অভ্র নীল পর্ব-৩০

0
598

#অভ্র_নীল
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
#পর্ব_৩০
______
পরেরদিন সকালে ব্রেকফাস্ট শেষ করেই অভ্র নীল আর তোয়াকে নিয়ে বেরিয়ে পরে।
এখন ও অনেক মানুষদের ইনবাইট করতে হবে সাথে কালকের সব Arrangement ও তো করতে হবে।

সবাইকে ইনবাইট করতে করতে দুপুর হয়ে যায়।
অভ্র নীল তোয়া একটা নামি-দামি রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করার জন্য আসে।

ও যার যেটা পছন্দ সেটাই অর্ডার দেয়…!

খাওয়ার মধ্যে মধ্যে অভ্র নীলকে একটু খাইয়ে দিচ্ছে
নীল ও অভ্র কে খাইয়ে দিচ্ছে।
তোয়া- আমি যে এখানে আছি তা হয়তো কারো চোখেই পরছে না। আমাকেও তো একটু খাওয়াই দিতে পারে…!

নীল- ওওওও…… হা করো…..!

রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে. …!

ওরা ডেকোরেশন এর ফুল এর খাবার দাবারের সব কিছুর ব্যবস্থা করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আসে…!

বাড়ি এসে পুরো সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত গল্প ও আড্ডা দেয়। রাতে ডিনার করে সবাই ঘুমাতে চলে যায় আগামীকাল শুক্রবার….!
সবার ছুটি সবাই বাড়িতেই থাকবে।

নীল রুমে আসতেই অভ্র নীলকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরে,,, পিঠের চুলগুলো সরিয়ে ঘাড়ে আলতো করে একটা চুমু একে দেয়।
পরে নীলকে আয়নার সামনে বসিয়ে চুলে চিরুনি করে বেনি পাকিয়ে দেয়।
সব শেষে অভ্র নীল এর কপালে চুমু একে দেয়।

নীল এর একটু শারীরিক সমস্যা হচ্ছে চলতে ফিরতে সেটা অভ্র ভালো করেই বুঝতে পারছে।

নীল অভ্রর কাছে যেতে একটু ভয় পাচ্ছে।
অভ্র- নীলপরী ভয় পেয়ো না আজ কিছু করবো না শুধু তোমাকে বুকের সাথে জরিয়ে ধরে ঘুমাবো।

নীল সন্দেহের চোখে অভ্রর দিকে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ এ কোথা বললো কেনো?আমি ভয় পাচ্ছি ও বুঝলো কিভাবে?

অভ্র- কারণ আমি তোমাকে ভালোবাসি! আর তোমার যে অসুবিধা হচ্ছে সেটাও আমি খুব বুঝতে পারছি। তাই আজকের জন্য মাফ করে দিলাম এখন তারাতাড়ি আসো আমি তোমাকে জরিয়ে ধরে ঘুমাবো…!

নীল- হুহহহহহহহহ……..!

তারপর নীল বেডে গিয়ে শুয়ে পরলো অভ্র নীলকে নিজের বাহুডোরে আবদ্ধ করে নিলো।
দু’জনেই ঘুমিয়ে গেলো।

পরেরদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তোয়া আর নীল কিচেনে মিসেস চৌধুরী কে হেল্প করছেন। আর পাম মারছে এটা সেটা বুঝাচ্ছে।

মিসেস চৌধুরী সাধারণ মানুষ তাই উনার ওদের এমন ব্যবহারের মধ্যে কোনো ঝামেলার গন্ধ ও পায়নি।

দুপুরে সবাই লাঞ্চ করে সবে মাত্র বসেছে। ওমনি কে জেনো কলিংবেল বাজাচ্ছে।
নীল- সিউর আব্বু আম্মু চলে আসছে…! ( মনে মনে)

মিস্টার ও মিসেস সরকার হল রুমে এসেই সালাম দিলো সবাই সালামের উত্তর নিলো সবাই বেশ খুশি বেয়ান বিয়াই এসেছে বলে কথা।
সবাই মিলে আরও বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দিলো।
নীল- বার বার চোখ দিয়ে ইশারা করছে উনাদের বাহিরে যাওয়ার কথা এদিকে টাইম ও হয়ে আসছে অর্ডার ডেলিভারির।

মিস্টার সরকার- বেয়াই বেয়ান একটা কথা বলবো প্লিজ আপনারা কেউ আমাদের ফিরিয়ে দেবেন না৷

মিস্টার চৌধুরী- আচ্ছা ঠিক আছে বলেন। (হাসতে হাসতে বললেন)

মিস্টার সরকার- সিনেমা হলে যাবো আমরা দুই বেয়াই বেয়ান সিনেমা দেখবো পরে ঘুরবো ঘারবো পরে বাড়ি আসবো.!

