো আমি ছাড়বো না.!
(বলে পেছনে ঘুরতেই অভ্র নেই তারপর অন্ধকার নীল একা একটু ভয় পেয়ে যায়।
নীল- অভ্র তুমি কোথায় প্লিজ আমার ভয় করছে…!
(ভয় মিশ্রিত কন্ঠে)
অভ্রর তো পাত্তাই নাই…!
নীল সামনে তাকাতেই হঠাৎ করে পুরো সাদ আলোকিত হয়ে যায়।
পুরো সাদ ঝাড়বাতি দিয়ে সাজানো অনেক কালারের মরিচবাতি,, নীল অবাক হয়ে দেখছে সাথে নীল র চোখ গেলো সাদের এক কোনে,, যেখানে একটা বেডসিট পুরো ফুল দিয়ে সাজানো ফুলসজ্জার খাটের মতো… মনে হচ্ছে আজ কারও এখানে ফুলসজ্জা হবে!
নীল- কিন্তু এত সুন্দর করে সাজিয়েছে কে.?
অভ্র পেছন থেকে এসে নীল এর উপর গোলাপের পাপড়ি ছিটিয়ে দিলো। নীল হঠাৎ করে গায়ের উপর কিছুতে পরাতে ঘাবড়ে যায়।
অভ্র- ভয় পেয়ো না নীলপরী এইগুলো গোলাপের পাপড়ী শুধু… (বলেই নীলকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরে)
নীল- অভ্র তুমি করেছো এইসব?
অভ্র নীল এর গালে চুমু দিয়ে।
অভ্র- হুম আমি করেছি আমার নীলপরীর জন্য..!
নীল- কখন করলে এইসব.?
অভ্র- যখন আমার নীলপরী ওয়াশরুমে গুয়েছিলে রেডি হতে তখন করেছি।
নীল- কিন্তু কেনো?
অভ্র নীল কে ছেড়ে দেয় সাথে নীলকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করিয়ে।
অভ্র- তুমি কি কচি খুকি নাকি? হুহহহ যে জানো না।
আজ আমাদের ফুলের সাথে ফুলসজ্জা হবে। তাও আমার চাঁদকে সাক্ষী রেখে সাদে..!
তোমার তো চাঁদ অনেক প্রিয় তাই ভাবলাম সাদের থেকে ভালো জায়গা আর কোথাও নেই…
নীল- লজ্জা পেয়ে অভ্রর বুকে মুখ লুকালো।
অভ্র নীলকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নীল এর থুতনিতে ধরে বলল।
অভ্র- ওরে আমার লজ্জাবতী নীলপরী রে…
বলেই নীল এর ঠোঁট জোড়ার সাথে নিজের ঠোঁট জোড়া মিশিয়ে দেয়। ১০ মিনিট পর অভ্র নীল কে ছেড়ে দেয়। তারপর নীলকে কোলে তুলে নিয়ে ফুলের বেডে শুইয়ে দেয়।
আজ আবার ও অভ্র নীল এক হলো..!
ভালোবাসার অতল সাগরে ডুব দিলো অভ্র নীল..!
.
.
#চলবে …..?
.
“গল্প শেষ করে দিবো আর ২ বা ১ পর্বে… সবাই কমেন্ট করে নিজেদের মতামত জানাতে ভুলবেন না..”
“হ্যাপি রিডিং”………
.
“কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ”……… ❌