মিস্টার চৌধুরী- ঠিক আছে। তা কখন যেতে হবে?
মিসেস সরকার- বেয়াই সাব এখনই…!
মিসেস চৌধুরী- এখনই? তাহলে তো রেডি হতে হবে.!
নীল- হ্যাঁ যাও যাও রেডি হয়ে নাও…! আমরা বাড়ির খেয়াল রাখবো।
মিসেস চৌধুরী- তোয়া আর তোরাও চল আমাদের সাথে..!
তোয়া- তাহলে আমি রেডি হয়ে আসছি।
নীল সাথে সাথে তোয়ার পায়ের উপর পা দিয়ে পারা দিলো।
তোয়া- আহহহ….!
মিস্টার চৌধুরী- কি হইছে?
নীল- কিচ্ছু হয় নাই কিচ্ছু হবে ও না। তোমরা যাও আমরা কোথাও যাবো না। আমরা বাড়িতেই থাকবো তোমরা গিয়ে ঘুরে আসো তা ছাড়া কোথাও তো যাও ও না। তো যাও যাও তারাতাড়ি যাও…..!

অভ্র- নীল ঠিক বলেছে। তোমরা যাও…!

মিসেস ও মিস্টার চৌধুরী রেডি হয়ে উনাদের সাথে বেরিয়ে পরলেন।
উনারা যাওয়ার ২মিনিট পরেই ডেলিভারি দিতে গাড়ি চলে আসছে।

নীল- আল্লাহ বাঁচাইছে! আর ২মিনিট আগে গাড়ি আসলে প্লেন সব চপাট হয়ে যেতো..!

বলেই তোয়ার মাথায় টোকা মারে।
তোয়া- ভাবি মারলা কেন?
নীল- বাহিরে যাওয়ার কথা শুনলেই লাফালাফি করতে মন চায়। আমিও যাবো রেডি হয়ো আসছি বাড়িতে এত কাজ ভুলে গেছো নাকি…?

তোয়া- সরি ভাবি ভুলে গেছিলাম।

ততক্ষণে তিয়া তিথি স্বপ্নাদের ও গাড়ি চলে আসলো।

পেছনে আরও দুইটা গাড়ি..! যাহির হে.. শুভ আর আকাশের গাড়ি…!
তিয়া, তিথি, স্বপ্না, তানজু, তানিয়া, কাজল, আকাশ ও শুভ… গাড়ি থেকে নেমে সোজা হেঁটে আসছে।

ফ্যামিলি সন্ধ্যার পর আসবে পার্টি শুরু হলে।।
আর এরা সব কিছু সাজাতে হেল্প করতে আসছে তাছাড়া ডেকোরেশনের লোক তো আছেই।
ওরা কামের না নামের…!

তানজু, তানিয়া, কাজল এসে নীলকে জরিয়ে ধরে।

শুভ আর আকাশ অভ্রকে.!

তিয়া তিথি স্বপ্না তোয়াকে।

নীল- এমন ভাব করছিস মনে হচ্ছে কত বছর পর দেখা হলো, কালকেও তো দেখা হইছে।

তানিয়া, কাজল- তুই কেমন জানি হইয়া গেছোস রে।

তানজু- অভ্র জরিয়ে ধরে তো এখন তাই আমাদের ধরা ওর পছন্দ হলো না।

তানিয়া, কাজল- ওওও তাই নাকি?

নীল- মাইর খাবি কিন্তু তোরা এখন।
ডেকোরেশনের লোক হল রুম সাজাচ্ছে সাঁঝবাতি + ফুল দিয়ে। স্টেজ সম্পূর্ণ ফুল দিয়ে সাজানো হবে। যখন দরজা দিয়ে ঢুকবে উনাদের মাথার উপর গোলাপের পাপড়ি ফালানো হবে।
সব কিছু নীল এর প্লেন মতোই হচ্ছে.!
কেক সন্ধ্যা ৬টায় ডেলিভারি করা হবে.!
৭টায় গেস্টরা সব চলে আসবে.!
৮টা বাজে মিসেস ও মিস্টাররা চলে আসবে।
যা করার এই সাড়ে ৬টার মধ্যে করে রেডি হয়ে থাকতে হবে।

৩ঘন্টা পর প্রায় সব কাজ শেষ সবাই মিলে টুকিটাকি হেল্প করেছে।

নীল বসে বসে গোলাপের পাপড়ি ছিড়তেছে….
.
.
.
#চলবে …..?
.
“হ্যাপি রিডিং”………
.
“কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ”……… ❌

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here